07 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

December 6, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - হৃদয়বান বাবা এসেছেন তোমাদের মতো বাচ্চাদের হৃদয় হরণ করতে, তাই স্বচ্ছ হৃদয়ের হও"

প্রশ্নঃ --

সত্যযুগী পদ মূখ্য কোন্ বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?

উত্তরঃ -:-

পবিত্রতার উপর । মুখ্য হলোই এই পবিত্রতা । সেন্টারে যারা আসে তাদের বোঝাতে হবে, পবিত্র যদি না হও, তাহলে বুদ্ধিতে এই জ্ঞান টিকতে পারবে না । যোগ শিখতে – শিখতে যদি পতিত হয়ে যাও, তাহলে সবকিছুই মাটিতে মিশে যাবে । কেউ যদি পবিত্র থাকতে না পারে, তাতে যদি ক্লাসে নাও আসে, পরোয়া করো না । যে যত পড়বে, পবিত্র হবে, ততই ধনবান হবে ।

গান:-

অবশেষে সেই দিন আজ এসে গেলো..

ওম্ শান্তি । আত্মা রূপী বাচ্চারা জানে যে, এখন আবারও সেই দিন এসেছে । কোন্ দিন ? এ তো কেবল তোমরা বাচ্চারাই জানো যে, ভারতে আবার স্বর্গের আদি সনাতন দেবী – দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে, অর্থাৎ লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজত্ব স্থাপন হচ্ছে । বাচ্চাদের তাই কতো খুশী হওয়া উচিত । যে পতিত পাবন বাবাকে আমরা ডাকি, তিনি এখন এসেছেন । তিনিই উদ্ধারকর্তা, গাইড, বা তিনিই দুঃখহর্তা, সুখকর্তা । একবার উদ্ধার করেছেন, আবার কিভাবে আটকে গেলে ! এ কেউই জানে না । এমন পাথর বুদ্ধির মানুষদের বোঝানোর জন্য কতো পরিশ্রম করতে হয় । ডিউটিও দেখো কেমন রাখা হয়েছে ? পূঁতিগন্ধময় বস্ত্রকে এসে পরিস্কার করো । আত্মা আর শরীর দুইই পবিত্র তো কেবল দেবতাদেরই হয় । রাবণ রাজ্যে তো কারোর শরীরই পবিত্র হতে পারে না । শরীর তো পতিতই । অসীম জগতের বাবা পতিত পাবন এসে বলেন, এই পাঁচ বিকার হলো শয়তান, একে ত্যাগ করো । আমার কথা যদি না শোনো তাহলে তোমাদের ধর্মরাজ কষ্ট দেবে । তোমরা যদি এই সর্বময় কর্তার নির্দেশ পালন না করো, তাহলে ধর্মরাজ তোমাদের কঠিন সাজা দেবে । বাবা তোমাদের পবিত্র বানাতে এসেছেন । তোমরা জানো যে, আমরাই সেই পবিত্র দেবী – দেবতা ছিলাম, এখন আমরা পতিত হয়ে গেছি । তাই এখন চট করে তা ত্যাগ করা উচিত । দেহ বোধও হলো শয়তানের মত, এও ত্যাগ করতে হবে । এক নম্বর যে বিকার, তাকেও ত্যাগ করতে হবে সেইদিনও আসবে, যেইদিন বাবার সঙ্গে কোনো পতিত এই সভায় বসতে পারবে না, কাউকেই তিনি অনুমতি দেবেন না । আবর্জনা যুক্ত কাপড়কে বাইরে দূর করো । ইন্দ্রসভাতে আসতে দেবেন না । যে কেউ যেমনই কোটিপতি হোক না কেন, বা অন্যকিছুই হোক না কেন, সভাতে আসতে পারবে না । বাইরে তাদের যদিও বোঝানো হয় কিন্তু বাবার সভাতে আসার অনুমতি দেওয়া হয় না । এখন তাদের অনুমতি দেওয়া হয় প্রলুব্ধ করার জন্য, কিন্তু পরে আর নয় । এখনও যদি বাবা শোনে যে, কোনো পতিত এসে বসেছে, তাহলে বাবার ভালো লাগে না । এমন অনেকে আছে যারা লুকিয়ে এসে বসে । এমন যারা আসে তাদের অনেক সাজা ভোগ করতে হবে । মন্দিরে, ধর্মস্থানে মানুষ স্নান করে যায় । স্নান না করে কেউই যায় না । সে হলো স্থূল স্নান । এ হলো জ্ঞান স্নান । এতেও তোমাদের শুদ্ধ হতে হবে । কোনো আমিষ ব্যক্তিও এখানে আসতে পারবে না । সময় যখন হবে তখন বাবা আরো কঠোর হয়ে যাবেন । দুনিয়াতে দেখো, ভক্তির করো জোর । যারা অধিক শাস্ত্র পাঠ করে তারা শাস্ত্রীর উপাধি ধারণ করে । তোমরা এখন সংস্কৃত ইত্যাদি শিখে কি করবে ? বাবা তো এখন বলেন, তোমরা সবকিছু ভুলে যাও । কেবল বাবাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা পবিত্র হয়ে বিষ্ণুপুরীর মালিক হয়ে যাবে । যখন এই বিষয়কে খুব ভালোভাবে বুঝে যাবে তখন এইসব শাস্ত্র ইত্যাদি সব ভুলে যাবে । এই যে সব পড়া পড়ে ব্যারিস্টার ইত্যাদি হয়, সেইসব কিছুর থেকে উচ্চ পড়া হলো এটাই, যা নলেজফুল পরমাত্মা এসে পড়ান । তাঁকে বলাই হয়, হে পতিত পাবন এসো কিন্তু একথা জানে না যে, আমরা পতিত । বাবা তো একথা বোঝাতে থাকেন – সত্যযুগকে বলা হয় রামরাজ্য, কলিযুগকে বলা হয় রাবণ রাজ্য । এই সময় সবাই হলো পতিত, পবিত্র দেবী – দেবতাদের তো মন্দিরে পুজো হয়, আর তাঁদের সামনে পতিত গিয়ে মাথা নত করে । এতে সিদ্ধ হয় যে, তাঁরা পবিত্রতাতে সবথেকে উচ্চ । সন্ন্যাসীদের থেকেও উচ্চ । সন্ন্যাসীদের তো মন্দির তৈরী হয়ই না । এখন যখন মানুষ তমোপ্রধান ভক্তিতে চলে গিয়েছে তখন তাদের চিত্র রেখে পুজো করে । একে বলা হয় তমোপ্রধান ভক্তি । মনুষ্যের পূজা, পাঁচ তত্বের পূজা । ভক্তি যখন সতোপ্রধান ছিলো, তখন একের পূজা হতো । তাকে বলা হতো অব্যভিচারী ভক্তি । দেবতাদেরও এমন তিনিই বানিয়েছেন । তাই পূজাও একেরই হওয়া উচিত, কিন্তু এই নাটকও বানানো আছে । সতোপ্রধান, সতঃ, রজঃ, তমঃ-তে আসতেই হবে । এখানেও এমনই । কেউ সতোপ্রধান হয়, কেউ সতো, কেউ রজঃ, কেউ আবার তমঃ ।

সত্যযুগে এক নম্বর স্বচ্ছতা থাকে । ওখানে শরীরের কোনো মূল্য থাকে না । আগুনে রাখলো আর শেষ । এমন নয় যে, অস্থি কোনো নদীতে বিসর্জন দেবে । এমনও নয় যে, শরীরকে কোথাও উঠিয়ে নিয়ে যাবে । ওখানে এমন কষ্টের কোনো বিষয় থাকে না । আগুনে দিলো আর শেষ । এখানে এই শরীরের জন্য কতো মানুষ কাঁদতে থাকে । মনে করতে থাকে । ব্রাহ্মণদের ভোজন করায় । ওখানে এমন কোনো বিষয় হবে না । বুদ্ধির দ্বারা এসব বুঝতে হয় । ওখানে কি কি হবে । স্বর্গের পরে কি ! এখানে এ তো হলো নরক, মিথ্যা খণ্ড । তাই তো গাওয়া হয়েছে —মিথ্যা কায়া, মিথ্যা মায়া… গভর্নমেন্ট বলে, গোরুর উপর অত্যাচার বন্ধ করো । তাদের লেখা উচিত – প্রথমে এই অত্যাচার হলো অনেক বড় । একে অপরের উপর কাম কাটারি চালানো, এই অত্যাচার বন্ধ করো । এই কাম হলো মহাশত্রু । এ আদি – মধ্য – অন্ত দুঃখ দেয়, একে জয় করো । তোমরা পবিত্র হলে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে । ওখানে হলো দেবতাদের নতুন দুনিয়া । তিনি বলেন — বাচ্চাদের নতুন দুনিয়া, কিন্তু এখানে নতুন দুনিয়া কোথা থেকে আসবে ? এখানে হলো পুরানো দুনিয়া । সত্যযুগে যখন নতুন শরীর পাবে তখন নতুন দুনিয়াও পাবে । এখানে শরীরও পুরানো আর দুনিয়াও পুরানো । এখন একে ত্যাগ করতে হবে আর তোমাদের পবিত্র হতে হবে । সে তো বাবা ছাড়া কেউই করতে পারবে না । সকলের ধর্ম আলাদা – আলাদা । আর প্রত্যেককেই নিজেদের ধর্মের শাস্ত্র পড়তে হবে । সংস্কৃততে মূখ্য হলো গীতা । বাবা বলেন, আমি তো সংস্কৃত শেখাই-ই না । যে ভাষা এই ব্রহ্মা জানেন, আমি তাতেই বোঝাবো । আমি যদি সংস্কৃতে বোঝাই তাহলে বাচ্চারা কীভাবে বুঝবে । এ কোনো দেবতাদের ভাষা নয় । কখনো – কখনো বাচ্চারা এসে ওখানকার ভাষা বলে । এই ভাষা শিখলে শরীর নির্বাহের কারণে কেউ লাখ, কেউ কোটি উপার্জন করে । এখানে তোমরা কতো উপার্জন করছো । তোমরা জানো যে, সত্যযুগে আমরা মহারাজা – মহারানী হবো । তোমরা যত বেশী পড়বে, তত বেশী ধনবান হবে । গরীব আর বিত্তবানের মধ্যে তফাৎ তো থাকে, তাই না । সবকিছুই পবিত্রতার উপর নির্ভর করে । সেন্টারে যারা আসে তাদের বোঝাতে হবে যে, যদি পবিত্র না হও তাহলে এই জ্ঞান বুদ্ধিতে টিকতে পারবে না । পাঁচ – সাতদিন এসে আবার যদি পতিত হয়ে যায়, তাহলে জ্ঞান শেষ । যোগ শিখতে – শিখতে আবার যদি পতিত হয়ে যায়, তাহলে সবকিছুই মাটিতে মিশে যাবে । যদি কেউ পবিত্র হতে না পারো, তাহলে এসো না । এ বিষয়ে কোনো পরোয়া করা উচিত নয় । জন্ম – জন্মান্তরের পাপের বোঝা মাথার উপর আছে । তাহলে স্মরণ না করলে কিভাবে তা দূর হবে ! গায়নও আছে – সেকেণ্ডে জীবনমুক্তি । বাবা যা বলবেন, তাই করতে হবে । সারা দুনিয়া তো ডাকেই – হে পতিত পাবন, এসো, আমরা পতিত মনে করে, কিন্তু পবিত্র কেউই হতে পারে না । তাই কেউ ফিরেও যেতে পারবে না ওরা তো ব্রহ্মকে পরমাত্মা জ্ঞান করে স্মরণ করে । এই জ্ঞানই কেউ জানে না, তাহলে পরমাত্মাকে কিভাবে জানবে ? ব্রহ্ম কোনো পরমাত্মা নয়, না ব্রহ্মতে কেউ লীন হতে পারে । তাও পুনর্জন্মতে তো সবাইকে আসতেই হবে, কেননা আত্মা হলো অবিনাশী । ওরা মনে করে, বুদ্ধ ফিরে চলে গেছেন, কিন্তু তিনি যে স্থাপনা করেছেন, তার পালনা তো অবশ্যই করবেন । না হলে পালনা কে করবে । তিনি ফিরে কিভাবে যেতে পারেন ? তোমরা তো এমন বলতেই পারো না যে, আমরা মুক্তিধামে গিয়ে বসে যাবো । তোমরা জানো যে, আমরা নিজের ধর্মের স্থাপনা করছি, এরপর পালনাও করবো । সে ছিলো পবিত্র ধর্ম, এখন তা পতিত হয়ে গেছে । তারাই এখানে আসবে, যারা এই ধর্মের হবে । এই কলমের চারা এখন লাগছে । সবথেকে মিষ্টি থেকেও মিষ্টি বৃক্ষ হলো এই দেবী – দেবতা ধর্মের । এখন এর স্থাপনার কার্য হচ্ছে । শাস্ত্র আদি যা কিছুই বানানো আছে, সবই ভক্তিমার্গের জন্য । এক বাবারই মহিমা আছে যে, তিনি এসেই মনুষ্য থেকে দেবতা তৈরী করেন । তাই এমন যিনি তৈরী করেন সেই বাবাকে কতো ভালোভাবে স্মরণ করা উচিত । তোমরা এও জানো যে, ড্রামা অনুসারে ভক্তিমার্গকেও চলতেই হবে । বাস্তবে সর্বের সদ্গতিদাতা হলো একজন, তাই সেই একজনেরই পূজা করা উচিত । দেবী – দেবতা, যাঁরা সতোপ্রধান ছিলেন, তাঁরা ৮৪ জন্ম ভোগ করে তমোপ্রধান হয়েছেন । এখন আবার তাঁদের সতোপ্রধান হতে হবে । তাই একমাত্র বাবার স্মরণ ব্যতীত হতে পারবে না । না বাবা ছাড়া কারোর মধ্যে বানানোর শক্তি আছে । স্মরণও ওই একজনকেই করতে হবে । এ হলো অব্যভিচারী স্মরণ । অনেককে স্মরণ করা — সে হলো ব্যভিচারীভাব । সকলের আত্মা জানে যে, শিব হলেন আমাদের বাবা, তাই তাই সবদিকে, যেদিকেই দেখো, শিবকে পুজো করে । দেবী – দেবতাদের সামনেও শিবকেই রাখা হয়েছে । বাস্তবে তো দেবতারা পুজো করেনই না । এমন গায়নও আছে যে – দুঃখে সবাই স্মরণ করে, সুখে কেউ করে না । তাহলে দেবতারা কিভাবে পুজো করবেন ! এ হলো ভুল । মিথ্যা মহিমা তো করাই উচিত নয় । শিববাবাকে কোথায় জানে যে, তাঁর মহিমা করবে ? তাই এই চিত্র উঠিয়ে দেওয়া উচিত । বাকি, যারা পুজো করে তাদের সিঙ্গেল মুকুট দেখানো উচিত সাধুসন্ত কারোরই লাইটের মুকুট নেই, তাই ব্রাহ্মণদেরও লাইটের মুকুট দেখানো যাবে না । যাদের জ্ঞানের প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকবেতারা নিজেদের সংশোধনও করতে থাকবে । কেউই তো এখনো নির্ভুল তৈরী হয় নি । ভুল তো হতেই থাকে । ত্রিমূর্তির চিত্র কতো সুন্দর । ইনি হলেন বাবা, আর ইনি দাদা । বাবা বলেন — তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তাহলে এমন হয়ে যাবে । তোমাদের দেহী – অভিমানী হতে হবে । আত্মা বলে, একমাত্র বাবা ছাড়া আমার আর কারোর প্রতি মমত্ব নেই । আমরা এখানে থেকেও শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করি । এখন আমাদের দুঃখধামকে ত্যাগ করতে হবে, কিন্তু যতক্ষণ না আমাদের নতুন ঘর তৈরী হয়, ততক্ষণ পুরানো ঘরেই থাকতে হবে । নতুন ঘরে যাওয়ার উপযুক্ত হতে হবে । আত্মা পবিত্র হয়ে গেলে তখন ঘরে চলে যাবে । এ কতো সহজ । মূল বিষয় হলো এই কথা বোঝার যে, পরমাত্মা কে, আর এই দাদা কে ? বাবা এনার দ্বারা উত্তরাধিকার প্রদান করেন । বাবা বলেন – বাচ্চারা, মন্মনাভব । আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা সত্যযুগে পবিত্র দেবতা হয়ে যাবে । বাকি সবাই সেইসময় মুক্তিধামে থাকে । সমস্ত আত্মাদের শান্তিধামে একমাত্র বাবাই নিয়ে যান । এ কতো সহজ । বাচ্চাদের খুবই খুশী হওয়া উচিত । হৃদয় খুবই স্বচ্ছ হওয়া উচিত । বলা হয় — হৃদয় স্বচ্ছ তো উদ্দেশ্য সিদ্ধি । হৃদয় আত্মার মধ্যে থাকে । প্রকৃত হৃদয়বান হলেন আত্মাদের বাবা । হৃদয় হরণকারী হৃদয়বান বাবাকেই বলা হয় । তিনি আসেনই সকলের হৃদয় হরণ করার জন্য । সঙ্গম যুগে এসে তিনি সকলের হৃদয় হরণ করেন । আত্মাদের হৃদয় হরণকারী পরমাত্মা । মনুষ্যের হৃদয় হরণকারী হলো মনুষ্য । রাবণ রাজ্যে সবাই একে অপরের হৃদয়কে খারাপ করে ।

বাচ্চারা, তোমরা পূর্ব কল্পেও এই ত্রিমূর্তির চিত্রের উপর বুঝিয়েছিলে, তাই তো এখনো সেই চিত্র তৈরী হয়েছে, তাই না । তাই অবশ্যই আবারও বোঝাতে হবে । এখন বোঝানোর জন্য কতো চিত্র বের হয়েছে । সিঁড়ির চিত্র কতো সুন্দর । তবুও মানুষ বুঝতে পারে না । আরে ভারতবাসী, তোমরাই ৮৪ জন্মেগ্রহণ করেছিলে । এখন এ হলো তোমাদের অন্তিম জন্ম । আমি তো শুভ কথাই বলি । তোমরা এমন কেন বলো যে, আমরা ৮৪ জন্মগ্রহণ করিনি । তাহলে তোমরা তো স্বর্গে আসবে না । আবারও নরকে আসবে । তোমরা স্বর্গে আসতেই চাও না । ভারতই আবার স্বর্গ হবে । এ তো বোঝার মতো হিসাব । মহারথীরা খুব ভালোভাবে বোঝাতে পারে । তোমাদের সেবার জন্য উৎসাহ- উল্লাস থাকা উচিত । আমরা গিয়ে কাউকে দান করবো । ধন না থাকলে দান করার খেয়ালও আসবেই না । প্রথমে জিজ্ঞেস করা উচিত যে, তোমরা আশা করে এসেছো তো ? এখানে দর্শনের কোনো কথা নেই । অসীম জগতের বাবার থেকে অসীম জগতের সুখ নিতে হবে । তোমাদের তো দুইজন বাবা । অসীম জগতের বাবাকে সবাই স্মরণ করে । অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার কিভাবে পাওয়া যায়, তা এসে বোঝো । এও যারা বুঝেছে তারাই বুঝবে । যারা রাজত্ব নেবে তারাই চট করে বুঝে যাবে । এ তো বাবাই বলেন, তোমরা ঘরে বসে, কাজকর্ম করেও কেবল বাবাকেই স্মরণ করো, তাহলে এই স্মরণ করলেই পাপ দূর হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ – সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কখনোই কেউ কারো ভাবনাতে আঘাত দেবে না । সেবা করার উৎসাহ রাখতে হবে। জ্ঞান ধন থাকলে অবশ্যই তা দান করতে হবে ।

২ ) নতুন গৃহে যাওয়ার জন্য নিজেকে উপযুক্ত করতে হবে । আত্মাকে স্মরণের শক্তিতে পবিত্র বানাতে হবে ।

বরদানঃ-

যে অলংকারী, সে কখনোই দেহ – অহংকারী হয় না । নিরাকারী আর অলংকারী থাকা – এটাই হলো মন্মনাভব, মধ্যাজী ভব । এমন স্থিতিতে যখন সদা স্থির থাকবে, তখন সর্ব পরিস্থিতিকে সহজেই পার করতে পারবে, এতে অনেক পুরানো স্বভাব সমাপ্ত হয়ে যায় । স্ব – তে আত্মা ভাব দেখলে ভাব – স্বভাবের কথা সমাপ্ত হয়ে যায় আর যে কোনো পরিস্থিতিকে সম্মুখীন করার সর্ব শক্তি নিজের মধ্যে এসে যায় ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top