04 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
3 April 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে কর্মযোগী, চলতে-ফিরতে স্মরণের অভ্যাস করতে হবে, অদ্বিতীয় পিতার স্মরণে থেকে নর থেকে নারায়ণ হওয়ার পুরুষার্থ করো"
প্রশ্নঃ --
নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন বাচ্চাদের লক্ষণ কি হবে ?
উত্তরঃ -:-
তাদের পুরোপুরি বাবার সঙ্গেই ভালবাসা থাকবে। বাবার প্রতিটি আজ্ঞা পুরোপুরিভাবে পালন করবে। তাদের বুদ্ধি বহির্জগতে বিচরণ করতে পারে না। তারা রাতে জেগে থেকেও বাবাকে স্মরণ করবে। স্মরণে থেকে ভোজন তৈরী করবে।
গান:-
তুমি রাত নষ্ট করলে ঘুমিয়ে, দিন নষ্ট করলে খেয়ে.
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা, প্রথমে তোমাদের এই নিশ্চয় হওয়া উচিত যে বাবা তো এখানকার অধিবাসী নন। পরমধাম থেকে এখানে এসে আমাদের পড়ান। কি পড়ান ? সর্বোচ্চ পিতা মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার সর্বোত্তম পড়া পড়িয়ে থাকেন। এই পড়া প্রসিদ্ধ, এর দ্বারাই অসুর থেকে দেবতা, বাঁদর থেকে মন্দিরের উপযুক্ত হয়ে যায়। এইসময় মানুষের চেহারা যদিও মানুষের মতন কিন্তু বিকার (বিকর্ম) বাঁদরের থেকেও বেশী। বাঁদরের থেকে তো মানুষের মধ্যে বেশী শক্তি আছে, শিখে শক্তি লাভ করে। এখানেও কেউ তো শিখে স্বর্গের রাজধানী স্থাপন করে। কেউ আবার বিজ্ঞান শিখে নরকের বিনাশ করে। অবশ্যই স্থাপনা আর বিনাশের কার্য এখনই চলছে। বিনাশ সর্বদা পুরোনো জিনিসেরই হয়ে থাকে। ওরা সকলেই রাবণকে সেলাম করে। তোমরাই কেবল রামকে স্মরণ করো। বাচ্চারা, তোমরা রাম আর রাবণ উভয়কেই জানো। মানুষ বলে যে ব্যাসদেব গীতা শুনিয়েছেন। ওতে যে ভগবানুবাচ শব্দটি লেখা রয়েছে, তা সত্য। কিন্তু ঈশ্বরের নাম বদল করে মিথ্যায় পরিণত করা হয়েছে। বাবা কত বোঝান, প্রদর্শনীতে কেবল একটি কথাই বুঝে যাক যে গীতার ভগবান হলেন নিরাকার শিব, মানুষ নয়, সে’টাও বুঝতে পারে না। এও ড্রামায় নির্ধারিত। কেবল সন্ন্যাসীরাই রয়েছে যারা নিজেদের দুঃখী মনে করে না। বাস্তবে অবশ্যই তারাও দুঃখী, কিন্তু বলে যে আমরা দুঃখী নই অথবা বলে দেয় যে শরীর দুঃখী হয়। আত্মা দুঃখী হয় নাকি! আত্মাই পরমাত্মা, তাহলে তারা কিভাবে দুঃখী হবে! এ হলো উল্টো জ্ঞান। এখন এ হলোই মিথ্যে ভূখন্ড। ভারত যখন স্বর্গ ছিল তখন সত্য ভূখন্ড ছিল। বাবা বোঝান যে ড্রামানুসারে দিনে-দিনে দুঃখ বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। যদিও কতই না দান-পুণ্যাদি করে কিন্তু পরিণাম কি হয়েছে ! অধঃপতনই হয়েছে। এইসময় ১০০ শতাংশ ভ্রষ্টাচারী নরকবাসী হয়ে গেছে সেইজন্য বাবাকে এইসময়েই আসতে হয় যখন সকলেই দুঃখী হয়ে পড়ে আর সমস্ত অ্যাক্টর-রাই এসে যায়। স্বল্পসংখ্যক আসতেও থাকে। বেশীরভাগই এসে গেছে, এখন তো অধিক সংখ্যক মানুষই দুঃখী হয়ে পড়বে। ভগবানকে স্মরণ করবে। ভগবান তো তোমাদের স্বয়ং-ই পড়ান। তাহলে কত ভালভাবে পড়া উচিত। বাবা, শিক্ষক, সদ্গুরু — তিনজনকেই একত্রিত অবস্থায় পেয়েছো। আর এখন কার কাছে যাব ? বাবা বলেন, অবশ্যই গৃহস্থী জীবনেও থাকো, কিন্তু আমায় অর্থাৎ নিরাকার পরমাত্মার মতানুসারে চলো তবেই তোমরা শ্রেষ্ঠ হতে পারবে আর কোনো গুরু-গোঁসাই-এর মতে চলো না। তোমরা জিজ্ঞাসা করো যে পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কি সম্বন্ধ আছে ? তিনি হলেন গডফাদার তাহলে অবশ্যই বাবার থেকে নতুন দুনিয়ার উত্তরাধিকার পাওয়া উচিত। কারোর বুদ্ধিতে আসে না যে ফাদার মানে রচয়িতা। স্বর্গের রচনার রচনাকার। কিন্তু ইনি হলেন নিরাকার। আত্মাও নিরাকার। এ’কথা মানুষের জানাই নেই। আত্মার রূপ কেমন ? পরমাত্মার রূপ কি? আত্মা অবিনাশী, পরমাত্মাও অবিনাশী। প্রত্যেক আত্মায় অবিনাশী পার্ট ভরা রয়েছে। এই কথা যখন শোনে তখন মানুষের বুদ্ধি চক্রতে চলে আসে। যারা কল্প-পূর্বে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিল, তারাই পুরুষার্থ অনুসারে সব কথা বুঝতে পারে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের বুদ্ধিতে পাক্কা নিশ্চয় আছে আর বাবার সঙ্গে ভালবাসাও আছে। শিববাবা আদেশ করেন যে খান-পান করতে-করতে আমায় স্মরণ করো। স্মরণের দ্বারা বিকর্ম বিনাশ হবে আর উচ্চপদও লাভ করবে। কেউ যদি এখানে বসেও থাকে কিন্তু বুদ্ধি এদিকে-ওদিকে বাইরে ঘুরে বেরাতে থাকে। যেমন ভক্তিমার্গে হয়ে থাকে। এ হলো মায়ার রাজ্য, তাই না! বুদ্ধি বাইরে চলে যায় তাই ধারণা হয় না। মুশকিলই কেউ বাবার আজ্ঞানুসারে চলে। বাবা বলেন, মাথায় অনেক পাপের বোঝা রয়েছে সেইজন্য রাতে জেগে থেকে আমায় স্মরণ করো তবেই তোমরা অনেক সহায়তা পাবে। চলতে-ফিরতেও স্মরণের অভ্যাস করতে থাকো। স্মরণে থেকে ভোজন বানাও, এতে পরিশ্রম আছে। প্রতি মুহূর্তে ভুলে যায়। বাচ্চাদের অত্যন্ত ভালভাবে অভ্যাস করতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৬ ঘন্টা তো ফ্রি থাকো। বাকি ৮ ঘন্টা অবশ্যই যোগে থাকতে হবে। তোমরা হলে কর্মযোগী। বাবা বলেন – সবকিছু করেও আমাকে স্মরণ করতে থাকো। নর থেকে নারায়ণ হওয়ার পুরুষার্থ করো তাহলে ঘরে বসেও প্রচুর উপার্জন করতে পারবে। বড়-বড় (গন্যমান্য) ব্যক্তিরাও আসবে। কিন্তু টু লেট। তোমাদের মধ্যেও অনেকে আছে যারা বলে আমরা লক্ষ্মীকে অথবা নারায়ণকে বরণ করে নেব, তারপর প্রতি মুহূর্তে ভুলে যায়। এ’রকম অনেকেই রয়েছে যারা বলে শিববাবা এঁনার মধ্যে আসেন, এইকথা আমাদের বুদ্ধিতে বসে না। কোনো শক্তি আছে, আকর্ষণ আছে কিন্তু বাচ্চারা বাবাকে বোঝে না কারণ শাস্ত্রতে এমন কথা নেই যে বাবা আসেন। গীতা হলো সর্বোচ্চ শাস্ত্র। সেখানেও মানুষের নাম দিয়ে দিয়েছে। তারপর যিনি হলেন সর্বোচ্চ ভগবান, শাস্ত্রতে তাঁর নাম নীচে কিভাবে আসবে। বাবা বলেন, কত ভুল করে দিয়েছে। আমিই এই রুদ্র যজ্ঞ রচনা করেছি। কৃষ্ণকে তো বলা হয়ে থাকে শ্যাম-সুন্দর। রাধা-কৃষ্ণই লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে থাকে। তারাই সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে। ৮৪ লক্ষ বলো তাহলেও প্রথমে তো স্বর্গে আসবে লক্ষ্মী-নারায়ণই। বাবা বুঝিয়ে থাকেন যে দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীরাই ৮৪ জন্ম নিয়েছে। তোমরাই নাম্বার ওয়ান ছিলে। এখন তোমাদেরই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। লক্ষ্মী-নারায়ণ তোমাদেরই মাতা-পিতা ছিলেন। এখন তোমাদের রাজধানী তৈরী হচ্ছে। এখনও তোমরা সম্পূর্ণ হও নি। অবশ্যই হতে হবে, তবেই তো সূক্ষ্মলোকে সাক্ষাৎকার হয়ে থাকে। নিজেকে সম্পূর্ণ ফরিস্তা মনে করো। ফরিস্তা হওয়ার পর লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়, তাঁদের সাক্ষাৎকারও হয়ে থাকে। তত্বতম, তোমরাও হতে চলেছো। কত ভালভাবে বোঝানো হয়ে থাকে। আজকাল স্কুলেও গীতা পড়ানো হয়ে থাকে, যে পড়ে হুশিয়ার (তীক্ষ্ণ) হয়ে যায় সে আবার অন্যদেরকেও পড়াবে। তাহলে পন্ডিত হয়ে যায়। অসংখ্য শ্রবণকারী ফলোয়ার্স(শিষ্য) হয়ে যায়। মুখ মিষ্টি, ভালভাবে শ্লোকাদিও কণ্ঠস্থ করে নেয়। প্রাপ্ত হয় না কিছুই। তমোপ্রধান হয়ে গেছে। বাবা-ই এসে সতোপ্রধান বানিয়ে দেন, সেও পুরুষার্থের নম্বরের অনুক্রমেই হয়ে থাকে। সব আত্মারাই তো শক্তিমান হতে পারে না। বাবাকেই সর্বশক্তিমান বলা হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণকে বলা হবে না। শক্তির কথা এখনই বলা হয়ে থাকে। এখন তোমরা রাজত্ব প্রাপ্ত করছো। এখন তোমাদের বর পাচ্ছো। বাবা বলেন – অমর ভব, বেঁচে থাকো। সত্যযুগে তোমাদের কাল(সময়) গ্রাস করবে না। ওখানে তো মৃত্যু শব্দটিই নেই। এ’রকম বলা হবে না যে অমুকে মারা গেছে, তোমরা বলবে — আমরা পুরোনো বৃদ্ধ শরীর পরিত্যাগ করে নতুন নিয়ে নিই। মহাকালেরও মন্দির রয়েছে। ওখানে কেবল শিবলিঙ্গ রেখে পতাকাদি লাগিয়ে দিয়েছে। এ’রকম অনেক পাথর আছে যারমধ্যে সোনা লাগানো রয়েছে। তারপর ঘসে-ঘসে তৈরী করা হয়। নেপালে নদীর বালির সাথে সোনা বয়ে আসত। সত্যযুগে তোমরা অনেক সোনা পেয়ে যাও। এখন তো সোনা নেই-ই, সম্পূর্ণ শেষই হয়ে গেছে। খনিগুলো খালি হয়ে গেছে। স্বর্গে সোনার মহল তৈরী হয়। পুনরায় আমরা নিজেদের জন্য স্বর্গের স্থাপনা করছি। এ’রকম অনেক বাচ্চা আছে যারা লেখে – বাবা, আমরা তোমার হয়ে গেছি। কখনো দেখেওনি। এখন তোমরা অমৃতলোকের জন্য শিববাবার থেকে অমরকথা শুনছো। নিশ্চয় থেকেই বিজয় প্রাপ্ত হয়। নিশ্চয়তাও পাকা হওয়া উচিত। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে অদ্বিতীয় পিতার প্রতি অটুট ভালবাসা রাখতে হবে। বাবার আজ্ঞানুসারে চলে মায়ার উপর বিজয়প্রাপ্ত করতে হবে।
২ ) শরীর নির্বাহের জন্য কাজ-কর্ম করে কর্মযোগী হতে হবে। ৮ ঘন্টা স্মরণের চার্ট অবশ্যই রাখতে হবে।
বরদানঃ-
সারাদিনে যে ব্যর্থ সঙ্কল্প, ব্যর্থ কথা, ব্যর্থ কর্ম এবং ব্যর্থ সম্বন্ধ-সম্পর্ক হয়ে থাকে, সেই ব্যর্থকে সমর্থে পরিবর্তন করে দাও। ব্যর্থকে আপন বুদ্ধিতে স্বীকার কোরো না। যদি একটি ব্যর্থকেও স্বীকার করে নাও তাহলে সেই একটিই অনেক ব্যর্থের অনুভব করাবে, যাকে বলা হয় ফিলিং চলে এলো, সেইজন্য হোলী-হংস হয়ে ব্যর্থকে সমর্থে পরিবর্তন করে দাও তবেই ফিলিং-প্রুফ হয়ে যাবে। কেউ গালি দিলে, কেউ রাগ করলেও তুমি তাকে শান্তির শীতল জল দান করো, এ’টাই হলো হোলীহংসের কর্তব্য।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জী’র অমূল্য মহাবাক্য
১) “পরমাত্মাকে ত্রিমূর্তি কেন বলা হয় ?”
পরমাত্মাকে ত্রিমূর্তি কেন বলা হয় ? উনি কোন্ তিনটি রূপ রচনা করেছেন ? অবশ্য তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর — এই তিনরূপ রচনা করেছেন, তিনি যখন স্বয়ং আসেন তখন তিনটি রূপকেই নিজের সাথে নিয়ে আসেন। এমন বলা যাবে না যে তিনি এই তিন রূপ আলাদা-আলাদাভাবে রচনা করেছেন, একসাথেই রচনা করেছেন, আগে-পরে রচনা করেননি। সেইজন্য পরমাত্মাই বলে থাকেন যে এই রচনা আমার, কারণ আমি হলাম সাকারী, আকারী এবং নিরাকারী — তিন সৃষ্টিরই মালিক। আমি সাকারী লক্ষ্মী-নারায়ণের দেবতা-স্বরূপে নেই, তাঁরা হলো সাকারী দৈব-গুণসম্পন্ন মানুষ, আর আমি অব্যক্ত, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকরও নই। যদিও এই আকারী দেবতারা পুনর্জন্মে আসে না, আমি কিন্তু সে-ও নই, এ’সব হলো আমার ডিপার্টমেন্ট, যখন আমি স্বয়ং আসি তখন সম্পূর্ণ ডিপার্টমেন্টই সাথে করে নিয়ে আসি আর ওঁদের দ্বারাই দৈবী-সৃষ্টির স্থাপনা, আসুরীয় দুনিয়ার বিনাশ এবং নতুন সৃষ্টির প্রতিপালন করানোর জন্য আসি। আমি তো উপর থেকে সরাসরি পবিত্র আত্মা হিসেবেই আসি আর আমি যে মনুষ্য শরীরে আসি সেও হলো অনেক জন্মের অন্তের তমোগুণ-সম্পন্ন, সেই শরীরে প্রবেশ করে তাঁকেও পবিত্র করে দিই। যাঁর ভবিষ্যৎ জন্ম হয় সর্বগুণসম্পন্ন, ১৬ কলা-সম্পূর্ণ শ্রীকৃষ্ণ-রূপে। কারণ পরমাত্মা হলেন সর্বগুণের সাগর, বিকর্মাজীত, ওঁনার পর দ্বিতীয় স্থানে আসে শ্রীকৃষ্ণ, যাঁর আবার অন্তিম জন্ম হলো ব্রহ্মা তন। পরমাত্মার মতন পবিত্র আত্মা কেউই নেই, তাদের পবিত্র বানাতে হয়, সেইজন্য পরমাত্মাকেই সুপ্রীম সোল বলা হয়ে থাকে।
২) “দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণতকারী হলেন পরমাত্মা”
এখন এ’কথা তো সব মানুষই জানে যে তিনি হলেন সৌভাগ্য গঠনকারী অদ্বিতীয় পরমাত্মা। পরমাত্মাকে বলা হয়ে থাকে সৌভাগ্যের মালিক, তিনি এসে আমাদের আত্মাদের ভাগ্য গঠন করেন। যে ভাগ্য খারাপ হয়ে গেছে তা নতুন করে গঠন করেন পরমাত্মাই। এছাড়া মানুষ যে বলে থাকে ভাগ্য তৈরী করা আর নষ্ট করা পরমাত্মার হাতেই রয়েছে, এখন এ’কথা বলা সম্পূর্ণ ভূল। ভাগ্য নির্মাণ করা পরমাত্মার হাতে রয়েছে কিন্তু যখন মানুষ সেই ভাগ্য-নির্মাণকারীকেই ভুলে যায়, তখন তার ভাগ্য খারাপ হয়ে যায় অর্থাৎ ভাগ্য নির্মাণ করা মানুষের হাতেই রয়েছে। যখন মানুষ নিজেই নিজেকে ভুলে যায়, নিজের বাবাকে ভুলে যায় তখনই মানুষের দ্বারা উল্টোপাল্টা কাজ-কর্ম হয়ে যাওয়ার কারণে সে তার ভাগ্যের উপর দাগ কেটে দেয়। তাহলে বিনষ্টকারী হলো মানুষই আর নিমাণকারী হলেন পরমাত্মা, সেইজন্য পরমাত্মাকে সুখদাতা বলা হয়, দুঃখদাতা বলা হবে না। দেখো, যখন পরমাত্মা স্বয়ং এই সৃষ্টিতে অবতরিত হন তখন সকল মানুষের বিগড়ে যাওয়া ভাগ্যকে নির্মাণ করেন অর্থাৎ সকলকে সদ্গতি প্রদান করেন তবেই তো পরমাত্মাকে সকল মনুষ্য আত্মার উদ্ধারকারী বলা হয়ে থাকে। পরমাত্মা বলেন — বাচ্চারা, আমি এই সঙ্গমে এসে সকলের ভাগ্য নির্মাণ করি, এ’রকম নয় যে কারোর ভাগ্য তৈরী হয় আর কারোর হয় না কিন্তু পরমাত্মা তো সকলের ভাগ্য তৈরী করেন। কারণ মানুষের সমগ্র সৃষ্টির সঙ্গেই সম্বন্ধ রয়েছে তবেই তো পরমাত্মার উদ্দেশ্যে বলা হয় যে ভাগ্য নির্মাণকারী একটু সামনে তো এসো…..তাহলে এ’টাই প্রমাণ যে পরমাত্মা হলেন ভাগ্য নির্মাণকারী। আচ্ছা — ওম্ শান্তি।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!