08 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
7 January 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - জ্ঞান রত্ন ধারণ করে রূহানী হসপিটাল, ইউনিভার্সিটি খুলতে থাকো, যার দ্বারা সকলের যেন হেল্থ ওয়েলথ প্রাপ্ত হয়”
প্রশ্নঃ --
বাবার কোন্ কর্তব্যটি কোনো মনুষ্য আত্মা করতে পারে না ?
উত্তরঃ -:-
আত্মাকে জ্ঞানের ইঞ্জেক্শন লাগিয়ে তাকে সদাকালের জন্য রোগ মুক্ত করা, এই কর্তব্যটি কোনো মানুষ করতে পারে না। যারা আত্মাকে নির্লিপ্ত মনে করে, তারা জ্ঞানের ইঞ্জেক্শন কীভাবে লাগাবে । এই কর্তব্যটি একমাত্র অবিনাশী সার্জেনের। তিনি এমন জ্ঞান-যোগের ওষুধ দেন যার দ্বারা অর্ধেক কল্পের জন্য আত্মা ও শরীর দুই-ই হেলদি-ওয়েলদি হয়ে যায়।
গান:-
এই সময় পেরিয়ে যাচ্ছে…
ওম্ শান্তি । এই কথাটি কে বলছে যে একটু সময় বাকি আছে ? অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে কমেরও কম সময় বাকি আছে। এখন তোমরা এই পুরানো দুনিয়ায় বসে আছো। এখানে তো কেবল দুঃখই আছে। সুখের নাম চিহ্ন নেই। সুখ আছেই সুখ ধামে। কলিযুগকে বলা হয় দুঃখ ধাম। এখন বাবা বলেন এখন আমি এসেছি, তোমাদেরকে সুখ ধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাহলে অপেক্ষা করছো কেন ? দুঃখধামের প্রতি এমন আসক্তি কেন ? দুঃখ ধামের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে বা এই পুরানো দেহের প্রতি এমন আসক্তি কেন ? আমি এসেছি তোমাদেরকে সুখধামে নিয়ে যেতে। সন্ন্যাসীরা বলে এই দুনিয়ার সুখ তো হল কাক বিষ্ঠা সম তাই তারা সন্ন্যাস করে। বাচ্চারা, তোমাদের তো এখন সুখধামের সাক্ষাৎকার হয়েছে। এই পড়াশোনা হল সুখধামের জন্য এবং এই পড়াশোনায় কোনো কষ্ট নেই। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এই স্মরণের দ্বারা তোমরা রোগ মুক্ত হবে। তোমাদের কায়া কল্পের সমান বড় হবে। এই যে মনুষ্য সৃষ্টির বৃক্ষটি আছে , তার আয়ু হল ৫ হাজার বছর। তাতে অর্ধেক কল্প সুখ, অর্ধেক কল্প দুঃখ আছে। দুঃখ তো অর্ধেক কল্প তোমরা দেখেছো, বাবা বলেন পবিত্র দুনিয়ায় চলতে হবে তো পবিত্র হও। শ্রীমৎ বলে এই বিষের লেন দেন ত্যাগ করো। জ্ঞান ও যোগের ধারণা করো। যত জ্ঞান রত্ন ধারণ করবে ততই রোগ মুক্ত হবে।
বাবা বুঝিয়েছেন এ হল রূহানী হসপিটালও এবং ইউনিভার্সিটিও। পরমপিতা পরমাত্মা এসে রূহানী হসপিটাল এবং ইউনিভার্সিটি স্থাপন করেন। হসপিটাল তো দুনিয়ায় অনেক আছে কিন্তু এমন হসপিটাল ও ইউনিভার্সিটি দুইটি একত্রে কোথাও থাকে না। এইখানে এইটি হল আশ্চর্য, হসপিটাল ও ইউনিভার্সিটি , হেল্থ ওয়েলথ একত্রে প্রাপ্ত হয়। তাহলে এই খাজানা প্রাপ্তির জন্য কেন উঠে দাঁড়াও না। আজকাল করতে করতে হঠাৎ বিনাশ এসে পড়বে। বাবা শ্রেষ্ঠতম মত দেন। তোমরা গভর্নমেন্টকেও বোঝাও এই সময় অসীম জগতের পিতা হসপিটাল ও ইউনিভার্সিটি খোলেন যে সবার হেল্থ ওয়েলথ দুই ই প্রাপ্ত হয়। গভর্নমেন্টও হসপিটাল, ইউনিভার্সিটি খোলেন। তাদেরকে বোঝাও এই দেহের হসপিটাল খুলে কি হবে। এইসব তো অর্ধেক কল্প ধরে চলছে এবং রুগীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ হল রূহানী হসপিটাল ও ইউনিভার্সিটি, যার দ্বারা মানুষ ২১ জন্মের জন্য এভারহেলদি ওয়েলদি হতে পারে। অতএব এডুকেশন মিনিস্টার, হেল্থ মিনিস্টারকেও বোঝাও যে, অসীম জগতের পিতা এই কম্বাইন্ড হসপিটাল এবং ইউনিভার্সিটি দুটি খুলেছেন। আপনাদেরও পরামর্শ দিচ্ছেন এমন ভাবে খুলুন তাহলে মানুষের কল্যাণ হবে। বাকি এই অসুখ ইত্যাদি তো রাবণ রাজ্যের আদিকাল থেকেই শুরু হয়েছে। পূর্বে তো বৈদ্য ইত্যাদির ঔষধ ছিল। এখন তো ইংরেজি ওষুধ অনেক বেরিয়েছে। ইনি হলেন অবিনাশী সার্জেন, অবিনাশী ঔষধ দেন। তবেই গায়ন আছে জ্ঞান অঞ্জন সদগুরু দিয়েছেন, জ্ঞান ইঞ্জেকশন রূহানী পিতা লাগিয়ে দেন আত্মাদের। আত্মাকে অন্য কেউ ইঞ্জেকশন লাগাতে পারে না। তারা তো বলে আত্মা হল নির্লিপ্ত। অতএব তোমরা বোঝাও ওই হসপিটাল ও ইউনিভার্সিটিতে লক্ষ টাকা খরচের প্রয়োজন হয়। এখানে তো খরচ ইত্যাদির কোনো কথা নেই। তিন পা পৃথিবী চাই। যাতে যে কেউ আসুক তাকে বোঝাতে হবে। বাবাকে স্মরণ করো তো এভার হেলদি হবে এবং চক্রকে জানলে চক্রবর্তী রাজা হবে। ধনবান হলে বিরাট হসপিটাল, ইউনিভার্সিটি খুলবে। গরিব ছোট মাপের খুলবে। গভর্নমেন্ট অনেক খুলে দেয়। আজকাল তো টেন্ট ইত্যাদি লাগিয়ে পড়ায় এবং ২-৩ টি সেশন রাখে কারণ জায়গা নেই। টাকাও নেই। এতে খরচ ইত্যাদির কোনো কথা নেই। যে কোনো জায়গায় সম্ভব। কোনোরকম আসবাব ইত্যাদি তো প্রয়োজন নেই। খুব সিম্পল কথা। পুরুষও খুলতে পারে, মাতারাও খুলতে পারে। বাবা বলেন তোমরাও খোলো, তোমরাও দেখাশোনা করো। যে করবে, সে পাবে, অনেকের কল্যাণ হবে। অসীম জগতের পিতা শ্রীমৎ দেন – শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য । অনেকে আছে যারা শোনে কিন্তু পালন করে না কারণ ভাগ্যে নেই। হেল্থ, ওয়েলথ প্রাপ্ত হয় বাবার কাছে। বাবা বৈকুণ্ঠের বাদশাহী প্রদান করতে এসেছেন। হীরে জহরতের মহল পাবে। ভারতেই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। নিশ্চয়ই তাদেরকে বাবা বর্সা অর্থাৎ স্বর্গ দিয়েছেন হবে। এখন তো কলিযুগে কেবল দুঃখই আছে, পুনরায় সত্যযুগের স্থাপনা আমাকেই করতে হবে। মানুষ কোনো হসপিটাল ইত্যাদি খুলে দিলে উদঘাটন করে। বাবা বলেন আমি স্বর্গের উদঘাটন করি। এখন তোমরা শ্রীমৎ অনুসারে স্বর্গের উপযুক্ত হও। কল্প-কল্প তোমরা উপযুক্ত হয়েছো এই কথা নতুন নয়। দেখা যায় যে গরিব অনেকে আসে। বাবা নিজেও বলেন আমি দীনের নাথ। ধনীদের কাছে অনেক ধন আছে, তখন তারা ভাবে আমরা স্বর্গে বসে আছি। ভারত হল গরিব সেখানেও যারা বেশি গরিব, তাদেরকেই বাবা উদ্ধার করেন। ধনীরা তো গভীর নিদ্রায় নিদ্রিত । জ্ঞান ও যোগের শিক্ষা বাবাই প্রদান করেন, তৃতীয় নেত্রও বাবাই প্রদান করেন যার দ্বারা তোমরা সম্পূর্ণ চক্রকে জানতে পারো। বাকিরা সবাই ঘোর অন্ধকারে আছে। ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের কথা কেউ জানে না। পতিত-পাবন বাবাকেই ভুলে গেছে। শিব পরমাত্মার উদ্দেশ্যে বলে দেয় – পাথরে নুড়িতে আছেন।
তোমরা জানো এখন সবারই কয়ামতের (শেষ হিসাবের) সময়। আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে। তখন সবাইকে সঙ্গে করে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। আমি পান্ডা রূপে এসেছি। তোমরা হলে পাণ্ডব সেনা তাই না। তারা দেহের জাগতিক তীর্থ যাত্রায় নিয়ে যায়, যা জন্ম-জন্মান্তর করে এসেছ তোমরা । এ হল রূহানী তীর্থ অর্থাৎ আত্মিক তীর্থ, এতে চলা ফেরা করতে হয় না। বাবা বলেন শুধু আমাকে স্মরণ করো। রাতে জেগে আমাকে স্মরণ করো। আমার সঙ্গে বুদ্ধির যোগ লাগাও। নিদ্রাজিত হও তাহলে তোমরা কাছে আসতে থাকবে। তারা হল গর্ভজাত বংশাবলী ব্রাহ্মণ। তোমরা হলে ব্রহ্মা মুখবংশী ব্রাহ্মণ। এখন তোমরা রূহানী যাত্রায় ব্যস্ত আছো, তোমাদেরকে পবিত্র থাকতে হবে। ওই ব্রাহ্মণরা নিজেরাই অপবিত্র থাকে তাই অন্যদের পবিত্র বানাতে পারে না। তোমাদেরকে পবিত্র থাকতে হবে। রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে পবিত্র ব্রাহ্মণরাই থাকে। ওই ব্রাহ্মণরা যদিও মন্দিরে থাকে, নামও তাদের ব্রাহ্মণ তাই দেবতাদের মূর্তি স্পর্শ করতে পারে এবং মূর্তি স্নান ইত্যাদি করায় কিন্তু তারা হল পতিত, বাকি মানুষ যারা মন্দিরে যায় তাদের নামের আগে ব্রাহ্মণ নাম না থাকলে তারা স্পর্শ করতেও পারে না। ব্রাহ্মণদের সম্মান অনেক। কিন্তু ব্রাহ্মণরাও হল পতিত, বিকারগ্রস্ত। তাদের মধ্যে কেউ ব্রহ্মচারীও থাকতে পারে । বাবা এসে বোঝান – প্রকৃত সত্য ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী হল তারা, যারা ২১ কুলের উদ্ধার করে। কন্যা যদি উদ্ধার করে তার মাতা পিতাও থাকবে। এই মাতা পিতা শেখাচ্ছেন তোমরা ২১ বংশ স্বর্গের মালিক হতে পারো। বাচ্চারা জানে বাবা হলেন গুপ্ত। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা আমাদেরকে সব রহস্য বুঝিয়ে দেন। এই দাদা (ব্রহ্মা বাবা) তো ব্যবসা ইত্যাদি করতেন। এখন অনেক জন্মের অন্তের জন্মের শেষ সময়ে এসে শিববাবা প্রবেশ করেছেন। ব্রহ্মার দ্বারা জ্ঞান শোনাচ্ছেন। এ হল রথ। শিববাবা হলেন রথী। এখন নিরাকার পরমাত্মা বোঝান, এই রথ হল অনেক জন্মের পতিত। সর্বপ্রথমে উনি পবিত্র হন। কাছে আছেন। উনি কখনও বলেন না যে, আমি ভগবান। উনি বলেন এই হল আমার অনেক জন্মের শেষ জন্ম। এ হল বাণপ্রস্থ অবস্থা, পতিত স্থিতি। বাবা এনার মধ্যে প্রবেশ করেন। এখন বাবা বলেন তুমি নিজের জন্মের কাহিনী জানো না। আমি তোমাকে বলি। এই জ্ঞান বুদ্ধিতে আসে ইনিই হলেন পতিত-পাবন পরমপিতা পরমাত্মা। তিনি হলেন পিতা, শিক্ষক এবং গুরুও হলেন তিনি। সম্পূর্ণ ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝান। তোমরা জানো বাবা আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এই পিতা শিক্ষক গুরুর পরামর্শ নিলে তোমরা উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে। কত ভালোভাবে বোঝান। কেউ ধারণা করে শ্রীমৎ অনুসারে চলে উঁচু পদ প্রাপ্ত করে। যারা শ্রীমৎ পালন করে না, তারা উঁচু পদ প্রাপ্ত করে না। বাবা বলেন সুখধাম এবং শান্তিধামকে স্মরণ করে এই দুঃখ ধামকে ভুলে যাও। নিজেকে অশরীরী ভাবো। এখন আমরা ফিরে যাচ্ছি। বাবা ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন। প্রত্যেককে নিজের নিজের পার্ট রিপিট করতে হবে। প্রত্যেকটি আত্মা হল অবিনাশী পার্টধারী। দুনিয়ায় প্রলয় কখনও হয় না। এই হল দুঃখধাম, আত্মারা পরে যাবে শান্তিধামে এবং সুখধামে। এই বুদ্ধিতে স্বদর্শন চক্র চালাতে থাকো এবং পবিত্র থাকো তাহলেও ভবসাগর পার হয়ে যাবে। তোমরা কালের উপরে বিজয় লাভ করো, সেখানে তোমাদের অকালে মৃত্যু হয় না। যেমন সর্প নিজের পুরানো খোলস ত্যাগ করে নতুন ধারণ করে তেমনই তোমরাও খোলস পরিবর্তন করে নতুন ধারণ করবে। এমন অবস্থা এখানে বানাতে হবে। শুধুমাত্র আমরা এই শরীর ত্যাগ করে সুইট হোমে যাবো। আমাদেরকে কাল গ্রাস করতে পারে না। সর্পের দৃষ্টান্ত বাস্তবে সন্ন্যাসীরা দিতে পারে না। ভ্রমরীর উদাহরণ হল প্রবৃত্তি মার্গের আত্মাদের জন্য। বলা হয় জনকের সমান সেকেন্ডে জীবনমুক্তি দিতে পারে। এও কপি করা হয়। জীবনমুক্তিতে দুইই (নারী-পুরুষ) চাই। সন্ন্যাসীরা জীবনমুক্তি কীভাবে দেবে। এখন বাবা বলেন ফিরে চলো, আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। নাহলে অনেক দন্ড ভোগ করবে এবং পদও ভ্রষ্ট হবে। শেষ সময়ে কেউ স্মরণে এলে তো পুনরায় পুনর্জন্মে আসতে হবে। এ হল যোগের দ্বারা হেল্থ এবং জ্ঞানের দ্বারা ওয়েলথ, সেকেন্ডে জীবনমুক্তি একেই বলা হয়। তাহলে এত অর্থ নষ্ট করা, দিকে দিকে বিচরণ করা ইত্যাদি করার দরকার কী ! তাই হেল্থ মিনিস্টার, এভুকেশন মিনিস্টারকে বোঝাও তোমরা এই হসপিটাল, ইউনিভার্সিটি খোলো তাহলে তোমাদের অনেক লাভ হবে। যে করবে সে পাবে। ধনীদের কাজ হল ধনীদের উদ্ধার করা। গরিবরাই বর্সা প্রাপ্ত করে। কোটিপতিদের জন্য কথায় আছে – কারও ধন ধুলোয় মিশে যাবে…. শেষ সময়ে আগুন লাগলে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। তাহলে বিনাশের পূর্বে এমন কিছু করে নিলে অন্ততঃ কিছু পদও প্রাপ্ত হয়ে যাবে। মৃত্যু তো হবেই। ড্রামা শেষও হবে। বাবা কত ভালো ভাবে বোঝান। নদীরা তো চারিদিকে প্রবাহিত হতেই থাকে। কিন্তু এই ব্রহ্মা হল ব্রহ্মপুত্র নদী। মাম্মা হলেন সরস্বতী। বাকি সব জ্ঞান গঙ্গা। গঙ্গা নদী পবিত্র করবে কীভাবে। ওই সব কোনো মেলা নয়। এটা হল প্রকৃত সত্য মেলা যেখানে জীব আত্মারা পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হয়। তখন বলা হয় আত্মা পরমাত্মা আলাদা রয়েছে বহুকাল… এখন হল জীব আত্মাদের পরমাত্মার সঙ্গে মিলন মেলা। পরমাত্মাও জীব অর্থাৎ দেহের লোন নিয়েছেন। তা নাহলে পড়াবেন কীভাবে ? তাই তাঁকে শিব ভগবান বলা হয়, উনি এনার মধ্যে প্রবেশ করে জ্ঞান প্রদান করেন। সরস্বতীকে বলা হয় গডেজ অফ নলেজ। ব্রহ্মারও নলেজ আছে। তাঁকে নলেজ প্রদান করেন কে ? জ্ঞানের সাগর। তোমাদের কাছে নলেজ নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী আছে। অতএব এই নলেজ ধারণ করে শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। সম্পূর্ণ কিছু নির্ভর করছে পবিত্রতার উপরে। এই নিয়েই অবলাদের উপরে অত্যাচার হয়। দ্রৌপদী ডেকেছিল। সহ্য করতে করতে ২১ জন্মের জন্য নগ্ন হওয়ার থেকে রক্ষা পায়। গীতায়ও আছে আমি সাধুদেরও উদ্ধার করি। কিন্তু সাধুরা এই জ্ঞান শোনাতে পারে না।
তোমরা জানো এই সময় সমগ্র দুনিয়া ঘুষ গ্রহণকারী হয়েছে তাই সবার বিনাশ হবেই, যাদের স্বর্গের অধিকার নেওয়ার থাকবে তারাই নেবে। বাবাকে অনেক কন্যারা বলে আমরা গরিব হলে ভালো হত। ধনী মানুষ তো বাইরে বেরোতে দেয় না । বাবা আমরা কুমারী হলে ভালো হত। মাতাদের সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে হয়। বাবা বলেন স্বর্গের অধিকার নিয়ে নাও। মানুষের মরণ হতে দেরি লাগে না। বিপদ আসে অনেক। তোমরা শুধু নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমাকে নিজ পিতাকে স্মরণ করো। ৮৪ জন্ম পূর্ণ হয়েছে এবারে ফিরে যেতে হবে নাকি এখানেই হাবুডুবু খাবে ? মন্মনাভব, মধ্যাজি ভব। রাবণের সম্পত্তিকে ভুলে যাও। রাবণ অভিশপ্ত করে। বাবা বলেন সন্তান রূপে আপন হলে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করবে। শ্রীমৎ অনুসারে না চললে বর্সা পাবে কীভাবে। এই রূহানী হসপিটাল খুলতে থাকো। জমি পড়ে আছে। ভাড়ায় দিলেও ভালো, অনেক লাভ হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) বাবার নিকটে আসার জন্য রূহানী যাত্রায় থাকতে হবে। নিদ্রজিৎ হয়ে এই বুদ্ধির যাত্রা অবশ্যই করতে হবে।
২ ) প্রকৃত সত্য ব্রাহ্মণ হয়ে ২১ কুলের উদ্ধার করতে হবে। স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে। কালের উপরে বিজয় লাভ করার জন্য এই পুরানো খোলস থেকে আসক্তি মেটাতে হবে।
বরদানঃ-
ব্রহ্মাবাবার বলা, চলা, চেহারা ও আচরণে যে রয়্যালটি দেখেছো – সেসব ফলো করো। যেমন ব্রহ্মা বাবা কখনও ছোট-ছোট কথায় নিজের বুদ্ধি বা সময় দিতেন না। তাঁর মুখ থেকে কখনও কোনো সাধারণ কথা বেরোত না, প্রতিটি কথা যুক্তিযুক্ত অর্থাৎ ব্যর্থ ভাব থেকে ঊর্ধ্বে অব্যক্ত ভাব ও ভাবনা যুক্ত হত। তাঁর বৃত্তি প্রতিটি আত্মার প্রতি সদা শুভ ভাবনা, শুভ কামনা যুক্ত থাকতো, দৃষ্টি দ্বারা সবাইকে ফরিস্তা রূপে দেখতেন। কর্ম দ্বারা সদা সুখ দিয়েছেন এবং সুখ নিয়েছেন। এমন ফলো করো তখন বলা হবে ব্রহ্মা বাবার সমান।
স্লোগানঃ-
লাভলীন স্থিতির অনুভব করুন –
যেমন লৌকিক রীতিতে কেউ কারো স্নেহে লীন হয়ে থাকলে চেহারায়, দৃষ্টিতে, বাণীতে অনুভব হয় যে সে লাভলীন স্থিতিতে আছে, প্রেমযুক্ত প্রিয়তম স্বরূপে আছে। তেমনই তোমাদের অন্তরে বাবার স্নেহ ইমার্জ থাকলে তোমাদের মুখের কথা অন্যদেরও স্নেহ বিদ্ধ করে দেবে।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!