05 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
4 September 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"নতুন দুনিয়ার ছবির আধার বর্তমান শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ জীবন"
আজ বিশ্ব রচয়িতা, বাপদাদা, যিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাগ্য তৈরি করেন, তিনি শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের সদৃশ- স্বরূপ তাঁর আপন বাচ্চাদের দেখছেন। তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের ছায়া-চিত্র। ব্রাহ্মণ জীবনের ছবি থেকে ভবিষ্যতের শ্রেষ্ঠ ভাগ্য স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। ব্রাহ্মণ জীবনের সব শ্রেষ্ঠ কর্ম ভবিষ্যৎ শ্রেষ্ঠ ফলের অনুভব করায়। ব্রাহ্মণ জীবনের শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প ভবিষ্যতের শ্রেষ্ঠ সংস্কার স্পষ্টরূপে তৈরি করে। সুতরাং বর্তমান ব্রাহ্মণ জীবন ভবিষ্যৎ ভাগ্যবান দুনিয়ার ছায়া-চিত্র। বাপদাদা ভবিষ্যতের ছবি এমন বাচ্চাদের দেখে প্রসন্ন হন। ছবিও তোমরা, ভবিষ্যতের ভাগ্যের আধারমূর্তিও তোমরা। তোমরা শ্রেষ্ঠ তৈরি হলে, তখনই দুনিয়া শ্রেষ্ঠ হয়। যখন তোমাদের উড়তি কলার স্থিতি তখন বিশ্বেরও উড়তি কলা। তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মারা সময় সময়ে যেমন যেমন স্টেজের মাধ্যমে পাস কর তখন বিশ্বের স্টেজেসও পরিবর্তন হতে থাকে। তোমাদের স্থিতি সতঃপ্রধান তো বিশ্বও সতঃপ্রধান, গোল্ডেন এজেড। তোমরা পরিবর্তন হলে দুনিয়াও পরিবর্তিত হয়ে যায়। তোমরা এমনই আধারমূর্তি।
বর্তমান সময়ে বাবার সঙ্গে কতো শ্রেষ্ঠ পার্ট প্লে করছ ! সারা কল্পের মধ্যে এই সময়ে সবচাইতে বড় বিশেষ ভূমিকা (পার্ট ) পালন করছ ! বাবার সাথে সাথে সহযোগী হয়ে বিশ্বের সব আত্মার অনেক জন্মের আশা পূরণ করছ। বাবা দ্বারা প্রত্যেক আত্মাকে মুক্তি ও জীবনমুক্তির অধিকার প্রাপ্ত করানোর নিমিত্ত হয়েছ তোমরা। তোমরা ‘কামধেনু’, বাবা সমান তোমরা সকলের ইচ্ছা পূরণ কর, কামনা পূরণ কর। এইভাবে সব আত্মাকে ইচ্ছা-মাত্রম্-অবিদ্যা’র স্থিতির অনুভব করাও যাতে না ভক্তির আত্মাদের, না জীবনমুক্ত আত্মাদের কোনও ইচ্ছা থাকে। শুধু এক জন্মের ইচ্ছা তোমরা পূরণ কর না, বরং অনেক জন্ম ধরে ইচ্ছা-মাত্রম্-অবিদ্যা’র অনুভূতি করাও। ঠিক যেমন বাবার সর্ব ভান্ডার, সর্ব সম্পদে সদা পরিপূর্ণ, অপ্রাপ্তির লেশমাত্র নেই; তেমনই বাবা সমান তোমরা সদা সর্ব সম্পদে পরিপূর্ণ।
ব্রাহ্মণ আত্মা অর্থাৎ প্রাপ্তি স্বরূপ আত্মা, সম্পন্ন আত্মা। বাবা যেমন সদা লাইট-হাউস, মাইট হাউস; সে’রকমই তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মারাও বাবা সমান লাইট-হাউস। সেইজন্য সব আত্মাকে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার নিমিত্ত তোমরা। যেমন, বাবা প্রতিটা সঙ্কল্প, প্রতিটা বোল, প্রতিটা কর্ম দ্বারা সবসময় দাতা, বরদাতা; সে’রকম তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মারাও দাতা, মাস্টার বরদাতা। এ’রকম ব্রাহ্মণ জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়েছ ? যে কোনও ছবি তোমরা যখন বানাও তা’তে সবরকম বিশেষত্ব দেখাও, তাই না ! ঠিক সে’রকমই বর্তমান সময়ের ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষত্ব নিজের ছবিতে ভরে নিয়েছ ? সবচাইতে বড় চিত্রকর তোমরা যারা নিজেদের চিত্রও বানাচ্ছ। তোমাদের ছবি তৈরি হওয়ার সাথে সাথে বিশ্বের ছবি তৈরি হতে থাকছে। এ’রকম অনুভব তো কর, তাই না !
অনেকে জিজ্ঞাসা করে-না নতুন দুনিয়া কেমন হবে ? তো নতুন দুনিয়ার প্রতিচ্ছবিই তোমরা। ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হয় তোমাদের জীবনের মাধ্যমে। নিজেদের এই সময়ের ছবির দিকে দেখ, এ’রকম ছবি কী তৈরি হয়েছে, যে কেউই সেটা দেখে সদাসর্বদার জন্য প্রসন্নচিত্ত হয়ে যাবে ! কোনও সামান্যতম অশান্তির তরঙ্গের কেউ যদি থাকে, তোমাদের ছবি দেখে আশান্তিই ভুলে যাবে, শান্তির তরঙ্গে তরঙ্গিত হওয়ার অনুভব করবে ! অপ্রাপ্তি স্বরূপকে আপনা থেকেই প্রাপ্তির অনুভূতি হতে দাও। ভিখারি হয়ে আসলে যেন ভরপুর হয়ে যায় ! তোমাদের সুস্মিত মূর্তি দেখে মনের ও নয়নের কান্না ভুলে যেন হাসতে শিখে যায় ! তোমরাও তো বাবাকে বলো-না – হাসতে শিখিয়ে… সুতরাং তোমাদের কাজই হলো কান্না থেকে রেহাই দেওয়া আর হাসতে শেখানো। তাহলে ব্রাহ্মণ জীবন এমন প্রতিচ্ছবি হয়েছে ! সদা এই স্মৃতি বজায় রাখ যে আমরা এমন আধারমূর্ত ফাউন্ডেশন। বৃক্ষের ছবিতে দেখেছ – ব্রাহ্মণ কোথায় বসে আছে ? ফাউন্ডেশনে বসে আছ, তাই না ! ব্রাহ্মণ ফাউন্ডেশন মজবুত, তবেই তো অর্ধেক কল্প অটল-অনড় থাক। সাধারণ আত্মা তোমরা নও, তোমরা আধারমূর্ত ফাউন্ডেশন।
এই সময়ে তোমাদের সম্পূর্ণ স্থিতি সত্যযুগের ১৬ কলা সম্পূৰ্ণ স্থিতির আধার। এখনের ‘এক-মত’ ওখানের এক রাজ্যের আধারমূর্তি। এখানের সর্ব ভান্ডারের সম্পন্নতা – জ্ঞান, গুণ, শক্তি, সর্ব সম্পদ ওখানের সম্পন্নতার আধার। এখানের দেহ-আকর্ষণ থেকে স্বতন্ত্রভাব, ওখানে তনের সুস্বাস্থ্যের প্রাপ্তির আধার। অশরীরী-ভাবের স্থিতি নিরোগী-ভাব আর দীর্ঘায়ু হওয়ার আধার স্বরূপ। এখানে নিশ্চিন্ত-বাদশাহ হওয়া জীবনের স্থিতি, ওখানের প্রতি মুহূর্ত মনের সুখ-আনন্দের জীবন প্রাপ্তির আধার হয়ে যায়। এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয় –
এখানের এই অখন্ড-অটল সাধনা ওখানে অখন্ড, অটল, নিখুঁত, নির্বিঘ্ন সাধনের প্রাপ্তির আধার হয়। এখানের ছোট সংসার অর্থাৎ বাপদাদার, মাতা-পিতার এবং ভাই-বোনেদের এই ছোট সংসার ওখানে ছোট দুনিয়ার আধার হয়। এখানে এক মাতা-পিতার সম্বন্ধের সংস্কার ওখানেও একই বিশ্বের বিশ্ব-মহারাজা বা বিশ্ব-মহারাণীকে মাতাপিতা রূপে অনুভব করায়। এখানে পরিবারের স্নেহ-ভরা সম্বন্ধ, ওখানে যদিও বা কেউ রাজা হয় বা প্রজা, কিন্তু প্রজাও নিজেকে পরিবারের অংশ মনে করে। পরিবারের মধ্যে স্নেহের নৈকট্য থাকে। যদিও প্রত্যেকের আলাদা পদ থাকে, কিন্তু স্নেহের মান থাকে, সঙ্কোচ আর ভয়ের নয়। সুতরাং ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি তো তোমরা, তাই না !
এই সব বিষয় নিজের ছবিতে চেক কর – কতখানি শ্রেষ্ঠ ছবি হয়ে প্রস্তুত হয়েছ, নাকি এখনো রেখা টেনে যাচ্ছ ? তোমরা তো বুঝদার আর্টিস্ট, তাই না !
বাপদাদা এটাই দেখতে থাকেন, প্রত্যেকে কতখানি ছবি তৈরি করেছে ! তোমরা অন্যকে অভিযোগ তো করতে পারবে না যে এ’ ছবিটা ঠিক করেনি, সেইজন্য এ’রকম হয়েছে ! নিজের ছবি নিজেকেই বানাতে হবে। তাছাড়া, বাপদাদার থেকে তো সব জিনিস তোমরা পেয়ে যাচ্ছ, তা’তে তো কিছু কম নেই, তাই না ? এখানেও তোমরা জিনিসপত্র কেনার খেলা শেখাও আর তারপরে সেগুলো দিয়ে নির্মাণ কর। সবকিছু নির্ভর করে কে বানাচ্ছে তার উপরে, সে যতটা চায় নিতে পারে। শুধু যে নেওয়ার সে নিতে পারে। বাদবাকি এটা তো খোলা বাজার, বাপদাদা এই হিসেব রাখেন না তোমাদের দু’টো নেওয়ার আছে নাকি চারটে ! তাইতো তোমরা সর্বাপেক্ষা সুন্দর ছবি বানিয়ে থাক, তাই না। সদা এটাই ভাবো যে তোমরা ভবিষ্যৎ ভাগ্যের প্রতিরূপ। এ’রকম ভেবে প্রতিটা পদক্ষেপ কর। স্নেহী হওয়ার কারণে তোমরা সহযোগীও, আর সহযোগী হওয়ার কারণে প্রত্যেক আত্মা বাবার সহযোগ লাভ করছে। এমন নয় যে কিছু আত্মার প্রতি বেশি সহযোগ আর কিছুর প্রতি কম। না। বাবার সহযোগ প্রত্যেক আত্মার প্রতি একের রিটার্ণে পদমগুন তো আছেই। যারাই তোমরা সহযোগী আত্মা, তাদের সকলের বাবার সহযোগ সদাই প্রাপ্ত হয় এবং যতক্ষণ তিনি এখানে আছেন, ততক্ষণ তোমরা প্রাপ্ত করবে। যখন বাবার সহযোগ আছে তখন সব কার্য তো হয়েই আছে। এ’রকম অনুভব তোমরা করেও থাক আর এই অনুভবে এগিয়ে চলো। এটা কোনো কঠিন নয়, কারণ তোমাদের ভাগ্যের প্রাপ্তির আধার ভাগ্যবিধাতার থেকে। যেখানে ভাগ্য এবং বরদান আছে, সেখানে কঠিন কিছু হয়ই না। বুঝেছ ?
যাদের ছবি খুব ভালো হয়, অবশ্যই তারা ফার্স্ট নম্বরে আসবে। তাহলে সবাই তোমরা ফার্স্ট ডিভিশনে যাচ্ছ, তাই তো ! ফার্স্ট নম্বরে তো আসবে মাত্র একজন, কিন্তু ফার্স্ট ডিভিশন তো আছে, তাই না ! তাহলে কিসের মধ্যে আসতে চাও ? ফার্স্ট ডিভিশন সবার জন্য আছে। কিছু করে নেওয়াই ভালো। বাপদাদা তো সবাইকে চান্স দিচ্ছেন – তা’ ভারতবাসী হোক বা ডবল বিদেশি, কেননা এখন রেজাল্ট তো আউট হয়নি। কখনো কখনো ভালো-ভালো’রা রেজাল্ট আউট হওয়ার আগেই আউট হয়ে যায়, তখন সেই জায়গা তোমরা তো নিতে পার, পার না ? সেইজন্য যে নিতে চাও, এখন পর্যন্ত চান্স আছে। এরপরে তো বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হবে যে এখন জায়গা নেই। এই সীট ফুল হয়ে যাবে। সেইজন্য অনেক উঁচুতে ওড়ো। দৌড় নয় বরং ওড়ো। যারা দৌড়াবে তারা তো নীচে থেকে যাবে, যারা উড়বে তারা উড়ে যাবে, উড়ে চলো আর অন্যদের উড়িয়ে নিয়ে চলো। আচ্ছা !
চারিদিকের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যের শ্রেষ্ঠ প্রতিরূপ-স্বরূপ মহান আত্মাদের, সদা নিজেকে বিশ্বের আধারমূর্ত অনুভব করে এমন আত্মাদের, সদা নিজেকে প্রাপ্তিস্বরূপ অনুভূতি দ্বারা অন্যদেরও প্রাপ্তিস্বরূপ অনুভব করায় এমন শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, সদা বাবার স্নেহ আর সহযোগের পদমগুন অধিকার প্রাপ্তকারী পূজ্য ব্রাহ্মণ তথা দেবাত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।
পাটিদের সাথে পার্সোনাল সাক্ষাৎ:-
বাবার হাত সদা মস্তকের উপরেই আছে – এ’রকম অনুভব কর ? শ্রেষ্ঠ মতই শ্রেষ্ঠ হাত। সুতরাং যেখানে প্রতি কদমে বাবার হাত অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ মত থাকে, সেখানে শ্রেষ্ঠ মত দ্বারা শ্রেষ্ঠ কার্য আপনা থেকেই হয়ে যায়। সদা হাতের স্মৃতি দ্বারা শক্তিশালী হয়ে সামনে এগিয়ে চলো। বাবার হাত সদাই অগ্রচালিত হওয়ার অনুভব সহজভাবে করিয়ে দেয়। সেইজন্য, এই শ্রেষ্ঠ ভাগ্যকে স্মৃতিতে রেখে সব কার্যে এগিয়ে চলো। সদা হাত, সদা জয়।
প্রশ্নঃ- সদা সহজযোগী থাকার সহজ বিধি কী ?
উত্তরঃ- বাবাই সংসার – এটা যদি স্মৃতিতে থাকে তো সহজযোগী হয়ে যাবে, কেননা সারাদিন সংসারের দিকেই বুদ্ধি চলে যায়। যখন বাবাই সংসার তখন বুদ্ধি আর কোথায় যাবে ? সংসারেই তো যাবে- না, জঙ্গলে তো যাবে না। সুতরাং যখন বাবাই সংসার হয়ে গেছেন তো তোমরা সহজযোগী হয়ে যাবে। নয়তো, পরিশ্রম করতে হবে – এখান থেকে বুদ্ধি সরিয়ে, তাঁর সাথে জুড়ে দাও। সদা বাবার স্নেহে যদি সমাহিত থাক তাহলে তাঁকে ভুলতে পারবে না। আচ্ছা !
অব্যক্ত বাপদাদার সাথে ডবল বিদেশি ভাই-বোনেদের সাক্ষাৎ:-
ডবল বিদেশিদের মধ্যে সেবার উৎসাহ-উদ্দীপনা ভালো, সেইজন্য বৃদ্ধিও ভালো করছ। বিদেশ-সেবায় ১৪ বছরে ভালো বৃদ্ধি করেছ। লৌকিক আর অলৌকিক – ডবল কার্য করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছ। ডবল কার্যে সময়ও লাগাও আর বুদ্ধি ও শরীরের শক্তিও লাগাও। এও বুদ্ধির নৈপুণ্য। লৌকিক কার্য করতে করতে সেবায় এগিয়ে যাওয়া – এও মনোবলের কাজ। এমন মনোবলযুক্ত বাচ্চাদের সর্বকার্যে বাপদাদা সদা সহায়। তোমাদের যতটা মনোবল, বাবার সহায়তা তার পদমগুন আছেই। কিন্তু তোমরা উভয় ভূমিকা (পার্ট) পালন করে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছ – তা’ দেখে বাচ্চাদের প্রতি বাপদাদা সদা উৎফুল্ল হন। মায়া থেকে তো মুক্ত হয়েছ- না ? যখন যোগযুক্ত থাক তখন আপনা থেকেই মায়া থেকে মুক্ত। যদি যোগযুক্ত নও তো মায়ার থেকে মুক্তও নও। মায়ারও ব্রাহ্মণ আত্মাদের প্রিয় লাগে। যে কুস্তিগীর সে কুস্তিগীরের সঙ্গেই মজা পায়। মায়াও শক্তিশালী আর তোমরাও সর্বশক্তিমান, সুতরাং মায়ার সর্বশক্তিমানের সঙ্গেই খেলতে ভালো লাগে। এখন তো তোমরা মায়াকে ভালো ক’রে জেনে গেছ যে কখনো কখনো সে নতুন রূপে হাজির হয়। নলেজফুলের অর্থই হলো বাবাকেও জানা, রচনাকেও জানা আর মায়াকেও জানা। যদি রচয়িতা আর রচনাকে জেনে নিয়েছ কিন্তু মায়াকে না জেনেছ তাহলে নলেজফুল হতে পারবে না।
কখনও কোনও বিষয়ে তন দুর্বল হোক অথবা কাজের ভার বেশি হোক, কিন্তু মনে কখনো ক্লান্ত হয়োনা। মনের খুশিতে তনের ক্লান্তির সমাপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু মনের ক্লান্তি শরীরের ক্লান্তিকে বাড়িয়েও দেয়। মনকে কখনও শ্রান্ত হতে দিও না। যখন ক্লান্ত হয়ে পড়’ তখন সেকেন্ডে বতনে চলে এসো। যদি তোমাদের মন শ্রান্তিতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে তাহলে ব্রাহ্মণ জীবনের উৎসাহ-উদ্দীপনা যা তোমাদের অনুভব হওয়া উচিত তা’ হবে না। চলছ তো বটেই কিন্তু চালানোর মালিক চালাচ্ছেন – এ’রকম অনুভব হবে না। পরিশ্রমের দ্বারা চলছ তো পরিশ্রম অনুভব হবে, তখন ক্লান্তিও আসবে। সেইজন্য সবসময় মনে কর – ‘করণকরাবনহার করেছেন, চালানোর মালিক চালাচ্ছেন।’
সময় এবং শক্তি – এই দুইয়ের অনুসারে সেবা করতে থাক। সেবা কখনো অপেক্ষায় থাকে না, আজ নয়তো কাল হতেই হবে। যদি প্রকৃত হৃদয়ে, হৃদয়ের স্নেহ থেকে যতটা সেবা করতে পার ততটা কর’ তাহলে বাপদাদা কখনো দোষ দেবেন না, এতটা কাজ করেছ আর এতটা করনি ! সাধুবাদ জানাবেন। সময় অনুসারে, শক্তি অনুসারে প্রকৃত হৃদয় দিয়ে যদি সেবা করে থাক, তবে প্রকৃত হৃদয়ের প্রতি প্রভু প্রসন্ন হন। তোমার যে কাজ বাকি থেকে যাবে, বাবা কোথাও না কোথাও থেকে সম্পূর্ণ করাবেন। যে সেবা যে সময়ে হওয়ার তা’ অবশ্যই হবে, বাকি থাকতে পারে না। কোনো না কোনও আত্মাকে টাচ্ করে বাপদাদা আপন বাচ্চাদের সহযোগী বানাবেন। যোগী বাচ্চাদের সবরকম সহযোগ সময়মতো প্রাপ্ত হয়েই যায়। কিন্তু কার প্রাপ্ত হবে ? প্রকৃত হৃদয়বান প্রকৃত সেবাধারীর। বাচ্চারা, তাহলে সবাই তোমরা প্রকৃত সেবাধারী বাচ্চা হয়েছ ? প্রভু প্রসন্ন আমাদের প্রতি – এ’রকম অনুভব তো কর’ তাই না। আচ্ছা !
বরদানঃ-
সেবাতে কিংবা নিজের উত্তরণ কলায় সফলতার মুখ্য আধার হলো – এক বাবার সাথে অটুট ভালোবাসা। বাবা ব্যতীত অন্য কিছু যেন দৃশ্যগোচর না হয় ! সঙ্কল্পেও বাবা, বোলেও বাবা, কর্মেও বাবার সঙ্গ। এ’রকম লাভলীন অর্থাৎ একব্রত আত্মা একটা শব্দও যদি বলে তো তার সস্নেহ বোল অন্য আত্মাদেরও স্নেহে বেঁধে দেয়। এমন একব্রত আত্মার এক বাবা শব্দই জাদুর কাজ করে। সে অধ্যাত্ম জাদুকর হয়ে যায়।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!