03 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

03 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

2 December 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সকালে উঠে শিববাবাকে গুডমর্নিং অবশ্যই করো, উঠেই যেন শিববাবা স্মরণে আসেন, কোনো দেহধারী নয়”

প্রশ্নঃ --

কোন্ কন্ট্রাক্ট এক বাবা ব্যতীত অন্য কেউ হাতে নেয় না ?

উত্তরঃ -:-

পবিত্র দুনিয়া বানানোর কন্ট্রাক্ট একমাত্র বাবার। এই কন্ট্রাক্ট অন্য কারোর দ্বারা পরিচালিত হয় না। সন্ন্যাসী পবিত্র হয়ে এই দুনিয়াকে যদিও পতনের দিকে এগিয়ে চলা থেকে থামিয়ে রাখে কিন্তু তারা পবিত্র দুনিয়া বানানোর কন্ট্রাক্ট নিজের হাতে নেয় না। বাবা বাচ্চাদেরকে পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দেন। বাচ্চারা, ব্যবসা ইত্যাদি করাকালীন এক পিতাকে স্মরণ করো। এক বাবার সাথে বুদ্ধির যোগ লাগাও।

গান:-

কে এলো আজ সকাল বেলায়..

ওম্ শান্তি । রূহানী বাচ্চাদেরকে বসে বাবা বোঝাচ্ছেন। যদি শিব ভগবানুবাচ বলা হয় তবুও শিব নামের অনেক মানুষ থাকে তাই বলতে হয় রূহানী পিতা অর্থাৎ আত্মাদের পিতা আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে সর্ব প্রথমে স্মরণ-স্নেহ দিচ্ছেন। সকালে সর্বপ্রথমে গুডমর্নিং করা হয়। তোমরাও গুডমর্নিং শুনলে। সকাল সকাল কে এসে গুডমর্নিং করে। একমাত্র বাবা আসেন সকালবেলায়। এটা হল অসীমের সকাল ও রাত, যা কোনো মানুষ জানে না। বাচ্চাদের মধ্যেও নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী জানে। যদিও নিজেকে সন্তান রূপে পিতাকে স্বীকার করেছে তবুও সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ করে না। সকালে উঠে সর্ব প্রথমে শিববাবাকে গুডমর্নিং করলে অর্থাৎ স্মরণ করলে অনেক খুশীতে থাকবে, কিন্তু অনেক বাচ্চারা আছে যারা সকালে উঠে বাবাকে একেবারেই স্মরণ করে না। ভক্তিমার্গেও মানুষ সকালে উঠে ভক্তি করে, পূজা করে, মালা জপ করে, মন্ত্র জপ করে। তারা সাকার রূপের ভক্তি করে। মূর্তি সামনে এসে যায়। শিবের পূজারী যারা হয় তাদেরও বিশাল শিবলিঙ্গের মূর্তি স্মরণে আসবে। সেটা হল ভুল। এখন তো বাচ্চারা তোমাদের নিজেদেরকে আত্মা নিশ্চয় করতে হবে এবং সকালে উঠে বাবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। বাবা গুডমর্নিং ! কিন্তু বাবা জানেন – এই অভ্যাস এখনও কারো পাকা হয় নি। বাবা বলেন – বাচ্চারা তোমাদের মাথার উপরে অর্ধেক কল্পের বোঝা আছে, সেসব নামেও না। কারণ স্মরণই করে না। কারো তো আরও পাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। যেমন ইঁদুর ফুঁ দিয়ে অবশ করে দেয় তারপরে কামড় দেয়। মায়াও ইঁদুরের মতন কামড় দেয়। মাথার চুল কেটে দেয়, জানতেও পারে না। কেউ যতই নিজেকে জ্ঞানী ভাবুক না কেন তবু বাবা ভালো ভাবেই জানেন যে স্মরণে খুবই কাঁচা। নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে আমরা সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ করি ? অসীম জগতের বাবা তোমাদের সঙ্গে অসীমের সকাল বেলায় এসে মিলিত হয়েছেন। সন্ন্যাসীরাও উঠে ব্রহ্মকে স্মরণ করে থাকে । মানুষ উঠেই আত্মীয় পরিজন, বন্ধুবান্ধবদের স্মরণ করে। কোনো ভক্ত তার ইষ্ট দেবতাকে স্মরণ করবে। পাপ আত্মারা, পাপ আত্মাদেরকে গুডমর্নিং করবে বা স্মরণ করবে। স্মরণ করতে হয় সকালে। ভক্তিও সকালেই করে, কিন্তু ভগবানের ভক্তি কেউ করে না। কারণ ভগবানকে কেউ জানে না। অথচ বলে যে, ভক্তির ফল দেন ভগবান। ও গড ফাদারও বলে। এই কথা আত্মা বলে কিন্তু পরমাত্মাকে কেউ যথার্থ ভাবে জানেনা। যখন ভগবান স্বয়ং এসে নিজের পরিচয় দেন তখন এই কথা জানবে। নাহলে সবাই নেতি-নেতি বলে আমরা জানেনা) । অতএব পরমাত্মা এই সময়েই এসে বলেন – আমি কে ? কিন্তু বাচ্চাদের মধ্যেও অনেকে আছে, বড় বড় মহারথী যারা সেন্টারের রক্ষণাবেক্ষণ করে তারাও বাবাকে সম্পূর্ণ রূপে জানেনা। সেই ভালবাসা সহকারে স্মরণ করে না। সকালে উঠে ভালোবেসে গুডমর্নিং করা, জ্ঞানের চিন্তনে থাকা, সেসবও করে না। স্মরণ করলে খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে, কিন্তু মায়া তা হতে দেয় না। যদি কখনও বাবার সঙ্গে অমর্যাদা সূচক ব্যবহার করো, তবে মায়া একদম বুদ্ধিযোগ ব্রেক করে দেবে। তখন ব্যর্থ কথায় বুদ্ধি যুক্ত হয়ে থাকবে। স্বর্গের মালিক হওয়া কোনো মাসীর বাড়ি যাওয়ার মতো সহজ নয়। প্রজা হওয়া তো খুব সহজ। তোমরা ভবিষ্যতে দেখবে – ৩০-৪০ বছরের পুরানো আত্মারাও ভেঙে পড়ছে। মায়া একেবারে উড়িয়ে দেবে। রাজত্ব পদের অধিকারী হতে পারবে না। প্রথমেই মারা গেলে রাজত্ব পদ পাবে কীভাবে। এই রহস্যটি বাবা খুলে বলেন না। মায়াও দেখে আমি অর্ধেক কল্প রাজত্ব করি, এরা আমাকে পরাজিত করবে। তখন শিববাবাকে একদম ভুলে যায়। কোথাও আবার ব্রহ্মা বাবার নাম-রূপে আটকে যায়। শিববাবাকে স্মরণ করে না। যাদের মধ্যে ক্রোধ, লোভ, মোহের ভূত থাকবে তারা কীভাবে বাবাকে স্মরণ করবে। নাম-রূপে অনেকে আটকে যায় সে কথা আর বলবার নয়। দেহ-অভিমানে ঝুলে থাকে। শিববাবা বলেন ঘরে গৃহস্থে থেকে প্রিয়তমকে স্মরণ করতে থাকো, তবে কর্মাতীত অবস্থা হবে। মুখ্য কথা হল স্মরণের, এতেই পরিশ্রম আছে। স্মরণ ব্যতীত সতোপ্রধান হতে পারবে না, উঁচু পদও প্রাপ্ত হবে না। বুদ্ধি অন্য দিকে যুক্ত থাকবে। অনেক বাচ্চারা অন্তর থেকে স্নেহ ভালোবাসার সাথে বাবাকে স্মরণ করে। বাবাকে গুডমর্নিং করে বলা উচিত – বাবা, আমরা তোমার স্মরণে থাকি কারণ মাথায় পাপের অনেক বোঝা আছে। যদি বাবার স্মরণে না থাকবে তাহলে পাপের বোঝা নামবে কীভাবে। অর্ধেক কল্প দেহ-অভিমান ছিল তাই নষ্ট হতে চায় না। দেবতারা সেখানে আত্ম অভিমানী থাকে। যদিও পরমাত্মাকে জানে না। দেবতারা জানে আমরা আত্মা, আমরা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য দেহ গ্রহণ করি। রচয়িতাকে যদি জানবে তাহলে রচনা, বাবার সম্পত্তির কথাও জানবে। সেখানে এই নলেজ থাকে না। বাবা বলেন এই নলেজ আমি তোমাদের প্রদান করি। তারপরে এই জ্ঞান প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। এই জ্ঞান পরম্পরা অনুযায়ী চলবে এমন জ্ঞান নয়। না আত্মাকে জানে, না পরমাত্মাকে। এখন তোমরা জানো সব আত্মাদের কীভাবে নিজের নিজের পার্ট প্রাপ্ত হয়ে আছে। সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ পার্টধারী হলে তোমরা। এই সময় তোমরা এই বিশ্ব মাঝে নিজের রাজত্ব কায়েম কর। হিরো এন্ড হিরোইনের পার্ট তোমাদেরই। মুখ্য কথা হল বাবাকে স্মরণ করার। বাবা জানেন প্রদর্শনীতে অনেকে খুব ভালো সার্ভিস করে, কিন্তু স্মরণে দুর্বল থাকে। বুদ্ধি নেই যে কীভাবে সকালে উঠে বাবাকে গুড মর্নিং করা উচিত। যদিও বিষয় গুলোতে চিন্তন করে। সে তো কমন কথা। টপিক্স তো রোজ নতুন বের করে বোঝানো যায়, কিন্তু মুখ্য কথা হল বাবাকে ভালোবেসে স্মরণ করা, তাহলে পাপ বিনষ্ট হবে।

বাবা জানেন বাচ্চাদের এমন অবস্থা এখন হয়নি। বাবা নাম বলেন না। বাবা যদি নাম বলেন তাহলে পাই পয়সার যেটুকু অবস্থা আছে সেটিও কমে এক পাই হয়ে যাবে। এই জ্ঞানে বোধ শক্তি চাই। এমন নয় কেউ যদি বলে যে তোমাকে হলুদ দেখাচ্ছে, অসুখ করেছে, এই কথা শুনেই যেন জ্বর না আসে। এমন কাঁচা হবে না। সাহস থাকা উচিত। সার্ভিসেবল বাচ্চারা কি আর ভেঙে পড়তে পারে। তারা তো নিশ্চিন্ত থাকে। ব্যবসা ইত্যাদি করে বাবার স্মরণে থাকতে হবে। বাবাকে গুড মর্নিং করতে থাকা উচিত। খুব উঁচু এই লক্ষ্য। রাজ্য পদ পাওয়ার জন্য পরিশ্রমও করতে হবে। যারা কল্প পূর্বে পদ প্রাপ্ত করেছিল ভবিষ্যতে তারা জানতে পারবে। কেউ লুকিয়ে থাকবে না। স্কুলে টিচার স্টুডেন্টকে জানে এবং রেজিস্টারও রাখে। তাতেই জানা যায়। তাতে মুখ্য বিষয় থাকে ভাষার। এখানে মুখ্য বিষয় হল স্মরণের। নলেজ তো সহজ। বাচ্চারাও বোঝাতে পারে। ছোট বয়সে বুদ্ধি তীক্ষ্ণ থাকে – ধারণা করার জন্য। বৃদ্ধারা এত বোঝাতে পারে না। এখানেও কুমারীদের বাবা বেশি সম্মান দেন। শুধু নাম-রূপে আটকে উল্টো পথে চলে বুদ্ধি হীন না হয়। এই সময় সব মানুষ ই হল বোধ হীন উল্টো পথে চলছে। তাওপরে সোজা পথে চালিত হয়ে আল্লাহ-র সন্তান হয়ে যাবে। পরমাত্মাকে সর্বব্যাপী বলে সব মানুষ পরমাত্মার প্রতি বিমুখ হয়ে পড়েছে। সন্ন্যাসীরা নিজেরা নিজেদের পুজো করায়। নাহলে বলা উচিত যে তোমরা আমাদের কাছে ফুল ইত্যাদি অর্পণ কেন করো । সব সন্ন্যাসীদের গুরু বলে মেনে নেয়। তারা সন্ন্যাসী, ওরা গৃহস্থ তাহলে ফলোয়ার কীভাবে হয়। যখন সন্ন্যাসী হবে তখন ফলোয়ার্স বলা হবে। তাদেরকে কেউ বোঝাতেও পারবে না যে তোমরা নিজেদেরকে ফলোয়ার বলতে পারো না। বাবা কাউকে বলেন না তোমরা ফলোয়ার। যখন গ্যারান্টি করবে পবিত্র হওয়ার, তখন হয় কোনো কথা। যখন প্রতিজ্ঞা করে তখন নিজেরা লিখে পাঠায় কিন্তু যখন পতিত হয়, কুকর্ম করে তখন তো লেখে না, কারণ লজ্জা বোধ হয়। এই হল খুব ভারী আঘাত, তখন বাবার সঙ্গে আর বুদ্ধি যোগ লাগে না। পতিতদের তো ঘৃণা করি। বাবা বলেন বিষ গ্রহণ করে যারা, তারা খুব খারাপ। পবিত্র হওয়া তো ভালো তাইনা ! আমি এসে পবিত্র করার কন্ট্রাক্ট নিয়ে থাকি – যে আমরা পবিত্র দুনিয়া বানিয়ে দেখাবো। কল্প-কল্প আমাকে অর্থাৎ কন্ট্রাক্টরকে ডাকে যে , হে পতিত-পাবন এসো। দ্বিতীয় কেউ এমন কন্ট্রাক্টর হয় না। এক মাত্র আমার কাছেই এই কন্ট্রাক্ট আছে, আমিই পবিত্র দুনিয়া বানাবো। কল্প-কল্প আমি এসে এই কন্ট্রাক্ট পূর্ণ করি। সন্ন্যাসীদের এই কন্ট্রাক্ট প্রাপ্ত আছে যে, নিজেরা পবিত্র থেকে ভারতকে পতিত হওয়ার পথে পরিচালিত হওয়া থেকে থামিয়ে রাখতে হবে কারণ সবচেয়ে বেশি পবিত্র ভারত ই ছিল, যাকে স্বর্গ বলা হয়েছে। সেখানে দেবতারা ছিল সর্বগুণ সম্পন্ন, সম্পূর্ণ নির্বিকারী। তাদের মহিমা বর্ণনা করে। এই গায়ন অন্য কোনো দেশে হয় না। সেখানে চিত্র তো নেই। তারা স্বর্গের মালিক ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণকে গড-গডেজ বলা হয়। খুব ভালোবেসে পুরানো চিত্র গুলি কিনে রাখে। লর্ড কৃষ্ণের চিত্রও চায়। সবচেয়ে বেশি লর্ড কৃষ্ণকে পছন্দ করে।

বাচ্চারা, তোমাদের এই চিন্তা রাখতে হবে যে আমাদের সতোপ্রধান হতে হবে। মায়া অনেক হয়রান করে। একদম নাম রূপে আটকা পড়ে যায়। শিববাবাকে স্মরণ করে না। বাবা বার-বার বোঝান সর্বদা এই কথা বোঝো যে উনি শিববাবা, তিনি আমাদের বোঝাচ্ছেন। এই ব্রহ্মাবাবা কিছু বলেন না। তবুও শিববাবাকে ভুলে নাম-রূপকে স্মরণ করে। তাহলে তারা কি পদ পাবে ! প্রথমে তো শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। শিববাবা বলেন ভূত গুলোকে তাড়িয়ে দাও। দেহ-অভিমান ভাগাও। আমরা আত্মা এবং খুব মিষ্টি হতে হবে। বাবা বলেন – দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ গুলি ভুলে যাও। আমাকে স্মরণ করো। হাতে থাকুক কর্মে, মন স্মরণে…. আমি তোমাদের প্রিয়তম, অনেক পুরানো। এমন করে কেউ বোঝাতে আসবে না। বাবা স্বয়ং এসে তোমাদেরকে আত্মিক প্রিয়তমা বানিয়ে দেন। এখন তোমাদের আত্মা জানে যে আমাদের প্রিয়তম হলেন শিববাবা। তাঁর কাছে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হবে। এমন শিববাবাকে সকালে উঠে গুড মর্নিং করো, স্মরণ করো। যত স্মরণ করবে ততই পাপ বিনষ্ট হতে থাকবে। দেহ-অভিমান দূর হবে। এমন প্র্যাক্টিস করতে করতে সেই অবস্থায় স্থির হয়ে যাবে। স্মরণে বসে থাকবে, গ্রাহক এলে সেই দিকে খেয়াল থাকবে না। তখন তাদেরকেও বলতে হবে আমরা স্মরণে বসে ছিলাম। খুব আনন্দের, মজার ব্যাপার। গ্রাহকের সঙ্গে কেনা বেচা করে আবার বাবার স্মরণে থাকা। তোমাদেরকে কর্মাতীত হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। বাবা অনেক প্রকারের যুক্তি বলে দেন। বাবা ব্রহ্মার জন্য বলেন – এনার মাথায় অনেক দায়িত্ব (মামলা) । তোমরা তো অনেক সময় পাও – স্মরণ করার। বাবা দৃষ্টান্ত দেন – শিববাবাকে স্মরণ করে ভোজন করতে বসি যে আমরা দুইজনে খাবার খাচ্ছি তবুও ভুলে যাই। সবচেয়ে বেশি ঝঞ্ঝাট ব্রহ্মা বাবার উপরেই আছে। তোমাদের বাবার সঙ্গে অনেক ভালোবাসা থাকা উচিত। রাত্রি ১২ টার পরে এ. এম শুরু হয়। রাত্রিতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ো – তারপরে শীঘ্র উঠে স্মরণ করো। উঠেই বলো – “বাবা গুড মর্নিং”। অন্য কোনো দিকে যেন বুদ্ধি না যায় বাবা তো প্রত্যেকটি বাচ্চাকে জানেন। তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য বিশাল উপার্জন আছে। কল্প-কল্পান্তর এই জমা রাশি কাজে আসবে। কোনো ভূত আসা উচিত নয়। ক্রোধও কম নয়, মোহও খুব খারাপ। যতখানি সম্ভব বাবার স্মরণে বসে পবিত্র হতে হবে। যেমন বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, বাচ্চাদেরকেও হতে হবে কিন্তু সাগর তো এক টাই আছে তাই না। বাকি সব গুলোকে নদী বলা হবে। ক্রোধ হল সেকেন্ড নম্বরের শত্রু। খুব ক্ষতি করে দেয়। একে অপরের মন কলুষিত করে। লোভী মানুষও একে অপরের মনে দুঃখ দেয়। মোহের ভূত তো সর্বনাশ করে দেয়। মোহের কারণে শিববাবার স্মরণ ভুলে নিজের সন্তানদের স্মরণ করতে থাকবে। নষ্ট মোহ রা অচল অবস্থায় থাকে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) ভালো সার্ভিস করার সাথে মন প্রাণ দিয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। সকালে উঠেই ভালোবেসে বলতে হবে – “বাবা গুড মর্নিং”। কর্ম করাকালীন স্মরণের প্র্যাক্টিস করতে হবে।

২ ) কোনো দেহধারীর নাম-রূপে আটকে পড়বে না। জ্ঞানের চিন্তনে থাকতে হবে। ব্যর্থ কথা বলবে না।

বরদানঃ-

উত্তাল ঢেউয়ে ডুবন্ত আত্মা যেমন একটি ছোট্ট খরকুটো খোঁজে, ঠিক তেমনই দুঃখের একখানি ঢেউ আসতে দাও তখন দেখবে অনেক সুখ-শান্তির ভিখারি আত্মারা কষ্ট ভোগ করতে করতে তোমাদের কাছে উপস্থিত হবে। এমন তৃষ্ণার্ত আত্মাদের তৃষ্ণা মেটাতে নিজেকে অতীন্দ্রিয় সুখ বা শক্তির দ্বারা, সর্ব খাজানায় ভরপুর করো। সর্ব খাজানা এতখানি জমা থাকা উচিত যাতে নিজের স্থিতিও যেন স্থির থাকে আর অন্য আত্মাদেরও যেন সম্পন্ন করতে পারো।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top