03 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

03 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

2 July 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- এখন তোমাদেরক নতুন দুনিয়াতে যেতে হবে, এই দুঃখের দিনের এখন অবসান হচ্ছে, সেইজন্য পুরানো অতিক্রান্ত অতীতের সব কথাকে ভুলে যাও"

প্রশ্নঃ --

তোমাদের অর্থাৎ কর্মযোগী বাচ্চাদের কোন্ অভ্যাস নিরন্তর করে যাওয়া উচিত ?

উত্তরঃ -:-

এখনই শরীর নির্বাহের কারণে শরীরে এসেছি, পরক্ষণেই দেহী-অভিমানী। দেহের স্মৃতি বিনা কর্ম সম্পাদন করা তো সম্ভব নয়, সেইজন্য অভ্যাস করতে হবে যে, কর্ম করলে, দেহ-অভিমানী হলে, তারপর দেহী-অভিমানী হয়ে যাও। এই রকম অভ্যাস তোমরা বাচ্চারা ছাড়া দুনিয়ায় আর কেউই করতে পারবে না।

গান:-

জাগো সজনীরা জাগো..

ওম্ শান্তি । আত্মিক (রুহানী) পিতা বলেন – মিষ্টি মিষ্টি আত্মারা অথবা বাচ্চারা এই গান শুনেছে। একে বলা হয় জ্ঞানের গীত। এই গীত তো খুবই ভালো। তোমরা আত্মারা এখন জেগে গেছো। ড্রামার রহস্যকেও এখন তোমরা জেনে গেছ। ভক্তি মার্গের কৌতুকও তো দেখে নিয়েছ, তাই না – যা কিছু ঘটে গেছে, সেবই তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। তোমরা তোমাদের ৮৪ জন্মের হিস্ট্রিকে এখন জানো। বাবা তোমাদেরকে তোমাদের ৮৪ জন্মের কাহিনী শুনিয়েছেন। এটা হল নতুন দুনিয়ার বিষয়ে নতুন কথা। বাবার দ্বারা তোমরা নতুন কথা শুনছো। বাবা বাচ্চাদেরকে ধৈর্য রাখতে বলেন। বাচ্চারা এখন তোমাদেরকে নতুন দুনিয়ায় যেতে হবে, তাই পুরানো সব কথাকে ভুলে যাও। সেখানে তো ভক্তির ফল প্রাপ্ত হয়ে যায় । বাবা এসে ভক্তদেরকে ভক্তির ফল প্রদান করেন। বাচ্চারা এখন জেনেছে বাবা এসে কীভাবে ভক্তির ফল প্রদান করেন, যে বেশী ভক্তি করেছে সে অবশ্যই বেশী ফল পাবে। জ্ঞানের পুরুষার্থও সে বেশীই করবে। তোমরা জানো যে, আমরা আত্মারা বেশী ভক্তি করেছি। অবশ্যই জ্ঞানেও তারা তীব্রগতিতে এগিয়ে যাবে, তবেই এই লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো উচ্চ পদ পাবে। এখন জ্ঞান আর যোগের জন্য হল তোমাদের পুরুষার্থ। দেহী-অভিমানী হয়েও থাকতে হবে আবার দেহধারীও হতে হবে। কর্ম করতে করতে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। দেহ ছাড়া তো আমরা কর্ম করতে পারব না। সেটা তো ঠিক আছে – বাবাকে স্মরণ করতে হবে, কিন্তু নিজেকে আত্মা মনে করবে, দেহকে ভুলে গেলে তো কাজকর্ম করতে পারা যাবে না, কাজকর্ম তো করতেই হবে। বাবার স্মরণে খুব আনন্দ। উঠতে বসতে, চলতে ফিরতে বাবাকে স্মরণ করো, কিন্তু পেটের জন্য আহারও তো প্রয়োজন। দেহী-অভিমানী হয়ে থাকতে হবে। দেহী-অভিমানী এই সময় তোমরা বাচ্চারা ছাড়া আর কেউই নেই। যদি নিজেকে আত্মা মনেও করে, কিন্তু পরমাত্মার পরিচয় তাদের নেই। যদিও জানেও আত্মা হল অবিনাশী, এই শরীর হল বিনাশী, কিন্তু এটুকু বুঝলেই বিকর্ম বিনাশ হবে না। বলেও থাকে পুণ্য আত্মা, পতিত আত্মা। আমি হলাম আত্মা, এ হল আমার শরীর, এটা তো কমন ব্যাপার। মূল বিষয় বাবা বোঝান যে, আমাকে স্মরণ করো। শরীর নির্বাহের জন্য দেহ-অভিমানে তো আসতে হবে। দেহকে আহারও দিতে হবে, দেহ ছাড়া তো কিছুই করতে পারবে না। প্রতিটি জন্মে তোমরা শরীর নির্বাহ করে এসেছ, কর্ম করতে করতে প্রিয়তমকেও স্মরণে রাখতে হবে। সেই প্রীতমের বিষয়ে কারোরই জানা নেই। সেই প্রিয়তম অথবা বাবার থেকে আমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি আর তাঁর স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে, এ’কথা কেউই বুঝতে পারে না। তোমরা বাচ্চারা এখন নতুন কথা শুনছো। তোমরা জানো যে, আমাদের প্রকৃত গৃহে ফিরবার রাস্তা আমরা পেয়ে যাই। আমাদের প্রকৃত গৃহে গিয়ে পুনরায় রাজধানীতে আসবো। বাবা নতুন বাড়ি বানালে অবশ্যই ইচ্ছা হবে সেখান গিয়ে বসার। এখন তোমরা রাস্তা পেয়ে গেছো, যে’কথা আর কেউই জানে না। যতই যজ্ঞ, তপ ইত্যাদি করুক কিম্বা মাথা ফাটাতে থাকুক না কেন, সদ্গতি তো পেতে পারবে না। এই দুনিয়ার থেকে ওই দুনিয়াতে তো যেতে পারবে না । এটাও বুঝতে হবে। শাস্ত্রে তো লক্ষ বছর লিখে দিয়েছে, সেই কারণেই মানুষের বুদ্ধি কাজ করে না। তোমরা খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারো যে এ হল কালকেই কথা। ভারত তো স্বর্গ ছিল। আমরা আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের ছিলাম। দেবী দেবতা ধর্ম হল বড়ই সুখ প্রদানকারী। ভারতের মতো সুখ কেউই পেতে পারে না । স্বর্গে তো অন্য কোনো ধর্মের লোক যেতে পারে না। তোমাদের মতো সুখ আর কারোরই হতে পারে না, যত চেষ্টাই করুক না কেন। যতো ধনই খরচ করুক না কেন স্বর্গের সুখ তো তারা পেতে পারবে না। কারো হেল্থ ভালো তো ওয়েল্থ থাকবে না । কারো কাছে ওয়েল্থ থাকবে তো হেল্থ থাকবে না । এটা হলই দুঃখের দুনিয়া, সেইজন্য এখন পরমাত্মা বলেন, হে আত্মারা জাগো… তোমরা এখন জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত করেছ । কতখানি জাগৃতি এসেছে তোমাদের মধ্যে। তোমরা এখন সমগ্র বিশ্বের হিস্ট্রি জিওগ্রাফিকে জানো। বাবা তো জানি জাননহার, তাই না ! এর অর্থ এই নয় যে, সকলের মনের কথা তিনি জানেন – এই আত্মা কে, কতটা বুঝতে পারে, কতখানি পবিত্র থাকে, কতক্ষণ বাবাকে স্মরণ করে। আমি এক একজনের খেয়াল বসে বসে কেন করব ! আমি তো কেবল রাস্তা বলে দেব যে, তোমরা আত্মাদেরকে তোমাদের পরমপিতা পরমাত্মাকে স্মরণ করতে হবে। এই সৃষ্টি চক্রকে বুদ্ধিতে রাখতে হবে। দেহী-অভিমানী তো অবশ্যই হতে হবে। দেহ-অভিমানী হওয়ার কারণে তোমাদের এই দূর্গতি হয়েছে। এখন তোমাদেরকে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে পদ্ম ফুলের মতো হতে হবে। স্বদর্শন চক্রধারীও তোমরাই, দেবতাদের তো শঙ্খ ইত্যাদি নেই। এই জ্ঞান শঙ্খ ইত্যাদি হল তোমরা ব্রাহ্মণদের। শিখরা শঙ্খ বাজায়, খুব জোরে আওয়াজ হয়। তোমরাও যখন এই জ্ঞান বসে শোনাও তখন সভা বড় হলে লাউড স্পীকার লাগানো হয়। এখানে তোমাদের লাউড স্পিকার লাগানোর প্রয়োজন নেই। টিচার পড়ানোর সময় লাউড স্পিকার লাগাবে নাকি ? এখানে তো কেবল শিব বাবাকে স্মরণ করতে হবে, তাহলেই বিকর্ম বিনাশ হবে । আমি হলাম সর্বশক্তিমান ! তোমরা লাউড স্পিকার এই কারণেই লাগাও যাতে আওয়াজ অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যায় । সেও পরে গিয়ে কাজে আসবে। তোমাদের এটাই বলতে হবে যে, মৃত্যু আসন্ন। এখন সবাইকে ঘরে ফিরতে হবে। মহাভারতের যুদ্ধও সামনে। গীতাতেও লেখা রয়েছে যে, মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছিল, বিনাশ হয়েছিল। আচ্ছা তারপর কী হয়েছিল ? পান্ডবও গলে মরে গেছিল। বাবা তোমাদেরকে বোঝান – আগেই যদি বিনাশ হয়ে যায় তাহলে তো ভারত খন্ড খালি হয়ে যাবে। ভারত তো হল অবিনাশী খন্ড, কখনোই তো খালি হয় না। তোমরা জানো যে, প্রলয় তো হয় না। বাবা হলেন অবিনাশী, তো তাঁর বার্থ প্লেসও অবিনাশী। বাচ্চাদের খুশী থাকা উচিত যে, বাবা হলেন সকলের সদ্গতি দাতা, সুখ – শান্তি কর্তা। যেই আসে বলে, শান্তি চাই। আত্মার শান্তির কথা কেন এত স্মরণে আসে ? শান্তিধাম আত্মাদের নিবাসস্থল যে। বাড়ির কথা কার না মনে থাকবে ? বিদেশে কারো মৃত্যু হলে, লোকে চায় তার নিজভূমে তাকে নিয়ে আসতে। এ’কথা যদি সবার জানা থাকত যে, ভারত হল সকলের সদ্গতি দাতা, দুঃখের থেকে মুক্তি প্রদানকারী শিব বাবার বার্থপ্লেস, তাহলে তো তার অনেক মান বাড়ত। একমাত্র শিবের উপরেই এসে ফুল নিবেদন করত। এখন তো কতো জনের উপরে ফুল চড়াতে থাকে। যিনি সকলকে সুখ শান্তি প্রদান করবেন, তাঁর নাম নিশানটুকু পর্যন্ত অদৃশ্য করে দিয়েছে। যারা বাবাকে খুব ভালো ভাবে জানে তারাই অবিনাশী উত্তরাধিকার নেওয়ার পুরুষার্থ করে থাকে । আমার নামই হল দুঃখহর্তা সুখকর্তা। দুঃখের থেকে লিবারেট করে কি করবেন তিনি ? তোমরা জানো যে, শান্তিধামে শান্ত থাকে, সুখধামের সুখ রয়েছে । শান্তিধাম আলাদা স্থানে, সুখধাম আলাদা স্থানে। এটা তো হলই দুঃখধাম। সকলের এই সময় দুঃখই দুঃখ। এখন তোমরা জানো যে, আমরা এমন সুখের মধ্যে যাই, যেখানে ২১ জন্ম কোনো রকমেরই দুঃখ থাকবে না । নামই হল – সুখধাম। কতো মিষ্টি নাম ! বাবা বলেন, তোমাদেরকে আমি কোনো কষ্টই দিই না। কেবল বাবাকে আর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে । নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে। এই জ্ঞান বাবা তোমাদেরকে শেখাচ্ছেন । সত্যযুগে আত্মার জ্ঞান থাকে, প্রত্যেক আত্মা এই শরীর ত্যাগ করে অন্য জন্ম নেবে, একে আত্ম-অভিমানী বলা হয়। এ হল রুহানী নলেজ, যা কিনা আর কেউই প্রদান করতে পারে না। রুহ’কে অর্থাৎ আত্মাকে আত্মার পিতা এসে নলেজ প্রদান করেন। প্রতি ৫ হাজার বছর পর দিয়ে থাকেন। মানুষ তো একেবারেই অন্ধকারে রয়েছে। এখন তোমরা আলোক প্রাপ্ত করেছো। তোমরা অজ্ঞানতার নিদ্রা থেকে জেগেছো। সকল সজনীর সাজন হলেন – এক বাবা। বাবা বলেন – আমি তোমাদের বাবাও, সাজনও, গুরুদেরও গুরু। সুপ্রীম টিচার আমি। সকল গুরুদের সদ্গতি দাতা সেই এক সদ্গুরুই। তিনি বলেন, আমি সকলের সদ্গতি করি। গতির পরে সদ্গতি হয়।

বাবা বুঝিয়েছেন – প্রতিটি আত্মাকেই ফিরে যেতে হবে। আত্মাই সতোপ্রধান, সতো – রজো হয়। কারো কারো পার্ট হল খুব অল্প। এল আর গেল। মশার মতো জন্মালো আর মরলো। এই রকম আত্মারা বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নেয় না। বাবার থেকে উত্তরাধিকার নেওয়া হয় – পবিত্রতা, সুখ – শান্তির। বাবা তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদেরকে বোঝান, বাবা তো হলেন নিরাকার । সেও এই ব্রহ্মার মুখের দ্বারাই এসে বোঝান। শিব বাবার মন্দিরও অনেক উঁচু উঁচু বানায়। মানুষ কত দূরে দূরে যায়, তীর্থে, মেলায়। উপরে কী জ্ঞান অমৃত পান করার জন্য কিছু রাখা আছে নাকি ! এর জন্য কতো কতো খরচ। গভর্নমেন্টকেও তার জন্য কতোই না ব্যবস্থা করতে হয়। কষ্টও হয়। ওখানে ছোট বাচ্চাদেরকে কীভাবে নিয়ে যাবে ! বাচ্চাদেরকে সামলানোর জন্য কারো না কাছে রেখে যায়। সাথে নিয়ে যায় না। দুই তিন মাস ধরে যাত্রা করে। এখানে তোমরা আসো, তোমাদেরকে বসে শুনতে হয়, পড়তে হয়। ছোট বাচ্চারা তো শুনবে না। এখানে তো তোমরা এসেছই – যোগ আর জ্ঞান শিখতে। বাবা বসে জ্ঞান শোনান, তাই কোনো রূপ আওয়াজ হওয়া উচিত নয়। নাহলে অন্য দিকে অ্যাটেনশন চলে যায় । শান্তিতে বসে অ্যাটেনশন দিয়ে শুনতে হয়। যোগ তো খুব সহজ। যে কাজই করো, বুদ্ধির যোগ সেখানে যেন যুক্ত থাকে। বাবার স্মরণ থাকলে উপার্জন অত্যন্ত ভালো ভাবে হয় । তোমরা জানো যে, আমরা এভার হেল্দী হব। নিজের সাথে নিজে কথা বলতে হয়। বাবার স্মরণে থেকে খাবারও নিজের হাতেই বানাতে হয়। হাত দিয়ে কাজও করো, আর স্মরণ করো বাবাকে। তোমাদেরও কল্যাণ হবে আর স্মরণে থাকলে যেটা বানাচ্ছ সেটাও খুব ভালো তৈরী হবে। তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত হয় । তোমরা এখানে আসোই – লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে। সবাই বলে আমরা সূর্যবংশী হব।

তোমরা জানো আমাদের মাম্মা – বাবা এই সময় ব্রহ্মা – সরস্বতী । পরের জন্মে লক্ষ্মী-নারায়ণ হবেন। ভবিষ্যতে কে কী হবে, জন্মের বিষয়ে কারো তো সেটা জানা নেই। নেহেরু কোথায় কী হয়ে জন্মেছে কেউ কি জানে ? হ্যাঁ, কেউ কিছু দান যদি করে থাকে, ভালো বংশে তার জন্ম হবে। এখন তোমরা সে’বিষয়ে খুব ভালো ভাবে জানতে পারো। এখন এর নাম হল – আদি দেব ব্রহ্মা, আদি দেবী সরস্বতী। সেখানে তারা তখন স্বর্গের মালিক হবেন। আচ্ছা এদের বাচ্চারাও সাথে রয়েছে। তারাও বলবে আমরা স্বর্গের মালিক হব। এটা তো নিশ্চিত। সূক্ষ্মলোকে তো তোমরা দেখে থাকো, দেবীদের মন্দির গুলিতেও অনেক মেলা বসে। কিন্তু জগদম্বা তো হলেন একজন। তাদের ফিচারর্সও তাহলে এক রকম হওয়া উচিত। মাম্মাকে তো তোমরা দেখছো। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের ফিচারর্স রয়েছে, তারপর তো নাম রাখা হয়েছে, কন্যা – কুমারী, অধর – কুমারী। তোমরা জানো যে, এই রকম আমরাই হতে যাচ্ছি। আমরা সবাই হলাম ব্রহ্মাকুমার – কুমারী। যুগলরাও বলে আমরা হলাম – ব্রহ্মাকুমার – কুমারী। এক বাবার বাচ্চা তোমরা সবাই । তোমাদেরই স্মৃতি চিহ্ন রয়েছে। তোমরা বসে এই নলেজ অন্যদেরকে দিয়ে থাকো। অর্থ সহ এই দিলওয়ারা মন্দির রয়েছে। কিন্তু তোমরাই এ’সব বোঝাতে পারো। তোমরা জানো যে, আমরা স্থাপনা করছি, রাজযোগের দ্বারা শ্রীমতের আধারে ভারতকে স্বর্গ বানাচ্ছি। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারনিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) জ্ঞান আর যোগের উপরে সম্পূৰ্ণ অ্যাটেনশন দিতে হবে । শোনার সময় অত্যন্ত শান্ত, একাগ্রচিত্ত হয়ে বসতে হবে। কর্মযোগীও হতে হবে।

২ ) বাবা আমাদের প্রকৃত গৃহের রাস্তা বলে দিয়েছেন, সেটা সকলকে বলতে হবে। স্বদর্শন চক্রধারী হওয়ার সাথে সাথে জ্ঞান – শঙ্খও বাজাতে হবে।

বরদানঃ-

“এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়” এই পাঠ নিরন্তর স্মরণে থাকলে স্থিতি একরস হয়ে যাবে। কেননা নলেজ তো সব পেয়ে গেছ তোমরা, অনেক পয়েন্ট রয়েছে, কিন্তু পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও পয়েন্ট রূপে থাকা – এটাই হল এই সময়ের বাহাদুরী যে সময় মানুষ একে অপরকে নীচে টেনে নামাচ্ছে। কখনো কোনো বিষয় টেনে ধরবে, কখনো কোনো ব্যক্তি, কখনো জিনিস, কখনো বায়ুমন্ডল… এ তো হবেই। কিন্তু সেকেন্ডে এই সব বিস্তার সমাপ্ত হয়ে গিয়ে একরস স্থিতি থাকবে – তখনই বলা হবে শ্রেষ্ঠ আত্মা ভব’র বরদানী ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top