05 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

May 4, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - শ্রীমৎ অনুসারে চলে সবাইকে সুখ দাও, অসুরিক মতে কেবল দুঃখই দিয়েছো, এখন সুখ দাও, সুখ নাও”

প্রশ্নঃ --

বুদ্ধিমান বাচ্চারা কোন্ রহস্য বুঝে উঁচু পদ প্রাপ্তির জন্য পুরুষার্থ করে ?

উত্তরঃ -:-

তারা বোঝে যে, এ হল দুঃখ ও সুখ, হার ও জিতের খেলা। এখন অর্ধকল্প সুখের খেলা চলবে। সেখানে কোনো রকমের দুঃখ থাকবে না। এখন নতুন রাজধানী আসছে, তার জন্য বাবা নিজের পরম ধাম ত্যাগ করে বাচ্চাদের অর্থাৎ আমাদের পড়াতে এসেছেন, এখন পুরুষার্থ করে উঁচু পদমর্যাদা নিতেই হবে।

গান:-

বদলে যাক দুনিয়া, আমরা বদলাব না…..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা অর্থ বুঝলো। এখানে কোনো শপথ ইত্যাদি নেওয়ার দরকার নেই। এখানে তো আত্মার বোধ চাই। আত্মা তমোপ্রধান হওয়ার জন্য একেবারেই বোধহীন হয়েছে। বাচ্চারা জানে – আমরা কিরূপ বোধহীন ছিলাম। এখন বুদ্ধিমান হয়েছি। অন্য সৎসঙ্গ ইত্যাদিতে এইসব কথা বলা হয় না। সেখানে শাস্ত্র, রামায়ণ ইত্যাদি পাঠ করা হয়। এক কান দিয়ে শুনে, অন্যটি দিয়ে বেরিয়ে যায়। কোনো প্রাপ্তি নেই। যজ্ঞ, তপ, দান-পুণ্য ইত্যাদি অনেক করে, ধাক্কা খেতে থাকে। প্রাপ্তি কিছুই নেই। এই দুনিয়ায় কারো সুখ নেই। এখন বাবা সম্পূর্ণ বোধ প্রদান করেন। সবাইকে সুখ-শান্তি একমাত্র বাবা দেন। মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে আছে। ভক্তি মার্গের মানুষও স্মরণ করতে থাকে – হে দুঃখ হরণকর্তা, সুখ প্রদানকর্তা, সদ্গতি দাতা। দেখো, দুনিয়ায় কি চলছে। সবারই দুঃখ আছে। মানুষ মাত্র কেউ জানেনা যে বাবা কে ? বাবার কাছে কি উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়? অসীম জগতের পিতাকে জানেনা। ধাক্কা খেতে থাকে, শান্তির জন্য। এখন এই কথাটি কে বলেছে যে মনের শান্তি চাই ? আত্মা বলছে, তাও মানুষ জানেনা। দেহ-অভিমান আছে তাইনা। সাধু-সন্ন্যাসী ইত্যাদি সবাই হল দুঃখী, সবাই শান্তি চায়। রোগ ইত্যাদি তো সাধু-সন্ন্যাসীদেরও হয়। দুর্ঘটনাও হয়। দুনিয়ায় দুঃখ ছাড়া আর কিছু তো নেই। এখন তোমরা বুদ্ধিমান হয়েছো। বাবা বুঝিয়েছেন ড্রামাতে নতুন দুনিয়া ও পুরানো দুনিয়া, সুখ ও দুঃখের খেলা নির্দিষ্ট আছে। বাবা তোমাদের বুদ্ধির তালা খুলেছেন এবং সব মানুষ মাত্রের বুদ্ধিতে গোদরেজের তালা লাগানো আছে, সম্পূর্ণ তমোপ্রধান বুদ্ধি। তোমরা বাচ্চারা নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে জানো। সঠিকভাবে অসীম জগতের পিতাকে পেয়েছি, তিনি আমাদের সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বুঝিয়ে দেন যে এই খেলাটি কীভাবে তৈরি হয়েছে। যখন সুখ থাকে তখন দুঃখের চিহ্ন থাকে না। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে আমরা বাবার কাছে সুখ-শান্তি-সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। সত্যযুগ থেকে ত্রেতাযুগের শেষ পর্যন্ত কোনো দুঃখ থাকবে না। এখন তোমরা আলোয় বাস করছো। তোমরা পুরুষার্থ করছো – নিজের রাজধানীতে একে অপরের চেয়ে উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করো। এই স্কুল হল অসীম জগতের। অসীম জগতের পিতা পড়াচ্ছেন। তোমরা জানো উনি হলেন আমাদের মোস্ট বিলাভেড বাবা, যাঁর মহিমা হল অপরমঅপার। উনি হলেন উঁচু থেকে উঁচু পিতা, তিনি শ্রীমৎ দেন। বাকি সব মানুষ অসুরিক মতানুসারে একে অপরকে দুঃখ দেয়। তোমাদের শ্রীমৎ অনুযায়ী সবাইকে সুখ দিতে হবে। এই ড্রামাতে আমরা হলাম অভিনেতা, সে কথা কেউ জানেনা। তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝেছো এই ড্রামাতে ভারতবাসীদেরই অলরাউন্ড পার্ট আছে। পূর্বে তো তোমরা কিছুই জানতে না। এখন তো মূলবতন থেকে সূক্ষ্মবতন, স্থূলবতন সব কিছু তোমরা জেনেছো। প্রকৃত সত্য জ্ঞান তোমাদেরই আছে। পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের ব্রহ্মা দ্বারা পড়াচ্ছেন। বাবা আমাদের ত্রিলোকের সম্পূর্ণ জ্ঞান দিচ্ছেন। এ হল কাঁটার জঙ্গল। বাচ্চারা জানে – এখন আমরা কাঁটা থেকে ফুল অর্থাৎ মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হই। এখানে তো ছোট-বড় সবাই দুঃখ দেয়। গর্ভে বাচ্চারা নিজের মা-কে দুঃখ দেয়। এই দুনিয়া হল পুরানো ছিঃ ছিঃ দুনিয়া। এই সৃষ্টি চক্রের কথা কেউ জানেনা। আমরা কোথা থেকে এসেছি, কত গুলি জন্ম নিয়েছি, আবার কোথায় যাবো ?…. কিছুই জানেনা। অসীম জগতের পিতা অর্থাৎ সব সীতাদের একমাত্র রাম, তিনি হলেন নিরাকার। তোমরা সবাই হলে সীতা। বাবা হলেন ব্রাইডগ্রূম। এক প্রিয়তমের সবাই প্রিয়তমা, সবাই ভক্তিরুপা। সব সীতা, সব রাবণের জেলে বন্দী হয়ে শোক বাটিকায় রয়েছে। সম্পূর্ণ দুনিয়ার সব মানুষ মাত্রই এক ভগবানকে স্মরণ করে। ভক্তদের রক্ষক ভগবানকে বলা হয়। তোমরা সবাই হলে এখন ব্রহ্মা মুখবংশী ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণ জানে – আমাদের শিববাবা পড়াচ্ছেন। বাবার কাছে উত্তরাধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। শিববাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা। স্বর্গ বলো বা দৈব রাজধানী বলো – এই হল স্বর্গের রাজধানী তাইনা। লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন স্বর্গের মালিক। এই কথাও তোমরা এখন বুঝেছো। এখানে যখন সত্যযুগ ছিল তখন লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। এখন হল কলিযুগ। মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে আছে তাই কিছুই জানেনা যে এখন হল কলিযুগের শেষ সময়। বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তোমরা সবাই সীতা, তোমাদের সদগতি দাতা হলেন একমাত্র রাম। সব সীতা রা দুর্গতিতে আছে, কিন্তু এই কথা কেউ বোঝে না যে আমরা দুর্গতিতে আছি। নিজের ধন সম্পদের নেশা আছে। আমাদের এত বাড়ি, এত সম্পদ, এত মহল আছে, কেউ জানেনা যে দুঃখের দুনিয়ার এখন পরিবর্তন হবে। মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সব কিছু মাটিতে মিশে যাবে। এইসব যা কিছু পুরানো দুনিয়ায় দেখতে পাও, বিনাশ হয়ে যাবে। বিনাশের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এই হল সেই মহাভারতের যুদ্ধ। সেই গীতার ভগবান আছেন। কিন্তু বাবার বায়োগ্রাফিতে সন্তানের নাম (শ্রীকৃষ্ণের ) লিখে দিয়েছে। এখন শিববাবা তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় ভুল এই হয়েছে যে ভগবানের নাম উল্লেখ করা হয় নি।

তোমরা বাচ্চারা জানো, আমাদের কোনো মানুষ, সাধু-সন্ন্যাসী ইত্যাদি পড়াচ্ছেন না, শিববাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। তিনি হলেন পিতা, টিচারও হলেন তিনি, গুরুও হলেন তিনি। তিনিই হলেন সব কিছু। এই কথা তো ভুলে যাওয়া উচিত নয় তাইনা। বাবা বলেন – সবাই আমার সন্তান কিন্তু সবাইকে কি পড়াবো নাকি। বাবা বলেন – আমরা ভারতবাসী, আমাদেরকে পুনরায় রাজযোগ শেখাতে এসেছেন। ভারতবাসী স্বর্গবাসী ছিল, হীরে সম ছিল, এখন কড়ি সম হয়েছে। ঘরে ঘরে অনেক অশান্তি । বলে – বাবা আমার খুব রাগ অনুভব হয়, সন্তানদের মারধর করতে হয়। ভয় অনুভব হয়, আমরা ৫-টি বিকার যদি বাবাকে দান করেছি তাহলে আমরা এইসব কেন করি ? বাবা বোঝান – এই সময় সবার উপরে ৫ বিকারের গ্রহণ রয়েছে। দেহ-অভিমানের ভূত এলে অন্য সব ভূত (বিকার গুলি) এসে যায়। এখন বাবা বলেন – দেহী-অভিমানী হও। এখন তোমরা বুদ্ধি প্রাপ্ত করেছ। সত্যযুগেও আমরা আত্ম-অভিমানী ছিলাম। বোধগম্য হয় – আত্মার এই শরীর এখন পুরানো হয়েছে। আয়ু পূর্ণ হয়েছে তাই এই শরীর ত্যাগ করে এখন নতুন ধারণ করতে হবে। সর্প যেমন পুরানো খোলস ত্যাগ করে নতুন ধারণ করে, সর্পের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। এই দৃষ্টান্তটি হল সত্যযুগের। সেখানে তোমরা এমন করে শরীর ত্যাগ কর, দুঃখের কোনো কথাই থাকে না। এখানে অনেক দুঃখ আছে। কান্নাকাটি ইত্যাদি অনেক হয়। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো – এ হল পুরানো খোলস। এখানে কোনো নতুন খোলস প্রাপ্ত হয় না। এ হল অন্তিম পুরানো জুতো। এখন তোমরা এর প্রতি বিরক্ত হয়েছো। সেখানে তো খুশী অনুভব করে এক শরীর ত্যাগ করে অন্যটি ধারণ করে। এই কথাগুলি তোমরা বুঝতে পারছো। এখানে অনেক নতুন আত্মারা আসে কিছুই বুঝতে পারে না। দুই চার দিন এখানে বুঝে শুনে ফিরে যায় আর ভুলে যায়। হ্যাঁ, ভালো ভাবে যদি শোনে, খুশী অনুভব করে তাহলে প্রজায় আসবে। প্রজা তো অসংখ্য তৈরি হবে, তাইনা। এ হল ঈশ্বরের দ্বার অথবা ঘর তোমরা ঈশ্বরের ঘরে বসে আছো। পরমপিতা নিজ পরমধাম ত্যাগ করে এখানে সাধারণ দেহে এসে বসে আছেন। পরমধামে তো বাবার কাছে আত্মারা বাস করে। এখানে সঙ্গমে বাবা স্বয়ং এসেছেন – পতিতদের পবিত্র করতে। তাঁকে শিব নিরাকার বলা হয়। নিরাকার বাবাকে আত্মারা, ও গড ফাদার বলে ডাকে। মানুষ না বুঝে বলে দেয়, ও গড ফাদার। এই লক্ষ্মী-নারায়ণকেও ইউরোপিয়ানরা ভগবান-ভগবতী বলে। এদের কে এমন বানিয়েছে ? এই দেবতাদের বলে আপনি সর্ব গুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ আর নিজেদের কি বলে ? এই কথা জানেনা যে দেবতারাও মানুষ। ভারতেই রাজত্ব করে গেছে। তাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে মহিমা গান করে। নিজেকে নীচ পাপী বলে। কৃষ্ণের মন্দিরেও গিয়ে মহিমা গান করে। শিবের এমন মহিমা গান করবে না। তাঁর মহিমা পৃথক। শিবের কাছে গিয়ে এটাই বলে আমাদের ঝুলি ভরে দাও। তারপরে বলে ভাঙ খায়, ধুতরা খায়। আরে ভাঙ ধুতরা এলো কোথা থেকে ? কিছুই বোধ নেই। চাইতে থাকে – স্বামী চাই, এই চাই …. দীপমালা অর্থাৎ দীপাবলীতে লক্ষ্মীর আহ্বান করে। লক্ষ্মী কে, সে কথা জানে না। ৮-১০ টি ভূজ কখনও হয় কি ? এই চতুর্ভূজ স্বরূপ দেখানো হয় কারণ হল প্রবৃত্তি মার্গ । তার নাম বিষ্ণু রেখেছে। লক্ষ্মী-নারায়ণ তো সত্যযুগে বাস করেন। মানুষ জানেনা যে বিষ্ণুর দুইটি রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণের দ্বারা পালন হয়। চিত্রে লক্ষ্মীকে ৪-টি ভূজা দিয়েছে। ৪-টি ভূজধারীর সন্তানও ৪ ভূজ সহ হওয়া উচিত। কিছুই বোধ নেই। তোমরা এখন বুঝেছো – বাবা যখন আসেননি তখন আমরাও কিছু জানতাম না। এখন সম্পূর্ণ বিশ্বের আদি-মধ্য-অন্তকে জেনেছো। বাবা এসে পতিত দুনিয়াকে পবিত্র বানাচ্ছেন। আহবান করা হয় – হে পতিত-পাবন এসো। এবার পরমাত্মা আসবেন কীভাবে ? কীভাবে এসে পতিতদের পবিত্র বানাবেন ? বাবা বলেন ৫ হাজার বছর পূর্বে দৈবী স্বরাজ্য বানিয়েছিলাম তারপরে তোমরা ৮৪ জন্ম কীভাবে নিয়েছো ? এই কথাটি পূর্বে তোমাদের বুদ্ধিতে একেবারেই ছিল না। ব্রহ্মাও জানতেন না। রাধে-কৃষ্ণ, লক্ষ্মী-নারায়ণের পুজো করে। কিন্তু এই কথাটি জানেনা যে রাধে-কৃষ্ণ ই স্বয়ম্বরের পরে লক্ষ্মী-নারায়ণ হয় তাই প্রিন্সেস রাধে, প্রিন্স কৃষ্ণকে বলা হয়। স্বয়ম্বরের পরে মহারাজা-মহারানী হয়। ইনি নিজেই সেই স্বরূপ ধারণ করছেন, উনি সেকথা জানতেন না। যদিও কারো দর্শন হয় কিন্তু একটুও বোধগম্য নয়। তবুও ভক্তদের ভাবনা অল্পকালের জন্য পূর্ণ করে সাক্ষাৎকার করাই। এখানে তো ধ্যান বা দর্শনের কোনো কথা নেই। বাবা তো বোঝান – সাক্ষাৎকারে মায়া প্রবেশ করলে তোমরা পদ ভ্রষ্ট হয়ে পড়বে। অনেকে এসে বলে – আমাদের শিববাবার সাক্ষাৎকার হোক। আরে তোমাদের বোঝানো হয় – ফায়ার ফ্লাই অর্থাৎ জোনাকি খুব ছোট , চোখে দেখা যায়। আত্মা তো তার চেয়েও ছোট, সূক্ষ্ম বিন্দু স্বরূপ। যেমন আত্মা তেমন পরমাত্মার স্বরূপ। সাক্ষাৎকার হলেও সূক্ষ্ম বিন্দুর হবে। এই তো হল সূক্ষ্ম বিন্দু যা ভ্রুকুটির মাঝখানে অবস্থান করে। আত্মার সাক্ষাৎকার হলেও কিছুই বুঝবে না।

তোমরা বাচ্চারা জানো – এখন আমরা হলাম শিববাবার সন্তান। সব ব্রহ্মাকুমার – কুমারীরা শিববাবার কাছে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছে। আমাদের মুখ্য লক্ষ্যটি হল এটাই । আমরা স্টুডেন্ট তাইনা। তোমরা বলো – বাবার কাছে সহজ রাজযোগ শিখতে এসেছি। এই হল মুখ্য লক্ষ্য। এই কথাটি বাচ্চাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ভক্তি মার্গে ভক্তরা দেবতাদের চিত্র সঙ্গে রাখতো। তাহলে তো তোমাদের এই ত্রিমূর্তির চিত্র পকেটে রাখা উচিত। শিববাবার দ্বারা আমরা এই লক্ষ্মী-নারায়ণ স্বরূপে পরিণত হচ্ছি। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) শিববাবাকে বিকারের দান দিয়ে তা কখনও ফিরিয়ে নেবে না। দেহ-অভিমানের ভূতের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। এই ভূতের দ্বারা সব ভূত (বিকার) এসে যায় তাই আত্ম -অভিমানী হওয়ার প্র্যাক্টিস করতে হবে।

২ ) ধ্যান করা বা দর্শনের আশা রাখবে না। মুখ্য লক্ষ্যটি সামনে রেখে পুরুষার্থ করতে হবে। শ্রীমৎ অনুসারে সবাইকে সুখ প্রদান করতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন (ব্রহ্মা বাবা) সাকারে নিজ স্মৃতিতে থেকে যে যে কর্ম করেছেন, সেসব ব্রাহ্মণ পরিবারে সংযম হয়ে গেছে। নিজের নেশায় থাকার দরুন অথরিটি সহকারে বলতে পেরেছেন যে, যদি সাকার দ্বারা কোনো কর্ম ভুল হয়েও যায় তাও শিব বাবা ঠিক করে দেবেন । নিজ স্বরূপের স্মৃতিতে থাকলে এই নেশা থাকে যে কোনো কর্ম ভুল হতে পারবে না। তোমরা বাচ্চারাও যখন নিজ স্থিতিতে স্থির হবে তখন যে সঙ্কল্প করবে, যে কথা বলবে বা কর্ম করবে, সেইগুলি সংযম (নিয়ম) হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top