03 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
2 January 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু, বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা কীভাবে হয়, দু'জনে একে অপরের নাভি থেকে কখন নির্গত হয়, এই রহস্য প্রমাণ করে বোঝাও"
প্রশ্নঃ --
কোন্ গুপ্তকথা সূক্ষ্ম-বুদ্ধিসম্পন্ন বাচ্চারাই বুঝতে পারে ?
উত্তরঃ -:-
আমাদের সকলের বড়-মা হলেন ব্রহ্মা, আমরা যাঁর মুখ-বংশজাত। এ বড়ই গুপ্ত কথা। ব্রহ্মার কন্যা হলেন সরস্বতী। তিনি হলেন সবচেয়ে বুদ্ধিশালী, বিদ্যার দেবী। বাবা জ্ঞানের কলস মাতাদের ওপর রেখেছেন। মাতাদের স্মরণ করে গান (লোরি) গাওয়া হয়। তারা সকলকে বুঝিয়ে বলুক যে বিশ্বে শান্তি কীভাবে (স্থাপিত) হতে পারে।
গান:-
ভোলানাথের থেকে অনুপম আর কেউ নেই…
ওম্ শান্তি । দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণতকারী অবশ্যই ভগবানকেই বলা হবে নাকি শঙ্করকে। ভোলানাথও শিবকেই বলবে নাকি শঙ্করকে। মাঝিও শিবকেই বলবে, শঙ্করকে নয়, না বিষ্ণুকে। মাঝি অথবা গডফাদার বললে বুদ্ধি নিরাকারের দিকে চলে যায়। ত্রিমূর্তির চিত্র তো প্রসিদ্ধ। গভর্নমেন্টের যে কোট অফ আর্মস্ (প্রতীক চিহ্ন) আছে, তাতে রয়েছে পশুর চিত্র। আর তার উপর লিখে দিয়েছে ‘সত্যমেব জয়তে’। এখন পশুর (চিত্রের) সাথে কোনো অর্থ সংযুক্ত হতে পারে না। গভর্নমেন্টের কোট অফ আর্মসের মোহর (স্ট্যাম্প) থাকে। যে’সমস্ত বড়-বড় রাজধানী আছে তাদের সকলের কোট অফ আর্মস্ আছে। ভারতে ত্রিমূর্তি হলো প্রসিদ্ধ। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর তাতে শিবের চিত্রকে সরিয়ে(অনুপস্থিত) দেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের জ্ঞানই নেই। গডফাদার বললে বুদ্ধি নিরাকারের দিকে চলে যাবে। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকরকে গডফাদার বলা যাবে না। গডফাদার হলো আত্মাদের। তিনি হলেন উচ্চ অপেক্ষাও উচ্চ। দেখানোও হয়ে থাকে উচ্চ থেকে উচ্চ হলেন ভগবান। এইরকম বলবে না যে সর্বোচ্চ হলেন ব্রহ্মা অথবা বিষ্ণু বা শঙ্কর। না, উচ্চ থেকেও উচ্চ হলেন একমাত্র ভগবান। তা সকলেই জানে। শিখরাও ওঁনার মহিমার গায়ন করে। গুরু নানকেরও এই জ্ঞান ছিল যে মানুষকে দেবতায় পরিণতকারী পরমপিতা পরমাত্মা ব্যতীত আর কেউ হতে পারে না। সত্যযুগে অবশ্যই দেবতারা থাকেন। কিন্তু দেবতাদের রচনাকার হলেন পরমাত্মাই। তিনি দেবতাদের কীভাবে রচনা করেন, তা জানে না। মহিমা কীর্তন করে যে পূতিগন্ধময় বস্ত্র(শরীর) পরিস্কার করে। যে মানুষেরা পূতিগন্ধময় ছিল তাদের দেবতায় পরিনত করেন। কিন্তু কখন বানিয়েছিলেন তা লেখা নেই। তোমরা অবশ্যই জানো যে এইসময় পরমাত্মা মানুষকে দেবতায় পরিণত করেন। অবশ্যই দুর্গতি থেকে সদ্গতি করেছিলেন, ভ্রষ্টাচারী থেকে শ্রেষ্ঠাচারী করেছিলেন। তোমরা বোঝাতে পারো, এই ভারতেই শ্রেষ্ঠাচারী দেবতারা ছিল। গুরু নানক যখন এসেছিলেন তখন তো ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া ছিল, তাই না! তবেই তো গায়ন করে। লক্ষ্মী-নারায়ণ প্রভৃতিদের চিত্র তো থাকে, তাই না! যাদের সাথেই এঁনাদের কম্পিটিশন হয়। গুরু গোবিন্দ সিং-এর জন্ম অতি ধুমধামের সঙ্গে পালন করে। তিনি হলেন শিখ ধর্মের প্রবর্তক। তিনি স্বয়ং বলেন, ভগবান হলেন নিরাকার-নিরহংকারী। তিনি এসে মানুষকে পতিত থেকে পবিত্র দেবতায় পরিণত করেন। শ্রীকৃষ্ণ মানুষকে দেবতায় পরিণত করতে পারে না। গীতাতেও রয়েছে যে আমি তোমাদের সহজ রাজযোগ শিখিয়ে শ্রেষ্ঠাচারী মহারাজা-মহারানী বানিয়ে দিই। পতিত-পাবন গডফাদারকেই বলা হয়ে থাকে। তিনি তো অবশ্যই ভ্রষ্টাচারী দুনিয়াতেই আসবেন। ওঁনাকে বলেন এসে পবিত্র করো। শ্রেষ্ঠাচারী তৈরী করেন তো অদ্বিতীয় নিরাকার বাবা, সর্বোচ্চ হলেন ভগবান তারপর হলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর – এ হলো পরমপিতা পরমাত্মার রচনা। যাঁর চিত্র তো নেই। এখন বাবা বোঝান বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মা বেরিয়েছে পুনরায় ব্রহ্মার নাভি থেকে বিষ্ণু কী করে বেরোবে – কারণ ব্রহ্মাই বিষ্ণু, বিষ্ণুই ব্রহ্মা হয়। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা পুনরায় সেই ব্রহ্মা-সরস্বতীই পরজন্মে বিষ্ণুর দুই-রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে পালনা করেন। তাহলে ব্রহ্মা-সরস্বতীই লক্ষ্মী-নারায়ণ। ব্রহ্মা বলবে আমরাই বিষ্ণুর দুই-রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ হই। আবার লক্ষ্মী-নারায়ণ বলবে আমরাই ব্রহ্মা-সরস্বতী তাহলে একে-অপরের নাভি থেকে বেরিয়েছি, তাই না! আমরাই দেবতা তারপর ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হয়েছি। এ অতি বুঝবার মতন বিষয়। বাবা বুঝিয়েছেন, যে ব্রহ্মার শরীরে আমি প্রবেশ করি তার ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়া কোনো রথ ইত্যাদির ব্যাপার নেই। ওইসব হলো মিথ্যা। এই সঙ্গমের সময় কারোর জানা নেই। মানুষকে ঘোর অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। কলিযুগের আয়ু এত লক্ষ-লক্ষ বছরের। সত্যযুগের আয়ু এত। এমন-এমন কথা শুনিয়ে ঘোর অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। বাবা বলেন – আমি সেই বাচ্চাদের সামনে আসি যারা আমায় চেনে। বাকিরা তো আমায় চেনেই না। ওরা বুঝবেও না যে ইনি কে ? কোনো বড় সভায় গেলে তখন ওরা বুঝবে নাকি! তোমাদের মধ্যেও অতি কষ্টে কেউ বোঝে। প্রতি মুহূর্তে ভুলে যায়। ইনি হলেন বড়-র থেকেও বড় সর্বোচ্চ অথরিটি। দেখো, পোপের কত রিগার্ড রাখে। পোপ কে ? তিনি হলেন খ্রিস্টান ঘরানার। এ হলো অন্তিম জন্ম। খ্রাইস্টের সময় থেকে পুনর্জন্ম নিতে-নিতে এখন তমোপ্রধান অবস্থায় রয়েছে। সকলেই পতিত। একে-অপরকে দুঃখ দিতেই থাকে। বাবা বলেন – এ হলো পূর্ব-নির্ধারিত খেলা। তাহলে উচ্চ থেকেও উচ্চ হলেন নিরাকার ভগবান তারপর হলো ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা হয়। যার দ্বারা স্থাপনা হয় তার দ্বারাই পালনা হবে। তাই এই ব্রহ্মা-সরস্বতীকে আবার লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণই এখন এসে ব্রহ্মা-সরস্বতী হয়েছে। এরা হলো প্রজাপিতার মুখ-বংশজাত। কৃষ্ণকে প্রজাপিতা বলা যাবে না। এঁনার নামই হলো প্রজাপিতা ব্রহ্মা। ব্রহ্মার মাধ্যমে অবশ্যই ব্রাহ্মণ চাই। বাবা বলেন, ব্রহ্মাকে অ্যাডপ্ট করি, আমার ওঁনাকেই ব্রহ্মা বানাতে হবে, যে ৮৪ জন্ম ভোগ করে এখন অন্তিম জন্মে রয়েছে। ব্রহ্মা তো একজনই হবে তাই না! ইনি নিজের জন্মকে জানেন না তাই যেমন ব্রহ্মাকে বসে থেকে বোঝান তাহলে অবশ্যই ব্রাহ্মণও থাকবে। ব্রাহ্মণ হলো ব্রহ্মার মুখ-বংশজাত। এ’সব হলো অ্যাডপ্টেড চিল্ড্রেন কুমার-কুমারী। অবশ্যই প্রজাপিতার মুখবংশীয় হবে। এ হলো অতি বুঝবার মতন বিষয়। তিনি স্বয়ং বুঝিয়ে থাকেন যে আমাকে অনেক জন্মের অন্তে আসতে হয়। সত্যযুগের সবচেয়ে প্রথমে এই লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলেন। অবশ্যই তারা ৮৪ জন্ম নিয়েছিলেন। অন্যেরা অবশ্যই কম নিয়েছিল। এই ব্রহ্মা-সরস্বতীই পরে বিষ্ণু যুগল(লক্ষ্মী-নারায়ণ) হবে। তাহলে এ কত বুঝবার মতন বিষয়। সর্বপ্রথমে এই নিশ্চয় চাই যে এই নলেজ কৃষ্ণ দিতে পারে না। আচ্ছা, পুনরায় গায়নও করে যে তুমিই পূজ্য, তুমিই পূজারী। ভক্তিমার্গে পূজারী, জ্ঞানমার্গে পূজ্য হয়। বিষ্ণুর দুই-রূপ বরাবরই পূজ্য ছিল। পুনরায় এই ব্রহ্মাই পূজারী হয়ে বিষ্ণুর পূজা করতেন। বলতেন – আমিই সেই বিষ্ণুর পূজারী ছিলাম। এখন আমিই সেই বিষ্ণু পুনরায় পূজ্য হতে চলেছি, তত্বতম্। একেই গুপ্ত থেকেও গুপ্ত কথা বলা হয়। ব্রহ্মা কোথা থেকে এসেছেন ? বিষ্ণু কোথায় গেছেন ? তা তোমরাই জানো। বিষ্ণুর দুই-রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণকে ৮৪ জন্ম পূর্ণ করে অন্তে পতিত হতেই হবে। ডিনায়েস্টিই (সাম্রাজ্য) যখন পতিত হয়ে গেছে তখন আমিই এসে স্থাপনা করি আর সব ধর্মকে সমাপ্ত করে দিই। পুনরায় সহজ রাজযোগ শিখিয়ে শ্রেষ্ঠাচারী দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করি, বাকি যে ভ্রষ্টাচারী ধর্ম রয়েছে সেই সবের বিনাশ করে দিই। রাম-রাজ্যে দ্বিতীয় কোনো ধর্ম থাকে না। এখন সব ধর্মই আছে। ভারতের প্রকৃত ধর্ম নেই, তা এখন স্থাপিত হতে চলেছে। চিত্রও রয়েছে। ত্রিমূর্তির উপর শিবও রয়েছে। ব্রহ্মা-সরস্বতী তথা লক্ষ্মী-নারায়ণ, তাঁরাই রাধা-কৃষ্ণ ছিল। রাধা নিজের রাজধানীতে ছিল। আর কৃষ্ণ নিজের রাজধানীতে ছিল। জ্ঞানের বীণা রাধার কাছে ছিল না। সরস্বতী জ্ঞানের দ্বারা ভবিষ্যতে রাধা হয়েছেন। সরস্বতীকে গডেজ অফ নলেজ বলা হয়ে থাকে। অবশ্যই বাবার দ্বারাই তার জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে। সরস্বতী হলো ব্রহ্মার কন্যা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা থাকলে তো জগদম্বাকেও চাই। বাস্তবে এ হলো গুপ্ত কথা। বড় অম্বা তো হলেন এই ব্রহ্মা। এঁনার দ্বারা জ্ঞান প্রদান করেন মাতা’দেরকে। তাকে জ্যেষ্ঠ কন্যা জগদম্বা বলা হয়ে থাকে। ব্রহ্মার মুখ দ্বারা অ্যাডপ্ট হও তোমরা, তাহলে তো উনি হয়ে গেলেন মাতা। তীক্ষ্ণ অপেক্ষাও তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন হলেন ব্রহ্মার কন্যা সরস্বতী। তিনি কোথা থেকে এসেছেন ? ব্রহ্মার তো স্ত্রী নেই। তিনি হলেনই প্রজাপিতা। তাহলে উনি হলেন মুখবংশীয়, এই ড্রামাও হলো অনাদি পূর্ব-নির্ধারিত। গডেজ অফ নলেজ হলেন সরস্বতী। এখন রিলীজিয়স কনফারেন্স হয়, সেখানে নিরাকার শিববাবা তো যেতে পারেন না। ব্রহ্মাকেও বসানো যাবে না। এ হলো মাতাদের মহিমা। সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রধান মাতা হওয়া উচিত। সকলের মাতা জগদম্বা বসে লোরী শোনাবেন, বাচ্চার জন্মই হয় মায়ের দ্বারা। জগদম্বা তো সকলেরই মা, তাহলে সকলকেই ওনার সামনে মাথা নত করতে হবে। মা বোঝাতে পারে — এই ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া শ্রেষ্ঠাচারী কীভাবে হবে বা এই ভারতে শান্তি কীভাবে স্থাপিত হবে। রাবণ-রাজ্যে শান্তি থাকতে পারে না। শান্তি কোথা থেকে পাওয়া যায় তা মাতাই বোঝাতে পারে। শান্তিধাম হলো নির্বাণধাম। এ হলো দুঃখধাম, সত্যযুগ হলো সুখধাম। বরাবর সত্যযুগে এক রাজ্য ছিল। সুখ-শান্তি, পবিত্রতা সবকিছু ছিল। এখন নেই। তাহলে অবশ্যই ড্রামা সম্পূর্ণ হবে। (কল্প) বৃক্ষের আয়ুও সম্পূর্ণ হয়েছে। দেবতাদের ৮৪ জন্মও পূর্ণ হয়েছে। ৮৪ লাখ জন্ম তো হতে পারে না। ইসলাম, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এত বছর হয়েছে তাহলে আবার ৮৪ লাখ জন্ম কিভাবে হবে ? বালক, যুবক, বৃদ্ধ হতে সময় লাগে। ৮৪ লক্ষ জন্ম হলে তো আবার লম্বা-চওড়া কল্প হয়ে যায়। তাহলে এই মাতা বোঝাবে যে তোমাদের পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে কি সম্বন্ধ। তিনি তো হলেন ফাদার, রচয়িতা, তাই না ! প্রথমে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে রচনা করেন তারপর ব্রহ্মার দ্বারা মনুষ্য সৃষ্টি রচনা করেন। এমন নয় কোনো নতুন দুনিয়া রচনা করেন। যদি এমন হয় তবে তো মানুষ এইরকম বলবে না যে পতিত-পাবন এসো। এইসময় সমগ্র দুনিয়াই অপবিত্র, সকলেরই দুর্গতি প্রাপ্ত হয়েছে। স্মরণ করতে থাকে যে ও গড ফাদার কৃপা করো ! আমাদের এই মায়াবী দুঃখ থেকে মুক্ত করো। তাহলে তিনি আবার দুঃখ দেবেন কীভাবে ! দুঃখপ্রদানকারী অবশ্যই অন্য কেউ। সত্যযুগে যখন এক ধর্ম ছিল আর সকল ধর্মের আত্মারা নির্বাণধামে ছিল। এখন তো সমস্ত আত্মারাই এখানে, তাহলে অবশ্যই বাবাকে পুনরায় এসে এক ধর্মের স্থাপনা করতে হবে। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, পুনরায় সেই ব্রহ্মাই বিষ্ণু হয়। তারপর বিষ্ণুর নাভি থেকেই ব্রহ্মা উৎপত্তি হয়। ওঁনার দ্বারাই বসে-বসে জ্ঞান প্রদান করি যাতে পুনরায় দেবতা হয়ে যায়। রাজযোগ শেখে। বাকি জগতের মানুষ যে অনেক চিত্র তৈরী করেছে, সে’সকল হলো লোক-কাহিনী। মুখ্য কথা হলো গীতা-মাতার ভগবান কে ? বোঝাতে হবে যে পরমপিতা পরমাত্মা জন্ম দেন বিষ্ণুর। ব্রহ্মাকেও তো জন্ম দেবেন, তাই না! ওঁনারা তো সত্যযুগের দেবতা। ব্রহ্মা কোথাকার ? অবশ্যই কলিযুগের হবে। অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম অবশ্যই দেবতাদেরই হবে। যারা শ্রেষ্ঠাচারী ছিল তারাই এখন ভ্রষ্টাচারী। দুই যুগে সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয়দের রাজ্য। ৪ ভাগ রয়েছে। লক্ষ-লক্ষ বছরের কথাই নেই। কথিত রয়েছে, খ্রাইস্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিল। এ’সব ভালভাবে বোঝাতে হবে। বাবা বলেন, এরা সকলে হলো অ্যাডপ্টেড চিল্ড্রেন(দত্তক সন্তান)। এখন বিনাশ সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভ্রষ্টাচারী ভারতকে কোনো মানুষ শ্রেষ্ঠাচারী করতে পারে না। বাবা বুঝিয়েছেন যে যখন দেবতারা বাম-মার্গে যায় তখন এই সন্ন্যাসীরা পবিত্রতার বলে ভারতকে (দ্রুত বিকারে যাওয়া থেকে) থামিয়ে রাখে। এইসময় তো সকলেই পতিত হয়ে গেছে। নদী তো সাগর থেকে বেরোয়, নদীকে পতিত-পাবনী বলে তাতে স্নান করে। এখন নদী তো সব জায়গাতেই রয়েছে। নদী কীভাবে পতিত-পাবনী হতে পারে। পতিত-পাবন তো হলো একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মাই। এখানে তো জ্ঞান গঙ্গাদের চাই যারা মানুষকে ভ্রষ্টাচারী থেকে শ্রেষ্ঠাচারী বানাবে – সহজ রাজযোগের দ্বারা। বাবা বলেন — আমি সর্বশক্তিমান, আমার সঙ্গে যোগযুক্ত হলেই সমস্ত বিকর্ম বিনাশ হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) সর্বাপেক্ষা বড়-র থেকেও বড় অথরিটি হলেন বাবা, তাকে যথার্থরূপে চিনে তাঁর রিগার্ড (সম্মান) রাখতে হবে। পুরোপুরি ওঁনার শ্রীমতানুসারে চলতে হবে।
২ ) বাবা জ্ঞানের কলস মাতাদেরকে দিয়েছেন, তাদের অগ্রে রাখতে হবে।
বরদানঃ-
ডবল লাইটের অর্থ হলো সবকিছু বাবাকে অর্পণ করা। শরীরও আমার নয়। এই শরীর সেবার্থে বাবা দিয়েছেন। তোমার তো প্রতিজ্ঞা রয়েছে যে তন-মন-ধন সবকিছু তোমার(বাবার)। যখন শরীরই আপন নয় তখন বাকি আর কি রইল। তাই সদা কমলফুলের দৃষ্টান্ত যেন স্মৃতিতে থাকে যে আমি কমলফুলের সমান পৃথক এবং প্রিয়। এ’রকম পৃথক হয়ে অবস্থানকারীদের পরমাত্ম প্রেমের অধিকার প্রাপ্ত হয়ে যায়।
স্লোগানঃ-
লভলীন (প্রেমবিভোর) স্থিতির অনুভব করুন
তোমাদের নয়নে এবং মুখের প্রতিটি কথায় যেন বাবা সমাহিত থাকে। তবেই তোমাদের শক্তিশালী স্বরূপ দ্বারা সর্বশক্তিমান নজরে আসবে। যেমন স্থাপনার আদিতে ব্রহ্মা-রূপে শ্রীকৃষ্ণ দৃশ্যমান হতো, বাচ্চারা তেমনভাবেই তোমাদের দ্বারা যেন সর্বশক্তিমান প্রত্যক্ষ হয়।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!