04 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

November 3, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - সঙ্গদোষ অনেক ক্ষতি করে, এইজন্য সঙ্গদোষ থেকে নিজেদের খুব সাবধানে রাখো, এটা খুবই খারাপ জিনিস"

প্রশ্নঃ --

তিন প্রকারের শৈশব কি কি ? কোন্ শৈশবকে কখনোই ভুলবে না ?

উত্তরঃ -:-

প্রথম শৈশব – লৌকিক মা বাবার কাছে জন্ম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাপ্ত হয়েছে। দ্বিতীয় শৈশব – গুরুর শিষ্য হওয়ার পর প্রাপ্ত হয়েছে এবং তৃতীয় শৈশব – লৌকিক মা বাবাকে ছেড়ে অলৌকিক মা বাবার হয়েছো। অলৌকিক শৈশব অর্থাৎ ঈশ্বরের দত্তক সন্তান। ঈশ্বরের সন্তান হয়েছো অর্থাৎ জীবন্মৃত হয়ে গেছো। এই অলৌকিক শৈশবকে কখনোই ভুলবে না। যদি ভুলে যাও তাহলে অনেক কাঁদতে হবে। কান্নাকাটি করা অর্থাৎ মায়ার চোঁট খাওয়া।

গান:-

শৈশবের দিন ভুলে যেও না…(বচপন কে দিন ভুলা না দেনা,আজ হাসে কাল রুলা না দেনা….)

 

ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি আত্মিক বাচ্চারা গীতের অর্থ বুঝলো। শৈশব তিন প্রকারের রয়েছে। এক হলো লৌকিক শৈশব, দ্বিতীয় হলো নিবৃত্তিমর্গের, ওরাও ঘরবাড়ি ত্যাগ করে বেঁচে থাকতেও মৃত হয়ে গুরু অথবা সন্ন্যাসীর হয়ে যায়। তিনি তাদের পিতা নন। ওরা গুরুর অন্তর্গত হয়ে যায়, তার সঙ্গেই থাকে। ওরাও জীবন্মৃত হয়ে গিয়ে গুরুর অন্তর্গত হয়, জঙ্গলে চলে যায়। তৃতীয় হলো – তোমাদের এই ওয়ান্ডারফুল জীবন্মৃত জন্ম। এক মাতা-পিতাকে ছেড়ে অন্য মাতা-পিতার হও। তিনি হলেন আত্মিক মাতা-পিতা। এটা তোমাদের জীবন্মৃত জন্ম। ঈশ্বরের কোলে আত্মিক জন্ম। তোমাদের সঙ্গে এখন আত্মিক পিতা কথা বলছেন। বাকিরা সবাই হলো দৈহিক পিতা। ইনি হলেন আত্মিক পিতা, এইজন্য গাওয়া হয় বাবার হওয়ার পর, জীবন্মৃত হয়ে তারপর আবার এই শৈশব ভুলে যেও না। শিববাবা হলেন সর্বোত্তম উচ্চ পিতা। যখন কেউ গীতা ইত্যাদি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে তখন প্রথমে এটা জিজ্ঞাসা করো, সর্বোত্তম উচ্চ ভগবান কে ? তারা ব্রহ্মা দেবতা নমঃ, বিষ্ণু দেবতা নমঃ বলে, তারপর বলে শিব পরামাত্মায় নমঃ … তিনি হলেন সকল ধর্মের পিতা। প্রথমে এই বিষয়টা বোঝাতে হবে – সর্বোত্তম উচ্চ পিতা একমাত্র বাবা। ব্রহ্মা, বিষ্ণুকে কেউ গড ফাদার বলবে না। প্রথমে এটা পাকা করাও যে, গড ফাদার কেবল একজন, তিনি হলেন নিরাকার, ওঁনাকে সৃষ্টিকর্তাও বলা হয়। পতিত-পাবন’ও বলা হয়। বাবার থেকে অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। এটা ভেবে দেখো, অসীম জগতের পিতার থেকে উত্তরাধিকার কারা পেয়েছে ? বাবা হলেন নতুন দুনিয়ার রচয়িতা। ওঁনার নাম শিব। শিব পরামাত্মা নমঃ বলা হয়, ওঁনার জন্মদিবসও পালন করা হয়। তিনিই হলেন পতিত-পাবন, রচয়িতা, নলেজফুল। সুতরাং সর্বব্যাপী’র বিষয় প্রযোজ্য হয় না। ওঁনার কর্তব্যের উপরে মহিমা রয়েছে। অতীতে যা কর্ম করে যান, তারই মহিমা গাওয়া হয়। সর্বোত্তম উচ্চ হলেন বাবা। ওঁনাকে লিবারেটরও বলা হয়, দয়াবান, দুঃখ হর্তা-সুখ কর্তা বলা হয়, গাইডও বলা হয়। কেউ নতুন জায়গায় গেলে সঙ্গে করে গাইড নিয়ে যায়। বিদেশ থেকে কেউ এখানে এলে তাকে এখানকার গাইড দেওয়া হয়, সব কিছু দেখানোর জন্য। তীর্থযাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পান্ডা থাকে। এখন বাবাকে গাইড বলা হয়, তাহলে অবশ্যই তিনি গাইড করেছিলেন। সর্বব্যাপী বললে সবকিছু অর্থহীন হয়ে যায়। প্রথমে বোঝাও যে সকলের পিতা কেবল একজন। সকল শাস্ত্রের মধ্যে গীতা হলো প্রধান, এটা ভগবান রচনা করেছেন। এটাকে প্রমাণিত করলে বাকি অন্যান্য সব শাস্ত্র মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যাবে। সর্বপ্রথম সত্যিকারের গীতার সার শোনানো উচিত। শিব ভগবানুবাচ। তাহলে শিববাবার চরিত্র কি ? উঁনি তো তো কেবল বলেন, আমি এই শরীরের ( ব্রহ্মার ) আধার নিয়ে তোমাদের পতিত থেকে পাবন হওয়ার রাস্তা বলি। বাচ্চাদের রাজযোগ শেখাতে আসি, এতে চরিত্রের কি প্রয়োজন ! এটা তো পুরাতন এবং পরিপক্ক। তিনি কেবল এসে বাচ্চাদের পড়ান। পতিতদের পাবন বানানোর জন্য রাজযোগ শেখান। তোমরা সত্যযুগে গিয়ে রাজত্ব করবে। তোমাদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, বাকি সকল আত্মারা মুক্তিধাম, নিরাকারী দুনিয়ায় থাকবে। এটা খুব সহজ বিষয় ! ভারতে দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। এক ধর্ম ছিল। এখন কলিযুগে অনেক মানুষ রয়েছে, ওখানে খুব কম সংখ্যক মানুষ থাকবে। পরমপিতা পরামাত্মা এক ধর্মের স্থাপন এবং অন্যান্য অনেক ধর্মের বিনাশ করতে আসেন। বাকি সবাই শান্তিধামে চলে যাবে। ওখানে কোনো অপবিত্র আত্মা থাকতে পারে না। ওঁনার নামই হলো পতিত-পাবন, সকলের সদগতি দাতা। এটা হলো পুরানো দুনিয়া, আয়রন এজ্। সত্যযুগকে বলা হয় গোল্ডেন এজ্। যারা দেবতাদের পূজারী, তারা সহজে সবকিছু বুঝে যাবে। যারা পূজনীয় তারা’ই পূজারী হয়। সুতরাং প্রথমে বাবার পরিচয় দিতে হবে, আমরা ওঁনার সন্তান, এটা ভুলে যেও না। ভুলে গেলে কাঁদতে হবে। কিছু কিছু মায়ার চোঁটও লেগে যাবে। দেহী-অভিমানী হতে হবে। আমদের আত্মাদের বাবার কাছে ফিরে যেতে হবে। এত মানুষ মারা গেলে কে কার জন্য কাঁদবে ? ভারতে সবচেয়ে বেশি কান্নাকাটি করে। প্রথম ১২ মাস দুঃখে কান্নাকাটি করতে থাকে। বুকে মারতে থাকে। এ’সব হলো মৃত্যুলোকের রীতিনীতি, তোমাদের এখন অমরলোকের রীতিনীতি শেখাচ্ছেন। তোমাদের এখন সমগ্র পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য রয়েছে। বাবা বলেন – মামেকম্ স্মরণ করো। এই সবকিছু বিনাশ হতে চলেছে। এখন আমরা পুনরায় ঘরে ফিরে যাচ্ছি, নাটক সম্পূর্ণ হচ্ছে। নাটকে সবাই হলো অ্যাক্টরস্ , তাই কার প্রতি মোহ রাখবে ! বুঝতে পারো প্রত্যেককে গিয়ে আবার অন্য পার্ট প্লে করতে হবে। কান্নাকাটির কি দরকার ! প্রত্যেকের পার্ট নিহিত রয়েছে। বাবা যেমন জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর, প্রেমের সাগর; সুতরাং বাবাকে অনুসরণ করে এরকম হতে হবে। সাগর থেকে নদী নির্গত হয়। সবকিছু ক্রমানুসারে রয়েছে। কেউ কেউ ভালো জ্ঞান বর্ষণ করে, অনেককে নিজের সমান তৈরি করে। অন্ধের লাঠি হয়ে ওঠে। বাবার তো অনেক সাহায্যকারী প্রয়োজন। বাবা বলেন – তোমরা অন্ধের লাঠি হয়ে ওঠো। সবাইকে রাস্তা বলে দাও। কেবল একজন ব্রাহ্মণী কি আর অন্ধের লাঠি হবে ! তোমাদের সবাইকে হতে হবে। তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত করেছো, এ’কে বলা হয় তৃতীয় নেত্র প্রাপ্তির গল্প। দিব্য নেত্র হলো আত্মাদের জন্য। মানুষ তো কিছুই বোঝে না। সম্পূর্ণ তুচ্ছ বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে গেছে। ভারতবাসী এটা জানে না যে, আমাদের ধর্ম কে স্থাপন করেছেন ? বাবার জন্মও এখানেই হয়। শিব জয়ন্তীও পালন করা হয়। তাহলে তিনি সর্বব্যাপী কীভাবে হতে পারেন ! বাবা এবং রচনা’কে দুনিয়ার কেউ জানে না। ঋষি – মুনি আদি তো ‘এটাও না – ওটাও না’ বলে গেছে। তারা একটা বড় ভুল করেছে, পরমাত্মাকে সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে। তোমরা প্রমাণ করে বলো যে তিনি সকলের পিতা, পতিত-পাবন, তিনি হলেন লিবারেটর। পুরানো দুনিয়া থেকে নতুন দুনিয়ায় নিয়ে যান। ওখানে দুঃখের বিষয়ই নেই। শাস্ত্রে তো কি কি সব লিখে দিয়েছে ! লক্ষ্মী-নারায়ণের সম্পর্কে তারা বলে – ওখানে কি বিকার ছাড়া তাদের সন্তান জন্ম হবে ? বলা’ই হয় সর্বগুণসম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ নির্বিকারী, ভাইসলেস ওয়ার্ল্ড। এ’কে বলা হয় বিকারী দুনিয়া, তাহলে কেন বলো ওখানেও বিকার থাকবে ! প্রথমে যতক্ষণ না বাবাকে জানবে কিছুই বুঝতে পারবে না। তারা সর্বব্যাপী’র অনেক বড় ভুল করেছে। এই ভুল থেকে বেরোতে পারবে যখন বাবাকে জানবে। নিশ্চয় করো যে, বাবা আমরা আবার তোমার হয়েছি, তোমার থেকে রাজ্য-ভাগ্য নেওয়ার জন্য। শাস্ত্রে তো কি কি সব লিখে দিয়েছে ! লক্ষ্মী-নারায়ণকে সত্যযুগে দেখিয়েছে, কিন্তু তাদের শৈশব রাধা-কৃষ্ণ’কে দ্বাপরযুগে নিয়ে গেছে। কিন্তু কৃষ্ণ তো স্বর্গের প্রিন্স ছিল। তাহলে কৃষ্ণের তো প্রত্যেক জন্মে বৈশিষ্টের পরিবর্তন হবে। একইরকম বৈশিষ্ট্য তো কখনো হতে পারে না। এরকম কি হতে পারে কৃষ্ণ একই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয়ে দ্বাপরযুগে আসতে পারে ! এটা অসম্ভব। তোমরা জানো আমরা আসলে মূলবতনের নিবাসী ছিলাম, ওটা হলো আমাদের সুইট সাইলেন্স হোম, যার জন্য লোকেরা ভক্তি করে। ওরা বলে, আমাদের শান্তি চাই। আত্মারা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রাপ্ত করেছে পার্ট প্লে করার জন্য, তাহলে তারা শান্তিতে থাকবে কী করে ! শান্তির জন্যই তারা হঠযোগ শেখে, গুহায় যায়। কেউ যদি এক মাস গুহায় বসে থাকে, তাহলে কি সেটা তার জন্য শান্তিধাম ! তোমরা জানো এখন আমরা শান্তিধামে গিয়ে আবার সুখধামে আসবো, পার্ট প্লে করার জন্য। ওরা বলে যারা সুখী তাদের জন্য এটাই স্বর্গ, যারা দুঃখী তাদের জন্য এটা নরক। তোমরা জানো নতুন দুনিয়াকে স্বর্গ এবং পুরানো দুনিয়াকে নরক বলা হয়। ভগবানুবাচ, এই ভক্তি, যজ্ঞ-তপস্যা, দান-পুণ্য ইত্যাদি করা – এইসব হলো ভক্তিমার্গের, এর কোনো অর্থ নেই। সত্যযুগ-ত্রেতাকে ব্রহ্মার দিন বলা হয়। ব্রহ্মার দিন অর্থাৎ তোমাদের ব্রাহ্মণদের দিন, তারপর তোমাদের রাত্রি শুরু হয়। তোমরা শুরুতে সত্যযুগে যাও তারপর তোমরাই চক্রে আসো, ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈষ্ণব, শূদ্র তোমরাই হও। তোমরা বলো শিব ভগবানুবাচ আর ওরা বলে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ। অনেক পার্থক্য রয়েছে। কৃষ্ণ সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নেয়, তার সাথে সমগ্র সূর্যবংশী সম্প্রদায় পুনর্জন্ম নিতে নিতে এখন অন্তিমে রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত করছে। তোমরা বাচ্চারা যারা বুঝতে পারো, তাদেরই আনন্দ হয়। যারা নতুন তারা আনন্দিত হয় না। তোমরা কারো নিন্দা করো না, বাবা তোমাদের কত সহজ বোঝাচ্ছেন। এখানে তোমরা বাবার সাথে বসে আছো তাই ভালোভাবে বুঝতে পারো। বাইরে গেলে সঙ্গদোষে কি হাল হবে জানা নেই ! সঙ্গদোষ খুবই খারাপ। স্বর্গে এরকম বিষয়ই নেই। নামই হলো স্বর্গ, বৈকুণ্ঠ, সুখধাম। শাস্ত্রে তারা লিখে দিয়েছে, ওখানে অসুর ছিল। এখন তোমরা জেনেছো যে, আমরা বিশ্বের মালিক ছিলাম। ওখানে আকাশ পাতাল কোথাও কোনো পার্টিশন থাকে না। এখন তো কত পার্টিশন রয়েছে। তারা নিজেদের সীমানা তৈরি করতে থাকে। দুনিয়ায় কত ঝগড়াঝাটি হয়। কেউ এলে প্রথমে তাকে বোঝাও যে বাবা কে, ভগবান কাকে বলা হয় ? ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর হলো দেবতা। ভগবান কেবল একজনই, দশজন নয় ! কৃষ্ণ ভগবান হতে পারে না। ভগবান কীভাবে হিংসা শেখাবেন ! ভগবানুবাচ – কাম হলো মহাশত্রু, এর উপরে বিজয় প্রাপ্ত করার জন্য প্রতিজ্ঞা করো। রাখী বাঁধো। এটা এই সময়েরই কথা। যা কিছু পাস্ট হয়ে গেছে, আবার ভক্তিমার্গে হবে। মানুষ দীপমালায় মহালক্ষ্মীর পূজা করে। এটা কি আর কেউ জানে যে, লক্ষ্মী-নারায়ণ উভয়েই একত্রে ! লক্ষ্মী ধন-সম্পদ কোথা থেকে পাবেন ? উপার্জন তো পুরুষরা করে। কিন্তু লক্ষ্মীর নামের গায়ন রয়েছে। প্রথমে লক্ষ্মী তারপরে নারায়ণ। ওরা আবার মহালক্ষ্মীকে আলাদা বলে মনে করে। তাঁকে চার ভুজ দেখানো হয়। দুটি নারীর জন্য, দুটি পুরুষের। কিন্তু ওরা এই বিষয়গুলো জানে না। তোমরা এখন বিস্তারিতভাবে জানো। গীত তো শুনলে – শৈশবের দিন ভুলে যেও না। আত্মা বলে – বাবা, এখন আমাদের স্মৃতি এসেছে। ভোরে উঠে বাবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। অমৃতবেলায় বাবাকে স্মরণ করা ভালো। সন্ধ্যাবেলা একান্তে গিয়ে বসো। স্ত্রী-পুরুষ একসঙ্গে থাকলেও এই বিষয় নিয়ে বার্তালাপ করতে থাকো, শিববাবা ব্রহ্মার শরীরে এসে কি বলেন ? আমরা যখন পূজনীয় হয়ে যাই তখন বাবাকে স্মরণ করি না। যখন পূজারী হয়ে যায় তখন বাবাকে স্মরণ করি। এরকম বার্তালাপ করা উচিত, যাতে কেউ শুনলে অবাক হয়ে যাবে। অর্ধেক কল্প আমরা কাম চিতায় বসে জ্বলে ভস্ম হয়ে গিয়েছিলাম, কবরখানায় ছিলাম। এখন আমাদের জ্ঞান চিতায় বসতে হবে, স্বর্গে যেতে হবে। এটা হলো পুরানো দুনিয়া। ভারতবাসী মনে করে এটাই স্বর্গ। স্বর্গ তো সত্যযুগে। স্বর্গে দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। এখানে তো মায়ার জৌলুস (পম্প) রয়েছে। এখন বাবা বলছেন সঙ্গদোষে এসে কোনোভাবে মরে যেও না ! নাহলে অনেক অনুতাপ করতে হবে। পরীক্ষার রেজাল্ট যখন ঘোষণা হয় তখন সবাই জেনে যায়। আগে বাচ্চারা ধ্যানে গিয়ে সবকিছু শোনাতো যে, অমুক রানী হবে, অমুক দাসী হবে। তারপর বাবা বন্ধ করালেন। অন্তিমে সবকিছু জেনে যাবে যে, তোমরা বাবার কতটা সার্ভিস করেছো ! কতজনকে নিজের সমান বানিয়েছো ! এইসব কিছু স্মরণে আসবে, সাক্ষাৎকার হবে, সাক্ষাৎকার না হলে ধর্মরাজও শাস্তি দিতে পারবেন না। বাচ্চাদের অনেকবার বোঝানো হয়েছে, মামেকম্ স্মরণ করো। বাবা এসে মিষ্টি-মিষ্টি ঝাড়ের চারা লাগান। গভর্মেন্ট তো বৃক্ষের চারাগাছ লাগায়, উৎসব পালন করে। এখানে নতুন দুনিয়ার চারা লাগাচ্ছেন। তাই এরকম বাবাকে ভুলে যেও না। বাবার সার্ভিসে যুক্ত হয়ে যাও, নাহলে অন্তিমে অনেক অনুতাপ করতে হবে। এখন যদি উত্তরাধিকার না নাও তাহলে কল্প-কল্পান্তরের হিসেব হয়ে যাবে, এইজন্য সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে।

আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবা যেমন জ্ঞানের সাগর, সুখের, প্রেমের সাগর, এরকম বাবার সমান হতে হবে এবং অন্যদের নিজের সমান বানানোর সেবা করতে হবে। সবাইকে জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রদান করতে হবে।

২ ) এমন কোনো সঙ্গ করবে না, যাতে অনুতাপ করতে হয়। সঙ্গদোষ খুবই খারাপ, তাই নিজেকে সাবধান করতে হবে। বাবার থেকে উত্তরাধিকার নেওয়ার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদানঃ-

দীপাবলীতে যেভাবে শ্রীলক্ষ্মীর আহ্বান করা হয়, ঠিক সেইভাবে তোমরা বাচ্চারা নিজের মধ্যে দিব্যগুণের আহ্বান করো, তাহলে অবগুণ গুলি আহূতি রূপে বিনাশ হয়ে যাবে। তারপর নতুন সংস্কার রূপী নতুন বস্ত্র ধারণ করবে। এখন পুরানো বস্ত্রের প্রতি যেন সামান্যতম ভালোবাসা না থাকে। যা কিছু দুর্বলতা, ত্রুটি, নির্বলতা, কোমলতা রয়ে গেছে – সে’সব পুরানো হিসেব সর্বকালের জন্য সমাপ্ত করো তাহলে দিব্যগুণধারী হয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে রাজ্যাভিষেক হবে। এর’ই স্মারক হলো এই দীপাবলী।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top