06 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
5 October 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - এই পুরানো দুনিয়া ত্যাগ করে অসীম জগতের বৈরাগ্য গ্রহণ করো, কেননা বাবা তোমাদের জন্য নতুন স্বর্গ রূপী গৃহ নির্মাণ করছেন"
প্রশ্নঃ --
এই অবিনাশী রুদ্র যজ্ঞে কোন্ কোন্ বিষয়ের জন্য বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে থাকে?
উত্তরঃ -:-
এই অবিনাশী রুদ্র যজ্ঞ শিববাবার রচনা, এর দ্বারা তোমরা মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য পবিত্র হয়ে ওঠো, ভক্তি ইত্যাদি ছেড়ে দেওয়ার কারণে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে থাকে। মানুষ বলে থাকে – শান্তি আসুক, বিনাশ যেন না হয় আর বাবা এসে এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেন পুরানো দুনিয়ার বিনাশের জন্য। এর পরেই শান্তির দুনিয়া আসবে।
ওম্ শান্তি । ওম্ শান্তির অর্থ বাবা বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন। আমি আত্মার স্বধর্ম হলো শান্তি। শান্তিধামে যাওয়ার জন্য কোনো পুরুষার্থ করতে হয়না। আত্মা স্বয়ং শান্ত স্বরূপ, শান্তিধাম নিবাসী। এখানে অল্প সময়ের জন্য শান্তিতে থাকতে পারে। আত্মা বলে আমার কর্মেন্দ্রিয় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। আমি নিজের স্বধর্মে স্থিত হয়ে যাই, শরীর থেকে আলাদা হয়ে পড়ি। কিন্তু কর্ম তো করতেই হবে। শান্তিতে কতক্ষণ বসে থাকব। আত্মা বলে — আমি শান্তিধামের নিবাসী। শুধুমাত্র এখানে শরীরের মধ্যে এসে শব্দে (কথা বলা) এসেছি। আমি আত্মা আর এই আমার শরীর। আত্মাই পতিত আর পবিত্র হয়। আত্মা পতিত হলে শরীরও পতিত হয়ে যায়। সত্যযুগে ৫ তত্ত্বই সতোপ্রধান হয়। এখানে ৫ তত্ত্বই তমোপ্রধান। সোনার (আত্মার কথা বলা হয়েছে) মধ্যে খাদ পড়লে সোনা পতিত হয়ে যায়। তারপর তাকে পরিষ্কার করার জন্য আগুনে দেওয়া হয়। তাকে যোগ অগ্নি বলা হয় না। যোগ অগ্নি, যার মধ্যে পাপ ভস্মীভূত হয়ে যায়। আত্মাকে পতিত থেকে পবিত্র করে তোলেন পরমাত্মা। একজনেরই নাম। আহ্বান করে বলা হয় হে পতিত-পাবন এসো। ড্রামার প্ল্যান অনুসারে সবাইকে পতিত তমোপ্রধান হতেই হবে। এটা হলো কল্প বৃক্ষ। জগতে যে গাছপালা আছে তাতে বীজ নীচে থাকে, এই বৃক্ষে বীজ উপরে থাকে। বাবাকে যখন আহ্বান করে তখন বুদ্ধি উপরে চলে যায়। যাঁর কাছ থেকে তোমরা উত্তরাধিকার গ্রহণ করছ তিনি এখন অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি বলেন আমাকে আসতেই হয়। এই যে মনুষ্য সৃষ্টির ঝাড়, এখানে নানা রকম ধর্ম আছে। এখন এই বৃক্ষ তমোপ্রধান জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে। বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান — সত্যযুগে সর্বপ্রথম দেবী-দেবতাদের বাস। এখন কলিযুগ অসুরের বাস। অসুর এবং দেবতাদের মধ্যে লড়াইয়ের কোনও প্রশ্ন নেই। তোমরা এই আসুরিক প্রবৃত্তির ৫ বিকারকে যোগবল দ্বারা জয় করে থাকো। এছাড়া অন্য কোনও রকম হিংসাত্মক লড়াইয়ের বিষয় নেই। তোমরা কোনো হিংসাত্মক কাজ করো না। তোমরা কারো গায়ে হাত তোল না। তোমরা ডবল অহিংসক। কাম বাসনা হল সবচেয়ে বড় অপরাধ। বাবা বলেন – এই কাম বাসনাই আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দিয়ে থাকে। বিকারে যাওয়া উচিত নয়। দেবতাদের সামনে মহিমা করে থাকে – তুমি সর্বগুণসম্পন্ন, সম্পূর্ণ নির্বিকারী…। আত্মা এই কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা সব জানতে পারে। বলে থাকে আমরা পতিত হয়ে গেছি, তাহলে নিশ্চয়ই কখনও পবিত্র ছিল যে বলছে আমরা পতিত। আহ্বান করে বলে থাকে হে পতিত-পাবন এসো। যখন পবিত্র থাকে তখন কেউ আহ্বান করে না। তাকেই স্বর্গ বলা হয়। এখানে তো সাধু-সন্ত কত সুরে গাইতে থাকে পতিত-পাবন সীতারাম…. যেখানেই যাক গাইতেই থাকে। বাবা বোঝান যে সম্পূর্ণ দুনিয়া পতিত হয়ে গেছে। রাবণ রাজ্য না , রাবণকে জ্বালিয়ে থাকে। কিন্তু রাবণ রাজ্য কবে থেকে শুরু হয়েছে, কেউ জানেনা। ভক্তি মার্গে অসংখ্য সামগ্রী। কেউ এটা করে তো কেউ ওটা। সন্ন্যাসীরাও কত যোগ শিখিয়ে থাকে। বাস্তবে যোগ কাকে বলে-এটা কারো জানা নেই। এতে কারো দোষ নেই। এই ড্রামা পূর্ব নির্ধারিত। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না যাব ,নিজেদের ভূমিকা পালন করতেই হবে। জ্ঞান আর ভক্তি, জ্ঞান হলো দিন সত্যযুগ আর ত্রেতা,ভক্তি হলো রাত দ্বাপর এবং কলিযুগ তারপরেই আসে বৈরাগ্য। পুরানো দুনিয়া থেকে বৈরাগ্য। এ’হলো অসীমের বৈরাগ্য। ওদের হলো সীমিত বৈরাগ্য। তোমরা জান এই পুরানো দুনিয়া এখন বিনাশ হয়ে যাবে। নতুন ঘর তৈরি হলে পুরানোর প্রতি বৈরাগ্য এসে যায়।
দেখো, অসীম জগতের পিতা কেমন। তোমদের স্বর্গ রূপী ঘর তৈরি করে দেন। স্বর্গ হলো নতুন দুনিয়া। নরক পুরানো দুনিয়া। নতুন থেকে পুরানো আবার পুরানো থেকে নতুন তৈরি হয়।নতুন দুনিয়ার আয়ু কত, কেউ জানেনা। এখন পুরানো দুনিয়াতে থেকে আমরা নতুন দুনিয়া স্থাপন করি। পুরানো কবরস্থানের উপরেই আমরা পরিস্তান স্থাপন করব। যমুনার তীরে, মহল তৈরি হবে। দিল্লি যমুনা নদীর তীরেই হবে। পান্ডবদের যে দুর্গ দেখানো হয়, এ’সবই ড্রামা প্ল্যান অনুসারে আবারও তৈরি হবে। যেমন তোমরা যজ্ঞ, তপ, দান ইত্যাদি করতে আবারও করতে হবে।প্রথমে শিবকে ভক্তি করে থাকো, সুন্দর মন্দির নির্মাণ করে থাকো, একে অব্যভিচারী ভক্তি বলা হয়। এখন তোমরা জ্ঞান মার্গে আছো। এটা হলো অব্যভিচারী জ্ঞান। এক শিববাবার কাছ থেকেই জ্ঞান শুনছ প্রথমে যাঁকে ভক্তি করেছিলে, ঐ সময় অন্য কোনও ধর্ম থাকেনা। ঐ সময় তোমরা অতীব সুখে থাকো। দেবতা ধর্ম অতি সুখ দিয়ে থাকে। নাম নিলেই মুখ মিষ্টি অনুভব হয়। তোমরা এক বাবার কাছ থেকেই জ্ঞান শুনে থাকো। বাবা বলেন আর কারো কাছ থেকে শুনবে না। এ’হলো তোমাদের জন্য অব্যভিচারী জ্ঞান। তোমরা অসীম জগতের পিতার সন্তান হয়েছ। বাবার কাছ থেকেই অবিনাশী উত্তরাধিকার পাবে। নম্বরানুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী। বাবা অল্প সময়ের জন্য সাকার দুনিয়াতে এসেছেন। তিনি বলেন বাচ্চারা তোমাদেরই জ্ঞান প্রদান করতে হয়। আমার স্থায়ী শরীর নেই, আমি ব্রহ্মার শরীরে প্রবেশ করি। শিব জয়ন্তী থেকে তারপর গীতা জয়ন্তী হয়ে যায়। ওখান থেকেই জ্ঞান দেওয়া শুরু করে দেয়। এই আত্মিক বিদ্যা সুপ্রিম আত্মিক পিতা প্রদান করছেন। জলের কোনো বিষয় নয়। জলকে জ্ঞান বলা হয় না। পতিত থেকে পাবন, জ্ঞান দ্বারাই হওয়া সম্ভব। জল দ্বারা পবিত্র হওয়া যায় না। নদী তো সম্পূর্ণ দুনিয়াতে আছে। জ্ঞানের সাগর বাবা ব্রহ্মা শরীরে প্রবেশ করেন এবং নলেজ দিয়ে থাকেন। এখানে গো-মুখে যাত্রা করে থাকে। বাস্তবে গো-মুখ তোমরা চৈতন্য স্বরূপ। তোমাদের মুখ দিয়ে জ্ঞান অমৃত নির্গত হয়। গরুর কাছ থেকে তো দুধ পাওয়া যায়। জলের তো কোনো কথাই নেই, এইসব কিছুই বাবা বসে বোঝান। যিনি সবার সদ্গতি দাতা। এখন সবাই দুর্গতির মধ্যে আছে। প্রথমে তোমরাও জানতে না রাবণকে কেন জ্বালানো হয়। তোমরা এখন জানো অসীমের দশহরা হতে চলেছে। সম্পূর্ণ দুনিয়া এখন রাবণ রাজ্য। শাস্ত্রে যে বাঁদর সেনা ছিল, সেতু তৈরি করেছিল…..এসবই কাহিনি। ভক্তির প্রথমে চলে অব্যভিচারী ভক্তি, তারপর শুরু হয় ব্যভিচারী ভক্তি। দশহরা, রাখিবন্ধন সব এখনকার উৎসব । শিব জয়ন্তীর পরে হয় কৃষ্ণ জয়ন্তী। এখন কৃষ্ণপুরী স্থাপন হচ্ছে। আজ কংস পুরী, কাল হবে কৃষ্ণপুরী। আসুরিক সম্প্রদায়কে কংস বলা হয়। পান্ডব আর কৌরবদের মধ্যে লড়াই নেই। কৃষ্ণের জন্ম হয় সত্যযুগে, প্রথম প্রিন্স। স্কুলে পড়াশোনা করতে যায়। যখন বড় হয় তখন রাজ সিংহাসনে বসে। সম্পূর্ণ মহিমা শিববাবার, যিনি পতিত থেকে পাবন করে তোলেন। আর যা কিছু রাস লীলা ইত্যাদি করা হয় তা নিজেদের মধ্যে খুশী বিনিময়ের জন্য। কৃষ্ণ কাউকে জ্ঞান প্রদান করবে, এটা কীভাবে সম্ভব। বাবা বলেন – কাউকে বারণ করবে না যে ভক্তি কোরো না। নিজের থেকেই ছেড়ে যাবে। ভক্তি ছেড়ে দেয়, বিকার ছেড়ে দেয়, এর উপরেই হাঙ্গামা হতে থাকে। বাবা বলেন আমি রুদ্র যজ্ঞ রচয়িতা, এতে আসুরিক সম্প্রদায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এ’হলো শিববাবার অনন্ত যজ্ঞ, যার দ্বারা মানুষ থেকে দেবতা হওয়া যায়। গাওয়াও হয়ে থাকে জ্ঞান যজ্ঞ দ্বারাই বিনাশের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত হয়েছে। যখন পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে — তখন তোমরা নতুন দুনিয়াতে রাজত্ব করবে। মানুষ বলে আমরা বলি শান্তি হোক,আর বি.কে.বলে বিনাশ হোক। জ্ঞান না বোঝার কারণে এমন বলে থাকে। বাবা বোঝান – সম্পূর্ণ দুনিয়া এই জ্ঞান যজ্ঞে স্বাহা হয়ে যাবে। পুরানো দুনিয়াতে আগুন লাগতে চলেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে, সর্ষের দানার মতো পিষে সবাই শেষ হয়ে যাবে। কিছু আত্মারা বেঁচে যাবে। আত্মা তো অবিনাশী। এখন অসীম জগতের হোলি হবে, যেখানে শরীর সহ সব শেষ হয়ে যাবে। অবশিষ্ট আত্মারা পবিত্র হয়ে চলে যাবে। আগুনে জিনিস শুদ্ধ হয়ে ওঠে। যজ্ঞ করে শুদ্ধতার জন্য। সেইসব হলো জাগতিক বিষয়। এখন সম্পূর্ণ দুনিয়া স্বাহা হয়ে যাবে। বিনাশের প্রথমে অবশ্যই স্থাপনা হওয়া উচিত। কাউকে বোঝাতে হলে বলো- প্রথমে স্থাপনা তারপর বিনাশ। ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা। প্রজাপিতা হলেন প্রসিদ্ধ আদি দেব, আদি দেবী….জগৎ অম্বার অনেক অনেক মন্দির রয়েছে। কতো মেলা হয়। তোমরা হলে জগৎ -অম্বার সন্তান জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বরী, তারপর হবে রাজ-রাজেশ্বরী। তোমরা অগাধ ধনসম্পত্তির মালিক হও। তারপর ভক্তি মার্গে দীপাবলিতে লক্ষ্মীর কাছে বিনাশী ধন চাইতে থাকে। এখানে তোমরা সবকিছু প্রাপ্ত করে থাকো আয়ুষ্মান ভব, পুত্রবান ভব। ওখানে তোমাদের আয়ু ১৫০ বছরের। এখানে তোমরা যত যোগযুক্ত হবে ততই আয়ু বৃদ্ধি পাবে। তোমরা ঈশ্বরের সাথে যোগযুক্ত হয়ে যোগেশ্বর হয়ে ওঠো।
বাবা বলেন আমি হলাম ধোপা। সবার পূতিগন্ধময় আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে তুলি। এরপর শরীরও পবিত্র পাবে। আমি সেকেন্ডে দুনিয়ার কাপড় পরিষ্কার করে ফেলি। শুধুমাত্র মন্মনাভব হলেই আত্মা আর শরীর পবিত্র হয়ে যাবে। ছুঃ মন্ত্র তাইনা ! সেকেন্ডে জীবনমুক্তি, কত সহজ উপায়। চলতে-ফিরতে শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করো আর তো কোনো কষ্ট দিইনা। এখন তোমাদের সেকেন্ডে উত্তরণের কলা হয়। বাবা বলেন – বাচ্চারা আমি তোমাদের সেবক হয়ে এসেছি। তোমরা ডেকেছ – হে পতিত-পাবন এসে আমাদের পবিত্র করে তোল, সুতরাং সেবক হলাম না! যখন তোমরা পতিত হয়ে পড় তখন জোরে চিৎকার করতে থাকো। এখন আমি এসেছি। আমি কল্পে-কল্পে এসে বাচ্চাদের মন্ত্র দিই যে আমাকে স্মরণ কর। মন্মনাভব’র অর্থ এটাই। তারপর বিষ্ণুপুরীর মালিক হবে।
তোমরা এসেছ বিষ্ণুপুরীর রাজ্য গ্রহণ করতে, রাবণ পুরীর পরে আসবে বিষ্ণুপুরী। কংস পুরীর পর কৃষ্ণপুরী। কত সহজভাবে বোঝান হয়েছে। বাবা বলেন এই পুরোনো দুনিয়া থেকে মমত্ববোধ মিটিয়ে ফেলো। এখন আমরা ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছি। এই পুরানো বস্ত্র ছেড়ে আমরা যাব নতুন দুনিয়াতে। স্মরণ দ্বারাই তোমাদের পাপ কেটে যাবে, এটুকু সাহস থাকা উচিত। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) মুখ থেকে যেন সর্বদা জ্ঞান অমৃত নির্গত হয়। জ্ঞান দ্বারাই সবার সদ্গতি করতে হবে। এক বাবার কাছ থেকেই জ্ঞান শুনতে হবে, অন্যের কাছ থেকে নয়।
২ ) উত্তরণের কলায় যাওয়ার জন্য চলতে-ফিরতে বাবাকে স্মরণ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো বস্ত্র থেকে মমত্ববোধ মিটিয়ে ফেলতে হবে।
বরদানঃ-
নিরাকার বা সাকার রূপে বুদ্ধিযোগ বা সম্পর্ক এক বাবার সাথেই নিশ্চিত হলে ফরিস্তা হয়ে যাবে। যার সর্ব সম্বন্ধ বা সর্ব সম্পর্ক একজনের প্রতিই থাকে সেই ফরিস্তা হতে পারে। যেমন গভর্নমেন্ট রাস্তায় বোর্ড লাগিয়ে রাস্তা ব্লকের নোটিশ টাঙিয়ে দেয়, তেমনই সব রাস্তা বন্ধ করে দিলে বুদ্ধির বিভ্রান্ত হয়ে ছোটা বন্ধ হয়ে যাবে। বাপদাদার এটাই আদেশ যে, সর্বপ্রথম সব রাস্তা বন্ধ করে দাও। এর দ্বারাই ফরিস্তা হয়ে যাবে।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য ‐- “নিরন্তর ঈশ্বরীয় স্মরণের বৈঠক”
যখন পরমাত্মার স্মরণে বসো, এর অর্থ কি ? আমাদের শুধু পরমাত্মার স্মরণে বসলেই হবে না, ঈশ্বরীয় স্মরণ নিত্য চলতে-ফিরতে প্রতি মুহূর্তে করতে হবে আর স্মরণও সেই বস্তুর প্রতিই থাকে যার পরিচয় জানা থাকে। তাঁর নাম রূপ কি, যদি আমরা বলি ঈশ্বর নাম রূপহীন, তবে কোন্ রূপকে স্মরণ করব ? যদি বলা হয় ঈশ্বর সর্বব্যাপী তবে তো তাঁর ব্যাপকতা সর্বত্র হয়ে গেল। তবে কাকে স্মরণ করব ? যদি স্মরণ শব্দটি থাকে তবে অবশ্যই স্মরণ করার জন্য তার রূপও থাকবে। স্মরণ করার অর্থ হলো একজন যিনি স্মরণ করছেন এবং অন্যজন যাকে স্মরণ করা হচ্ছে। সুতরাং যিনি স্মরণ করছেন তিনি স্মরণীয় ব্যক্তির থেকে অবশ্যই আলাদা, অতএব এর অর্থ ঈশ্বর সর্বব্যাপী নন। যদি কেউ বলে আমরা আত্মারা ঈশ্বরের অংশ তবে কি পরমাত্মা টুকরো টুকরো হয়ে থাকে ? তবে তো তার অর্থ ঈশ্বর বিনাশী ! এবং তাঁর স্মরণও বিনাশী। মানুষ জানে না যে পরমাত্মা অবিনাশী এবং আমরা আত্মারাও অবিনাশী। পরমপিতা পরমাত্মার সন্তানরাও অবিনাশী। সুতরাং আমরা তাঁর সৃষ্টি, অংশ নই। এরজন্য নলেজ থাকা প্রয়োজন, যা পরমাত্মা স্বয়ং এসে আমরা বাচ্চাদের দিয়ে থাকেন। আমরা বাচ্চাদের প্রতি পরমাত্মার মহাবাক্য হে আমার বাচ্চারা, আমি যে হই যেমনই হই সেই রূপকে স্মরণ করলে তোমরা অবশ্যই আমাকে প্রাপ্ত করবে। আমি দুঃখ সুখ থেকে পৃথক, পিতা, আমি যদি সর্বব্যাপী হতাম তবে তো এই নাটকে সুখ দুঃখ থাকত না। সুতরাং আমি সর্বব্যাপী নই। আমিও অন্য আত্মাদের মতো একজন আত্মা কিন্তু সমস্ত আত্মাদের তুলনায় আমার গুণাবলী সর্বোচ্চ । সেইজন্যই আমাকে পরম আত্মা অর্থাত্ পরমাত্মা বলা হয়। আচ্ছা। ওম্ শান্তি।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!