06 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 5, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এই মহাভারতের লড়াইয়ে পুরানো বৃক্ষের অবসান হতে হবে, তাই এই লড়াইয়ের পূর্বে বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার গ্রহণ করো"

প্রশ্নঃ --

বাবার মাতাদের সংগঠন প্রয়োজন, কিন্তু সেই সংগঠনের বিশেষত্ব কি হবে ?

উত্তরঃ -:-

এমন সংগঠন থাকবে, সেখানে দেহী অভিমানী থাকার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ হবে । যাদের দৃঢ় নেশা থাকবে যে, আমাদের পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়া বানাতে হবে । পতিত হলে চলবে না । নষ্টমোহ গ্রুপ হলেই তখন কোনো আশ্চর্য করে দেখাবে । কারোর প্রতিই কোনো আকর্ষণ থাকা উচিত নয় । মোহের আকর্ষণ অনেক ক্ষতি করে দেয় ।

ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চারা এই কথা জানে যে, মিষ্টি বাবা আমাদের স্বর্গবাসী বানাতে এখানে এসেছেন । এ’কথা বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে । প্রত্যেককেই এই কথা বোঝাতে হবে যে, আমি আত্মা এই স্মরণের যাত্রাতে পবিত্র হই । এ কতো সহজ উপায়, কেবলমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে হবে । বাচ্চারা জানে যে, বাবা এক সেকেণ্ডে মুক্তি – জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার দেন । এখন সবাই জীবনবন্ধ অবস্থায় আছে, রাবণ রাজ্যের বন্ধনে আছে । এই কথা বাবা জানে আর বাচ্চারা জানে, আর কেউই জানে না । বাচ্চারা, তোমাদের নিশ্চয়তা আছে যে, অসীম জগতের পিতাকে আমরা স্মরণ করি, তাই আত্মাদের অন্তরে খুব খুশী হওয়া চাই । যে বাবাকে আমরা অর্ধেক কল্প ধরে ডাকতাম…. সেই বাবাকে পেয়েছি । দুঃখে মানুষ বাবাকে স্মরণ করতে থাকে । তোমরাও স্মরণ করতে, কিন্তু এখন তোমরা দুঃখী হয়ে স্মরণ করো না । যাঁকে সম্পূর্ণ দুনিয়া ডাকতে থাকে, সেই বাবা এখন এসেছেন, এ’কথা তোমরা জানো । বাবা বার বার বুঝিয়েছেন — তোমরা এখানে যখন বসো, তখন মনে করো যে, আমরা হলাম আত্মা । বাবা পরমধাম থেকে এসেছেন । কল্প – কল্প তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে আসেন । বাবার এই প্রতিজ্ঞা যে, তোমরা যখন ডাকবে, আর অর্ধেক কল্প যখন সম্পূর্ণ হয়ে আসে, তখন আমাকে আসতে হয় । কলিযুগের পর সত্যযুগ হতে হবে, তাই আমাকে আসতে হয় । একথা শুধু তোমরা বাচ্চারা জানো যে, এ হলো সঙ্গম যুগ, এখন বাবা এসেছেন । বাচ্চারা, তোমরাও সেবা করো, দিন – প্রতিদিন তোমরা বাবার পরিচয় দিতে থাকো, বাবার পরিচয় সকলেই পেতে থাকে । তোমরা এখানে বসে থাকো, তোমরা জানো যে, অসীম জগতের পিতা শিব বাবা আবার আমাদের অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রদান করতে এসেছেন । তোমরা তো বাবা – বাবা বলতে থাকো, তাই না । আমরা শিব বাবার কাছে এসেছি । শিব বাবাও বলেন যে, আমি পূর্ব কল্পের মতো সাধারণ তনে এসেছি । এ কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয় । মায়া এমনভাবে বাবার স্মরণ ভুলিয়ে দেয়, যাতে আবার পতিত থেকে পবিত্র হতে হয় । তোমরা জানো যে, সর্বের সদগতি দাতা একজনই সদগুরু । শিখরাও গেয়ে থাকে — সৎ শ্রী অকাল, পতিত পাবনকেই সৎগুরু বলা হয় । ডাকতেও থাকে — হে পতিত পাবন । আত্মা ডাকতে থাকে । তোমরা এখন জানো যে, আমরা এখানে বাবার সঙ্গে সম্মুখে মিলিত হতে এসেছি । বড় – বড় মানুষ একে অপরের কাছে মিলিত হতে আসে, তাদের কতো মহিমা হয় । ধুমধাম করে আজানের জন্য খুশীতে ব্যান্ড ইত্যাদি বাজানো হয় । এখানে গুপ্ত বেশে কে এসেছে, এ তোমরাই জানো । তাঁকে বলা হয় — দূরদেশে থাকা পথিক (মুসাফির) ।

তোমরা জানো যে, আমরা আত্মারা পরমধামে থাকি । এখানে এখানে মুসাফির হয়ে অভিনয় করতে আসি । এক – একটি শব্দ বাবা যা বোঝান – এই দুনিয়াতে কেউই জানে না । তোমরা এখন বাবার কাছ থেকে শুনছো । এ খুব ভালোভাবে ধারণ করা চাই । বাবা বোঝান যে, তোমরা সকলেই এই কর্মক্ষেত্রের মুসাফির । আমরা শান্তিধামে থাকি তারপর এই টকি ওয়ার্ল্ডে আসি । আমরা শান্তিধামের মুসাফির, কিন্তু আমরা ৮৪ জন্ম এখানে অভিনয় করি । অবশেষে এ হলো অন্তিম সময় । তাই বাবা এখন এসেছেন — এই পুরানো সৃষ্টিকে নতুন করতে । এও তোমরাই জানো । এই চিত্রও পরিস্কার যে, শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা নতুন দুনিয়ার স্থাপনা করেন । এমন তো নয় যে তিনি কৃষ্ণের দ্বারা, বিষ্ণুর দ্বারা স্থাপনা করেন । বাবা আসেনই ব্রহ্মার দ্বারা স্বর্গের রচনা করতে । বাবা সাধারণের তনে এসেছেন । এ হলো পতিত দুনিয়া, এখানে একজনও পবিত্র কেউ নেই, যেখানে প্রথম নম্বরের লক্ষ্মী – নারায়ণও পতিত হয়ে যায় । যারা পবিত্র ছিলো, তারাই সম্পূর্ণ সাম্রাজ্য সমেত পতিত হয়ে গেছে । তোমরা জানো যে, আমরা যে দেবতা ধর্মের ছিলাম, তারা সবাই এখন শূদ্র ধর্মের হয়ে গেছে । যদিও আমেরিকা ইত্যাদিতে অনেক বড় – বড় বিত্তবানরা থাকে, কিন্তু সত্যযুগের সামনে আমেরিকা কিছুই নয় । এ সবই পরের দিকে হয়েছে । এ হলো অল্পকালের মায়ার চমক । বিনাশ তো হবেই । বাচ্চারা, তোমাদের খুব সুন্দর নেশা থাকা উচিত । বাবা, যিনি আমাদের স্বর্গের মালিক বানান, আমরা বাচ্চারা তাঁকে স্মরণ করবো না, এ কতো আশ্চর্যের । মায়া কিন্তু স্মরণ করতে দেয় না । বাচ্চারা, তোমরা এখন এমন বলো — বাবা, মায়া আমাদের স্মরণ করতে দেয় না । আরে বাবা, যিনি তোমাদের ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের মালিক বানান, তাঁকে তোমরা কি স্মরণও করতে পারো না ? পূর্বে সবাই সুখী ছিলো । এখন তো সবাই দুঃখী । প্রাইম মিনিস্টার, প্রেসিডেন্ট ইত্যাদিদের তো রাত দিন চিন্তা লেগে থাকে । লড়াই ইত্যাদিতে কতো মানুষ মরতে থাকে । তোমরা জানো যে, মহাভারত লড়াইও বিখ্যাত, কিন্তু তাতে কি হয়েছিলো, একথা কারোর বুদ্ধিতে নেই । তোমাদের বুদ্ধিতে বাবা এই কথা বসিয়েছেন । মহাভারতের যুদ্ধে সবাই মারা গিয়েছিলো । এই মনুষ্য সৃষ্টি কতো বড় । আত্মাদেরও বৃক্ষ রয়েছে । প্রথমে যখন গাছ নতুন থাকে তখন অনেক ছোটো হয়, তারপর বৃদ্ধি পেতে থাকে । তোমরা জানো যে, প্রথমে যখন দেবী – দেবতার ধর্ম ছিলো, তখন বৃক্ষ কতো ছোটো ছিলো । তখন আদি – সনাতন – দেবী – দেবতা ধর্ম ছিলো । এখন কতো বিভিন্ন ধরনের ধর্ম । ওই মহাভারতের লড়াই দ্বারা এই সবকিছুর বিনাশ হয়ে যাবে কিন্তু এই জ্ঞান কারোর মধ্যেই নেই । যদিও তারা বলবে, এ হলো সেই লড়াই, কিন্তু এতে কি হবে, এ কথা জানে না । তোমরা এখন জ্ঞানের আলোয় আছো । তোমরা জানো যে, বিনাশ হয়ে যাবে, তাই মহাভারতে লড়াইয়ের পূর্বে নিজের উত্তরাধিকার তো নিয়ে নেবে । এ কথা তো খুবই সহজ । তোমরা পবিত্র হও আর বাবাকে স্মরণ করো । অনেক বাচ্চাদের উপর অত্যাচার হয় । তোমাদের মতো মায়েদের সংগঠন হওয়া উচিত একে অপরকে বাঁচানোর জন্য কিন্তু এতে তোমাদের দেহী – অভিমানী অবশ্যই হতে হবে । আমাদের তো অবশ্যই পবিত্র হতে হবে — এই নেশা দৃঢ়ভাবে থাকা উচিত । এমন নেশায় যারা থাকবে, তারাই বোঝাতে পারবে । আমাদের বাবাকে স্মরণ করতে হবে, পবিত্র হতে হবে । আমরা হলাম স্বদর্শন চক্রধারী – এই নেশা থাকা উচিত । আমরা রচয়িতা বাবা আর রচনার চক্রকে জানি । আমাদের এখন বাবার কাছ থেকে নতুন দুনিয়া সত্যযুগের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । আমরা কিভাবে ৮৪ জন্মগ্রহণ করি, একথা বোঝাতে থাকো । বাবা বলেন যে, আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ নষ্ট হয়ে যাবে । তোমাদের তো অবশ্যই পাবন হতে হবে । পাবন অর্থাৎ পবিত্র । কাম হলো মহাশত্রু । আমরা ৮৪ জন্মের চক্র সম্পূর্ণ করেছি, এখন বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । বাবা বলেন যে, তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । এখানে তো আসেই রিফ্রেশ হতে । আমি অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো — তোমাদের ২১ জন্মের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । কারোর প্রতিই মোহের আকর্ষণ থাকা উচিত নয় । তোমাদের নষ্টমোহা হতে হবে । এই শরীরের প্রতিও যেন মোহ না থাকে । এ তো পুরানো চামড়া, কিন্তু এর দেখভাল করতে হয়, যাতে এই জ্ঞান অর্জন করতে পারো । শরীরে যদি কোনো সমস্যা হয় তখন তাকে ঠিকও করতে হয় । তোমরা জানো যে, এই পুরানো শরীর এখন ক্ষয়গ্রস্ত । এর কিছু না কিছু হতেই থাকে । আত্মা সেই দুঃখ ভোগ করে । তোমরা জানো যে, এখন এই শরীর ত্যাগ করতে হবে । যোগবলের দ্বারা একে আটকাতে হবে । বাবাকে স্মরণ করতে হবে । নিজেকে আত্মা মনে করে কেবল বাবাকে স্মরণ করতে হবে, ব্যস । আর কোনো লৌকিক সম্বন্ধ স্মরণে আসা উচিত নয় । আমি দেহ নই, আত্মা । বাবা বলেন যে, আমি তোমাদের আত্মাদের উত্তরাধিকার প্রদান করতে এসেছি । আত্মা পবিত্র হলে তখন শরীরও পবিত্র পাওয়া যাবে ।

তোমরা জানো যে, এখন আমাদের আত্মাকে পবিত্র হতে হবে । আমরা এই লক্ষ্মী – নারায়ণের মতো পবিত্র ছিলাম । এই লক্ষ্মী – নারায়ণ ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন । সম্পূর্ণ সূর্যবংশী সম্রাজ্য ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছে । চন্দ্রবংশীদের জন্য ৮৪ জন্ম বলা হবে না । হ্যাঁ, যারা সূর্যবংশীতে প্রথম দিকে দাস – দাসী হবে, তারা ত্রেতাতে কিছু পদ পাবে তাদের ৮৪ জন্ম বলা হবে । রাজা – রানী – প্রজা, আর যারা দাস – দাসী সূর্যবংশী রাজত্বে আসে, তারাই ৮৪ জন্মগ্রহণ করে । এমনভাবে নিজেদের সঙ্গে কথা বলতে হবে । আমরা কিভাবে ৮৪ জন্মগ্রহণ করি । তোমাদের বিচার সাগর মন্থন করা উচিত । যতটা সম্ভব বাবাকে আর তাঁর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে থাকো । চলতে – ফিরতে মনে করো যে, আমি বাবার সন্তান । কাউকে যদি পাও, তাকে বাবার পরিচয় দিতে হবে । এই চিত্রের মধ্যে সম্পূর্ণ নলেজ আছে । সবকিছুই বলতে হবে । বাবা এসেছেন ব্রহ্মার তনে । আমরা সকলেই তো ব্রহ্মাকুমার আর কুমারী, তাই না । আমাদের মতো বি.কে.দের স্বর্গের মালিক বানাতে বাবা এসেছেন । সমস্ত আত্মাদের বাবা হলেন একজন । আমরা হলাম ব্রহ্মাকুমার – ব্রহ্মাকুমারী । নিজেদের কার্ডও দেখাতে পারো । যদি কোথাও অফিস ইত্যাদি জায়গায় কার্ড দাও, তবুও তারা বুঝতে পারে না যে, ব্রহ্মাকুমারীরা কে । অনেক প্রকারের বিঘ্ন আসে । গভর্নমেন্টকেও বোঝানো হয় যে — এ হলো আমাদের পরিবার । এখানে দাদু আর বাবা আছেন । দাদুর কাছ থেকে আমরা উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি । এই কথা স্মরণে এলে খুশীতে থাকা উচিত, সম্পত্তি তো দাদুর । নাতিদের তো অধিকার থাকে, সম্পূর্ণ অংশ ভাগ করে নেয় ।

তোমরা জানো যে – শিব বাবার কাছ থেকে আমরা ব্রহ্মার দ্বারা উত্তরাধিকার গ্রহণ করি । এ কথা স্মরণে রাখা চাই । নিজে পড়তে হবে তারপর অন্যদেরও পড়াতে হবে । বাচ্চাদের পালন করা হলো বাবার দায়িত্ব । যতক্ষণ না কুমার – কুমারী সাবালক হচ্ছে, ততক্ষণ বাবাকে তাদের দেখভাল করতে হবে । বাচ্চাদের কাজ হলো পড়া । নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য তারা পড়াশোনা করে । তোমরা জানো যে, বাবা আমাদের ২১ জন্মের জন্য পড়াচ্ছেন । তারপর আমরাও নিজের পায়ে দাঁড়াবো । তোমরা যতো পড়বে তত উঁচু পদ পাবে । তোমরা নিজেরাই বলো, আমরা এখানে আসি শ্রী লক্ষ্মী – শ্রী নারায়ণ হতে । এ তো সত্যনারায়ণের কথা, তাই না । কেউই জানে না যে, কিভাবে লক্ষ্মী – নারায়ণ ৮৪ জন্মগ্রহণ করে । রাধার ভক্ত হলে বলবে, রাধা সর্বত্র বিরাজিত । যেখানেই দেখো রাধাই রাধা, কৃষ্ণই কৃষ্ণ, শিবই শিব । এরা সবকিছুই মিলিয়ে মিশিয়ে দিয়েছে । ঈশ্বর, রাধা, কৃষ্ণ সকলেই সর্বব্যাপী । এরা সবাই ঈশ্বরের রূপ । ভগবান এই রূপ ধারণ করেছেন । যেখানেই দেখো সেখানেই…. তুমিই তুমি…. সম্পূর্ণ অবুঝ হয়ে বসে আছে । এ হলো বিকারী পতিত দুনিয়া । সত্যযুগ হলো নির্বিকারী পবিত্র দুনিয়া । নির্বিকারী দুনিয়ার অর্থই হলো স্বর্গ । মানুষ বলে, ওখানে তো বাচ্চা থাকে, তাই না । তাদের কিভাবে জন্ম হবে । ব্যস, এই প্রশ্নই জিজ্ঞেস করতে থাকবে । ওরা বলবে, বাচ্চার জন্ম না হলে সৃষ্টি কিভাবে বৃদ্ধি পাবে ! প্রতি বছর যখন আদমসুমারীর হিসেব বের করে, তখন দেখা যায় কতো বেশী মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে । একথা বলে না যে, কতোজনের মৃত্যু হয়েছে । তাই বাচ্চাদের প্রথমে তো নিজের কল্যাণ করতে হবে । আমি আত্মা — একথা তো প্রথমে নিশ্চিত করো । বাবাকে স্মরণ করতে হবে । অন্তকালে যে নারায়ণকে স্মরণ করে — এখন নারায়ণকে স্মরণ করা — এই শব্দ মিথ্যা লেখা হয়েছে । অন্তকালে যে শিব বাবাকে স্মরণ করে — তাঁর চিন্তনে যে দেহত্যাগ করবে, সেই স্বর্গের নারায়ণ হবে । অন্তকালে নারায়ণের কথা কেন বলে ? মনে করে যে, কৃষ্ণ জ্ঞান দিয়েছিলো, তাহলে কৃষ্ণকে স্মরণ করি । তাই কৃষ্ণকে স্মরণ করে । নারায়ণের কথা কেউই জানে না । কৃষ্ণের জয়ন্তী পালন করে, রাধার জয়ন্তী কোথায় পালন করে ? কৃষ্ণের জন্ম পালন করে, নারায়ণের কোথায় ? এই পৃথিবীর রাজা – রানী লক্ষ্মী – নারায়ণের কথা কেউই জানে না । প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী হবে, তাই না । তাঁরা কোথায় গেলো ? বলে থাকে – ব্রাহ্মণ দেবতায়ে নমঃ । ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী ছিলো, তাই না । বাচ্চারা বুঝতে পারে যে, ব্রহ্মার দ্বারা শিব বাবা ব্রাহ্মণ ধর্ম স্থাপন করেন । ব্রাহ্মণ ধর্ম ব্রহ্মা রচনা করেননি বরং শিব বাবা রচনা করেছিলেন । ইনি তো এখন ব্রহ্মা হয়েছেন । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন এবং সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই পুরানো শরীরে থেকে এই ঈশ্বরীয় পড়া পড়ে ২১ জন্মের জন্য উপার্জন করতে হবে, তাই এই শরীরকে রক্ষা করতে হবে । বাকি এর প্রতি আকর্ষণ রাখবে না ।

২ ) এমন অভ্যাস করতে হবে যাতে অন্তিম সময়ে শিব বাবাই স্মরণে থাকে । অন্য কোনো চিন্তায় যাবে না । নিজের কল্যাণ করতে হবে ।

বরদানঃ-

শিবশক্তি যেমন কম্বাইন্ড, তেমনই পাণ্ডবপতি আর পাণ্ডব কম্বাইন্ড । যে এমন কম্বাইন্ড রূপে থাকে, তার সামনে বাপদাদা সাকারে সর্ব সম্বন্ধে সামনে থাকে । এখন দিনে দিনে আরো অনুভব করবে যে, বাপদাদা যেমন সামনে এসেছেন, হাত ধরেছেন, বুদ্ধির দ্বারা নয়, দৃষ্টির দ্বারা দেখবে, অনুভব হবে। কিন্তু এক বাবা দ্বিতীয় আর কেউই নয়। এই পাঠ দৃঢ় থাকলে, ছায়ার মতো বাপদাদা চোখের সামনে থাকবে। দূর হতে পারবে না, সদা সম্মুখের অনুভূতি হবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top