04 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

04 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

3 October 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবাকে স্মরণ করার জন্য বিভিন্ন যুক্তি রচনা করো, পুরুষার্থ করে চার্ট রাখো, ক্লান্ত হয়ো না, প্রবল ঝড়েও অটল হয়ে থাকো"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চাদের নিজেদের কোন্ অনুভব পরস্পর একে-অপরকে শোনানো উচিৎ ?

উত্তরঃ -:-

আমরা বাবাকে কতখানি সময় আর কীভাবে স্মরণ করি। ভোজনের সময় বাবার স্মরণ থাকে কি! নাকি অনেক রকমের বিচার আসতে থাকে। বাবা বলেন — বাচ্চারা, ট্রাই করে দেখো। ভোজনের সময় বাবা ছাড়া অন্য কেউ স্মরণে আসে না তো! তারপর একে-অপরকে অনুভব শোনাও। ২) কোনো ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আমাদের স্থিতি কেমন থাকে! তার অনুভবও শোনানো উচিত ।

গান:-

দুনিয়া লক্ষ বারও দিক আমাদের হৃদয়ে তালা…..(লাখ জমানেবালে, ডালে দিলওপে তালে)

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা এখন অসীম জগতের পিতাকে কিভাবে ভুলে যাবে, যার থেকে অসীমের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। যাঁকে অর্ধেক কল্প ধরে স্মরণ করতে। এ তো বোঝানো হয়েছে যে মানুষকে কখনো ভগবান বলা হয় না। তাহলে এখন, যখন অসীম জগতের বাবাকে পেয়েছো, ওঁনার স্মরণেই জাদু আছে। যত পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ করবে, ততই পবিত্র হতে থাকবে। তোমরা এখন নিজেদের পবিত্র বলতে পারো না, যতক্ষণ না অন্ত হয়ে যাচ্ছে। যখন সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে যাবে তখন এই শরীর ত্যাগ করে গিয়ে সম্পূর্ণ পবিত্র শরীর ধারণ করবে। যখন সত্যযুগে নতুন শরীর লাভ করবে তখন সম্পূর্ণ বলা হবে। তখন রাবণের অন্ত হয়ে যায়। সত্যযুগে রাবণের কুশপুত্তলিকা তৈরী করা হয় না। বাচ্চারা, তোমরা যখন বসে থাকো, চলতে-ফিরতে থাকো তখন বুদ্ধিতে এই স্মরণ যেন থাকে। এখন আমলা ৮৪-র চক্র সম্পূর্ণ করেছি, পুনরায় নতুন চক্র শুরু হয়। ও’টা হলোই নতুন পবিত্র দুনিয়া, নতুন ভারত, নতুন দিল্লী। বাচ্চারা জানে প্রথমে যমুনার উপকন্ঠে যেখানে স্বর্গ(পরিস্তান) তৈরী হবে। বাচ্চাদের অত্যন্ত ভালভাবে বোঝানো হয়, সর্বপ্রথমে বাবাকে স্মরণ করো। ঈশ্বর-পিতা পড়ান। সেই বাবাই টিচার, গুরু, এ’কথা অবশ্যই স্মরণে রেখো। বাবা এও বুঝিয়েছিলেন যে তোমরা ডিগবাজির খেলা খেলো। বর্ণের চিত্রও অত্যন্ত জরুরী। সর্বোচ্চে রয়েছেন শিববাবা তারপর কেশ-শিখা (টিকি) হলো ব্রাহ্মণ। এ’কথা বোঝার জন্য বাবা বলেন, এ’কথা বুদ্ধিতে রাখো যে আমরাই ৮৪ জন্মের ডিগবাজির খেলা খেলে থাকি। এখন হলো সঙ্গম, বাবা বেশি সময় থাকেন না। তবুও ১০০ বছর তো লাগেই। উথাল-পাথাল সম্পূর্ণ হলে তখন রাজ্য শুরু হয়ে যায়। মহাভারতের লড়াই তো সেই-ই রয়েছে, যেখানে অনেক ধর্মের বিনাশ, এক আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। তোমাদের কলা-প্রদর্শন(ডিগবাজী) তো বিস্ময়কর। তোমরা জানো, ফকিররা কলা-প্রদর্শন করতে-করতে তীর্থে যায়। মানুষের শ্রদ্ধা তো থাকে, তাই না! তাই তো ওদের কিছু না কিছু দিয়ে দেয়। ওদের লালন-পালনও হতে থাকে কারণ এরকম মানুষেরা নিজের সঙ্গে কি তুলবে! বাবা তো এ’সমস্ত বিষয়ের অনুভবী। বাবা তো অনুভবী রথ নিয়েছেন। গুরুও করেছেন, অনেক কিছু দেখেছেনও। তীর্থও করেছেন। এখন বাবা বলেন, ডিগবাজিকে তো স্মরণ করতে পারো। আমরা এখন ব্রাহ্মণ তারপর দেবতা, ক্ষত্রিয় হবো। এ হলো সমগ্র ভারতের কথা। বাবা এভাবে বুঝিয়েছেন যে আর ধর্ম তো বাই-প্লট্স। বাবা তোমাদেরকেই তোমাদের ৮৪ জন্মের কাহিনী বলেছেন। যারা সেন্সীবেল হয় তারা হিসেবমতো বুঝতে পারে। ইসলামী আসলে গড়ে কত জন্ম নেবে। অ্যাকিউরেট হিসেবের তো প্রয়োজন নেই। এইসমস্ত কথায় কোনো চিন্তার কথা তো নেই। সর্বাপেক্ষা বেশি চিন্তা এ’টাই থাকে যে আমরা যেন বাবাকে স্মরণ করতে পারি। ব্যস, কেবল একটিই চিন্তা, একজনকেই স্মরণ করার। প্রতিমুহূর্তে মায়া আরোই দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়, এতে মায়া অত্যন্ত চিন্তায় ফেলে। বাচ্চাদের স্মরণ করা উচিৎ। এখন আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। সুইট হোম কারোরই স্মরণে আসবে না। ভিক্ষাও করে শান্তি দেবাঃ। ভগবানকে বলে — আমাদের শান্তি দাও। বাচ্চারা, এখন তোমরা এ তো জানো যে এই পুরোনো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। এও তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে আর মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে রয়েছে। শান্তি সত্যযুগেই হয়। এক ধর্ম এক ভাষা, রীতি-রেওয়াজও এক। ওখানে হয়ই শান্তির রাজ্য। দ্বৈত-র কথাই নেই। ওখানে তো এক রাজত্ব আর সতোপ্রধান। রাবণ-রাজ্য নেই যে লড়াই হবে। তাই বাচ্চারা, তোমাদের খুশির পারদ চড়ে থাকা উচিত। শাস্ত্রতে যে গায়ন রয়েছে যে, অতীন্দ্রিয় সুখ গোপ-গোপিনীদের কাছে জিজ্ঞাসা করো। গোপ-গোপিনী তো তোমরাই, তাই না! তোমরা সম্মুখে বসে রয়েছো। তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসারেই রয়েছে যাদের স্মরণ থাকে যে বাবা আমাদের বাবাও, টিচারও, গুরুও। এ তো বিস্ময়ের, তাই না! জীবনভর সাথ দেন। কোলে নেন আর পড়া শুরু করে দেন। তা স্মরণে থাকলেও অত্যন্ত খুশি বজায় থাকে। কিন্তু মায়া আবার এও ভুলিয়ে দেয়। মানুষকে এও বোঝাতে হয়, মানুষ জিজ্ঞাসা করে — বলছো একটু সময় বাকি রয়েছে, এর প্রমাণ কি আছে? বলো, দেখো এতে লেখা রয়েছে ভগবানুবাচ। যজ্ঞ রচিত হয়েই রয়েছে। এ হলো জ্ঞান-যজ্ঞ। এখন কৃষ্ণ তো যজ্ঞ রচনা করতে পারবে না। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এও থাকা উচিত যে আমরা হলাম এই অসীম জগতের যজ্ঞের ব্রাহ্মণ। বাবা আমাদের নিমিত্ত করেছেন। যখন তোমরা সঠিকভাবে জ্ঞান আর যোগের ধারণা করো, আত্মা সম্পূর্ণ হয়ে যায় তখন এই (পুরোনো দুনিয়ায়) খড়ের গাদায় আগুন লাগে। মানুষেরই তো জানা থাকে, তাই না! যে এ হলো অসীম জগতের কর্মক্ষেত্র, যেখানে সকলে এসে খেলা করে। যা নির্দিষ্ট তারই পুনরাবৃত্তি…. বাবা বলেন — চিন্তা তারই করা উচিত যা অস্বাভাবিক। যা হয়ে গেছে তা ড্রামায় ছিল তাহলে তার চিন্তা করবো কেন ! আমরা ড্রামাকে দেখি। ড্রামায় যখন এমন কোনো বেদনাদায়ক দৃশ্য আসে তখন মানুষ তা দেখে কান্নাকাটি করে। এখন সে তো হলো মিথ্যা নাটক। এ তো সত্যিকারের নাটক। সত্য-সত্য বলে। কিন্তু তোমাদের দুঃখে কখনো চোখের জল আসা উচিত নয়। তোমাদের সাক্ষী হয়ে দেখতে হবে। তোমরা জানো, এ হলো ড্রামা, এতে কান্নাকাটির করার কি দরকার। পাস্ট হলো পাস্ট। কখনো বিচারও করা উচিত নয়। তোমরা এগিয়ে যেতে থাকো আর বাবাকে স্মরণ করতে থাকো আর সকলকে পথ বলে দিতে থাকো। বাবা তো রায় দিতেই থাকেন। ত্রিমূর্তির চিত্র তোমাদের কাছে অনেক আছে। পরিস্কার লেখা রয়েছে যে উনি শিববাবা আর এ হল তাঁর উত্তরাধিকার। বাচ্চারা, তোমাদের এই চিত্র দেখে অত্যন্ত খুশি হওয়া উচিত। বাবার থেকে আমরা বিষ্ণুপুরীর উত্তরাধিকার পাই। পুরোনো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। ব্যস, এই চিত্র সম্মুখে রেখে দাও, এতে খরচার তো কিছু নেই। বৃক্ষও অত্যন্ত ভাল। প্রত্যহ সকালে উঠে বিচার-সাগর মন্থন করো। নিজেই নিজের শিক্ষক হয়ে পড়ো। বুদ্ধি তো সকলেরই আছে। চিত্র নিজের ঘরে রেখে দাও। প্রত্যেক চিত্রতে ফার্স্টক্লাস জ্ঞান রয়েছে। বলে যে বিনাশ হলে তোমাদের তো বাবার সাথে প্রেম রয়েছে, তাই না! কথিতও রয়েছে যে সদ্গুরুকে পেয়েছি দালাল-রূপে…… তাহলে তোমরা কত ভাল-ভাল কথা বোঝার আর বোঝানোর জন্য পেয়েছো। তবুও মায়ার ফোর্স অনেকবেশী। ১০০ বছর পূর্বে এই বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি কি ছিল নাকি! পূর্বে ভাইসরয় ইত্যাদিরা ৪ ঘোড়ার, ৮ ঘোড়ার গাড়িতে করে আসতো। পূর্বে ধনীরা গাড়িতে চড়তো। এখন তো বিমানাদি বেরিয়ে গেছে। পূর্বে এ’সমস্ত ছিল না। ১০০ বছরের মধ্যে এ’সব কি হয়ে গেলো। মানুষ মনে করে এ’টাই স্বর্গ। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে স্বর্গ তো স্বর্গই। এ’সব হলো পাই-পয়সার জিনিস, একে আর্টিফিসিয়াল জৌলুষ (পম্প) বলা হয়। বাচ্চারা, এখন তোমাদের এই একটিই চিন্তা থাকা উচিত যে আমরা বাবাকে স্মরণ করবো, যাতে মায়া বিঘ্ন ঘটায়। বাবা নিজের উদাহরণও দিয়ে থাকেন। ভোজন যখন করি, অনেক প্রচেষ্টা করি — স্মরণে থেকে ভোজন করার তবুও ভুলে যাই। তখন বুঝতে পারি যে বাচ্চাদের তো অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আচ্ছা, বাচ্চারা তোমরা চেষ্টা করে দেখো। বাবার স্মরণে মগ্ন থেকে দেখাও। দেখো যে সবসময় স্মরণে স্থির হতে পারো কি! অনুভব শোনানো উচিৎ। বাবা, সবসময় স্মরণে স্থিতু হতে পারি না। অনেক ভিন্ন-ভিন্ন ধরণের কথা স্মরণে এসে যায়। বাবা স্বয়ং নিজের অনুভব বলেন। বাবা যাঁর মধ্যে প্রবেশ করেছেন তিনি পুরুষার্থী, এঁনার উপর তো অনেক ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট রয়েছে। বড় হওয়া মানেই অনেক দুঃখও ভোগ করা। কত সংবাদ আসে। বিকারের কারণে কত মারধোর করে। ঘর থেকে বের করে দেয়। কন্যারা বলে, আমরা ঈশ্বরের শরণে এসেছি। কত বিঘ্ন ঘটে। কারোর কাছে শান্তি নেই। বাচ্চারা, তোমাদের খাতির-যত্ন হয়। এখন পুরুষার্থ করে শ্রীমতানুযায়ী চলে শান্তিতে রয়েছো। এই বাবা এখানেও অনেক এমনও ঘর দেখেছেন, যেখানে পরস্পর অত্যন্ত মিলেমিশে থাকে। সকলে গুরুজনেদের আজ্ঞা অনুসারে চলে। তারা বলে যে আমাদের কাছে তো যেন স্বর্গ স্থাপন হয়েই গেছে। এখন বাবা তোমাদের এরকম স্বর্গে নিয়ে যান, যেখানে সর্বপ্রকারের সুখ আছে। দেবতাদের ৩৬ প্রকারের ভোজনের গায়ন আছে। এখন তোমরা স্বর্গের উত্তরাধিকার বাবার থেকে নাও। ওখানে কত সুস্বাদু খাবে, বৈভব থাকবে আর পবিত্র থাকবে। এখন তোমরা সেই দুনিয়ার মালিক হয়ে যাও। রাজা-রানী, প্রজায় অন্তর তো থাকবে, তাই না! পূর্বে রাজারা অত্যন্ত আড়ম্বরের সাথে জীবনযাপন করতো। এখানে হলো পতিত আর রাবণ-রাজ্যে। তাহলে বিচার করো সত্যযুগে কি হবে। সামনে লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র রাখে। কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে মিথ্যে কথা লিখে তাঁর বদনাম করে দিয়েছে। মিথ্যে মানে মিথ্যে, একরত্তি সত্যিও নেই। এখন তোমরা বোঝ যে আমরা স্বর্গের মালিক ছিলাম তারপর ৮৪ জন্ম নিয়ে সম্পূর্ণ শূদ্র বুদ্ধির হয়ে গেছি। কি হাল হয়ে গেছে। এখন আবার পুরুষার্থ করে কি হয়ে যাও। বাবা জিজ্ঞাসা করে, তাই না! তোমরা কি হবে ? তখন সকলেই সূর্যবংশীয় হবে বলে হাত তোলে। আমরা মাতা-পিতাকে সম্পূর্ণরূপে ফলো করবো। অল্প পুরুষার্থ করবো কি! না তা করবো না। সমস্ত পরিশ্রম স্মরণ আর নিজের সমান তৈরীতেই রয়েছে সেইজন্য বাবা বলেন যতখানি সম্ভবপর হয় ততখানি সার্ভিস করা শেখো। এ হলো অনেক সহজ(কাজ)। এই শিববাবা, এই বিষ্ণুপুরী, লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য হবে। ইনি তো অত্যন্ত অনুভবী। সিড়িতে তোমরা বোঝাতে পারো। বাচ্চারা, এই বৃক্ষ, চক্র দেখলেই তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান চলে আসা উচিৎ। এই যে লক্ষ্মী-নারায়ণ, তাঁদের রাজধানী কোথায় চলে গেল। কে লড়াই করলো? যে পরাজিত করেছে। এখন তো সেই রাজ্য নেই। এই ঈশ্বরীয় বিষয়কে কিছুই জানে না। বাচ্চারা, তোমাদের এই সাক্ষাৎকারও হয়েছে। কিভাবে গুহা, খনিতে গিয়ে সোনা, হীরে ইত্যাদি নিয়ে আসে। এই বিজ্ঞানই তোমাদের সুখের কারণ হয়ে যাবে। এখানে হলো দুঃখের জন্য, ওখানে এরোপ্লেনও ফুলপ্রুফ হবে। বাচ্চারা শুরু শুরুতে এ’সবকিছু সাক্ষাৎকার করেছিল। পরেও তোমরা অনেক সাক্ষাৎকার করবে। এও তোমরা সাক্ষাৎকার করেছো। চোর লুঠ করতে আসে, তখন তোমাদের শক্তির রূপ দেখে পালিয়ে যায়। এ’সব কথা হলো পরের। চোর লুঠ করতে তো আসবে, তোমরা বাবাকে স্মরণ করে এসে দাঁড়াবে তখন তারা একদম পালিয়ে যাবে। এখন বাবা বলেন — বাচ্চারা, খুব পুরুষার্থ করো। মুখ্যকথাই হলো পবিত্রতার। মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অত্যন্ত কঠিন প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসবে, যাতে সমস্ত শেষ হয়ে যাবে। শিববাবা এঁনার মাধ্যমে বোঝান, এঁনার আত্মাও শোনে। এই বাবা সবকিছু বলেন। শিববাবার তো অনুভব নেই। বাচ্চাদের অনুভব থাকে। মায়ার তুফান কিভাবে আসে। প্রথম নম্বরেরই ইনি, তাহলে এঁনার সব অনুভবই থাকবে। তাই এতে ভয় পাবে না, অটল থাকতে হবে। বাবার স্মরণে থাকলেই শক্তি পাওয়া যায়। কোনো বাচ্চা চার্ট লেখে, তারপর চলতে-চলতে (লেখা) বন্ধ করে দেয়। বাবা বুঝে যান যে ক্লান্ত হয়ে গেছে। পারলৌকিক বাবা যার থেকে এত বড় উত্তরাধিকার পাও, এমন বাবাকে কখনো পত্রও লেখে না। স্মরণই করে না। এমন বাবাকে তো কত স্মরণ করা উচিত। শিববাবা আমরা তোমায় অনেক স্মরণ করি। বাবা তোমায় স্মরণ না করে আমরা কিভাবে থাকতে পারি। যে বাবার কাছ থেকে বিশ্বের রাজত্ব পাই, এমন বাবাকে কিভাবে ভুলে যাব। একটি কার্ড লিখলে সেও তো স্মরণ করাই, তাই না! লৌকিক বাবাও বাচ্চাদের চিঠি লেখে — রত্ন-জ্যোতি…. স্ত্রী পতিকে কিভাবে চিঠি লেখে! এখানে তো দুটি সম্বন্ধই রয়েছে। এও স্মরণেরই যুক্তি। কত মিষ্টি বাবা। আমাদের থেকে কি চায়? কিছুই না। তিনি তো দাতা, প্রদানকারী, তাই না! ইনি গ্রহণকারী নন। তিনি বলেন — মিষ্টি বাচ্চারা, আমি এসেছি, ভারতকে সুবাসিত বাগিচায় পরিণত করে যাই। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সূর্যবংশীয় হওয়ার জন্য মাতা-পিতাকে সম্পূর্ণরূপে ফলো করতে হবে। স্মরণে থাকার আর নিজের সমান বানানোর পরিশ্রম করতে হবে।

২) পুরুষার্থ করে, শ্রীমতানুসারে চলে শান্ত থাকতে হবে। বড়দের আজ্ঞা মান্য করতে হবে।

বরদানঃ-

নিমিত্ত তাকেই বলা হয় — যে প্রতিটি সঙ্কল্পকে বা প্রতিটি কর্মকে বাবার সম্মুখে অর্পণ করে দেয়। নিমিত্ত হওয়া অর্থাৎ অর্পণ হয়ে যাওয়া আর নম্রচিত্ত সে-ই, যে নমনীয় হয়, যত সংস্কারে, সঙ্কল্পে নমনীয় হবে ততই বিশ্ব তোমার সম্মুখে নমন করবে। নমনীয় হওয়া অর্থাৎ নমনীয় করা। এই সঙ্কল্পও যেন না আসে যে অন্যেও আমার সম্মুখে এতটুকুও তো নত হোক। যে প্রকৃত সেবাধারী হয় — সে সদাই নমনীয় হয়। কখনো নিজের তেজ প্রদর্শন করে না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top