05 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

05 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

4 November 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - বিচার সাগর মন্থন করে সার্ভিসের বিভিন্ন যুক্তি বের করো, যাতে সবার বাবার পরিচয় প্রাপ্ত হয়ে যায়”

প্রশ্নঃ --

বাবা প্রত্যেকটি বাচ্চাকে উঁচু ভাগ্য নির্মাণের কোন্ যুক্তি বলে দেন ?

উত্তরঃ -:-

নিজের উঁচু ভাগ্য নির্মাণ করতে হলে অন্তরের সব ছিঃ ছিঃ স্বভাব গুলি দূর করে দাও। মিথ্যা কথা বলা, ক্রোধ করা এইসবই হল খুব খারাপ স্বভাব। সার্ভিস করার শখ রাখো। যেমন বাবা নিরহংকারী হয়ে সেবা করেন, তেমন ভাবে যতখানি সম্ভব অন্যদের কল্যাণের জন্য রুহানী সেবায় ব্যস্ত থাকো।

গান:-

মরণ তোমার পথে, জীবন তোমার পথে…

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মারূপী (রুহানী) বাচ্চাদের সর্বপ্রথমে এই পয়েন্টটি বুঝতে হবে এবং বোঝাতে হবে যে বাবা কে ! বাচ্চাদের অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতি তখন হয় যখন এই দৃঢ় নিশ্চয় হয় যে আমরা হলাম অসীম জগতের পিতার সন্তান। শুধুমাত্র এই একটি কথায় খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে যায়। এ হল স্থায়ী খুশীর পয়েন্ট। তোমরা জানো আমরা নিজেকে ব্রহ্মাকুমার কুমারী বলে পরিচয় দিয়ে থাকি। এ হল নতুন রচনা। অতএব সবাইকে প্রথমে এই দৃঢ় নিশ্চয় করতে হবে যে ইনি হলেন আমাদের পিতা। শিববাবার নীচে আছেন বিষ্ণু ( ত্রিমূর্তির চিত্রানুসারে) শিববাবার কাছে বিষ্ণুপুরীর বর্সা বা স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হয় তাই অনেক খুশী হওয়া উচিত। এই নিশ্চয় করিয়ে তারপরে লেখানো উচিত। বিষ্ণুর অর্থ বৈষ্ণবরাও জানে। ভারতবাসী ভালো ভাবে জানে এই দেবী-দেবতারা ছিলেন নির্বিকারী। স্বর্গে এনাদের পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ (পবিত্র গৃহস্থ) ছিল। গায়নও করে আপনি হলেন সম্পূর্ণ নির্বিকারী, আমরা হলাম বিকারী। সত্যযুগে থাকে সম্পূর্ণ নির্বিকারী। কলিযুগে হয় সম্পূর্ণ বিকারী। বিকারীদের পতিত, ভ্রষ্টাচারী বলবে। ক্রোধী মানুষকে পতিত ভ্রষ্টাচারী বলা হয় না। ক্রোধ তো সন্ন্যাসীদের মধ্যেও থাকে। অতএব সর্বপ্রথমে বাবার পরিচয় দিতে হবে। উঁচু থেকে উঁচু বাবা যখন ভারতে আসেন তখন এই মহাভারী যুদ্ধও লাগে নিশ্চয়ই কারণ পরমাত্মা এসে পতিত দুনিয়া থেকে পবিত্র দুনিয়ায় নিয়ে যান। শরীরের তো বিনাশ হবে। এই দৃঢ় নিশ্চয় থাকা উচিত যে, আমাদের বাবা পড়ান তাই অনেক রেগুলার হওয়া উচিত। এখানে হোস্টেল নেই। হোস্টেল বানাতে হলে অনেক বাড়ি চাই। ৭ দিন, ৪ দিনের জন্যও আসে তবুও অনেক বাড়ি চাই। বাবা বলেন – গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে শুধু বাবাকে স্মরণ করো। একমাত্র বাবা হলেন পতিত-পাবন। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো – আমি গ্যারান্টি করি ফলে তোমাদের সব পাপ ভস্ম হয়ে যাবে। প্রথমে তো এই কথাটি লেখানো উচিত যে, যথাযথ ভাবে আমরা হলাম শিববাবার সন্তান, তারপরে বিশ্বের মালিক হওয়ার অধিকারী হই। রাজা-রানী প্রজা সবাই হল বিশ্বের মালিক। মেলায় প্রদর্শনীতে যারা বোঝায়, তাদেরকে বাবা ডাইরেকশন দেন – মুখ্য কথা বোঝাতে হবে যে, উঁচু থেকে উঁচু ভগবান হলেন একজন। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন। জ্ঞানের সাগর তো নিশ্চয়ই ডাইরেকশনও তিনিই দেবেন। কৃষ্ণ তো দেবে না। শিববাবা ব্যতীত অন্য কোনো ভগবান নেই। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করও হলেন দেবতা। স্বর্গে দৈবী গুণধারী মানুষ থাকে, এইখানে কলিযুগে আছে আসুরিক গুণযুক্ত মানুষ। এই কথাও পরে বোঝাতে হবে। সর্বপ্রথমে তো বাবার পরিচয় দিয়ে সাইন করানো উচিত। বিচার সাগর মন্থন করে বিভিন্ন যুক্তি রচনা করা উচিত এবং বাবাকে জানানো উচিত যে, বাবা এইরকম প্রশ্ন করে এইভাবে আমরা বুঝিয়েছি। তখন বাবাও এমন পয়েন্ট বলে দেবেন যাতে তাদের প্রভাব পড়ে। বাবাকে সর্বব্যাপী, কচ্ছ মচ্ছ অবতার বলাও একপ্রকারের গ্লানি করা হয়, তাই বাবার পরিচয় দিতে হবে। বাবা বিশ্বের মালিক বানিয়ে দেন। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন বিশ্বের মালিক, সতোপ্রধান ছিলেন। পরে পুনর্জন্ম নিয়ে তমোপ্রধান হয়। তারপরে বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করো তাহলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। যে কোনো ধর্মের মানুষ হোক বাবার সংবাদ সবার জন্য। তাঁকে বলা হয় গড ফাদার লিবারেটর। লিবারেট অর্থাৎ উদ্ধার করতে অবশ্যই পতিত দুনিয়ায় আসবেন। কলিযুগের শেষ সময়ে সম্পূর্ণ দুনিয়াই হয়ে যায় তমোপ্রধান, যখন সতোপ্রধান হবে তখন নতুন দুনিয়ায় যেতে পারবে। বাকি যারা সেখানে আসবে না তারা শান্তিধামে থাকবে। এই কথা বুদ্ধিতে রাখতে হবে, যে আমাদের এক পিতাকেই স্মরণ করতে হবে। কোনো দেহধারীকে স্মরণ করতে হবে না। একমাত্র বাবা হলেন বিদেহী, বিচিত্র এবং সকলের চিত্র হল ভিন্ন ভিন্ন। কারো বোঝানোর শখ থাকা উচিত। প্রদর্শনীতে অনেক মানুষ আসে। সেন্টারে এত আসে না। সার্ভিসে ব্যস্ত থাকলে বাচ্চাদের মনে উল্লাস থাকবে। এখানে বাবাকে ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যায়। সার্ভিসে থাকলে স্মরণের যাত্রা করা ভুলবে না। নিজে স্মরণ করবে অন্যদেরও স্মরণ করাবে। তোমরা বাচ্চারা পড়া পড়ছো। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমরা রাজত্ব নিশ্চয়ই নেব। এই কথা স্মরণে থাকলে খুশী থাকে। ভুলে গেলেই অশান্তি অনুভব হয়।

বাবাকে লেখা উচিত বাবা আমরা অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতিতে আছি। খুব কম সময় আছে, আমরা যাই আমাদের সুখধামে। ৬৩ জন্ম খুব অসুস্থ ছিলাম। ঠিকমতো ওষুধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাই কঠিন অসুখ ধরে নিয়েছে। কোনো চিকিৎসা না হওয়ায়, অসুখ বাসা বেঁধে বসেছে । এ হল এমন অসুখ যে অবিনাশী সার্জেন ব্যতীত এই অসুখ থেকে মুক্তি নেই। এখন সবারই মুক্তির সময়। পবিত্র হয়ে মুক্তিধামে চলে যাবে। কেউ বলে মুক্তিতে থাকাই ভালো। কোনো পার্ট নেই। যেমন নাটকে কেউ অল্প পার্ট প্লে করে, তখন তাদেরকে হিরো হিরোইন বা উঁচু পার্টধারী বলা হবে না। বাবা বোঝান যতখানি সম্ভব হয় বাবাকে স্মরণ করো তাহলে পাকা হয়ে যাবে। বিস্মৃত হওয়া উচিত নয়। মুখ্য হলেন একমাত্র বাবা। বাকি এই ছোট ছোট চিত্র গুলি আছে – বোঝানোর জন্য, এর দ্বারা প্রমাণ করতে হবে শিব-শঙ্কর এক নয়। যদিও সূক্ষ্ম বতনে তেমন কোনো কথা নেই। এখন তোমরা বুঝেছো এইসব হল ভক্তি মার্গ, জ্ঞান প্রদান করেন এক বাবা। সঙ্গমে দেন, এই কথাটি পাকা করো। ভারতবাসীরা তো কল্প-কল্প স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করে। ৫ হাজার বছরের কথা। তারা আবার লক্ষ বছর লিখে দিয়েছে। তারা বলে শুধুমাত্র কলিযুগ হল লক্ষ বছরের আর আমরা বলি এই সম্পূর্ণ চক্রটি হল ৫ হাজার বছরের। কত রকমের গল্প বলেছে। আহ্বান করে হে পতিত-পাবন। কৃষ্ণকে পতিত-পাবন তো বলবে না। কোনো ধর্মের মানুষ কৃষ্ণকে লিবারেটর তো বলবে না। হে পতিত-পাবন বলে ডাকলে তো বুদ্ধি উপরের দিকে যায় তবুও বুঝতে পারে না। মায়ার ঘন অন্ধকার, গাফিলতিতে পড়ে আছে। বলে শাস্ত্র হল অনাদি। কিন্তু সত্যযুগ ত্রেতায় তো শাস্ত্র থাকে না। এই পড়াশোনা হল এমন যে অসুস্থ অবস্থায় এসেও ক্লাসে বসে পড়তে পারো। এখানে কোনো অজুহাত চলে না। গৌ মাতা খুব ভালো, কেউ আবার লাথিও মারে। এখানেও যার মধ্যে ক্রোধ আছে সে অহংকারের বশে বশীভূত হয়ে লাথিও মেরে দেয়। ডিস সার্ভিস করে। কোনোরকমের অবগুণ থাকা উচিত নয়। কিন্তু কর্মবন্ধন এমন যে, উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে দেয় না। বাবা উঁচু ভাগ্য নির্মাণের পথ বলে দেন। কিন্তু কেউ যদি চেষ্টা না করে তবে বাবা কি করবেন, খুব ভারী এই উপার্জন। এইরূপ উপার্জন করার নেশা থাকা উচিত। উপার্জন না করলে পরিণাম কি হবে ! কল্প-কল্প এমন দশা হবে। বাবা তো সবাইকে সতর্ক করেন, ইনসাল্ট করেন না। বাচ্চাদের কোনো খারাপ স্বভাব থাকা উচিত নয়। মিথ্যা কথা বলা খুব খারাপ স্বভাব। যজ্ঞের সার্ভিস খুব খুশীতে করা উচিত। বাবার কাছে এলে বাবা ইঙ্গিত করেন সার্ভিস করো। যে তোমাদের খাওয়াচ্ছেন তার সার্ভিস অবশ্যই করা উচিত। সেবা করা বাবা ই শেখান। দেখো, উঁচু থেকে উঁচু বাবা স্বয়ং কতখানি সেবা করেন। যে কাজ অজ্ঞান কালে করেননি, সেসবও করছেন। এতটাই নিরহংকারী হতে হয়। নিয়মের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবে না। যতখানি সম্ভব অন্যদের কল্যাণ অর্থে সবকিছু নিজের হাতে করতে হবে। অপারগ অবস্থায় কিছু করালে কাউকে দিয়ে, সেই কথা আলাদা। নিজেকে নিরহংকারী, নির্মোহী (মোহহীন) বানাতে হবে। বাবার স্মরণ ব্যতীত কারো কল্যাণ হতে পারে না। যত স্মরণ করবে ততই পবিত্র হবে। স্মরণেই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। জ্ঞানে এত বিঘ্ন আসে না, জ্ঞানের তো অনেক পয়েন্ট আছে। বাবাকে স্মরণ করলে সুগন্ধিত ফুলে পরিণত হবে। কম স্মরণ করলে রতন-জ্যোতি ফুল হবে। ধুতরা ফুলও হয়। তাই নিজেকে সুরভিত ফুল বানানো উচিত। কোনো দুর্গন্ধ থাকা উচিত নয়। আত্মাকে সুরভিত হতে হবে। এই সূক্ষ্ম বিন্দুর মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান ভরা আছে, এটাই হল ওয়ান্ডার। সৃষ্টি হল একটি, উপরে নীচে কোনো সৃষ্টি নেই। ত্রিমূর্তির অর্থও তোমরা জানো। তারা শুধু নাম রেখে দিয়েছে – ত্রিমুর্তি মার্গ। কেউ ব্রহ্মাকে ত্রিমুর্তি বলে দেয়। তার জীবন কাহিনী কেউ জানেনা। শাস্ত্রে আছে শ্রেষ্ঠাচারী মানুষের জীবন কাহিনী। লক্ষ্মী-নারায়ণ, রাধে-কৃষ্ণ ইত্যাদি তো সবাই মানুষ। কিন্তু অন্যের জীবন কাহিনীকে শাস্ত্র বলা হবে না। দেবতাদের জীবন কাহিনীকে শাস্ত্র বলা হয়। বাকি শিববাবার জীবন কাহিনী কোথায় ? তিনি তো হলেন নিরাকার। তিনি স্বয়ং বলেন প্রথমে স্বর্গ ছিল। এখন পুনরায় হতে হবে। কতখানি সহজ। কিন্তু পাথর বুদ্ধি এমন যে তালা খোলে না। জ্ঞান ও যোগের তালা বন্ধ।

বাবা বলেন – ঘরে-ঘরে সংবাদ দাও যে, উঁচু থেকে উঁচু হলেন বাবা। ফার্স্ট ফ্লোর মূল বতন, সেকেন্ড ফ্লোর সূক্ষ্ম বতন । থার্ড ফ্লোর হল এই সাকারী দুনিয়া। যদি ফ্লোর গুলির কথাও বাচ্চাদের স্মরণে থাকে তাহলে বাবার কথা অবশ্যই স্মরণে আসবে। সার্ভিসের জন্য যাত্রায় ব্যস্ত থাকা উচিত। বাবা কোথাও যেতে নিষেধ করেন না। বিবাহের অনুষ্ঠানে যাও, তীর্থে যাও, সার্ভিস করতে যাও। ভাষণ দাও – বলো এক হল রূহানী বা আত্মিক যাত্রা, দ্বিতীয় হল দৈহিক জগতের যাত্রা। পয়েন্ট তো অনেক পেয়ে যাও। বাণপ্রস্থীদের দলে গিয়ে সার্ভিস করো। তাদের কথাও শোনো। তারা কি বলছে। হাতে প্যামপ্লেট রাখবে। মুখ্য ৪-৫ টি কথা যেন লেখা থাকে – ঈশ্বর সর্বব্যাপী নন, গীতার ভগবান কৃষ্ণ নয়, এই কথাটি পরিষ্কার লিখে দাও। যাতে যে পড়বে সে যেন বুঝতে পারে এই কথাটি সত্য, এতেই খুব বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন। বাবা ত্রিমূর্তির উপরেও বোঝান। এই চিত্রটি ক্ষণে ক্ষণে পকেট থেকে বের করে দেখতে থাকো। কাউকেও বোঝালেন বলো – এই হলেন বাবা, এই হল বর্সা (স্বর্গের অধিকার)। বিষ্ণুর চতর্ভুজের চিত্রটিও ভালো। ট্রেনেও সার্ভিস করতে পারো, বাবাকে স্মরণ করলে বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। সার্ভিস তো হতেই পারে। কিন্তু কারো বুদ্ধিতে আসে না। খুব পুরুষার্থ করতে হবে। যুদ্ধের ময়দানে নিস্তেজ হয়ে পড়লে চলবে না। খুব সতর্ক থাকতে হবে। মন্দিরে অনেক সার্ভিস হতে পারে। বাবা শুধু বলেন মন্মনাভব। তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হও। মুখ্য কথাটি পাকা করানো উচিত। বাচ্চাদের সার্ভিসের চিন্তা থাকা উচিত। ত্রিমূর্তির চিত্রে সম্পূর্ণ জ্ঞান ভরা আছে। সিঁড়ির চিত্র টিও ভালো। প্রত্যেকে নিজের উন্নতি চায়, ধন উপার্জন করে। ছোট বাচ্চাদেরও যুক্তি শিখিয়ে দাও, সবাই আশীর্বাদ করবে। বাঃ কামাল এই ব্রহ্মাকুমার – কুমারীদের, ছোট বাচ্চারাও এত জ্ঞান দান করে যে কোনো সন্ন্যাসী ইত্যাদি দিতে পারে না। ফ্রী’তে জিনিস পেলে বুঝবে এরা আমাদের কল্যাণের জন্য দেয়। বলো, এই জ্ঞান হল ফ্রী । তোমরা নিজেরা পড়ো, নিজের কল্যাণ করো। শিববাবা হলেন ভোলা ভাণ্ডারী, তাই না। অসংখ্য বাচ্চা আছে। বাবার টাকাপয়সার কি দরকার । ট্রেনেও তোমরা অনেক সার্ভিস করতে পারো। ভালো মানুষ দেখলে তাকে জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে চিত্র দিয়ে দেওয়া উচিত। বলো তোমরা নিজের কল্যাণও করো এবং অন্যদেরও কল্যাণ করো। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কোনও কাজ নিয়মের বিরুদ্ধে করবে না। খুব খুব নিরহংকারী, নির্মোহী হয়ে থাকতে হবে। যতখানি সম্ভব প্রতিটি কাজ নিজের হাতে করতে হবে। যজ্ঞের সার্ভিস খুব খুশী হয়ে করতে হবে।

২ ) পড়াশোনায় কোনো অজুহাত দেবে না। অসুখে থেকেও পড়াশোনা করতে হবে। সদা উৎসাহে থাকার জন্য সার্ভিস করার শখ রাখতে হবে।

বরদানঃ-

ভক্তিমার্গে গণেশকে বিঘ্ন-বিনাশক রূপে পূজা করে, গণেশকে মাস্টার নলেজফুল অর্থাৎ বিদ্যাপতিও বলা হয়। সুতরাং যে বাচ্চারা মাস্টার নলেজফুল হয় তারা কখনও বিঘ্নের সামনে হেরে যায় না। কারণ নলেজকে লাইট-মাইট বলা হয়, যার দ্বারা লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হয়ে যায়। যারা এমন বিঘ্ন-বিনাশক হয়, বাবার সঙ্গে সদা কম্বাইন্ড থেকে নলেজের স্মরণে থাকে তারা কখনও বিঘ্নের সামনে পরাজিত হয় না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top