➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!
06 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
5 June 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার অব্যক্ত মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"উদাসীনতা আসার কারণ - ছোট-খাটো অবজ্ঞা"
আজ, অসীম জগতের সর্বোত্তম বাবা, যিঁনি তোমাদের সর্বোচ্চ বানান, তিনি চারিদিকে তাঁর বাচ্চাদের মধ্যে থেকে বিশেষ আজ্ঞাকারী বাচ্চাদের দেখছেন l বাচ্চারা তো সবাই নিজেকে আজ্ঞাকারী মনে করে, কিন্তু নম্বরক্রম আছে l কেউ সদা আজ্ঞাকারী আর কেউ আজ্ঞাকারী, কিন্তু সদা নয় l আজ্ঞাকারীর লিস্টে সব বাচ্চারা এসে যায়, কিন্তু তারতম্য অবশ্যই আছে l বাবা, যিঁনি তোমাদের আজ্ঞা দেন তিনি সব বাচ্চাকে একই সময় এক আজ্ঞাই দেন, আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন রকমের আজ্ঞাও দেন না, তবুও নম্বরক্রম কেন হয় ? কারণ যে সদা প্রতিটা সঙ্কল্প এবং প্রতিটা কর্ম করার সময় বাবার আজ্ঞার সহজ স্মৃতি-স্বরূপ হয়, সে আপনা থেকেই প্রতিটা সঙ্কল্প, বোল আর কর্মে আজ্ঞা অনুসারে চলে এবং যে স্মৃতিস্বরূপ হয় না, তাকে বারবার স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে হয় l কখনো স্মৃতির কারণে আজ্ঞাকারী হয়ে চলে আর কখনো খানিক যাওয়ার পরে বাবার আজ্ঞা মনে করে, কেননা আজ্ঞার স্মৃতিস্বরূপ নয়, যে শ্রেষ্ঠ কর্মের প্রত্যক্ষ ফল লাভ হয় সেই প্রত্যক্ষ ফলের অনুভূতি না হওয়ার কারণে কর্মের পরে মনে আসে যে এই রেজাল্ট কেন হলো ! তারা কর্ম করার পর নিজেদের চেক করে, তখন বুঝতে পারে, যে প্রত্যক্ষ ফল তাদের অনুভব হওয়ার ছিল, বাবার আজ্ঞা অনুসারে না চলার কারণে তা’ তাদের অনুভব হয়নি l একেই বলে, আজ্ঞার স্মৃতিস্বরূপ না হওয়া, কিন্তু কর্মের ফল দেখে স্মৃতি এসেছে l সুতরাং নম্বর ওয়ান হলো – সহজ, স্বতঃ স্মৃতিস্বরূপ, আজ্ঞাকারী l আর দ্বিতীয় নম্বর হলো- কখনো স্মৃতির সাথে কর্ম করে আর কখনো কর্মের পর তারা স্মৃতিতে আসে l তৃতীয় নম্বর যারা তাদের কথা তো জিজ্ঞাসাই ক’র না l মালা দু’টো l প্রথম মালা ছোট, দ্বিতীয় মালা বড় l যারা তৃতীয় তাদের তো মালাই নেই, সেইজন্য দুইয়ের বিষয়েই বাবা বলছেন l
‘আজ্ঞাকারী নম্বর ওয়ান’, সদা অমৃতবেলা থেকে রাত পর্যন্ত সারা দিনের দিনচর্যার সব কর্মে আজ্ঞা অনুসারে চলার কারণে কোনো কর্মে পরিশ্রম অনুভব করে না, বরং আজ্ঞাকারী হওয়ার বিশেষ ফল হিসেবে বাবার আশীর্বাদের অনুভূতি করে, কেননা আজ্ঞাকারী বাচ্চাদের জন্য তাদের প্রতি কদমে বাপদাদার হৃদয়ের আশীর্বাদ সাথে আছে, সেইজন্য হৃদয়ের আশীর্বাদের কারণে প্রতিটা কর্ম ফলদায়ী হয়, কারণ কর্ম বীজ আর বীজ থেকে যে প্রাপ্তি হয় সেটাই ফল l সুতরাং নম্বর ওয়ান আজ্ঞাকারী আত্মার সব কর্মরূপী বীজ শক্তিশালী হওয়ার কারণে সব কর্মের ফল রূপে সন্তুষ্টতা, সফলতা প্রাপ্ত হয় l সন্তুষ্টতা আপনাআপনিও হয় আর কর্মের রেজাল্ট থেকেও হয় আবার অন্য আত্মাদের সম্বন্ধ-সম্পর্ক থেকেও হয় l নম্বর ওয়ান আজ্ঞাকারী আত্মাদের তিন রকমেরই সন্তুষ্টতা নিজে থেকেই সদা অনুভব হয় l অনেকবার কিছু কিছু বাচ্চা নিজের কর্মে সন্তুষ্ট হয় যে তারা বিধিসম্মত ভাবে খুব ভালো কাজ করেছে, অথচ তারা নিজেরা সফলতা রূপী ফল যতটা হওয়া উচিত মনে করে ততটা তাদের প্রতীয়মান হয় না, আবার কোথাও নিজেও সন্তুষ্ট, ফলেও সন্তুষ্ট কিন্তু সম্বন্ধ-সম্পর্কে সন্তুষ্টতা হয় না, সুতরাং এদের নম্বর ওয়ান আজ্ঞাকারী বলবে না l নম্বর ওয়ান আজ্ঞাকারী তিন বিষয়েই সন্তুষ্টতা অনুভব করে l
বর্তমান সময় অনুসারে কিছু শ্রেষ্ঠ আজ্ঞাকারী বাচ্চাদের দ্বারা কখনো কখনো কোনো কোনো আত্মা নিজের মধ্যে অসন্তুষ্টতাও অনুভব করে l তোমরা ভাববে এমন তো কেউ নেই যার দ্বারা সবাই সন্তুষ্ট হবে l কেউ না কেউ অসন্তুষ্ট হয়েই যায়, কিন্তু তার জন্য অনেক কারণ থাকে l নিজস্ব কারণ তাদের জানা না থাকায় মিসান্ডারস্ট্যান্ড (ভুল বোঝাবুঝি) করে l দ্বিতীয়ত: – নিজেদের বুদ্ধি অনুযায়ী বড়দের থেকে তাদের অনেক বেশি প্রত্যাশা, ইচ্ছা থাকে আর সেই ইচ্ছা যখন পূর্ণ হয় না তখন অসন্তুষ্ট হয়ে যায় l তৃতীয়ত:- কোনো কোনো আত্মার অতীত সংস্কার-স্বভাব এবং হিসেব-নিকেশের কারণেও যতটা সন্তুষ্ট হওয়া উচিত ততটা সন্তুষ্ট হয় না l এর কারণ নম্বর ওয়ান আজ্ঞাকারী আত্মার অথবা শ্রেষ্ঠ আত্মাদের দ্বারা সন্তুষ্টতা না পাওয়ার কারণে যে হয় তা’ নয়, বরং নিজের কারণেই অসন্তুষ্ট থেকে যায়, সেইজন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে যদিও দেখা যায় যে একে অপরের প্রতি অসন্তুষ্ট, কিন্তু তার মধ্যে মেজরিটি সন্তুষ্ট হবে অন্ততঃ শতকরা ৯৫ ভাগের কাছাকাছি, দেখা যায় ৫% অসন্তুষ্ট l সুতরাং নম্বর ওয়ান আজ্ঞাকারী বাচ্চাদের মেজরিটি তিন ভাবেই অন্যদের সন্তুষ্টতা অনুভব করাবে এবং সদা আজ্ঞা অনুসারে শ্রেষ্ঠ কর্ম হওয়ার কারণে প্রতিটা কর্ম করার পর সন্তুষ্ট হওয়ার কারণে কর্ম দ্বারা তাদের বুদ্ধি ও মন বারবার বিচলিত হবে না এই ভেবে যে তারা ঠিক করেছে কি করেনি ! যারা সেকেন্ড নম্বরের তারা কর্ম করার পর প্রায়ই তাদের মনে সঙ্কল্প চলে, জানিনা ঠিক করেছি কি করিনি ! তোমাদের ভাষায় যেটাকে বলো বিবেক দংশন হয় যে ঠিক করিনি l নম্বর ওয়ান আজ্ঞাকারী আত্মাদের কখনো বিবেক দংশন হবে না, আজ্ঞা অনুসারে চলার কারণে সদা হালকা থাকে, কেননা কর্মের বন্ধনের বোঝা নেই l আগেও তোমাদের বলা হয়েছিল যে, এক হলো কর্মের সম্বন্ধে আসা, দ্বিতীয়তঃ, কর্মের বন্ধন- বশে কর্ম করা l সুতরাং নম্বর ওয়ান আত্মা সদা কর্মের সম্বন্ধে আসবে, সেইজন্য সদা হালকা হয় l নম্বর ওয়ান আত্মা সব কর্মে বাপদাদা দ্বারা বিশেষ আশীর্বাদ প্রাপ্তির কারণে, সব কর্ম করার সময় আশীর্বাদের ফলস্বরূপ সদাই আন্তরিক উইল পাওয়ার অনুভব করবে l সদা অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব করবে, সদা নিজেকে পরিপূর্ণ অর্থাৎ সম্পন্ন অনুভব করবে l
কখনো কখনো কোনো কোনো বাচ্চা বাবার সামনে নিজের হৃদয়ের অবস্থা শুনিয়ে কী বলে ? জানিনা, কেন ‘আজ নিজেকে বড় খালি- খালি লাগছে’, কোনো কিছুও ঘটেনি, কিন্তু সম্পন্নতা অথবা সুখের অনুভূতি হচ্ছে না l সাধারণত:, সেই সময় হয়তো তারা কোনো অন্যায্য কার্য কিংবা কোনো ছোট-খাটো ভুল করে না, কিন্তু চলতে চলতে না জেনে অসাবধানতায় সময় সময়ে আজ্ঞা অনুসারে কাজ করে না l আগের সময়তে করা অবজ্ঞার বোঝা কোনও সময় নিজের দিকে টেনে নেয় l যেমন বিগত জন্মের কড়া সংস্কার, স্বভাব কখনো কখনো না চাইতেও নিজের দিকে টেনে নেয়, এইভাবে সময় সময়ে করা বিভিন্ন অবজ্ঞার বোঝা কখনো কখনো নিজের দিকে টানে l সেগুলো অতীতের হিসেব-নিকেশ, এগুলো বর্তমান জীবনের হিসেব, কেননা যে কোনও হিসেব- সেটা এই জন্মের হোক বা বিগত জন্মের, তন্ময়তার অগ্নি-স্বরূপ স্থিতি ব্যতীত তা’ ভস্ম হয় না l সদা অগ্নি-স্বরূপ স্থিতি অর্থাৎ শক্তিশালী স্মরণের স্থিতি, বীজরূপ, লাইট হাউস্, মাইট হাউস্ স্থিতি সদা না হওয়ার কারণে হিসেবনিকেশ ভস্ম করতে তোমরা অপারগ, সেইজন্য রয়ে যাওয়া হিসেব নিজের দিকে টানে l সেই সময় তোমরা কোনো ভুল করো না, তবুও তোমাদের মনে হয়, জানিনা কী হয়েছে ! কখনো কখনো তোমাদের মন লাগবে না স্মরণে, সেবায় বা কখনো উদাসীনতার তরঙ্গ হবে l এক হয় জ্ঞান দ্বারা শান্তির অনুভব, আরেক হয় বিনা খুশিতে, বিনা আনন্দে নীরবতার শান্তি l সেই শান্তি রসবিহীন l শুধু মনে হবে, কোথাও একা চলে যেতে, নির্জনে বসে থাকতে l এই সব লক্ষণ হলো কোনো না কোনও অবজ্ঞার l কর্মের বোঝা টানে l
অবজ্ঞা এক তো হয় পাপ কর্ম করা অথবা কোনো ভুল কর্ম করা এবং দ্বিতীয় হলো ছোট ছোট অবজ্ঞা l যেমন, বাবার আজ্ঞা হলো – অমৃতবেলায় বিধিসম্মত ভাবে শক্তিশালী স্মরণে থাকো l সুতরাং অমৃতবেলা যদি এই আজ্ঞা অনুসারে না চলো তাহলে তাকে কী বলবে ? আজ্ঞাকারী হওয়া নাকি অবজ্ঞা ? সব কর্ম কর্মযোগী হয়ে করো, নিমিত্ত ভাব থেকে করো, নির্মাণ হয়ে করো – এটা আজ্ঞা l এইরকম তো অনেক বড় লিস্ট আছে, কিন্তু বাবা শুধু দৃষ্টান্তরূপে বলছেন l দৃষ্টি, বৃত্তি সবকিছুর জন্য বাবা নির্দেশ দিচ্ছেন l এই সব আজ্ঞার মধ্যে কোনও আজ্ঞা যদি বিধিপূর্বক পালন না করা হয় তাহলে সেটাকে বলা হয় ছোট-খাটো অবজ্ঞা l এই হিসেব যদি সঞ্চিত হতে থাকে তাহলে তো অবশ্যই সেটা নিজের দিকে টানবে, তাই না ! সেইজন্য তোমরা বলো, যতটা হওয়া উচিত, ততটা হয় না l যখন তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, নির্দেশিত পথে এগোচ্ছ কিনা তো সবাই বলবে – হ্যাঁ l আর যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তোমাদের যতটা সঞ্চয় হওয়া উচিত ততটা হয়েছে, তখন তোমরা সেটা ভাবো l এত ইশারা পাচ্ছ, নলেজফুল হচ্ছ তবুও যতটা হওয়া উচিত ততটা হয় না, কারণ ? অতীত বা বর্তমান বোঝা ডবল লাইট হতে দেয় না l কখনো ডবল লাইট হয়ে যায় তো কখনো বোঝা নীচে নিয়ে আসে l সদা অতীন্দ্রিয় সুখ বা খুশি সম্পন্ন শান্ত স্থিতি অনুভব করে না l বাপদাদার আজ্ঞাকারী হওয়ার বিশেষ আশীর্বাদের লিফ্টের প্রাপ্তির অনুভূতি হয় না l সেইজন্য কোনো সময় সহজ হয়, কোনো সময় পরিশ্রম লাগে l নম্বর ওয়ান আজ্ঞাকারীর বিশেষত্ব তোমরা স্পষ্ট শুনেছ l তাহলে নম্বর টু কে ? যার মধ্যে এই বিশেষত্বের অভাব রয়েছে, সে নম্বর টু আর তারা দু’ নম্বর মালায় হয়ে যায় l অতএব, প্রথম মালায় তো আসতে হবে, তাই না ? কঠিন কিছুই না l প্রতি কদমের আজ্ঞা স্পষ্ট, তাহলে সেই অনুসারে চলা সহজ নাকি কঠিন ? অজ্ঞাই বাবার কদম l সুতরাং কদমে কদম রাখা তো সহজ হয়, তাই না ! যেমনই হোক, তোমরা সবাই প্রকৃত সীতা, সখি l সুতরাং সখিরা তো কদমে কদম রাখে, তাই না ? এটাই বিধি, না ! তাহলে কঠিন কী হলো ! বাচ্চা হওয়াইর সুবাদেও দেখ – বাচ্চা অর্থাৎ যে বাবার ফুটস্টেপে (পদাঙ্ক) চলে l বাবা যেমন বলেন তেমনই করে l বাবার আদেশ আর বাচ্চাদের করা – একে বলে নম্বর ওয়ান আজ্ঞাকারী l সুতরাং চেক করো আর চেঞ্জ করো l আচ্ছা !
চতুর্দিকের সকল শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, যারা, সদা বাবা দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া আশীর্বাদের অনুভূতি করে সেই বিশেষ আত্মাদের, সদা সব কর্মে সন্তুষ্টতা, সফলতা অনুভব করে সেই মহান আত্মাদের, সদা পদাঙ্কে কদম রাখে সেই আজ্ঞাকারী বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l
“পার্টিদের সাথে বাপদাদার মধুর সাক্ষাৎকার:-“
১) সদা নিজেদের আধ্যাত্মিক যাত্রী মনে করো ? যাত্রা করাকালীন কী স্মরণ করবে ? যেখানে যেতে হবে সেটাই তো স্মরণ থাকবে, তাই না ! যদি আর কোনো বিষয় মনে আসে সেটা ভুলিয়ে দাও l যদি কোনো দেবীর যাত্রায় যাও তখন তোমরা ‘জয় মাতা-জয় মাতা’ বলতে থাক l যদি অন্য কেউ মনে আসে তো তোমরা সেটা ভালো মনে করো না l এমনকি, একে অন্যকে স্মরণ করিয়ে দিতে থাক, ‘জয় মাতা’ স্মরণ করো, ঘর-সংসার বা বাচ্চাদের স্মরণ ক’র না, মাতাকে স্মরণ করো l সুতরাং অধ্যাত্ম যাত্রীদের সদা কী স্মরণে থাকে ? নিজের ঘর পরমধাম স্মরণে তো থাকে, তাই না ? সেখানেই যেতে হবে l সুতরাং নিজের ঘর আর নিজের রাজ্য স্বর্গ – দুইই স্মরণে থাকে নাকি অন্য বিষয়ও স্মরণে থাকে ? পুরানো দুনিয়া মনে পড়ে না তো ? এ’ রকম হওয়া উচিত নয় যে এখানে থাকো, সেইজন্য মনে পড়ে যায় l এর মধ্যে থেকেও এর থেকে স্বতন্ত্র থাকতে হবে, কেননা যত স্বতন্ত্র থাকবে, ততই ভালোবাসার সাথে বাবাকে স্মরণ করতে পারবে l সুতরাং চেক করো পুরানো দুনিয়ায় থেকে পুরানো দুনিয়ায় আটকে যাও না তো ? কমল ফুল কাদামাটিতে থাকে কিন্তু কাদামাটি থেকে পৃথক থাকে l অতএব, সেবার জন্য থাকতে হয়, মোহের কারণে নয় l তাহলে মাতাদের মোহ নেই তো ? যদি নাতিপুতিদের সামান্য কিছু হয়ে যায়, তখন মোহ হবে ? যদি তারা সামান্য কাঁদে তো তোমাদের মনও একটু কাঁদবে কি ? কারণ যেখানে মোহ হয় সেখানে অন্যের দুঃখেও নিজের দুঃখ বোধ হয় l এ’ রকম নয় যে তার জ্বর হলে তোমার মনেরও জ্বর হবে ! মোহ তো তোমাদের আকর্ষণ করে, পেপার তো আসে, তাই না ! কখনো নাতি অসুস্থ হবে, কখনো নাতনি l কখনো ধনের সমস্যা আসবে, কখনো নিজের রোগের সমস্যা আসবে l এতো হবেই l কিন্তু তোমরা অবশ্যই সদা স্বতন্ত্র থাকো, মোহবশ যেন হয়োনা l এই রকম নির্মোহ হয়েছ তোমরা ? মাতাদের মোহ হয় সম্বন্ধের প্রতি আর পাণ্ডবদের মোহ হয় পয়সার প্রতি l পয়সা উপায় করতে গিয়ে স্মরণও ভুলে যাবে l শরীর নির্বাহ করার নিমিত্তে কাজ করা আলাদা বিষয়, কিন্তু এইভাবে ডুবে থাকায় না পঠন-পাঠন মনে আসবে, না স্মরণের অভ্যাস হবে …
একেই বলবে মোহ l তাহলে, মোহ তো নেই, না ? যত নষ্টমোহ হবে ততই স্মৃতিস্বরূপ হবে l
“কুমারদের সাথে:-” যারা চমৎকার করে তোমরা সেই কুমার, তাই না ? কী চমৎকার দেখাবে ? সদা বাবাকে প্রত্যক্ষ করানোর উৎসাহ-উদ্দীপনা তো থাকেই, কিন্তু তার বিধি কী ? আজকাল তো ইয়ুথ-এর দিকেই সবার নজর l অধ্যাত্ম ইয়ুথ নিজের মন্সা শক্তি দ্বারা, বোল দ্বারা, আচার-আচরণ দ্বারা শান্তির শক্তির এমন অনুভব করাও যাতে লোকে বোঝে যে তোমরা শান্তির শক্তির দ্বারা ক্রান্তি করবে l জাগতিক ইয়ুথের আচরণে এবং মুখমন্ডলে উত্তেজনা দেখা দেয়, তাই না ! দেখেই বোঝা যায় যে এরা ইয়ুথ l এইরকম তোমাদের মুখে আর আচরণে শান্তির অনুভূতি হোক – একে বলে চমৎকার করা l প্রত্যেকের বৃত্তি দ্বারা যেন ভাইব্রেশন আসে l যেমন তাদের আচরণ দ্বারা, মুখমন্ডল দ্বারা ভাইব্রেশন আসে যে তারা হিংসক বৃত্তির, তেমন তোমাদের ভাইব্রেশন দ্বারা শান্তির কিরণ অনুভব হোক l এ’ রকমই চমৎকার করে দেখাও l কেউ যখন ক্রান্তির কার্য করে তো তার দিকেই সবার অ্যাটেনশন যায়, তাই না ! ঠিক সে’ভাবেই তোমাদের উপরে যেন সকলের অ্যাটেনশন যায় – এ’ রকম বিশাল সেবা করো, কেননা, তোমরা জ্ঞান শোনালে তো তাদের ভালোই লাগে, কিন্তু কারও পরিবর্তন হওয়ার অনুভব দেখে তারা অনুভাবী হয় l এ’ রকম কোনো অভিনব কিছু করে দেখাও l বাণী দ্বারা তো মাতারাও সেবা করে, নিমিত্ত বোনেরাও সেবা করে, কিন্তু তোমরা নবীনত্ব করে দেখাও যাতে গভর্নমেন্টেরও অ্যাটেনশন যায় l যেমন, যখন সূর্য উদয় হয় তখন আপনা থেকেই অ্যাটেনশন যায়, যে আলো আসছে, তাই না ! ঠিক একই ভাবে তোমাদের দিকে অ্যাটেনশন যেতে দাও l বুঝেছ ?
বরদানঃ-
আত্মাদের বহু সময় ধরে ইচ্ছা বা আশা থাকে, নির্বাণ বা মুক্তিধামে যাওয়ার l সেই জন্যই অনেক জন্ম ধরে অনেক প্রকারের সাধনা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছে l এখন প্রত্যেকে সফলতা চায়, না শুধু সাধনা l সফলতা অর্থাৎ সদগতি – সুতরাং এ’ রকম ক্লান্ত ক্লিষ্ট পিপাসার্ত আত্মাদের পিপাসা মেটানোর জন্য তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মাকে নিজেদের সাইলেন্সের শক্তি অথবা সর্বশক্তি দ্বারা এক সেকেন্ডে সফলতা এনে দিতে হবে, তবেই বলা হবে ঈশ্বরীয় সেবক l
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!