07 January 2023 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
6 January 2023
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা বাবার মাধ্যমে বাবার লীলা অর্থাৎ অনন্ত এই ড্রামার আদি মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান পেয়েছো। তোমরা জানো যে এখন এই নাটক সম্পূর্ণ হয়েছে, আমরা সকলে ঘরে ফিরে চলেছি"
প্রশ্নঃ --
নিজেকে বাবার কাছে রেজিস্টার করাতে হলে কোন্ বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে?
উত্তরঃ -:-
বাবার কাছে রেজিস্টার হওয়ার জন্য ১ – বাবার কাছে সম্পূর্ণ সমর্পণ করতে হবে। ২ – নিজের সর্বস্ব ভারতকে স্বর্গ করে গড়ে তোলার সেবায় সফল করতে হবে। ৩ – সম্পূর্ণ নির্বিকারী হওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে এবং তারপর তা হয়েও দেখাতে হবে । এমন বাচ্চাদের নাম সর্বশক্তিমান সরকারের রেজিস্টারে নিয়তই এসে যাবে। তাদের এই নেশা থাকে যে তারা ভারতকে স্বর্গ অর্থাৎ রাজস্থান করে তুলছে। আমরা ভারতের সেবার জন্য বাবার কাছে সম্পূর্ণ সমর্পণ করে দিই।
গান:-
ওম্ নমঃ শিবায়.
ওম্ শান্তি । যাঁর মহিমা কীর্তনে এই গান রচনা হয়েছে, তিনিই বসে নিজের রচনার মহিমা শোনাচ্ছেন। একেই লীলা বলা হয়ে থাকে। লীলা বলা হয় নাটককে আর মহিমা হয় গুণবান ব্যক্তির । সুতরাং তাঁর মহিমা সবথেকে ভিন্ন। মানুষ তো তা জানেই না। বাচ্চারা জানে যে সেই পরমপিতা পরমাত্মারই এত মহিমা গায়ন রয়েছে। তাঁরই শিব জয়ন্তী আসতে চলেছে। শিব জয়ন্তীর জন্য এই গীত অতি সুন্দর। বাচ্চারা তোমরা তাঁর লীলা এবং তাঁর মহিমা দুইই জানো, এ তো তাঁরই লীলা। একে আবার নাটকও( ড্রামা ) বলা হয়। বাবা বলেন – দেবতাদের থেকেও আমার এই লীলা ভিন্ন। প্রত্যেকের লীলা পৃথক পৃথক হয়ে থাকে । ঠিক যেমনভাবে গভর্মেন্টে প্রেসিডেন্টের পদমর্যাদা এবং মন্ত্রীর পদমর্যাদা পৃথক পৃথক হয়। যদি পরমাত্মা সর্বব্যাপী হতেন, তবে তো সকলেরই অ্যাক্ট (ভূমিকা) একই হয়ে যেত। তাকে সর্বব্যাপী বলার জন্যই ক্ষুধার্ত হয়েছে । কোনো মানুষ না বাবাকে জানে, আর না বাবার অসীম অনন্ত মহিমাকে জানে। যতদিন পর্যন্ত তারা বাবা কি জানবে না ততদিন পর্যন্ত তারা তাঁর রচনাকেও জানতে পারবে না। বাচ্চারা এখন তোমরা সেই রচনা কেউ জেনেছো। ব্রহ্মাণ্ড, সূক্ষ্মলোক এবং মনুষ্যসৃষ্টির এই চক্র বুদ্ধিতে আবর্তিত হতে থাকে। এ হলো লীলা অর্থাৎ রচনার আদি মধ্য এবং অন্তিমের জ্ঞান। এই সময় জগতের মানুষ নাস্তিক হয়ে আছে। তারা কিছুই জানেনা অথচ আষাঢ়ে গল্প বলে দিতে থাকে। সাধু ব্যক্তিরাও সভা কনফারেন্স ইত্যাদি করতে থাকেন, বেচারারা এটাও জানে না যে এখন এই অনন্তের নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এখন যখন নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে তখন তারা তার কিছু ইঙ্গিত পায়। এখন সকলেই বলে যে রাম রাজত্ব চাই। খ্রীস্টানদের রাজত্বের সময় কেউ এমন বলত না যে নতুন ভারত চাই। এখন সমগ্র দুনিয়া দুঃখময়। তাই সকলেই আর্তনাদ করছে যে, হে প্রভু দুঃখ থেকে মুক্ত করো। কলিযুগের অন্তিমকাল অবশ্যই অত্যধিক দুঃখময় হয়ে উঠবে। দিন দিন দুঃখের বৃদ্ধি হতেই থাকবে। ওরা ভাবে যে সকলেই নিজ নিজ রাজ্যে রাজত্ব করতে থাকবে। কিন্তু এই মহাবিনাশ যে অবশ্যম্ভাবী, তা কেউ জানে না।
বাচ্চারা তোমরা অত্যন্ত আনন্দে থাকবে। তোমরা যে কাউকে এটা বলতে পারো যে, অসীম অনন্তের পিতা এই স্বর্গের রচয়িতা, সুতরাং তাঁর বাচ্চাদেরও স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত হওয়া উচিত। বিশেষতঃ ভারতবাসী এই কারণেই তাঁকে স্মরণ করে। তারা ভক্তি করে তাই ভগবানের সাথে সাক্ষাৎ করতে চায়, শ্রীকৃষ্ণপুরীকে স্বর্গ বলে মনে করে তাই তারা শ্রীকৃষ্ণপুরীতে যেতে চায়। কিন্তু তারা জানেনা যে সত্য যুগেই শ্রীকৃষ্ণের রাজত্ব ছিল। পুনরায় এই কলিযুগ সম্পূর্ণ হতে চলেছে, এরপর যখন সত্যযুগ আসবে তখন আবার শ্রীকৃষ্ণের রাজত্ব শুরু হবে। সকলেই জানেন যে সকলে শিব পরমাত্মার সন্তান। সুতরাং পরমাত্মা যখন নতুন সৃষ্টির রচনা করবেন, তা অবশ্যই ব্রহ্মা বাবার মুখ দ্বারা রচনা করবেন। ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী অবশ্যই ব্রাহ্মণ কুলভূষণ হবে এবং তা হবে এই সঙ্গমযুগে। সঙ্গম যুগ হলো কল্যাণকারী যুগ, কারণ এই সময়ে পরমাত্মা এসে রাজযোগ শিখিয়েছেন। এখন আমরা সকলে হলাম ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ। এখন তোমরা বলবে যে – পরমাত্মা ব্রহ্মাবাবার শরীরে প্রবেশ করে আমাদেরকে রাজযোগ শেখাচ্ছেন – এটা আমরা কি করে মেনে নেব? যখন তোমরা ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী হয়ে রাজযোগ শিখবে, তখন আপনা থেকেই তোমাদের এই অনুভব হয়ে যাবে। এখানে কোনো নকল অথবা অন্ধ শ্রদ্ধার কোনো বিষয় নেই। সমগ্র জগতে অন্ধ শ্রদ্ধা রয়েছে, বিশেষতঃ ভারতে মূর্তি পূজা বহুল প্রচলিত। ভারতকে মূর্তির আলয় বলা হয়। ব্রহ্মাকে চতুর্ভুজ দেখানো হয়। তা কি করে সম্ভব? তবে হ্যাঁ, ব্রহ্মার অনেক সন্তান আছে। বিষ্ণুর যখন চতুর্ভুজ দেখানো হয়, তার মধ্যে ২ ভুজ লক্ষ্মীর আর ২ ভুজ নারায়ণের। ঠিক সেইভাবে ব্রহ্মারও অনেক সন্তান। ভেবে দেখো যদি ৪ কোটি সন্তান হয়, তাহলে ব্রহ্মার ৮ কোটি ভুজ হবে। কিন্তু তা হয় না। অনেক প্রজা হবে । এও ড্রামাতে নির্দিষ্ট হয়ে আছে। বাবা এসে সমস্ত বিষয় বুঝিয়ে দেন। তারা তো বুঝতে পারে না যে শেষে কি হবে, তাই নানান রকমের কত পরিকল্পনা করতে থাকে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের জন্য বাবার শুধু একটাই পরিকল্পনা আছে। আর এখন এই রাজধানীও স্থাপন হচ্ছে। যে যত পরিশ্রম করে নিজের মত অন্যদেরকে তৈরি করতে পারবে সে ততই উচ্চ পদ লাভ করবে। বাবাকে জ্ঞানে পরিপূর্ণ, আনন্দে পরিপূর্ণ, করুণাময় বলা হয় । বাবা বলেন যে – এই ড্রামাতে আমারও পার্ট আছে, এখন মায়া সকলের প্রতি অত্যাচার করছে, আমি এসে তাদেরকে দয়া করি, বাচ্চারা তোমাদেরকে আমি রাজযোগও শেখাই, সৃষ্টি চক্রের এই রহস্য আমি তোমাদের বুঝিয়ে দিই । যে জ্ঞানে পরিপূর্ণ তাকে জ্ঞানের সাগর বলা হয়। বাচ্চারা, তোমরা তা জানো আর অন্যদেরকে তা বোঝাতেও পারো। এখানে অন্ধশ্রদ্ধার কোনো ব্যাপারই নেই। আমরা নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মাকে মানি। সবার প্রথমে তাঁর মহিমা কীর্তন করা উচিত, তিনি এসে রাজযোগের দ্বারা স্বর্গের রচনা করেন। অতঃপর স্বর্গবাসীদের মহিমা কীর্তন করা উচিত। ভারত ছিল স্বর্গ তাই সকলেই সর্বগুণ সম্পন্ন ১৬ কলা সম্পূর্ণ ছিল । এ হলো ৫ হাজার বছরের কথা। পরমাত্মার মহিমা সবার থেকে পৃথক, তার পরেই আসে দেবতাদের মহিমা। এতে অন্ধশ্রদ্ধার কোনো ব্যাপার নেই। এখানে তো সকলেই বাবার সন্তান। কেউ ফলোয়ার্স (অনুসরণকারী) নয়, এতো তাঁরই পরিবার, আমরা সকলে ঈশ্বরের পরিবারের অন্তর্গত। প্রকৃতপক্ষে সকল আত্মারাই পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান সুতরাং এতো এক বৃহৎ পরিবার। তিনি নিরাকার কিন্তু সাকারে আসেন। এখন এ হলো এক অসাধারণ পরিবার, এতে সন্দেহের কোনো ব্যাপার নেই । সকলেই শিবের সন্তান, প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তানের কথাও পুরাণে উল্লেখিত আছে। আমরা সকলে ব্রহ্মাকুমার ব্রহ্মাকুমারী, এখন এক নতুন সৃষ্টি স্থাপিত হচ্ছে, পুরাতন সৃষ্টি আমাদের সামনেই রয়েছে। প্রথমে তো বাবার পরিচয় দিতে হবে, ব্রহ্মা বংশী না হলে, শিব বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারবে না। ব্রহ্মার কাছে এই জ্ঞান নেই। জ্ঞানের সাগর হলেন শিববাবা, তার কাছ থেকেই আমরা উত্তরাধিকার পেয়ে থাকি, আমরা হলাম মুখ বংশাবলী, সকলেই এখন রাজযোগ শিখছে। আমাদের সবাইকে যিনি পড়াচ্ছেন তিনি হলেন শিব বাবা, তিনি এই ব্রহ্মার দেহে প্রবেশ করে আমাদেরকে পড়ান। যে প্রজাপিতা ব্রহ্মা ব্যক্তরূপে ছিলেন, তিনি যখন সম্পূর্ণ হয়ে যান তখন তিনি ফরিস্তা হয়ে যান । সূক্ষ্মবতনে কোনো হাড়-মাংসের ব্যাপার নেই, সূক্ষ্মবতনবাসীদেরকে ফরিস্তা বলা হয়ে থাকে । কিছু বাচ্চারা তা সাক্ষাৎকার করেছে । বাবা বলেন ভক্তি মার্গে স্বল্পকালের সুখও তোমরা আমার দ্বারাই পেয়ে থাকো। আমিই একমাত্র দাতা, তাই ওরা ঈশ্বর অর্পণ করে থাকে। ওরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর তার ফল প্রদান করেন, সাধুসন্তদের কেউ নাম নেয় না কারণ তারা জানে যে দেবেন তো একমাত্র বাবা’ই। তিনি অন্য কাউকে সেই কাজের নিমিত্ত করতে পারেন তার মহিমা বৃদ্ধি করানোর জন্য। কিন্তু সে সবই হল স্বল্পকালের সুখ। কিন্তু এ হল অনন্ত সুখ। যখন নতুন নতুন বাচ্চারা আসে তখন তারা ভাবে – যে পথে তারা এতদিন ছিল, সেই মতাদর্শীদের এখন আমরা এই জ্ঞান বোঝাবো । এখন তো সকলেই মায়ার দেখানো মত অনুযায়ী চলছে। এখানে তোমরা ঈশ্বরীয় মতাদর্শ প্রাপ্ত করো। অর্ধেক কল্প ধরে এই মতই চলে, কারণ সত্যযুগ এবং ত্রেতাযুগে আমরা এই ঈশ্বরীয় মতে চলার প্রালব্ধ ভোগ করি। যেহেতু ওখানে মায়া থাকে না তাই সেখানে কোনো উল্টোপাল্টা মতও থাকে না। তার পরবর্তীকালে উল্টো মত এর যাত্রা শুরু হয়। এখন বাবা আমাদেরকে তাঁর সমান তাঁর মতো করে ত্রিকালদর্শী ত্রিলোকীনাথ বানিয়ে তুলছেন। প্রথমে আমরা ব্রহ্মাণ্ডের মালিক হই, তারপর সৃষ্টির মালিকও আমরাই হই । বাবা তাঁর বাচ্চাদের মহিমা, নিজের থেকেও অনেক উঁচুতে দেখিয়েছেন। সমগ্র সৃষ্টিতে এমন বাবা কেউ কখনো দেখেনি, যিনি বাচ্চাদের প্রতি এত যত্ন এত পরিশ্রম করেন আর তারপর তাদেরকে নিজের থেকেও এত মহান করে গড়ে তোলেন! তিনি বলেন – বাচ্চারা, এই সমগ্র বিশ্বের রাজত্ব আমি ভোগ করবো না, এ আমি তোমাদেরকেই দিলাম। এছাড়া দিব্যদৃষ্টির চাবি আমি নিজের হাতেই রাখছি। ভক্তি মার্গেও এটি আমার কাজে আসে। এখনো আমি তোমাদেরকে ব্রহ্মার সাক্ষাৎকার করিয়ে থাকি, যাতে তোমরা এই ব্রহ্মার কাছে এসে রাজযোগ শিখে ভবিষ্যতের রাজকুমার হতে পারো। এই সাক্ষাৎকার বহু জনই করেছে। প্রিন্সদের সকলেরই রাজমুকুট থাকে। তাই বাচ্চারা এটা বুঝতে পারে না যে সূর্যবংশী রাজকুমার নাকি চন্দ্রবংশী রাজকুমারের সাক্ষাৎকার হলো। যে বাচ্চারা বাবার হয়ে গিয়েছে, তারা তো রাজকুমার রাজকুমারী অবশ্যই হবে – কেউ আগে আর কেউ পরে। যদি ভালোভাবে পুরুষার্থ করে, তাহলে সে সূর্যবংশী রাজকুমার হবে, নাহলে চন্দ্রবংশী রাজকুমার হবে। সুতরাং শুধু রাজকুমারকে দেখে আনন্দিত হয়ে যেও না। এ সবই পুরুষার্থের উপরে নির্ভর করছে। বাবা সমস্ত বিষয়টাই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন, এতে অন্ধ শ্রদ্ধার কোনো ব্যাপার নেই । এ হল ঈশ্বরীয় পরিবার। এই হিসেব অনুযায়ী তো ওরাও ঈশ্বরীয় সন্তান কিন্তু ওরা কলিযুগে বাস করছে আর তোমরা সঙ্গম যুগে রয়েছো। যে কারোর কাছেই যাওনা কেন তাকে বলো যে – আমরা হলাম শিববংশী। ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণেরাই স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারে। কাউকে আবার ভালো করে বোঝানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। ৫০ – ১০০ জনকে বোঝানো হলে তাদের মধ্যে হয়তো একজন আসবে । যাদের ভাগ্যে রয়েছে তারাই কোটি কোটি মানুষের মধ্য থেকেও বেরিয়ে আসবে। নিজের মতো কাউকে বানাতে টাইম লাগে। কিন্তু ধনী ব্যক্তির আওয়াজ অনেককে প্রভাবিত করে। যখন তোমরা কোনো মিনিস্টারের কাছে যাও তখন প্রথমেই তারা জিজ্ঞাসা করে – আপনাদের কাছে কি অন্য মন্ত্রীরা আসেন? যখন তোমরা জানাবে যে হ্যাঁ অন্য মন্ত্রীরাও আসেন তবে এরা বলবে যে, ঠিক আছে তবে আমরাও যাব ।
বাবা বলেন যে, আমি অতি সাধারণ তাই ধনী ব্যক্তিরা খুব কমই আসেন। তারা আসবে অবশ্যই কিন্তু অন্তিম সময়ে। বাচ্চারা তোমাদের খুব নেশায় থাকতে হবে। ওদেরকে বোঝাতে হবে যে, আমরা তো তন-মন-ধন দ্বারা ভারতের সেবা করছি । তোমরা এই ভারতের সেবা করার জন্যই তো সমর্পিত (বলি চড়েছো) হয়েছো, তাই না। এমন ফেল্যানথ্রফিস্ট (পরোপকারী) আর কেউ হয় না। ওরা টাকা পয়সা সম্বল করে ঘরবাড়ি ইত্যাদি তৈরি করতে থাকে, অন্তিমে এই সমস্ত কিছু ধূলায় মিশে যাবে। তোমাদেরকে তোমাদের সর্বস্ব বাবার কাছে সমর্পণ করতে হবে। ভারতকে স্বর্গ করে গড়ে তোলার এই সেবাতে সবকিছু স্বাহা করতে হবে। তাই উত্তরাধিকার তোমরাই পাবে। তোমরা এই নেশায় মগ্ন হয়ে আছো যে আমরা সেই এক সর্বশক্তিমান এর সন্তান। আমরা সবাই তাঁর কাছে রেজিস্টার হয়ে গিয়েছি। বাবার কাছে রেজিস্টার হতে অনেক পরিশ্রম প্রয়োজন। যখন সম্পূর্ণ নির্বিকারী হওয়ার প্রতিজ্ঞা করবে আর তা হয়েও দেখাবে তবেই বাবা তাকে রেজিস্টার করেন। বাচ্চাদের এই নেশা থাকতে হবে যে আমরা ভারতকে স্বর্গ বানাচ্ছি অর্থাৎ রাজস্থান গড়ে তুলছি আর তারপর তাতেই রাজত্ব করবো। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপ-দাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) আমরা সবাই ঈশ্বরীয় পরিবারের ঈশ্বরীয় সন্তান। এই আত্মিক নেশায় থাকতে হবে যে আমরা এখন ঈশ্বরীয় মত প্রাপ্ত করছি, উল্টো মতে কখনো চলো না।
২ ) ভারতের সেবা করার জন্য ব্রহ্মাবাবার মতো তোমাদেরকেও সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করতে হবে। ভারতকে স্বর্গ করে গড়ে তোলার জন্য তোমাদের তন-মন-ধন কাজে লাগিয়ে তা সফল করে তুলতে হবে। সম্পূর্ণ দানী হতে হবে।
বরদানঃ-
পদ্মফুল যেমন পাঁকে থেকেও তার থেকে পৃথক হয়ে থাকে, আর যতটা পৃথক হয়ে থাকে ততই সকলের প্রিয় হয়ে থাকে। ঠিক তেমনভাবে বাচ্চারা তোমরাও এই দুঃখের সংসার থেকে পৃথক হয়ে বাবার প্রিয় হয়ে গেছো, এই পরমাত্ম ভালবাসা তোমাদের ছত্রছায়া হয়ে গেছে। আর যার উপরে পরমাত্ম ভালোবাসার ছত্রছায়া রয়েছে, তার কি কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারে! সেই কারণেই এই নেশায় থাকো যে, আমরা পরমাত্ম ছত্রছায়ার নিচে রয়েছি, দুঃখের কোনো ঢেউ আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!