03 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

September 2, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

মিষ্টি বাচ্চারা -- নিজেদের মধ্যে একে অপরকে স্মরণে থাকার ইশারা করে, সাবধান করে উন্নতি লাভ করতে থাকো"

প্রশ্নঃ --

বাবার সমান নলেজফুল হয়ে উঠতে থাকা বাচ্চাদের জীবনের মুখ্য ধারণা কী হবে ?

উত্তরঃ -:-

তারা সদা হাসিখুশী থাকে, কখনোই কোনো বিষয়ে তাদের কান্না আসতে পারে না । যা কিছুই হয়ে যাক নাথিং নিউ ।এইরূপ যারা এখন নলেজফুল অর্থাৎ কান্না প্রুফ হতে থাকে, কখনো কোনও বিষয়ে অশান্ত হয় না, তাদেরই স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত হয় । যে কাঁদে সে সব হারায়। রোদনশীল ব্যক্তি নিজের পদ হারিয়ে ফেলে ।

গান:-

তোমায় পেয়ে সারা জগৎ পেয়ে গেছি..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা নিজেদেরই গাওয়া গান শুনল। বাচ্চারা জানে যে, আমরা অসীম জগতের (বেহদের) বাবার সামনে বসে আছি। তাই বাচ্চারা বলে, বাবা আমরা তোমার থেকে যে বিশ্বের বাদশাহী পেয়েছিলাম, তা এখন আবার পাচ্ছি। সত্যযুগে তো তোমরা এই রকম গাইবে । সঙ্গমযুগেই তোমরা গাইতে পারো। ঘরে যখন বসে রয়েছো কিম্বা যখন কর্মস্থলেও রয়েছো, তোমরা জানো যে, আমরা বেহদের বাবার কাছ থেকে পুনরায় বেহদের উত্তরাধিকার নিচ্ছি। সেন্টার গুলিতেও তোমরা সাবধান বাণী শুনে থাকো যে, বাবাকে স্মরণ করো আর আমরা বিশ্বের মালিক হচ্ছি, এ’কথা স্মরণে রাখো। কোনো নতুন কথা নয় এটা। আমরা প্রতি কল্পে বিশ্বের বাদশাহী নিয়ে থাকি। নতুন কেউ শুনলে ভাববে এ’ সব কথা শিব বাবা এঁনাকে (ব্রহ্মা) বলেন ! তিনি তো হলেন নিরাকার আত্মাদের বাবা ।আত্মা নিরাকার, আত্মার পিতারও হলেন নিরাকার । আত্মাকে নিরাকার ততক্ষণ পর্যন্ত বলা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত সাকারী রূপ না নিচ্ছে। তাই বাচ্চারা জেনে গেছে যে, আমরা বেহদের বাবার কাছ থেকে এই নলেজ শুনছি। রুহানী টিচার পড়াচ্ছেন, একে অপরকে সাবধান বাণী শোনানোর জন্য। প্রথমে এই রুহানী সাবধান বাণী প্রাপ্ত হয়। বেহদের বাবার স্মরণেই সবাই থাকে এবং ইশারা করে থাকে – বাবার স্মরণে থাকো, আর অন্য কোথাও যেন বুদ্ধি না চলে যায়। সেইজন্যই বলা হয় – আত্ম – অভিমানী ভব এবং বাবাকে স্মরণ করো। তিনি হলেন পতিত পাবন বাবা, সম্মুখে বসে এখন তিনি বলছেন আমাকে স্মরণ করো। কতো সহজ যুক্তি – মন্মনাভব শব্দও রয়েছে, কিন্তু যদি কেউ বোঝে তবেই। স্মরণের যাত্রা শেখান একমাত্র বাবা’ই। তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা রুহানী যাত্রাতে রয়েছি। ওটা হল দৈহিক যাত্রা, এখন আমরা আর দৈহিক যাত্রী নই । আমরা হলাম রুহানী যাত্রী। এই স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে। তোমরা বিকর্মাজিত হয়ে যাবে । আর কোনোই উপায় নেই যার দ্বারা তোমরা বিকর্মাজিত হতে পার। এক হল বিকর্মাজিত সম্বৎ, দ্বিতীয় হল বিক্রম সম্বৎ। এরপর থেকে বিকর্ম শুরু হয়। রাবণ রাজ্য শুরু হল আর বিকারের শুরু হল। এখন তোমরা বিকর্মাজিত হওয়ার পুরুষার্থ করছো। ওখানে কোনো বিকর্ম হয় না। সেখান তো রাবণই নেই। দুনিয়াতে এ’কথা কেউই জানে না। তোমরা বাবার দ্বারা সব কিছু জানতে পেরে গেছো। বাবাকেই নলেজফুল বলা হয়। তিনি তো বাচ্চাদেরকেই নলেজ দেবেন, তাই না ? গড ফাদারের নামও তো চাই। নাম রূপের থেকে পৃথক কি কখনো হতে পারেন নাকি ! মানুষ তাঁর পূজা করে। ওঁনার নাম হল শিব। তিনিই হলেন পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগর। আত্মা স্মরণ করে, সেই পরমপিতা পরমাত্মা বাবাকে । আত্মা বাবার মহিমা করে। তিনি হলেন সুখ-শান্তির সাগর। বাবা তো নিশ্চয়ই উত্তরাধিকারই দেবেন বাচ্চাদেরকে। যারা এক সময় ছিলেন এবং চলে গেছেন, মানুষ তাদেরই স্মরণিক বানায়। একমাত্র শিব বাবাই যাঁর গায়নও হয় আর পূজাও হয়। নিশ্চয়ই তিনি শরীরের দ্বারা কর্তব্য করেন, তবেই তো তাঁর গায়ন হয়। তিনি হলেন এভার পিওর। বাবা কখনোই পূজারী হন না, তিনি সর্বদা পূজ্য। বাবা বলেন আমি কখনো পূজারী হই না। আমার পূজা করা হয়। পূজারী রা আমার পূজা করে। সত্যযুগে তোমরা আমার পূজা ক’রো না। ভক্তি মার্গে তোমরা আমি পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ করে থাকো। প্রথম প্রথম অব্যাভিচারী ভক্তি সেই এক এরই হয়, তারপর ব্যাভিচারী ভক্তি হয়ে যায় । ব্রহ্মা সরস্বতীকেও সেই শিব বাবাই বিশ্বের মালিক বানান। ভক্তির কতো বিস্তার রয়েছে । বীজের কোনো বিস্তার নেই।

বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করো আর উত্তরাধিকারকেও স্মরণ করো। ব্যস্, যেমন বৃক্ষের বিস্তার হয়ে থাকে সেই রকমই ভক্তিরও অনেক বিস্তার রয়েছে। জ্ঞান হল বীজ। যখন তোমাদের জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, তখন তোমরা সদ্গতি পেয়ে থাকো। তোমাদের আর কোনো কিছুর জন্য মাথা ঘামাতে হবে না। জ্ঞান আর ভক্তি এই দুই আছে না ! সত্যযুগ ত্রেতাতে ভক্তির বৃক্ষ হয় না। অর্ধ কল্প ভক্তির বৃক্ষ চলতে থাকে। সব ধর্মের লোকের নিজের নিজের আচার অনুষ্ঠান রয়েছে। ভক্তি তো কতো বড় ! জ্ঞান তো সকলের জন্য একটিই – কেবল মন্মনাভব । অল্ফ বাবাকে স্মরণ করো। বাবাকে স্মরণ করলে, তখন অবশ্যই স্মরণে আসবে। সম্পদেরই তো বিস্তার হয়ে থাকে তাই না ! ওসব হল সীমিত সম্পত্তি। এখানে তোমাদের অসীম জগতের সম্পত্তির কথা স্মরণে আসে। বেহদের বাবা এসে বেহদের উত্তরাধিকার ভারতবাসীকে দেন। তাঁর জন্মও এখানেই এই রকমই গায়ন রয়েছে। এ’সব এই ড্রামাতে অনাদি থেকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

যেমন ভগবান হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ, তেমনি ভারত খন্ডও হল উচ্চ থেকে উচ্চ, যেখানে বাবা এসে সমগ্র দুনিয়ার সদ্গতি করেন । তাহলে সবচেয়ে বড় তীর্থ হল, তাই না ? বলে থাকে, হে গড ফাদার আমাদেরকে আমাদের ঘরে নিয়ে চলো। ভারতের প্রতি সকলের লভ রয়েছে। বাবাও ভারতেই আসেন। এখন তোমরা পরিশ্রম করছো। গোপী বল্লভের গোপ গোপীরা হলে তোমরাই। সত্যযুগে গোপ গোপিকার কোনো ব্যাপারই থাকে না। সেখানে তো নিয়ম অনুসারে রাজত্ব চলে। ঈশ্বরীয় কর্তার-কর্ম (চরিত্র) কৃষ্ণের নয়, তা হল একমাত্র বাবার। ওঁনার ঈশ্বরীয় কর্তার-কর্ম (চরিত্র) কতো বিশাল ! সমগ্র পতিত সৃষ্টিকে তিনি পবিত্র বানান। কতখানি সুচতরার কাজ এটা। এই সময় সকল মানবই হল অজামিলের মতো পাপী। মানুষ মনে করে এই সাধু সন্ন্যাসীরা হল শ্রেষ্ঠাচারী। বাবা বলেন, এদের উদ্ধারও আমাকেই করতে হবে। যেমন তোমরা হলে অ্যাক্টর, বাবাও তো অ্যাক্ট, তাই না ? তোমরা ৮৪ জন্ম নিয়ে পার্ট প্লে করছো। তিনিও হলেন ক্রিয়েটর, ডায়রেক্টর প্রধান অ্যাক্টর, করন-করাবনহার তিনি যে। তিনি কী করেন ? পতিতদেরকে পবিত্র বানান। বাবা বলেন – তোমরা আমাকে আহ্বান করো এসে আমাদেরকে পবিত্র বানাও। আমিও এই পার্টে আবদ্ধ। এই রকম আর কেউই বলতে পারে না। এই রকম কেন বানানো হয়েছে ? কবে হয়েছে ? এ হল অনাদি পূর্ব রচিত ড্রামা। এর আদি-মধ্য-অন্ত নেই, প্রলয় হয় না। আত্মা হল অবিনাশী, কখনো বিনাশ হতে পারে না। এঁনার পার্টও হল অবিনাশী । এ তো হল বেহদের ড্রামা । নাটশেলে (সংক্ষেপে) বাবা বসে বোঝাচ্ছেন এই ড্রামার পার্ট কীভাবে চলে। এছাড়া এমন নয় যে পরমাত্মা আছেন বলে তিনি মৃতকে জীবিত করে দিতে পারেন । এই সব অন্ধ বিশ্বাস, রিদ্ধি-সিদ্ধি এখানে হয় না। আমাকে তো আহ্বানও করে হে পতিত পাবন এসো। এসে আমাদেরকে পতিত থেকে পবিত্র বানাও, তাই তো তিনি আসেন। গীতা হল সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি। ভগবানই গীতা শুনিয়েছেন। আচ্ছা সহজ রাজযোগ কখন শিখিয়েছেন ? এ’কথাও তোমরা জানো। বাবা আসেনই কল্পের সঙ্গমযুগে। তিনি এসে পবিত্র দুনিয়া নতুন রাজধানী স্থাপন করেন। সত্যযুগে তো স্থাপন করবেন না, তাই না ! ওখানে তো হলই পবিত্র দুনিয়া। কল্পে সঙ্গমযুগেই কুম্ভের মেলা লাগে। সেই কুম্ভ মেলা ১২ বছর অন্তর লাগে। এই বড় কুম্ভের মেলা ৫ হাজার বছর পর পর লাগে। এ হল আত্মা আর পরমাত্মার মেলা। যখন পরমপিতা পরমাত্মা এসে সব আত্মাদেরকে পবিত্র বানিয়ে নিয়ে যান। কল্পের আয়ু তারা লম্বা করে দেওয়ার কারণেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। এখন তোমরা বুঝতে পারো। তোমাদের ম্যাগাজিনে যা কিছু বের হয় সে’সব তোমরাই বুঝতে পারো, আর কেউই বুঝতে পাররে না। বাবা বললেন লেখো, যা কিছু হয়েছে সবই ৫ হাজার বছরের মতো, নাথিং নিউ। যা কিছু ৫ হাজার বছর পূর্বে হয়েছিল সে’সবই এখন রিপিট হয়। কেউ বুঝতে চাইলে এসে বুঝতে পারো। এই এই রকম যুক্তি সব রাখা উচিত। আমরা খবরের কাগজে ছাপার জন্য কী লিখবো ? এও তোমরা লিখতে পারো – এই মহাভারতের যুদ্ধ কীভাবে পবিত্র দুনিয়ার গেট খুলবে। সত্যযুগের স্থাপনা কল্প পূর্বের মতো কীভাবে হয়, কীভাবে দেবী-দেবতাদের রাজধানী স্থাপন হচ্ছে, এসো বোঝো। গড ফাদারের থেকে বার্থ রাইট নিতে হলে এসে নাও। এইভাবে এইভাবে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে । তারা তো কতো কতো স্টোরি বানায়, সে’সবই ড্রামাতে রয়েছে, সেই অনুযায়ীই তারা তাদের ভূমিকা পালন করছে। ব্যসদেবও ড্রামার প্ল্যান অনুসারে শাস্ত্রাদি বানিয়েছে। সে এই পার্টটাই পেয়েছে । এখন তোমরা ড্রামাকে বুঝে গেছো, সেই ড্রামাই আবার রিপিট হবে। এখন তোমরা এসেছো পুনরায় জ্ঞান শুনছো। তোমরা জানো আবার এই লক্ষী-নারায়ণের রাজত্ব হবে। বাকি সব ধর্ম অবলুপ্ত হয়ে যাবে। এখন তোমরা নলেজফুল হয়ে উঠছো। বাবা তোমাদেরকে তাঁর মতো নলেজফুল বানান। তোমরা জানো যে, অর্ধ কল্প আমরা পীসফুল থাকবো। কোনো প্রকারের অশান্তি থাকবে না । সেখানে বাচ্চারা কখনোই কাঁদে না, সর্বদা হাসিখুশী থাকবে। এখানেও তোমরা কখনো কাঁদবে না। কথাযতেও আছে – আম্মা মরলে তখনও হালুয়া খাও…. সে কাঁদে সে হারায়। পদও ভ্রষ্ট হয়ে যায় । তোমরা পতিদেরও পতিতকে পেয়েছো, তিনি স্বর্গের বাদশাহী দেন। তিনি তো কখনো মরেনই না। তাহলে কাঁদার কি দরকার ? যে ক্রন্দন প্রুফ হয়, সে’ই বাদশাহী নেয় । বাকিরা প্রজাতে চলে যাবে। বাবাকে কেউ যদি এই অবস্থায় জিজ্ঞাসা করে আমরা কী হবো ? তাহলে বাবা বলে দেবেন। বাচ্চাদের পরে সব সাক্ষাৎকার হবে। স্কূলে সবাই যেমন জানতে পেরে যায় না ? রুদ্র মালা কোনটি হবে – সেটা তোমরা পরে জানতে পেরে যাবে। শেষের দিন যখন এগিয়ে আসে তখন খুব পুরুষার্থ করে। বুঝতে পারে অমুক সাবজেক্টে তো আমি পাশ করতে পারবো না। তোমরাও জানতে পেরে যাবে। অনেকে বলে আমার সন্তানের প্রতি খুব মোহ। সেটা তো দূর করতেই হবে। মোহ রখতে হবে এক’এর সাথে। বাকি ট্রাস্টি হয়ে সব সামলাতে হবে। বলে না – এই সব কিছুই বাবা দিয়েছেন, তো ট্রাস্টি হয়ে চলো। আসক্তি দূর করে দাও। বাবা স্বয়ং এসে বলেন, এদের থেকে আসক্তি সরিয়ে নাও। ভাবো এ’ সব হল তাঁর, ওঁনার মত অনুসারেই চলো। ওঁনার কার্যেই লেগে পড়ো। অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান করতে থাকো। এখানে কন্যাদের জন্য বাবার কাছে সব চেয়ে বেশী রিগার্ড রয়েছে। কন্যারা কর্মবন্ধন থেকে ফ্রি থাকে। বাচ্চাদের তো লৌকিক বাবার সম্পদের উত্তরাধিকারিত্ব পাওয়ার নেশা থাকে ।কন্যা লৌকিক বলে বার উত্তরাধিকার পায় না। এখানে এই বাবার কাছে মেল-ফিমেল ভেদাভেদ নেই। বাবা আত্মাদেরকে বসে বোঝান। তোমরা জানো যে, আমরা সবাই হলাম ব্রাদার্স, আমরা বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি। আত্মা পাঠ পড়ে। বাবার কাছ থেকে সম্পদের উত্তরাধিকার নেয়। যত বেশী সম্পদের উত্তরাধিকার নেবে, তত উঁচু পদ পাবে। বাবা এসে সব কথা বোঝান। শিব বাবা হলেন নিরাকার, ওঁনার পূজাও করা হয়। সোমনাথের মন্দির বানিয়েছে। এখন তোমরা এটা জানো যে, শিব বাবা এসে কী করেছেন ? কেন ওঁনাকে স্মরণ করে মন্দির বানিয়েছে ? এও তোমরা এখন বুঝতে পারো। প্রতি কল্পে এই রকমই হবে। ড্রামাতে এই রকমই রয়েছে, সেটাই রিপিট হচ্ছে। বাবাকে আসতেই হবে। পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হতে হবে । এ কোনো আফশোসের কথা নয়। এ হল বিনা কারণে রক্তপাতের খেলা। বিনা কারণে সবার রক্ত ঝড়বে। নাহলে তো কেউ কারো খুন করলে তার তো ফাঁসির সাজা হয়। কিন্তু এখন কাকে ধরে সাজা দেবে ! ন্যাচারাল ক্যালামিটিস আসবেই । বিনাশ তো হতেই হবে। অমরলোক, মৃত্যুলোকের অর্থ কে কেউই জানে না। তোমরা জানো আজ আমরা মৃত্যুলোকে রয়েছি, কাল আমরা অমরলোকেই থাকব, সেইজন্য আমরা পড়ি। মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে রয়েছে। তোমরা জ্ঞান পান করিয়ে থাকো। তারা হ্যাঁ হ্যাঁ বলে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। তারা শুনছেও যে বেহদের বাবা অবিনাশী উত্তরাধিকার দিচ্ছেন, এ হল সেই মহাভারতের যুদ্ধ, যার দ্বারা স্বর্গের গেট খোলে। লেখেও তারা – খুব ভালো জ্ঞানের কথা গুলো। আর কেউই এই জ্ঞান প্রদান করতে পারে না, আমরা মানি সেটা। ব্যস্ এই পর্যন্তই। নিজেরা এ’সব কিছুই গ্রহণ করে না, আবার ঘুমিয়ে পড়ে। এদেরকেই বলা হয় কুম্ভকর্ণ। তোমরা বলতে পারো তোমরা এ’ সব কথা লিখে তৈ দিচ্ছো কিন্তু এমন যেন না হয় যে বাড়িতে গেলে আর আবার ঘুমিয়ে পড়লে। কুম্ভকর্ণের চিত্রের সামনে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া উচিত, এর মতো যেন ঘুমিয়ে প’ড়ো না। বোঝানোর জন্যও খুব ভালো যুক্ত চাই।

বাবা বলেন হে বাচ্চারা, নিজেদের দোকানে প্রধান প্রধান চিত্র গুলিকে রাখো। যেই আসবে তাকে তার ওপরে বোঝাবেন। ওই সওদাও করো আবার এও হল সত্যিকারের সওদা। এর দ্বারা তোমরা অনেকের কল্যাণ করতে পারো। এতে লজ্জার কোনো ব্যাপারই নেই। কেউ যদি বলে বি. কে. হয়ে গেছ ? বলো আরে প্রজাপিতা ব্রহ্মার কুমার – কুমারী তো তোমরাও। বাবা নতুন সৃষ্টির রচনা করছেন। পুরানোটিতে আগুন লাগছে। তোমরাও যতক্ষণ পর্যন্ত বি. কে. না হচ্ছো ততক্ষণ পর্যন্ত স্বর্গে যেতে পারবে না। এই ভাবে এই ভাবে তোমার দোকানেই সার্ভিস করো, তাহলে কতখানি বেহদের সার্ভিস হয়ে যাবে ! নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে করো। দোকান যদি ছোটো হয়, তবুও দেওয়ালে ছবি লাগিয়ে রাখতে পারো। চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট্ হোম। সবার আগে তাদের কল্যাণ করতে হবে । বাবা বলেন – এখন কোনো দেহধারীকে স্মরণ ক’রো না । শিব বাবাকে স্মরণ করো, যার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় । মানুষ তো বেচারা বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। তাদেরকে বলতে হবে – ডিটি ওয়ার্ল্ড সভারেন্টি (দৈবী রাজ্যের সার্বভৌমত্ব) পেতে হবে। নর থেকে নারায়ণ হতে চাইলে এসে হও।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) একমাত্র বাবার প্রতিই শুদ্ধ সত্যিকারের মোহ রাখতে হবে, তাকেই স্মরণ করতে হবে । দেহধারীদের প্রতি মমত্ব সরিয়ে নিতে হবে। ট্রাস্টি হয়ে সব সামলাতে হবে।

২ ) বিকর্মাজিত হতে হবে, তাই কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো বিকর্ম যেন না হয় এদিকে বেশী করে খেয়াল রাখতে হবে।

বরদানঃ-

এই ড্রামাতে যা কিছুই হচ্ছে তাতে কল্যাণই নিহিত রয়েছে। যে বোধ সম্পন্ন তার মনে কি, কেন’র প্রশ্নই উঠতে পারে না। ক্ষতির মধ্যেও কল্যাণ নিহিত রয়েছে । বাবার সাথ আর হাত থাকলে অকল্যাণ হতেই পারে না। এইরূপ আত্ম মর্যাদার (শান) সীটে থাকো, তাহলে কখনোই হয়রান (পরেশান) হবে না। সাক্ষী ভাবের সীট হয়রানি শব্দকে সমাপ্ত করে দেয় ।সেইজন্য ত্রিকালদর্শী হয়ে প্রতিজ্ঞা করো যে, না হয়রান হবো না কাউকে হয়রান করবো।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top