07 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 6, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এই কলিযুগে সবাই রাবণের শিকলে বাঁধা অবস্থায় আছে, জীবন-বন্ধ হয়ে আছে, তাদের জীবনমুক্ত করতে হবে"

প্রশ্নঃ --

কোন্ সেই উত্তরাধিকার যা তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের সাথে-সাথে মনুষ্য আত্মারাও পেয়ে থাকে ?

উত্তরঃ -:-

জীবনমুক্ত হওয়ার উত্তরাধিকার সবাই পেয়ে থাকে। তোমরা ব্রহ্মার সন্তান হয়ে ব্রাহ্মণ হও সেইজন্যই তোমরা ২১ জন্মের জন্য জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার পেয়ে থাকো, বাকি সবাই নিজ-নিজ ধর্মানুসারে প্রথমে জীবনমুক্তি অর্থাৎ প্রথমে সুখ তারপর দুঃখ ভোগ করে। প্রত্যেকেই অর্ধকল্প সুখ আর অর্ধকল্প দুঃখ ভোগ করে থাকে। প্রত্যেকেই স্বর্গ সুখ ভোগ করে না। তার জন্য ব্রাহ্মণ হতে হয়, পাঠশালায় শিক্ষা নিতে হয়, মায়ার উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে হয়।

গান:-

মন রূপী চেহারাকে দেখ রে প্রাণী..

ওম্ শান্তি । এ’কথা কে বলেছে ? নিজের অন্তরের আয়না দিয়ে দেখ কতটা পাপ আছে, কতটা পুণ্য আছে অর্থাৎ ৫ বিকারকে কতটা জয় করতে পেরেছ। আমি কি লক্ষ্মী-নারায়ণকে বরণ করার উপযুক্ত হয়েছি ? কেননা জীবনমুক্তি বা স্বর্গের মালিক তো রাজা রাণী হবে, প্রজাও হবে সেখানে। সুতরাং নিজেকে দর্পনে দেখো যে আমি কি মা-বাবার মতো সেবা করতে পারি! সেটা শুধু তোমরাই জানো যে এটা কলিযুগ আর এখানে সবাই জীবনবন্ধ অবস্থায় আছে। একজনও জীবনমুক্তিতে নেই । তোমরাও জীবনবন্ধ অবস্থায় ছিলে। এখন জীবনমুক্তি পাওয়ার জন্য বাবা তোমাদেরকে পুরুষার্থ করাচ্ছেন। বাবা বুঝিয়েছেন – এই সময় সমস্ত মানুষ মাত্রই জীবন-বন্ধ অবস্থায় আছে কেননা সময়টাই হল কলিযুগ। রাবণের শিকলে বাঁধা পড়ে আছে। কলিযুগ হচ্ছে জীবনবন্ধ আর সত্যযুগে জীবনমুক্ত। রামরাজ্যে যেমন রাজা রাণী তথা প্রজা সবাই জীবনমুক্ত অবস্থায় থাকে। রাবণ রাজ্যে জীবনবন্ধ, যথা রাজা রাণী তথা প্রজা সবাই জীবনবন্ধ অবস্থায় আছে। এই সময় সম্পূর্ণ মানুষ মাত্রই জীবন বন্ধ অবস্থায় আছে, তারা তমোপ্রধান এবং দুঃখী হয়ে পড়েছে। এখন সবাইকে সতোপ্রধানের মধ্যে যেতে হবে। সতোপ্রধান শুরু হয় সত্যযুগে। প্রত্যেক আত্মাকেই নিজ-নিজ পার্ট প্লে করতে হবে। আত্মা নিজ-নিজ ধর্মে যখন আসে শান্তিধাম থেকে তখন প্রথমে জীবনমুক্ত অবস্থায় থাকে। সত্যযুগ ত্রেতায় কাউকেই জীবন বন্ধ বলা হয় না কারণ সেখানে রাবণ রাজ্য নেই। কলিযুগ হচ্ছে রাবণ রাজ্য। সম্পূর্ণ পৃথিবী এখন জীবন বন্ধ রাজ্য। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম প্রথম নম্বরে যে আছে, সেও জীবনবন্ধে আছে। এখন জীবনমুক্ত তৈরি হচ্ছে। জীবনমুক্তির অর্থ এই নয় যে সবাই সত্যযুগ ত্রেতায় আসবে। তা নয়, রাবণের দুঃখ থেকে মুক্ত করা ‐ তাকেই জীবনমুক্তি বলা হয়। মানুষ, মানুষকে জীবনমুক্তি দিতে পারে না। মুক্তি অর্থাৎ নির্বাণধামে সবাইকে বাবাই নিয়ে যান। প্রথমে সবাই নির্বাণধামে যাবে তারপর জীবনমুক্তিতে নম্বরানুসারে ধর্ম অনুসারে আসবে। এমন নয় যে সত্যযুগে না আসলে জীবনমুক্ত বলা হবে না। প্রথমে যারাই নিজ ধর্মে আসে, তারাও জীবনমুক্তি অবস্থায় থাকে। আত্মাকে প্রথমে সতোপ্রধান হতে হবে, তারপর সতঃ রজঃতে আসতে হবে। প্রতিটি জিনিস নতুন থেকে পুরানো হয়, পুরানো থেকে আবার নতুন হয়। এই সময় সাধু সন্ত সবাই জীবনবন্ধে আছে। এটা হচ্ছে কলিযুগ। যতক্ষণ বাবা না আসেন। তাঁকে বাবা-ই বলা হয়, তারপর মহাকাল বলো বা অন্য কোনো নাম রাখো। প্রকৃত নাম হচ্ছে শিববাবা। সবাই বাবা-বাবা বলতেই থাকে। গডফাদার পরমপিতা পরমাত্মাও বলে থাকে। বাবা বলেন আমি এসে বাচ্চাদের মুক্তি জীবনমুক্তি দুই-ই দিয়ে থাকি। প্রথমে যারা আসবে অবশ্যই সুখের মধ্যে আসবে, তারপর দুঃখের মধ্যে যেতে হবে। মুক্তির পর জীবনমুক্তি আসে তারপর পেছনে আসে জীবনবন্ধ অবস্থা। বাবা সবাইকে সুখের উত্তরাধিকার দিয়ে থাকেন, কারোবা একটা জন্মই সুখের হবে। এসেছে অল্প কিছু সুখ পেয়ে মরে গেছে। তার ড্রামায় এটুকুই পার্ট ছিল। বৃদ্ধি তো মানুষের হয়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত আসছে। বেশিদিন তো থাকবে না। বিনাশ সামনে অপেক্ষা করছে। কলিযুগে যে নতুন আসবে সেও কিন্তু এসেই দুঃখ ভোগ করবে না। নিশ্চয়ই কোথাও তার ভালো সম্মান হবে। মুক্তিধাম থেকে প্রথমে জীবনমুক্তিতে যেতে হয়। মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমে সুখধামে আসবে, তারপর দুঃখের মধ্যে যেতে হবে। এই সময় সবকিছুই জড়াজীর্ণ হয়ে পড়েছে। নিজের সুখ আর দুঃখের পার্ট প্লে করে সবাই মুক্তি আর জীবনমুক্তি ধামে আসবে, ভায়া মুক্তিধাম । যাবে আবার আসবে। সম্পূর্ণ দুনিয়ার মানুষ মাত্রই যে যার ধর্মে আসবে তাদের আবারও এভাবেই আসতে হবে। রাজা জনকও জীবনমুক্তি পেয়েছিল। এমন নয় যে এই সময় রাজধানী নেই। তারাও পরে এসে জ্ঞান অবশ্যই নেবে। জীবনমুক্তি তো তোমরা সবাই পেয়ে থাকো কিন্তু নম্বরানুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী। অন্যান্য ধর্মের যারা আছে তাদের জন্যও বলা হয় নম্বরানুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী আর ধর্ম অনুসারে। যারা দেবী-দেবতা ধর্মের অন্যান্য ধর্মে চলে গেছে তারাও বেরিয়ে আসবে। সবাইকেই ফিরে যেতে হবে। কিন্তু ব্রাহ্মণ হতে হবে। এমনিতে তো সবাই ব্রহ্মার সন্তান কিন্তু ব্রাহ্মণ সবাই হবে না। যারা ব্রাহ্মণ হবে তাদের জন্যই ২১ জন্ম জীবনমুক্ত বলা হয়েছে। রাজ-সিংহাসনে বসতে হলে রাজযোগ শিখতে হবে। এই পাঠশালায় শিক্ষা নিতে হবে। কায়দাও অনেক আছে, একবার লক্ষ্য পেয়ে গেলে বিদেশে থেকেও পড়াশোনা করতে পারো। আমরা হলাম শিববাবার সন্তান। বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার অবশ্যই নিতে হবে। অনেকে পত্র লেখে, বাবা রাবণের ভূত বিরক্ত করছে। কখনও কাম বাসনা, কখনও ক্রোধের হাল্কা নেশা এসে যায়। বাবা বলেন এর উপরে বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে। এই লড়াই হলো যোগবলের। তোমরা স্মরণ করবে, মায়া তোমাদের বুদ্ধি যোগ ছিন্ন করে দেবে। সুতরাং বাবা বুঝিয়েছেন, জীবনমুক্তি সবাই পাবে। এর মানে এই নয় যে সবাই স্বর্গে যাবে। সবাই চায় মুক্তি পেতে। ভাবো শেষে যারা আসবে পার্ট প্লে করতে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য মুক্তি পাবে। কত শান্তি পেয়ে থাকে। ৪৫০০ বছর থেকে পৌনে ৫০০০ হাজার বছর শান্তিতে বসবাস করে। তাদের ভূমিকাই এমন। তারপর আমরাও আবার সুখ আর শান্তি দুই-ই ভোগ করি। এমন নয় যে মানুষ চাইবে ওদের মতো শান্তি চাই। ওখানেই বসে থাকবে। বললেই পাওয়া যায় না। অনাদি ড্রামা তৈরি হয়েই আছে। এতে কোনো পরিবর্তন হতে পারে না। অসংখ্য মানুষের শান্তি খুব প্রিয়। তোমাদের সুখের থেকেও ওদের শান্তি অনেক বেশি। তোমরা সুখ আর শান্তি দুই-ই পেয়ে থাকো। এখানে সুখ হচ্ছে অল্প সময়ের জন্য। এখানে শান্তি নেই। এটা হচ্ছে দুঃখ ধাম তাইনা। জঙ্গলে গিয়ে বসে থাকা, এটা তো শান্তিতে থাকা হতে পারে না। যদি ওখানে শান্তি থাকে তবে ওখানেই বসে থাকুক, শহরে এসে এতো ফ্ল্যাট ইত্যাদি কেন তৈরি করে। সত্যযুগে তো শুধুই শান্তি আর শান্তি। যদিও শেষে যারা আসে তারা মনে করে এখানে শুধুই অশান্তি। তারা কিন্তু শান্তি অনুভব করে। অন্যরা অশান্তিতে আছে মনে করে। এগুলো বোঝার বিষয়। জীবনমুক্তি তো সকলেরই পাওয়ার । ২১ জন্ম তোমরা রাজত্ব করো তারপর অন্যান্যরা দেরিতে আসে,রতারা উপরে শান্তিতে থাকে। কেউ সত্যযুগে অথবা ত্রেতার শেষে আসে কিন্তু সেটাও তো শান্তিধাম তাইনা। ওখানে কোনো দুঃখ নেই। নম্বরানুসারে সবাই আসবে, কারণ হিসেব-নিকেশ আছে না !

মানুষ মনে করে সায়েন্স অতি তীক্ষ্ণ, আমরা বলি আমাদের সাইলেন্স অতি তীক্ষ্ম। বাবার স্মরণেই শক্তি পাওয়া যায়। সায়েন্সের শক্তি উপরে চাঁদে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করে, তোমরা তো এক সেকেন্ডই সূর্য, চাঁদকে অতিক্রম করে উপরে চলে যাও। মূলবতন, সূক্ষ্মবতনের উপরে তো কিছুই নেই। সূর্য, চন্দ্র থেকে মূলবতন, সূক্ষ্মবতন অনেক দূরে। কারো ধারণাই নেই। এ’সবই হলো বিস্তারিত তথ্য। সূর্যবংশীও রাজা রাণী হওয়া ভাগ্যে নেই সুতরাং কিছুই বুঝতে পারে না, না কাউকে বোঝাতে পারে। কেউ এমন বলতে পারে না যে মুক্তি জীবনমুক্তির জ্ঞান আমার মধ্যে আছে (রাজা জনকের দৃষ্টান্ত)। এই সময় রাবণ সবাইকে জেলে আটকে রেখেছে। রাম এসে সবাইকে মুক্ত করেন। বাবার দ্বারা তোমরা নিমিত্ত হয়েছ সবাইকে রাবণের জেল থেকে মুক্ত করে জীবনমুক্ত করার জন্য। তোমাদের নামও প্রসিদ্ধ শিবশক্তি সেনা রূপে। তোমাদের নাম এই ড্রামায় শেষে গিয়ে অনেক উচ্চ স্থান পেয়ে থাকে। যখন থেকে বাবা এসেছেন মাতাদের পদও দুনিয়াতে অনেক উচ্চ স্থান পেয়েছে। প্রথমে বিদেশে মাতাদের অনেক পদ ছিল। ওখানে কন্যা সন্তান জন্ম নিলে খুব খুশির সাথে উদযাপন করে থাকে, এখানে কন্যা সন্তান জন্ম নিলে খাট উল্টো করে দেয়। এমনকি তার জন্মদিনও পালন করেনা। এমনিতে তো কন্যাদের কানাইয়া এমনই গাওয়া হয়েছে। বাস্তবে তোমরা সবাই কন্যা। তোমাদের এটা হল নব জন্ম। পড়াশোনা প্রত্যেকের নম্বরানুসারে হয়ে থাকে। আত্মা ছোট বা বড় হয়না। শরীর ছোট বড় হয়। কেউ চট করে বুঝতে পারে, আর ভাগ্যে না থাকলে বুঝতে পারেনা। জীবনমুক্তি আর জীবনবন্ধ এই দুটো স্থূলবতনের জন্য বলা হয়। সত্যযুগ থেকে জীবনমুক্ত বলা হয় আর দ্বাপর থেকে জীবনবন্ধ শুরু হয়। এখন সুখকে সবাই ভুলে গেছে, সবাই দুঃখী হয়ে পড়েছে। এমন কেউ নেই যে বলবে আমরা ২১ জন্ম সুখে ছিলাম। এখন রাবণ রাজ্য হওয়ার কারণে পুতিগন্ধময় হয়ে গেছে। ওখানে রাবণ রাজ্যই নেই সুতরাং পুতিগন্ধময় কীভাবে হবে। বলাও হয় যোগবল, ভোগবল। ওখানে যোগবলের দ্বারা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তোমরা বাচ্চারা প্রথা সম্পর্কে জানো। অন্যদের জানার প্রশ্নই আসে না। আমেরিকানরা তাদের রীতিনীতি সম্পর্কে জানে। আমরা আমাদের রীতিনীতি সম্পর্কে জেনেছি। আমরাই সত্যযুগে ছিলাম। ওখানে আমাদের রীতিনীতিও নতুন হবে, সেই অনুসারেই চলব। ঠিক যেমন কল্প পূর্বেও তোমরা চলেছ। যা কিছু হয়ে গেছে পুনরায় এখন রিপিট হবে। বাচ্চারা ধ্যানে মগ্ন হয়ে রীতি-রেওয়াজ সব দেখে আসে। কিন্তু উচ্চ পদ পাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। যারা ওখানকার রীতি-নিয়ম দেখে এসে জানিয়েছে, তারা সবাই এখন নেই। সুতরাং এতে লাভ তো কিছুই হয়না। সুতরাং ঈশ্বরীয় পড়াশোনার উপরই সবটুকু নির্ভর করছে। যোগ আর জ্ঞান। যোগ অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করা। জ্ঞান অর্থাৎ চক্রকে (চিন্তনে) আবর্তন করা। এ তো খুব সহজ। বাবা বলেন, আমার কাছেই আসতে হবে সেইজন্য আমাকে স্মরণ করো। মৃত্যুর সময় মানুষকে বলা হয় যে রাম-রাম বলো। অর্থ কিছুই বোঝে না। শ্রীকৃষ্ণ বললেও ওখানে তো পৌঁছে যায় না। নিয়ে যাবেন সে-ই বাবাই। বিকর্ম বিনাশ হওয়া ব্যতীত তোমরা সেখানে যাবে কীভাবে ! এখন সকলেরই বিনাশের সময়। তারপর সকলেই আপন-আপন সময়ানুসারে আসবে। এই পয়েন্ট ধারণ করতে হবে। নোট করতে হবে।

তোমাদের মাতা-পিতাকে ফলো করা উচিত । মাম্মা কখনো কাউকে বিরক্ত করতেন না। অনেকের অনেক রিপোর্ট আসে, ম্যানার্স (আচরণ ভদ্রসভ্য নয়) নেই। পরমপিতা পরমাত্মা পড়ান, কত বুদ্ধি থাকা উচিত। ভদ্র চাল-চলন যাদের তাদের প্রতি সকলের ভালোবাসা থাকে। কেউ আবার অত্যন্ত বিরক্ত করে। নিজেই নিজেকে চড় মেরে থাকে। তখন পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। গাওয়াও হয় যে হিন্দু লোকেরা নিজেরাই নিজেদের চড়(ক্ষতি) মেরেছে। ঈশ্বর যে রাজ্য-ভাগ্য দিয়ে থাকেন, তাকে সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে। এরা নিজেদেরকেই চড় মেরেছে, সেইজন্য এমন অবস্থা হয়েছে। শাস্ত্রতে দেখানো হয়েছে যে ভগবান বলছেন যে – আমি হলাম সর্বব্যাপী। কিন্তু ভগবান স্বয়ং বলেন – আমি কি তোমাদের মতন নাকি যে নিজেকে চড় মারব ! আমি কি কুকুর-বিড়ালের মধ্যেও বিরাজমান ! বাবা বলেন – তোমরা আমার গ্লানি করেছো, এও ড্রামা। পুনরায় এমনই হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কোনোরকমের উল্টোপাল্টা চাল-চলন যেন না হয়। সু-গুণ ধারণ করতে হবে। মাতা-পিতাকে ফলো করতে হবে।

২ ) যোগবলের দ্বারা কাম, ক্রোধের হাল্কা(সামান্যতম) নেশাকেও সমাপ্ত করতে হবে। নিমিত্ত হয়ে সকলকে রাবণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার সেবা করতে হবে।

বরদানঃ-

যারা প্রসন্নচিত্ত আত্মা, তারা স্ব-এর(নিজ) সম্বন্ধে বা সকলের সম্বন্ধে, প্রকৃতির সম্বন্ধে, যেকোনো সময়ে, যেকোনো বিষয়ে সঙ্কল্পেও প্রশ্ন তুলবে না। এ’টা এরকম কেন বা এ’টা কি হচ্ছে, এমনও হয় নাকি ? প্রসন্নচিত্ত আত্মার সঙ্কল্পের মধ্যে প্রতিটি কর্ম করায়, দেখায়, শোনায়, ভাবনায় এ’টাই থাকে যে যাকিছু হচ্ছে তা আমার জন্য ভালো হচ্ছে আর সর্বদা ভালোই হবে। তারা কখনও কি, কেন, এরকম-ওরকম — এইসব প্রশ্নের জটে (ঝামেলায়) যায় না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top