04 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 3, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মনোবলের দ্বিতীয় পদক্ষেপ - 'সহনশীলতা'

(ব্রহ্মাবাবার জীবন কাহিনী)”

আজ অলমাইটি অথরিটি বাবা নিজের প্রথম শ্রেষ্ঠ রচনাকে দেখছেন l প্রথম রচনা ব্রাহ্মণদের রচনা l তাঁর প্রথম রচনার মধ্যেও প্রথম নম্বর ব্রহ্মাকেই বলা হবে l প্রথম রচনার প্রথম নম্বর হওয়ার কারণে ব্রহ্মাকে আদি-দেব বলা হয় l আবু পর্বতে স্মারকচিহ্নও ‘আদি দেব’ এই নাম থেকেই নামাঙ্কিত l আদি-দেব অর্থাৎ আদি-রচয়িতাও বলা যায় এবং সেইসঙ্গে আদি-দেব অর্থাৎ নতুন সৃষ্টির আদির প্রথম নম্বর দেব l প্রথম দেব আত্মা শ্রীকৃষ্ণের রূপ হন ব্রহ্মাই, সেইজন্য নতুন সৃষ্টির আদিতে তাঁকে আদিদেব বলা হয়ে থাকে l সঙ্গমযুগেও আদি রচনার প্রথম নম্বর, অর্থাৎ তাঁকে তোমরা আদি দেব বলো বা ব্রাহ্মণ আত্মাদের রচয়িতা ব্রহ্মা l সুতরাং সঙ্গমে আর সৃষ্টির আদিতে – দুই সময়ের তিনি আদি, সেইজন্য আদি-দেব বলা হয়ে থাকে l

ব্রহ্মাই প্রথম কর্মাতীত ফরিস্তা হন l ব্রহ্মা যে সেই ফরিস্তা এবং যে ফরিস্তা সেই ব্রহ্মা – সবকিছুতে নম্বর ওয়ান l এইরকম নম্বর ওয়ান তিনি কেন হয়েছেন ? কোন বিধিতে নম্বর ওয়ান সিদ্ধি প্রাপ্ত করেছেন ? তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মাকে ব্রহ্মাকেই ফলো করতে হবে l কি ফলো করতে হবে ? তাঁর প্রথম কদম – “সমর্পণ”, এতো প্রথমেই তোমাদের শোনানো হয়েছে l তাঁর প্রথম কদমেও তিনি সবরকম ভাবে সমর্পণ করে দেখিয়েছেন l দ্বিতীয় কদম – সহনশীলতা l যখন তিনি নিজে সমর্পণ হলেন তখন বাবার থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকার তো পেলেন, কিন্তু দুনিয়ার লোকের থেকে তিনি কী পেয়েছেন ? সবচাইতে বেশি গালমন্দের বর্ষণ কার উপরে হয়েছে ? যদিও তোমরা সব আত্মাও অপদস্থ বা অত্যাচারিত হয়েছে, কিন্তু বেশি আক্রোশ বা হেনস্থার শিকার হয়েছেন ব্রহ্মা l লৌকিক জীবনে যিনি একটাও অপশব্দ শোনেননি কিন্তু যখন তিনি ব্রহ্মা হলেন, অপশব্দ শুনতেও নম্বর ওয়ান হলেন l সবচাইতে বেশি সকলের স্নেহে তিনি জীবন অতিবাহিত করেছেন, কিন্তু যতটা তিনি লৌকিক জীবনে সকলের স্নেহী ছিলেন, ততটাই অলৌকিক জীবনে সকলে তার শত্রু হয়েছে l বাচ্চাদের উপরে যখন অত্যাচার হয়েছে তো সেই অত্যাচার আপনা থেকেই ইনডিরেক্টলি বাবার উপরে হয়েছে l কিন্তু সহনশীলতার গুণে বা সহনশীলতার ধারণায় তিনি হাসিমুখে থেকেছেন, কখনো তাঁর স্নিগ্ধতা বা তৃপ্তি হারিয়ে যেতে দেননি l

কেউ প্রশংসা করায় তোমার হাসি ফুটে উঠলে তাকে সহনশীলতা বলা যায় না l কিন্তু কেউ যদি কখনো শত্রু হয়ে, ক্রুদ্ধ হয়ে অপশব্দের বর্ষণ করে, সেই সময় হাসিমুখে থাকা, সঙ্কল্প মাত্রও মুখে বিষণ্নতার লক্ষণ না থাকা, তাকে বলা হয়ে থাকে সহনশীল l শত্রু আত্মাকেও সহৃদয় ভাবনায় দেখা, বলা, সম্পর্ক তৈরি করা – একে বলে সহনশীলতা l স্থাপনার কার্যে, সেবার কার্যে কখনো ছোট, কখনো বড় তুফান এসেছে l যেমন শাস্ত্রে স্মারকচিহ্ন হিসেবে দেখানো হয় মহাবীর হনুমান হাতে করে এত বড় পর্বতকে বলের মতো নিয়ে এসেছে l সে’রকম পাহাড় সমান যত বড় সমস্যাই হোক, তুফান হোক, বিঘ্ন হোক কিন্তু পাহাড় অর্থাৎ বড় বিষয়কে ছোট একটা খেলনা বানিয়ে তা’ খেলা হিসেবে সদা পার করেছেন বা অনেক কঠিন বিষয়কে সদা হালকা বানিয়ে নিজেও হালকা থেকেছেন আর অন্যকেও হালকা বানিয়েছেন, একে বলে সহনশীলতা l ছোট একটা পাথরকে পাহাড় নয়, বরং পাহাড়কে বলের সমান করেছেন, বিস্তারকে সারে নিয়ে এসেছেন, এটা সহনশীলতা l বিঘ্ন, সমস্যা নিজের মনে বা অন্যদের সামনে বিস্তার করা অর্থাৎ পাহাড় বানানো l বরঞ্চ বিস্তারে না গিয়ে “নাথিং নিউ”-র ফুল স্টপ দ্বারা বিন্দু লাগিয়ে বিন্দু হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া – একে বলে বিস্তারকে সারে নিয়ে আসা l সহনশীল শ্রেষ্ঠ আত্মা সদা জ্ঞান-যোগের সারে স্থিত হয়ে এইভাবে বিস্তার, সমস্যা, বিঘ্নকেও সারে নিয়ে আসে, ঠিক যেমন ব্রহ্মা বাবা করেছেন l যেমন, লম্বা রাস্তা পার করতে গিয়ে সময়, শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় অর্থাৎ বেশি ইউজ হয়, তেমনই বিস্তার হলো লম্বা রাস্তা পার করা আর সার হলো শর্টকাট রাস্তা পার করা l উভয়ই পার করে, কিন্তু শর্টকাট করে সময় আর শক্তি সঞ্চয় হওয়ার কারণে তারা নিরাশ হয় না, নিরুৎসাহ হয় না, সদা পরমানন্দে হাসতে হাসতে পার করে, একে বলা হয় সহনশীলতা l

কারও সহনশীলতার শক্তি থাকলে তারা কখনো ঘাবড়ে যাবে না এই ভেবে যে কী, এ’ রকমও হয় নাকি ! সদা সম্পন্ন হওয়ার কারণে জ্ঞানের, স্মরণের গভীরে যাবে l যারা ঘাবড়ে যায় তারা কখনো গভীরে যেতে পারে না l যারা সারে থাকে তারা সদা পরিপূর্ণ হয়, সেইজন্য পরিপূর্ণ, সম্পন্ন জিনিসের গভীরতা থাকে l যারা বিস্তারে থাকে তারা ফাঁকা হয়, সেইজন্য ফাঁকা জিনিস সদা ঢনঢন করতে থাকে (ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি) l সুতরাং যারা বিস্তারে থাকে তারা ভাবে এটা কেন, এটা কী, এ’ভাবে নয় সে’ভাবে, এ’রকম হওয়া উচিত নয়… এ’ভাবে সঙ্কল্পেও তারা ঠন-ঠনে থাকবে আর বাণীতেও সবার সামনে উছলাতে থাকবে l আর যারা সীমাতিরিক্ত উছলায়, তাদের কী হবে ? হাঁফাতে থাকবে l নিজেই উছলায়, নিজেই হাঁফায় আর তারপরে নিজেই থকে যায় l সহনশীল এই সব বিষয় থেকে রক্ষা পায়, সেইজন্য সদা আনন্দে থাকে, উছলে যায় না, তারা উড়ে চলে l

দ্বিতীয় কদম – সহনশীলতা l ব্রহ্মা বাবা এই পদক্ষেপ করে দেখিয়েছেন l সদা অটল, অচল, সহজভাবে পরম আনন্দে থেকেছেন, পরিশ্রম করতে হয়নি l যারা ১৪ বছর তপস্যা করেছে তারা এর অনুভব করেছে l ১৪ বছর ধরে অনুভব হয়েছে নাকি শুধু কিছু মুহূর্তের জন্য ? আনন্দে থেকেছ নাকি পরিশ্রম করতে হয়েছে ? তবে বাবা স্থূল পরিশ্রমের অনেক পেপার নিয়েছেন l কোথায় রাজকীয়তায় প্রতিপালিত হওয়া আর কোথায় তাদেরকে দিয়ে গোবর থেকে ঘুঁটে তৈরি করানো, মেকানিকও বানিয়েছেন l চপ্পলও সেলাই করিয়েছেন ! মুচিও বানিয়েছিলেন, তাই না ! মালিও বানিয়েছিলেন l যেমনই হোক, সে’সব কী পরিশ্রম মনে হয়েছে নাকি আনন্দ ছিল ? সবকিছু পার করেছ তোমরা, কিন্তু সদা আনন্দের জীবনের অনুভব ছিল l যারা বিভ্রান্ত হয়েছিল, তারা সরে গেছে আর যারা আনন্দে থেকেছে তারা অনেককে আনন্দের জীবনের অনুভব করাচ্ছে l এখনো যদি সেই ১৪ বছর রিপিট করা যায় পছন্দ তো হবে, তাই না ! এখন তো সেন্টারে যদি সামান্য স্থূল কাজও করতে হয় তাহলে ভাবে – এইজন্য ত্যাগ করেছি, আমি কী এই কাজের জন্য ? আনন্দে জীবনে বেঁচে থাকা – একেই ব্রাহ্মণ জীবন বলা হয়ে থাকে l তা’ স্থূল সাধারণ কাজই হোক, বা হাজারো মানুষের সভার মাঝে স্টেজে স্পীচ করা হোক – দুইই আনন্দে করা উচিত l তাকেই বলা যায় আনন্দের জীবন যাপন করা l বিভ্রান্ত হয়োনা – আমি তো বুঝিনি যে সারেন্ডার হওয়া মানে এই সব করতে হবে, আমি তো টিচার হয়ে এসেছি, স্থূল কাজ করার জন্য সবকিছু তো ত্যাগ করিনি, ব্রাহ্মকুমারী জীবন কী এরকমই হয় ? একে বলে বিভ্রান্তিকর জীবন l

ব্রহ্মাকুমারী হওয়া অর্থাৎ হৃদয়ের আনন্দে থাকা, স্থূল আনন্দে থাকা নয় l হৃদয়ের আনন্দে যে কোনো পরিস্থিতিতে, যে কোনো কার্যে বিভ্রান্তি হলে তা’ তোমরা আনন্দে পরিবর্তন করবে আর হৃদয়ে ধন্দ থাকলে শ্রেষ্ঠ উপায় থাকা সত্ত্বেও, সবকিছু স্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও, তোমরা বারবার বিভ্রান্ত হওয়ার কারণে স্পষ্ট বিষয়কেও দুর্বোধ্য করে তুলবে, উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও সুযোগের সদ্ব্যবহার দ্বারা আনন্দ নিতে পারবে না l এটা কীভাবে হবে, এভাবে নয় এভাবে হবে- এতে নিজেও বিভ্রান্ত হবে, অন্যকেও বিভ্রান্ত করবে l যেমন বলে না যে – “সুতো জট পাকিয়ে গেলে জটমুক্ত হওয়া কঠিন হয়ে যায় l”কোনকিছু ভালো ব্যাপারে তোমরা যদি বিভ্রান্ত হও তো কোনকিছু ঘাবড়ে যাওয়ার মতো বিষয়েও বিভ্রান্ত হবে, কারণ বৃত্তি বিভ্রান্ত হয়ে আছে, মন বিভ্রান্ত হলে তো আপনা থেকেই বৃত্তির প্রভাব দৃষ্টিতে আর দৃষ্টির কারণে সৃষ্টিও বিভ্রান্তিকর প্রতীয়মান হবে l ব্রহ্মাকুমারী জীবন অর্থাৎ ব্রহ্মাবাবা সমান আনন্দের জীবন l কিন্তু এর আধার – সহনশীলতা l তাইতো সহনশীলতার এত বিশেষত্ব l এই বিশেষত্বের কারণে ব্রহ্মাবাবা সদা অটল, অচল থেকেছেন l

সহনশীলতার দু’রকম পেপার তোমাদের শোনানো হয়েছে l প্রথম পেপার – লোকজনের থেকে অপশব্দ বা অত্যাচার l দ্বিতীয় – যজ্ঞের স্থাপনায় বিভিন্নরকম বিঘ্নের উপস্থিতি l তৃতীয় – কিছু ব্রাহ্মণ বাচ্চার ট্রেটর হওয়া বা ছোট-মোটো বিষয়ে অসন্তুষ্টির কারণে তাদের বিরোধিতা l কিন্তু এতেও সদা অসন্তুষ্টকে সন্তুষ্ট করার ভাবনা থেকে তারা পরবশ মনে করে সদা কল্যাণের ভাবনা দ্বারা, সহনশীলতার সাইলেন্স পাওয়ার দ্বারা প্রত্যেককে অগ্রচালিত করেছে l যারা বিরোধ করেছিল তাদেরকেও মধুরতা আর শুভ ভাবনা, শুভ কামনা দ্বারা সহনশীলতার পাঠ পড়িয়েছেন l যে আজ বিরোধিতা করে আর কাল ক্ষমা চায়, তাদের মুখ থেকেও এই বোল বেরোয় – “বাবা তো বাবাই !” একে বলা হয়ে থাকে সহনশীলতার দ্বারা ফেলকেও পাশ করিয়ে বিঘ্নকে পাস করা l তাহলে, দ্বিতীয় কদম তোমরা শুনলে l কিসের জন্য ? তাঁর পদাঙ্কে কদম রাখো l একে বলে ফলো ফাদার অর্থাৎ বাবা সমান হওয়া l তবে কি এ’ রকম হতে চাও নাকি দূর থেকে শুধু দেখে যাবে ? সকলে বাহাদুর, তাই না ? পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র উভয়ই অসাধ্য সাধন করেছে l সবাই কৃতি l দেশ বিদেশের সবাই নিজেকে মহাবীর মনে করে l মহাবীর অর্থাৎ বাবা সমান হওয়া l বুঝেছ ? আচ্ছা !

“পাটিদের সাথে সাক্ষাৎকার” –

১ ) কুমারদের সাথে – কুমারদের বিশেষত্ব কী ? কুমার জীবন শ্রেষ্ঠ জীবন, কারণ পবিত্র জীবন আর যেখানে পবিত্রতা আছে, সেখানে মহত্ত্ব l কুমার অর্থাৎ শক্তিশালী, যে সঙ্কল্প করবে তা’ করতে পারে l কুমার অর্থাৎ যে সদা বন্ধনমুক্ত হয় এবং অন্যকেও বন্ধনমুক্ত বানায় তোমাদের এমন বিশেষত্ব আছে, তাই না ? যে সঙ্কল্পই করো তা’ কর্মে আনতে পারো l নিজেও পবিত্র থেকে অন্যদেরও পবিত্র থাকার মহত্ত্ব বলতে পারো l এমন সেবার জন্য তোমরা নিমিত্ত হতে পারো l দুনিয়ার লোকে যা অসম্ভব মনে করে তা’ ব্রহ্মাকুমার এই চ্যালেঞ্জ করে – আমাদের মতো পবিত্র কেউ হতে পারে না, কেন ? কারণ তোমাদের যিঁনি বানান তিনি সর্বশক্তিমান l দুনিয়ার লোকে যতই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাক কিন্তু তোমাদের মতো পবিত্র হতে পারবে না l তোমরা

সহজেই পবিত্র হয়ে গেছ l সহজ লাগে, না ? নাকি দুনিয়ার লোকে যেমন বলে – এটা আনন্যাচারাল, সে’রকম লাগে ? কুমারের পরিভাষাই যারা চ্যালেঞ্জ করে, পরিবর্তন করে দেখায়, অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে l দুনিয়ার লোকে নিজেদের সাথীদের সঙ্গদোষে নিয়ে যায় আর তোমরা বাবাসঙ্গে নিয়ে আসো l তাদের তোমরা নিজসঙ্গের রঙ লাগাও না, বাবার সঙ্গের রঙ লাগাও, বাবা সমান বানাও l তোমরা এই রকম, তাই না ? আচ্ছা !

২ ) কুমার অর্থাৎ সদা অচল-অনড়, যে কোনো পরিস্থিতি আসুক কিন্তু বিচলিত হয় না, কারণ তোমাদের সাথী স্বয়ং বাবা l যেখানে বাবা আছেন, সেখানে যে কেউই সদা অচল-অনড় হবে l যেখানে সর্বশক্তিমান থাকবেন, সেখানে সর্বশক্তি হবে l সর্বশক্তির সামনে মায়া কিছু করতে পারে না, সেইজন্য কুমার জীবন অর্থাৎ যারা সদা একরস স্থিতির, তারা অস্থিরতায় আসে না l যারা অস্থিরতায় আসে, তারা অবিনাশী রাজ্য-ভাগ্য লাভ করতেও পারে না, অল্প কিছু সুখ তারা পাবে, কিন্তু সদাকালের নয়, সেইজন্য জীবন অর্থাৎ সদা অচল, একরস স্থিতিতে স্থিত থাকে l তাহলে একরস স্থিতি থাকে, নাকি অন্য রসে বুদ্ধি চলে যায় ? সব রস এক বাবাতে অনুভব করে – একে বলে একরস অর্থাৎ অচল-অনড় l এই রকম একরস স্থিতির বাচ্চাই বাবার প্রিয় লাগে l সুতরাং এটাই সদা মনে রাখতে হবে যে আমরা অচল-অনড় আত্মা যারা একরস স্থিতিতে থাকে l

“মাতাদের সাথে” – ১ ) মাতাদের জন্য বাপদাদা কোন সহজ মার্গ বলেছেন যার দ্বারা সহজেই বাবার স্মরণের অনুভব করতে পারো, পরিশ্রম করতে হয় না ? স্মরণকেও সহজ বানানোর সহজ উপায় কী ? হৃদয় থেকে বলো “আমার বাবা l” যখন আমার বলো তখন সহজে স্মরণ হয় l যা আমার, সারাদিনে তাইতো স্মরণে আসে, তাই না ! যদি কোনও কিছু আমার হয়, তা’ ব্যক্তি হোক বা বস্তু… যার প্রতি আমিত্ব বোধ হবে, সেই স্মরণে আসবে l এইভাবে যদি বাবাকে আমার বলো, আমার মনে করো, তখন শুধু বাবাই স্মরণ হবে l সুতরাং বাবাকে স্মরণ করার সহজ যুক্তি – হৃদয় দিয়ে বলো “আমার বাবা” l শুধু মুখে আমার আমার ক’র না, অধিকারের সঙ্গে বলো l এই সহজ পুরুষার্থ করে এগিয়ে চলো l সদাই এই উপায়ে সহজযোগী হও l আমার বলো আর বাবার ভান্ডারের মালিক হও l

২ ) মাতারা সদা নিজেকে পদ্মাপদম ভাগ্যবান মনে করো ? ঘরে বসেই বাবাকে পেয়ে গেছ, তো কতো বড় ভাগ্য ! দুনিয়ার লোকে বাবাকে খোঁজার জন্য বাইরে বের হয় আর তোমরা ঘরে বসে পেয়ে গেছ l তো এত বড় ভাগ্য প্রাপ্ত হবে – এই রকম কখনো সঙ্কল্পেও ভেবেছিলে ? এই যে গায়ন আছে, “ঘরে বসে ভগবান পাওয়া”. . . এই স্মারক কা’র জন্য ? তোমাদের জন্যই তো না ! তাহলে এই শ্রেষ্ঠ ভাগ্য স্মরণে রেখে এগিয়ে চলো l ‘বাহ্ আমার শ্রেষ্ঠ ভাগ্য’ – এই খুশির গীত গাইতে থাকো l খুশির দোলায় দুলতে থাকো l খুশিতে নাচো আর গাও l

৩ ) শক্তিদের সদা কোন্ খুশি থাকে ? সদা বাবার সঙ্গে আমি কম্বাইন্ড l শিব শক্তির অর্থই কম্বাইন্ড, বাবা আর তুমি – উভয়কে একসাথে বলা হয় শিবশক্তি l সুতরাং যে কম্বাইন্ড, তাকে কেউ আলাদা করতে পারে না l এই রকম খুশি থাকে ? নির্বল আত্মাকে বাবা শক্তি বানিয়ে দিয়েছেন l অতএব এটাই সদা স্মরণে রাখো যে আমি কম্বাইন্ড থাকার অধিকারী হয়ে গেছি l আগে তোমরা খুঁজে বেড়াতে আর এখন সাথে থাকো – সদা যেন এই নেশা থাকে l যতই মায়া চেষ্টা করুক কিন্তু শিবশক্তির সামনে মায়া কিছু করতে পারে না l যদি আলাদা থাকো তো মায়া আসে, কম্বাইন্ড যদি থাকো তো মায়া আসতে পারে না l সুতরাং এই বরদান সদা স্মরণে রাখো যে আমরা বিজয়ী শিবশক্তি নিরন্তর কম্বাইন্ড থাকি l আচ্ছা !

বরদানঃ-

সব সমস্যার মূল কারণ কানেকশন লুজ্ হওয়া l শুধু কানেকশন যদি ঠিক করে দাও তো সর্বশক্তি তোমাদের সামনে ঘুরে বেড়াবে l কানেকশন জুড়তে যদি এক দু’ মিনিট লেগেও যায় তো মনোবল হারিয়ে কনফ্যুজ্ হয়ে যেও না l নিশ্চয়ের ফাউন্ডেশনকে নাড়িয়ে দিও না l আমি বাবার, বাবা আমার – এই আধারে ফাউন্ডেশনকে যদি অটল রাখো তো সমস্যা মুক্ত হয়ে যাবে l

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top