07 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 6, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এখানে এসেছ নিজের সাথে সমগ্র দুনিয়ার কায়া কল্পতরু বানাতে, স্মরণেই কায়া-কল্পতরু হবে"

প্রশ্নঃ --

নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হওয়ার বিধি কী ? বাচ্চারা, এখন তোমাদের জীবন দান কীভাবে প্রাপ্ত হয় ?

উত্তরঃ -:-

নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য অবশ্যই মরতে হবে l বাবা বলেন, আমি এসেছি তোমাদের মৃত্যু দিতে l তোমাদের এই দেহের সমাপ্তি ঘটিয়ে সব আত্মাকে আমার সঙ্গে নিয়ে যাব l এটাই হল প্রকৃত জীবন দান l সেইজন্যই এই মহাভারতের লড়াই, যাতে সবার বিনাশ হবে l তারপরে আত্মারা পবিত্র হয়ে ঘরে ফিরে যাবে l তারপরে স্বর্গে যাবে l

গান:-

মাতা ও মাতা . . .

ওম্ শান্তি। মিষ্টি মিষ্টি আত্মিক বাচ্চারা গীতের লাইন শুনেছে l তোমরা জগৎ অম্বার মহিমা শুনেছ l শুধুমাত্র ভারতেই জগৎ অম্বার গায়ন হয়ে থাকে l জগৎ অম্বা আছেন তো জগৎ পিতাও অবশ্যই হবেন l সরস্বতীকেই বলা হয় জগৎ অম্বা l বাস্তবে তাঁর একটা নামই হওয়া উচিত l তোমাদেরও তো একটাই নাম, দু’ তিনটে তো নয়। এখন তারা জগৎ অম্বাকে সাকার রূপে দেখায়, শরীরধারী। জগতপিতাও আছেন, যাঁকে প্রজাপিতাও বলা হয়। যেমন সমগ্র জগতের অম্বা আছেন, ঠিক তেমনই সমগ্র জগতের পিতাও আছেন l অবশ্যই উভয়েই এখানেই হবেন। তাঁদের উভয়েরই নামও তোমাদের শোনানো হয়েছে। তাঁরা উভয়ে হলেন প্রজাপিতা আর প্রজা মাতা। এবার অন্য জগত-পিতা বলা হয় নিরাকার শিববাবাকে, যিঁনি সকলের পিতা। তাঁর নামই হল পরমপিতা পরম আত্মা শিব। শুধুমাত্র ঈশ্বর বা পরমাত্মা ব’লো না। তাঁরও তো নাম রূপ আছে, না, তাঁকে গড্ ফাদার বলা হয়ে থাকে ।

এক হলেন আত্মাদের বাবা, আরেক হলেন সাকারী মনুষ্য আত্মাদের বাবা ; মাম্মাও আছেন। শিব হলেন আত্মাদের পিতা। আত্মা বলে, উঁনি আমার বাবা। পরে এই আত্মা যখন এই সাকার শরীর পায় তো তারা বলে ব্রহ্মা বাবা, তাহলে তো দুই বাবা হয়ে গেল। এক শিববাবা আর এক প্রজাপিতা ব্রহ্মা। শিববাবার বাচ্চা হলেন ব্রহ্মা। এক নিরাকার পিতা, এক সাকার পিতা। নিরাকার পিতাকে বলা হয় পতিত-পাবন। ব্রহ্মা বা সরস্বতীকে পতিত-পাবন বলা যায় না। তাঁরা হলেন দুই, কিন্তু পতিত-পাবন হলেন এক এবং একমাত্র। সবাই ডাকে – পতিত-পাবন এসো, তো দুই বাবা হয়ে গেল। শিববাবা রচয়িতা। নতুন দুনিয়া রচনা করেন । সেইজন্য তাঁকে অবশ্যই ব্রহ্মাকে প্রথমে রচনা করতে হয়। বিষ্ণু আর শঙ্করকে কখনো প্রজাপিতা বলা হয় না। ব্রহ্মাকেই প্রজাপিতা বলা হয়। সুতরাং শিববাবা প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা তোমাদের অ্যাডপ্ট করেন। তোমরা বলো, আমরা শিববাবার বাচ্চা। শিববাবা এঁর মধ্যে প্রবেশ করে আমাদের অ্যাডপ্ট করেছেন। তিনিই আত্মাদের পবিত্র বানান, আত্মাই পতিত হয়েছে। এই কারণে পতিত শরীর প্রাপ্ত হয়। সোনার মধ্যে রুপা, তামা, লোহার খাদ মেশানো হয়, তো আত্মার মধ্যেও খাদ পড়ে। প্রকৃতপক্ষে আত্মা পবিত্র মুক্তিধামে থাকে, যেখানে শিববাবাও থাকেন। এখন শিববাবা আর প্রজাপিতা ব্রহ্মা – এককে বাবা, আর এককে দাদা বলবে। এতো তোমরা জানো যে, মনুষ্য-মাত্রই শিবের সন্তান, শিববংশী তার পরে ব্রহ্মাকুমার কুমারী। শিববাবা আর দাদা একত্রীভূত। শিববাবা এঁর মধ্যে বিরাজমান, আমাদের ব্রাহ্মণ বানিয়ে রাজযোগ শেখান, মানুষকে দেবতা বানানোর জন্য। দেবতারা থাকেন সত্যযুগে। দেবতাদের পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগর বলা হয় না। তাঁদেরকে ‘বাবা’ও বলা যায় না। এখন তোমরা বিষ্ণুপুরীর মালিক তৈরি হচ্ছ। বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ, মানুষ এটা জানে না। যারা ভক্তি করে তাদের অবশ্যই দুই বাবা। এক বাবা হয় সত্যযুগে। সেখানে এ’রকম বলে না যে হে পরমপিতা পরমাত্মা, দুখঃহর্তা সুখকর্তা এসো। ওখানে তো দেব-দেবীদের রাজ্য ছিল। তারা কখনো – হে গড্ ফাদার, লিবারেটর বলবে না। ওখানে কোনো দুঃখী বা পতিত হয়ই না যে পতিত-পাবনকে ডাকবে। তোমরা জানো ভারতে আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল। পরে আবার ১২৫০ বছর বাদে হয় রাম সীতার রাজত্ব। বাবা তোমাদের স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে বলেন – সত্যযুগ ত্রেতায় তোমরা ২১ জন্ম নিয়েছ। ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয় . . . সব ভারতেই হয়। বাবা এসে পুরানো দুনিয়াকে নতুন বানান। রিজ্যুভিনেট করেন। কায়া-কল্পতরু বানান। অমর বানান। বাবা এসে তোমরা সব বাচ্চাকে অমরলোকের মালিক বানান। যখন ভারত অমরলোক ছিল তখন দেবতাদের রাজ্য ছিল। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে এখন তোমরা মৃত্যুলোকের মালিক হয়েছ। তারা বলে “আমাদের ভারত”, তাহলে তো প্রজাও মালিক হলো, তাই না ! তোমরাও বলবে, আমাদের ভারত। আমরা ভারতের মালিক ছিলাম, কিন্তু নরকবাসী হয়েছি। দেবতারা বলবে, তারা স্বর্গবাসী। তোমরাও স্বর্গবাসী ছিলে। তারপরে ৮৪ জন্ম নিতে নিতে তোমরা নরকবাসী হয়েছ। এখানে, ভারতেই শিববাবা জন্ম নেন। শিবরাত্রি আর শিব জয়ন্তীর গায়ন আছে। কৃষ্ণ জয়ন্তীও পালন করে, তারা তো (জন্ম) কালও বলে। তারা বলে, অমুক সময়ে মাতার গর্ভ থেকে তার জন্ম হয়েছে। অবশ্যই মাতার গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে, সত্যযুগে। কৃষ্ণ জয়ন্তী হয় সত্যযুগে, নতুন দুনিয়ায়, তারপরে পুনর্জন্মে আসতে শুরু করে। বাবা শুধু একজনের সম্বন্ধে বলেন না। যা কৃষ্ণপুরী তা’ বিষ্ণুপুরী। যখন রাজারা অবতরণ করে তো পুরো ডায়ন্যাস্টি নেমে আসে। তার মধ্যে রাজা-রাণী প্রজা সব অন্তর্ভুক্ত। যখন চন্দ্রবংশী রাজত্ব হয় তখন সূর্যবংশী রাজ্য পাস্ট হয়ে গেছে, ট্র্যান্সফার হয়ে ডিন্যাস্টি (রাজবংশ) চন্দ্রবংশীদের প্রাপ্ত হয় তারপরে বৈশ্যবংশীদের।

এখন তোমরা উপলব্ধি করতে পার যে তোমরা ব্রাহ্মণ কুলের চূড়া। চূড়ার উপরে বাবা। প্রথমে আমরা ব্রাহ্মণ ছিলাম, পরে শূদ্র অর্থাৎ চরণ হয়েছি। চরণ থেকে একেবারে চূড়া হয়েছি। প্রথমে শিববাবা পরে চূড়া। বাবা আমাদের ব্রাহ্মণ বানিয়েছেন। এখন তোমরা শিববাবাকে ‘বাবা বাবা’ বলো। এই হিসেবে তোমরা নাতি-নাতনি হয়ে গেছ, তোমরা জানো যে তোমরা সবাই ব্রহ্মার সন্তান – ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী। আমরা সবাই এক বাবার বাচ্চা। ভাই-বোনে কখনো ক্রিমিনালি অ্যাসল্ট করতে পারে না। কতো রাশি রাশি বাচ্চা, সবাই বলে বাবা… সুতরাং এত সবাই কি আদৌ মিথ্যা হতে পারে ? সবার বাবা তো তিনিই, নিরাকার শিব আর সাকার প্রজাপিতা ব্রহ্মা, ব্যস্। এক বাবার বাচ্চারা হলো ভাই-বোন। তোমাদের অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। স্ত্রী-পুরুষ পবিত্র কীভাবে হবে, সেইজন্য এই যুক্তি ড্রামাতে স্থিরীকৃত হয়েছে। এখানে শুধু ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা আছে। কোনো শূদ্র কুমার-কুমারী নেই। তারা পতিত, শূদ্র, তুচ্ছ বুদ্ধি কারণ বাবাকে তারা জানে না। তারা বলে, ও গড্ ফাদার ! আচ্ছা, তাঁর অক্যুপেশন তোমরা জানো ? তাঁর নাম, রূপ, দেশ, কাল সম্বন্ধে বলো। তাঁর জীবন কাহিনী বলো। যদি তারা না জানে তো তারা নাস্তিক। তারা রচয়িতা আর রচনার আদি, মধ্য, অন্ত জানে না। সে’ দুনিয়াই হল পতিত। সত্যযুগ পাবন দুনিয়া, কলিযুগকে পতিত দুনিয়া বলা হয়। এই সময় দুনিয়া সম্পূর্ণ তমোপ্রধান, এই অবস্থাকে রৌরব নরক বলা হয়ে থাকে । এরও অনেক স্টেজ থাকে। দ্বাপর থেকে নরক তৈরি হওয়া শুরু, তারপরে বৃদ্ধি পায়। ভক্তিও প্রথমে সতঃপ্রধান অব্যভিচারী ছিল পরে সতঃ, রজঃ, তমঃ হয়। তোমরা দেখে থাকবে যেখানে তিন রাস্তা এক জায়গায় এসে মিলে যায়, যাকে তেমাথা বলে। সেখানে তেলের প্রদীপ ইত্যাদি জ্বালায়, মাথা নোয়ায়। কতো তারতম্য হয়, কোথায় শিববাবার পূজা আর কোথায় তেমাথার পূজা। একে বলে তমোপ্রধান ভক্তি। জলেরও পূজা করে, মহিমা করে পতিত-পাবনী গঙ্গা। এখন পতিত-পাবন কে ? জলের গঙ্গা কীভাবে পতিত-পাবনী হতে পারে ! সেতো শুধুই জল, তাই না ! পতিত-পাবন তো বাবা। শিব জয়ন্তীও ভারতে হয়, তাহলে তো অবশ্যই ভারতেই আসেন – পতিতদের পবিত্র দেবতা বানাতে। ব্রহ্মা তনে এসে মানুষকে দেবতা বানান। এখানে তোমরা আসোই পতিত থেকে পবিত্র হতে। যেমন তোমাদের দ্বিভুজ আছে, তেমনই তাদেরও দ্বিভুজ থাকে। ৪-৮ হাত সমেত কোনও মানুষ হয় না। এগুলো সব অলঙ্কার হিসেবে দেখিয়েছে, চতুর্ভুজ চিত্রিত করেছে প্রবৃত্তি দেখানোর জন্য। বিষ্ণুপুরী, লক্ষ্মী-নারায়ণের পুরীকে বলা হয়ে থাকে। বৈষ্ণব শব্দও বিষ্ণু থেকেই উদ্ভব হয়েছে। দেবতারা বৈষ্ণব ছিলেন। বল্লভাচারী বৈষ্ণব হয় ভেজিটেরিয়ান, তারা মোটেও নির্বিকার হয় না। তাদের বিশাল অট্টালিকা থাকে। বৈষ্ণবের অর্থই তারা বোঝে না। বিষ্ণুপুরীতে যারা থাকে তাদের বৈষ্ণব বলা হয়। পবিত্রকে বলা হয়ে থাকে বৈষ্ণব। তারা রাধা-কৃষ্ণের আলাদা মন্দির আর লক্ষ্মী-নারায়ণের আলাদা মন্দির বানিয়েছে। ভারতবাসী জানেই না যে এর মধ্যে কী ফারাক আছে। রাধা-কৃষ্ণই লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়, এ’সব কারও জানা নেই। সে’টা হলো শৈশবের রূপ। এ’টা হলো বড়বেলার (প্রাপ্তবয়স্ক) রূপ। লক্ষ্মী-নারায়ণের ছোটবেলার ছবি কিছুই নেই। লক্ষ্মী-নারায়ণকে সত্যযুগে, রাধাকৃষ্ণকে দ্বাপরে নিয়ে গেছে। এখন তোমরা রচয়িতা বাবা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জেনে গেছ। বাবা বৃক্ষের ঝাড়ের রহস্যও বুঝিয়ে দেন। ড্রামারও রহস্য বুঝিয়ে দেন। তোমরা বৃক্ষকে দেখলে বুঝবে যে শঙ্করাচার্য তো কলিযুগে আসেন, সন্ন্যাসীদের ডিন্যাস্টি সত্যযুগে তো হতেই পারে না। যদি সবাই ভগবানের বাচ্চা হয়, তাহলে তো তাদের স্বর্গবাসী হওয়া উচিত। কিন্তু স্বর্গবাসী তো সবাই হয় না, শুধু দেবতারাই হয়। এখন তোমরা ব্রাহ্মণবংশী হয়েছ, এরপরে দেবতা হবে। পবিত্র অবশ্যই হতে হবে।

তোমরা জানো, ছোট বড় সকলেই তোমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারী। উভয়েই বলে, বাবা আমরা তোমার বাচ্চা, ব্রাহ্মণ। এই হলেন বাপদাদা – আদি দেব ব্রহ্মা আর শিববাবা। তোমরা জানো, আমরা ব্রহ্মাবাবা আর শিববাবার সামনে বসে আছি। বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করো তাহলে পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যাবে। আমরা শিববাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিই। শিববাবা আমাদের বাবা, আবার পতিত-পাবনও, গুরুও। এখন এ’টা হল সঙ্গমযুগ। পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার মিলন-মেলা। পতিত-পাবন দ্বারাই পবিত্র হই। সঙ্গমে নদী আর সাগরের মিলন। নদীসমূহের তো মেলা হয় না। এখন জ্ঞান সাগর আর তোমরা সব আত্মার (বাচ্চাদের) মিলন-মেলা উদযাপিত হয়। তোমরা এসেছ জ্ঞান সাগরের কাছে। তোমরা জ্ঞান গঙ্গা সকলে জ্ঞান সাগর থেকে বের হয়েছ। তোমরা সবাইকে জ্ঞান স্নান করিয়ে তাদের পবিত্র বানাও, যোগ শেখাও। সাগরের পরিচয় দিয়ে তোমরা এখানে নিয়ে আসো, মেলাতে। এই সময় তোমরা যখন ব্রাহ্মণ হও, তোমাদের ৩ জন বাবা থাকেন। লৌকিক পিতাও থাকেন আর প্রজাপিতাও আবার শিববাবাও থাকেন। ভক্তিমার্গে দুই পিতা থাকেন। সত্যযুগে এক পিতা হবেন। এটা বোঝার বিষয়। এখন তোমার আত্মা বলে, আমার তো এক শিববাবা, দ্বিতীয় কেউ নেই। মিত্র সম্বন্ধী ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও বলে যে, আমার তো এক শিববাবা। তাঁর স্মরণেই পতিত থেকে পবিত্র হতে হবে। আত্মা জানে যে, তিনি আমার বাবাও, টিচারও, আবার সদগুরুও তিনি। আমরা সব আত্মাকে বাবা নিতে এসেছেন। ব্রহ্মা তনে প্রবেশ করে পবিত্র বানান। তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবা এসেছেন। তোমাদের সবাইকে মৃত্যু দিতে এসেছি। নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য তো অবশ্যই মরতে হবে, তাই না ! তোমাদের এই দেহের সমাপ্তি ঘটিয়ে তোমাদের নিয়ে যাব। বাবা বলেন, তোমাদের জীবনদান দিই। এ’টা মহাভারত লড়াই, না ! সবার বিনাশ হবে, তা’ নয়তো কীভাবে নিয়ে যাব ! আত্মাদের পবিত্র বানিয়ে ঘরে নিয়ে যাই। সে’টা তো শান্তিধাম। সত্যযুগ আসবে তো কলিযুগ অবশ্যই বিনাশ হবে, সে’জন্য মহাভারত লড়াই প্রসিদ্ধ। এ’টা সঙ্গমযুগেই হয়, যখন তোমরা মানুষ থেকে দেবতা হও। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর গুড মর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) জ্ঞান সাগরে জ্ঞান স্নান করে নিজেকে পবিত্র বানাতে হবে। মিত্র-সম্বন্ধীদের সাথে থেকেও বুদ্ধিতে যেন থাকে – আমার তো এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নেই।

২ ) বিষ্ণুপুরীতে যাওয়ার জন্য প্রকৃত বৈষ্ণব অর্থাৎ পবিত্র হতে হবে। নরকে জীবনে থেকে মৃতবৎ হয়ে বুদ্ধিযোগ স্বর্গের সাথে জুড়তে হবে।

বরদানঃ-

কর্ম করার সময় ধর্ম অর্থাৎ তোমাদের ধারণাও যেন সম্পূৰ্ণ হয়, তাহলে ধর্ম আর কর্ম দুইয়ের সঠিক ব্যালেন্স থাকলে প্রভাব বিস্তার লাভ করবে। এমন নয়, যখন কর্ম সমাপ্ত হবে তখন ধারণা স্মৃতিতে আসবে ! বুদ্ধিতে দুই বিষয়ের ব্যালেন্স ঠিক হলে তখন বলা হবে শ্রেষ্ঠ ও দিব্য বুদ্ধিমান। তা’ নয়তো বুদ্ধি সাধারণ, কর্মও সাধারণ, ধারণাও সাধারণ হয়। সুতরাং সাধারণ হওয়ায় সমতা আনতে হবে না, বরং শ্রেষ্ঠত্বে সমতা হোক। যেমন কর্ম শ্রেষ্ঠ তেমন ধারণাও শ্রেষ্ঠ হোক।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top