04 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

04 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

3 January 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - দূর্বলতা গুলি দান করে দিয়ে যদি কোনো ভুল হয়ে যায় তাহলে বলে দিতে হবে, নিজের বড়াই করবে (মিয়া মিঠ্ঠু হবে না) না, কখনোই রাগ করবে না"

প্রশ্নঃ --

কোন্ বিষয় মন্থন করে অপার খুশীতে থাকো ? কোন্ বিষয়ে কখনোই অখুশি হবে না ?

উত্তরঃ -:-

মন্থন করো — আমরা এখন রাজযোগ শিখছি এরপর এসে সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজা হবো । সুন্দর সুন্দর মহল তৈরী করবো । আমরা ভায়া শান্তিধাম হয়ে আমাদের সুখধামে যাবো । ওখানে সব এক নম্বর জিনিস থাকবে । তনও খুব সুন্দর নিরোগী পাওয়া যাবে । এখানে যদি আমাদের এই পূর্বের পুরানো শরীরে রোগ ব্যাধি হয়, তাহলে অখুশি বা দুঃখী হয়ো না, চিকিৎসা করতে হবে ।

গান:-

জলসায় জ্বলে উঠলো বহ্নিশিখা..

ওম্ শান্তি । গীত তো বাচ্চারা অনেকবার শুনেছে । ভিন্ন – ভিন্ন প্রকারে বাচ্চাদের অর্থ বোঝানো হয় । যারা এই গীত বানিয়েছে, তারা তো এই কথা জানে না । তোমরা এখন অসীম জগতের বাবার বাচ্চা হয়েছো । তোমরা অসীম জগতের বাবার বাচ্চাও আবার পৌত্র – পৌত্রীও । এমন আর কোনো বাবা বলতে পারেন না যে, তোমরা আমার বাচ্চাও আর পৌত্র – পৌত্রীও । এখানে এটা আশ্চর্যের । আমরা সব আত্মারা শিব বাবার সন্তান, আর শিব বাবার এক সন্তান ব্রহ্মা হলো সাকারে, তাই আমরা পৌত্র – পৌত্রীও হই । বাবার কতো অগুন্তি বাচ্চা । সব বাচ্চারা এক বাবার । তোমরা এখন পৌত্র – পৌত্রী হয়েছো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য, আর কেউ তো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারে না । সবাই যদি পৌত্র – পৌত্রী হয়ে যায় তাহলে সবাই স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে । এমন তো হতে পারে না, তাই কোটিতে কয়েকজনই পৌত্র – পৌত্রী হয় । প্রজাপিতা ব্রহ্মার জন্য বোঝানো হয় যে, প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে অবশ্যই অ্যাডপ্ট করতে হয় । এক হয় অ্যাডাপ্টশন হয়, তারপর এ হযল প্রবেশ হওয়ার বিষয়। বাচ্চারা বলে, আমরা পৌত্র এবং পৌত্রীও । এই কথা আর কেউই বলতে পারবে না যে, বাচ্চারা নিজের সুইট হোমকে স্মরণ করো । একথা কাকে বলা হয় ? আত্মাদের । আত্মা এই অর্গ্যান্সের দ্বারা শোনে । এমন কেউ বলতেই পারে না যে, আমি আত্মাদের সঙ্গে কথা বলি । আত্মা শোনে – বাবা বলেন, আমি যে পরমপিতা পরমাত্মা, আমি এই ব্রহ্মার তনে প্রবেশ করে তোমাদের শেখাই । না হলে কিভাবে বোঝাবো ? আমাকে ব্রহ্মার তনেই আসতে হয় । নামও ব্রহ্মাই রাখতে হয়, তাই তো ব্রহ্মাকুমার – কুমারী বলা হয় । ওই ব্রাহ্মণদের জিজ্ঞাসা করো, তোমরা কিভাবে ব্রহ্মার সন্তান হলে ? ওরা তোমাদের বলতে পারবে না । বলবে, আমরা ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী, কিন্তু হলো তো কোখ (গর্ভজাত) বংশাবলী । ওরা বলে, আমরা মুখ বংশাবলী ছিলাম, এখন কোখ বংশাবলী হয়েছি । এখন এমন তো নয় যে, ব্রহ্মার কোখ বংশাবলী হবে । তাই এ হলো বড় আশ্চর্যের কথা । বাবা কখনো মিথ্যা কথা শোনাবেন না । তিনি হলেন সত্য । আমরাও সত্য তৈরী হচ্ছি । নিজেকে অতি চালাক মনে করো না । এই দাদাও বলেন – যতক্ষণ না পরিপূর্ণ হচ্ছো, ততক্ষণ কিছু না কিছু হতে পারে কিন্তু তোমাদের কাজ হলো শিব বাবার সঙ্গে । মনুষ্য তো কিছু ভুল করতে পারে, অন্যদের সঙ্গে তোমাদের খিটখিট হতে পারে কিন্তু বাবার থেকে তো তোমাদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে, তাই না । অনেক বাচ্চা আবার বাবার উপরও রাগ করে । যদি কোনো ভাই – বোন কিছু বলেও দেয়, অন্তত শিব বাবার মুরলী তো শোনো । ঘরে বসে থাকলেও শিব বাবার সম্পদ তো নাও । এই সম্পদ ছাড়া তোমরা কি করবে । ব্রাহ্মণদের সঙ্গে তো অবশ্যই আসতে হবে, না হলে শূদ্র সঙ্গের প্রভাব পড়ে যাবে । তোমাদের দুর্গতি হয়ে যাবে । সৎসঙ্গ উদ্ধার করে আর কুসঙ্গ পতন ঘটায় । আমরা যদি গিয়ে বকের সঙ্গে থাকি তাহলে সর্বনাশ হয়ে যায় । এক বাবাকেই কাণ্ডারী বলা হয় । বাকি ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকেই আছে । কোনো মানুষই নিজেকে কাণ্ডারী বা গুরু বলতে পারে না । এই অসার সংসার, বিষয় সাগর থেকে দূর করে সুইট হোমে নিয়ে যান এক বাবাই । বাবা বলেন সুখধাম, শান্তিধাম আর দুঃখধাম এই তিন ধাম আছে । তোমাদের এই দুঃখধাম থেকে বের হয়ে শান্তিধাম যেতে হবে । এই দুঃখধামে আগুন লাগবে । এ হলো দুঃখের খড়ের গাদা, এখানে কুম্ভকর্ণের মতো ভ্রষ্টাচারী মানুষরা থাকে । মানুষ পতিত পাবন বাবাকে ডাকে। পতিত পাবনী গঙ্গাকে তো ডাকার কোনো কথাই নেই । গঙ্গা তো হল অনাদি । স্বর্গেও তো থাকবে, তাই না । এই গঙ্গা যদি পতিত পাবনী হয় তাহলে তো সবারই পবিত্র হওয়া উচিত । মানুষ কিছুই বোঝে না ।

বাচ্চারা, এখন তোমাদের বোঝানো হয়েছে । তোমরা পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে বুঝতে পারো, কেননা বাচ্চাদের মধ্যে ঘাটতি (দুর্বলতা) আছে, অশুদ্ধ অহংকার, কাম – ক্রোধ প্রত্যেকের মধ্যেই আছে । প্রত্যেককেরই নিজের মনকে জিজ্ঞেস করা উচিত যে, আমার মধ্যে কি ঘাটতি আছে । বাবাকে বলা উচিত – বাবা, আমার মধ্যে এই দুর্বলতা আছে । না হলে সেই দুর্বলতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে । ইনি কোনো অভিশাপ দেন না, কিন্তু এ হল ‘ল (নিয়ম) । দুর্বলতার দান করে দিয়ে কেউ যদি আবার ভুলে যায় তাহলে বাবাকে বলে দেওয়া উচিত । বাবা আমি এই ভুল করেছি, অমুক জিনিস চুরি করেছি। শিব বাবার ভাণ্ডারে সবকিছুই পাওয়া যায়, অবিনাশী জ্ঞান রত্নও পাওয়া যায়, তাই শরীর নির্বাহের প্রয়োজনে সবকিছুই পাওয়া যায় । বুদ্ধির খাবার, শরীরের খাবার সবকিছুই পাওয়া যায় । তবুও যদি কিছু চাও, চাইতে পারো । যদি না জিজ্ঞেস করে কিছু তুলে নাও তাহলে তোমাদের দেখে অন্যেরাও এমন করবে । চেয়ে নেওয়া ঠিক । বাচ্চারা যেমন বাবার কাছ থেকে যা কিছুই চায়, বাবা দিয়ে দেয় । বিত্তবান হলে তারা তো বাচ্চাদের সব দিতে পারবে, গরীবরা কি করবে । এ তো শিব বাবার ভাণ্ডার, যা কিছুই চাই, তোমরা চাইতে পারো । যথাযোগ্য সবাই পাবেই । বাবা, মাম্মা এবং অনন্য বাচ্চাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয় । বাবাও মহিমা করেন যে, অমুক বাচ্চা খুব ভালো সার্ভিস করে । বাচ্চারা, তাই তোমাদেরও তাদের সম্মান করা উচিত । সমস্ত কিছুই জ্ঞান এবং যোগের উপর নির্ভর করে । সচেতন বাচ্চারা খুব যুক্তির সঙ্গে চলে, তারা জানে যে, এরা বরাবর আমাদের থেকে যোগ্য । তাই তাদের সম্মানের সঙ্গে দেখা উচিত । মেয়েরাও অনেকে খুব লেখাপড়া জানা, তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন হয়, যারা ‘আপনি – আপনি’ বলে নম্রতার সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলে থাকে । কোনো কোনো অশিক্ষিত তো ‘তুমি – তুমি’ বলে কথা বলে । এই ম্যানার্স চাই । বাবার সামনে তো কতো ধরনের আসে । বাবা সকলকেই জিজ্ঞেস করেন – তোমরা সন্তুষ্ট (রাজি) আর খুশী তো ? বড় বড় অফিসারদেরও সম্মান করতে হয় । পোপ এলে তাকেও বলতে হবে, এ হলো কাঁটার জঙ্গল, আপনারা যাকে প্যারাডাইস বলেন, সেটা হলো ফুলের বাগিচা । ওখানে তো অবশ্যই খুব সুন্দর ফরিস্তারা থাকবে । এ হলো কাঁটার জঙ্গল, জঙ্গলে কাঁটা আর জানোয়াররাই থাকে । এই বাবা তো কাউকেই যা কিছু বলতে পারে । বাচ্চারা তো বলতে পারে না । এখন প্যারাডাইস স্থাপন হচ্ছে, এ হলো আয়রন এজ । এখানে আল্লাহ’র বাগিচার স্থাপনা হয় । সত্যযুগ হলো আল্লাহ’র বাগিচা, আর এ হলো কাঁটার জঙ্গল । এ খুবই বোঝার মতো কথা । ভাগ্যবানরাই খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং বোঝাতে পারে । বাবা বাচ্চাদের খুব ভালো রায় দেন, তাই তোমাদের পাঁচ বিকারকে জয় করতে হবে । এর বিদায় তো অন্তিমে হবে, ততক্ষণ কিছু না কিছু কমতি থাকে । সেই কমতি দূর করার পুরুষার্থ করতে হবে, দেহী – অভিমানী হতে হবে । শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করতে হবে, তাহলে খুশীতে থাকবে । আমরা ভায়া শান্তিধাম হয়ে সুখধামে যাই, ততক্ষণ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয়ে যাবে । তারপর স্বর্গে সব জিনিস এক নম্বর পাবে । তোমরা এসে হীরে জহরতের মহল তৈরী করবে, এটা সেটা করবে । তোমাদেরও বুদ্ধিতে থাকে যে, আমরা হলাম আত্মা । এখানে এসেছি আমাদের রাজধানী স্থাপন করতে । এরপর শিব বাবার সঙ্গে চলে যাবো । আমরা রাজযোগ শিখছি, এরপর গিয়ে সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজা – রানী হবো । রাজমহল মহল তো তৈরী করতে হবে, তাই না । এই কথা মনে মনে মন্থন করে খুবই খুশী হওয়া উচিত । কমতি তো অনেকই আছে, অনেকেই দেহ বোধে আসে । এ তোমাদের পূর্বের পুরানো পোশাক, নতুন বস্ত্র সত্যযুগে পাওয়া যাবে । বাবা বসে মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চাদের বোঝান – অর্ধেক কল্প তোমরা ভক্তি করেছো – ভগবানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য । ভক্তি করা হয় এক ভগবানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য, নাকি অনেকের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য ? ভক্তিও একজনেরই করা হয় তারপর ব্যভিচারী ভক্তি হয়ে যায় । এরপর তোমরা জন্ম – জন্মান্তরের জন্য গুরু করো, পুনর্জন্ম গ্রহণ করলে আবার গুরু করতে হয় । বাবা এখন বলেন, আমি তোমাদের স্বর্গে নিয়ে যাই । ওখানে তোমাদের জন্ম – জন্মান্তরের জন্য গুরু করার দরকার হবে না । অব্যভিচারী ভক্তির পরে ব্যভিচারী ভক্তি হয়, কেননা এখন হলো অবতরণের কলা । বাবা তাই বলেন – বাচ্চারা, এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে । আমার জন্য গাওয়া হয় – আমি লিবারেটর, কাণ্ডারী, বাগানের মালিক । স্বর্গ হলোই ফুলের বাগান । এরপর কাণ্ডারী চলে যাবে । সবাই তো আর স্বর্গে যাবে না । প্রথম – প্রথম যারা আসে, তাদের জন্য যেন আল্লাহ’র বাগিচা, তারা অনেক সুখ ভোগ করে । আল্লাহই সবাইকে সুখ প্রদান করে । এ তো যে কেউই বলবে যে, সত্যযুগ আল্লাহ’র বাগিচা ছিলো । ভারতই হলো প্রাচীন খণ্ড । যখন সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশীরা রাজত্ব করতো, ওই সময় সব আত্মারা সুইট হোমে ছিলো, সেইজন্যই তারা মুক্তিতে যাওয়ার জন্য ভক্তি করে । জীবনমুক্তি দেওয়ার মতো গুরু তো কেউই নেই । শিব বাবাই মুক্তি আর জীবনমুক্তির পথ বলে দেন । এখন এ হলো দুঃখধাম, এই খড়ের গাদায় আগুন লেগে যাবে, লক্ষ্য বছরের কল্প হয় না । লক্ষ্য বছর মনে করে কুম্ভকর্ণরা নিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে । এখন ঈশ্বর এসে জাগিয়েছেন, তোমাদের আবার অন্যদেরও জাগাতে হবে । সার্ভিস ছাড়া তো উচ্চ পদ পাওয়া যাবে না । বাচ্চাদের উপর বাবার দয়া হয় যে তারা সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার পায় না । বাবা তো সবাইকেই সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করাবেন । কেন না তোমরা বাবার বিজয় মালায় গ্রথিত হয়েও যাও । কাউকে বোঝানো খুবই সহজ । ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা আর শঙ্করের দ্বারা দুঃখধামের বিনাশ । এখন তোমাদের সুখধামের জন্য পুরুষার্থ করতে হবে, কিন্তু সুখধামকে কেউই জানে না । যদি জানে তাহলে সেখানে পৌঁছে যাবে । কেউ জানে না তাই পৌঁছাতেও পারে না । ডানা ভেঙ্গে গেছে । বাচ্চারা, তোমরা কালকে জয় করো । কালের কাল বাবাই তোমাদের কালকে জয় করাবেন । তাই এই সব ধারণা করে পতিতদের পবিত্র হতে হবে । কেবল প্রভাবিত হয়ে গেলে তাতে কি লাভ ? সম্পূর্ণ রং তো লাগবে যখন তোমরা সাতদিনের কোর্স করবে । কোনো কোনো বাচ্চা চলতে চলতে ব্রহ্মাণীদের উপর বিরক্ত হওয়ার কারণে শিব বাবার উপরও রাগ করে । ভগবানের উপর রাগ করা – এ কি বুদ্ধিমত্তার কাজ ? অন্যদের প্রতি রাগ করলে, করতে দাও, কিন্তু আমার উপর রাগ করলে একদম মৃত (অজ্ঞানী) হয়ে যাবে । শিব বাবার উপর তো রাগ করো না । সম্পদ নিতে থাকো, ধন দান করলে ধনের অভাব হয় না – সঙ্গও চাই । ব্রাহ্মণ কুলে তো অনেক ক্ষীরখণ্ড থাকা চাই । পরচিন্তক এবং পরনিন্দকও থাকে, এদের থেকে খুব সাবধান থাকা উচিত ।

বাবা বোঝান – বাচ্চাদের সার্ভিসের খুব শখ থাকা চাই । ডুবন্তদের বাইরে বের করে আনতে হবে । এতেও চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম । বাবাও প্রথমে ব্রহ্মা বাচ্চাদেরই তুলে ধরেন । তোমরা আবার তোমাদের বাচ্চাদের তুলে ধরো । জীবনদান দাও । এই পড়া তো অন্তিম সময় পর্যন্ত পড়তে হবে । বাবা কতো ভালো ভালো পয়েন্টস দেন । জীবন্মৃত হয়ে উত্তরাধিকার পেতে হবে, বাবা আমরা তোমার । তোমারই ছিলাম আবার তোমারই হয়েছি । আমরা তোমার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার গ্রহণ করেই ছাড়বো । এই দুঃখধামের খড়ের গাদায় আগুন লাগবে । আমরা সুখধামে যাচ্ছি, তাই কতো খুশী হওয়া চাই । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) যে জ্ঞান – যোগে তীক্ষ্ণ, ভালো সার্ভিস করে, তাদের খুব সম্মান প্রদর্শন করতে হবে । ‘আপনি – আপনি’ করে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে । নিজেদের মধ্যে কখনো রাগ করবে না ।

২ ) ব্রাহ্মণ কুলে খুবই ক্ষীরখণ্ড হয়ে থাকতে হবে । পরনিন্দা এবং পরচিন্তন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে । অবশ্যই সৎসঙ্গ করতে হবে ।

বরদানঃ-

এখন চড়তি কলার সময় সমাপ্ত হয়েছে, এখন উড়তি কলার সময় । উড়তি কলার নিদর্শন হলো ডবল লাইট । অল্প কিছু বোঝা থাকলেও তা নীচে নিয়ে আসবে । তা নিজের সংস্কারের বোঝাই হোক, বায়ুমণ্ডলের হোক, কোনো আত্মার সম্বন্ধ – সম্পর্কের হোক, যে কোনো বোঝা-ই অস্থিরতায় নিয়ে আসবে, তাই কোনো আকর্ষণ যেন না থাকে, সামান্য কোনো আকর্ষণও যেন আকৃষ্ট না করে । যখন এমন আকর্ষণ মুক্ত, ডবল লাইট হবে তখনই সম্পূর্ণ হতে পারবে ।

স্লোগানঃ-

প্রেমমগ্ন স্থিতির অনুভব করুন –
বাবার প্রেমে এমন লীন হয়ে যাও যাতে আমিত্ব ভাব আর আমার ভাব সমাপ্ত হয়ে যায় । জ্ঞানের আধারে বাবার স্মরণে মগ্ন হয়ে থাকো, এই মগ্ন বা বিলীন হয়ে থাকাই হলো (লভলীন) প্রেমমগ্ন স্থিতি, যখন প্রেমে মগ্ন হয়ে যাও অর্থাৎ একাগ্রতায় মগ্ন হয়ে যাও তখন বাবার সমান হয়ে যাও ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top