05 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

4 April 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা, টিচার এবং সদগুরু, এই তিনজনই পরমপ্রিয়, এই তিনই এক, তাই স্মরণ করাও সহজ হওয়া চাই"

প্রশ্নঃ --

এই কলিযুগে সদা তরুণ কে থাকে আর কীভাবে ?

উত্তরঃ -:-

এখানে রাবণ ( বিকার ) সদা তরুণ থাকে । মানুষ যদিও বৃদ্ধ হয়ে যায়, কিন্তু তার মধ্যে যে বিকার থাকে, ক্রোধ থাকে, তা কখনো বৃদ্ধ হয় না । এগুলি সদা তরুণ থাকে । মৃত্যু পর্যন্ত বিকারের আশা থেকে যায় । বাবা বলেন, কাম হল মহাশত্রু, কিন্তু মানুষের কাছে সেটাই পরম মিত্র, তাই এরজন্য একে অপরকে বিরক্ত করতে থাকে ।

গান:-

আমি এক ছোটো বাচ্চা..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা বাবাকে স্মরণ করে । তারা মনে করে, আমরা এই সময় মায়া বা বলবান রাবণের শৃঙ্খলে আটকে আছি । বাবা বলেন, এর থেকে যিনি মুক্ত করেন, তিনি সমর্থ । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, আমরা আত্মারা বলহীন । রাবণ আমাদের বলহীন করেছে । এই জ্ঞান কোনো মনুষ্যের নেই । বাবা বসে বাচ্চাদের এই জ্ঞান দান করেন । তোমরা কতো সর্বশক্তিমান, এই বিশ্বের মালিক ছিলে । এখন কতো কাঙ্গাল আর দুর্বল হয়ে গেছো, তাই সবাই ডাকতে থাকে, হে পরমপিতা পরমাত্মা, তুমি এসে আমাদের এই রাবণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করো । হে পতিত পাবন, এসো । তিনিই পতিতকে পাবন করেন । এই সময় হলো রাবণ রাজ্য, স্বর্গ হলো রামরাজ্য, নরককে রাবণরাজ্য বলা হয় । রাবণও বলবান, রামও বলবান, কেননা দুইই অর্ধেক কল্প ধরে রাজত্ব করে । মনুষ্য তো সবই পতিত । তোমরাও পূর্বে পতিত ছিলে, এখন পতিত পাবন এসে তোমাদের পাবন হওয়ার জন্য জ্ঞান দান করছেন । যোগ আর জ্ঞান । প্রথমে তো বাবার সঙ্গে যোগের প্রয়োজন । দুনিয়াতে বাবা আলাদা, টিচার আলাদা আর গুরু আলাদা । আলাদা করে মনে করতে হয় । অমুক টিচার আমাদের পড়ান । তোমরা এই তিন সম্বন্ধে একজনকেই স্মরণ করো । এই তিনজনের নাম হলো এক ‘শিব’ । পরমপ্রিয় পরম পিতা, পরমপ্রিয় শিক্ষক, পরমপ্রিয় সদগুরু, ওই একজনই । মনুষ্য তো টিচারকে আলাদা করে, গুরুকে আলাদা করে আর বাবাকে আলাদা করে মনে করে । তাদের নাম – রূপ আলাদা – আলাদা । এখানে বুদ্ধিতে তিনজনেরই নাম – রূপ একই আসে । রূপ হলো নিরাকার, আর নাম শিব । বুদ্ধিতে একজনই স্মরণে আসে । শিব বাবা বলেন – বাচ্চারা, আমি আসি তোমাদের এই মৃত্যুলোক থেকে নিয়ে যেতে, যার নিদর্শন তোমরা এখন দেখছো । বলবান হতে গেলে মায়া নানান দিক থেকে চলে আসে, বিঘ্ন এনে উপস্থিত করে । তোমরা অনেক আঘাত খাও । মায়া কখনো জোরে থাপ্পড় মারে, কখনো হাল্কা । জোরে এমন মারে যে বিকারে পড়ে যায় । তখন সেই প্রভাব অনেক সময় ধরে চলে । বুদ্ধিতে যেন তালা লেগে যায় । বাবা এখন বলেন, মায়া তোমাদের ভোলানোর অনেক প্রয়াস করবে, কিন্তু তোমরা ভুলে যেও না, তোমরা যত আমাকে স্মরণ করবে ততই বুদ্ধিতে জ্ঞান আসবে, আর উচ্চ পদও প্রাপ্ত করবে । এমন কোনো বাচ্চাই থাকবে না যার বাবার উত্তরাধিকার স্মরণে আসবে না । এই উত্তরাধিকার বাচ্চাদের থেকে লুকানো যায় না । তোমরাও জানো যে, আমরা পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করতে পারি । সবাই তো আর একরকম রাজধানী প্রাপ্ত করতে পারবে না । এই রাজধানী এখন স্থাপন হচ্ছে, আর যারা আসে তারা কোনো রাজধানী স্থাপন করে না । এমনও বলা হবে না যে, তারা রাবণের রাজ্যে আসে । রাবণের সম্পর্ক হলো ভারতের সঙ্গে । এখানেই রাবণকে জ্বালানো হয়, অন্য কেউ তো রাবণকে জানেই না । অর্ধেক কল্প পরে রাবণ রাজ্য হয় । অবশ্যই সূর্যবংশী বা চন্দ্রবংশীদের থেকেই ইসলাম ধর্মের মানুষ ইমার্জ হয়েছে । এক ধর্মের থেকেই অন্য ধর্মের বংশ বের হয় । এমনও নয় যে, ধর্মের কুল বের হলো, তখন সেই সময় সেখানে রাবণ রাজ্য হবে । তা নয়, সে তো পরে আসে । বাবা তো এসে রাজধানী স্থাপন করেন । ওরা কখনো অর্ধেক সময়ে, কখনো কোয়ার্টার সময়ে আসে । তোমাদের সতোপ্রধান থেকে আবার তমোপ্রধান হতে হবে । ওদের জন্য অল্পকালের সুখ আর বহুকালের দুঃখ । এই খেলাও তোমাদের বোঝানো হয় । প্রথমে পবিত্র ছিল, তারপর পতিত হয় । প্রথমে একই দেবী – দেবতা ধর্ম ছিলো । তারপর অন্য ধর্মের বৃদ্ধি হয় । দেবতারা নিজেরাই হিন্দু হয়ে যায়, তারপর নানা রকম গুণিতক হতে থাকে । তারা নিজেদের ধর্মস্থাপকদের পিছনে চলে যায় । দেবতা ধর্ম প্রায় লোপ হয়ে যায় । সবাই দেবী দেবতা ধর্মের, কিন্তু নিজেদের দেবতা বলতে পারে না কেননা তারা পবিত্র নয় । পবিত্রতা ছাড়া নিজেদের দেবতা বলা নিয়মবিরুদ্ধ হয়ে যায় । যারা প্রকৃত দেবী – দেবতা ছিলো, তারাই আবার ক্ষত্রিয়, তারপর বৈশ্য এবং পরে শূদ্র হয়ে যায় । তোমরা এখন আবার ব্রাহ্মণ হয়েছো । এইসব কথা অন্য ধর্মের মানুষ বুঝতে পারবে না । দেবতা ধর্মের যারা, তারাই এখানে আসবে, বাকিরা তো পরে আসতে থাকবে । ভবিষ্যতে অনেক বৃদ্ধি পেতে থাকবে । মুখ বংশাবলীর বৃদ্ধি হয় । প্রজাপিতা ব্রহ্মা এখন ব্রাহ্মণ ধর্মের স্থাপনা করেন । প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান অবশ্যই ব্রহ্মাকুমার – কুমারী হবে, তাই না । ব্রাহ্মণ বর্ণের যারা, তারাই দেবতা হবে । অনেকেই এসে এই জ্ঞান প্রাপ্ত করবে ।

তোমরা সূর্যবংশী রাজধানীতে আসার জন্য পুরুষার্থ করো । তাঁদের মধ্যে মুখ্য হলো ৮, বাকি তো বৃদ্ধি হয়ে যায় । যারা মাম্মা – বাবার হবে, কিছু জ্ঞান শুনবে, তারা আসবে । প্রদর্শনীতে অনেকেই আসে । তার মধ্যে যারা ভালোভাবে পুরুষার্থ করে, এমন কিছু বের হয় । সবার প্রথম অবশ্যই বাবার পরিচয় দেওয়া উচিত । এরপর কেউ লিঙ্গ রূপ বলে, কেউ আবার জ্যোতি স্বরূপ বলে, কিন্তু তাঁকে বাবা মনে করলে, ব্রহ্ম হল মহতত্ত্ব, তাকে ভগবান বলা যায় না । পরমপিতা পরমাত্মা তো নলেজফুল । ব্রহ্ম তো আর নলেজফুল নয় । তোমরা জিজ্ঞেস করো, আত্মার রূপ কি ? তখন ওরা লিঙ্গ বলে দেয়, কেননা লিঙ্গ রূপেরই পূজা হয় । স্টারের পূজা তো কোথাও হয় না । না জানার কারণে কিছু না কিছু বানিয়ে দেয় । মানুষ নুড়ি – পাথরে ভগবান আছে বলে দেয় । বাবা বোঝান, আত্মা তো স্টার, আত্মার একত্রিত ঝাঁক দেখা যেতে পারে । সমস্ত আত্মারা যখন ফিরে যাবে তখন বড় ঝাঁক তৈরী হবে । তাকে বলা হয় সূক্ষ্মর থেকেও সূক্ষ্ম । সাক্ষাৎকারে কেউ কিছুই বুঝতে পারে না । মনে করো, কারোর শিব অথবা ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শঙ্করের সাক্ষাৎকারও হলো, কিন্তু এতে লাভ কিছুই নেই । এখানে তো সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তকে জানতে হয় । এ হলো পড়া । পরমাত্মাও হলো এক স্টার । এতো ছোটো জিনিসের দেখো কতো মহিমা । জ্ঞানের সাগর, প্রেমের সাগর, সুখের সাগর, তিনি একাই সব করেন । একে বলা হয় — অতি গুহ্য কথা ।

বাবা বলেন যে, তোমাদের বুদ্ধিতে আসা উচিত যে, অবশ্যই স্বর্গের রচয়িতা আছে । এমন বলেও থাকে যে, ভগবান অবশ্যই কোথাও না কোথাও এসেছেন । গীতার ভগবান যদি শ্রীকৃষ্ণ হতেন, তাহলে তিনি তো দেহধারী, লুকাতে পারতেন না । এ তো সম্পূর্ণ গুহ্য কথা । কখনো শোনেই নি যে, পরমপিতা পরমাত্মা কি জিনিস, আত্মা কি জিনিস । কেবল বলে দেয় – ভ্রুকুটির মধ্যে ঝলমলে এক আজব নক্ষত্র । তারপর তাঁকে পরমপিতা পরমাত্মা বলে দেয় । এখন আত্মা আর পরমাত্মার রূপের মধ্যে কোনো তফাৎই তো হয় না । পরমাত্মা কি কোনো ভারী জিনিস, নাকি বড় রোশনাই ? তা নয়, তিনি হলেন নলেজফুল । তিনি গতি – সদ্গতির জন্য জ্ঞান দান করেন । তাই তিনি জ্ঞানের সাগর । এখন জ্ঞানের সাগর পরমপিতা পরমাত্মাকে বলবে, নাকি রাবণের মতে চলা মনুষ্যকে বলবে ? বাবা বলেন – আমি হলাম অথরিটি, বাকি এ সবই হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী । ব্রহ্মার হাতে শাস্ত্র দেখানো হয়, কিন্তু তারা এও জানে না যে, ব্রহ্মা কে ? বাবা বলেন, আমি পূর্বেও বলেছিলাম যে, আমি সাধারণ বৃদ্ধ তনে আসি । এই নন্দীগণে এসে জ্ঞান শোনাই । মনুষ্য ভগীরথও দেখায় আবার গোমুখও দেখায় । তারা ভগীরথ থেকেও গঙ্গা, আবার গো মুখ থেকেও গঙ্গা নির্গত দেখায় । ভুল বা ঠিক কোনটা তা বুঝতেই পারে না । ষাঁড়ের মুখ থেকে কি গঙ্গা নির্গত হতে পারে ? গোমুখ যখন দেখায় তখন গরু থাকা উচিত । নন্দীগণকে ষাঁড় দেখানো হয়, এই মেল তো বরাবর মনুষ্য । গরুও যদি বলা হয়, সেও তো মাতা, তাই না । এই কথা মানুষ সম্পূর্ণ ভুলে গেছে, কিছুই সঠিক বলে না । ব্রহ্মার দ্বারা সূর্যবংশী রাজ্যের স্থাপনা হচ্ছে । এখানে তো কোনো রাজত্ব নেই । এই অসীম জগতের পিতা অসীম জগতের রাজত্ব দান করেন । এই পড়ার দ্বারা যারা সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী ঘরানার হবে, তাদেরবুদ্ধিতেই এই কথা বসবে । প্রথমে এই নিশ্চয়তা চাই যে, শিব বাবাই আমাদের সাথে করে নিয়ে যাবেন । অন্য কোনো গুরু – গোঁসাইদের এই কথা বলার শক্তিই নেই । পতিত পাবন তো এক বাবাই, তাঁকেই মানুষ স্মরণ করে যে, তুমি এসে পাবন বানাও । নতুন থেকে পুরানো, আবার পুরানো থেকে নতুন — এ তো হতেই হবে । পরমপিতা পরমাত্মা ছাড়া পবিত্র দুনিয়া কেউই তৈরী করতে পারে না । বাবার থেকেই সূর্যবংশী আর চন্দ্রবংশী রাজত্বের উত্তরাধিকার পাওয়া যায় । এখানে তো কোনো রাজত্ব নেই । এ খুবই বোঝার মতো কথা । মানুষ মনে করে যে, শাস্ত্র হলো সত্যি, কারণ ভগবান বানিয়েছেন । তারা এ কথা জানেই না যে, ভগবান মনুষ্য তনে এসে গীতা শুনিয়েছেন । গীতায় কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে । এই ভুল বুদ্ধি থেকে দূর হওয়া উচিত । প্রথমে শিব বাবাকে জানবে, তখন বুঝতে পারবে যে, তিনি স্বর্গের স্থাপনা করেন । না জানার কারণেই মানুষ লড়াই – ঝগড়া করে । বাবা বলবেন, তোমরা স্বর্গে উচ্চ পদ লাভ করার উপযুক্ত নয় । তোমরা দৈবী গুণ সম্পন্ন নয়, তোমাদের ধারণা হয় না, তাই অবশ্যই বিকার থাকবে । কেউ যদি বৃদ্ধ হয়, তার মধ্যেও অনেক পরিমাণে ক্রোধ থাকে । ক্রোধ তো আর বৃদ্ধ হয় না । আজকাল বৃদ্ধরাও বিকারে যায় । বাবা বলেন, কাম হলো মহাশত্রু, মানুষের জন্য তা আবার মিত্র । বিকারের জন্য দেখো কতো উৎপাত করতে থাকে । রাবণ এখানে সকলের মিত্র । বিষের দ্বারাই জন্ম তো, তাই না । বিষের দ্বারা জন্ম অর্থাৎ রাবণের দ্বারা জন্ম । মানুষ এই কথা জানেই না । বাবার শ্রীমতে চললে তখনই সুপুত্র বলা হবে । বিকর্ম করলে চট করে সাবধান করা হয় । অনেকের মধ্যেই অনেক ধরনের অভ্যাস থাকে । মিথ্যা কথা বলার, চুরি করার, চাওয়ার অভ্যাস থাকে । বাবা বলেন, আমি তো দাতা, তোমরা অন্য কারোর থেকে চাও কেন ? যার ইন্সিওর করার হবে, সে নিজে থেকেই করবে । তোমরা কখনোই চেও না । আজ বাবার জন্মদিন, কিছু তো দাও, এমনভাবে চেও না । তোমাদের বোঝাতে হবে — ইন্সিওর করার হলে তোমরা করতে পারো । ভক্তিমার্গে মানুষ নিজেকে ঈশ্বরের কাছে ইন্সিওর করে, যাকে দান বলা হয় । তার ফলও বাবাই প্রদান করেন । সে হলো জাগতিক ইন্সিওরেন্স, আর এ হলো অসীম জগতের । ভক্তি মার্গে মানুষ বলে এসেছে, পরমপিতা পরমাত্মা এই ভক্তির ফল দিয়েছেন । বিত্তবান হলে বলবে, এ পাস্ট কর্মের ফল প্রাপ্ত করেছি । কেউ গরীব আছে যারা ইন্সিওর করে নি তাই অর্থ প্রাপ্ত করতে পারে না । বাবা বলেন, সবাই আমার কাছেই ইন্সিওর করে । মানুষ বলে, এ ভগবান দিয়েছেন । ভক্তি মার্গে তোমরা জাগতিক ইন্সিওর করো । এখন সরাসরি অসীম জগতের ইন্সিওরেন্স করো । মাতা – পিতা দেখো ইন্সিওরেন্স করেছেন, তাই রিটার্নে কতো দেন । কন্যাদের কাছে তো অর্থ থাকে না । তারা যদি এই সেবায় লেগে যায় তাহলে সবথেকে উঁচুতে যেতে পারে । মাম্মা কিছুই ইন্সিওর করেননি । হ্যাঁ, এই সেবায় নিজের শরীর দিয়েছেন, তাই কতো উচ্চ পদ পান । আত্মা জানে যে, আমি এই শরীরের দ্বারা অসীম জগতের পিতার সেবা করছি । জগদম্বার কতো বড় পদ । জগদম্বা প্রথমে জ্ঞান – জ্ঞানেশ্বরী হন, তারপর রাজ – রাজেশ্বরী হন । এই সবকিছু তোমরাই জানো । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি অতি প্রিয় বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সুপুত্র হওয়ার জন্য বাবার শ্রীমতে চলতে হবে । চাওয়ার, চুরি করার বা মিথ্যা বলার যে মন্দ অভ্যাস আছে, তা দূর করতে হবে ।

২ ) নিজের সবকিছুই বাবার কাছে ইন্সিওর করতে হবে, শরীরও ঈশ্বরীয় সেবাতে লাগাতে হবে । কোনো কারণেই যেন মায়ার প্রবেশ না হয়, তারজন্য সাবধান থাকতে হবে ।

বরদানঃ-

সঙ্গম যুগে তোমরা বাচ্চারা সবথেকে অধিক খুশীর ভাগ্যের অধিকারী, কেননা স্বয়ং ভগবান তোমাদের পছন্দ করেছেন । তোমরা অসীম জগতের মালিক হয়ে গেছো । ভগবানের অভিধানে ”হু’জ হু” তে তোমাদের নাম আছে । তোমরা অসীম জগতের বাবাকে পেয়েছো, অসীম জগতের রাজ্য – ভাগ্য পেয়েছো, অসীম জগতের সম্পদ পেয়েছো । এই নেশা যদি সর্বদা থাকে তাহলে অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব হতে থাকবে । এ হলো অসীম জগতের ঈশ্বরীয় নেশা, এর অনুভব করতে থাকো এবং করাতে থাকো, তখনই বলা হবে খুশীর ভাগ্যের অধিকারী ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top