03 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

2 April 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"সঙ্গমে আত্মাদের সাথে পরমাত্মার বিচিত্র মিলন"

আজ, অনেক বারের মিলিত হওয়া হারানিধি বাচ্চারা আবারও এসে মিলিত হয়েছে। বাবাও সেই পূর্ব পরিচয়েই বাচ্চাদের দেখছেন আর বাচ্চারাও সেই “অনেক বার মিলিত হওয়ার স্মৃতিতে” মিলিত হচ্ছে। এই মিলন আত্মা ও পরমাত্মা বাবার বিচিত্র মিলন। সারা কল্পে কোনও আত্মা এই স্মৃতিতে মিলিত হতে পারে না যে, পূর্বে অনেকবার মিলিত হওয়ার পর আবারও একবার তাঁর সাথে মিলিত হচ্ছে। যদিও সময় সময়তে এসে ধর্ম-পিতারা নিজেদের ফলোয়ার্সকে উপর থেকে নিচে নিয়ে এসেছে কিন্তু ধর্ম-পিতারাও এই স্মৃতিতে মিলিত হয় না যে, অনেক কল্প তারা পূর্বে মিলিত হওয়ার পর আবারও মিলিত হচ্ছে।

এই স্পষ্ট স্মৃতির দ্বারা পরমপিতা ব্যতীত কেউ আত্মাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে না। যদিও এই কল্পে প্রথমবার মিলিত হচ্ছে, কিন্তু পুরানো স্মৃতি, পুরানো পরিচিতি যা আত্মাদের মধ্যে সংস্কারের রূপে রেকর্ড হয়ে রয়েছে, সেই সংস্কারই ইমার্জ হয়ে যায় আর হৃদয় থেকে এই স্মৃতির আওয়াজ আসে – ইঁনি আমার সেই বাবা। বাচ্চারা বলে, তুমি আমার আর বাবা বলেন, তোমরা আমার। “আমার” সঙ্কল্প উৎপন্ন হওয়া মাত্র সেই সেকেন্ডে সেই শক্তিশালী স্মৃতির দ্বারা সঙ্কল্প থেকে নতুন জীবন আর নতুন জগৎ প্রাপ্ত হয়ে যায়। আর সদাসর্বদার জন্য “আমার বাবা” – এই স্মৃতিস্বরূপে স্থিত হয়ে যাও। যেরকম স্মৃতিস্বরূপ হয়েছ তো স্মৃতির রিটার্ণে সমর্থ-স্বরূপও তো হয়েছ। সমর্থ-স্বরূপ হয়েছ তো না, দুর্বল-স্বরূপ হওনি, তাই না? আর যে যত স্মৃতিতে থাকে, ততই সম্পন্নতার অধিকার আপনা থেকেই প্রাপ্ত করে। যেখানে স্মৃতি সেখানে সম্পন্নতা আছেই। সামান্যও বিস্মৃতি যদি হয় তো ব্যর্থ, হয় তা’ ব্যর্থ সঙ্কল্প হোক, বা বোল হোক বা কর্ম। সেইজন্য বাপদাদা সব বাচ্চাকে এই দৃষ্টিতে দেখেন যে প্রত্যেক বাচ্চা স্মৃতিস্বরূপ তথা সম্পন্ন (সমর্থ)। আজও পর্যন্ত তোমরা শুনছ ভক্তরা তোমাদের স্মরণ করছে। তোমাদের স্মৃতিতে নিয়ে এসেছ “আমার বাবা” তো ভক্ত আত্মাও এটাই স্মরণ করছে আমার ইষ্ট দেব বা দেবী। যেভাবে তোমরা তোমাদের হৃদয়ের গভীর ভালোবাসায় বাবাকে স্মরণ করেছ, ভক্ত আত্মারাও ঠিক ততটাই তোমরা সব ইষ্ট আত্মাকে হৃদয়ের গভীর ভালোবাসায় স্মরণ করে। তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মার মধ্যেও কেউ কেউ হৃদয়ের স্নেহের সম্বন্ধে স্মরণ করে আর অন্যরা নলেজের আধারে মস্তিষ্ক দ্বারা সম্বন্ধ অনুভব করার বারংবার প্রচেষ্টা চালায়, যেখানে হৃদয়ের স্নেহ আর সম্বন্ধ অতি প্রিয় অর্থাৎ সমীপ সেখানে স্মৃতি ভুলে যাওয়া মুশকিল। যেখানে সম্বন্ধ শুধু নলেজের আধারে, কিন্তু হৃদয়ের অটুট স্নেহ নেই, সেখানে স্মরণ কখনো সহজ, কখনো কঠিন হয়। যেমন শরীরের শিরায় শিরায় ব্লাড সমাহিত হয়ে আছে, সেইরকম আত্মাতে প্রতিনিয়ত অর্থাৎ প্রতি মুহূর্ত স্মরণ সমাহিত হয়ে আছে। একে বলে হৃদয়ের স্নেহ সম্পন্ন নিরন্তর স্মরণ। যেমন, ভক্ত আত্মারা বাবার জন্য বলে – যেখানেই দেখি, শুধুই তুমিই তুমি। ঠিক সেইরকমই বাবার স্নেহী সমান আত্মাদের যে দেখবে সেই যেন অনুভব করে যে, এঁদের দৃষ্টিতে, বোলে, কর্মে পরমাত্মা বাবাই অনুভূত হন। এমন আত্মাদের বলে স্নেহী তথা বাবা সমান। তাহলে, স্মৃতিস্বরূপ তো তোমরা সবাই, তোমাদের সবার সম্বন্ধও আছে, সবার অধিকারও আছে, কারণ বাবা আর বাচ্চার সম্বন্ধতে সবার ফুল (full) অধিকার আছে। সবাই বলে আমার বাবা। কেউ বলে না আমার বাবা, আমার কাকা। অধিকারের সম্বন্ধ হওয়ার কারণে সর্বপ্রাপ্তির উত্তরাধিকারের অধিকারী হও তোমরা। যদি বা তোমরা ৫০ বছরেরও হও, অথবা ৬মাসের, ‘আমার’ বলায় অধিকারী তো হয়েই গেছ। কিন্তু কীসে প্রভেদ হয়? বাবা তো সবাইকে একইরকম অধিকার দেন, কারণ তিনি সবাইকে অক্ষয় উত্তরাধিকার দেওয়ার দাতা। শুধুমাত্র আড়াই লাখ কেন, যদি সব আত্মাও অধিকারী হয়, তার থেকেও সংখ্যাতীত ধন-ভান্ডার বাবার কাছে আছে। সুতরাং তিনি কম কেন দেবেন? তাইতো দাতা সবাইকে এক রকমই দেন কিন্তু তারতম্য হয় গ্রহীতার মধ্যে। কেউ কেউ উত্তরাধিকারের এবং ধনভান্ডারের প্রাপ্তি সময় অনুসারে নিজের জন্য কিংবা সেবার জন্য কার্যে প্রয়োগ করে তার লাভ অনুভব করে, সেইজন্য বাবার ধনভান্ডারকে আপন ধনভান্ডার বানিয়ে নেয়, অর্থাৎ নিজের মধ্যে সমাহিত করে নেয়, তাইতো সব ধনভান্ডার ইউজ করার অনুভব থেকে খুশি আর নেশায় থাকে। শুদ্ধ নেশা, উল্টো ধরণের নয় ! আর অন্যান্যদের ধনভাণ্ডারের প্রাপ্তি হয় – তারা এই খুশিতে থাকে – এটা আমার। কিন্তু শুধুমাত্র আমার, তা’ কার্যে প্রয়োগ করে না। কোনও অমূল্য বস্তুকে শুধু নিজের কাছে স্টকে জমিয়ে রেখেছে, কিন্তু শুধু জমা করার আর ইউজ করার অনুভূতিতে প্রভেদ আছে। কার্যে যত বেশি ব্যবহার হয়, ততই আরও শক্তি বাড়ে, তারা সদা করে না, কখনো কখনো করে, সেইজন্য যারা সদা করে আর যারা কখনো কখনো করে তাদের মধ্যে প্রভেদ হয়ে যায়। কার্য-ব্যবহারের বিধি ইউজ করে না। সুতরাং দাতা পার্থক্য করেন না, গ্রহীতাদের মধ্যে তারতম্য হয়ে যায়। তোমরা সবাই কে? কার্যে প্রয়োগকারী নাকি শুধু জমা দেখে খুশি হও? তোমরা প্রথম নম্বরের নাকি দ্বিতীয় নম্বরের?

বাপদাদা তো খুশি হন যে তোমরা সবাই নম্বর ওয়ান, নাকি এই সময়ে নম্বর ওয়ান? বাপদাদা সবসময়ই বলেন সদা বাচ্চাদের মুখে গোলাপজাম হোক। তোমরা যা বলো সেটা করা মানে মুখে সদা গোলাপজাম। দুনিয়ার লোকে বলে মুখে গোলাপ। কিন্তু গোলাপে মুখ মিষ্টি হবে না, সেইজন্য গোলাপজাম যদি সদা তোমাদের মুখে থাকে তাহলে সদাই এইভাবে হাসতে থাকবে। আচ্ছা !

নতুন নতুন অনেকে আবারও মিলনের জন্য এখানে পৌঁছে গেছে। যারাই এই কল্পে আবারও মিলন উদযাপন করছে, সেই বাচ্চাদের জন্য বাপদাদা বিশেষ স্নেহের বরদান দেন যে, সদা নিজের মস্তকে বাবার হাত অনুভব করে চলো। যার মাথার উপরে বাবার হাত আছে, সে সদা এই বরদানের অনুভবে সব বিষয়ে সেফ। এই বরদানের হাত সব বিষয়ে তোমার সেফটির সাধন। সর্বাপেক্ষা বড় সিক্যুরিটি এটাই।

নিমিত্ত হওয়াতে সব টিচারের নির্ভীকতা দেখে বাপদাদা খুশি। নির্ভীকতা বজায় রেখে তোমরা তো নিমিত্ত হয়েই যাও, তাই না? টিচার নিমিত্ত হওয়া অর্থাৎ অসীম স্টেজে হিরো পার্ট প্লে করা। যেমন সীমাবদ্ধ স্টেজে হিরো পার্টধারী আত্মার দিকে সবার বিশেষ অ্যাটেনশন থাকে, সেইরকমই যে আত্মাদের তোমরা নিমিত্ত হও, বিশেষভাবে তারা এবং জেনারেল সব আত্মা নিমিত্ত হওয়া টিচারদের সেই দৃষ্টিতে দেখে। সবার বিশেষ অ্যাটেনশন থাকে তো না ! সুতরাং টিচারদের নিজেদের মধ্যেও বিশেষ অ্যাটেনশন রাখা উচিত, কারণ সেবায় হিরো পার্টধারী হওয়া অর্থাৎ হিরো হওয়া। আশীর্বাদও টিচারদের বেশি প্রাপ্ত হয়। যত আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়, ততো নিজের প্রতি লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। ড্রামা অনুসারে এটাও বিশেষ ভাগ্য। সুতরাং সদা এই প্রাপ্ত হওয়া ভাগ্যকে বাড়িয়ে চলো। একশ’থেকে হাজার, হাজার থেকে লক্ষ, লক্ষ থেকে কোটি, কোটি থেকে পদম্, পদম্ থেকেও পদ্মাপদম – সদা এই ভাগ্যকে বৃদ্ধি করে এগিয়ে যেতে হবে। একেই বলে, যোগ্য আদর্শ টিচার। বাপদাদা নিমিত্ত হওয়া বাচ্চাদের অবশ্যই স্মরণ করেন এবং সদা অমৃতবেলায় “বাঃ বাচ্চারা বাঃ” এই আশীর্বাদ দিয়ে থাকেন। সেবাধারীরা শুনেছ? টিচার্স মানে নম্বর ওয়ান সেবাধারী। আচ্ছা !

চারিদিক থেকে আগত যারা অনেক কল্প স্বতন্ত্র ও অনুপম এবং মধুর মিলন উদযাপন করে, সদা প্রাপ্ত হওয়া অবিনাশী উত্তরাধিকারের সমুদয় ভান্ডারকে সময় অনুসারে কার্যে প্রয়োগ করে, সদা হৃদয় দিয়ে অতি স্নেহী আর বাবা সমান হয়ে স্বয়ং-এর মাধ্যমে বাবার অনুভব করায়, সদা স্মৃতিস্বরূপ তথা সম্পন্নস্বরূপ হয় ভক্তের দ্বারা, সদা নিজের প্রাপ্ত ভাগ্যকে বিতরণ করে অর্থাৎ ভাগ্যবৃদ্ধি করে – সেইরকম মাস্টার দাতা সম্পন্ন বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

ডবল বিদেশি ভাই-বোনেদের সাথে গ্রুপ ওয়াইজ সাক্ষাৎ :-

১) সবাই তোমরা নিজেদের অনেক অনেক ভাগ্যবান মনে করো? কারণ কখনো তোমরা স্বপ্নেও সঙ্কল্প করনি যে, এমন শ্রেষ্ঠ আত্মা হবে, কিন্তু এখন তোমরা সাকারে হয়েছ ! দেখ, কোথা কোথা থেকে বাপদাদা রত্নরাজি বাছাই করে, রত্নের মালা বানিয়েছেন। ব্রাহ্মণ পরিবারের মালায় গাঁথা হয়ে গেছ। কখনো মালা থেকে বাইরে বেরিয়ে যাও না তো? যে কোনও মালার বিশেষত্ব আর সৌন্দর্য কিরকম হয়? দানার সাথে দানা মিলেমিশে থাকে। যদি মাঝখানে মালার সুতো দেখা যায়, দানা দানার সাথে না লেগে থাকে তাহলে সুন্দর লাগবে না। তোমরা তো ব্রাহ্মণ পরিবারের মালায় আছ অর্থাৎ সব ব্রাহ্মণ আত্মার সমীপে হয়ে গেছ। যেমন বাবার সমীপে থাকো, সেইরকমই বাবার সাথে সাথে পরিবারেরও সমীপে থাকো, কারণ শুধুমাত্র এই সময়ে এই স্বীকৃতির সাথে, পরিচয়ের সাথে এই পরিবারের সঙ্গে মিলিত হও। পরিবারে আনন্দ তো হয়, হয় না? এমন নয় যে শুধু বাবার স্মরণেই আনন্দ হয়। পরিবারের সাথে যোগ লাগাতে হবে না, বরং পরস্পরের সঙ্গে সমীপে থাকতে হবে। আড়াই লাখের এত বড় পরিবার কোথাও হবে? (এখন তো ৯-১০লাখ থেকেও বড় পরিবার) তাহলে পরিবার ভালো লাগে নাকি শুধু বাবা ভালো লাগে? যাদের শুধু বাবাকে ভালো লাগে তারা পরিবারে আসতে পারবে না। বাপদাদা পরিবারকে দেখে সদা উৎফুল্ল হন এবং সদা পরস্পরের বিশেষত্ব দেখে উৎফুল্ল থাকেন। সব ব্রাহ্মণ আত্মার প্রতি এই সঙ্কল্প থাকে যে, বাঃ ব্রাহ্মণ-আত্মা বাঃ ! দেখ বাবার বাচ্চাদের সাথে এত ভালোবাসা আছে বলেই তো আসেন, তাই না? তা নয়তো উপরে বসেই তো মিলিত হতেন ! শুধু উপরে বসে তো মিলিত হন না। তোমরা বিদেশ থেকে আসো তো বাপদাদাও বিদেশ থেকে আসেন। দূর থেকেও অনেক দূর থেকে আসেন কিন্তু আসেন সেকেন্ডে। তোমরা সবাইই সেকেন্ডে উড়তি কলার অনুভব করো? সেকেন্ডে উড়তে পারো? তোমরা এতই ডবল লাইট হও, সঙ্কল্প করেছ কি পৌঁছে গেলে। পরমধাম কোথায় বলার সাথে সাথে পৌঁছে গেলে, এমন প্র্যাক্টিস আছে? কোথাও আটকে যাও না তো? কখনো কোনো মেঘছায়া হয়রান করে না তো? কেয়ারফুলও এবং ক্লিয়ারও – এই রকমই তো হয়, হয় না?

ডবল বিদেশি বাচ্চারা আসার সাথে সাথেই সেন্টার লাভ করে। খুব তাড়াতাড়ি টিচার হয়ে যায়, সেইজন্য সেবারও আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়। আশীর্বাদ পাওয়ার বিশেষ লিফ্ট প্রাপ্ত হয়, এর সাথে আসা মাত্রই এত বিজি হয়ে যাও যে, আর অন্য কোনো বিষয়ে তোমাদের ফুরসতই হয় না, অতএব, বিজি হওয়ায় ঘাবড়ে যেও না, এটা গুড সাইন। কেউ কেউ বলে থাকে তো না – লৌকিক কার্যও করতে হবে, আবার অলৌকিক সেবাও করতে হবে তদুপরি নিজের সেবাও করতে হবে – এতে তো অনেক বিজি থাকতে হয় ! কিন্তু এই রকম বিজি থাকা অর্থাৎ মায়াজিত হয়ে যাওয়া। এটা ঠিক লাগে নাকি লৌকিক জব করা কঠিন হয়? লৌকিক জব (চাকরি) যে করো তা’ থেকে যে উপার্জন হয় সেটা কোথায় ব্যবহার করো? যেভাবে সময়কে উপযোগী বানাও সেই একইভাবে ধনও উপযোগী করে তোলো। তাহলে তন-মন-ধন তিনটেই কার্যকর হয়ে যায়। এই সবই সফল হয়ে যায়, তাই না ! সেইজন্য ক্লান্ত হয়োনা। তোমরা যখন সেন্টার খোলো তো কত আত্মারা সন্দেশ শোনার সাথে সাথে তাদের কল্যাণ হয়। তাইতো মন আর ধনের কানেকশন আছে, যেখানে ধন থাকবে, সেখানে মন থাকবে। যেখানে মন থাকবে, সেখানে ধন থাকবে। ডবল বিদেশিদের সর্বপ্রকারে সবকিছু সময়োপযোগী করে তোলায় ব্যস্ত দেখে বাপদাদা খুশি হন।সবাই তোমরা গোল্ডেন চ্যান্সেলর। সদা স্মরণে রেখো যে, আমি সফলতামূর্তি আর সফলতা আমার গলার হার। যে কোনও কার্য করতে প্রথমে এটা ভাবো যে, সফলতা আমার গলার মালা। যেমন নিশ্চয় হবে তেমনই প্রত্যক্ষফল প্রাপ্ত হবে। আচ্ছা।

২) তোমাদের এই সুইট সাইলেন্স প্রিয় লাগে, তাই না? কারণ আত্মার অরিজিনাল স্বরূপই সুইট সাইলেন্স। সুতরাং যে সময় চাও সেই সময় এই সুইট সাইলেন্সের স্থিতির অনুভব করতে পারো? কেননা, আত্মা এখন এই বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে গেছে, সেইজন্য যখন চাও তখন নিজের অরিজিনাল স্থিতিতে স্থিত হয়ে যায়। তোমরা বন্ধনমুক্ত হয়ে গেছ নাকি হতে হবে? এই বার মধুবনে দুটো শব্দ ছেড়ে দিয়ে যেও – সামথিং আর সামটাইম। এটা পছন্দ তো না? সবাই ছাড়বে? মনঃশক্তি বজায় রাখতে পারলে সহায়তা প্রাপ্ত হবে, কারণ এটা তো জানো ৬৩ জন্ম অনেক বন্ধনে থেকেছ আর এক জন্ম স্বতন্ত্র হওয়ার, এরই ফল হিসেবে অনেক জন্ম জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করবে। সুতরাং ফাউন্ডেশন (ভিত্তি) এখানেই স্থাপন করতে হবে। যখন ফাউন্ডেশন এতটা মজবুত হবে তখনই তো ২১ জন্ম চলবে। যতটা নিজের প্রতি নিশ্চয় করবে ততোটাই নেশা হবে। বাবার প্রতি নিশ্চয়, নিজের প্রতিও নিশ্চয় আর ড্রামাতেও নিশ্চয়। তিন নিশ্চয়ে পাস হতে হবে। আচ্ছা – একেক রত্নের নিজস্ব বিশেষত্ব আছে। বাপদাদা সবার বিশেষত্বকে জানেন। এখন তোমাদের উন্নতির হিসেবে নিজের বিশেষত্ব কার্যে যত ব্যবহার করবে ততই বিশেষত্ব বাড়তে থাকবে। দুনিয়ায় খরচ করলে ধন কমে যায়, কিন্তু এখানে যত ইউজ করবে, খরচ করবে ততই বাড়বে। সবাই তোমরা অনুভাবী তো না? সুতরাং এই বছরের এই বরদান স্মরণ রেখো – আমি বিশেষ আত্মা এবং বিশেষত্ব কার্যে ব্যবহার করে আরও বৃদ্ধি করবো। যেমন এখানে সামনে বসতে ভালো লাগে, ঠিক সেই রকমই ওখানে সদা কাছে থাকো। বাপদাদা সদা প্রত্যেককে এই শ্রেষ্ঠ নজরে দেখেন যে, প্রত্যেক বাচ্চা যোগীও আর যোগ্যও। আচ্ছা !

বরদানঃ-

স্ব পরিবর্তন করাই শুভ চিন্তক হওয়া। যদি স্ব-কে ভুলে অন্যের পরিবর্তনের চিন্তা করো তবে সেটা শুভচিন্তন নয়। প্রথমে স্ব আর স্ব এর সাথে সবাই। যদি স্ব-এর পরিবর্তন না করো আর অন্যের শুভ চিন্তক হও তাহলে সফলতা লাভ হতে পারে না, সেইজন্য নিজেকে নিয়মনীতি অনুসারে চালনা করে স্ব-এর পরিবর্তন করো, এতেই লাভ। বাইরে থেকে কোনো লাভ যদি না দেখাও যায় কিন্তু ভিতর থেকে হালকা বোধ আর খুশির অনুভূতি হতে থাকবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top