07 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
6 January 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - সর্বশক্তিমান বাবার স্মরণে থেকে আত্মাতে লেগে থাকা বিকারের জং'কে নামানোর পুরুষার্থ করো”
প্রশ্নঃ --
বাবার থেকে বুদ্ধির যোগ ভেঙে যাওয়ার মুখ্য কারণ এবং জোড়ার সহজ পুরুষার্থ কি ?
উত্তরঃ -:-
দেহ অভিমানে আসার কারণে বুদ্ধির যোগ ভেঙে যায়, বাবার নির্দেশকে ভোলার কারণে, নোংরা দৃষ্টি রাখার কারণে, এইজন্য বাবা বলেন বাচ্চারা, যতটা সম্ভব আজ্ঞাকারী হও। দেহী-অভিমানী হওয়ার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করো। অবিনাশী সার্জেনের স্মরণে থেকে আত্মাকে শুদ্ধ বানাও।
গান:-
আগত কালের তোমরাই হলে চিত্র…
ওম্ শান্তি । শিব ভগবানুবাচ। বাচ্চারা এই গান শুনেছে। বাচ্চারা বুঝেছে যে আমাদের সামনে এখন বাবা বসে আছেন, যাঁকে পতিত-পাবন বলা হয়। পরম পিতা পরমাত্মাকে অবশ্যই পতিত-পাবন বলা হবে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে পতিত-পাবন বলা হয় না। তিনি তো হলেন জ্ঞানের সাগর। বাচ্চারা জানে যে আমরা আত্মারা পরম পিতা পরমাত্মার থেকে জ্ঞান শুনছি। তোমরা এখন আত্ম অভিমানী হয়েছ। দুনিয়াতে সবাই হলো দেহ অভিমানী। আত্ম-অভিমানীরা শ্রেষ্ঠাচারী হয়। তাদেরকে পরমাত্মাই বসে আত্ম অভিমানী তৈরি করেন। বাবা বোঝাচ্ছেন যে আত্মাই পাপাত্মা, পুণ্যাত্মা হয়ে থাকে। পাপ জীব বা পূণ্য জীব বলা হয় না। আত্মার মধ্যেই সংস্কার থাকে। শরীর তো সময় প্রতি সময় বিনাশ হয়ে যায়। বাচ্চারা তোমরা জানো যে শিব বাবাকে অবিনাশী সার্জেনও বলা হয়। আত্মা হল অবিনাশী, বাবাও হলেন অবিনাশী। আত্মার তো কখনো বিনাশ হয় না। তবে হ্যাঁ আত্মার উপর শয়তানের জং লেগে যায়। নোংরার থেকেও নোংরা প্রথম নম্বরের জং লেগে যায় কাম বিকারের, তারপর আসে ক্রোধের জং। আত্মাদের বাবা বসে বোঝাচ্ছেন যে, এটা পাক্কা নিশ্চয় হওয়া উচিত যে পরমপিতা পরমাত্মা এই সাধারন ব্রহ্মা শরীরে প্রবেশ করেন। তিনি হলেন এই রথের রথী। ঘোড়াগাড়ির রথ নয়। পরম পিতা পরমাত্মা বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন যে হে আত্মা তোমাদের উপর ৫ বিকারের জং লেগে আছে। ৫ বিকারকে রাবণ বলা যায়। রাবণের জং লেগে যাওয়ার কারণেই তোমরা সকলে বিকারী আর দুঃখী হয়ে গেছো। এখন আমি এসে তোমাদের জং ছাড়াই। এই জং’কে নামানোর জন্য সার্জেন আমি একাই আছি। মনুষ্য আত্মার দ্বিতীয় কোনো সার্জেন হতে পারেনা। মানুষ কখনো আত্মার জং ছাড়াতে পারে না। এই জং’কে ছাড়ানোর জন্য সর্বশক্তিমান পরমাত্মার প্রয়োজনীয়তা আছে। তিনি বলেন যে, হে জীব আত্মারা, হে আমার বাচ্চারা, আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের আত্মাতে লেগে থাকা জং ছেড়ে যাবে। স্মরণ না করলে জং ছাড়বে না। ধারণা না হলে তো উচ্চপদও প্রাপ্ত হবে না। জং লেগে থাকলে তাকে পতিত বলা হয়। যখন আত্মা পতিত হয়ে যায় তখন তার শরীরও পতিত প্রাপ্ত হয়। সতোপ্রধান আত্মার শরীরও সতোপ্রধান প্রাপ্ত হয়। জং লাগতে থাকে ধীরে ধীরে, যেরকম আটার মধ্যে নুনের পরিমাণ, পুনরায় দ্বাপড় থেকে অনেক জং লেগে যায়। আত্মার কলাগুলি ধীরে ধীরে কম হতে থাকে। ১৬ থেকে ১৪ কলা হতে ১২৫০ বছর লেগে যায়। তোমাদের এটা স্মরণে রাখতে হবে যে আমরা হলাম বি.কে., রামের সন্তান। আর তারা সকলে হলো রাবণের সন্তান কেননা তাদের বিষের দ্বারা জন্ম হয়। সত্যযুগে বিষ হয়ই না। এই সময়ে যদিও কেউ যতই আশীর্বাদ দেওয়ার থাকুক না কেন তাদের উপরেও অবশ্যই কেউ আশীর্বাদ দাতা আছেন। যেরকম পোপের জন্য বলা হয় যে তিনি সবাইকে আশীর্বাদ দেন কিন্তু তারও সেই পরমপিতা পরমাত্মার আশীর্বাদ চাই, যিনি হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতর। তোমাদের আশীর্বাদ তখন প্রাপ্ত হয় যখন তোমরা শ্রীমতের আধারে চলতে থাকো। যে আজ্ঞাকারী হয় না তাকে আশীর্বাদ কীভাবে দেবেন। বাবা বলেন যে দেহী অভিমানী হও। দেহের অভিমান আছে মানে বাবার নির্দেশ অমান্য করে আর পদ ভ্রষ্ট হয়ে যায়। এখন বাবা এসেছেন, তোমরা ভারতকে শ্রেষ্ঠাচারী বানানোর সেবা করছো, তোমাদের জন্য তিন পা পৃথিবীও সহজে প্রাপ্ত হয় না। এখন আমি তোমাদের জন্য সমগ্র সৃষ্টিকেই নতুন বানিয়ে দিচ্ছি। প্রদর্শনীতে তোমরা বড় বড়কে বোঝাতে পারো যে আমরা এই শ্রেষ্ঠ সেবায় রত আছি, ভারতকে শ্রেষ্ঠাচারী বানাচ্ছি, কীভাবে ? সেটা এখানে এসে বুঝুন। আমরা আপনাকে বলতে পারব। প্রদর্শনী দেখিয়ে বোঝাতে হবে যে শ্রীমৎ হলোই এক পরমাত্মার, তিনি সর্বদাই একরস, পবিত্র থাকেন, তিনিই হলেন অভোক্তা, অচিন্তক, জ্ঞানের সাগর। তিনিই স্বর্গের স্থাপনা করছেন। তাঁর শ্রীমতের আধারেই আমরা ভারতের সেবা করছি। গায়নও আছে যে পান্ডবদের তিন পা পৃথিবীও প্রাপ্ত হয়নি। এসব বোঝানোর জন্য অত্যন্ত বিশাল বুদ্ধি চাই। সেটা তখনই হবে যখন যোগ সম্পূর্ণভাবে হবে। দেহ অভিমানের জংও তখনই ছেড়ে যাবে। বাবা রায় দিচ্ছেন যে অমুক-অমুককে বোঝাও যে আমরা সবাই এই প্রতিজ্ঞা করেছি। আমাদের কাছে তো ফটোও আছে। এই ফটো সমস্ত হেড অফিস আর দিল্লি তথা সেন্টারেও হওয়া উচিত। এক্ষেত্রেও বিশাল বুদ্ধি চাই। এই ফটোগুলির তিন-চার কপি হওয়া চাই। কিন্তু মায়া যেকোন সময় যে কোন বাচ্চাদের উপর জয় করতে পারে। তারপর আশ্চর্যবৎ পরম পিতা পরমাত্মার হবে, বিশ্বের রাজ্য নেবে, তথাপি ভাগন্তী হয়ে যায়।
এখন অসীম জগতের বাবা বলছেন যে আমি সমগ্র সৃষ্টিকে পরিবর্তন করছি পুনরায় তোমাদেরকে ফার্স্ট ক্লাস সৃষ্টি বানিয়ে দেবো। যেখানে বসে তোমরা রাজ্য করবে আর অন্যান্য সকলের বিনাশ হয়ে যাবে। বাচ্চাদেরকে দেহী-অভিমানী অবশ্যই হতে হবে। পবিত্র হওয়ার তো সকলেরই অধিকার আছে, যখন বাবা এসে গেছেন এবং বলছেন যে আমার সাথে যোগ লাগাও, জ্ঞান অমৃত পান করো তাহলে তোমরা শ্রেষ্ঠাচারী হয়ে যাবে। সন্ন্যাসীরাও বিকারকে ঘৃণা করে, পবিত্র থাকা তো ভালো তাই না। দেবতারাও পবিত্র ছিলেন। পতিত থেকে পবিত্র বাবা-ই এসে তৈরি করেন। সেখানে সবাই নির্বিকারী থাকেন। সেটা হলই নির্বিকারী দুনিয়া। ভারত নির্বিকারী ছিল, তখন সোনার পাখিও ছিল। এরকম কে বানিয়েছেন ? অবশ্যই বাবা-ই তৈরী করবেন। আত্মাই অপবিত্র, রোগী হয়। এখন আত্মাদের সার্জেন তো হলেন পরমাত্মা। মানুষ তো হতে পারে না। বাবা বলছেন যে আমি নিজে হলাম পতিত-পাবন। আমাকেই সবাই স্মরণ করতে থাকে। পবিত্র থাকা তো ভালো তাই না। সাধু-সন্ত ইত্যাদি সবাই আমাকেই স্মরণ করে আসছে। জন্ম-জন্মান্তর ধরে স্মরণ করতে থাকে যে পতিত-পাবন এসো। তো ভগবান হলেন এক; এইরকম নয় যে ভক্তরাই ভগবান। ভগবানকে কেউ জানেনা। কল্প পূর্বেও আমি তোমাদের এই রকম ভাবে বুঝিয়েছিলাম। ভগবানুবাচ – আমি তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাই। ব্রহ্মার শরীরে আসি, যিনি পূজ্য ছিলেন এখন পূজারী হয়েছেন। যিনি পাবন রাজা ছিলেন, এখন পতিত ভিখারী হয়ে গেছেন। তোমরা এখন নিশ্চিত হয়ে গেছো যে আমরা হলাম প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান বি.কে। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ রচনা করেন। ব্রাহ্মণদেরই দান দেওয়া যায়। কিসের দান দিই ? সমগ্র বিশ্বের। যারা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়ে আমার সেবা করতে থাকে, যাদেরকে সম্মুখে বসে বোঝাই – তোমাদের কখনো নোংরা দৃষ্টি থাকা উচিত নয়। প্রদর্শনীতে বোঝানোর জন্য অনেক সাহস চাই। পতিত-পাবন হলেন এক বাবা-ই। তোমরা তাঁকে স্মরণ করতে থাকো। এঁনারা হলেন জ্ঞান সাগর থেকে নির্গত হওয়া জ্ঞান গঙ্গা, এঁনাদেরকেই শিবশক্তি বলা হয়। শিব বাবার সাথে যোগ লাগানো ফলে শক্তি প্রাপ্ত হয়। ৫ বিকারের জং ছেড়ে যায়। চুম্বক সূচকে তখনই আকর্ষণ করে যখন সূচ পবিত্র অর্থাৎ পরিষ্কার থাকে। তোমাদের আত্মাদের উপর মায়ার জং লেগে আছে। এখন আমার সাথে যোগ লাগালেই জং ছেড়ে যাবে। এখন এই হল রাবণ রাজ্য, সকলেরই বুদ্ধি তমোপ্রধান হয়ে গেছে। তখন পরমাত্মা বলেছেন আমি এসে অজামিলের মত পাপী, গণিকা, সাধু ইত্যাদিরকেও উদ্ধার করি। সবাইকে শ্রেষ্ঠাচারী বানান এক বাবা-ই। পতিত-পাবন বাবা-ই এসে এই মাতাদের দ্বারা ভারতকে পবিত্র বানাচ্ছেন, এইজন্য মাতারা আহ্বান করে যে পতিত হওয়ার থেকে বাঁচাও। পুরুষ পবিত্র থাকতে দেয় না। তোমাদেরকে সরকারকে বলতে হবে যে এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করুন কিন্তু স্ত্রীকেও পাক্কা মজবুত হতে হবে। এরকম না হয়ে পুনরায় পতিকে, বাচ্চাকে স্মরণ করতে থাকবে, তাহলে তো আরোই অধোগতি হয়ে যাবে। বাবা সবরকমের কথাই বোঝাতে থাকেন। কিভাবে যুক্তি রচনা করবে। এখন বাচ্চাদের সুখের দিন আসতে চলেছে। আমি তোমাদেরকে গোল্ডেন এজেড্ দুনিয়া বানিয়ে দিই, যাকে স্বর্গ বলা হয়। এখন শ্রীমৎ বলে যে এক বাবার সাথে যোগ লাগাও তাহলে তোমাদের জং নেমে যাবে। না হলে তো এত বড় পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। আর না ধারণা হবে। কোনরূপ বিকর্ম করা যাবে না। দেহ-অভিমানে আসার কারণে বুদ্ধির যোগ ভেঙে যায়। এই ব্রহ্মাও ওই বাবাকে স্মরণ করতে থাকে। পরমপিতা পরমাত্মা এই ব্রহ্মার শরীরে বসে এঁনাকে বলছেন যে, হে ব্রহ্মার আত্মা, হে রাধের আত্মা, আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের জং ছেড়ে যাবে। স্মরণ তখনই সম্ভব যখন নিজেকে আত্মা মনে করবে আর শ্রীমতের আধারে সম্পূর্ণরূপে চলতে পারবে। লোভও কম নয়। কোনো ভালো জিনিস দেখলে তো মন চাইবে খাওয়ার জন্য, একেই বলা হয় লোভ।
বাবা বলছেন, মায়া ইঁদুরের মতো ফু্ঁ-ও দেয়, কাটতেও থাকে। শাস্ত্রতেও এই রকম অনেক কল্পিত কাহিনী লেখা আছে। সন্ন্যাসীরা আবার বলে যে এই চিত্রগুলি তোমাদের কল্পনাপ্রসূত। বাবা প্রত্যেক কথা বাচ্চাদেরকে বোঝাতে থাকেন। এরকম মনে করো না যে আমি যা কিছুই করি না কেন, বাবা কিছু জানতে পারবেন না। বাবা জানেন যে এই দুনিয়াতে অনেক নোংরা আছে। অবলাদের উপর অত্যাচার তো হবেই। নিজেদেরকে যুক্তি দিয়ে বাঁচাতে হবে। না হলে তো পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। বোঝা যায় যে ড্রামা অনুসারে এই সবকিছু হওয়ারই ছিল। আমি তো বোঝাতে থাকি, তথাপি কেউ যদি না বোঝে তাহলে কেউ দাস-দাসী হবে তো কেউ প্রজা হবে। ড্রামার ভবিতব্য তৈরি হয়েই আছে। কি আর করা যেতে পারে! গরীব, ধনী, প্রজা অবশ্যই তৈরী হবে। বাবা আসেন-ই ভারতে, এটা হল অপবিত্র স্থান। বাবা এসে সমগ্র দুনিয়াকে পবিত্র স্থান তৈরি করেন। ভারতেরই সমস্ত মাখন প্রাপ্ত হয়। কাহিনী কতই সহজ কিন্তু জ্ঞান যোগে থাকার জন্য অনেক সাহস চাই। শ্রীমতে না চললে তো পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। বাবা ডাইরেকশন দেন, এইরকম এইরকম ভাবে বোঝাও। বোঝানোর জন্য অনেক সেয়ানা হতে হবে। বাবার প্রতি অনেক ভালোবাসা থাকে। কত ভালোবাসার সাথে বাচ্চারা লেখে যে আমরা শিব বাবার রথের জন্য সোয়েটার পাঠাচ্ছি। শিব বাবা আমাদের অসীমের বাবা, আমাদেরকে স্বর্গের মালিক তৈরি করছেন। বুদ্ধিতে সেই বাবার স্মরণ আসে। শিব বাবার রথকে আমরা টোলি পাঠাচ্ছি। শিববাবার রথকে আমরা শৃঙ্গার করছি। যেরকম হুসেনের ঘোড়াকে শৃঙ্গার করে। ইনি হলেন সত্যিকারের ঘোড়া। পতিত-পাবন বাবা-ই পাবন বানাতে আসেন। ইনিও নিজের শৃঙ্গার করছেন। বাবাকেও স্মরণ করছেন আর নিজের পদকেও স্মরণ করছেন। এই দুজন পাক্কা আছে – জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বরী পুনরায় রাজ-রাজেশ্বরী তৈরি হন, তাই অবশ্যই তাঁর বাচ্চারাও থাকবে। বরাবর মালিক তৈরি হয় নম্বরের ক্রমে পুরুষার্থ অনুসারে। রাজযোগের দ্বারা রাজ-রাজেশ্বরী তৈরি হয়, পুনরায় যে যতটা সেবা করবে, বাবা তো সবাইকেই যুক্তি বলতে থাকেন। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) বাবার আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য আজ্ঞাকারী হতে হবে। দেহী-অভিমানী হওয়ার নির্দেশ পালন করতে হবে।
২ ) মায়া হল ইঁদুর, এর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। লোভ করবে না। শ্রীমৎ এর আধারে সম্পূর্ণ রূপে চলতে হবে।
বরদানঃ-
জ্ঞানী-যোগী আত্মা তো হয়েছো এখন জ্ঞান, যোগের শক্তিকে প্রয়োগে আনয়নকারী প্রয়োগী আত্মা হও। যেরকম সায়েন্সের সাধনের প্রয়োগ লাইটের দ্বারা হয়। এইরকম সাইলেন্সের শক্তির আধারও হল লাইট। অবিনাশী পরমাত্মার লাইট, আত্মিক লাইট আর সাথে সাথে প্র্যাকটিক্যাল স্থিতিও লাইট। তো যখন কিছু প্রয়োগ করতে চাইছো তখন চেক করো লাইট আছো নাকি নেই ? যদি স্থিতি আর স্বরূপ ডবল লাইট থাকে তাহলে প্রয়োগের সফলতা সহজ হবে।
স্লোগানঃ-
লাভলীন স্থিতির অনুভব করুন –
ত্যাগী আর তপস্বী আত্মারা সর্বদা বাবার লগণে মগন থাকে। তারা প্রেমের সাগর, জ্ঞান, আনন্দ, সুখ, শান্তির সাগরে সমাহিত হয়ে থাকে। এইরকম সমাহিত হয়ে থাকা বাচ্চারাই হলো সত্যিকারের তপস্বী। তাদের থেকে প্রত্যেক কথার ত্যাগ স্বততঃই হয়ে যায়।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!