07 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
May 6, 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - এখন বাবার সমান দেহী-অভিমানী হও, বাবার এই আশা রাখেন যে বাচ্চারা আমার মতন হয়ে আমার সঙ্গে ঘরে ফিরবে”
প্রশ্নঃ --
তোমরা বাচ্চারা কোন্ আশ্চর্যজনক বিষয়টিকে দেখে বাবার উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের গান গাও ?
উত্তরঃ -:-
তোমরা ওয়ান্ডার দেখো যে বাবা কীভাবে নিজের কর্তব্য পালন করেন। নিজের সন্তানদের রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করে উপযুক্ত করে তোলেন । তোমরা বাচ্চারা এমন মিষ্টি বাবাকে ধন্যবাদ জানাও। বাবা বলেন এই ধন্যবাদ শব্দটি হল ভক্তিমার্গের। সন্তানদের তো অধিকার থাকে, এতে ধন্যবাদের কোনো কথা নেই। ড্রামা অনুযায়ী বাবাকে বর্সা দিতেই হবে।
গান:-
যার সাথী হল ভগবান.
ওম্ শান্তি । এই গীত হল বাচ্চাদের জন্য। যাদের সাথী হলেন সর্ব শক্তিমান পরমপিতা পরমাত্মা, তাদের মায়ার ঝড় তুফান কিইবা ক্ষতি করতে পারে। ওই ঝড় নয়, মায়ার ঝড়ে আত্মার জ্যোতি নিভে যায়। এখন জাগ্রত করার সাথী সঙ্গে আছেন তো মায়া কি করতে পারবে ? নামই রাখা হয় মহাবীর, মায়া রাবণকে পরাজিতকারী। কীভাবে বিজয়ী হতে হবে ? সে তো বাচ্চারা সামনে বসে আছে, বাপদাদা বসে আছেন। দাদু এবং বাবাকে, পিতা ও পিতামহ বলা হয়। তাই তাঁরা হয়ে গেলেন বাপদাদা। বাচ্চারা জানে যে, আত্মাদের পিতা (রূহানী পিতা) আমাদের সম্মুখে বসে আছেন। রূহানী পিতা রূহ’দের (আত্মা) সাথেই কথা বলবেন। আত্মাই নিজের অর্গ্যান্স দ্বারা কথা বলে, শোনে। বাচ্চারা তোমাদের দেহ-অভিমানী হওয়ার অভ্যাস হয়েছে। অর্ধেক কল্প তোমরা দেহ-অভিমানে থাকো। এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করেছো। শরীরের নাম থাকে, কেউ বলবে আমি পরমানন্দ, কারো নাম অন্য কিছু ….. বাবা বলেন আমি সদা দেহী-অভিমানী। আমি কখনো দেহ ধারণ করি না, আমার কখনও দেহ-অভিমান হয় না। এই দেহ হল ব্রহ্মা বাবার। আমি সদাই দেহী-অভিমানী থাকি। বাচ্চারা তোমিদেরকেও নিজ সম পরিণত করে তুলতে চাই, কারণ এখন তোমাদেরকে আমার কাছে আসতে হবে। দেহ-অভিমান ত্যাগ করতে হবে। সময় লাগে। বহু সময় ধরে দেহ-অভিমানে থাকার অভ্যাসে অভ্যাসী হয়েছো তোমরা। এখন বাবা বলেন এই দেহের বোধ ত্যাগ করো, আমরা মতন হও । কারণ তোমাদেরকে আমার গেস্ট হতে হবে। আমার কাছে ফিরে আসতে হবে। তাই বলি যে প্রথমে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এই কথা আমি আত্মাদেরকে বলি। তোমরা বাবাকে স্মরণ করো তাহলে ওই দৃষ্টি নষ্ট হয়ে যাবে। এতেই পরিশ্রম আছে । আমরা আত্মাদের সার্ভিস করি। আত্মা শুনছে অর্গ্যান্স দ্বারা, আমি আত্মা তোমাদেরকে বাবার বার্তা প্রদান করছি। আত্মা নিজেকে না মেল বলবে, না ফিমেল। মেল ফিমেল শরীরের দ্বারা নাম রাখা হয়। তিনি তো হলেন পরম আত্মা। বাবা বলেন হে আত্মারা শুনতে পাও ? আত্মা বলে হ্যাঁ শুনছি। তোমরা নিজের পিতার পরিচয় জানো, উনি হলেন সব আত্মাদের পিতা। যেমন তোমরা হলে আত্মা ঠিক তেমন ভাবে আমি তোমাদের পিতা, যাঁকে পরম পিতা পরমাত্মা বলা হয়, তাঁর নিজের শরীর নেই। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের নিজস্ব আকার আছে। আত্মাকে আত্মাই বলবে। আমার নাম হল শিব। শরীরের উপরে অনেক নাম রাখা হয়। আমি শরীর ধারণ করি না, তাই আমার শরীরের কোনো নাম নেই। তোমরা হলে শালগ্রাম। তোমরা আত্মাদের বলি হে আত্মারা শুনতে পাও ? এখন তোমাদের এইটাই প্র্যাক্টিস করতে হবে, দেহী-অভিমানী হয়ে থাকার। আত্মারা শোনে, কথা বলে এই অর্গ্যান্সের দ্বারা, বাবা বসে আত্মাদের বোঝান। আত্মা বোধহীন হয়েছে কারণ পিতাকে ভুলে গেছে। এমন নয় শিবও পরমাত্মা, কৃষ্ণও পরমাত্মা। তারা তো বলে দেয় নুড়ি পাথর সবই পরমাত্মা। সমগ্র সৃষ্টিতে উল্টো জ্ঞান ব্যাপ্তি রয়েছে । অনেকে বুঝতে পারে আমরা ভগবানের সন্তান। কিন্তু মেজরিটি বলে যে ভগবান সর্বব্যাপী । এই পাঁক থেকে সবাইকে উদ্ধার করতে হবে। সমগ্র দুনিয়াটা হল এক দিকে, পিতা হলেন অন্য দিকে। বাবার মহিমা গায়ন করা হয়েছে। অহো প্রভু তোমার লীলা… অহো আমার মত যার দ্বারা গতি অথবা সদ্গতি প্রাপ্ত হয়। সদ্গতি দাতা হলেন একমাত্র শিববাবা। মানুষ গতি সদ্গতির জন্য কতো মাথা ঠুকতে থাকে । এই একমাত্র সদ্গুরুই, যিনি মুক্তি, জীবনমুক্তি দুইই প্রদান করেন।
বাবা বলেন এই সাধু সন্ন্যাসী ইত্যাদি সকলের সদ্গতি করার জন্য আমাকেই আসতে হয়। সবার সদগতি করি একমাত্র আমি। আত্মাদের সঙ্গে কথা বলি। আমি তোমাদের পিতা অন্য কেউ এই কথা বলতে পারে না তোমরা সব আত্মারা আমার সন্তান। তারা তো বলে দেয় ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী। তাই এমন কথা আর বলতে পারে না। এই কথা তো স্বয়ং পিতা এসে বলেন যে আমি এসেছি – ভক্তদের ভক্তির ফল প্রদান করতে। গায়নও আছে – ভক্তের রক্ষাকর্তা ভগবান হলেন এক। সবাই ভক্ত অর্থাৎ নিশ্চয়ই ভগবান হলেন এক পৃথক সত্ত্বা। ভক্তই যদি ভগবান হয় তাহলে তাদের ভগবানকে স্মরণ করার দরকার নেই। নিজের নিজের ভাষায় পরমাত্মাকে কেউ এমন বলে, কেউ অমন। কিন্তু যথার্থ নাম হল শিব। কেউ কারো গ্লানি করলে বা অপমান করলে তার ওপরে কেস করা হয়। কিন্তু এ হল ড্রামা, এতে কারো কথা চলবে না। বাবা জানেন যে, তোমরা দুঃখী হয়েছো তবুও এমন হবে। গীতা শাস্ত্র ইত্যাদি যদিও অবশ্যই তৈরি হবে। কিন্তু শুধুমাত্র গীতা ইত্যাদি পাঠ করলে তো কেউ বুঝবে না। এখানে তো সমর্থ চাই। শাস্ত্র যারা শোনায় তারা কার বিষয়ে বলবে আমার সঙ্গে যোগ যুক্ত হলে বাচ্চারা, তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে, এই কথা তো বলতে পারে না। তারা তো কেবল গীতা পুস্তক পাঠ করে শোনায়।
এখন তোমরা অনুভবী হয়েছো, জানো যে আমরা ৮৪-র চক্রে কীভাবে আসি। ড্রামায় প্রত্যেকটি কথা নির্দিষ্ট সময়ে হয়। পিতা নিজের সন্তানদের সঙ্গে, আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন যে, তোমরাও এমন ভাবে কথা বলতে শেখো যে আমরা আত্মাদের সঙ্গে কথা বলি, আমাদের আত্মা এই মুখ দিয়ে কথা বলে। তোমাদের আত্মা এই কান দিয়ে শোনে। আমি বাবার বার্তা প্রদান করি, আমি আত্মা। এই কথাটি বোঝানো কত সহজ। তোমাদের আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্যটি ধারণ করে। আত্মা পুরোপুরি ৮৪ জন্ম পূর্ণ করেছে। এখন বাবা বলেন যদি পরমাত্মা সর্বব্যাপী হয় তাহলে জীব পরমাত্মা বলো তাইনা। জীব আত্মা কেন বলো ? এইভাবে আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমার ভাইরা, আত্মারা বুঝতে পারছো যে আমি পিতার বার্তা শোনাচ্ছি – ৫ হাজার বছর পূর্বের বার্তা। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো । এ হল দুঃখ ধাম। সত্যযুগ হল সুখধাম। হে আত্মারা, তোমরা সুখধামে ছিলে, তাইনা। তোমরা ৮৪-র চক্র পরিক্রমণ করেছো। সতোপ্রধান থেকে সতঃ, রজঃ, তমঃতে অবশ্যই আসতে হবে। এখন পুনরায় ফিরে চলো শ্রীকৃষ্ণপুরীতে। গিয়ে কি পদ প্রাপ্ত করতে চাও ? মহারাজা মহারানী হবে নাকি দাস দাসী ? এমন ভাবে আত্মাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। আনন্দ উৎসাহ থাকা উচিত। এমন নয় যে, আমি পরমাত্মা। পরমাত্মা তো হলেন জ্ঞানের সাগর। তিনি কখনও অজ্ঞানের সাগর হন না। জ্ঞান ও অজ্ঞানের সাগরে পরিণত হই আমরা। বাবার কাছে জ্ঞান প্রাপ্ত করে মাস্টার সাগর হই, বাস্তবে সাগর হলেন একমাত্র শিব পিতা। বাকি সবাই হল নদী (জ্ঞানের নদী)। তফাৎ আছে তাইনা। আত্মাকে তখন বোঝানো হয়, যখন আত্মা বোধহীন হয়ে যায়। স্বর্গে কাউকে বোঝানোর দরকার নেই। এখানে সবাই বোধহীন, পতিত এবং দুঃখী। গরিব মানুষ এই জ্ঞান সহজভাবে বসে শুনবে। ধনীদের তো নিজেদের নেশা থাকে। তাদের মধ্যে থেকে বিরলই কেউ জ্ঞানের পথে এগোবে। জনক রাজা সব কিছু দিয়ে দিয়েছিলেন না ? এখানে সবই জনক। জীবনমুক্তির জন্য জ্ঞান প্রাপ্ত করছে। অতএব এই কথাটি পাকা করতে হবে যে আমি আত্মা। বাবা তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ । ড্রামা অনুসারে বাবা তোমাকে বর্সা তো দিতেই হবে। আমাদেরকে তোমার সন্তান হতেই হবে। এতে ধন্যবাদের কি আছে। আমাদের তো তোমার উত্তরাধিকারী হতেই হবে, এতে ধন্যবাদ এর কি আছে । বাবা স্বয়ং এসে বুঝিয়ে যোগ্য বানান। ভক্তি মার্গে মহিমা গায়ন করে তখন ধন্যবাদ শব্দটি বেরিয়ে আসে। বাবাকে তো নিজের কর্তব্য পালন করতেই হবে। এসে পুনরায় স্বর্গে গমনের পথ বলে দেন। ড্রামা অনুসারে বাবাকে এসে রাজ যোগ শেখাতে হবে, বর্সা প্রদান করতে হবে। তারপরে যে আত্মা যতখানি পুরুষার্থ করবে, সেই অনুসারে স্বর্গে যাবে। এমন নয় যে বাবা পাঠিয়ে দেবেন। অটোমেটিক্যালি যেমন পুরুষার্থ করবে সেই অনুসারে স্বর্গে এসে যাবে। যদিও এতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার কিছু নেই। এখন আমরা আশ্চর্য হই যে, বাবা কেমন খেলা দেখাচ্ছেন। পূর্বে তো আমরা জানতাম না, এখন জানতে পারছি। তাহলে কি বাবা আমরা পুনরায় এই জ্ঞান ভুলে যাব ? বাবা বলেন – হ্যাঁ বাচ্চারা, আমার আর তোমাদের বুদ্ধি থেকে এই জ্ঞান প্রায় লুপ্ত হয়ে যাবে। তারপরে পুনরায় সঠিক সময়ে ইমার্জ হবে, যখন জ্ঞান প্রদান করার সময় আসবে। এখন তো আমরা নির্বাণধামে চলে যাব। পরে ভক্তি মার্গে আমি পার্ট প্লে করব। আত্মার মধ্যে অটোমেটিক্যালি সেই সংস্কার এসে যায়। আমি কল্পের পরেও এই শরীরে আসবো, এই কথা বুদ্ধিতে থাকে। কিন্তু তবুও তো তোমাদেরকে দেহী অভিমানী হয়ে থাকতে হবে। তা নাহলে আত্মা, দেহ অভিমানী হয়ে যায়। মুখ্য কথা তো হল এটাই । বাবাকে আর বর্সাকে স্মরণ করো। কল্প কল্প তোমরা বর্সা প্রাপ্ত করো, পুরুষার্থ অনুসারে। কতখানি সহজ করে বোঝানো হয়। যদিও এই গন্তব্যের পথে চলায় গুপ্ত পরিশ্রম আছে।
আত্মা সর্ব প্রথমে আসে তখন পুণ্য আত্মা সতোপ্রধান হয় পরে তাকে পাপ আত্মা, তমোপ্রধান অবশ্যই হতে হয়। এখন পুনরায় তোমাদেরকে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান অবশ্যই হতে হবে। বাবা এই পয়গাম (বার্তা) দিয়েছেন যে আমাকে স্মরণ করো। সম্পূর্ণ রচনার, বাবার থেকে বর্সা (স্বর্গের অধিকার) প্রাপ্ত হচ্ছে। সকলের সদগতি দাতা হলেন বাবা । সবার উপরে দয়া করেন যিনি অর্থাৎ সর্বজনের উপরে দয়া করেন । সত্য যুগে কোনো দুঃখ থাকবে না। বাকি সব আত্মারা গিয়ে শান্তিধামে থাকে। তোমরা বাচ্চারা জানো যে বর্তমান সময় হল কয়ামতের (বিনাশের) সময়। দুঃখের হিসেব নিকেশ মিটিয়ে ফেলতে হবে – যোগবলের দ্বারা। তারপরে জ্ঞান ও যোগবলের দ্বারা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য সুখের খাতাও জমা করতে হবে। যত জমা করবে ততই সুখ প্রাপ্ত হবে এবং দুঃখের খাতা শেষ হতে থাকবে। এখন আমরা কল্পের সঙ্গমে এসে দুঃখের বহিখাতা শোধ করি আর অন্য দিকে জমা করি। এ তো ব্যাপার, তাইনা। বাবা জ্ঞানের রত্ন প্রদান করে গুণবান বানিয়ে দেন। তারপরে যে আত্মা যতখানি ধারণ করতে পারে। এক-একটি রত্ন হল লক্ষ টাকার সম্পত্তি, যার দ্বারা তোমরা ভবিষ্যতে সদা সুখী থাকবে। এ হল দুঃখধাম, ওটা হল সুখধাম। সন্ন্যাসীরা এই কথা জানেনা যে, স্বর্গে সদাই সুখ আছে। একমাত্র বাবা’ই গীতার দ্বারা ভারতকে উচ্চ বানান। তারা অনেক শাস্ত্র ইত্যাদি পাঠ করে। কিন্তু দুনিয়াকে তো পুরানো হতেই হবে । দেবতারা প্রথমে নতুন সৃষ্টিতে রামরাজ্যে ছিলেন। এখন দেবতারা নেই। কোথায় গেছেন ? তাহলে ৮৪ জন্ম কারা ভোগ করেছে ? অন্য কারো ৮৪ জন্মের হিসেব বেরোবে না। ৮৪ জন্ম অবশ্যই দেবতা ধর্মের আত্মারাই নেয়। মানুষ তো ভাবে লক্ষ্মী-নারায়ণ ইত্যাদি ছিলেন ভগবান । যেদিকে দেখি কেবল তোমাকে দেখি। আচ্ছা, সর্বব্যাপীর নলেজের দ্বারা সুখী হওয়া যায় কি ? এই সর্বব্যাপীর জ্ঞান তো চলেই আসছে, তা সত্ত্বেও ভারত তো কাঙাল, নরকেই পরিণত হয়েছে। ভক্তির ফল তো দিতেই হবে ভগবানকে। সন্ন্যাসীরা নিজেরাই সাধনা করে, তারা ফল দেবে কীভাবে ? মানুষ সদগতি দাতা তো নয়। যারা যারা এই ধর্মের আত্মা হবে তারা বেরিয়ে আসবে। এই রকমই অনেকে সন্ন্যাস ধর্মে কনভার্ট হয়েছে, তারাও আসবে। এই সবই হল বোঝার মতো কথা ।
বাবা বোঝান – এই প্র্যাক্টিস রাখতে হবে যে আমি আত্মা। আত্মার আধারে শরীরটি দাঁড়িয়ে আছে। শরীর তো হল বিনাশী, আত্মা হল অবিনাশী। পার্ট পুরোপুরি এই সূক্ষ্ম আত্মায় ভরা আছে। সায়েন্সের লোকজন তা বুঝবে না। এই ইম্মর্টাল, ইম্পেরিশেবল পার্ট এই সূক্ষ্ম আত্মায় ভরা আছে। আত্মাও হল অবিনাশী, তার পার্টও হল অবিনাশী। আচ্ছা !
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) কল্পের সঙ্গমে যোগ বলের দ্বারা দুঃখের হিসেব নিকেশ মেটাতে হবে। নতুন জমা করতে হবে। জ্ঞান রত্ন গুলি ধারণ করে গুণবান হতে হবে।
২ ) আমি আত্মা, আত্মা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছি, শরীর হল বিনাশী। আমি নিজের আত্মা ভাইকে বাবার বার্তা প্রদান করছি, এমন প্র্যাক্টিস করতে হবে।
বরদানঃ-
যে যেমন ভাবের আধার নিয়ে কথা বলুক বা চলুক না কেন কিন্তু তোমরা সদা এক এর প্রতি শুভ ভাব, শ্রেষ্ঠ ভাব ধারণ করো, এতে বিজয়ী হও তবেই মালায় স্থান অর্জন করার অধিকারী হয়ে যাবে। কারণ সর্বজনের প্রিয় হওয়ার সাধনই হল সম্বন্ধ-সম্পর্কে প্রত্যেকের প্রতি শ্রেষ্ঠ ভাব ধারণ করা। এমন শ্রেষ্ঠ ভাবের আত্মারা সদা সবাইকে সুখ প্রদান করবে, সুখ প্রাপ্ত করবে। এও হল সেবা এবং শুভ ভাবনা হল মন্সা সেবার শ্রেষ্ঠ সাধন। সুতরাং এমন সেবাধারী আত্মারা বিজয় মালার দানা হয়ে যায়।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!