07 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
6 November 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"তন, মন, ধন আর জনের ভাগ্য"
আজ সত্য প্রভু নিজের রাজকুমার আর রাজকুমারীদের দেখছেন। বাবাকে বলাই হয় সত্য, সেইজন্য বাপদাদা দ্বারা স্থাপন করা যুগের নামও সত্যযুগ। বাবার মহিমাতেও সত্য বাবা, সত্য শিক্ষক, সত্য গুরু তথা সদ্গুরু বলা হয়। সত্যের মহিমা সদাই শ্রেষ্ঠ। সত্য বাবা দ্বারা তোমরা সবাই সত্য নারায়ণ হওয়ার জন্য সত্য কথা শুনছ। এমন সত্য প্রভু তাঁর বাচ্চাদের দেখছেন যে কতো বাচ্চা সত্য প্রভুকে সন্তুষ্ট করেছে ! সত্য প্রভুর সবচাইতে বড় বিশেষত্ব তিনি দাতা, বিধাতা, বরদাতা। সদা সন্তুষ্ট থাকা বাচ্চাদের লক্ষণ – সদা দাতা সন্তুষ্ট, সেইজন্য এমন আত্মারা সবসময় তাদের নিজেদেরকে জ্ঞানের ভান্ডার, শক্তির ভান্ডার, গুণের ভান্ডার, সমুদয় ভান্ডারে পরিপূর্ণ অনুভব করবে, নিজেদেরকে কখনো ভান্ডার হ’তে খালি মনে করবে না। কোনও গুণ বা শক্তি বা জ্ঞানের গভীর মর্মার্থ থেকে বঞ্চিত হবে না। গুণ বা শক্তির পার্সেন্টেজ হতে পারে, কিন্তু কোনো গুণ বা কোনো শক্তি আত্মাতে নেই এ’রকম হতেই পারে না। সময় অনুযায়ী যেমন অনেক বাচ্চা বলে যে আমার মধ্যে অন্য সব শক্তি তো আছে কিন্তু এই শক্তি বা গুণ নেই। তাদের জন্য ‘নেই’ শব্দ নিষিদ্ধ হবে। এমন দাতার বাচ্চারা সদা ধনবান হবে অর্থাৎ ভরপুর বা সম্পন্ন হবে। অন্য মহিমা হ’ল ‘ভাগ্যবিধাতা’ হওয়ার। সুতরাং ভাগ্যবিধাতা প্রভুকে সন্তুষ্ট করার লক্ষণ হ’ল, মাস্টার ভাগ্যবিধাতা এমন বাচ্চাদের মস্তকে ভাগ্যের নক্ষত্র ঝিলমিল করতে থাকে অর্থাৎ তাদের মুখমন্ডলে ও চেহারায় সদা অধ্যাত্ম ঝলকানি প্রতীয়মান হয়। মুখাবয়ব থেকে সদা সন্তুষ্ট থাকার ফিচার্স (বৈশিষ্ট্য ) দেখা দেবে, চেহারা থেকে সদা আধ্যাত্মিক চরিত্র অনুভব হবে। একেই বলে, মস্তকে ভাগ্যের ঝলমলে নক্ষত্র। তন, মন, ধন, জন – চার বিষয়ের প্রতিটাতে তারা নিজের ভাগ্য অনুভব করবে। এ’ রকম নয় যে এর মধ্যে একটাতেও ভাগ্যের প্রাপ্তির অভাব বোধ করবে। তারা এমন বলবে না যে, আমার ভাগ্য তিন বিষয়ে তো ঠিক আছে, কিন্তু একটাতে কম আছে।
তনের ভাগ্য – তনের হিসেবনিকেশ কখনো প্রাপ্তি বা পুরুষার্থের মার্গে বিঘ্ন অনুভব হবে না, তন কখনো সেবা থেকে বঞ্চিত হতে দেবে না। কর্মভোগের সময়ও এ’ রকম ভাগ্যবান কোনো না কোনো প্রকারে সেবার নিমিত্ত হবে। কর্মভোগ চালিয়ে নেবে কিন্তু কর্মভোগের বশবর্তী হয়ে চিৎকার করবে না। চিৎকার অর্থাৎ কর্মভোগের কষ্ট বারবার বর্ণন করা বা বারবার কর্মভোগের দিকে বুদ্ধি আর সময়কে নিয়োজিত করা। ছোট বিষয়কে বড় করে বিস্তার করা – একে বলে চিৎকার করা, আর বড় বিষয়কে জ্ঞানের সারাংশে সমাপ্ত করা – তাকে বলে, চালিয়ে নেওয়া তথা এগিয়ে চলা। সুতরাং সদা এই বিষয় স্মরণে রাখ – যোগী জীবনের ক্ষেত্রে কর্মভোগ ছোট হোক বা বড় হোক, তার বর্ণন ক’র না, কর্ম ভোগের কষ্ট-কাহিনীর বিস্তার ক’র না, কারণ বর্ণন করাতে সময় আর শক্তি সেইদিকে হওয়ার জন্য তোমরা হেল্থ কন্সিয়াস হয়ে যাও, সোল কন্সিয়াস নয়। এই হেল্থ কন্সিয়াসনেস তোমাদেরকে অধ্যাত্ম শক্তি হ’তে ধীরে ধীরে নার্ভাস করে তোলে, সেইজন্য কখনও বেশি বর্ণন ক’র না। যোগী জীবন কর্মভোগকে কর্মযোগে পরিবর্তন করে। এটাই হ’ল তনের ভাগ্যের লক্ষণ।
মনের ভাগ্য – মন সদা প্রসন্ন থাকবে, কারণ প্রসন্ন থাকাই ভাগ্য-প্রাপ্তির লক্ষণ। যে পরিপূর্ণ হয় সে সদাই মন থেকে হাসতে থাকে। যে মনে ভাগ্যবান সে সদা ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা’র স্থিতিতে থাকে। ভাগ্যবিধাতা সন্তুষ্ট হওয়ার কারণে সর্বপ্রাপ্তি সম্পন্ন অনুভব করায় ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি মন মোহগ্রস্ত বা পরবশ হয় না। একেই সার রূপে বলা হয় “মন্মনাভব।” এতে মনকে বাবার সাথে যুক্ত করতে পরিশ্রম হবে না, বরং মন সহজেই বাবার ভালোবাসার দুনিয়ায় থাকবে। এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয় – এই অনুভূতিকে মনের ভাগ্য বলে।
ধনের ভাগ্য- জ্ঞান ধন তো তোমাদের আছেই, কিন্তু স্থূল ধনও গুরুত্বপূর্ণ। ধনের ভাগ্যের অর্থ এই নয় যে ব্রাহ্মণ জীবনে লাখপতি বা কোটিপতি হবে, কিন্তু ধনের ভাগ্যের লক্ষণ হ’ল সঙ্গমযুগে তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মার ভোজনপান আর আরামে থাকার জন্য যতটা আবশ্যকতা আছে, ততটা অনায়াসে তোমরা পেয়ে যাবে। আর সেইসঙ্গে সেবার জন্যও ধনের প্রয়োজন হয়, অতএব, সেবার সময়ে কখনো অভাব অনটনের অনুভব হবে না। যেভাবে হোক, যেখান থেকে হোক, ভাগ্যবিধাতা বাবা কাউকে নিমিত্ত বানিয়েই দেন। ধনের ভাগ্যবান কখনও নিজের ‘নাম’ বা ‘যশ’-এর ইচ্ছায় সেবা করবে না। যদি নাম-যশের ইচ্ছা থাকে তাহলে সেই সময় ভাগ্যবিধাতার থেকে সহযোগ লাভে বঞ্চিত হবে। আবশ্যকতা আর ইচ্ছার মধ্যে রাত-দিনের পার্থক্য। যদি প্রকৃত প্রয়োজন আর প্রকৃত মন থাকে তাহলে কোনও সেবার কার্যে, কার্য তো সফল হবেই, উপরন্তু ভান্ডার আরও পরিপূর্ণ হয়ে যাবে এবং অতিরিক্ত অবশিষ্ট থাকবে, সেইজন্য গায়ন আছে, “শিবের ভান্ডার আর ভাণ্ডারী (রান্নাঘর) সদা পরিপূর্ণ।” সুতরাং প্রকৃত হৃদয়বান এবং সত্য প্রভুর সন্তুষ্ট হওয়ার লক্ষণ হ’ল ভান্ডারও পরিপূর্ণ, ভাণ্ডারীও পরিপূর্ণ। এ’টা ধন-ভাগ্যের লক্ষণ। বিস্তার তো অনেক, কিন্তু বাবা তোমাদের সার রূপে বলছেন।
চতুর্থ বিষয় – জনের ভাগ্য – জন অর্থাৎ ব্রাহ্মণ পরিবার বা লৌকিক পরিবার, লৌকিক সম্বন্ধে আসা আত্মারা বা অলৌকিক সম্বন্ধে আসা আত্মারা। সুতরাং জন দ্বারা ভাগ্যবান হওয়ার প্রথম লক্ষণ হ’ল – ভাগ্যবান আত্মার সম্বন্ধ-জনের থেকে সদা স্নেহ আর সহযোগের প্রাপ্তি হতে থাকবে। কমপক্ষে ৯৫% আত্মাদের প্রাপ্তির অনুভব অবশ্য হবে। আগেও তোমাদের শোনানো হয়েছিল যে ৫% আত্মাদের হিসেব-নিকেশও চুকে যায়, সেইজন্য তাদের দ্বারা কখনো স্নেহ পাবে, কখনো পরীক্ষাও হবে। কিন্তু ৫% এর থেকে বেশি হওয়া উচিত নয়। এমন আত্মাদের থেকেও ধীরে ধীরে শুভ ভাবনা, শুভ কামনা দ্বারা নিরন্তর হিসেব চুকিয়ে যাও। যখন হিসেব চুকে যাবে তখন বইও নিঃশেষ হয়ে যাবে, তাই না ! তারপরে হিসেব-নিকেশ থাকবেই না। তাইতো ভাগ্যবান আত্মার লক্ষণ হ’ল সম্বন্ধ-জনের সাথে থাকা হিসেব-নিকেশ সহজভাবে নিরন্তর চুকিয়ে যাওয়া এবং ৯৫% আত্মাদের দ্বারা সদা স্নেহ আর সহযোগের অনুভূতি করা। সম্বন্ধ-জনের ভাগ্যবান আত্মারা যখন ব্যক্তি-সম্পর্কের সম্বন্ধে আসবে তখন তারা সদা প্রসন্ন থাকবে। তারা প্রশ্নচিত্ত নয়, বরং প্রসন্নচিত্ত থাকে। এ’ এ’রকম কেন করে বা কেন বলে, এই বিষয়টা এ’রকম নয়, এ’রকম হওয়া উচিত – যাদের হৃদয় অভ্যন্তরে এই প্রশ্ন উৎপন্ন হয় তাকে প্রশ্নচিত্ত বলা হয়ে থাকে আর প্রশ্নচিত্ত কখনো সদা প্রসন্ন থাকতে পারে না। তাদের মনে সদা ‘কেন’-র ক্যু থেকে যায়, সেইজন্য সেই ক্যু সমাপ্ত করতেই সময় চলে যায় আর এই ক্যু আবার এমন হয় যে তোমরা যদি ছাড়তেও চাও তবুও ছাড়তে পার না, তখন সেখানে তোমাদের সময় দিতেই হয়। কেননা, এই ক্যু-র রচয়িতা তুমি। যখন রচনা রচেছ তখন তো প্রতিপালন করতেই হবে, পালন করা এড়াতে পার না। যতই নিরুপায় হয়ে যাও না কেন, কিন্তু সময়, এনার্জি দিতেই হবে সেইজন্য এই ব্যর্থ রচনাকে কন্ট্রোল কর। এই বার্থ কন্ট্রোল কর। বুঝেছ ? এই মনোবল আছে তোমাদের ? লোকে যেমন বলে দেয়, এটা তো ঈশ্বরের দান, মোটেই আমার ত্রুটি নয় ! একইভাবে আবার ব্রাহ্মণ আত্মারা বলে – ড্রামায় লিপিভুক্ত আছে। কিন্তু তোমরা ড্রামার মাস্টার ক্রিয়েটর, মাস্টার নলেজফুল হয়ে সব কর্ম নিরন্তর শ্রেষ্ঠ বানাও। আচ্ছা !
টিচার্স শুনেছে ! সত্য প্রভু তোমাদের প্রতি কতো সন্তুষ্ট, এর তাৎপর্য তো শুনেছ, শুনেছ না ! গূঢ় মর্মার্থ শুনে সব টিচার্স রাজযুক্ত (যারা গুঢ়ার্থ বোঝে) হয়েছ নাকি তোমাদের মনে বোধ আসে যে ভাগ্যের এই বিশেষত্ব তোমার মধ্যে কম আছে ? কখনো ধনের টানাটানিতে, কখনো সম্বন্ধ-জনের মধ্যে সংগ্রাম – এমন জীবনের অনুভব কর না তো, তাই না ? তোমাদের বলা হয়েছিল বিশেষ নিমিত্ত টিচারদের জন্য একই স্লোগান, কিন্তু কার্যতঃ তা’ সকলের জন্য। সব বিষয়ে বাবার শ্রীমৎ অনুসারে “জী হুজুর-জী হুজুর” করতে থাক। বাচ্চারা বাবাকে যখন বলে “জী হুজুর”, তখন বাচ্চাদের সামনে বাবা “হুজুর হাজির”। যখন হুজুর হাজির হয়ে গেছেন তখন তো কোনো বিষয়ে অভাব থাকবে না, সদা সম্পন্ন হয়ে যাবে। দাতা আর ভাগ্যবিধাতা – উভয় প্রাপ্তিলাভের ভাগ্য-নক্ষত্র মস্তকে ঝলমল করতে থাকবে। তোমরা টিচাররা তো ড্রামা অনুসারে অনেক ভাগ্য লাভ করেছ। সারাদিন বাবা আর সেবা ব্যতীত আর কাজই বা কী ! তোমাদের কাজ-কর্ম তো এটাই। যারা প্রবৃত্তির তাদের তো কতো দায়দায়িত্ব পূরণ করতে হয়। তোমাদের তো শুধু একই কাজ, অনেক ব্যাপার থেকেই তোমরা মুক্ত (স্বতন্ত্র) বিহঙ্গ। বুঝতে পার নিজের ভাগ্যকে ? কেউ সোনার খাঁচা, হীরের খাঁচা বানিয়ে দেয় না তো ? তোমরা নিজেরাই বানাও, নিজেরাই আটকা পড়ে যাও। বাবা তো তোমাদের স্বতন্ত্র বিহঙ্গ বানিয়েছেন, উড়ন্ত বিহঙ্গ বানিয়েছেন। অনেক অনেক অনেক লাকি তোমরা। বুঝেছ ? তোমাদের প্রত্যেকের ভাগ্যের বিশেষত্ব অবশ্যই প্রাপ্ত হয়েছে। যারা প্রবৃত্তির তাদের বিশেষত্ব নিজস্ব, টিচারদের বিশেষত্ব তাদের নিজস্ব, যারা গীতা পাঠশালার তাদের বিশেষত্ব তাদের নিজস্ব, ভিন্ন ভিন্ন বিশেষত্বে সবাই বিশেষ আত্মা তোমরা। কিন্তু সেবাকেন্দ্রতে যারা থাকে সেই নিমিত্ত টিচারদের খুব ভালো চান্স আছে। আচ্ছা !
যারা, সদা সর্বপ্রকার ভাগ্য অনুভব করে, সেই অনুভাবী আত্মাদের, সদা প্রতি কদমে “জী হুজুর” ক’রে বাবার সহায়তার অধিকারী সেই শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, সদা প্রশ্নচিত্তের পরিবর্তে প্রসন্নচিত্ত থাকে – এমন প্রশংসার যোগ্য, যোগী আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল গ্রুপঃ- নিজেকে সবাই মহাবীর আর মহাবীরনী মনে কর ? মহাবীর তো বটেই, কিন্তু তোমরা সদা মহাবীর ? নাকি কখনো মহাবীর, কখনো খানিক দুর্বল হয়ে যাও ? সবসময়ের মহাবীর অর্থাৎ সদা লাইট হাউস আর মাইট হাউস। জ্ঞান হ’ল লাইট আর যোগ হ’ল মাইট। সুতরাং মহাবীর অর্থাৎ ‘জ্ঞানী আত্মা’ আর ‘যোগী আত্মা’। জ্ঞান আর যোগ – দুই শক্তির লাইট মাইট দ্বারা সম্পন্ন হওয়া – একে বলে মহাবীর। কোনও পরিস্থিতিতে জ্ঞান অর্থাৎ লাইট যেন কম না হয় আর মাইট অর্থাৎ যোগ যেন কম না হয়। যদি একটাও কম হয় তাহলে পরিস্থিতিতে সেকেন্ডে পাস হতে পারবে না, টাইম লেগে যাবে। পাস তো হয়ে যাবে কিন্তু সময়মতো যদি পাস না হও তবে সে’ পাস আর কী হ’ল ! যেমন, স্থূল পড়াশোনাতেও যদি এক সাবজেক্টেও ফেল হয়ে যাও তো আবার সেই পড়া নতুন করে এক বছর পড়তে হয়। এক বছর পর যদি পাস কর তবে সময় তো চলে গেল, তাই না ! এ’রকম, যারা জ্ঞানী ও যোগী আত্মা, লাইট আর মাইট উভয় স্বরূপ হয়নি, পরিস্থিতিতে তাদেরও পাস করতে সময় লেগে যায়। যদি সময়কালে পাস না হওয়ার সংস্কার তৈরি হয়ে যায় তাহলে ফাইনালেও সেই সংস্কার ফুল পাস হতে দেয় না। তোমরা পাস তো হয়ে যাও ঠিকই কিন্তু সময়কালে পাস হতে তোমরা অপারগ। যারা সদা সময়মতো ফুল পাস হয়, তাকে বলে পাস উইথ অনার। পাস উইথ অনার অর্থাৎ ধর্মরাজও তাকে অনার দেবেন। ধর্মরাজপুরীতেও সাজা হবে না, অনার দেওয়া হবে। গায়ন হবে যে এই আত্মা পাস উইথ অনার।
সুতরাং পাস উইথ অনার হওয়ার জন্য বিশেষ কোনো বিষয়ে, কোনও সংস্কারে, স্বভাবে, গুণে, শক্তিতে নিজের কোনরকম খামতি রেখ না। সব বিষয়ে কমপ্লিট হওয়া অর্থাৎ পাস উইথ অনার হওয়া। তো সবাই তোমরা এ’ রকম হয়েছ ? (সে’রকম হচ্ছি) এই জন্য বিনাশ আটকে আছে। তোমরা আটকে রেখেছ। বিশ্বের বিনাশ অর্থাৎ পরিবর্তনের আগে ব্রাহ্মণের দুর্বলতার বিনাশ প্রয়োজন। যদি ব্রাহ্মণদের দুর্বলতার বিনাশ না হয় তাহলে বিশ্বের বিনাশ অর্থাৎ পরিবর্তন কীভাবে হবে ! তোমরা ব্রাহ্মণরাই তো পরিবর্তনের আধারমূর্ত।
যারা পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল থেকে, আগে তাদের প্রস্তুত হওয়া উচিত। তোমরা যারা সমাপ্তি ঘটাবে তারা প্রস্তুত হওনি, সেইজন্য
আতঙ্কবাদী তৈরি হয়ে গেছে। তাহলে, সবাই কি তোমরা প্রথম নম্বর নেওয়ার নাকি যা পাওয়া যাবে তা’তেই সন্তুষ্ট থাকবে ? অনেকের থেকে তো ভালো – এ’ রকম ভাবো না তো ? ভালো তো বটেই, কিন্তু সর্বাপেক্ষা ভালো হতে হবে। কোটির মধ্যে মুষ্টিমেয় সংখ্যকের মধ্যে রয়েছ, সে’টা বড় ব্যাপার নয়, কিন্তু মুষ্টিমেয়র মধ্যেও বাছাই করা কেউ হতে হবে, অতএব, সদা এভাররেডি। অন্তে রেডি -না, এভাররেডি মানে সদা এভাররেডি থাকতে হবে। যদি বলবে সে’ রকমই হচ্ছি তো পুরুষার্থ তীব্র হবে না।
বাবার নজর প্রথমে পাঞ্জাবের উপরে পড়েছে, তাই না ! সুতরাং যখন বাবার প্রথম নজর পড়েছে তো আসতেও হবে প্রথম নম্বরে। তোমরা হ’লে ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন তো সদা মজবুত থাকে, যদি অশক্ত হয় তাহলে তো সম্পূর্ণ বিল্ডিং ভঙ্গুর হয়ে যায়। অতএব, সদা এই বরদান মনে রাখ যে সব পরিস্থিতিতে পাস উইথ অনার হতে হবে। এর বিধি হ’ল এভাররেডি থাকা। আচ্ছা।
সবচাইতে বড় জোন তো মধুবন। সব ব্রহ্মাকুমার আর ব্রাহ্মকুমারীর প্রকৃত ঘরই তো মধুবন, তাই না ! আত্মাদের ঘর পরমধাম, কিন্তু ব্রাহ্মণদের ঘর মধুবন। সুতরাং তোমরা অমৃতসর কিংবা লুধিয়ানার নও, পাঞ্জাব কিংবা হরিয়ানার নও, কিন্তু তোমাদের পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস মধুবন। বাকি সব সেবা স্থান। হতে পারে তোমরা প্রবৃত্তিতে থাক, তবুও তা’ সেবাস্থান, গৃহ নয়। তোমাদের সুইট হোম মধুবন। এ’ রকমই তো ভাবো, তাই না ? নাকি তোমাদের সেই গৃহই মনে পড়ে ? আচ্ছা !
বরদানঃ-
যারা একরকম দানা, একই নিষ্ঠা একাগ্রতা আর একরস স্থিতিতে স্থিত, একের মতে চলে, নিজেদের মধ্যে সঙ্কল্পেও একমত, তারাই মালাতে গাঁথা হয়। কিন্তু একমতের বাতাবরণ তখনই হবে যখন তোমাদের অন্তর্লীন করার শক্তি থাকবে। যদি কোনো বিষয়ে বিভিন্নতা হয়ে যায় তাহলে সেই বিভিন্নতা অন্তর্লীন করে নাও, তখন নিজেদের মধ্যেকার একতা দ্বারা তোমরা কাছে আসবে এবং অন্যান্য সকলের সামনে তোমরা দৃষ্টান্তরূপ হবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!