04 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
3 June 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - শিববাবা এবং ব্রহ্মা বাবা দুইজনের মত হল বিখ্যাত, তোমাদেরকে দুইজনের মতামত অনুসারে চলে নিজের কল্যাণ করতে হবে”
প্রশ্নঃ --
নম্বর ওয়ান ট্রাস্টি কে এবং কীভাবে ?
উত্তরঃ -:-
শিববাবা হলেন নম্বর ট্রাস্টি, তাঁর আসক্তি নেই। ভক্তি মার্গেও তোমরা তাঁর উদ্দেশ্যে যা কিছু দান-পুণ্য ইত্যাদি কর, সেসব ইনসিওর হয়ে যায়, যার ফলে দ্বিতীয় জন্মে প্রাপ্ত হয়। এখনও যারা বাবার উদ্দেশ্যে নিজস্ব যা আছে সব ইনসিওর করে তার পুরো রিটার্ন বাবা প্রদান করেন। কারণ বাবা বলেন – আমি নিজে সুখের ভোগ করি না। আমি তোমাদের সেসব নিয়ে কি করবো।
গান:-
দ্বারে এসেছি শপথ নিয়ে…..
ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা গান শুনলো। বাচ্চা তাদেরকে বলা হয় যারা বাবার আপন হয়। বাবা বুঝিয়েছেন এ হল শেষ জন্ম, মরজীবা জন্ম অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় মৃত সম । এই কথা তো বাচ্চারা জানে, শ্রীমতের গায়ন আছে। শ্রীমৎ ভগবানুবাচ। গীতায় কৃষ্ণের নাম লিখে দেওয়া হয়েছে কিন্তু হলেন শিববাবা। তাঁর পরে ব্রহ্মা তারপর কৃষ্ণ। শ্রীমৎ কৃষ্ণের বলা হবে না। শ্রেষ্ঠতম হলেন আমাদের বাবা। পতিত-পাবন কৃষ্ণ অথবা রাধে ইত্যাদিকে বলবে না। তারা হল দিব্যগুণধারী মানুষ। মানুষকে পতিত-পাবন বলা হয় না। সত্যযুগে এমন বলা হবে না পতিত-পাবন এসো। পতিতদের পাবন করেন একমাত্র বাবা, যাঁর শ্রীমৎ অনুযায়ী তোমরা চলছো। প্রজাপিতা ব্রহ্মার মত হল বিখ্যাত। শ্রীমৎও হল বিখ্যাত। কিন্তু তাতে ভুল করে দিয়েছে যে বাবার পরিবর্তে কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়েছে। সর্ব ধর্মের পিতা তো একজন ই। কৃষ্ণকে তো সবাই মানবে না। খ্রিস্টানরা খ্রিষ্টকে পিতা মনে করে, কৃষ্ণকে নয়, কারণ খ্রিস্টানরা হল খ্রীষ্টের মুখবংশী। শিববাবা এসে তোমাদের আপন করেন। বলা হয় হাতে মাথা রেখে বাবার আপন হয়েছো। তাঁর নির্দেশ অনুসারে চলতে হয়। বাবাকে নিজেদের মতামত দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি নিজেই মত প্রদান করেন। এরা তো সবাই হল বাচ্চা। শিববাবা হলেন বিখ্যাত। তিনি যে মত দেবেন, যা করবেন সবই হবে সঠিক। ব্রহ্মাকেও মত দেন এমন করো। তোমাদের কানেকশন হল শিববাবার সঙ্গে। কারো অবগুণ দেখবে না, শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। শিববাবা তো হলেন নিরাকার। এই ঘর তো তাঁর নয়। তোমরা এইখানে পুরানো ঘরে থাকো পরে স্বর্গে গিয়ে নিজের ঘরে থাকবে। শিববাবা বলেন আমি তো থাকবো না। আমি তো এই সময় একটু সময়ের জন্য আসি।
তোমরা হলে প্রকৃত সত্য রূহানী স্যালভেশন আর্মি। সুপ্রীম আত্মা(শিববাবা) নির্দেশ দিচ্ছেন, হুবহু ড্রামা প্ল্যান অনুযায়ী কল্প পূর্বের মতন। কল্প-কল্প যা নির্দেশ দিয়েছেন তা-ই দিচ্ছেন। রাত-দিন গুহ্য কথা শোনাতে থাকেন। নতুন কেউ বুঝবে না। কেউ যদিও ৩৫-৪০ বছর থেকেছে কিন্তু অনেকে আছে যে এই গম্ভীর কথা গুলি বোঝে না। বাবা তো রোজ নতুন কথা শোনান। করাচি থেকে মুরলী বেরোয়। প্রথমে বাবা মুরলী চালাতেন না। রাত্রে ২ টোর সময় উঠে ১০-১৫ পেজ লিখতেন। বাবা লেখাতেন তার কপি প্রিন্ট হয়ে বেরোত। ভক্তি মার্গে শাস্ত্র ইত্যাদির কাগজ তো সুরক্ষিত রাখা হয় । তারপর বড় বড় বই তৈরি হয়। অনেক বায়োগ্রাফি বানানো হয়। তারা সেসব পড়ে যত্ন করে রাখে। তোমরা তো মুরলী পড়ে আর রাখো না, ফেলে দাও। যদিও এই লেখা গুলি সদাকালের জন্য রাখা উচিত। কিন্তু না, সবাই জানে যে এইসব বিনাশ হয়ে যাবে। চিত্র ইত্যাদি যা তোমরা বানাও সেসবই হল অল্প সময়ের জন্য। পরে এইসব মাটির তলায় চলে যাবে সেখানে শাস্ত্র, চিত্র ইত্যাদি কিছুই থাকে না এখন এইসব যা চলছে কল্প বাদেও হবে। শাস্ত্র ইত্যাদি পরে আবার দ্বাপর থেকে আরম্ভ হবে। গ্রন্থ ইত্যাদি তো সব প্রথমে হাতে লেখা খুব ছোট হত। এখন বড় বানানো হয়েছে। দিন দিন বড় মাপের বানাতে থাকবে। নাহলে শিববাবার জীবন কাহিনী কতখানি লেখা উচিত। এখন তোমরা বাচ্চারা বলো – পরমপিতা পরমাত্মার জীবন কাহিনী আমরা জানি। বাবা বসে বোঝান – আমি ভক্তিমার্গে কি করি। ভক্তি মার্গেও ইনসিওরেন্স করি। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে মানুষ দান-পুণ্য করে তাইনা। বলে অমুকে দান করেছে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে। ঈশ্বর বড় ঘরে জন্ম দিয়েছে। ভক্তিমার্গে ধর্মাত্মা অনেক থাকে। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে, শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে দান পুণ্য অনেক করে। তাই বাবা বোঝান – আমি বাচ্চাদেরকে পরের জন্মে অল্পকালের ফল দিয়ে এসেছি। ভালো বা খারাপ ফল তো প্রাপ্ত হয় তাইনা। কতখানি ইনসিওরেন্স হল। যে যেরকম কর্ম করে, সেই রকম ফল পায়। মায়া উল্টো কর্ম করায়, যার দ্বারা তোমরা দুঃখ প্রাপ্ত কর। এখন আমি তোমাদের এমন কর্ম করা শেখাচ্ছি যে কখনও দুঃখ হবে না এবং মায়াও সেখানে থাকে না। বাকি রইল পদ মর্যাদা, যে যতখানি ইনসিওরেন্স করে। শিববাবা হলেন ট্রাস্টি, তাইনা। প্রথম নম্বর ট্রাস্টি হলেন বাবা। অনেকেরই আসক্তি থাকে, কেউ কেউ ট্রাস্টি তো কেউ কেউ আবার অন্যের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়। বাবা দেখো কেমন ট্রাস্টি, বলেন এইসব হল বাচ্চাদের জন্য। তোমাদের সম্পূর্ণ কানেকশন হল শিববাবার সঙ্গে। বাবা বলেন আমি হলাম প্রকৃত সত্য ট্রাস্টি। আমি নিজে সুখ প্রাপ্ত করি না, বাচ্চাদেরকে সম্পূর্ণ রাজধানী প্রদান করি। লৌকিক পিতাও সবকিছু উইল করে দিয়ে যান। আমি তো স্বর্গে কিছু গ্রহণ করি না। তোমাদেরকেই সবকিছু প্রদান করি। অর্থাৎ তোমাদের সম্পূর্ণ কানেকশন হল শিববাবার সঙ্গে। ব্রহ্মা বাবাও বলেন আমিও সম্পূর্ণ ইনসিওরেন্স করেছি। তন-মন-ধন সবই বাবার সার্ভিসে আছে। সিন্ধি ভাষায় বলে – হাত যার এইরূপ (দাতা রূপে) প্রথমে পুরে সে পৌঁছাবে। বাবাকে সব ইনসিওরেন্স করে দিতে হবে। দুই মুঠো চাল দিয়ে মহল প্রাপ্ত করে। এখন দেখো ভবন নির্মাণ করতে কেউ এক টাকা দিয়েছে, আমাদের দিক থেকে একটি ইঁট যেন লাগানো হয়। বাবা লেখেন তোমরা তো সবচেয়ে ভালো মহল পাবে কারণ তোমরা হলে গরিব। আমি হলাম গরিব নিবাজ অর্থাৎ দীনের নাথ। গরিবের এক টাকা তো ধনী মানুষের ১০ হাজার টাকার সমান। দুইজনেরই একই পদ প্রাপ্ত হয়। ধনী মানুষ খুব মুশকিলে জ্ঞান ধারণ করে। কন্যারা হল একেবারে ফ্রী। এক নম্বরে দেখো মাম্মা আছে। তার কাছে তো কিছুই ছিল না। গরিবের ঘরের ছিল তবুও এক নম্বরে চলে গেছে। ব্রহ্মা বাবা সবকিছু দিয়েছেন তবুও লক্ষ্মী প্রথমে তারপরে নারায়ণ। কতখানি ওয়ান্ডারফুল এই খেলা। অতএব কখনও কোনো কথায় সংশয় প্রকাশ করা উচিত নয়। বাপদাদা কম নন। একটুও সংশয় প্রকাশ করা উচিত নয়। খুব মিষ্টি হতে হবে। প্রতি কদমে শ্রীমৎ নিতে হবে। তা নাহলে মায়া ক্ষতি করে দেবে। বাচ্চাদেরকে অনেক নির্দেশ দিতে হয়। বাবা বলেন – পুরো খবর লেখো। বাবা সব দিক থেকে রক্ষা করবেন। বাবার খেয়াল থাকে। এই বাচ্চাটি উপরে উঠুক। পড়াশোনায় সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন চাই। আমরা মোস্ট বিলাভেড গড ফাদারলি স্টুডেন্ট। ভগবানুবাচও লেখা আছে কিন্তু কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়েছে। কৃষ্ণও সব মানুষের চেয়ে উঁচুতে অবস্থিত তাইনা। কৃষ্ণ তো ফার্স্ট প্রিন্স । কৃষ্ণের নাম দেয়, নারায়ণের কেন নয়! কৃষ্ণ হল বালক। ছোট বয়সে বালক সতোপ্রধান হয়। তারপরে শৈশব থেকে যুবক, তারপরে বৃদ্ধ অবস্থা আসে। বাচ্চাদের ই মহিমা করা হয় কারণ পবিত্র তাইনা। বালক হল ব্রহ্মজ্ঞানীর সমান এমন বলা হয়। ছোট বাচ্চাদের মধ্যে কোনো পাপ থাকে না। তাই কৃষ্ণ ছোট বাচ্চা বলেই বার্থ ডে পালন করা হয়। তবুও কৃষ্ণকে দ্বাপরে দেখানো হয়েছে। এইসব কথা বাবা বসে বোঝান। তোমরা ব্রাহ্মণরা ব্যতীত দুনিয়ায় এমন কেউ নেই যারা এই কথা জানে। ব্রাহ্মণ হল উত্তম। তোমরা ব্রাহ্মণ রা হলে ঈশ্বরীয় সন্তান। সত্যযুগে ঈশ্বরীয় সন্তান বলা হবে না। ঈশ্বরের কাছে অবশ্যই স্বর্গের প্রাপ্তি হবে। এ হল তোমাদের অতি দুর্লভ অমূল্য জীবন। সবার তো হবে না। এই ড্রামা এমন ভাবেই তৈরি আছে। কল্প পূর্বে যারা পড়েছে, তারা ই পড়ছে। ভগবান নিশ্চয়ই ভগবান-ভগবতী রচনা করেছেন। কিন্তু ভগবান-ভগবতী বলা হবে না। গড ইজ ওয়ান। নিরাকারের মহিমা আছে। সাকারের কোনো মহিমা নেই। এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে নিরাকার এমন বানিয়েছেন। এখন রাজযোগের শিক্ষা প্রাপ্ত করছে। রাজত্ব স্থাপন হয়, তখন বিনাশও হয়। বাবা নিশ্চয়ই স্বর্গের অধিকার দেবেন। এখন হল সঙ্গমের কথা। শিববাবা আসেন, তখন খেলা পূর্ণ হয়, তারপরে কৃষ্ণের জন্ম হয়। মানুষ তো বিভ্রান্ত হয়েছে, তবেই তো বাবা এসে বোঝান। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মা দ্বারা সব শাস্ত্রের সার বলে দেন। এখন তোমরা মাস্টার নলেজফুল হয়েছো। বাবা বলেন – এই ভারত হল সবচেয়ে বিশাল তীর্থ স্থান। কিন্তু কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়ে পুরো মহিমা লুপ্ত করে দিয়েছে। নাহলে সবাই শিবের মন্দিরে ফুল অর্পণ করতো, সকলের সদগতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা। অর্ধকল্প তোমরা প্রালব্ধ ভোগ করে নীচে আসো। সবাইকে তমোপ্রধান হতেই হবে। এখন বাবা বলেন – বাচ্চারা, তোমাদের জন্য নতুন দুনিয়া স্থাপন করছি। সেখানে আমি নিজে আসি না, সব কিছু বাচ্চারা তোমাদের জন্য। ক্লিয়ার কথা। মানুষ তো নিজের জন্য করে তারপরে বলে আমি নিষ্কাম হয়ে করি। কিন্তু নিষ্কাম তো কেউ করতে পারে না। প্রতিটি জিনিসের ফল তো নিশ্চয়ই প্রাপ্ত হয়। বাচ্চারা, আমি তো তোমাদের অবিনাশী জ্ঞানের রত্ন প্রদান করি। তোমাদের জন্যই বৈকুণ্ঠ এনেছি। বাচ্চাদেরকে শ্রেষ্ঠ স্বতন্ত্র রাজ্যের স্মরণিকা প্রদান করি। সুতরাং সেই রাজ্য প্রাপ্ত করার জন্য উপযুক্ত হতে হবে। স্বর্গের মালিক হতে হবে। হাতের মুঠোয় স্বর্গ প্রাপ্ত হয়। সেকেন্ডে জীবনমুক্তি অথবা সেকেন্ডে বাদশাহী। দিব্য দৃষ্টি দাতা হলেন শিববাবা। সেকেন্ডে বৈকুন্ঠে নিয়ে যান, ব্রহ্মা বাবার হাতে কোনো চাবি নেই। বাবা বলেন বাচ্চারা, আমি তোমাদেরকে রাজত্ব প্রদান করি। আমি রাজ্য করিনা। পরে যখন তোমরা ভক্তি মার্গে যাবে তখন তোমাদেরকে দিব্য দৃষ্টি দ্বারা প্রভাবিত করতে হবে। কত ভালো করে বোঝান। এমন বাবা কল্প-কল্প, কল্পের সঙ্গমযুগে একবারই আসেন। পূর্ব নির্দিষ্ট যা তাই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এখন নতুন কিছুই হচ্ছে না ….. যা কিছু হয়, ড্রামাতে ফিক্স আছে। সেসব সাক্ষী হয়ে দেখো। বাবা খুব ভালো ভাবে বোঝান। বাচ্চারা আমি হলাম তোমাদের ইনসিওরেন্স ম্যাগনেট। তোমাদের এক পয়সাও হারায় না। কড়ি থেকে তোমাদের হীরে তুল্য বানাই। এই সব শিববাবা করেন, ব্রহ্মা দ্বারা, করনকরাবনহার হলেন শিববাবা। নিরাকার, তিনি হলেন নিরহংকারী। গড ফাদার কীভাবে বসে পড়ান। এমন বলেন না চরণ স্পর্শ করো। বাবা হলেন অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট। বাবা বলেন – যাদের মালিক করেছিলাম, তারা সুখ ভোগ করে এখন দুঃখী হয়েছে। সুখও অনেক ভোগ করে। অন্য কোনও ধর্ম এত সুখ ভোগ করে না। এমন বলা যাবে না ভারতবাসীদের কেন, অন্যরা কি করেছে ? মানুষের সংখ্যা তো অনেক, সবাই আসতে পারে না। এইরূপ ড্রামায় নির্দিষ্ট আছে। ভারতেই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। ভগবান এসে সহজ রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করেছিলেন। বাবা বলেন – আমি পুনরায় এসেছি। তোমরাও জানো ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করে এখন আমরা ঘরে ফিরে যাই। এই বস্ত্র টি (দেহ টি) খুব পুরানো হয়েছে সর্পের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। সন্ন্যাসীরা বলে আত্মা পরমাত্মায় বিলীন হয়ে যায়। এইরূপ অবস্থায় স্থির থেকে শরীর ত্যাগ করে। কিন্তু ব্রহ্মে বিলীন তো কেউ হয় না। তাতেও অনেকে তীক্ষ্ণ হয়। শান্তিতে বসে শরীর ত্যাগ করে চলে যায় তাদের প্রভাবে বায়ুমন্ডল ২-৩ দিন পর্যন্ত নিঃশব্দ থাকে। অতএব তোমরা জানো যে এই পুরানো শরীর ত্যাগ করে বাবার কাছে যেতে হবে। ব্রহ্ম তো বাবা নয়, এই কথাটি তাদের ভ্রম মাত্র। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) এই ড্রামার প্রতিটি সীন সাক্ষী হয়ে দেখতে হবে, কারণ যা পূর্ব নির্দিষ্ট তারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। কখনও কোনো কথায় সংশয় প্রকাশ করবে না।
২ ) বাবা হলেন ইনসিওরেন্স ম্যাগনেট, তাই তন-মন-ধনের দ্বারা বাবার সার্ভিসে সফল করে নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে হবে। বাবার সঙ্গে পুরোপুরি কানেকশন রাখতে হবে। সম্পূর্ণ খবরাখবর দিতে হবে।
বরদানঃ-
যে কোনও জিনিস যত বেশি শক্তিশালী হয় ততই তার কোয়ান্টিটি কম হয়। ঠিক তেমনভাবে তোমরা নিজের নির্বাণ স্থিতিতে স্থিত হয়ে যখন বাণীর প্রয়োগ করবে তখন স্বল্প শব্দ কিন্তু তা যথার্থ এবং শক্তিশালী হবে। একটি শব্দে হাজার শব্দের রহস্য নিহিত থাকবে, ফলে ব্যর্থ বাণী স্বাভাবিকভাবেই সমাপ্ত হয়ে যাবে। একটি শব্দের দ্বারা জ্ঞানের সকল রহস্যগুলি স্পষ্ট করতে পারবে, বিস্তার সমাপ্ত হয়ে যাবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!