07 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
6 June 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা -- রাতদিন এই চিন্তনে থাকো যে, সবাইকে কিভাবে বাবার পরিচয় প্রদান করবে, ফাদার শো'জ সন (বাবা সন্তানকে দর্শায়), সন শো'জ ফাদার (সন্তান বাবাকে দর্শায়), এতেই বুদ্ধিকে নিয়োজিত করতে হবে"
প্রশ্নঃ --
সামান্য জ্ঞানও যেন ব্যর্থ না যায়, এরজন্য কোন্ বিষয়ের খেয়াল রাখা উচিত ?
উত্তরঃ -:-
জ্ঞান ধন দান করার সময় প্রথমে দেখো যে, এ আমাদের ব্রাহ্মণ কুলের কিনা ? যারা শিব বাবার বা দেবতাদের ভক্ত, চেষ্টা করে তাদের জ্ঞান ধনের দান করো । এই জ্ঞান সবাই বুঝবে না । তারাই বুঝতে পারবে যারা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণে পরিণত হবে । তোমরা চেষ্টা করে একটি কথা তো সবাইকেই শোনাও, যে সকলের সদ্গতি দাতা এক বাবা-ই, তিনি বলেন যে, তোমরা অশরীরী হয়ে আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের তরী পার হয়ে যাবে ।
গান:-
ওম্ নমঃ শিবায়..
ওম্ শান্তি । বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান – দুই বাবাই এসে গেছেন । ওই বাবাই বোঝান, কিম্বা এই বাবাই বোঝান না কেন । তাই বাবা বসে বোঝান — তোমরা যে বাবার স্মরণে শান্তিতে বসো, একেই প্রকৃত শান্তি বলা হয় । এ হলো প্রত্যক্ষ ফল প্রদানকারী প্রকৃত শান্তি, আর সে’সব হলো মিথ্যা শান্তি । ওখানে নিজের স্বধর্মকেই জানে না । স্ব অর্থাৎ আমি নিজের পরমপিতা পরমাত্মাকেই জানি না, তাহলে সেই শান্তি, শক্তি কে দেবে ? শান্তিদাতা হলেন বাবাই । যে বাবা বলেন — বাচ্চারা, তোমরা অশরীরী হয়ে নিজেকে আত্মা মনে করে বসো । তোমরা তো অবিনাশী, তাই না । তোমরা নিজের স্বধর্মে স্থির হয়ে বসো, আর কেউই এমনভাবে বসে না । বরাবর আত্মাই এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে । পরমপিতা পরমাত্মা তো একজনই, তাঁর মহিমা অনেক বড় । তিনি হলেন বাবা, তিনি সর্বব্যাপী নন । এই এক বিষয় সিদ্ধ করলে তোমাদের জিৎ হয়ে যাবে । তখন গীতার ভগবানও সিদ্ধ হয়ে যাবে । তোমরা তো অনেক পয়েন্টই পাও । শিখা ধর্মের মানুষও বলে, সদ্গুরু হলেন অকাল, তিনিই অকালমূর্তি । এমন বলাও হয়, উনি উদ্ধারকর্তা, সকলের সদ্গতিদাতা । তিনি এসে দুঃখ থেকে উদ্ধার করেন । পতিত পাবনও হলেন একমাত্র বাবা । এমন – এমন পয়েন্ট নিয়ে তোমাদের সবসময় বিচার সাগর মন্থন করা উচিত । বাবাকে ভুলে যাওয়ার কারণেই তোমাদের সকলের দুর্গতি হয়েছে । ভগবান হলেন একজন, তাই তোমরা অন্য কাউকেই ভগবান বলতে পারো না । সূক্ষ্মবতনবাসীকেও ভগবান বলতে পারবে না । উঁচুর থেকেও উঁচু হলেন এক ভগবান । এখানে তো হলো মনুষ্য সৃষ্টি, যারা পুনর্জন্মে আসে । পরমপিতা পরমাত্মা তো পুনর্জন্মে আসেন না, তাহলে কিভাবে বলতে পারো, কুকুর – বিড়াল সবার মধ্যেই পরমাত্মা আছেন । সারাদিন এই কথা বুদ্ধিতে থাকা উচিত — কীভাবে বাবার পরিচয় প্রদান করবো । এখন রাতদিন তোমরা এই চিন্তনে থাকো যে, কিভাবে সবাইকে পথ বলে দেবো ? পতিতকে পবিত্র একজনই করেন । তাহলেই গীতার ভগবান সিদ্ধ হয়ে যাবে । বাচ্চারা, তোমাদেরই জয় হবে, যখন তোমরা পরিশ্রম করবে । মহারথী, ঘোড়সওয়ার, পেয়াদা তো আছেই, তাই না ।
বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, ভারতই বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিলো । এখন তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বাবা আবার তা ফিরিয়ে দিচ্ছেন । বাবা এই ভারতেই আসেন । এই যে এতো ধর্ম আছে, এ সবই শেষ হয়ে যাবে, তারপর সত্যযুগ হবে । হায় – হায় এর পরে জয়জয়াকার হয় । মানুষ তো দুঃখের সময় ‘হায় রাম’ করে, তাই না । এমনও বলে – রাম নামের দান করো । এর উপর শ্লোক বানানো আছে । শিখদেরও অনেক নাম । তারাও বলে – অকাল সিংহাসন । বাচ্চারা, তোমাদের সিংহাসন কেমন ? তোমরা আত্মারা হলে সবাই অকালমূর্তি । তোমাদের কোনো কাল গ্রাস করতে পারে না । এই শরীর তো শেষ হয়ে যাবে । ওরা মনে করে অকাল সিংহাসন অমৃতসরে আছে কিন্তু অকাল সিংহাসন তো মহতত্ত্ব । আমরা আত্মারাও ওখানকার অধিবাসী । এমন গেয়েও থাকে — বাবা, তুমি তোমার সিংহাসন ছেড়ে নেমে এসো । সে হলো সকলের জন্য শান্তির আসন । রাজ্য সিংহাসনকে সকলের জন্য বলা হবে না । বাবার আসন, সে তো আমাদেরও আসন । ওখান থেকে আমরা ভূমিকা পালন করতে আসি, বাকি আকাশ ত্যাগ করার কোনো কথাই নেই । বাচ্চাদের এতেই বুদ্ধি নিয়োগ করতে হবে যে, বাবার পরিচয় কাকে কিভাবে দেবো ? বাবা বাচ্চাকে দর্শায় আবার বাচ্চা বাবাকে দর্শায় । আমাদের বাবা কে, তাঁর অবিনাশী সম্পদ কি, যার আমরা মালিক হবো । এ আমাদের বুদ্ধিতে আছে । মুখ্য হলোই বাবার পরিচয় । সমস্ত বিভ্রান্তিই এতে । এই সম্পূর্ণ নাটক এই এক ভুলের কারণে । এই ভুল করায় রাবণ ।
সত্যযুগে তোমরা দেহী – অভিমানী থাকো । আমরা হলাম আত্মা । বাকি এই কথা তখন বলবে না যে, আমরা পরমপিতা পরমাত্মাকে জানি । তা নয়, ওখানে তো সুখই সুখ । সবাই দুঃখের সময়ই স্মরণ করে । ভক্তি মার্গ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, জ্ঞান মার্গ শুরু হয়েছিলো, উত্তরাধিকার পেয়ে গেছি, তাহলে এখন ভগবানকে কেন স্মরণ করবো ! কল্প – কল্প এই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি । এ ড্রামা এমনই তৈরী হয়ে আছে । বাবাকে কেউই জানে না । বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের তাঁর নিজের পরিচয় দিয়েছেন । রাতদিন তোমাদের বুদ্ধিতে যেন এই কথাই চলতে থাকে । এ হলো বুদ্ধির জন্য আহার । কীভাবে আমরা বাবার পরিচয় সবাইকে দেবো । বাবার একবারই পুনরাগমন হয়, এমন গায়ন আছে । বুঝতে পারা যায়, তিনি অবশ্যই আসবেন, কলিযুগের অন্ত এবং সত্যযুগের আদির এই সঙ্গম সময়ে, পতিতকে পাবন করার জন্য । মুখ্য হলো গীতা । তোমরা গীতার দ্বারাই হীরের তুল্য হতে পারো বাকি সব শাস্ত্র হলো গীতার সন্তান – সন্ততি, তার দ্বারা কোনো উত্তরাধিকারই প্রাপ্ত হয় না । সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি হলো গীতা । শ্রীমৎ হলো বিখ্যাত । শ্রী হলো উঁচুর থেকেও উঁচু অর্থাৎ সবথেকে উঁচু । শ্রী শ্রী ১০৮ রুদ্রমালা । এ হলো শিব বাবার মালা । তোমরা জানো যে, সর্ব আত্মার বাবা হলেন ইনি । বাবা – বাবা তো সকলেই করে, তাই না কিন্তু বাবারই যে এই রচনা, তা কেউই জানতে পারে না । বাবা তোমাদের বেশী কষ্ট দেন না । কেবল বাবাকে ভুলে যাওয়ার কারণে তোমরা যে নেমে গেছো বা পতিত হয়ে গেছো, তা তোমাদের জানতে হবে । তোমরা এখন ঘোর অন্ধকার থেকে আলোর প্রকাশে এসে গেছো । তোমাদের জ্ঞানের নৃত্য করতে হবে । মীরা ভক্তির নৃত্য করেছিলো, অর্থ তো কিছুই নেই । ব্যাস ভগবান বলা হয়, এখন ব্যাস তো হলেন বাবা, যিনি গীতা শোনান । তোমরা যে কোনো স্থানেই সিদ্ধ করে বলতে পারো — বাবা একজনই, তাঁর থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা যায় । না হলে ভারতকে স্বর্গের উত্তরাধিকার কে দেবে ? স্বর্গের স্থাপনা এক বাবা ব্যতীত আর কেউই করতে পারে না । সবাইকে উদ্ধার করা এক বাবারই কাজ । পোপও বলে থাকে — একত্ব বা একতা আসুক, কিন্তু তা কীভাবে হবে ? আমরা তো সবাই একের হয়েছি, তাহলে ভাই – বোন কীভাবে হলাম একথা জানা উচিত । একতা অর্থাৎ ফাদারহুড ( পিতৃত্ব ) হয়ে গেলো, এখানে তো সবাই ভাই – ভাই, তাই না । সম্পূর্ণ দুনিয়া বলে – ও গড ফাদার, দয়া করো । তাহলে অবশ্যই দয়াহীন আচরণ করছে । একথা জানে না যে, দয়াহীন আচরণ কে করে ? দয়া তো একমাত্র বাবা করেন । দয়াহীন হলো রাবণ, যাকে মানুষ জ্বালিয়ে এসেছে, কিন্তু সে জ্বলে না বা শেষ হয় না । শত্রু যদি মারা যায়, তাহলে তো বার বার জ্বালাবেই না । কেউ তো জানেই না যে, তারা এটা কি বানায় । আগে তোমরা ঘোর অন্ধকারে ছিলে, এখন তো নেই, তাই না । তাহলে মানুষকে কীভাবে বোঝানো যায় । এক বাবাই ভারতকে সুখধামে পরিণত করেন । বাবার পরিচয়ই সবাইকে দিতে হবে । এও বোঝানো হয়, কিন্তু সবাই বুঝবে না । তারাই বুঝতে পারবে যারা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হবে । বাবা বলেন, যারা আমার ভক্ত, তোমরা চেষ্টা করে তাদের জ্ঞান দান করো । এই জ্ঞান ধন ব্যর্থ নষ্ট ক’রো না । দেবতাদের ভক্তরা অবশ্যই দেবতা কুলেরই হবে । উঁচুর থেকেও উঁচু হলেন এক বাবা, সবাই তাঁকে স্মরণ করে । ইনি তো শিব বাবা, তাই না । বাবার থেকে তো উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে হবে কেউ যদি ভালো কাজ করে যায়, তার পূজা করা হয় । কলিযুগে কেউ ভালো কাজ করতেই পারবে না, কেননা এখানে হলো আসুরী রাবণ মত । এখানে সুখ কোথায় আছে ? বাবা কতো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন, কিন্তু কারোর বুদ্ধিতে তখনই বসবে, যখন তোমরা বাবার পরিচয় দান করবে । ইনি যেমন বাবা, তেমনই টিচার এবং সদ্গুরুও । এনার কোনো বাবা বা টিচার নেই । সবার প্রথমে হলো মাতা-পিতা, তারপর টিচার, আর তারপর সদ্গতি করার জন্য সদ্গুরু । এ হলো আশ্চর্যের — অসীম জগতের বাবা একজনই, তিনি বাবা, টিচার আর সদ্গুরুও ।
তোমরা জানো যে, ওই বাবা হলেন উঁচুর থেকেও উঁচু । তিনিই ভারতকে স্বর্গের উত্তরাধিকার দেবেন । নরকের পরে হলো স্বর্গ । নরকের বিনাশের জন্য বিনাশ জ্বালা প্রজ্জ্বলিত হয়েছে । হোলিকাতে সং বানানো হয়, তখন জিজ্ঞেস করে, স্বামীজী, এর পেট থেকে কি বের হবে ? বরাবর দেখা যায় ইউরোপবাসী যাদবদের বুদ্ধি থেকে সায়েন্সের কতো আবিস্কার হয়েছে । তোমাদেরও চেষ্টা করে এই একটি বিষয়ের উপর বোঝাতে হবে । সকলের সদগতিদাতা একজনই । বাবা ভারতেই আসেন – তাই ভারত সবথেকে বড় তীর্থ হয়ে গেলো । এমন বলাও হয়ে থাকে, ভারত প্রাচীন দেশ ছিলো, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না । তোমরা এখন বুঝতে পারো — যা প্রাচীনে হয়ে গিয়েছিলো, তা আবারও হবে । তোমরা রাজযোগ শিখেছিলে, তাই আবারও শিখছো তোমাদের বুদ্ধিতে আছে – এই নলেজ বাবা কল্পে – কল্পে দেন । শিবেরও অনেক নাম রাখা হয়েছে । বাবুলনাথেরও মন্দির আছে । শিব কাঁটাকে ফুলে পরিণত করেছিলেন, তাই তাঁকে বাবুলনাথ বলা হয় । এমন অনেক নামই আছে, যার অর্থ তোমরা বুঝিয়ে বলতে পারো । তাই সবার প্রথমে বাবার পরিচয় দাও, যাঁকে সবাই ভুলে আছে । প্রথমে বাবাকে জানবে, তবেই তো বুদ্ধিযোগ লাগবে । বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । মুক্তিধাম থেকে আবার জীবনমুক্তিধামে যেতে হবে । এ হলো পতিত, জীবনবন্ধ ধাম । বাবা বলেন — বাচ্চারা, তোমরা অশরীরী হও । অশরীরী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো, এতেই তোমাদের তরী পার হয়ে যাবে । সব আত্মাদের বাবা ওই একজনই । বাবার নির্দেশ হলো — আমাকে স্মরণ করলে যোগের দ্বারা তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । অন্তিম কালে যেমন মতি তেমন গতি হয়ে যাবে । আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে, তাই যত শীঘ্র সম্ভব যাওয়া উচিত, কিন্তু শীঘ্র তো হতে পারবে না । উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে হলে তোমাদের বাবাকে স্মরণে রাখতে হবে । আমরা এক বাবার সন্তান । বাবা এখন বলছেন — ‘মনমনাভব ।’ কৃষ্ণ তো এমন বলেনই না । কৃষ্ণ কোথায় থাকেন ? এই বাবা তো হলেন পরমপিতা পরমাত্মা, তিনি প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন, তাহলে অবশ্যই এখানে হওয়া উচিত । এ হলো ব্যক্ত পতিত দুনিয়া । পতিত দুনিয়াতে পবিত্র কেউই থাকতে পারে না । কল্প বৃক্ষের চিত্রে দেখো, উপরে দাঁড়িয়ে আছেন আর এই নীচে ব্রহ্মা তপস্যায় বসে আছেন, এনার চিত্রও সূক্ষ্ম বতনে দেখানো হয় । ইনি গিয়ে ফরিস্তা হন । শ্রীকৃষ্ণ তো এই সময় কালো । প্রথম কথা যতক্ষণ না বোঝানো হবে, ততক্ষণ কিছুই বুঝবে না । এতেই পরিশ্রম লাগে । মায়া চট করে বাবার স্মরণ ভুলিয়ে দেয় । নিশ্চয়ের সাথে লিখেও থাকে যে, বরাবর আমরা নারায়ণ পদ প্রাপ্ত করবো, তবুও ভুলে যায় । মায়া বড় প্রবল । মায়ার তুফান যতই আসুক না কেন, তোমাদের নড়ে গেলে চলবে না । সে হলো পরের দিকের স্টেজ । মায়া খুব শক্তিশালী ভাবে লড়াই করবে । ছাগলের মতো (রীঢ় বখরী) যারা হবে মায়া তাদের চট করে ফেলে দেবে । তোমাদের ভয় পেলে চলবে না । বৈদ্যরাও বলে থাকে, ব্যাধি দূর হওয়ার পূর্বে প্রথমে তা আরো বেরিয়ে আসে । মায়ার তুফানও অনেক আসবে । তোমরা যখন পাকা হয়ে যাবে তখন মায়ার প্রেশার কম হয়ে যাবে । তখন বুঝতে পারবে, একে আর নাড়ানো যাবে না । বাবা এসেই পাথর বুদ্ধি থেকে পরশ পাথর বুদ্ধি তৈরী করেন । এ খুবই সুন্দর জ্ঞান । ভারতের প্রাচীন রাজযোগের মহিমা আছে । এ তোমরাই জানো । আচ্ছা ।
মিষ্টি t- মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) অশরীরী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে । স্বধর্মে স্থিত হওয়ার অভ্যাস করতে হবে । জ্ঞানের নৃত্য করতে এবং করাতে হবে ।
২ ) মায়ার তুফান দেখে নড়ে যাবে না । তোমাদের ভয় পেলে চলবে না । দৃঢ় হয়ে মায়ার এই প্রেশারকে শেষ করতে হবে ।
বরদানঃ-
যে কোনো কাজ করার সময় সদা এই স্মৃতি যেন থাকে যে, সর্বশক্তিমান বাবা আমার সাথী, আমি মাস্টার সর্বশক্তিমান, তাহলে কোনো প্রকারের ভারী ভাব থাকবে না । যখন নিজের দায়িত্ব মনে করো, তখন মাথা ভারী হয়ে যায়, তাই ব্রাহ্মণ জীবনে নিজের সব দায়িত্ব বাবাকে দিয়ে দাও, তাহলে সেবাও এক খেলাটা বলে অনুভব হবে । যতই চিন্তার কাজ হোক না কেন, মনোযোগ দেওয়ার কাজ হোক না কেন, ‘মাস্টার সর্বশক্তিমান’ বরদানের স্মৃতিতে অক্লান্ত থাকবে ।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!