02 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 1, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - শান্তি তোমাদের গলার মালা, আত্মার স্বধর্ম, সেইজন্য শান্তির জন্য এদিক-ওদিক ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়ানোর প্রয়োজন নেই, তোমরা নিজেদের স্বধর্মে স্থির হয়ে যাও"

প্রশ্নঃ --

মানুষ কোনো বস্তুকে শুদ্ধ করার জন্য কোন্ যুক্তি রচনা করে আর বাবা কোন্ যুক্তি রচনা করেন ?

উত্তরঃ -:-

মানুষ কোনো বস্তুকে শুদ্ধ করার জন্য আগুনে নিক্ষেপ করে। যজ্ঞ রচনা করলেও সেখানে আগুন জ্বালায়। এখানেও বাবা রুদ্র যজ্ঞ রচনা করেছেন, কিন্তু এ হলো জ্ঞান যজ্ঞ, এতে সবকিছুর আহুতি পড়বে। বাচ্চারা, তোমরা দেহ-সহ সবকিছু এতে স্বাহা(অর্পণ) করে দাও। তোমাদের যোগে যুক্ত হতে হবে। যোগকেই রেস(দৌড়) বলা হয়। এতেই তোমরা প্রথমে রুদ্রের গলার মালা হবে, তারপর বিষ্ণুর গলার মালায় গাঁথা হয়ে যাবে।

গান:-

ওম নমঃ শিবায়ঃ.

ওম শান্তি । এ কার মহিমা শুনেছো ? পারলৌকিক পরমপিতা পরম আত্মার অর্থাৎ পরমাত্মার। সকল ভক্তবৃন্দ বা সাধনাকারীরা (সাধক) ওঁনাকে স্মরণ করে থাকে। আবার ওঁনার নামও হলো পতিত-পাবন। বাচ্চারা জানে যে ভারত পবিত্র ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণ প্রভৃতিদের পবিত্র প্রবৃত্তিমার্গীয় ধর্ম ছিল, যাকে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম বলা হয়ে থাকে। ভারতে পবিত্রতা, সুখ, শান্তি, সম্পত্তি সবকিছু ছিল। পবিত্রতা না থাকলে তখন না থাকে শান্তি, না থাকে সুখ। শান্তির জন্য এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াতে থাকে। জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে থাকে। একজনেরও শান্তি নেই কারণ না বাবাকে জানে, না নিজেকে বোঝে যে আমি হলাম আত্মা, এই হলো আমার শরীর। এর দ্বারা কর্ম করতে হয়। আমার তো স্বধর্মই হলো শান্ত। এ’গুলি হলো শরীরের কর্মেন্দ্রিয়। আত্মার এও জানা নেই যে আমরা আত্মারা নির্বাণ বা পরমধামের বাসিন্দা। এই কর্মক্ষেত্রে আমরা শরীরের আধার(ধারণ করে) নিয়ে ভূমিকা পালন করে থাকি। শান্তির মালা গলায় পড়ে রয়েছে আর ধাক্কা খেয়ে চলেছে বাইরে। জিজ্ঞাসা করতে থাকে, মনের শান্তি কিভাবে পাওয়া যাবে ? ওদের এ’টা জানা নেই যে আত্মা মন-বুদ্ধিসহই থাকে। আত্মা হলো পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান। তিনি হলেন শান্তির সাগর, আমরা হলাম ওঁনার সন্তান। এখন অশান্তি তো সমগ্র দুনিয়ারই আছে, তাই না! সকলেই বলে, শান্তি আসুক। এখন সমগ্র দুনিয়ার মালিক হলেন এক যাকে শিবায়ঃ নমঃ বলা হয়। উচ্চ থেকেও উচ্চ(সর্বোচ্চ) ভগবান শিব কে ? সেও কোনো মানুষ জানে না। পূজাও করে, অনেকে আবার নিজেকে শিবোহম্’ বলে। আরে, শিব হলেন একমাত্র বাবা-ই, তাই না! মানুষ নিজেকে শিব বলে, এ তো হয়ে গেলো মহা পাপ। শিবকেই পতিত-পাবন বলা হয়। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর অথবা কোনো মানুষকেই পতিত-পাবন বলতে পারবে না। পতিত-পাবন সদ্গতিদাতা হলেনই একজন। মানুষ মানুষকে পবিত্র বানাতে পারে না কারণ সমগ্র দুনিয়ার প্রশ্ন তো, তাই না! বাবা বোঝান, যখন সত্যযুগ ছিল — তখন ভারত পবিত্র ছিল, এখন অপবিত্র। তাহলে যিনি সমগ্র সৃষ্টিকে পবিত্র করেন, তাঁকেই স্মরণ করা উচিৎ। এছাড়া এ তো হলোই পতিত দুনিয়া। এই যে বলা হয়ে থাকে মহান আত্মা, এ’রকম কেউ নেই। পারলৌকিক পিতাকেই জানে না। ভারতেই শিব জয়ন্তীর গায়ন করা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ভারতেই এসেছিল — পতিতদের পবিত্র করতে। তিনি বলেন – আমি সঙ্গমেই আসি, যাকে কুম্ভ বলা হয়ে থাকে। এ সেই জলের সাগর আর নদীদের কুম্ভ (মিলন) নয়। কুম্ভ একেই বলা হয়ে থাকে যখন জ্ঞান-সাগর পতিত-পাবন বাবা এসে সমস্ত আত্মাদের পবিত্র বানিয়ে দেন। এও জানো যে ভারত যখন স্বর্গ ছিল তখন একটিই ধর্ম ছিল। সত্যযুগে সূর্যবংশীয় রাজ্য ছিল, তারপর ত্রেতায় চন্দ্রবংশীয়, যার মহিমা হলো – রাম রাজা, রাম প্রজা… (রাম রাজ্যে প্রজারাও ধনবান, তাই সকলেরই দাতা ভাবের সংস্কার থাকে) ত্রেতারই এত মহিমা তাহলে সত্যযুগের এর থেকেও বেশী হবে। ভারতই পবিত্র ছিল, পবিত্র জীবাত্মারা ছিল, বাকি আর সব ধর্মের আত্মারা নির্বাণধামে ছিল। আত্মা কি, পরমাত্মা কি – সেও কোনো মানুষমাত্রেরই জানা নেই। আত্মা এত ছোট বিন্দু, তাতে ৮৪ জন্মের পার্ট ভরা রয়েছে। ৮৪ লাখ জন্ম তো হতে পারে না। ৮৪ লাখ জন্মে তো কল্প-কল্পান্তর ধরে ঘুরতে থাকবে, এ তো হতে পারে না। হলোই ৮৪ জন্মের চক্র, তাও আবার সকলের নয়। যে প্রথমে ছিল, সে-ই এখন পিছনে পড়ে গিয়েছে, পুনরায় তারা প্রথমে যাবে। পরে আসা সমস্ত আত্মারা নির্বাণধামে থাকে। এ’সকল কথা বাবা বুঝিয়ে থাকেন। ওঁনাকেই ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি বলা হয়ে থাকে। বাবা বলেন – আমি এসে সমস্ত বেদ-শাস্ত্রাদি, গীতার সারকথা বোঝাই। এ’সব ভক্তিমার্গের কর্মকান্ডের শাস্ত্র রচনা করা হয়েছে। আমি এসে কিভাবে যজ্ঞ রচনা করেছি, এ’কথা তো শাস্ত্রে নেই। এর নামই হলো রাজস্ব অশ্বমেধ রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। রুদ্র হলো শিব, এতে সকলকে স্বাহা হয়ে যেতে হবে। বাবা বলেন – দেহ-সহ যে সমস্ত মিত্র-সম্বন্ধীয় ইত্যাদিরা রয়েছে, তাদেরকে ভুলে যাও। অদ্বিতীয় বাবাকেই স্মরণ করো। আমি সন্ন্যাসী, উদাসী, খ্রিস্টান… এ হলো দেহের ধর্ম এ’সব ত্যাগ করে মামেকম্ (একমাত্র আমাকেই) স্মরণ করো। অবশ্যই নিরাকার তো শরীরেই আসবে, তাই না! তিনি বলেন, আমাকে প্রকৃতির আধার নিতে হয়। আমিই এসে এই শরীর দ্বারা নতুন দুনিয়া স্থাপন করি। পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাওয়াও হয় যে প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, সূক্ষ্মলোক হলোই ফরিস্তাদের দুনিয়া। ওখানে হাড়-মাংস(শরীর) থাকে না। ওখানে শ্বেতবর্ণের সূক্ষ্ম শরীর হয় যেমন প্রেতাত্মাদের হয়, তাই না! আত্মা, যে শরীর পায় না, সে তো এ’দিক-ও’দিক ঘুরে বেড়াতে থাকে। ছায়ারূপী শরীর দেখা যায়, তাকে ধরতে পারা যায় না। এখন বাবা বলেন – বৎস, স্মরণ করো তবেই স্মরণের দ্বারাই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। গাওয়াও হয় যে অনেকেই গেছে…, অল্প আছে…এখন সময় অল্প বাকি রয়েছে। যতখানি সম্ভব বাবাকে স্মরণ করো তবেই অন্তিম সময়ে যেমন মতি তেমনই গতি হয়ে যাবে। গীতায় কোনো এক-দু’টি শব্দ সঠিক লেখা রয়েছে। যেমন আটায় নুনের মতন (সামান্য) কোনো-কোনো শব্দ সঠিক। ভগবান নিরাকার প্রথমে এ’টা জানা উচিত। সেই নিরাকার ভগবান আবার কি’করে কথা বলেন? কথিত আছে, সাধারণ ব্রহ্মার শরীরে প্রবেশ করে রাজযোগ শেখাই। বাচ্চারা, আমাকে স্মরণ করো। আমি আসিই এক ধর্মের স্থাপনা করে বাকি সব ধর্মের বিনাশ ঘটাতে। এখন অনেক ধর্ম রয়েছে। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে সত্যযুগে একমাত্র আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মই ছিল। সমস্ত আত্মারাই আপন-আপন হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে যায়, একে বিনাশের সময় বলা হয়ে থাকে। সকলের দুঃখের হিসেব-নিকেশ মিটে যায়। দুঃখ পায়ই পাপের কারণে। পাপের হিসেব মিটে যাওয়ার পর আবার পুণ্যের শুরু হয়ে যায়। প্রত্যেকটি বস্তুকে শুদ্ধ করার জন্য আগুন জ্বালানো হয়। যজ্ঞ রচিত হয়, তাতেও আগুন জ্বালানো হয়। এ তো স্থূল যজ্ঞ নয়। এ হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। এ’রকম বলা হয় না যে কৃষ্ণ জ্ঞান-যজ্ঞ। কৃষ্ণ কোনো যজ্ঞ রচনা করেনি, কৃষ্ণ তো প্রিন্স ছিল। যজ্ঞ রচনা করা হয় বিপদের সময়। এইসময় সবদিকেই বিপদ, তাই না! অনেক মানুষ রুদ্র যজ্ঞও রচনা করে থাকে। বলাও হয়ে থাকে যে এই যে রুদ্র জ্ঞান-যজ্ঞ রয়েছে, এতে সবেরই আহুতি হয়ে যাবে। বাবা এসেছেন — যতক্ষণ পর্যন্ত রাজত্ব স্থাপন হবে আর সকলে পবিত্র হয়ে যাবে ততক্ষণের জন্য যজ্ঞ রচনা করা হয়েছে। হঠাৎ করে তো সকলে পবিত্র হয়ে যায় না। অন্ত পর্যন্ত যোগ যুক্ত হতে থাকো। এ হলোই যোগের রেস(দৌড়)। বাবাকে যত বেশী স্মরণ করতে থাকে ততই দৌড় লাগিয়ে রুদ্রের গলার মালা হয়ে যায়। তারপর বিষ্ণুর গলার মালা হবে। প্রথমে রুদ্রের মালা, তারপর বিষ্ণুর মালা। প্রথমে বাবা সকলকে ঘরে নিয়ে যান, যে যত পুরুষার্থ করবে সে-ই নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী হয়ে রাজ্য করে। এখন আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপিত হচ্ছে। তোমাদের বাবা রাজযোগ শেখাচ্ছেন। ৫ হাজার বছর পূর্বে যেভাবে শিখিয়েছিলেন পুনরায় কল্প পরেও শেখাতে এসেছেন। শিব-জয়ন্তী বা শিবরাত্রিও পালন করা হয়। রাত অর্থাৎ কলিযুগীয় পুরানো দুনিয়ার অন্ত, নতুন দুনিয়ার আদি। সত্যযুগ-ত্রেতা হলো দিন, দ্বাপর-কলিযুগ হলো রাত। অসীমের দিন হলো ব্রহ্মার, আবার অসীমের রাতও ব্রহ্মার। কৃষ্ণের দিন-রাতের গায়ন করা হয় না। কৃষ্ণের জ্ঞানই থাকে না। ব্রহ্মা জ্ঞান পায় শিববাবার থেকে। বাচ্চারা, তারপর তোমরা পাও এঁনার থেকে। তাহলে শিববাবাই ব্রহ্মা তনের মাধ্যমে তোমাদের জ্ঞান দান করছেন। তোমাদের ত্রিকালদর্শী বানাচ্ছেন। মনুষ্য সৃষ্টিতে একজনও কেউ ত্রিকালদর্শী হতে পারে না। যদি হয় তবে নলেজ দিক, তাই না! এই সৃষ্টি চক্র কিভাবে আবর্তিত হয় ? কখনো কেউ নলেজ দিতে পারে না। ভগবান তো সকলের একই। কৃষ্ণকে সকলেই ভগবান মানে নাকি! না মানে না। তিনি হলেন রাজকুমার। রাজকুমার কি ভগবান হয়? যদি তিনি রাজত্ব করেন তাহলে তা আবার হারিয়েও ফেলবেন। বাবা বলেন – তোমাদের বিশ্বের মালিক বানিয়ে তারপর আমি নির্বাণধামে গিয়ে থাকি। পুনরায় যখন দুঃখ শুরু হয় তখন আমার পার্টও শুরু হয়। আমি রায় দিয়ে থাকি, আমায় বলাও হয়ে থাকে, হে দয়াময়। ভক্তিও প্রথমে অব্যভিচারী হয় অর্থাৎ একমাত্র শিবেরই করে তারপর দেবতাদের করে। এখন তো ভক্তি ব্যভিচারী হয়ে গেছে। পূজারীও জানে না যে কবে থেকে ভক্তি শুরু হয়েছে। শিব বা সোমনাথ একই কথা। শিব হলেন নিরাকার। সোমনাথ কেন বলা হয় ? কারণ সোমনাথ বাবা বাচ্চাদের জ্ঞান-অমৃত পান করিয়েছেন। নাম তো অনেক আছে, বাবুলনাথও বলা হয় কারণ বাবুলের যারা কাঁটা ছিল তাদের ফুলে পরিনতকারী, সকলের সদ্গতিদাতা হলেন বাবা। ওঁনাকে আবার সর্বব্যাপী বলা…এ তো গ্লানি হয়ে গেল, তাই না! বাবা বলেন, যখন সঙ্গমের সময় আসে তখন একবারই আমি আসি, যখন ভক্তি সম্পূর্ণ হয় তখনই আমি আসি। এ’টাই হলো নিয়ম। আমি একবারই আসি। বাবাও এক, অবতারও (অবতরিত হবার সময়) এক। আমি একবারই এসে সকলকে পবিত্র রাজযোগী বানাই। তোমাদের হলো রাজযোগ, সন্ন্যাসীদের হলো হঠযোগ, তারা রাজযোগ শেখাতে পারে না। ভারতকে (বিকার থেকে) থামানোর জন্য এই হঠযোগীদেরও এক ধর্ম আছে। পবিত্রতা তো চাই, তাই না! ভারত ১০০ শতাংশ পবিত্র ছিল, এখন হলো পতিত, তবেই তো বলা হয় এসে পবিত্র করো। সত্যযুগ হলো পবিত্র জীবাত্মাদের দুনিয়া। এখন গৃহস্থ ধর্মও হলো পতিত। সত্যযুগে গৃহস্থ ধর্ম ছিল পবিত্র। পুনরায় এখন সেই পবিত্র গৃহস্থ ধর্মের স্থাপনা হতে চলেছে। অদ্বিতীয় বাবা-ই হলেন সকলের মুক্তি, জীবনমুক্তিদাতা। মানুষ, মানুষকে মুক্তি, জীবনমুক্তি দিতে পারে না। তোমরা হলে জ্ঞানের সাগর-রূপী পিতার সন্তান। তোমরা ব্রাহ্মণরা সত্যিকারের (সত্যপথের উদ্দেশ্যে)যাত্রা করাবে। আর বাকি সকলেই অসত্য(পথের) যাত্রা করিয়ে থাকে। তোমরা হলো ডবল অহিংসক। কোনো হিংসা করো না — না লড়াই করো, না কাম-কাটারী চালাও। কাম-বিকারের উপর বিজয়প্রাপ্ত করতে পরিশ্রম লাগে। বিকারকে জিততে হবে, তোমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা শিববাবার থেকে উত্তরাধিকার নিয়ে থাকো, তোমরা পরস্পর ভাই-বোন হয়ে থাকো। এখন আমরা হলাম নিরাকার ঈশ্বরের সন্তান পরস্পর ভাই-ভাই, তারপর হলাম ব্রহ্মাবাবার সন্তান – তাহলে অবশ্যই নির্বিকারী হওয়া উচিত, তাই না! অর্থাৎ তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়। এ হলো অনেক জন্মের অন্তের জন্ম। কমল ফুলের মতো পবিত্র হও, তবেই উচ্চপদ পাওয়া যায়। এখন বাবার দ্বারা তোমরা অনেক বুঝদার হয়ে যাও। সৃষ্টির নলেজ তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। তোমরা হয়ে গেলে স্বদর্শন-চক্রধারী। নিজের আত্মার দর্শন হয় অর্থাৎ নলেজ পাওয়া যায় পরমপিতা পরমাত্মার থেকে, যাকে নলেজফুল বলা হয়ে থাকে। তিনি হলেন মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, তিনি হলেন চৈতন্য। এখন এসেছেন জ্ঞান প্রদান করতে। বীজ একটিই, এও জানে যে বীজের থেকে বৃক্ষ কিভাবে বের হয়, এ হলো উল্টো বৃক্ষ। বীজ হলো উপরে। সর্বপ্রথমে নির্গত হয় দৈবী-বৃক্ষ, তারপর ইসলাম, বৌদ্ধ…. বৃদ্ধি হতেই থাকে। এই জ্ঞান এখনই তোমরা পেয়েছো, আর কেউ দিতে পারে না। তোমরা যাকিছু শোনো, তা তোমাদের বুদ্ধিতেই রয়ে গেছে। সত্যযুগ ইত্যাদিতে তো শাস্ত্র থাকে না। ৫ হাজার বছরের কত সহজ কাহিনী, তাই না! আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সময় কম, অনেক চলে গেছে অল্প রয়ে গেছে… সেইজন্য যেটুকু শ্বাস বেঁচে রয়েছে – বাবার স্মরণে সফল করতে হবে। পুরোনো পাপের হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে ফেলতে হবে।

২ ) শান্তি স্বধর্মে স্থির হওয়ার জন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। যেখানে পবিত্রতা বর্তমান, সেখানেই শান্তি বিরাজ করে। আমার স্বধর্মই হলো শান্তি, আমি হলাম শান্তির সাগর-রূপী পিতার সন্তান… এই অনুভব করতে হবে।

বরদানঃ-

সকলের থেকে সম্মান প্রাপ্ত করার সহজ সাধন হলো – নির্মাণ হওয়া। যে আত্মারা নিজেকে সর্বদা নির্মাণচিত্তের বিশেষত্বের দ্বারা চালিত করে থাকে, তারা সহজেই সফলতাকে প্রাপ্ত করে। নির্মাণ হওয়াই হলো স্বমানে থাকা। নির্মাণ হওয়ার অর্থ নত হওয়া নয় বরং সকলকে নিজের বিশেষত্ব এবং ভালবাসা দিয়ে (সম্মানবশে) নত করা। বর্তমান সময়ানুসারে সবসময়ের জন্য এবং সহজেই সফলতা প্রাপ্ত করার মূল আধার হলো এ’টাই। প্রতিটি কর্ম, সম্বন্ধ এবং সম্পর্কে যারা নির্মাণ হয় তারাই বিজয়ী-রত্ন হয়ে যায়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top