04 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

3 May 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- নিজেকে জিজ্ঞাসা করো যে, কতো সময় আমি বাবার স্মরণে থাকি, দেহী অভিমানী স্থিতি কতো সময় থাকে ?"

প্রশ্নঃ --

ভাগ্যবান বাচ্চারা বাবার কোন্ নির্দেশ পালন করে ?

উত্তরঃ -:-

বাবার নির্দেশ হলো – মিষ্টি বাচ্চারা, আত্ম – অভিমানী ভব । তোমরা সব আত্মারা হলে পুরুষ, নারী নয় । তোমাদের আত্মার মধ্যেই সমস্ত পার্ট ভরা রয়েছে । এখন এই পরিশ্রম বা অভ্যাস করো যে, আমরা কিভাবে দেহী – অভিমানী থাকতে পারি । এ হলো উচ্চ লক্ষ্য ।

গান:-

ভাগ্য জাগিয়ে এসেছি….

ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা গান শুনেছে । আত্মা রূপী বাচ্চারা অর্থাৎ জীবের আত্মারা বলেছে যে, আমরা নতুন দুনিয়ার ভাগ্য অর্থাৎ স্বর্গের ভাগ্য বানানোর জন্য বাবার কাছে বসেছি । বাচ্চাদের এখন রুহানী অভিমানী বা আত্ম – অভিমানী হতে হবে । এতেই অনেক পরিশ্রম । তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করো, আর এমন মনে করো যে – আমি আত্মা ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছি । কখনো ব্যারিস্টার, কখনো অন্য কোনো কিছু হয়েছি । আত্মা হলো পুরুষ, সবাই ভাই – ভাই, নাকি বোন । আত্মা বলে, এ আমার শরীর, সেই হিসাবে আত্মা পুরুষ, আর এই শরীর নারী হয়ে গেলো । তোমাদের সব বিষয়কে খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে । বাবা আমাদের বিশাল এবং সূক্ষ্ম বুদ্ধির তৈরী করেন । তোমরা এখন জানো যে – আমি আত্মা ৮৪ বার জন্মগ্রহণ করেছি । সংস্কার ভালো বা মন্দ, তা আত্মার মধ্যেই থাকে । সেই সংস্কার অনুসারে শরীরও তেমন প্রাপ্ত হয় । সমস্তকিছুই আত্মার উপর নির্ভর করে । এ অনেক পরিশ্রম । জন্ম – জন্মান্তর ধরে লৌকিক বাবাকে স্মরণ করেছো, এখন তোমাদের পারলৌকিক বাবাকে স্মরণ করতে হবে । প্রতি মুহূর্তে নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে । আমি আত্মা এই শরীর ধারণ করি । এখন আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বাবা পড়ান । এ হলো আধ্যাত্মিক জ্ঞান, যা আধ্যাত্মিক পিতা প্রদান করেন । প্রথম মুখ্য কথা হলো, আত্মাদের দেহী – অভিমানী হয়ে থাকতে হবে । দেহী অভিমানী হয়ে থাকা, এ খুব উঁচু লক্ষ্য । জ্ঞান উচ্চ নয় । জ্ঞানে কোনো পরিশ্রম নেই । সৃষ্টিচক্রকে জানা – এ হলো হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি । উঁচুর থেকে উঁচু হলেন বাবা, তারপর সূক্ষ্মবতনে দেবতারা । এই পৃথিবীর হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি তো মনুষ্য সৃষ্টিতেই হয় । মূলবতন, সূক্ষ্মবতনে কোনো হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি নেই । সে হলো শান্তিধাম । সত্যযুগ হলো সুখধাম । আর কলিযুগ হলো দুঃখধাম । এখানে রাবণ রাজ্যতে কেউই শান্তি পেতে পারে না । বাচ্চারা, এখন তোমরা এই জ্ঞান পেয়েছো যে – আমরা আত্মারা শান্তিধামেরই অধিবাসী । এই অর্গ্যান্স হলো কর্ম করার জন্য । সে কর্ম করুক বা না করুক । আমরা হলাম আত্মা । আমাদের স্বধর্ম হলো শান্ত । আমরা তো কর্মযোগী, তাই না । কর্মও অবশ্যই করতে হবে । কর্ম – সন্ন্যাসী কখনোই হতে পারবে না । এও এই সন্ন্যাসীদের পার্ট । ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যায়, নিজেরা খাবার তৈরী করে না, গৃহস্থীদের থেকে ভিক্ষা করে, সেও তো সেই গৃহস্থীদের কাছেই খায়, তাই না । ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয় কিন্তু কর্ম তো তবুও করে । কর্ম সন্ন্যাস তো হয় না । কর্ম সন্ন্যাস তখন হয় যখন আত্মা শান্তিধামে থাকে । ওখানে কর্মেন্দ্রিয়ই নেই তাহলে কর্ম কিভাবে করবে, একেই কর্মক্ষেত্র বলা হয় । কর্মক্ষেত্রে সবাইকে আসতে হয় । ও হলো শান্তিধাম বা মূলবতন । এমন নয় যে, ব্রহ্মতে আত্মাকে লীন হতে হবে । আত্মারা শান্তিধামে থাকে, তারপর এখানে কর্মক্ষেত্রে অভিনয় করতে আসে । এই হলো সম্পূর্ণ কথা । সংক্ষেপে তো বলা হয়, নিজেকে আত্মা নিশ্চিত করো, আর বাবাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । একেই ভারতের প্রাচীন যোগ বলা হয় । বাস্তবে একে যোগও নয়, স্মরণ বলা উচিত, এতেই পরিশ্রম । যোগী খুবই কম হয় । যোগের শিক্ষা প্রথমে চাই, তারপর জ্ঞান । প্রথমেই হলো বাবাকে স্মরণ ।

বাবা বলেন যে, তোমরা দেহী অভিমানী হও, এ হলো আধ্যাত্মিক স্মরণের যাত্রা । জ্ঞানের যাত্রা নয়, এতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে । কেউ কেউ তো নিজেদের বি.কে বলে পরিচয় দেয় কিন্তু বাবাকে স্মরণ করে না । বাচ্চারা, বাবা এসে ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের দেহী অভিমানী করেন । ইনি দেহবোধে ছিলেন । এখন দেহী অভিমানী হওয়ার পুরুষার্থ চলছে । ব্রহ্মা কোনো ভগবান নন । এখানে তো সব মনুষ্য মাত্রই পতিত । পবিত্র – শ্রেষ্ঠাচারী একজনও নেই । আত্মাদেরই বলা হয় পুণ্য আত্মা – পাপ আত্মা । মানুষও বলে থাকে – আমার আত্মাকে বিরক্ত করো না, কিন্তু তারা বুঝতেই পারে না যে, আমি কে ? জিজ্ঞেস করা হয় – হে জীবের আত্মা, তোমরা কি কাজ করো ? তখন বলবে, আমি আত্মা এই শরীরের দ্বারা অমুক কাজ করি । তাই সর্বপ্রথমে এইকথা নিশ্চিত করে বাবাকে স্মরণ করো । এই আত্মিক জ্ঞান বাবা ছাড়া আর কেউই দিতে পারে না । বাবা এসে দেহী অভিমানী তৈরী করেন । এমন নয় যে, জ্ঞানে যদি কেউ তীক্ষ্ণ হয়, সেই দেহী অভিমানী হয়ে গেছে । যে দেহী অভিমানী হয়, সে খুব ভালোভাবে জ্ঞানকে ধারণ করে । বাকি তো অনেকেই আছেন, যারা জ্ঞানকে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে, কিন্তু শিববাবাকে স্মরণ করতে ভুলেযায় । প্রতি মুহূর্তে নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে, এতে জিনের মতো হতে হবে । জিনের কাহিনী তো আছে । বাবাও এই কাজ দেন – আমাকে স্মরণ করো, নাহলে মায়া তোমাদের খেয়ে ফেলবে । মায়া হলো জিন । বাবাকে যত স্মরণ করবে, ততই বিকর্ম বিনাশ হবে, আর তোমাদের খুব আকর্ষণ হবে । মায়া তোমাদের উল্টো বুঝিয়ে অনেক ঝড় আনবে । বুদ্ধিতে যেন এই কথা স্মরণে থাকে যে, আমি আত্মা বাবার সন্তান । ব্যস, এই খুশীতে থাকতে হবে ।

দেহবোধে এলে মায়া থাপ্পড় মারে । হাতমতাইয়ের খেলাও দেখায় । মুখে চুষিকাঠি ঢুকলেই হারিয়ে যায় । তোমাদেরও মায়া বিরক্ত করবে না, যদি তোমরা বাবার স্মরণে থাকো, তবেই । এতেই যুদ্ধ চলতে থাকে । তোমরা স্মরণের পুরুষার্থ করতে থাকো, কিন্তু মায়া এমন নাক পাকড়ে ধরে যে স্মরণ করতেই দেয় না, তোমরা বিরক্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে । এতো মায়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলবে । বাকি এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি তো খুবই সাধারণ । তোমাদের প্রতি মুহূর্তে বলা হয় যে, সবসময় মনে করো যে, এখন আমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন আমরা বাবার সঙ্গে মিলিত হতে যাচ্ছি । এই স্মরণ রাখাই কঠিন । বাকি কাউকে বোঝানো কোনো কঠিন কিছু নয় । এমন তো নয় যে, আমরা খুব ভালো বোঝাই । তা নয়, প্রথম কথাই হলো স্মরণের । প্রদর্শনীতে অনেকেই আসে । প্রথম – প্রথম এই পাঠ শেখাতে হবে যে, নিজেকে আত্মা নিশ্চিত করে বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে । এই শিক্ষাই প্রথম দিতে হবে । ভারতের প্রাচীন যোগ কেউই শেখাতে পারে না, অসম্ভব । সত্যযুগ তো হলোই পবিত্র, ওখানে তো সবাই প্রালব্ধ ভোগ করে । ওখানে জ্ঞান – অজ্ঞানের কোনো কথাই নেই । ভক্তিমার্গেই মানুষ বাবাকে ডাকে যে, তুমি এসে আমাদের দুঃখ হরণ করো আর সুখ প্রদান করো । সত্যযুগ আর ত্রেতাতে কোনো গুরু – গোঁসাই থাকে না । ওখানে তো মনুষ্য সদগতিতে থাকে । তোমরা এই সদগতির উত্তরাধিকার ২১ জন্মের জন্য পেতে পারো । ২১ কুল — বলা হয়, ব্রহ্মাকুমারীরাই ২১ কুলের উদ্ধার করে । ভারতেই এই মহিমা করা হয় । ভারতেই তোমরা ২১ জন্মের উত্তরাধিকার লাভ করো । ওখানে তোমরা একই দেবী – দেবতা ধর্মের থাকো, অন্য কোনো ধর্ম ওখানে থাকে না । বাবা এসে তোমাদের মানুষ থেকে দেবতা বানান । পবিত্র হওয়া ছাড়া আমরা কিভাবে ফিরে যেতে পারি ? এখানে তো সবাই বিকারী এবং পতিত । যে ধর্ম স্থাপকা আছেন, তারা তাদের ধর্মের পালনা করেন, তখন তাদের ধর্মের বৃদ্ধি হতে থাকে । কেউই ফিরে যেতে পারে না । একজন অভিনেতাও ফিরে যেতে পারে না । সবাইকে সতোপ্রধান, সতো, রজো এবং তমোতে আসতেই হবে । ব্রহ্মার জন্যও বলা হয় যে, ব্রহ্মার দিন এবং ব্রহ্মার রাত । তাহলে কি সৃষ্টিতে একা ব্রহ্মাই থাকবেন ? তোমরা এখন ব্রাহ্মণ কুলের তৈরী হচ্ছো । তোমরা রাতে ছিলে, এখন আবার দিনের দিকে যাচ্ছো ।

তোমাদের বোঝানো হয় যে, কতো সময় তোমরা পূজ্য থাকো, আর কতো সময় পূজারী হয়ে যাও । যতক্ষণ না বাবা আসছেন, ততক্ষণ কেউই ভ্রষ্টাচারী থেকে শ্রেষ্ঠাচারী হতে পারবে না । তাদের ভ্রষ্টাচারী বলা হয় – যাদের জন্ম বিকারের দ্বারা হয়, তাই এই দুনিয়াকে নরক বলা হয় । স্বর্গ আর নরক দুইয়েতেই যদি দুঃখ থাকে তাহলে তো তাকে স্বর্গ বলাই যাবে না । যতক্ষণ সম্পূর্ণ জ্ঞান না হবে, ততক্ষণ উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করবে । তোমাদের বোঝাতে হবে যে, ভারত খুব উচ্চ ছিলো । ঈশ্বরের মহিমা যেমন অপরমপার, তেমনই ভারতের মহিমাও অপরমপার । ভারত কি ছিলো, আর একে এমন কে বানালো ? বাবা, যাঁর মহিমা গাওয়া হয় । বাবা এসেই বাচ্চাদের বিশ্বের মালিক বানান । তিনিই মনুষ্য মাত্রকে দুর্গতি থেকে সদগতিতে নিয়ে যান । তিনিই শান্তিধামে নিয়ে যান, যার জন্য মানুষ পুরুষার্থ করে । একে অটল সুখ, অটল শান্তি, অটল পবিত্রতা বলা হয় । ওখানে তোমরা সুখেও থাকো, আবার শান্তিতেও থাকো, আর বাকি আত্মারা শান্তিতে থাকে । তোমরাই সবথেকে বেশী জন্মগ্রহণ করো । বাকি যারা অল্প অল্প জন্মগ্রহণ করে তারা শান্তিধামে অটল শান্তিতে থাকে । তারা মশার সদৃশ্য আসে, এক – আধ জন্ম অভিনয় করে, এ আর কি হলো ? তাদের কোনো দাম নেই । মশার আর কি দাম ? রাতে জন্মায়, আবার রাতেই মারা যায় । এই সময় বেশীরভাগই শান্তি চায়, কেননা এই সময়ের গুরুরা শান্তিতে যাবেন ।

তোমরা এখানে এসেছো – স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য । স্বর্গবাসীদের শান্তিবাসী বলা হবে না । শান্তিবাসী নিরাকারী দুনিয়াকে বলা হয় । মুক্তি অক্ষর গুরুর কাছ থেকে শেখে । মাতারা ব্রত – নিয়ম রাখে বৈকুণ্ঠপুরীতে যাওয়ার জন্য । কেউ যদি মারা যায়, তখনো বলে – স্বর্গবাসী হয়েছেন । কেউই হয় না, কিন্তু ভারতবাসী স্বর্গকে মানে । তারা মনে করে – ভারত স্বর্গ ছিলো । শিববাবা ভারতে এসেই স্বর্গের রচনা করেন, তাই তিনি অবশ্যই এখানে এসেই রচনা করবেন । স্বর্গে তো আর আসবেন না । তিনি বলেন – আমি আসি স্বর্গ আর নরকের সঙ্গমে । কল্প – কল্পের সঙ্গমে আসি । ওরা আবার যুগে – যুগে লিখে দিয়েছে । ‘কল্প’ শব্দটি ভুলে গেছে । এই খেলাও বানানো আছে, যা আবার রিপিট হবে । এই অন্তিম জন্মে তোমরা বাবাকে আর সৃষ্টিচক্রকে জানো । কিভাবে নম্বর অনুসারে স্থাপনা হয়, তা এখন তোমরা জানো । এই সম্পূর্ণ খেলা তোমাদের ভারতবাসীদের উপরই বানানো আছে । তোমরা এখন বাবার কাছে রাজযোগ শেখো । তোমরা বাবার স্মরণেই এই রাজ্য পাও । চিত্রও তো আছে, তাই না । এই সব চিত্র কে বানিয়েছে । এনার তো কোনো গুরু – গোঁসাই নেই । কোনো গুরু যদি থাকতেন, তাহলে গুরুর তো একজন শিষ্য থাকতোই না । অনেক হতো, তাই না । এই জ্ঞান একমাত্র বাবা ছাড়া আর কেউই জানতে পারে না । অনেকেই জিজ্ঞেস করে, এই চিত্র কি তোমাদের দাদা বানিয়েছে ? এ তো বাবা দিব্যদৃষ্টির দ্বারা সাক্ষাৎকার করিয়েছেন । তিনি বৈকুন্ঠেরও সাক্ষাৎকার করিয়েছেন । এখানে স্কুল কিভাবে চলে, ভাষা কি হয়, সব সাক্ষাৎকার করেছেন । বাচ্চারা যখন ভাট্টিতে থাকতো তখন বাবা তাদের চিত্ত বিনোদন করাতেন । করাচিতে কেবল তোমরাই আলাদা ছিলে, যেন নিজেদের রাজত্ব । সবকিছুই তোমাদের, অন্য কেউই তা বুঝতে পারতো না । মনে করতো – এ হলো ভগবানের কোর্ট । বাবা বুঝিয়েছেন যে – তোমরা হলে সন্ন্যাসিনী । কিছুই না কিন্তু একনম্বর । এক বাবাকে ছাড়া তোমরা আর কাউকেই স্মরণ করবে না । ওরা তো ক্রাইস্টকেই সন্ন্যাসী বলে জানে, তাঁকে ছাড়া কাউকেই জানে না ।

তোমরা জানো, উত্তরাধিকার এক শিব বাবার থেকেই পাওয়া যায় । শিব বাবা তো হলো বিন্দু । তিনিও তো কারোর দ্বারাই বোঝাবেন, তাই না । প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো অবশ্যই এখানেই হবেন । বাবা বলেন যে, এনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মের পতিত শরীরে আমি প্রবেশ করি । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) জ্ঞানকে খুব ভালোভাবে ধারণ করে দেহী অভিমানী হতে হবে । এই হলো পরিশ্রম । এই হলো উচ্চ লক্ষ্য । এই পরিশ্রমেই আত্মাকে সতোপ্রধান হতে হবে ।

২ ) জিন হয়ে স্মরণের যাত্রা করতে হবে । মায়া যতই বিঘ্ন আনুক না কেন, মুখে চুষিকাঠি দিয়ে দিতে হবে । মায়ার দ্বারা বিচলিত হয়ো না । একের স্মরণে থেকে ঝড়কে দূর করতে হবে ।

বরদানঃ-

অলৌকিক জীবনে মায়ার বিঘ্ন আসাও অলৌকিক খেলা, শারীরিক শক্তির জন্য যেমন খেলানো হয়, তেমনই অলৌকিক যুগে পরিস্থিতিকে খেলনা মনে করে এই অলৌকিক খেলা খেলো । এতে ভয় পেয়ে বা ঘাবড়ে যেও না । সর্ব সঙ্কল্প সহিত নিজেকে বাপদাদার কাছে বলিহারি দিয়ে দাও তাহলে মায়া কখনো আঘাত করতে পারবে না । রোজ অমৃতবেলায় সাক্ষী হয়ে নিজেকে সর্বশক্তির দ্বারা শৃঙ্গার করো, তাহলে অচল – অটল থাকবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top