05 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 4, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এখন নতুন জীবন পেয়েছো, পুরানো জীবন বদলে গেছে, কেননা তোমরা এখন ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছো, তোমাদের প্রীতি একমাত্র বাবার সাথেই রয়েছে"

প্রশ্নঃ --

ব্রাহ্মণ যারা দেবতা হতে চলেছে, তাদের লক্ষণ কী হবে ?

উত্তরঃ -:-

সেই ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণরা সবাই এক মতের হবে। তাদের মধ্যে কখনোই মতভেদ হতে পারে না, নিজেদের মধ্যে বিভাজন হতে পারে না। লৌকিকে যাদেরকে ব্রাহ্মণ বলা হয়, তাদের মধ্যে তো অনেক মত থাকে। কেউ নিজেকে পুষ্কর্ণী বলে, কেউ সারসিদ্ধ। তোমরা ব্রাহ্মণরা এক বাবার মতের দ্বারা তোমরা দেবতা হয়ে থাকো। দেবতাদের মধ্যে কখনোই ভাঙন ধরতে পারে না।

গান:-

যেদিন মিলেছি তুমি আর আমি..

ওম্ শান্তি । যখন জীব আত্মারা আর পরমাত্মা বা বাচারা আর বাবা মিলিত হয়, তখন নতুন প্রীতির জন্ম হয়। কারণ তখন অন্য সব সঙ্গের সাথে প্রীতি ছিন্ন হয়ে যায় । যেমন কন্যার প্রথমে পিত্রালয়ের প্রতি প্রীতি থাকে, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে নতুন একজনের প্রীতি জুড়ে যায়। । তার কাছে শ্বশুরবাড়ি সম্পূর্ণ নতুন স্থান। নতুন জগতের সাথে প্রীতি জুড়ে যাওয়ার কারণে পুরো নতুন পরিবারের সাথে প্রীতি জুড়ে যায়। এখন একটা গীতও আছে যে – আত্মারা আর পরমাত্মা আলাদা ছিল বহুকাল… (সুন্দর মেলা কর দিয়া যব সদ্গুরু মিলে দালাল) এই সুন্দর মেলা হল সম্পূর্ণ নতুন মেলা। এই গৃহ নতুন, এই সম্বন্ধ নতুন। তোমরা জানো যে – আমরা হলাম ব্রহ্মাকুমার আর ব্রহ্মাকুমারী। এখন আর শূদ্র কুমার – কুমারী নয়। ব্রহ্মা আর ব্রহ্মাকুমার কুমারীদের মধ্যে কতো লভ এখন, কারণ এখন তারা হল ঈশ্বরীয় সন্তান। ঈশ্বর তো হলেন নিরাকার। তাঁর সাথে লভ তো সাকারে চাই তাই না ? নিরাকারকে কী করে লভ করবে ? আত্মা শরীর থেকে আলাদা হয়ে গেলে লভ থাকে না । আত্মা আর পরমাত্মা যখন সাকারে মিলিত হবে তখনই লভ হবে। নিরাকার রূপের উদ্দেশ্যে যদিও গাইতে থাকে – তুমি মাতা পিতা… তুমি এসো, তুমি এলে তবেই আমরা গহন সুখ পাবো। পতিত-পাবন এসো… গায় না ? অবশ্যই ভারতবর্ষ মহান দেশ ছিল, তবেই তো অগাধ সুখ ছিল। তার নামই ছিল সুখধাম। এটা হল দুঃখধাম আর যেখানে আত্মারা থাকে সেটা হল শান্তিধাম। সেখানে তো আত্মারা পবিত্রই থাকে। অপবিত্র কোনো আত্মা থাকতে পারে না। তোমরা এখন বাবাকে পেয়েছো মানে নতুন জীবন পেয়েছো। পুরানো জীবন বদলে গিয়ে এখন নতুন জীবন তৈরী হচ্ছে। নিজেদের বাবার কাছ থেকে অসীম সুখের উত্তরাধিকার নিচ্ছো। গহীন সুখ ভারতেই হয়ে থাকে – স্বর্গে আর গহীন শান্তি হয়ে থাকে নির্বাণধামে, সেখানে তোমাদের আর আমার গৃহ। সুতরাং এটাই বোঝানো উচিত যে, আমরা আত্মারা হলাম শান্তিধামের নিবাসী, বাবাও সেখানকার নিবাসী। তিনি আমাদের মতো জন্ম মৃত্যুর চক্রে আসেন না। তিনিও আত্মা, কিন্তু তিনি হলেন পরম আত্মা, পরমধামে থাকেন। আমরা আত্মারাও পরমধামের অধিবাসী ছিলাম, পরমপিতা পরমাত্মার বাচ্চা ছিলাম। আমাদের সকলের গৃহ তো সেটাই। গৃহের কথা তো সকলেরই স্মরণ রয়েছে । কারো মৃত্যু হলে বলে অমুকে পার নির্বাণ চলে গেছে। সেটা হল বাণীর থেকে ঊর্ধ্বের স্থান। সূর্য চন্দ্রের ছায়াও যেখানে থাকে না, আমরা হলাম সেখানকার অধিবাসী। এখন বাবাকে আমরা স্মরণ করতে থাকি। যখন বাবা আসেন তখন নতুন কথাকে পুনরায় শোনান। মানুষ এই ড্রামাকে জেনে গেলে বলে – আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের সেকেন্ড বাই সেকেন্ড হল নতুন । বেহদের ড্রামা আবর্তিত হতেই থাকে। তো বাবা এসে নতুন নতুন কথা শোনান। তোমাদেরকে আমি ত্রিকালদর্শী, ত্রিনেত্রী বানাচ্ছি। বাবা ব্রহ্মান্ডের মালিক তো ত্রিলোকেরও মালিক। কেননা তিনি তিন লোকের নলেজ প্রদান করেন। তোমরা তিন লোকের মালিক হও না। তোমরা বিশ্বের মালিক মহারাজা মহারানী হও। ত্রিলোকী অর্থাৎ তিন লোককে বলা হয়। মালিক তো তোমরা একটি লোক – স্বর্গের হয়ে থাকো। সুতরাং এ’সব হল নতুন নতুন কথা। বাবার বাচ্চা তোমার হওই উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য। যে কাউকেই এটা বোঝানো খুব সহজ। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো ভগবানের সাথে তোমার কী সম্বন্ধ ? ভগবান তো হলেন স্বর্গের রচয়িতা । মাতা-পিতা তিনি। ভগবানকে কখনোই নরকের বা দুঃখধামের রচয়িতা বলা যাবে না। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা স্বর্গের স্থাপনা করে থাকেন। নিশ্চয়ই নতুন দুনিয়া স্বর্গেরই রচনা করবেন। পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা প্রথমে ব্রাহ্মণ ধর্মের রচনা করেন, তাদেরকে রাজযোগ শেখান, যারা তারপর ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হয়। তো ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ, তারপর বিষ্ণুর দ্বারা দৈবী ধর্ম হবে। এই সময় তোমরা ব্রাহ্মণ হয়ে তারপর ক্ষত্রিয়ও হও। তোমরা বিষ্ণু ধর্মেও যাও। এখন ঈশ্বরীয় ধর্ম বা ব্রাহ্মণ ধর্মে এসেছো, এরপর ভবিষ্যতে দৈবী ধর্মে যাবে। ব্রাহ্মণ ধর্মও চাই, তাই না ? প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ রচনা করেন, তারা হল গিয়ে সন্তান। সন্ন্যাসীরাও তো মুখ থেকেই রচনা করে। কিন্তু তারা বাচ্চাদের রচনা করে না, ফলোয়ার্স বানায়। সেটাকে বংশ বলা যাবে না। মুখে তারা বলে তোমরা হলে আমার ফলোয়ার্স। বংশ হলে তো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। এটা তো তোমরা বাচ্চারা জানো দিনে দিনে ব্রহ্মা মুখবংশাবলীর বৃদ্ধি হতেই থাকবে। বি. কে. অনেক বাড়তে থাকবে। যত জন দেবতা হবে, তত পরিমাণেই দেবতা অবশ্যই হবে। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা মানব থেকে ব্রাহ্মণ তথা দেবতা বানান, সুতরাং তারা স্বর্গের মালিক হবে। তাদেরই জন্য এই কথাটি প্রসিদ্ধ – “মানব থেকে দেবতা… তো এই বাবা এসে নতুন নতুন কথা শোনান। নতুন দুনিয়ার জন্য নতুন কথা হওয়ার কারণে শাস্ত্রে কোথাও এই সব কথা নেই, সেইজন্য মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।

তোমাদের এটা হল ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়। কিন্তু যারা ঈশ্বরীয় সন্তান হওয়ার পরে, তারপর ঈশ্বরকে তালাক দিয়ে দেয়, তারা তখন আসুরিক সম্প্রদায়ের হয়ে যায়। একবার মাম্মা বাবা বলে, জ্ঞান শুনলে উত্তরাধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত হবে। মাম্মা বাবা বলতে থাকে, লিখেও থাকে পিতাশ্রী, মাতেশ্বরী। প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো বিখ্যাত, শিব বাবাও বিখ্যাত। আত্মা বলে গড ফাদার। বাবা বলেন – আমি সবার আগে প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে অ্যাডপ্ট করি। এই ব্রহ্মার অ্যাডপশন হল সব ব্রাহ্মণ । তাহলে নতুন রচনা হয়ে গেল, তাই না ? তাহলে নিশ্চয়ই অনেক হবে। এত এত সংখ্যায় কী বিষের দ্বারা জন্ম হওয়া সম্ভব নাকি। গাওয়াও হয়ে থাকে প্রজাপিতা ব্রহ্মা আর জগদম্বা। ব্রহ্মাও এক, বিষ্ণুও এক, লক্ষ্মী-নারায়ণও এক, জগদম্বাও এক হয়ে থাকে। এই ফিচার্স দ্বিতীয়বার আর দেখতে পাওয়া যাবে না। প্রতিটি মানুষ আবার কল্প পরে সেই ফিচার্সে দেখতে পাওয়া যাবে। এখানে তো একজনকেই অনেক ফিচার্সের বানিয়ে দেয়। এখানে বহু লোকের নাম হল রাধাকৃষ্ণ। কিন্তু মানুষ কী সে সব বোঝে ? রাধা-কৃষ্ণ তো স্বর্গের ফার্স্ট ক্লাস প্রিন্স, প্রিন্সেসের নাম। আমরা হলাম পতিত, আমরা কী করে এই নাম রাখতে পারি। তো শিব বাবা এই নতুন নতুন কথা শোনান, নতুন দুনিয়ার জন্য এ হল নতুন বিষয়, নতুন জ্ঞান। বাবা বলেন – আমি পূর্ব কল্পে এই সব নতুন কথা শুনিয়েছিলাম, আবার শোনাচ্ছি। তোমরা এখন শুনছো। তোমরা দেবী-দেবতা হয়ে গেলে তখন এই জ্ঞান লুপ্ত হয়ে যাবে। এত উচ্চ এই পাঠ । এও গাওয়া হয়ে থাকে – আশ্চর্যবৎ নিজের বাবার হয়, জ্ঞান শোনে, অন্যদেরকে শোনায়, তার পরেও অহো মায়া ভাগন্তি হয়ে যায় । তখন কাউকে বলতেও পারবে না যে, বি. কে. র কাছে চলো। এও ড্রামাতে নিহিত রয়েছে । নাথিং নিউ । অনেক আসে আবার যেতেও থাকে। ভাট্টিতেও বসেছে, কিন্তু মায়ার কাছে পরাভূত হয়ে ভাগন্তি হয়ে গেছে । স্বর্গে তো আসবে, যেমন পুরুষার্থ করেছে সেই রকমই পদ পাবে। নিজের জন্য কিম্বা নিজের আত্মীয় পরিজনের বিষয়ে কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে তবে বলতে পারো। নিজেরাও বুঝতে পারবে যে এই অবস্থায় কী পদ পেতে পারে। বাবা বসে বোঝান – দিল্লিতে সব ধর্মের কনফারেন্স হয়, তারা কনফারেন্স করে বিশ্বে শান্তি কীভাবে স্থাপন হবে বা নিজেদের মধ্যে মিলে কীভাবে এক হওয়া যায়। এক তো হতে পারবে না ! রিলিজিয়াস হেডদের কনফারেন্স হয়, কিন্তু তাদের জানা নেই যে, ধর্ম নম্বর ওয়ান কী রকম। এক নম্বর ধর্ম কোনটা ? রিলিজিয়াস হেডস মানে যারা যারা ধর্ম স্থাপন করেছে, সেই হেড’রা আসুক। যেমন চীফ মিনিস্টারদের কনফারেন্স হয়ে থাকে, সেখানে কালেক্টররা কিম্বা জজ ইত্যাদিরা আসতে পারে না। গভর্ণরদের নিজেদের মধ্যে যদি কনফারেন্স হবে, সেখানে গভর্ণররাই আসবে। হ্যাঁ, অবশ্যই তাদের সাথে তাদের প্রাইভেট সেক্রেটরী প্রমুখরা সাথে থাকতে পারে। চিন্তন করা উচিত যে, এই সব ধর্ম গুলি নম্বরক্রমানুসারে কীভাবে স্থাপন হয়ে থাকে ? সবথেকে বড় ধর্ম কোনটা ? আদি সনাতন তো দেবী-দেবতাই ছিল। সেই ধর্মের হেড কোথায় ? সেই ধর্ম কে স্থাপন করেছে ? কৃষ্ণ তো এখন নেই। সকলে কৃষ্ণকে মানবে এইরকম সবাইকে চাই তবে ! তারা হল বল্লভাচারী। তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, তারা তো হিন্দু ধর্ম বলে দেয়। কিন্তু হিন্দু ধর্ম তো নেই। দেবতা ধর্মেরও এখন কেউ নেই। ধর্মের হেডদের তো তাহলে আসতে হবে। সেক্রেটারি ইত্যাদিদেরও চাইলে আনতে পারে। মুখ্য ধর্ম তো হলই চার। তাদের হেডদের চাই। দেবী-দেবতাদের হেড কে ? গীত তো গেয়ে থাকে – গডেস অফ সরস্বতী, প্রজাপিতা ব্রহ্মা… তাহলে এটাই নিশ্চয়ই বড় হবে। তারাও বুঝতে পারবে যে ব্রহ্মার থেকে ব্রাহ্মণ ধর্মের উৎপত্তি। কিন্তু তারা এটা জানে না যে, এই ব্রাহ্মণদেকে কীভাবে পড়িয়ে দেবতা বানানো হয়। সেই ব্রাহ্মণরাও বলে থাকে যে, আমরা হলাম ব্রহ্মার সন্তান । কিন্তু কীভাবে উৎপত্তি সেটাই তারা জানে না। তারপর ব্রাহ্মণদের মধ্যে কেউ পুষ্কর্ণী, কেউ সারসিদ্ধ এই রকম হয়ে থাকে। এখানে তো ব্রহ্মার সন্তান ব্রাহ্মণই ব্রাহ্মণ । আর এদের মধ্যে কোনো ভাগই হওয়া সম্ভব নয়। অন্য ব্রাহ্মণদের মধ্যে অনেক বিভাজন থাকে, এদের মধ্যে নয়। না দেবতাদের মধ্যে কোনো বিভাজন হয়। সূর্যবংশীরা সবাই সূর্যবংশী, মতভেদের কোনো ব্যাপারই নেই। বিভাজন হলে কতো ক্ষতি হয়ে যায়। তো বাবার কাছ থেকে তোমরা এই সব নতুন নতুন কথা শুনছো তাই না ? এখানে কোনও গীত গাওয়া হয় না, নতুন নতুন সব নলেজ প্রদান করা হয়। সমগ্র সৃষ্টি চক্রের নলেজ প্রদান করা হয়, যেগুলি ধারণ করতে হবে। এই রকম যিনি বাবা, টিচার, গুরু, তাঁকেই তালাক দিয়ে ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন ছেড়ে দেওয়া উচিত নাকি ! পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া অর্থাৎ বাবাকে ছেড়ে দেওয়া। স্টুডেন্ট নয় তবে বাচ্চাও বলতে পারবে না। বাবাকে ছেড়ে দেওয়ার অর্থই হল অবিনাশী উত্তরাধিকারকেও হারানো। পতিত-পাবন একমাত্র বাবা’ই।

বাবা বলেন – এখন হল কয়ামতের (অন্তিম হিসাবের সময়) সময়। সকলকে ফিরে যেতে হবে – হিসাব-পত্র মিটিয়ে দিয়ে। সোনা আগুনে ফেলা হলে তখন সেটা পিওর হয়ে যায়। এখন আগুন তো সমগ্র দুনিয়াতে লাগবে, কিন্তু এই আগুনে পবিত্র হতে পারবে না। সেটা তো হয় যোগ বলের দ্বারা নয়তো সাজা ভোগ করে শরীর ত্যাগ হবে, হিসাব-পত্র মিটিয়ে তারপর পবিত্র হয়ে ফিরে যেতে হবে। ফিরে যাওয়ার সময়ও হল এটাই। মহাভারতের লড়াইও। হোলিও পালন করা হয়। রাবণ-রাজ্যের অবসান হয়ে তারপর রামরাজ্য, তাতে খুব কম জনই থাকবে। এখন রাবণ-রাজ্যে মানুষ ইত্যাদির সংখ্যা অনেক। এই সব আত্মারা কোথায় যাবে ? তার জন্য নিশ্চয়ই লিবারেটরও চাই। বাবা বলেন – আমি সবাইকে নিয়ে যাব, সকলকে জাগ্রত করে নিয়ে যাব। তারপর তাদেরকে নিজের নিজের পার্ট প্লে করতে হবে । তোমরা জানো যে, আমরা দেবী-দেবতা ধর্মে আসবো। মুক্তিধামে গিয়ে তারপর আবার এখানে ফিরে আসবো। ৮৪ জন্ম ভোগ করবো। সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী… হবো। সমগ্র চক্র বুদ্ধিতে চলে এসেছে। আত্মা এখন বলতে পারবে যে, এসো আমি তোমাকে শিব বাবার অক্যুপেশন সম্পর্কে বলছি। বাচ্চারা ছাড়া অন্য কেউ তো বলতে পারবে না। তারা বলবে পরমাত্মা তো হলেন নিরাকার, তাঁর অক্যুপেশন কী বলবে ? আরে উনি হলেন পতিত-পাবন, পবিত্র বানানোর জন্য তাঁকে তো আসতেই হবে না ? তিনি কীভাবে রাজযোগ শেখান, ব্রহ্মার দ্বারা কীভাবে দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপিত হয়, সে’সব আমরা বলতে পারি। তো বাবা বসে সব কথা বোঝান, বাচ্চাদেরকেই তো বোঝাবেন। কল্প পূর্বে যারা পড়েছিল, তারাই পড়ে, না পড়ার হলে ভাগন্তি হয়ে যায়। নতুন কিছু নয়। তবুও বাচ্চাদের প্রতি বাবার সব সময় লভ থাকে যে, বেচারা যাতে ফিরে এসে বাবার কাছে থেকে সম্পূর্ণ বর্সা নিতে পারে। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে কী করতে পারবে ! বাবার তো লভ আছে না, কেননা ভক্তি মার্গেও তো বাবাকে খুব স্মরণ করে। যারাই দেবী-দেবতা ধর্মের হবে তারা তো অবশ্যই স্মরণ করে থাকবে। অর্ধ কল্প খুবই স্মরণ করে থাকে। আত্মা সুখ পেয়েছে, তাই দুঃখে বাবাকে স্মরণ করবে। তারা বেশী ভক্তি করে পূজারীর থেকে পুনরায় পূজ্য হয়। যারা দেবী-দেবতা ছিল, তাদেরই স্যাপলিং লাগছে।

সুতরাং যখন কোথাও কনফারেন্স ইত্যাদি হয়, তাতে মুখ্য ধর্মের যারা তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়। বি. কে. দেরকে আমন্ত্রণ জানালে তারা সম্পূর্ণ রূপে বলতে পারবে। প্রজাপিতা ব্রহ্মার বাচ্চা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাই সম্পূর্ণ রায় প্রদান করতে পারে যে কী কী করতে হবে। তোমরা পীস চাইছো, কিন্তু পীস তো নির্বাণধামেই হয়ে থাকে। এখন তো হল দুঃখধাম, এখানে অনেক ধর্ম। একটিই ধর্ম ছিল তো সুখ-শান্তি সব কিছু ছিল। এখন এই বিনাশ তো অবশ্যই হবে, এতে তো খুশী হওয়ার কথা যে, স্বর্গের গেট খুলছে। এইভাবে এইভাবে কন্যারা, তোমাদেরকে বোঝাতে হবে। বুঝতে পেরেছো ? আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কখনোই বাবাকে বা ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনকে ছেড়ে দিয়ে অবিনাশী উত্তরাধিকারকে হারাবে না। এক মত হয়ে থাকবে।

২ ) সাজার থেকে বাঁচার জন্য যোগবলের দ্বারা পুরানো সব হিসাব-পত্র মিটিয়ে ফেলতে হবে।

বরদানঃ-

নিমিত্ত ভাব বোঝাকে সহজেই সমাপ্ত করে দেয় । আমার দায়িত্ব, আমাকেই সামলাতে হবে, আমাকেই ভাবতে হবে… তাহলে সেটা বোঝা হয়ে যায়। দায়িত্ব তো বাবার আর বাবা আমাকে ট্রাস্টি অর্থাৎ নিমিত্ত বানিয়েছেন, এই স্মৃতির দ্বারা ডবল লাইট হয়ে উড়তি কলার অনুভব করতে থাকো। যেখানে আমার রয়েছে, সেখানে বোঝা রয়েছে। সেইজন্য যে কোনো কার্যে কখনো যদি বোঝার অনুভব হয়, তবে চেক করো যে, তোমার এর পরিবর্তে আমার বলছো না তো ?

স্লোগানঃ-

লাভলীন স্থিতির অনুভব করো –

যেমন কেউ যখন সাগরে থাকে, সাগর ছাড়া তার আর কিছুই নজরে আসবে না। সেই রকমই তোমরা বাচ্চারা সর্ব গুণের সাগরে সমায়িত হয়ে যাও। বাবাতে সমায়িত নয়, বাবার স্মরণে, স্নেহের সাগরে সমায়িত হয়ে যাও।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top