06 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
5 January 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - দেহ অভিমানে আসার কারণেই বিকর্ম হয়, এইজন্য প্রতিজ্ঞা করো অন্য সমস্ত সঙ্গ ত্যাগ করে এক সঙ্গের সাথেই যোগযুক্ত হবে”
প্রশ্নঃ --
কোন্ প্রাকৃতিক দৃশ্যকে মানুষ গডলী অ্যাক্ট মনে করে ?
উত্তরঃ -:-
ড্রামাতে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে, বিনাশের সময়ে সমুদ্রের একটা ঢেউয়ে সমস্ত ভূমি, দ্বীপ ইত্যাদি ধ্বংস হয়ে যাবে, এর রিহার্সাল এখনো চলতেই থাকে, এগুলো সবই হলো প্রাকৃতিক দৃশ্য। মানুষ এগুলোকে গডলী অ্যাক্ট বলে দেয়। কিন্তু বাবা বলেন, আমি কোনো ডাইরেকশন দিই না, এগুলো সবই ড্রামাতে নিহিত রয়েছে।
গান:-
কে এলো আমার মনের দ্বারে..
ওম্ শান্তি । কে এল অর্থাৎ কার কথা স্মরণে এল ? এমন নয় যে, কেউ এসে তোমার হৃদয়ে বসল, তাহলে তো তিনি সর্বব্যাপী হয়ে যাবেন। না, কে আমার স্মরণে এল ? অকাল মূর্তি, যাকে কাল (খারাপ) খেতে পারে না। শিখদের অমর সিংহাসন রয়েছে। তাদের কাছে অকালি লোকও (শিখ ধর্মের) রয়েছে। ওই লোকেরা বোঝে না যে, তাদের শিখ ধর্ম হলো প্রবৃত্তি মার্গের ধর্ম। কেবল এক আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম লোপ পেয়েছে। আরেকটি হলো নিবৃত্তি মার্গের সন্ন্যাস ধর্ম। ওরা ঘর-পরিবার ত্যাগ করে সীমিত সন্ন্যাস করে পবিত্র হয়। তারা বনে অবশ্যই পবিত্র থাকে। প্রত্যেক ধর্মের রীতিনীতি আলাদা এবং শিক্ষাও আলাদা। ওটা হলো নিবৃত্তি মার্গের ধর্ম, যারা তাদের অনুসরণ করে তাদেরও তাদের ঘর-পরিবার ত্যাগ করে সন্ন্যাসীদের পোশাক পরতে হবে। যদিও ওরা বলে যে, তারা ঘরে বসে জ্ঞান অর্জন করতে পারে কিন্তু ওটা কোনো জ্ঞান নয়, না সন্ন্যাসীরা তাদের তা করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, গুরু হলেন যিনি সদগতি প্রদান করেন। এটা করতে পারেন একমাত্র একজন। গুরু নানকও শিক্ষা দিয়েছেন। তিনিও পরমাত্মারই মহিমা করেছেন। এক ওঙ্কার, অকাল মূর্তি, তোমরা এখন সেই অকাল মূর্তি অর্থাৎ পরমপিতা পরমাত্মাকেই স্মরণ করো। তারা মহিমা করে, তিনি অকাল মূর্তি, পুনর্জন্ম নেন না। স্বয়ম্ভু অর্থাৎ রচয়িতা (সৃষ্টিকর্তা) । তিনি নির্ভীক, যাঁর কোনো শত্রু নেই, অকাল মূর্তি… সদ্গুরু প্রসাদ, জপ সাহেব ইত্যাদি সবই হলো পরমপিতা পরমাত্মার মহিমা। তারা অকাল মূর্তিকেই বিশ্বাস করে। তিনি বলেন যে, সত্যযুগ হলো সত্য, যা হওয়ার তাই সত্য, তিনি নোংরা অপবিত্রতাকে ধুয়ে দেন। পতিত-পাবন মানেই নোংরা অপবিত্র বস্ত্র ধুয়ে দেন, পরিষ্কার করেন, সেইজন্যই ওঁনার মহিমা গায়ন করা হয়। তারপর তারা বলে অসৎ চোর, হারাম খোর । এ’সবই এই সময়েরই মহিমা । তারপর নানক বলেছেন, একটু ভেবে দেখো হে অধঃপতিত… ! তারা তখন তাঁর কাছে নিজেদের উৎসর্গ করে। অবশ্যই যখন তিনি আসেন তখনই তারা তাঁর কাছে উৎসর্গ করে। বাবা বলেন, আমি অহল্যা, গণিকা, সাধুদেরও উদ্ধার করতে এসেছি। সুতরাং অবশ্যই সকলেই পতিত। এখন এটা হলো অসীমের বিষয়, তাই অবশ্যই অসীম জগতের মালিকই এসে বোঝাবেন। তিনি বলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করও হলো আমার সৃষ্টি। তিনি ব্রহ্মার দ্বারা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপন করেন এবং শঙ্করের দ্বারা অনেক ধর্মের বিনাশ করেন। অন্য যারা আসে তারা কেবল তাদের নিজস্ব ধর্ম প্রতিষ্ঠা করে। এমন নয় যে, ওই গুরুরা হলো সদগতি প্রদানকারী। কার সদগতি করবে ? তাদের নিজেদের বংশই পুরোপুরি বৃদ্ধি হয়নি, তাহলে সদগতি কীভাবে করবে। বাবা বলেন আমি এসে আদি সনাতন ধর্মের স্থাপন করি এবং অধর্মের বিনাশ করি। এই সময়ে সকলে তমোপ্রধান পাপ আত্মা হয়ে গেছে। যারা এই সীমাহীন নাটকের পার্টধারী তাদের জানা উচিত যে, সৃষ্টিচক্র কীভাবে রিপিট হয়। বাবা এসে আমাদের বাচ্চাদের ত্রিকালদর্শী বানান। এটাও বুঝবে যে, বাবা এসে অবশ্যই স্বর্গ অর্থাৎ সত্যখণ্ডের স্থাপন করেন এবং মিথ্যা খন্ডকে ধ্বংস করেন। যিনি সত্যখন্ড স্থাপন করেন তিনি সত্য, তাই না ! এই সমস্ত বিষয় বাবা-ই বোঝান। সবাই তো ধারণ করতে পারে না কারণ তাদের মধ্যে অনেক দেহ-অভিমান রয়েছে। যত দেহী-অভিমানী হবে, নিজেকে অশরীরী আত্মা মনে করবে, বাবাকে স্মরণ করবে তত ধারণা হবে। যারা দেহ-অভিমানী তারা ধারণ করতে পারবে না। যোগের দ্বারাই আত্মার পাপ ভস্মীভূত হয়ে যায়। দিনের বেলা তো দেহ-অভিমান থাকে। তাহলে দেহী-অভিমানী থাকার প্র্যাকটিস কখন করবে ?
বাবা বলেন নিদ্রাকে জয় করো। বাবা কত ভালো ভালো পয়েন্ট বোঝান। কিন্তু এমনও বাচ্চা আছে যারা মুরলী শোনে না। পড়াশোনা হলো মুখ্য। যেভাবেই হোক মুরলী পড়া উচিত। কিন্তু এমনও নয় যে, ক্রমাগত বিকারে লিপ্ত হবে এবং মুরলীও চাইবে ! যতক্ষণ না গ্যারান্টি করে, ততক্ষণ মুরলী পাঠানো উচিত নয়। যারা মুরলী পড়ে না তাদের কেমন গতি হবে ? ভালো-ভালো বাচ্চারাও মুরলী পড়ে না, নেশা চড়ে যায় (বিপরীত অর্থে) । নাহলে তো একদিনও মুরলী মিস করা উচিত নয়। ধারণা না হলে বোঝা উচিত দেহ-অভিমান রয়েছে। ওরা কখনোই ভালো পদ পাবে না। বাবা কত ভালো করে বোঝান। বাচ্চাদেরকেও বোঝাতে হবে। বাবা তো বাইরে যেতে পারেন না। বাবা বাচ্চাদেরকেই বোঝাচ্ছেন। ইনি হলেন বড় মা, ইনি গুপ্ত। শক্তিসেনারা বাইরে যেতে পারে। অনেক রকম কনফারেন্স হয়। সেখানে আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের কোনো প্রতিনিধি থাকে না। এই পয়েন্টটাও বোঝাতে হবে। অন্য যেসব ধর্ম পিতারা আসে, তারা কেবল ধর্ম স্থাপন করার জন্যই আসে, অধর্মের বিনাশ করার জন্য আসে না। সঙ্গমযুগেই সত্যধর্ম স্থাপন হয় এবং অনেক অধর্মের বিনাশ হয়। যখন আমাদের অধঃপতন হয়ে যায়, তখন বাবা আসেন। একবারই আমরা ওপরে উঠি। এই বিষয়ের ওপর একটা শ্লোক আছে, ছোটবেলায় পড়েছিলাম। গুরুনানক বলেছিল, সবাই এখন নিন্দুক আর মিথ্যুক। শিখ ধর্মে অকালি থাকে, যার ওপরে কালো চক্র রয়েছে। এটাই হল স্বদর্শন চক্র। এটাও পবিত্রতার চিহ্ন। হাতে কঙ্গন পরে। এগুলো সবই পবিত্রতার চিহ্ন। কিন্তু দুনিয়ার মানুষ এগুলোর অর্থও বোঝে না আর পবিত্রও থাকে না। পৈতেও হল পবিত্রতার প্রতীক । আজকাল তো কিছুই নেই। ব্রাহ্মণ হলো উত্তম। তারা বড় টিকি রাখে। কিন্তু কেউই পবিত্র থাকে না। কেবল পতিত-পাবন পরমাত্মা এসেই সবাইকে পবিত্র বানান। এমন নয় যে বুদ্ধ কিংবা যীশুখ্রীস্টও পতিতপাবন ছিল। না, দুনিয়ায় অনেক গুরু আছে। কেউ পড়ায়, কেউ অন্য কিছু শেখায়। কিন্তু যিনি সবাইকে সদগতি দেন, তিনি কেবল একজনই। তিনিই পতিত পাবন। সবাইকে পবিত্র বানিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমিই আসি। জ্ঞানের সাগরের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে তোমরা জ্ঞান গঙ্গারা আছো। গঙ্গা নদীর ওপরেও দেবীর ছবি দেখিয়ে দেয়। বাস্তবে তোমরাই হলে জ্ঞান গঙ্গা। কিন্তু তোমাদের এখন পূজা হয়না, কারণ তোমরা এখন যোগ্য হচ্ছ। পূজারী থেকে পূজনীয় হচ্ছো। এরপর তোমাদের এই পূজারিপনা শেষ হয়ে যাবে। এইসব কথাগুলো বোঝানো হলেও কেউই বুঝতে পারে না। প্রতি পদক্ষেপে বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। দেহের অভিমান ত্যাগ করতে হবে। এইসব আত্মীয় এবং বন্ধুরা তো বিনাশ হয়ে যাবে। আমরা সবাই চলে যাব। কিন্তু দুনিয়াটা থেকে যাবে। বাবা বলেন, আমি নতুন দুনিয়ার রচয়িতা। কিন্তু আমি আসি পতিত দুনিয়ায়। তাই আমাকে পতিত-পাবন বলা হয়, সুতরাং অবশ্যই দুনিয়া পতিত হবে। পবিত্র দুনিয়ায় তো পতিত কেউ থাকবে না। পরমাত্মাকে হেভেন স্থাপন করতে হয়, এইজন্য ওঁনাকে হেভেনলি গড ফাদার বলা হয়। খ্রীস্ট হেভেন স্থাপন করেন না। হ্যাঁ, সেই সময়ে ওপর থেকে যে আত্মারা আসে তারা সতোপ্রধান, কিন্তু আর কেউই পতিত থেকে পাবন বানাতে পারে না। তোমরা বাচ্চারা এখন এমন কোনো বিকর্ম কোরো না, যাতে তোমাদেরকে অপবিত্র বলা হয়। দেহ-অভিমানের কারণেই বিকর্ম হয়। তোমরা গ্যারান্টি করো যে, অন্য সমস্ত সঙ্গ ত্যাগ করে এক সঙ্গের সাথেই যোগযুক্ত হবো। এখন তোমরা প্রতিজ্ঞা পূরণ করো। নাহলে দন্ড ভোগ করতে হবে। গ্রন্থেও (শিখ ধর্মগ্রন্থ) আছে, ‘উত্তরণ কলার কারণেই সকলের মঙ্গল’। এই লাইনটা খুব ভালো কিন্তু যা কিছু পড়েছ তা তো ভুলতে হবে। বাবার তো বাচ্চাদের নামও পুরোপুরি মনে নেই। এইজন্য বাবা বলে দেন, খুশিতে থাকো, সমৃদ্ধ থাকো, ভুলে যাবেন না, স্মরণে থাকবে না। কিন্তু সার্ভিস যোগ্য বাচ্চাদের বাবা অবশ্যই স্মরণ করেন যে, অমুক খুব ভালো সহযোগী। ধনীরা তো গভীর অন্ধকারে রয়েছে। কেউ জানে না যে, মৃত্যু সামনে রয়েছে। ভগবানুবাচ – আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছি, সুতরাং অবশ্যই নলেজের দ্বারাই গডেজ অফ ওয়েল্থ সৃষ্টি হয়েছে। ক্রম অনুসারে সমগ্র রাজধানী সৃষ্টি হচ্ছে। তোমরা জানো, ক্রম অনুসারে আমরা সবাই পড়ছি। বাবা বলেন, আমি রাজধানী স্থাপন করছি। আমি অনেক ধর্মের বিনাশ করি। পরম সদ্গুরু হলেন একজন। সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠ এক ভগবানেরই গায়ন রয়েছে। সর্বোচ্চ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকেও ভগবান বলা যাবে না। তাহলে রাম কৃষ্ণকে কীভাবে ভগবান বলবে ? তিনি তো হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন। ভক্তরা ভগবানকে স্মরণ করে, তারা কি আর ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে স্মরণ করে ! এঁরা তো এখন ব্যভিচারী হয়ে গেছে। সুতরাং কত ভালো ভালো বিষয় ধারণ করতে হবে। যে করবে সে-ই পাবে। জ্ঞান গঙ্গা হলে তোমরা। তোমরা নদীদেরই কিনারা রয়েছে। সাগর তো কোথাও যেতে পারে না। কিন্তু ওটা হলো নির্জীব সাগর, এটা হলো চৈতন্য। সেই সাগরে তো ঝড়ে একটা ঢেউ উঠলে অনেক ক্ষতি হয়। বিনাশের সময় শক্তিশালী ঝড় আসবে, সমস্ত ভূমি, দ্বীপ ইত্যাদি ধ্বংস হয়ে যাবে। বেশি সময় লাগবে না। ওরা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে গডলী অ্যাক্ট বলে দেয়। এইজন্যই তারা বলেছে যে, শঙ্করের দ্বারা বিনাশও হলো গডলী অ্যাক্ট। কিন্তু বাবা বলেন, আমি এরকম কোনো ডাইরেকশন দিই না। এগুলো সবই ড্রামাতে নিহিত রয়েছে। ঝড়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবাই তাদের কাজ করবে। প্রত্যেক কল্পে দুর্যোগ আসবেই, অন্য সমস্ত ভূমি ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধুমাত্র এক ভারতই থাকবে। এর জন্য প্রস্তুতি হচ্ছে। রিহার্সাল চলতে থাকবে। এই প্রাকৃতিক খেলা আগে থেকেই তৈরী রয়েছে। তোমরা শিব শক্তিরা যেকোনো জায়গায় গিয়ে বোঝাতে পারো যে, তোমরা সবাই চাও শান্তি স্থাপন হোক, কিন্তু তোমরা জানো শান্তি কোথায় থাকে ? সুখ কোথায় থাকে, দুঃখ কোথায় থাকে – এ’সকল হলো বোঝার বিষয়। এখন হলো দুঃখধাম। এই ভারতই সুখধাম ছিল, আদি সনাতন দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল। কলিযুগ হলো দুঃখধাম, এর বিনাশ অবশ্যই হবে। প্রথমে শেষ হয়ে তারপর আবার শুরু হবে। মাঝখানে অনেক ধর্ম আছে। সত্যযুগে এক ধর্ম ছিল। এটা হলো ড্রামার চক্র এবং এর চারটি মুখ্য ধর্ম রয়েছে। এক ধর্মের পা হারিয়ে গেছে। দেবতা ধর্ম কে স্থাপন করেন – এটা বলো ? পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপন করেন। প্রকৃতপক্ষে, তোমরাও হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান। তোমরা শিবেরও সন্তান। ব্রহ্মার সন্তান হওয়ার কারণে তোমরা ভাই-বোন। তোমরা জানো এখন আমরা ওঁনার হয়েছি। পরমপিতা পরমাত্মা প্রথমে ব্রাহ্মণ ধর্ম রচনা করেন। ব্রাহ্মণ ধর্ম হলো শীর্ষ, বাকি সমস্ত ধর্ম ক্রম অনুসারে পরে এসেছে। শেষ পর্যন্ত তোমাদের প্রত্যক্ষতা অবশ্যই হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) জ্ঞানের ধারণার জন্য যতখানি সম্ভব দেহী-অভিমানী থাকতে হবে। অশরীরী হওয়ার অভ্যাস রাত জেগে করতে হবে।
২ ) যেভাবেই হোক প্রতিদিন মুরলী শুনতে হবে বা পড়তে হবে। এক দিনের জন্যেও মিস করা উচিত নয়। অন্য সমস্ত সঙ্গ ত্যাগ করে এক সঙ্গের সাথেই যোগযুক্ত হওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
বরদানঃ-
সর্বদা স্মৃতিতে রাখো যে, আমরা বাবার নয়নের তারা। ‘নয়নের তারা’ মানে শুধুমাত্র বিন্দু হতে পারে। চোখে দেখার বিশেষত্বও হলো বিন্দুর। সুতরাং বিন্দু রূপে থাকা – এটাই হলো উত্তরণ কলায় উড়ে যাওয়ার সাধন। বিন্দু হয়ে প্রতিটি কর্ম করো তাহলে হালকা থাকবে। কোনও প্রকারের বোঝা উঠানোর অভ্যাস থাকবে না। ‘আমার’ বলার পরিবর্তে ‘তোমার’ বলো তাহলে ডবল লাইট হয়ে যাবে। স্ব-উন্নতি বা বিশ্ব সেবার কাজেরও বোঝা অনুভব হবে না।
স্লোগানঃ-
লাভলীন স্থিতির অনুভব করুন –
দেহের স্মৃতি থেকে এমনভাবে হারিয়ে যাও যে, দেহ-ভাবের, দিন-রাত্রির, ক্ষুধা বা তৃষ্ণার, সুখের এবং আরামের সাধনের কোনো বিষয়ের আধারে যেন জীবন নির্ভর না করে, তখনই বলা হবে প্রেমে লাভলীন স্থিতি। যেমন বহ্নিশিখা হলো জ্যোতির স্বরূপ, লাইট-মাইটের রূপ, সেইরকম বহ্নিশিখার সমান স্বয়ং-ও লাইট-মাইটের রূপ হয়ে যাও।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!