04 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
3 May 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - শ্রীমতের আধারে পবিত্র হও, তাহলে ধর্মরাজের শাস্তি থেকে মুক্ত হতে পারবে। হীরে তুল্য হওয়ার জন্য জ্ঞান অমৃত পান করো, বিষকে পরিহার করো"
প্রশ্নঃ --
সত্যযুগী পদের সমস্ত কিছু নির্ভর করে কোন্ কথার আধারে?
উত্তরঃ -:-
পবিত্রতার আধারে। তোমাদের স্মরণে থেকে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। পবিত্র হওয়ার পরেই সদ্গতি হবে। যারা পবিত্র হয় না তারা শাস্তি লাভ করে নিজের ধর্মে চলে যায়। যদিও তোমরা ঘর-গৃহস্থে বসবাস করে থাকো তবুও কোনো দেহধারীকে স্মরণ করো না, পবিত্র থাকলে উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে।
গান:-
তোমাকে পেয়ে আমি সমগ্র জগৎ পেয়ে গেছি..
ওম্ শান্তি । শিব ভগবানুবাচ আর কাউকেই ভগবান বলা যায় না, এক নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মাকেই শিববাবা বলা হয়। উনি হলেন সকল আত্মার পিতা। সর্বপ্রথম এটা নিশ্চয় থাকা দরকার – অবশ্যই আমরা হলাম শিববাবার সন্তান । দুঃখের সময় আমরা বলি পরমাত্মা সহায়তা করো, দয়া করো। এটাও জানে না যে আমাদের আত্মা পরমাত্মাকে স্মরণ করে। অহম্ (আমি) আত্মার পিতা হলেন উনি। এই সময় সমগ্র দুনিয়া হল পতিত আত্মাদের। গায়নও করে আমরা হলাম পাপী নীচ, আপনি হলেন সম্পূর্ণ নির্বিকারী। কিন্তু তাও নিজেদেরকে বুঝতে পারে না। বাবা বোঝান, যখন তোমরা বলো যে ভগবান পিতা হলেন এক, তাহলে তোমাদের সকলের মধ্যে সম্বন্ধ হল ভাই ভাইয়ের। শরীরের সম্বন্ধে সকলে হলে ভাইবোন। শিব বাবার সন্তান আবার প্রজাপিতা ব্রহ্মারও হলে বাচ্চা। ইনি হলেন তোমাদের অসীম জগতের পিতা, শিক্ষক, গুরু। উনি বলেন আমি তোমাদেরকে পতিত বানাই না। আমি তো এসেছি পবিত্র বানানোর জন্য। যদি আমার মতানুসারে চলো। এখানে তো সকল মানুষ রাবণ মতানুসারে চলে। সবার মধ্যে পাঁচ বিকার আছে। বাবা বলেন যে বাচ্চারা এখন নির্বিকারী হও, শ্রীমতের আধারে চলো। কিন্তু বিকারকে পরিত্যাগ করতেই পারে না। তাই স্বর্গের মালিক হতে পারে না। সকলে অজামিলের মতো পাপী হয়ে গেছে। রাবণ সম্প্রদায় হয়ে গেছে, এটা হল শোক বাটিকা, কত দুঃখে আছে। বাবা এসে আবার রামরাজ্য বানান। তাই তোমরা বাচ্চারা জানো যে এ হলো প্রকৃত যুদ্ধের ময়দান। গীতাতে ভগবান বলেছেন যে কাম হল মহাশত্রু, তার উপরে জিত প্রাপ্ত করতে হবে। জিত তো প্রাপ্ত করতে পারে না। এখন বাবা বসে বোঝান। তোমাদের আত্মা এই অরগ্যান্স দ্বারা শোনে তারপর শোনায়, পার্ট প্লে আত্মা করে। আমরা হলাম আত্মা শরীর ধারণ করে পার্ট প্লে করি। কিন্তু মানুষ আত্ম-অভিমানীর পরিবর্তে দেহ-অভিমানী হয়ে পড়েছে। এখন বাবা বলেন যে দেহী-অভিমানী হও। সত্যযুগে আত্ম-অভিমানীরা থাকে। পরমাত্মাকে জানে না। এখানে তোমরা দেহ-অভিমানী থাকো আর পরমাত্মাকেও জানো না সেইজন্য তোমাদের এইরকম দুর্গতি হয়ে গেছে। দুর্গতিকেও বুঝতে পারে না। যাদের কাছে ধনসম্পত্তি অধিক পরিমাণে আছে তারা মনে করে আমরা স্বর্গে বসে আছি। বাবা বলেন যে এরা সকলে গরীব হয়ে যাবে কেননা বিনাশ হয়ে যাবে। বিনাশ হয়ে যাওয়া তো ভালো তাই না। আমরা আবার মুক্তিধামে চলে যাবো, এতে তো খুশি হওয়া উচিত। তোমরা মরবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছো। মানুষ তো মরতে ভয় পায়। বাবা তোমাদেরকে বৈকুন্ঠে যাওয়ার জন্য যোগ্য করে তুলছেন। পতিত তো পতিত দুনিয়াতেই জন্ম নিতে থাকে। তারা কেউই স্বর্গবাসী হয় না। মূল কথা বাবা বলেন পবিত্র হও। পবিত্র না হলে পবিত্র দুনিয়াতে যেতে পারবে না। পবিত্রতার ওপরেই অবলাদের ওপরে খাড়া নেমে আসে। বিষকে অমৃত মনে করে। জ্ঞান অমৃতের দ্বারা তোমাদেরকে হীরে বানিয়ে তুলি। তাহলে তোমরা বিষ খেয়ে কড়ি তুল্য কেন হয়ে যাও ? অর্ধ কল্প তোমরা বিষ খেয়েছ, এখন আমার আজ্ঞা মানো। তা নাহলে ধর্মরাজের ঠান্ডা খেতে হবে। লৌকিক বাবাও বলে, বাচ্চা, এমন কাজ ক’রো না যাতে কুলের বদনাম হয়। অসীম জগতের পিতা বলেন, শ্রীমৎ অনুসারে চলো। পবিত্র হও। আর যদি কাম চিতাতে বসো, এমনিতে তো তোমাদের মুখ কালোই, আরোই কালো হয়ে যাবে। এখন তোমাদেরকে জ্ঞান চিতাতে বসিয়ে সুন্দর বানিয়ে তুলি। কাম চিতাতে বসলে স্বর্গের মুখও দেখতে পারবে না। সেইজন্য বাবা বলেন শ্রীমৎ অনুসারে চলো। বাবা তো বাচ্চাদের সাথেই কথা বলবেন তাই না ? বাচ্চারাই জানে যে, বাবা আমাদেরকে স্বর্গের বর্সা দিতে এসেছেন। কলিযুগ এখন শেষ হয়ে যাবে। ভারতবাসী স্বর্গবাসী ছিল। এখন পতিত হয়ে গেছে । স্বর্গের বিষয়ে দানেই না। তো বাবা বলেন তোমরা শ্রীমৎ অনুসারে না চলে অন্যদের মত অনুসারে চলে বিকারে চলে গেছো বলেই মরেছো। পরে তোমরা স্বর্গে আসবে ঠিকই, কিন্তু খুবই হাল্কা পদ পাবে। এখন যারা অর্থবান তারা গরিব হয়ে যাবে। এখানে যারা গরিব তারা অর্থবান হয়ে যাবে। বাবা হলেন দীননাথ। সমস্ত কিছুই পবিত্রার উপরেই নির্ভর। বাবার সাথে যোগযুক্ত হলে তোমরা পবিত্র হবে। বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান, আমি তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাই। আমি তোমাদেরকে ঘর বাড়ি ছাড়াই না। বাড়িতে থাকো কিন্তু বিকারের যেও না। আর কোনো দেহধারীকে স্মরণ ক’রো না। এই সময় সকলে হল পতিত । সত্যযুগে পবিত্র দেবতা ছিল। এই সময় তারাও পতিত হয়ে পড়েছে। পুনর্জন্ম নিতে নিতে এখন অন্তিম জন্ম হয়ে গেল।
তোমরা সবাই হলে পার্বতী, তোমাদের সবাইকে অমরনাথ বাবা অমরকথা শোনাচ্ছেন, অমরপুরীর মালিক বানাতে। তাই এখন অমরনাথ বাবাকে স্মরণ করো। স্মরণের দ্বারাই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। বাকি শিব, শংকর বা পার্বতী বলে কেউ কোনো পাহাড়ে বসে নেই। এই সব হল ভক্তি মার্গের ধাক্কাধাক্কি। অর্ধ কল্প অনেক ধাক্কা খেয়েছ। এখন বাবা বলছেন আমি তোমাদেরকে স্বর্গে নিয়ে যাব। সত্যযুগে হল সুখই সুখ। না ধাক্কা খায় না পতন হয়। মুখ্য কথাই হল পবিত্র থাকার। এখানে যখন অত্যাচার তীব্রথায় পৌঁছায়, তখন পাপের ঘড়া ভরে যায় আর তখন বিনাশ হয়। এখন এক জন্ম পবিত্র হও তবে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে, এখন যারা শ্রীমতে চলবে। কল্প পূর্বে যদি শ্রীমতে না চলে তবে তবে এখনও চলবে না। আর না পদ পাবে। এক বাবার তোমরা হলে সন্তান । তোমরা তো একে অপরের ভাই বোন হয়ে গেলে। কিন্তু বাবার হয়ে যদি অধঃপতন হয়, তবে রসাতলে চলে যাবে, আরোই পাপাত্মা হয়ে যাবে । এটা হল ঈশ্বরীয় গভর্নমেন্ট।। যদি আমার মতে না চলো, পবিত্র না হও তবে ধর্মরাজের দ্বারা অনেক কড়া দন্ড ভোগ করতে হবে। জন্ম-জন্মান্তর ধরে যে পাপ করেছো সে’সব এর শাস্তি ভোগ করে হিসাব-পত্র মিটিয়ে দিতে হবে। হয় যোগবলের দ্বারা বিকর্মকে ভস্ম করতে হবে নাহলে অনেক কড়া শাস্তি ভোগ করতে হবে। কতো কতো সংখ্যায় ব্রহ্মাকুমার আর কুমারীরা রয়েছে, তারা সবাই পবিত্র থাকে, ভারতকে তারা স্বর্গ বানাচ্ছে। তোমরা হলে শিব শক্তি পান্ডব সেনা, এতে গোপ গোপী দুইই এসে যায়। ভগবান তোমাদেরকে পড়আন। লক্ষ্মী-নারায়ণকে ভগবান ভগবতী বলা হয় । তাদেরকে নিশ্চয়ই ভগবানই বর্সা দিয়ে থাকবেন। ভগবানই এসে তোমাদেরকে দেবতা বানান। সত্যযুগে যথা রাজা রানী তথা প্রজা দাকে। সবাই শ্রেষ্ঠাচারী ছিল, এখন হল রাবণ রাজ্য। রামরাজ্যে যদি যেতে চাও তবে পবিত্র হও আর রামের মতে চলো। রাবণের মতে চললে তোমাদের দুর্গতি হয়। গাওয়াও হয়েছে যে, কারো সম্পদ ধুলায় মিশে যাবে আর কারোর টাকা রাজা (সরকার) খেয়ে নেবে… সোনাদানা মাটির নীচে, দেওয়ালের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আকস্মিক মৃত্যু হলে সেখানেই থেকে যাবে। বিনাশ তো হতেই হবে। আর্থ কোয়েক ইত্যাদি যখন হয়, তখন চোরেরাও বেরিয়ে পড়ে (লুঠ করতে)। এখন ধনী বাবা এসেছেন, তোমাদেরকে নিজের বানিয়ে বিশ্বের মালিক বানাতে। আজকাল বাণপ্রস্থ অবস্থাতেও বিকার ছাড়া থাকতে পারে না, একেবারেই তমোপ্রধান হয়ে পড়েছে। বাবাকে চেনেই না। বাবা বলেন, আমি পবিত্র বানাতে এসেছি। বিকারের যদি চলে যাও তবে অনেক বড় কড়া শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমি পবিত্র বানিয়ে পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করতে এসেছি। তোমরা আবার পতিত হয়ে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে থাকলে, স্বর্গ রচনার কাজে বাঁধার সৃষ্টি করতে থাকলে, অনেক বড় কড়া শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমি এসেছি তোমাদেরকে স্বর্গবাসী বানানোর জন্য। বিকার যদি না ছাড়ো তবে ধর্মরাজের অনেক প্রহার এসে পড়বে। তখন ত্রাহী ত্রাহী করতে হবে। এটা হল ইন্দ্রসভা। গল্পে আছে না – সেখানে জ্ঞান – পরীরা কোনো পতিতকে নিয়ে আসে, তো তার ভাইব্রেশন আসে। সেখানে সভাতে কোনো পতিতকে বসানো যায় না। পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা ছাড়া বসানো হয় না। নাহলে যে নিয়ে আসবে তার ওপরেই দোষ চেপে যাবে। বাবা তো জানেন, তা সত্ত্বেও তারা নিয়ে এলে তাকে শিক্ষা প্রদান করা হয়। শিব বাবাকে স্মরণ করলে আত্মা শুদ্ধ হয়ে যায় । বায়ুমণ্ডলে সাইলেন্স হয়ে যায় । বাবা’ই বসে পরিচয় প্রদান করে বলেন যে, আমি তোমাদের বাবা। ৫ হাজার বছর পূর্বের মতো তোমাদেরকে মানব থেকে দেবতা বানাতে এসেছি। অসীম জগতের পিতার থেকে অসীম সুখের বর্সা নিতে হবে। আচ্ছা !
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) যোগবলের দ্বারা বিকর্মের সমস্ত হিসাব-পত্র সমাপ্ত করে আত্মাকে শুদ্ধ আর বায়ুমন্ডলকে শান্ত বানাতে হবে।
২ ) বাবার শ্রীমতের আধারে সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। বিকারের বশীভূত হয়ে স্বর্গের রচনায় বিঘ্ন রূপ হবে না।
বরদানঃ-
যে কোনো কার্যে সফলতা তখন প্রাপ্ত হয় যখন সময় অনুসারে বুদ্ধি যথার্থ নির্ণয় প্রদান করে। কিন্তু নির্ণয় শক্তি কার্যকর তখনই হয় যখন মন-বুদ্ধি স্বচ্ছ হয়, কোনো প্রকারের আবর্জনা থাকে না। এইজন্য যোগ অগ্নির দ্বারা আবর্জনাকে সমাপ্ত ক’রে বুদ্ধিকে স্বচ্ছ বানাও। যে কোনো প্রকারের দুর্বলতাই হল – নোংরা আবর্জনা। বিন্দুমাত্র ব্যর্থ সংকল্পও হল আবর্জনা, যখন এই আবর্জনা সমাপ্ত হয়ে যাবে তখন বেফিকর্(চিন্তামুক্ত) হয়ে যাবে আর স্বচ্ছ বুদ্ধি হওয়ায় প্রতিটি কার্যে সফলতা প্রাপ্ত করতে পারবে।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জীর মধুর মহাবাক্য –
এই কলিযুগী সংসারকে অসার সংসার কেন বলা হয় ? কারণ এই দুনিয়ায় কোনো সার নেই।সেইজন্য কোনো বস্তুতে সেই শক্তি অথবা সুখ-শান্তি, পবিত্রতা নেই। এই সৃষ্টিতে কোনো এক সময় সুখ-শান্তি, পবিত্রতা ছিল, এখন এগুলি নেই কারণ এখন প্রত্যেকের মধ্যে ৫ ভুতের প্রবেশ রয়েছে, সেইজন্যই এই সৃষ্টিকে ভয়ের সাগর বা কর্মবন্ধনের সাগর বলে থাকে, এতে প্রত্যেকে দুঃখী হয়ে পরমাত্মাকে আহ্বান করছে, পরমাত্মা আমাকে ভব সাগর পারাপার করাও। এর দ্বারা সিদ্ধ হয় যে অবশ্যই কোনো অভয় অর্থাৎ নির্ভয়তারও সংসার আছে যেখানে যেতে চাইছে। সেইজন্যই এই সংসারকে পাপের সাগর বলা হয়, যাকে পার করে পুণ্য আত্মাদের দুনিয়াতে যেতে চাইছে। তাহলে দুনিয়া তো হল দুটি, একটি হল সত্যযুগী সার সম্পন্ন দুনিয়া, অন্যটি হল কলিযুগী অসারের দুনিয়া। দুই দুনিয়ারই অস্তিত্ব এই সৃষ্টিতে থাকে।
মানুষ বলে, হে প্রভু আমাদের এই ভব সাগর থেকে ঐ পারে নিয়ে চলো, ঐ পারের অর্থ কি ? লোকেরা মনে করে ঐ পারের অর্থ হলো জন্ম-মৃত্যুর চক্রে না আসা অর্থাৎ মুক্ত হয়ে যাওয়া। এখন এগুলি তো হল মানুষের কথা। কিন্তু পরমাত্মা বলেন যে বাচ্চারা, যেখানে প্রকৃত সুখ শান্তি আছে, দুঃখ অশান্তি থাকে না, সেই দুনিয়াতে আমি তোমাদেরকে নিয়ে যাই। যখন তোমরা সুখ প্রাপ্ত করতে চাইছো তখন অবশ্যই সেটি এই জীবনেই হওয়া উচিত। এখন ওটা তো সত্যযুগী বৈকুণ্ঠের দেবতাদের দুনিয়া ছিল, যেখানে সর্বদা সুখী জীবন ছিল, ঐ দেবতাদের অমর বলা হত। এখন অমরেরও কোনো অর্থ নেই, এইরকম তো নয় দেবতাদের আয়ু এতো লম্বা ছিল যে যার জন্য তাদের কখনও মৃত্যুই হতো না। এখন এই কথাটি সঠিক নয় কারণ এটা কখনোই হয় না। তাদের আয়ু কখনোই সত্য ত্রেতাযুগ পর্যন্ত হত না। দেবী দেবতাদের জন্ম সত্যযুগ ত্রেতাতে অনেকবার হয়েছে, ২১ জন্ম তো তারা ভালোভাবে রাজত্ব করেছিলেন আবার ৬৩ জন্ম দ্রাপর থেকে কলিযুগের শেষ পর্যন্ত তাদের মোট জন্ম হয়েছে উত্তরণ কলা সম্পন্নকারীদের ২১বার আর অবতরণ কলা সম্পন্নকারীদের ৬৩ বার, সর্বমোট মানুষ ৮৪ বার জন্ম নেয়। বাকি এই যে মানুষ মনে করে, মানুষ তো ৮৪ লক্ষ যোনি কর্মফল ভোগ করে এই কথাটি হলো সম্পূর্ণ ভুল। মানব যদি নিজেদের যোনিতে সুখ-দুঃখ উভয়ই পার্ট ভোগ করতে পারে তাহলে জন্তু-জানোয়ারের যোনিতে কর্মফল ভোগ করার প্রয়োজন কি। বাদ বাকি সমগ্র সৃষ্টিতে জীব-জন্তু,পশুপাখি ইত্যাদি ৮৪ লক্ষ যোনি হতে পারে। কারণ অনেক ধরনের প্রজাতি আছে। কিন্তু মানুষ মানব যোনীতেই নিজের পাপ পুণ্য ভোগ করছে আর জন্তু-জানোয়াররা নিজেদের যোনিতে ভোগ করছে। না মানুষ জন্তু-জানোয়ারের যোনিতে জন্ম নেয় আর না জন্তু-জানোয়াররা মানুষের যোনিতে জন্ম নেয়। মানুষের নিজেদের যোনীতেই কর্মফল ভোগ করতে হয়, সেইজন্য ওদের মনুষ্য জীবনেই সুখ-দুঃখের অনুভূতি হয়ে থাকে। এই রকমভাবে জন্তু-জানোয়ারদের নিজেদের যোনিতেই সুখ দুঃখ ভোগ করতে হয়। কিন্তু ওদের মধ্যে এই বুদ্ধি থাকে না যে এই কর্মভোগ কোন কর্ম দ্বারা হয়েছে ? ওদের কর্মফলকেও মানুষ অনুভব করতে পারে কারণ মানুষ হল বুদ্ধিমান, বাকি এইরকম নয় যে মানুষ ৮৪ লক্ষ যোনি কর্মভোগ করে। এগুলি তো মনুষকে ভয় দেখানোর জন্য বলে থাকে, যদি পাপ কর্ম করো তাহলে পশু যোনিতে জন্ম নেবে। আমিও এখন এই সঙ্গমযুগে নিজের জীবনকে পরিবর্তন করে পাপাত্মা থেকে পুণ্যাত্মাতে পরিণত হচ্ছি। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!