04 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 3, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - স্মরণে থাকলে তোমাদের স্থিতি খুব সুন্দর হয়ে যায়, এখন তোমাদের উপর বৃহস্পতির দশা আছে, এইজন্য এখন তোমাদের হলো উন্নতি কলা”

প্রশ্নঃ --

যদি যোগের উপর সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন না থাকে তাহলে তার ফল কি হবে? নিরন্তর স্মরণে থাকার যুক্তি কি ?

উত্তরঃ -:-

যদি যোগের উপর সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন না থাকে তাহলে চলতে চলতে মায়ার প্রবেশ হয়ে যায়, স্থিতির পতন ঘটে। ২) দেহ অভিমানী হয়ে অনেক ভুল কাজ করতে থাকে। মায়া ভুল কর্ম করাতে থাকে। পতিত বানিয়ে দেয়। নিরন্তর স্মরণে থাকার জন্য মুখের মধ্যে চুষিকিঠি রেখে দাও, ক্রোধ ক’রো না। দেহ সহ সবকিছু ভুলে, আমি আত্মা, আমি হলাম পরমাত্মার সন্তান – এই অভ্যাস করো। যোগ বলের দ্বারা কি কি প্রাপ্তি হয়, সেগুলি স্মৃতিতে রাখো।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়…

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মিক বাচ্চারা নিজের আত্মিক পিতা শিব বাবার মহিমা শুনেছে। যখন পাপ বৃদ্ধি হয় অর্থাৎ মানুষ পাপাত্মা হয়ে যায় তখনই পতিত-পাবন বাবা আসেন, এসে পতিতদেরকে পবিত্র বানান। সেই অসীম জগতের বাবারই মহিমা হয়। তাঁকে বৃক্ষপতিও বলা হয়। এই সময় অসীম জগতের বাবার দ্বারা অসীমের বৃহস্পতির দশা তোমাদের উপর বসেছে। মুখ্য এবং গৌণ দুই প্রকারের শব্দ আছে, তাই না। এরও অর্থ এখানেই প্রমাণিত হয়। বৃহস্পতির দশার দ্বারা মুখ্যতঃ ভারত জীবন্মুক্ত হয়ে যায় আর নিজের স্বরাজ্য পদ প্রাপ্ত করে কেননা যিনি সত্যিকারের বাবা, যাঁকে সত্য বলা হয়, তিনি এসে আমাদেরকে নর থেকে নারায়ণ তৈরি করছেন। এছাড়াও যারা আছে তারা নম্বরের ক্রমানুসারে নিজের নিজের ধর্মের বিভাগে গিয়ে বসে যায় আর আসবেও নম্বরের ক্রমানুসারে। কলিযুগের অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত আসতে থাকে। প্রত্যেক আত্মারই নিজের নিজের ধর্মের নিজ নিজ পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। রাজত্বে রাজা থেকে শুরু করে প্রজা পর্যন্ত সকলেরই নিজের নিজের পার্ট প্রাপ্ত হয়। এই নাটক হলোই রাজা থেকে শুরু করে প্রজা পর্যন্ত। সকলকেই নিজের নিজের পার্ট প্লে করতে হয়। বাচ্চারা জানে যে আমাদের উপর এখন বৃহস্পতির দশা বসেছে। এমন নয় যে একদিনের জন্যই বসেছে। না, এখন তোমাদের বৃহস্পতির দশা চলছে। এখন তোমাদের হলো উন্নতি কলা। যত স্মরণ করবে ততই উন্নতি কলা হবে। স্মরণ করা ভুলে গেলে মায়ার বিঘ্ন আসে। স্মরণের দ্বারা স্থিতি খুব ভালো হয়। ভালোভাবে স্মরণ না করলে তো অবশ্যই স্থিতির পতন ঘটবে। তারপর তার থেকে কিছু না কিছু ভুল হতে থাকবে। বাবা বাচ্চাদেরকে বুঝিয়েছেন, ড্রামা অনুসারে সকল ধর্মের আত্মারা যারা আছে, একে-অপরের পিছনে অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত ভূমিকা পালন করার জন্য আসতেই থাকবে। বাচ্চারা জানে যে স্বর্গের দশা অর্থাৎ জীবন্মুক্তির দশা এখন আমাদের উপর বসেছে। এই ড্রামার চক্র কিভাবে পুনরাবৃত্তি হয় একেও বিস্তারিত ভাবে বুঝতে হবে। এই সৃষ্টি ড্রামার চক্র মুখ্যতঃ ভারতের উপর তৈরি হয়েছে। বাবাও ভারতে আসেন। গাওয়া হয়ে থাকে যে আশ্চর্যের মতো শোনে, জ্ঞানের কথা বলে, তারপর পালিয়ে যায়…. চলতে-চলতে মায়ার প্রবেশ হওয়ার কারণে স্থিতির পতন হয়ে যায়। যোগের উপর সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন দেয় না, পুনরায় বাবা এসে সঞ্জীবনী বুটি প্রদান করেন অর্থাৎ সুরজিৎ করার জন্য বুটি দেন। তোমরাই হলে হনুমান। বাবা বোঝাচ্ছেন যে এই সময় রাবণকে দূর করার জন্য এই বুটি দিয়ে থাকি। বাবা তোমাদেরকে সমস্ত সত্য কথা বলছেন। সত্য হলেনই এক বাবা যিনি এসে তোমাদেরকে সত্যনারায়ণের কথা শুনিয়ে সত্যযুগের স্থাপন করছেন। এঁনাকে বলাই যায় সত্য, সত্যবাদী। তোমাদেরকে বলে – তোমরা শাস্ত্রকে মান্যতা দাও? বলবে – হ্যাঁ, আমরা শাস্ত্রকে কেন মান্যতা দেব না। জানো যে এইসব হল ভক্তি মার্গের শাস্ত্র। এইটা তো আমরা মনে করি। জ্ঞান আর ভক্তি – এই দুই জিনিস আছে। যখন জ্ঞান প্রাপ্ত হয় তখন ভক্তির কি প্রয়োজন আছে? ভক্তি মানে অবনতি কলা। জ্ঞান মানে উন্নতি কলা। এইসময় ভক্তি চলছে। এখন আমাদের জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে যার দ্বারা সদ্গতি হয়ে থাকে। ভক্তদের রক্ষাকারী হলেন এক ভগবান। শত্রুদের থেকে রক্ষা করা যায় তাই না। বাবা বলেন যে আমি এসে তোমাদেরকে রাবণের প্রকোপ থেকে রক্ষা করি। তোমরা দেখছো তাই না, যে – রাবণের থেকে কিভাবে তোমাদের রক্ষা হচ্ছে। এই রাবণের উপর জয় প্রাপ্ত করতে হবে। বাবা বোঝাচ্ছেন যে – মিষ্টি বাচ্চারা এই রাবণ তোমাদেরকে তমোপ্রধান বানিয়ে দেয়। সত্যযুগকে বলাই যায় সতোপ্রধান, স্বর্গ। পুনরায় কলা কম হতে থাকে। অন্তিম সময় যখন একদমই দেহ অভিমানে এসে যায় তখন পতিত হয়ে যায়। নতুন মহল তৈরি হয়। এক মাস পর অথবা ছয় মাস পর কিছু না কিছু কলা কম হয়ে যায়। প্রত্যেক বছর মহলকে পরিষ্কার করে থাকে। কলা তো কম হয়ে যায়, তাই না। নতুন থেকে পুরানো, পুরানো থেকে পুনরায় নতুন, প্রত্যেক জিনিসেরই এইরকম অবস্থা শুরু থেকে হয়ে আসছে। বোঝা যায় যে এই মহল একশো থেকে দেড়শো বছর পর্যন্ত থাকবে। বাবা বোঝাচ্ছেন যে সত্যযুগ বলা যায় নতুন দুনিয়া থেকে। পুনরায় ত্রেতাতে ২৫% কম বলা হয়, কেননা অল্প পুরানো হয়ে যায়। সেটা হল চন্দ্রবংশী। তার লক্ষণ রূপে দেখানো হয় ক্ষত্রিয়, কেননা নতুন দুনিয়ার জন্য যোগ্য হয়নি এই জন্য পদ কম হয়ে গেছে। সবাই কৃষ্ণপুরীতে যেতে চায়। এইরকম থোড়াই কেউ বলবে যে – রামপুরীতে যাবে। সবাই কৃষ্ণপুরীর জন্য বলে থাকে। গাইতেও থাকে যে -চলো বৃন্দাবন ভজো রাধা-গোবিন্দ… বৃন্দাবনের কথা আছে। অযোধ্যার জন্য বলেনা। শ্রীকৃষ্ণের প্রতি সকলেরই খুবই ভালোবাসা থাকে। কৃষ্ণকে খুব ভালবাসার সাথে স্মরণ করে থাকে। কৃষ্ণকে দেখার সময় বলতে থাকে এনার মতো যেন স্বামী পাই, এনার মতো যেন বাচ্চা হয়, এনার মতো যেন ভাই হয়। যে বাচ্চারা অথবা কন্যারা আবেগপ্রবণ হয় তারা কৃষ্ণের মূর্তি সামনে রেখে বলে – যে এনার মতই যেন সন্তান প্রাপ্ত হয়। কৃষ্ণের ভালোবাসাতে অনেকেই মগ্ন থাকে, তাই না। সবাই চায় কৃষ্ণপুরী। এখন তো হল কংসপুরী, রাবণের পুরী। কৃষ্ণপুরীর অনেক মহত্ত্ব আছে। কৃষ্ণকে সবাই স্মরণ করে। তবেই তো বাবা বলেন যে তোমরা এতটা সময় স্মরণ করে এসেছো। এখন কৃষ্ণপুরীতে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করো, এনার পরিবারে তো যাও। সূর্যবংশী আট বংশের হয়, তাই এতোটা পুরুষার্থ করো যে রাজত্বে এসে রাজকুমারের সাথে দোলনায় দুলতে পারবে। এটাই হলো বোঝার বিষয় তাই না। বাবা বলেন যে – বাচ্চারা, যতটা সম্ভব মন্মনা ভব হয়ে থাকো। স্মরণে না থাকার কারণে স্থিতির পতন হয়। জ্ঞান কখনো স্থিতির পতন ঘটায় না। স্মরণে না থাকলেই স্থিতির পতন ঘটে। এর উপরেই আল্লাহ্ অবলদিন, হাতমতাই- এর নাটকও তৈরি হয়েছে। স্মরণে থাকার জন্যই মুখের মধ্যে চুষিকাঠি রেখে দিত। কারোর প্রতি ক্রোধ আসলে তো কটু কথা বলে দেয়, এইজন্য বলেছিলেন মুখের মধ্যে কিছু রেখে দাও। কথা বলো না তাহলে ক্রোধ আসবে না। বাবা বলেন যে – কখনো কারো প্রতি ক্রোধ করো’না। কিন্তু এই কথাকে সম্পূর্ণরূপে না বোঝার কারণে শাস্ত্রতে কিছুনা কিছু লিখে দিয়েছে। বাবা যথার্থ ভাবে বসে বোঝাচ্ছেন। বাবা যখন আসবেন, তখন এসে বোঝাবেন। যারা কিছু করে গেছে, তাদেরই মহিমা করা হয়ে থাকে। টেগোর, ঝাঁসির রানী এখানে কিছু করে গেছেন, তাদের স্মরণিক রূপে নাটক তৈরি করে। আচ্ছা, শিববাবাও কিছু করে গেছেন, তবেই তো শিবের জয়ন্তী পালিত হয়, তাইনা। কিন্তু শিব কখন এসেছেন, এসে কি করেছেন, এটা কারো জানা নেই। তিনি তো হলেন সমগ্র সৃষ্টির পিতা। অবশ্যই এসে সবাইকে সদ্গতি দিয়েছেন। ইসলাম, বৌদ্ধ ইত্যাদি যারা ধর্ম স্থাপন করে গেছে, তাদের জয়ন্তী পালন করে। তিথি তারিখ সকলেরই আছে, কিন্তু শিববাবার তিথি তারিখ কারোরই জানা নেই। বলা হয় যে যীশু খ্রিষ্টের থেকে এত বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিল। স্বস্তিকা যখন তৈরি হয় তখন তার মধ্যে চার ভাগ সম্পূর্ণরূপে দেখানো হয়। চার ভাগ অর্থাৎ চারটি যুগ। আয়ু কম বেশি হতে পারে না। জগন্নাথ পুরীতে চালের হাঁড়িতে ভোগ তৈরি হয়। সেই ভোগ সম্পূর্ণ চার ভাগ হয়ে যায়। বাবা বলেন যে – এই ভক্তি মার্গে সবকিছু গোলমাল করে দিয়েছে। এখন বাবা বলছেন যে দেহের সাথে এই সব কিছু ভুলে যাও। আমি হলাম আত্মা, আমি হলাম পরমপিতা পরমাত্মার বাচ্চা। এই অভ্যাস রাখো। বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা তাই অবশ্যই আমাদের সবাইকে স্বর্গে পাঠিয়েছিলেন। নরকে তো পাঠাবেন না। বাবা কাউকেই নরকে পাঠান না। সর্বপ্রথমে সবাই সুখ ভোগ করে। প্রথমে সুখ পরে দুঃখ। বাবা তো সকলেরই দুঃখ হরণ করে সুখ প্রদান করেন তাই না। আত্মা প্রথমে সুখ, তারপর দুঃখ দেখে। বিবেকও বলে যে – আমরা প্রথমে সতোপ্রধান তারপর সতঃ রজঃ তমোতে আসি। মানুষও বোঝে যে বিদেশীরা খুবই সেন্সিবল হয়। সেখানে তো বম্ব এমন বানানো হয় যে ঝট্ করে সব শেষ হয়ে যাবে। যেরকম আজকাল মৃত ব্যক্তিকে বিদ্যুৎ তরঙ্গের দ্বারা (চুল্লি) কিছুক্ষণের মধ্যেই পুড়িয়ে শেষ করে দেয়, এইরকম বম্ব ইত্যাদি ফেলার পরে আগুন লেগে যাবে তখন মানুষ অতি শীঘ্রই সব শেষ হয়ে যাবে। খড়ের গাদায় আগুন লেগে যাবে। তুফান এমনভাবে আসে যে গ্রামের পর গ্রাম শেষ হয়ে যায়। পুনরায় সেই সময় এমন কোনও প্রবন্ধ থাকবে না যে বাঁচিয়ে রাখবে। বিনাশ তো হতেই হবে। পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। গীতাতেও তার বর্ণনা আছে। বাবা বুঝিয়েছেন যে – ইউরোপবাসিরা এমন ভাবে বম্ব ছুঁড়বে যে জানাই যাবেনা। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে কল্প পূর্বেও বিনাশ হয়েছিল, এখন আবার হবে। তোমরাও কল্প পূর্বের ন্যায় পড়াশোনা করছো। ধীরে-ধীরে এই বৃক্ষের ঝাড় বৃদ্ধি হতে থাকবে। বৃদ্ধি হতে হতে পুনরায় স্থাপনা হয়ে যাবে। মায়ার তুফান অনেক ভালো ভালো ফুলকেও ঝরিয়ে দেয়। সম্পূর্ণভাবে যোগযুক্ত না থাকার কারণে তো পুনরায় মায়া বিঘ্নিত করে। বাবার বাচ্চা হয়ে পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করে পুনরায় যদি বিকারে গিয়ে পড়ে তাহলে তো নাম বদনাম করে দেয়। খুব জোরে ধাক্কা খেয়ে তারপর এখানে আসে। বাবা বলেন যে – এই কামের আঘাত কখনো খেওনা। বাচ্চারা জানে যে এখানে রক্তের নদী প্রবাহিত হবে। সত্যযুগে তো দুধের নদী প্রবাহিত হবে। সেটা হল নতুন দুনিয়া, এটা হল পুরানো দুনিয়া। কলিযুগে দেখো কি আছে, নতুন দুনিয়ায় বৈভব তো দেখো। এখানে তো কিছুই নেই। কন্যারা সাক্ষাৎকারে গিয়ে দেখে আসে। সূক্ষ্ম বতনে সূবীরস পান করে, এইসব করে, সেইসব সাক্ষাৎকার হয়। বলে থাকে যে আমরা মূল বতনে যাই। বাবা বৈকন্ঠে পাঠিয়ে দেন। এইসব সাক্ষাৎকার ইত্যাদি ড্রামার মধ্যে পূর্ব থেকেই নিহিত আছে। এর দ্বারা কিছুই প্রাপ্ত হয় না। অনেক কন্যারা সূক্ষ্মবতনে যেত, শুবীরস ইত্যাদি পান করত। তারা আজ আর নেই। ভালো ভালো ফার্স্ট ক্লাস বাচ্চারা হারিয়ে যায়। অনেক ধ্যান সাক্ষাৎকারে যাওয়া বাচ্চারা, লৌকিক দুনিয়ায় গিয়ে বিবাহ করে নিয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় – মায়া কিভাবে আসে। ভাগ্য কিভাবে ওলট-পালট করে দেয়। অনেকেই ভালো ভালো অভিনয় করে। একসময় তারা অনেক সাহায্য করেছিল। তারাও আজ নেই। তখন বাবা বলেন যে – মায়া তুমি খুবই প্রখর। মায়ার সাথে তোমাদের যুদ্ধ চলতে থাকে। একে বলাই যায় যোগবলের দ্বারা লড়াই। যোগবলের দ্বারা কি প্রাপ্তি হয় এটা কারো জানা নেই। কেবল ভারতের প্রাচীন যোগ বলে দেয়। মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চাদেরকে যোগের জন্য বোঝানো যায় – প্রাচীন রাজযোগ গাওয়া হয়ে থাকে। যে সমস্ত দার্শনিক প্রভৃতি আছেন, এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান তো কারো মধ্যেই নেই। আত্মিক পিতাই হলেন জ্ঞানের সাগর। তাঁকেই শিবায় নমঃ গাওয়া হয়ে থাকে। তারই মহিমা গান হয়। বাবা এসে তোমাদেরকে অনেক জ্ঞান বুঝিয়ে থাকেন। একে জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র বলা হয়, আর কারো মধ্যেই এত শক্তি নেই যে নিজেকে ত্রিকালদর্শী বলতে পারে। ত্রিকালদর্শী কেবলমাত্র ব্রাহ্মণেরাই হয়ে থাকে, যে ব্রাহ্মণদের দ্বারা যজ্ঞ রচনা হয়েছে। এটাই হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ, তাই না। রুদ্র শিবকেই বলা হয়। অনেক নাম রেখে দিয়েছে। প্রত্যেক দেশে আলাদা আলাদা অনেক নাম আছে। এক বাবার ছাড়া আর কারোরই এত নাম হয় না। বাবুলনাথ এঁনাকেই বলা হয়। বাবুল তাকেই বলা হয় যার মধ্যে কাঁটা থাকে। বাবা কাঁটাদেরকে ফুল তৈরি করতে আসেন, এই জন্য তাঁর নাম বাবুলনাথ রেখে দিয়েছে। বোম্বেতে অনেক মেলা বসে। অর্থ কিছুই জানেনা। বাবা বসে বোঝাচ্ছেন যে এঁনার সত্য নাম হল শিব। ব্যবসায়ীরাও বিন্দুকে শিব বলে থাকে, এক-দুই করে যখন গণনা করতে থাকে তখন দশ পর্যন্ত এলে তারা বলে শিব। বাবাও বলেন যে আমি হলাম বিন্দু, স্টার। অনেক মানুষ এইরকম ডবল তিলকও লাগিয়ে থাকে। মাতা আর পিতা। জ্ঞান সূর্য জ্ঞান চন্দ্রমার উপমা আছে। তারা অর্থ কিছুই বোঝে না। তাই বাবা যোগের উপর বোঝাচ্ছেন। যোগ কতইনা বিখ্যাত। এখন বাচ্চারা, তোমরা যোগ শব্দটি ছেড়ে দাও, স্মরণ করো। বাবা বলেন যে – যোগ শব্দটি বললে তারা কিছুই বুঝতে পারবেনা, তোমরা স্মরণ কথাটিকে ব্যবহার করো, তাহলে তারা বুঝবে। বাবাকে অনেক স্মরণ করতে হবে। তাঁকে সাজনও বলা যায়। তিনি এসে তোমাদেরকে পাটরানী বানান, তাই না। বিশ্বের রাজধানীর উত্তরাধিকার বাবা-ই প্রদান করে থাকেন। সত্যযুগে একটি বাবা থাকেন। ভক্তিতে তো দুটি বাবা আর জ্ঞানমার্গে এখন তোমাদের তিনটি বাবা আছেন। কতইনা আশ্চর্যের বিষয়। তোমরা অর্থের সাথে তা জানো – সত্যযুগে সবাই সুখী এইজন্য পারলৌকিক বাবাকে জানেই না। এখন তোমরা তিনটি বাবাকে জানো। কতইনা সহজ বোঝার বিষয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) স্মরণে থাকার জন্য মুখ দিয়ে কিছু ব’লো না। মুখে চুষিকাঠি রেখে দাও, তাহলে ক্রোধ সমাপ্ত হয়ে যাবে। কারোর প্রতি ক্রোধ ক’রোনা।

২ ) এই দুঃখ ধামে এখন আগুন লেগে যাবে। এই জন্য একে ভুলে নতুন দুনিয়াকে স্মরণ করতে হবে। বাবার কাছে পবিত্র থাকার যে প্রতিজ্ঞা করেছিলে তাতে স্থির থাকো।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা পবিত্রতার প্রতিজ্ঞাকে সর্বদা স্মৃতিতে রাখে, তাদের সুখ-শান্তির অনুভূতি সততঃই হয়ে থাকে। পবিত্রতার অধিকার নেওয়াতে নম্বর ওয়ান থাকা অর্থাৎ সকল প্রাপ্তিগুলিতে নম্বর ওয়ান হওয়া। এইজন্য পবিত্রতার ফাউন্ডেশনকে কখনো দুর্বল হতে দিও না, তবেই লাস্টে এসেও ফাস্ট (দ্রুত) যেতে পারবে। এই ধর্মে সর্বদা স্থিত থাকবে – যা কিছু হয়ে যাক – তা ব্যক্তি বা প্রকৃতি কিম্বা পরিস্থিতি যতই তোমাকে নড়ানোর চেষ্টা করুক না কেন, কিন্তু প্রাণ যায় যাক তবু ধর্ম না যায়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top