02 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

02 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

1 November 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের মন - বাণী এবং কর্মে সঠিক হতে হবে, কেননা তোমরা হলে দেবতাদের থেকেও উচ্চ ব্রাহ্মণ শিখা"

প্রশ্নঃ --

সবথেকে গুপ্ত আর সূক্ষ্ম বিষয় কি, যা বাচ্চারা অতি কষ্টে বুঝতে পারে ?

উত্তরঃ -:-

শিববাবা আর ব্রহ্মা বাবার বিভেদ বোঝা — এ হলো সবথেকে গুপ্ত আর সূক্ষ্ম বিষয় । এতে কোনো কোনো বাচ্চা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যায় । এই রহস্য স্বয়ং বাবা বলেন যে — বাচ্চারা, আমি ভোরবেলা এই তনের দ্বারা তোমাদের পড়াই, বাকি এমন নয় যে, আমি সারাদিন এর উপর বসে থাকি ।

ওম্ শান্তি । আধ্যাত্মিক বাবা আধ্যাত্মিক বাচ্চাদের বোঝান । বাচ্চারা কেমন ? ব্রাহ্মণ । এ কখনোই ভুলে যেও না যে, আমরা ব্রাহ্মণ, আমরাই দেবতা হবো । বর্ণকেও স্মরণ করতে হয় । এখানে তোমরা নিজেদের মধ্যে সবাই ব্রাহ্মণই ব্রাহ্মণ । অসীম জগতের পিতা ব্রাহ্মণদের পড়ান । এই ব্রহ্মা পড়ান না । শিব বাবা পড়ান । তিনি ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদেরই পড়ান । শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হওয়া ছাড়া দেবতা হতে পারবে না । উত্তরাধিকার তো শিববাবার থেকেই পাওয়া যায় । শিববাবা তো সকলেরই বাবা । এই ব্রহ্মাকে গ্র্যান্ড ফাদার বলা হয় । লৌকিক বাবা তো সকলেরই থাকে । পারলৌকিক বাবাকে ভক্তিমার্গে সবাই স্মরণ করে । বাচ্চারা, তোমরা এখন বুঝতে পারো, ইনি হলেন অলৌকিক বাবা, যাঁকে কেউই জানে না । যদিও বা ব্রহ্মার মন্দির আছে । এখানেও প্রজাপিতা আদি দেবের মন্দির আছে । তাঁকে মহাবীরও বলা হয়, কেউ ‘দিলওয়ালা’ও বলে থাকে, কিন্তু বাস্তবে হৃদয় হরণ করেন শিব বাবা, ব্রহ্মা বাবা নন । সকল আত্মাদের সদা সুখদাতা, খুশী প্রদানকারী এক বাবাই । বাচ্চারা, এও একমাত্র তোমরাই জানো । দুনিয়াতে তো মানুষ কিছুই জানে না । আমরা ব্রাহ্মণরাই শিব বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি । তোমরাও তা প্রতি মুহূর্তে ভুলে যাও এই স্মরণ হলো খুবই সহজ । যোগ শব্দটি সন্ন্যাসীরা রেখেছে । তোমরা তো বাবাকে স্মরণ করো । যোগ তো কমন শব্দ, একে যোগ আশ্রমও বলা হবে না । বাচ্চারা আর বাবা এখানে বসে আছে । বাচ্চাদের দায়িত্ব হলো — অসীম জগতের বাবাকে স্মরণ করা । আমরা হলাম ব্রাহ্মণ, আমরা ঠাকুরদাদার থেকে ব্রহ্মার দ্বারা উত্তরাধিকার গ্রহণ করি — তাই শিব বাবা বলেন — তোমরা যতখানি সম্ভব স্মরণ করতে থাকো । চিত্রও স্মরণে রাখতে পারো । স্মরণ তো থাকবেই, আমরা হলাম ব্রাহ্মণ, আমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করি । ব্রাহ্মণ কখনো নিজের জাতিকে ভুলে যায় কি ? তোমরা শূদ্রের সঙ্গে আসার কারণে ব্রাহ্মণত্ব ভুলে যাও । ব্রাহ্মণ তো দেবতাদের থেকেও উচ্চ, কেননা তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে নলেজফুল । ভগবানকে সর্বজ্ঞ বলা হয়, তাই না । এর অর্থ এই নয় যে, তিনি বসে সকলের মনে কি আছে, তা দেখেন । তা নয়, তাঁর মধ্যে সৃষ্টির আদি – মধ্য এবং অন্তের নলেজ আছে । তিনি হলেন বীজরূপ । বীজ ঝাড়ের আদি – মধ্য এবং অন্তকে জানে । তাই এমন বাবাকে খুব স্মরণ করতে হবে । এঁর আত্মাও ওই বাবাকে স্মরণ করে । ওই বাবা বলেন – এই ব্রহ্মাও আমাকে স্মরণ করলে তখনই উঁচু পদ পাবে । তোমরাও স্মরণ করলে তবেই পদ পাবে । প্রথম – প্রথম তোমরা অশরীরী অবস্থায় এসেছিলে । আবার তোমাদের অশরীরী হয়ে ফিরে যেতে হবে । আর সব দেহের সম্বন্ধ তোমাদের দুঃখ প্রদানকারী, তা কেন স্মরণ করো, যখন তোমরা আমাকে পেয়েছো । আমি তোমাদের নতুন দুনিয়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি । ওখানে কোনো দুঃখ নেই । সে হলো দৈবী সম্বন্ধ । এখানে প্রথমে দুঃখ আসে স্ত্রী আর পুরুষের সম্বন্ধে, কারণ তারা বিকারী হয়ে যায় । তোমাদের আমি এখন ওই দুনিয়ার উপযুক্ত বানাবো, যেখানে বিকারের কোনো কথাই থাকে না । এই কাম হলো মহাশত্রু, এমন গায়ন আছে, যা আদি – মধ্য এবং অন্ত দুঃখ দেয় । ক্রোধের জন্য এমন বলা হবে না যে, এ আদি – মধ্য এবং অন্ত দুঃখ দেয়, পতিত তৈরী করে । বিকারের উপরই পতিত কথাটি আসে । এই শত্রুকেই তোমাদের জয় করতে হবে । তোমরা জানো যে, আমরা এখন সত্যযুগের দেবী – দেবতা তৈরী হচ্ছি । যতক্ষণ না এই নিশ্চয়তা আসে, ততক্ষণ কিছুই পেতে পারবে না ।

বাবা বোঝান – বাচ্চাদের মন – বাণী এবং কর্মে এক হতে হবে । এতেই পরিশ্রম । দুনিয়াতে কেউই জানে না যে, তোমরা ভারতকে স্বর্গ বানাও । ভবিষ্যতে বুঝতে পারবে, মানুষ চায়ও এক পৃথিবী, এক রাজ্য, এক ধর্ম, এক ভাষা হোক । তোমরা বোঝাতে পারো – আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এক রাজ্য, এক ধর্ম ছিলো, যাকে স্বর্গ বলা হয় । রামরাজ্য আর রাবণরাজ্যকেও কেউই জানে না । তোমরাও জানতে না । পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে তোমরা এখন স্বচ্ছ বুদ্ধির হয়ে গেছো । বাবা যখন বসে তোমাদের বোঝাচ্ছেন, তখন অবশ্যই বাবার মতে চলো । বাবা বলেন – পুরানো দুনিয়াতে থেকে তোমরা কমল পুষ্পের সমান পবিত্র থাকো । আমাকেও স্মরণ করতে থাকো । বাবা আত্মাদের বোঝান । আমি এই অর্গ্যান্স দ্বারা আত্মাদেরই পড়াতে এসেছি । এ তো পুরানো ছিঃ ছিঃ দুনিয়া, ছিঃ ছিঃ শরীর । তোমরা ব্রাহ্মণরা পূজার যোগ্য নও, মহিমার যোগ্য । পূজার যোগ্য হলেন দেবতারা । তোমরা শ্রীমতে চলে এই বিশ্বকে স্বর্গ বানাও, তাই তোমাদের মহিমা হয়, পূজা হতে পারে না । তোমাদের মতো ব্রাহ্মণদের অবশ্যই মহিমা হয়, দেবতাদের নয় । বাবা তোমাদেরই শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণে পরিণত করেন । দেবতাদের আত্মা এবং শরীর দুইই পবিত্র । এখন তোমাদের আত্মাও পবিত্র হয়ে যায় । তোমাদের শরীর পবিত্র নয় । তোমরা এখন ঈশ্বরের মতে চলে ভারতকে স্বর্গ তৈরী করছো । তোমরাই সেই স্বর্গের উপযুক্ত তৈরী হচ্ছো । তোমাদের অবশ্যই সতোপ্রধান হতে হবে । কেবলমাত্র তোমরা ব্রাহ্মণরাই, যাদের বাবা বসে পড়ান । এই ব্রাহ্মণদের ঝাড় বৃদ্ধি পেতে থাকবে । যে ব্রাহ্মণরা পাকা অর্থাৎ দৃঢ় হয়ে যাবে তারাই ভবিষ্যতে গিয়ে দেবতা হবে । এই ঝাড় নতুন, এতে মায়ার তুফানও আসে । সত্যযুগে কোনো ঝড় তুফান থাকবে না । এখানে মায়া বাবার স্মরণে থাকতে দেয় না । আমরা জানি যে, বাবার স্মরণেই আমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান তৈরী হচ্ছি । এই স্মরণের উপরই সবকিছু নির্ভর করছে । ভারতের প্রাচীন যোগও বিখ্যাত, তাই না । বিদেশের মানুষ চান, কেউ এসে যেন এই প্রচীন যোগ শেখায় ।

এখন এই যোগী হলো দুই প্রকারের — এক হলো হঠযোগী, আর দ্বিতীয় হলো রাজযোগী । তোমরা এ তো অনেকদিন ধরেই চলে আসছে । রাজযোগের কথা তোমরা এখন জানতে পেরেছো । সন্ন্যাসীরা রাজযোগের কথা কি জানতে পারবে । বাবা এসেই বলেছেন — আমি এসেই রাজযোগ শেখাই, কৃষ্ণ তো আর শেখাতে পারেন না । এ ভারতেরই প্রাচীন যোগ, গীতাতে কেবল আমার পরিবর্তে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে । এতে কতো তফাৎ হয়ে গিয়েছে । শিব জয়ন্তী যেমন হয়, তেমন তোমাদের বৈকুন্ঠের জয়ন্তীও হয়, যাতে কৃষ্ণের রাজ্য আছে । তোমরা জানো যে, শিব বাবার জয়ন্তীও যেমন আছে, তেমনই গীতার জয়ন্তীও আছে, বৈকুণ্ঠের জয়ন্তীও এখন হচ্ছে । তোমরাও পবিত্র হয়ে যাবে, পূর্ব কল্পের মতো এখন স্থাপনা হচ্ছে, তাই শিব বাবার জয়ন্তীই হলো স্বর্গের জয়ন্তী, বাবা এসেই স্বর্গের স্থাপনা করেন । বাবা এখন বলেন — তোমরা আমাকে স্মরণ করো । স্মরণ না করলে মায়া কোনো না কোনো বিকর্ম করিয়ে দেয় । স্মরণ না করলে থাপ্পড় খেতে হবে । স্মরণে থাকলে থাপ্পড় খেতে হবে না । এই বক্সিং হতেই থাকে । তোমরা জানো যে, আমাদের শত্রু কোনো মনুষ্য নয়, রাবণ হলো আমাদের শত্রু । বিয়ে করার পরে কুমার – কুমারীরা পতিত হওয়ার কারণে একে অপরের শত্রু হয়ে যায় । মানুষ বিয়েতে লাখ টাকা খরচ করে । বাবা বলেন – এই বিয়েই হলো সর্বনাশ । এখন পারলৌকিক বাবা অর্ডিন্যান্স জারি করেছেন – বাচ্চারা এই কাম হলো মহাশত্রু, একে জয় করো আর পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করো । কেউই যেন পতিত না হয় । এই বিকারের জন্যই তোমরা জন্ম – জন্মান্তর ধরে পতিত হয়েছো, তাই কামকে মহাশত্রু বলা হয় । বাবা তো খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন । তোমরা ৮৪ জন্ম কিভাবে নিয়েছো । এখন তোমাদের ফিরে যেতে হবে । তোমাদের তো খুবই শুদ্ধ অহংকার থাকা উচিত । আমরা আত্মারা বাবার মতে চলে ভারতকে স্বর্গ বানাচ্ছি । আমরাই আবার স্বর্গে রাজত্ব করবো । তোমরা যতো পরিশ্রম করবে, ততই উঁচু পদ পাবে, সে রাজা রানীই হও, বা প্রজা । রাজা – রানী কিভাবে হয়, তাও তোমরা দেখছো । ‘বাবাকে অনুসরণ করো’ — এমন গায়ন আছে । তা এখনকারই কথা । লৌকিক সম্বন্ধের জন্য এমন বলা হয় না । এই বাবা মত দেন – আমাকে (মামেকম্) স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । তোমরা জানো যে, আমরা ভালো মতে চলছি, অনেকের সেবা করছি । বাচ্চারা বাবার কাছে আসে, তখন শিববাবাও তাদের রিফ্রেশ করেন আর এই বাবাও রিফ্রেশ করেন । ইনিও তো শেখেন, তাই না । শিব বাবা বলেন – আমি ভোরবেলা আসি । আচ্ছা, এরপর যদি কেউ মিলিত হতে আসে, তখন কি এই ব্রহ্মা বোঝাবেন না ? এমন বলবেন কি, বাবা এসে বোঝাও, আমি বোঝাবো না । এ তো বড় গুহ্য – গোপন কথা । আমি তো সবথেকে ভালো বোঝাতে পারি । তোমরা এমন কেন মনে করো যে, কেবল শিব বাবাই বোঝান । ইনি বোঝান না । তোমরা এও জানো যে, পূর্ব কল্পে ইনিই বুঝিয়েছিলেন, তাই তো তিনি এই পদ পেয়েছিলেন । মাম্মাও তো বোঝাতেন, তাই না । তিনিও উচ্চ পদ পান । ওখানে বাবাকে সূক্ষ্ম বতনে দেখে অনুসরণ করতে হবে । গরীবরাই সমর্পিত হয় । বিত্তবানরা তো আর সমর্পিত হয় না । গরীবরাই বলে – বাবা, এই সবকিছুই তোমার । শিব বাবা তো দাতা, তিনি কখনোই নেন না । তিনি বাচ্চাদের বলেন – এই সবকিছুই তোমার । আমি নিজের জন্য এখানে – ওখানে মহল তৈরী করি না । আমি তোমাদেরই স্বর্গের মালিক বানাই । এখন তোমাদের এই জ্ঞান রত্নের দ্বারা ঝুলি ভরপুর করতে হবে । মন্দিরে গিয়ে ভক্তরা বলে – ঝুলি ভরে দাও, কিন্তু কোন প্রকারের, কোন জিনিস দিয়ে ঝুলি ভরে দেবে ? এখন ঝুলি ভরে দেন তো লক্ষ্মী, যিনি অর্থ দান করেন । শিবের কাছে তো যায়ই না । কৃষ্ণের জন্য বলা হয়, তিনি গীতা শুনিয়েছিলেন, কিন্তু কৃষ্ণের জন্য এমন বলা হয় না যে, তিনি ঝুলি ভরে দিয়েছিলেন । শঙ্করের কাছে গিয়ে মানুষ এমন বলে থাকে । তারা মনে করে যে, শিব আর শঙ্কর হলেন এক । শঙ্কর তো ঝুলি খালি করেন, আমাদের ঝুলি তো কেউই খালি করতে পারে না । বিনাশ তো হতেই হবে । এমন গায়নও আছে যে, রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা বিনাশ জ্বালা প্রজ্জ্বলিত হয়েছিলো, কিন্তু এসব কেউ বুঝতেই পারে না ।

বাচ্চারা, তোমাদের গৃহস্থ জীবনেই থাকতে হবে । কাজকারবারও করতে হবে । বাবা প্রত্যেকেরই নাড়ি দেখে রায় দেন, কেননা বাবা মনে করেন, আমি বলবো আর কেউ তা করতে পারবে না, এমন রায় আমি কেন দেবো ! তিনি নাড়ি দেখেই রায় দেন । এনার কাছে তো আসতে হবে । ইনি সম্পূর্ণ রায় দেবেন । সবাইকে জিজ্ঞেস করতে হবে — বাবা, এই পরিস্থিতিতে আমাদের কি করা উচিত ! এখন আমি কি করবো ? বাবা তো স্বর্গে নিয়ে যান । তোমরা জানো যে, আমরা স্বর্গবাসী তো হবো, এখন আমরা নরকবাসী । তোমরা এখন না নরকে আছো, আর না স্বর্গে আছো । যারা যারা ব্রাহ্মণ হয়, তাদের নোঙ্গর এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়া থেকে উঠে গেছে । তোমরা এখন এই কলিযুগী দুনিয়া থেকে পৃথক হয়ে গেছো । কোনো ব্রাহ্মণ তীক্ষ্ণ যাচ্ছে, কেউ আবার স্মরণের যাত্রায় কম । কেউ হাত ছেড়ে দিলে ধাক্কা খেয়ে ডুবে মরে যায়, অর্থাৎ আবার এই কলিযুগী দুনিয়াতে চলে যায় । তোমরা জানো যে, আমাদের এখন কাণ্ডারী নিয়ে যাচ্ছে । ওই যাত্রা তো অনেক প্রকারের আছে । তোমাদের যাত্রা একটাই, এ সম্পূর্ণ পৃথক যাত্রা । হ্যাঁ, তুফান আসেই, যা এই স্মরণ ছিন্ন করে দেয় । এই স্মরণের যাত্রাকে খুব ভালোভাবে পাকা করো, পরিশ্রম করো । তোমরা হলে কর্মযোগী । যতটা সম্ভব হাতে কাজ করো আর হৃদয়ে স্মরণ করো । অর্ধেক কল্প ধরে তোমরা আশিক হয়ে মাশুককে স্মরণ করে এসেছো । বাবা এখানে আমাদের অনেক দুঃখ, এখন আমাদের সুখধামের মালিক বানাও । তোমরা স্মরণের যাত্রায় থাকলে পাপ মুক্ত হয়ে যাবে । তোমরাই স্বর্গের উত্তরাধিকার পেয়েছিলে, এখন তোমরা তা হারিয়ে ফেলেছো । ভারত স্বর্গ ছিলো, তাই তো বলা হয় প্রাচীন ভারত । ভারতকে খুব সম্মান করা হয়, সবথেকে বড়ও, আবার সবথেকে পুরানো । এ তো তোমরা জানোই যে, বিনাশ সামনে উপস্থিত । যারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে তাদের অন্তরে অনেক খুশী থাকে । প্রদর্শনীতে কতো মানুষ আসে । আমেদাবাদে দেখো, অনেক প্রকারের কতো সাধু -সন্তাদি আসে । তারা বলে, তোমরা তো সত্য বলো, কিন্তু আমাদের বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে, এ তো বুদ্ধিতে বসেই না । এখান থেকে বাইরে গেলেই সব শেষ । তোমরা এখন জানো যে, বাবা আমাদের স্বর্গে নিয়ে যান । ওখানে না গর্ভ জেল, না এই জেল থাকবে । আর কখনোই জেলের মুখ দেখতে হবে না । দুই জেলই ওখানে থাকবে না । এখানে এইসব হলো মায়ার চাপ । আজকাল প্রতিটি বিষয় শীঘ্র হয় । মৃত্যুও তাড়াতাড়ি হতে থাকে । সত্যযুগে এমন কোনো উপদ্রব হয়ই না । এখানে মৃত্যুও তাড়াতাড়ি, তাই দুঃখও অনেক হবে । সব শেষ হয়ে যাবে । সারা ধরণী নতুন হয়ে যাবে । সত্যযুগে দেবী – দেবতাদের রাজধানী ছিলো, তা আবার অবশ্যই হবে । ভবিষ্যতে দেখবে, আর কি হয় । খুবই ভয়ঙ্কর দৃশ্য । বাচ্চারা, তোমরা সাক্ষাৎকার করেছো । বাচ্চাদের জন্য মূখ্য হলো স্মরণের যাত্রা । এ হলো চড়তি কলার যাত্রা । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সদা এই স্মৃতিতে থাকতে হবে যে, আমরা হলাম ব্রাহ্মণ । আমাদের মতো ব্রাহ্মণদেরই ভগবান পড়ান । আমরা এখন ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা তৈরী হচ্ছি ।

২ ) জ্ঞান রত্নে নিজের ঝুলি ভরপুর করে তার দান করতে হবে এই কলিযুগী পতিত দুনিয়ার কিনারা ত্যাগ করতে হবে । মায়ার ঝড় ঝাপটা দেখে ভয় পাবে না ।

বরদানঃ-

যখন মাস্টার রচয়িতা, মাস্টার নলেজফুল স্থিতি বা নেশাতে স্থির থাকবে, তখন রচনার সর্ব আকর্ষণ থেকে ঊর্ধ্বে থাকতে পারবে। কেননা এখন রচনা আরো ভিন্ন – ভিন্ন রং – ঢং, রূপ রচনা করবে, তাই এখন শৈশবের দিনের ভুল, অমনোযোগিতার ভুল, আলস্যের ভুল, বেপরোয়া মনোভাবের ভুল যা বাকি আছে — সেগুলো ভুলে নিজের শক্তিশালী, শক্তি স্বরূপ, শস্ত্রধারী স্বরূপ, সদা জাগ্রত জ্যোতি স্বরূপকে প্রত্যক্ষ করো, তখনই বলা হবে মাস্টার রচয়িতা ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top