06 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
5 May 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা — চ্যারিটি বিগিনস্ অ্যাট হোম ( ঘর থেকেই দান শুরু করা) অর্থাত্ যারা দেবী-দেবতা ধর্মের অন্তর্গত, শিব বা দেবতাদের পূজারী, প্রথমে তাদেরই জ্ঞান প্রদান কর"
প্রশ্নঃ --
কোন্ কর্তব্য বাবা ছাড়া অন্য কোনও মানুষই করতে পারবে না এবং কেন ?
উত্তরঃ -:-
সম্পূর্ণ বিশ্বে শান্তি স্থাপন করা একমাত্র বাবার কর্তব্য। মানুষ, বিশ্বে শান্তি স্থাপন করতে পারে না কেননা সবাই বিকারগ্রস্ত। শান্তি স্থাপন তখনই হবে যখন বাবাকে জেনে পবিত্র হবে। বাবাকে না জানার কারণে অনাথ হয়ে গেছে।
গান:-
মৃত্যু বরণ করব তোমার গলিতে ( স্মরণ, আশ্রয়)..
ওম্ শান্তি । ওম্ শান্তির অর্থও প্রতি মুহূর্তে বলতে হবে, কেননা ওম্ শান্তির অর্থ কেউ জানেনা। যেমন প্রতি মুহূর্তে বলতে হয় – “মন্মনাভব” অর্থাত্ অসীম জগতের বাবাকে স্মরণ কর। ওম্ অর্থ বলে থাকে – ওম্ অর্থাৎ ভগবান। বাবা বলেন‐ ওম্ অর্থাৎ আমি আত্মা, আর এটা আমার শরীর। পরমপিতা পরমাত্মাও বলেন ওম্। আমিও আত্মা পরমধাম নিবাসী। তোমরা আত্মারা জন্ম মৃত্যুর চক্রে আসো। আমি আসি না। তবে হ্যাঁ, আমি সাকার শরীরে আসি, বাচ্চারা তোমাদের সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের সার বোঝাই। আর কেউ বোঝাতে পারবে না। যদি নিশ্চয় (অটুট বিশ্বাস) না থাকে তবে সম্পূর্ণ দুনিয়া ঘোরা উচিত, খোঁজা উচিত যে আর কেউ আছে যে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ দিয়ে থাকে। পরমপিতা পরমাত্মা ছাড়া সৃষ্টি চক্রের আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য কেউ বলতে পারবে না, কেউ রাজযোগ শেখাতে পারবে না। পতিতদের পবিত্র করে তুলতে পারবে না। সর্বপ্রথম যারা দেবী-দেবতাদের পূজারী, তাদের বোঝানোর জন্য পুরুষার্থ কর। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীরাই সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করেছে , তারা যথার্থ রীতিতে বুঝবে। পরে যারা এসেছে তারা ৮৪ জন্ম নিতে পারে না। এ’সব তারাই শুনবে যারা দেবতাদের পূজারি এবং গীতা পড়বে। গীতাতে শুধু একটাই ভুল হয়েছে ভগবানের পরিবর্তে কৃষ্ণের নাম রাখা হয়েছে। সুতরাং গীতা পাঠ করেন যারা তাদের বোঝান উচিত। জিজ্ঞাসা করা উচিত পরমপিতা পরমাত্মা শিবের সাথে তোমার কী সম্পর্ক? শিবকে ভগবান বলা হয়। শ্রী কৃষ্ণ তো দৈবীগুণ সম্পন্ন, তার দৈবী রাজধানী ছিল যেখানে সবাই দৈবীগুণ সম্পন্নরা ছিল। এখন তারাই আবার পূজ্য থেকে পূজারি হয়েছে। সুতরাং প্রথমে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীদের বের করতে হবে। চ্যারিটি বিগিনস্ অ্যাট হোম। যারা শিবের পূজারী তাদেরও বোঝাতে হবে। শিব আসেন তবেই তো তাঁর জয়ন্তী পালন করা হয়, তিনি পরমপিতা পরমাত্মা। এসে নিশ্চয়ই রাজযোগ শেখান যা অন্য কোনও মানুষ শেখাতে পারে না। কৃষ্ণ বা ব্রহ্মাকে ভগবান বলা যায় না। সবার সদ্গতি দাতা একজনই বাবা, তিনি জ্ঞানের সাগর হওয়ার কারণে সবার শিক্ষকও বটে। সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফী তিনি ছাড়া দ্বিতীয় কেউ জানেনা। বাবা বলেন আমাকে জ্ঞানের সাগর, চৈতন্য বীজরূপও বলা হয় । এই যে উল্টো বৃক্ষরূপী ঝাড়, তার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান ঐ বীজের মধ্যেই থাকবে সেইজন্যই আমাকে জ্ঞানের সাগর, অলমাইটি অথরিটি বলা হয়। অথরিটি কী ? যিনি সমস্ত বেদ,শাস্ত্র, গ্রন্থ ইত্যাদি সব বিষয়ে জ্ঞাত, যা বাচ্চারা তোমাদের বোঝাচ্ছেন। ওরা (ভক্তি মার্গে) শাস্ত্র শোনায় যারা কল্পের আয়ু লক্ষ বছর বলে থাকে। কিন্তু তা তো হতে পারে না। নানারকম ধর্মের মানুষের সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ, তার আয়ু ভাগবতে দীর্ঘ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ভাগবত তো কোনো ধর্মশাস্ত্র নয়। গীতা ধর্মশাস্ত্র, যার দ্বারা দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন হয়েছে। ভাগবত, মহাভারত ইত্যাদি দ্বারা কোনও ধর্ম স্থাপন হয়না। সেখানে তো শ্রী কৃষ্ণের হিস্ট্রি বর্ণনা করা হয়েছে। বাবা বোঝান — বাচ্চারা, তোমরা দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীদের বোঝাও যে, তোমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করেছ। সত্যযুগে শুধু সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল অন্য কোনও ধর্ম ছিল না। ভারতই স্বর্গ ছিল, যার উচ্চ থেকে উচ্চতর মহিমা করা হয় , আর পরমপিতা পরমাত্মার বার্থপ্লেস (জন্ম ভূমি) যিনি এসে পতিতদের পবিত্র করে তোলেন। শিবের পূজাও এখানেই হয়ে থাকে, জয়ন্তীও এখানেই পালন করা হয়। নিশ্চয়ই তিনি পতিত দুনিয়াতেই আসেন। সবাই আহ্বান করে বলে থাকে — পতিত-পাবন এসো। ভারত পবিত্র ছিল ৮৪ জন্মের চক্র সম্পূর্ণ করে এসেছে। যারা পবিত্র স্বর্গবাসী ছিল, এখন তারা পতিত নরকবাসী হয়ে গেছে। পবিত্র করেছিল শিববাবা, পতিত বানিয়েছে রাবণ। এই সময়টাই হলো রাবণ রাজ্য। প্রতিটি নরনারী বিকারের বশীভূত। সত্যযুগে বিকারের অংশমাত্র ছিল না, নির্বিকারী ছিল। এখন পতিত হয়ে গেছে তবেই তো আহ্বান করে বলে ‐- এসো , এসে আমাদের পবিত্র করে তোল।
সত্যযুগে আমরা যখন পবিত্র ছিলাম, ২১ জন্ম রামরাজ্যে ছিলাম। এখন তো রাবণ রাজ্য, সবাই বিকারগ্রস্ত। বাবা বলেন— কাম মহাশত্রু যা আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখই দিয়ে থাকে। এর উপরেই বিজয় প্রাপ্ত করে পবিত্র হয়ে ওঠো। তোমরা জন্ম-জন্মান্তর ধরে পাপ করেছ, তমোপ্রধান হয়ে গেছ, আত্মার মধ্যে খাদ জমে গেছে। প্রথমে তো গোল্ডেন এজ ছিলে তারপর সিলভার এজ এবং কপার এজ ….খাদ জমতে-জমতে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসেছ। এ’সবই ভারতের কথা। সত্যযুগে ৮ জন্ম, ত্রেতায় ১২ জন্ম তারপর সেই ভারতবাসীরাই চন্দ্রবংশী, বৈশ্যবংশী হয়ে ওঠে। আত্মা অপবিত্র হয়ে যায়। বাবা বলেন আমি কল্পে-কল্পে এসে ভারতকে স্বর্গ করে তুলি, তারপর রাবণ এসে নরক করে তোলে। এভাবেই ড্রামা তৈরি হয়েছে। বাবা বোঝান জ্ঞানের সাগর তো শিববাবা তাইনা। উচ্চ থেকে উচ্চতর শিববাবা সবার পূজ্য। সর্বপ্রথম তাঁরই পূজা হয়। তিনি হলেন অসীম জগতের পিতা। নিশ্চয়ই ওঁনার কাছ থেকেই অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হয়। ভারতবাসীরা ভুলে গেছে, ভগবান এক নিরাকারকেই বলা হয়। মানুষ তাঁকে স্মরণও করে থাকে। এমন নয় যে সবাই ভগবান। একদিকে ভগবানকে স্মরণ করে অন্যদিকে গ্লানিও করে থাকে। একদিকে বলে থাকে সর্বব্যাপী তারপর আবার পতিত-পাবন এসো বলে আহ্বানও করে। বাবা এসে ব্রহ্মা শরীর দ্বারা ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণদেরই বুঝিয়ে থাকেন। এখন তোমরা ব্রাহ্মণরা শীর্ষস্থানীয়। ব্রাহ্মণদের উপর শিব। বিরাট রূপে দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র দেখানো হয়। ব্রাহ্মণদের নামই নেই কেননা দেখেছে যে ব্রাহ্মণ তো বিকারগ্রস্ত। দেবতাদের থেকে শ্রেষ্ঠ কীভাবে বলতে পারে? বাবা বোঝান ওরাও বলে থাকে ব্রাহ্মণ দেবী-দেবতায় নমঃ। সঠিকভাবে কেউ-ই জানে না যে এদের রাজ্য কবে ছিল? স্বর্গ কোথা থেকে আসে ? এখন তোমরা জান বাবা এসে ব্রহ্মা দ্বারা স্বর্গের স্থাপনা করেন, শঙ্কর দ্বারা নরকের বিনাশ করিয়ে থাকেন। মহাভারতেও লড়াই হয়েছিল তাইনা, যার ফলে স্বর্গের গেট খুলেছিল। মহিমা করে কিন্তু কিছুই জানে না। এটাও দেখানো হয়েছে যে রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ দ্বারা বিনাশের লাভা প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল। পূর্বের মতোই এখন সেই পার্ট চলছে। ৫ হাজার বছর পূর্বেও লড়াই হয়েছিল তখনই পতিত দুনিয়া বিনাশ হয়েছিল। ওরা গীতা জ্ঞান সম্পর্কে যখন কিছু শোনায় বলে থাকে সেখানে তিনটি সেনা বাহিনী ছিল — ইউরোপবাসী যাদব সেনা যারা সায়েন্সে মিসাইল আবিষ্কার করেছে। গীতার সম্পূর্ণ ৫ হাজার বছর পূর্ণ হতে চলেছে। বাবা বলেন এই তিন বাহিনী এখনও আছে। বলাও হয়ে থাকে — বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি অর্থাত্ পরমপিতা পরমাত্মার প্রতি বিপরীত বুদ্ধি (সংশয়, সন্দেহ)।জানেই না যে তুমি ছাড়া আর কারো ভালোবাসা নেই। সবার বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি। তোমরা পান্ডবদের প্রীত বুদ্ধি (ঈশ্বরের প্রতি অটুট বিশ্বাস, ভালোবাসা)। তোমরা শিববাবাকেই স্মরণ কর। তোমরা জান শিববাবা আমাদের ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার দিতে এসেছেন। তোমাদের প্রীত বুদ্ধি এক শিববাবার সাথে। বাদবাকিরা তো বাবাকে জানেই না। সুতরাং তিন বাহিনী হলো না! তোমরা হলে পান্ডব সেনা। অবশ্যই বিনাশের সময়, মৃত্যু সামনেই অপেক্ষা করছে তোমরা জান। শিববাবা বলেন তোমরা পবিত্র হলে নতুন দুনিয়ার মালিক হতে পারবে। সত্যযুগে একটাই দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল অন্য কোনও ধর্ম ছিল না। এখন অন্যান্য সব ধর্ম আছে কিন্তু আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম আর নেই। নিজেদের দেবী-দেবতা বলে মনেই করে না। বলে থাকে আমরা তো পতিত। দেবতাদের সামনে মহিমা করে — তুমি সর্বগুণসম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ। নিজের সম্পর্কে বলে থাকে আমি বিকারগ্রস্ত, আমি গুণহীন আমার মধ্যে কোনো গুণ নেই। বাবাকে স্মরণ করে। তোমাদেরও এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবাকে স্মরণ ছাড়া পবিত্র হতে পারবে না, সুতরাং উচ্চ পদও পাবেনা। অপবিত্র দুনিয়ার যখন বিনাশ হবে তখনই দুনিয়াতে শান্তি ফিরে আসবে। মানুষ চেষ্টা করে ভারত এবং বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু সেটাতো একমাত্র বাবাই পারেন। মানুষ তো বিকারগ্রস্ত ওরা শান্তি কীভাবে স্থাপন করবে । ঘরে-ঘরে ঝগড়া। বাবাকে না জানার কারণে সম্পূর্ণ অনাথ হয়ে গেছে। সত্যযুগে সম্পূর্ণ পবিত্রতা, সুখ, শান্তি ছিল। এখন বাবা আবারও সেই পবিত্রতা, সুখ, শান্তি স্থাপন করছেন যা আর কেউ করতে পারে না। ভারতবাসীরা এখন নরকবাসী হয়ে গেছে। যখন স্বর্গে ছিল পুনর্জন্ম স্বর্গেই গ্রহণ করত। এখন পতিত হয়ে গেছে সেইজন্যই পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ করে। বাচ্চারা এখান জানে — পারলৌকিক বাবাকে স্মরণ করলেই বিকর্ম বিনাশ হবে। লৌকিক বাবার কাছ থেকে সীমিত উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হয়। পারলৌকিক বাবার কাছ থেকে এখন তোমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছ। এসবই হলো বোঝার বিষয়। ওটা হলো ভক্তি মার্গ, এ হলো জ্ঞান মার্গ ।
তোমাদের খুশি হয় এই ভেবে যে বাবা আমাদের স্বর্গবাসী করে তুলছেন। যারা কল্প পূর্বে স্বর্গবাসী হয়েছিল পুনরায় তারাই আবার হবে। ব্রাহ্মণ হওয়া ছাড়া কখনোই দেবতা হতে পারবে না। এ’সবই বোঝার বিষয় না! এখন ভারতে কোনও কলা নেই। কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় সবাই আচ্ছন্ন। বাবা তোমাদের জাগিয়ে তুলেছেন। তোমরা এখানে এসেছ স্বর্গবাসী হতে। বাবা ছাড়া আর কেউ স্বর্গবাসী করে তুলতে পারে না। স্বর্গ বলা হয় সত্যযুগকে। নরক বলা হয় কলিযুগকে। যেমন রাজা রাণী তেমন প্রজা। এখন সবাই বিকার দ্বারা জন্ম গ্রহণ করে, দেবতারা কখনও বিকার দ্বারা পুনর্জন্ম নেয় না। বাচ্চারা বাবার কাছে পবিত্র হওয়ার প্রতিজ্ঞা করে থাকে কিন্তু চলতে-চলতে পরাজিত হয়ে পড়ে সুতরাং উপার্জনও কমে যায়। বড়ো জোরে চোট পায় । অবাক হয়ে জ্ঞান শোনে ,অন্যদেরও শোনায় তারপর চলে যায়। যদিও সাক্ষাত্কার করে কিন্তু সেখানেও মায়ার অবাধ প্রবেশ ঘটে থাকে। যেমন রেডিওতে একে অপরের কথা শুনতে না পেরে মাঝখানে গড়বড় (ভুলভ্রান্তি) করে দেয়। এখানেও এরকমই হয়। যোগে মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে। সম্পূর্ণ পরিশ্রমতো যোগেই । যোগ ভারতের প্রাচীন বলাও হয়ে থাকে। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) এক বাবার প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা রেখে সত্য পান্ডব হয়ে উঠতে হবে। মৃত্যু সামনে অপেক্ষা করছে সেইজন্য পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে হবে।
২ ) কাম মহাশত্রু যা আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দিয়ে থাকে, তার উপর বিজয় প্রাপ্ত করে পবিত্র হতে হবে, স্মরণ দ্বারা বিকারের খাদ বের করে আত্মাকে গোল্ডেন এজের উপযুক্ত করে তুলতে হবে।
বরদানঃ-
যে বাচ্চা ‘মন্মনাভব’র স্থিতিতে স্থিত থাকে, সে অন্যদের মনের ভাবকেও জানতে পারে। মুখের কথা যেমনই হোক না কেন, সে কী বলতে চাইছে তাকে জানার অভ্যাস করে যাও । প্রত্যেকের মনের ভাবকে বুঝতে পারলে তার যে চাওয়া বা প্রাপ্তির ইচ্ছা আছে, তা পূর্ণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে বাচ্চারা তোমরা অবিনাশী পুরুষার্থী হতে পারবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সার্ভিসের সফলতা দেখা দেবে এবং পুরুষার্থ স্বরূপের পরিবর্তে সফলতা স্বরূপ হয়ে যাবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!