02 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

1 May 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মনন শক্তি আর মগ্ন স্থিতি"

আজ, ডবল মুকুটধারী ও ডবল রাজ্য অধিকারীর রূপকার বাবা নিজের ডবল বিদেশি বিশেষ বাচ্চাদের সাথে মিলন উদযাপন করতে এসেছেন l বাপদাদা দেখছেন যে চারিদিকের ডবল বিদেশি স্নেহী, সহযোগী, সদা সেবার উৎসাহ-উদ্দীপনায় স্নেহ আর সেবা উভয়ক্ষেত্রে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে l প্রত্যেকের মনে এই উৎসাহ – বাবার প্রত্যক্ষতার পতাকা উত্তোলন আমাদেরই করতে হবে l উৎসাহের কারণে, সঙ্গমযুগের প্রতিদিনই উৎসব অনুভব করতে করতে তোমরা নিরন্তর উড়ে চলেছ, কারণ যেখানে সবসময় উৎসাহ আছে, তা’ স্মরণের দ্বারা বাপদাদার সাথে মিলন উদযাপন হোক, বা সেবা দ্বারা প্রত্যক্ষ ফল প্রাপ্ত হওয়ার অনুভবের উৎসাহে হোক, এই দুই উৎসাহ প্রতিদিনের প্রতিটা মুহূর্ত উৎসবের অনুভব করায় l দুনিয়ার লোকে উৎসবের বিশেষ দিনে উৎসাহের অনুভব করে, কিন্তু ব্রাহ্মণ আত্মাদের জন্য সঙ্গমযুগই উৎসাহের যুগ l প্রতিদিন নতুন উৎসাহ, উদ্দীপনা, পরমানন্দের অনুভব আপনা থেকেই হতে থাকে l সেইজন্য সঙ্গমযুগের প্রতিদিন খুশির ভোজন খায়, বাবার দ্বারা অনেক প্রাপ্তির গুণ গাইতে গাইতে ডবল লাইট হয়ে সদা উৎসাহে নাচতে থাকে l উৎসবে লোকে কী করে ? খায়, গান গায় আর নাচে l এখন বিদেশে খ্রীস্টমাস উদযাপনের বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে l তারা খাবে, গাইবে, বাজনা বাজাবে আর নাচবে, তাই না ! আর মিলন উদযাপন করবে l তোমরা প্রতিদিন কী করো ? অমৃতবেলা থেকে নিয়ে রাত পর্যন্ত এই কাজই তো করো, তাই না ! সেবাও করো, সেবা অর্থাৎ জ্ঞান ড্যান্স করো l বাপদাদার গুণের গীত আত্মাদের শোনাও l সুতরাং তোমরা রোজ উৎসব পালন করো, তাই না ? কোনো দিনও এইরকম হয় না যে প্রকৃত ব্রাহ্মণ এই কার্য না করে l সঙ্গমযুগের প্রতি দিন উৎসাহে ভরা উৎসবের দিন l তারা তো এক-দু’দিন উদযাপন করে l কিন্তু বাপদাদা সব ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের এমন শ্রেষ্ঠ বানান, এমন গোল্ডেন গিফ্ট দেন, যাতে তোমরা সদাসর্বদার জন্য সম্পন্ন, সদা পরিপূর্ণ হয়ে যাও l তারা খ্রীস্টমাসের দিনের অপেক্ষা করে, খৃস্টমাস ফাদার এসে আজ গিফ্ট দেবেন l তারা খ্রীস্টমাস ফাদারকে স্মরণ করে আর তোমরা বাবাকে স্মরণ করো, যিঁনি তোমাদের কিশমিশের মতো মিষ্টি বানান l তোমরা এত গিফ্ট পাও যে ২১ জন্মের জন্য দীর্ঘস্থায়ী হয় l আর সেই সব বিনাশী গিফ্ট অল্প সময়ের স্থায়িত্বকালে সমাপ্ত হয়ে যাবে, এই অবিনাশী গিফ্ট অনেক জন্ম তোমাদের সাথে থাকবে l তারা যেমন খ্রীস্টমাস ট্রি সাজায়, বাপদাদা এই অসীম ওয়ার্ল্ড ট্রিতে তোমরা সব ঝলমলে নক্ষত্রকে, ধরিত্রীর শ্রেষ্ঠ সব সঙ্গমযুগী নক্ষত্রকে অবিনাশী লাইট – মাইট স্বরূপে স্থিত হওয়ার অনুভব করান l তাদেরও স্টারে বিশ্বাস আছে, তারা স্টার সাজায় l তোমরা সব স্টারের স্মারক চিহ্ন, তারা ঝলমলে স্থূল লাইটের রূপে দেখায় l হয় তারা লাইট দিয়ে সাজায়, অথবা ফুল দিয়ে সাজায়, এটা কিসের স্মরণিক ? অধ্যাত্ম, সুগন্ধিত ফুল, তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মার স্মৃতিচিহ্ন l এই সব উৎসব তোমরা সব ব্রাহ্মণ আত্মার উৎসাহ ভরা উৎসবের স্মরণিক l সঙ্গমযুগে কল্পবৃক্ষের ঝলমলে নক্ষত্র, রূহানী গোলাপ তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মারা l নিজেরাই নিজেদের স্মরণিক দেখছ ! অবিনাশী বাবার দ্বারা অবিনাশী রত্ন হয়ে ওঠো, সেইজন্য অন্তিম জন্ম পর্যন্ত নিজেদের স্মরণিক দেখছ l ডবল রূপের স্মারকচিহ্ন দেখছ l সঙ্গমযুগের রূপের স্মৃতিচিহ্ন বিভিন্ন রূপে ও রীতিতে দেখায় এবং দ্বিতীয়তঃ, তোমরা তোমাদের ভবিষ্যৎ দেবতা-পদের স্মরণিক দেখছ l না শুধু নিজ-রূপের স্মরণিক দেখ, বরং তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মার শ্রেষ্ঠ কর্মেরও স্মারকচিহ্ন দেখ l বাবা আর বাচ্চাদের চরিত্রেরও স্মারক আছে l সুতরাং নিজেদের স্মরণিক দেখে সহজে স্মরণে এসে যায় যে প্রতি কল্পে আমরা এইরকম বিশেষ আত্মা হয়ে উঠি l হয়েছিলাম, হয়েছি আর পরেও হতে থাকব l

যারা সদা স্মরণে থাকে, যাদের স্মরণিক এই সময়ে বিদ্যমান, এমন বাচ্চাদের দেখে বাপদাদা উৎফুল্ল হচ্ছেন l যারা স্মরণে থাকে এই স্মরণিক তাদের l তোমরা স্মরণের মহত্ত্বের স্মরণিক দেখছ l সুতরাং ডবল বিদেশি বাচ্চারা তাদের নিজেদের স্মৃতিচিহ্ন দেখে খুশি হয়, তাই না ! বাপদাদার ডবল বিদেশি বাচ্চাদের দেখে ডবল খুশি হয়, কেন ? প্রথমতঃ, তোমরা পূর্ব কল্পের বাচ্চারা বিচ্ছিন্ন হয়ে কোণে কোণে হারিয়ে গেছিলে, আবারও একসাথে মিলিত হয়েছ l হারিয়ে যাওয়া জিনিস যদি ফিরে পাওয়া যায় তাহলে খুশি তো হয়ই, তাই না ! বাবা তো সব বাচ্চাকে দেখে খুশি হন, তারা ভারতবাসী হোক বা বিদেশি l দ্বিতীয়তঃ, ডবল বিদেশি বাচ্চারা যারা ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন রীতি-রেওয়াজের পর্দার অন্তরালে থেকেও সেই পর্দা সহজে সমাপ্ত করে এখন বাবার হয়ে গেছে l পর্দা সরানোর সেই বিশেষত্ব তাদের l পর্দার অন্তরালে থেকেও বাবাকে জানার বিশেষত্ব ডবল বিদেশিদের l সুতরাং সেটা তো ডবল খুশিই হলো, তাই না ! ডবল বিদেশি বাচ্চাদের নিশ্চয় আর নেশা নিজস্ব, অলৌকিক l আজ চারিদিকের ডবল বিদেশি বাচ্চাদের, বিশেষভাবে যারা সদা উৎসাহে থাকে, প্রতিটা দিনকে উৎসবের দিন হিসেবে পালন করে, বরদাতা বাবার থেকে প্রতিদিন বিশেষ বরদান বা বিশেষ আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য বাপদাদা দরাজ হৃদয়ে তাদেরকে বড় দিনের জন্য ডায়মন্ড গিফ্ট দিচ্ছেন – ‘সদা উৎসব ভরা জীবন ভব’, ‘সদা সহজ উড়তি কলার অনুভাবী শ্রেষ্ঠ জীবন ভব’l আচ্ছা !

আজ বাপদাদা বতনে তিন প্রকার বাচ্চাদের দেখছিলেন l কোন্ তিন প্রকারের দেখেছেন ? ১) বর্ণনকারী, ২) মননকারী, ৩) যারা অনুভবে মগ্ন থাকে l এই তিন প্রকার বাচ্চাদের তিনি দেশ-বিদেশের সব বাচ্চাদের মধ্যে দেখেছেন l বর্ণন করে এমন ব্রাহ্মণ অনেক দেখেছেন, মনন করে এমন বাচ্চা মাঝামাঝি সংখ্যায় দেখেছেন, অনুভবে যারা মগ্ন থাকে এমন বাচ্চাদের দেখেছেন মননকারীদের থেকেও কম সংখ্যায় l বর্ণন করা অতি সহজ, কারণ ৬৩ জন্মের সংস্কার l এক হলো শোনা, দুই, যা শুনছ সেটাই বর্ণন করা – এটাই তোমরা করে আসছ l ভক্তি মার্গ হলো শোনা এবং কীর্তন ও প্রার্থণার মাধ্যমে বর্ণন করা l সেইসঙ্গে দেহ-অভিমানে আসার কারণে ব্যর্থ বলার কঠোর সংস্কার রয়েছে l যেখানে ব্যর্থ বোল, সেখানে বিস্তার আপনা থেকেই হয় l স্বচিন্তন অন্তর্মুখী বানায়, পরচিন্তন বর্ণন করার বিস্তারে নিয়ে যায় l সুতরাং তোমাদের অনেক জন্মের বর্ণন করার সংস্কার থেকে যাওয়ার কারণে ব্রাহ্মণ জীবনেও তোমরা যখন অজ্ঞান থেকে পরিবর্তিত হয়ে জ্ঞানমার্গে এসে যাও, জ্ঞান বর্ণন করাতে তোমরা তাড়াতাড়িই অভিজ্ঞ হয়ে ওঠো l যারা বর্ণন করে, তারা বর্ণন করার সময় পর্যন্তই খুশি বা শক্তি অনুভব করে, কিন্তু সদাকালের জন্য নয় l মুখে জ্ঞান-দাতার বর্ণন করার কারণে শক্তি আর খুশি, জ্ঞানের এই প্রত্যক্ষ ফল প্রাপ্ত হয়ে যায়, কিন্তু শক্তিশালী স্বরূপ, সদা খুশি স্বরূপ হতে পারে না l তবুও জ্ঞান-রত্ন এবং ভগবানুবাচ তথা ভগবানের শ্রীমত থাকার কারণে যথাশক্তি প্রাপ্তিস্বরূপ হয়ে যায় l

যারা মনন করে তারা যা শুনছে, তা’ সবসময় মনন ক’রে নিজেরা সেই জ্ঞানের পয়েন্টের স্বরূপ হয়ে যায় l যাদের মনন শক্তি আছে তারা গুণ-স্বরূপ, শক্তি-স্বরূপ, জ্ঞান-স্বরূপ আর স্মরণ-স্বরূপ নিজে থেকেই হয়ে যায়, কারণ মনন করা অর্থাৎ বুদ্ধির দ্বারা জ্ঞানের ভোজন হজম করা l যেমন, স্থূল ভোজন যদি হজম না হয় তাহলে শক্তি তৈরি হয় না, শুধু মুখ-স্বাদন হয়েই থেকে যায় l সে’রকমই বর্ণনকারীর জ্ঞানও শুধুমাত্র মুখের বর্ণন পর্যন্তই থেকে যায় l কিন্তু অন্যরা শক্তিশালী হয়ে যায়, যখন তাদের বুদ্ধি মনন শক্তি দ্বারা সেই জ্ঞান ধারণ করে নেয় l

যাদের মনন শক্তি আছে তারা সব বিষয়ে শক্তিশালী আত্মা হয়ে যায় l যারা মনন করে তারা সদা স্ব-চিন্তনে বিজি থাকার কারণে মায়ার অনেক বিঘ্ন থেকে সহজে মুক্ত হয়ে যায়, কারণ বুদ্ধি বিজি থাকে l সুতরাং বিজি দেখে মায়াও দূরে সরে যায় l দ্বিতীয় বিষয় হলো, মননের দ্বারা আত্মারা শক্তিশালী হওয়ার কারণে স্ব-স্থিতি কোনো পরিস্থিতিতে তাদের পরাজয় অনুভব করতে দেবে না l সুতরাং যাদের মনন শক্তি থাকে তারা অন্তর্মুখী, যার ফলে তারা সদা খুশি থাকে l যথার্থ সময়ে শক্তিকে কার্যে প্রয়োগ করার শক্তি থাকার কারণে তারা মায়া থেকে মুক্ত অর্থাৎ যেখানে শক্তি সেখানে মায়া-মুক্তি l সুতরাং এইরকম বাচ্চারা বিজয়ী আত্মাদের লিস্টে আসে l

তৃতীয় রকমের বাচ্চারা সদা সকল অনুভবে মগ্ন থাকে l মনন করা, সেকেন্ড স্টেজ, কিন্তু মনন করার সময় মগ্ন থাকা, ফার্স্ট স্টেজ l যারা মগ্ন থাকে তারা আপনা থেকেই নির্বিঘ্ন তো থাকেই, উপরন্তু তার থেকেও উঁচু বিঘ্ন-বিনাশক হওয়ার স্থিতি থাকে অর্থাৎ তারা নিজেরা নির্বিঘ্ন থেকে বিঘ্ন-বিনাশক হয়ে অন্যদেরও সহযোগী হয় l অনুভব সবচাইতে বড় অথরিটি l অনুভবের অথরিটির দ্বারা বাবা সমান মাস্টার আলমাইটি অথরিটির স্থিতি অনুভব করে l যারা মগ্ন অবস্থায়, তারা নিজেদের অনুভবের আধারে অন্যদের নির্বিঘ্ন বানানোর এক্সাম্পল হয়, কারণ দুর্বল আত্মারা তাদের অনুভব দেখে নিজেরা মনোবল পায় আর উৎসাহী হয়ে ওঠে – আমরাও এইরকম হতে পারি l যে আত্মারা মগ্ন থাকে তারা বাবা সমান হওয়ার কারণে আপনা থেকেই সহজে অসীম বৈরাগ্য বৃত্তির, অসীমের সেবাধারী আর অসীম প্রাপ্তির নেশায় থাকে l মগ্ন থাকা আত্মারা সদা কর্মাতীত অর্থাৎ কর্মবন্ধন থেকে স্বতন্ত্র আর সদা বাবার প্রিয় হয় l

মগ্ন আত্মা সদা তৃপ্ত আত্মা, সন্তুষ্ট আত্মা, সম্পূর্ণতার অতি নিকটবর্তী আত্মা l সদা অনুভবের অথরিটির কারণে তারা সহজ যোগী, স্বতঃ যোগীর মতোই শ্রেষ্ঠ জীবনের ও স্বতন্ত্র হয়েও প্রিয় হওয়ার জীবন অনুভব করে l তাদের মুখে সেই অনুভবের বোল হওয়ার কারণে তারা মানুষের হৃদয়ে সমাহিত হয়, সেক্ষেত্রে, বর্ণনকারীদের বোল তাদের মস্তক পর্যন্তই বসে l তাহলে বুঝেছ, ফার্স্ট স্টেজ কি ? মননকারীও বিজয়ী, কিন্তু সহজ আর সদার মধ্যে প্রভেদ আছে l যারা মগ্ন থাকে তারা সদা বাবার স্মরণে সমাহিত হয়ে থাকে l সুতরাং অনুভব বাড়াও, কিন্তু প্রথমে বর্ণন থেকে মননে এসো l মনন-শক্তি, মগ্ন-স্থিতিকে সহজে প্রাপ্ত করায় l মনন করতে করতে অনুভব নিজে থেকেই বাড়তে থাকবে l মনন করার অভ্যাস অতি আবশ্যক l সেইজন্য মনন শক্তিকে বাড়াও l শোনা আর শোনানো তো অতি সহজ l যাদের মনন শক্তি থাকে এবং অনুভবে মগ্ন থাকে তারা সদা পূজ্য ; বর্ণনকারী শুধু গায়নযোগ্য হয় l সুতরাং, সদা নিজেকে গায়ন-পূজন যোগ্য বানাও l বুঝেছ ? এই তিন রকমই সেবাধারী, কিন্তু সেবার প্রভাব নম্বর-অনুক্রমে l নম্বর-ক্রম হ’য়োনা, নম্বর ওয়ান হও l আচ্ছা !

যারা, সদা নিজেদের ডবল রাজ্য অধিকারী, ডবল মুকুটধারী শ্রেষ্ঠ আত্মা অনুভব করে, সদা মনন-শক্তি দ্বারা মগ্ন হওয়ার স্থিতি অনুভব করে, সদা বাবা সমান অনুভাবী, মাস্টার আলমাইটি অথরিটি স্থিতির অনুভাবী-মূর্ত হয়, সদা নিজের শক্তিশালী পূজ্য স্থিতি প্রাপ্ত করে, সে’রকম নম্বর ওয়ান, সদা বিজয়ী বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l

‘বিদেশি ভাই-বোনেদের গ্রুপের সাথে ‘

বিদেশে থেকে তোমাদের স্বদেশ, স্ব-স্বরূপের স্মৃতিতে সদাসর্বদা থাকো তোমরা ? বাবা যেমন পরমধাম থেকে এই পুরানো পরদেশে আসেন, ঠিক সে’রকমই তোমরা সকলেও পরমধাম নিবাসী শ্রেষ্ঠ আত্মারা, সহজযোগী আত্মারা এই সাকার শরীরে প্রবেশ করে বিশ্বের কার্যার্থে নিমিত্ত, এইরকম অনুভব করো তোমরা ? তোমরাও অবতরিত ব্রাহ্মণ আত্মা l শূদ্র জীবন সমাপ্ত হয়েছে, এখন তোমরা শুদ্ধ ব্রাহ্মণ আত্মা l ব্রাহ্মণ কখনো অপবিত্র হয় না l ব্রাহ্মণ অর্থাৎ পবিত্র l তোমরা তো ব্রাহ্মণ, নাকি মিক্স ? যারা দু’ নৌকায় পা রাখে তোমরা তাদের মতো নও l একই নৌকায় তোমাদের দুই পা থাকে l তাইতো ব্রাহ্মণ আত্মারা অবতরিত আত্মা l যাই হোক, যে আত্মারা অবতার হয়ে এসেছে, তারা অবতার রূপেই প্রসিদ্ধ, তারা কিসের জন্য আসে ? শ্রেষ্ঠ পরিবর্তনের জন্য l তাহলে তোমরা সব অবতারের কাজ কী ? বিশ্ব পরিবর্তন করা, রাতকে দিন বানানো, নরককে স্বর্গ বানানো l এত বড় কার্য করার জন্যই তোমরা অবতরিত হয়েছ অর্থাৎ ব্রাহ্মণ হয়েছ l এই কাজ তোমাদের মনে থাকে তো, তাই না ? লৌকিক সার্ভিসই বা কিসের জন্য করো ? ইনকামই বা কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করো ? সেন্টার খোলার জন্য করো নাকি লৌকিক পরিবারের জন্য করো ? যদি এই লক্ষ্য থাকে যে উপার্জন ঈশ্বরীয় কার্যে লাগানোর জন্য করা, তাহলে লৌকিক কার্য করতে করতেও সেবাই তোমাদের স্মরণে থাকে, তাই না ! আর কার ডিরেকশন অনুযায়ী করো ? যখন বাবার শ্রীমৎ অনুসারে করো, তখন যাঁর শ্রীমৎ তিনিই তো স্মরণে আসবেন, তাই না ? সেইজন্য বাপদাদা বলেন, লৌকিক কার্য করার সময় সদা নিজেকে ট্রাস্টি মনে করো l তোমরা ট্রাস্টিও আর উত্তরাধিকারীও l যেখানেই তোমরা থাকো না কেন, মন থেকে যদি সমর্পিত হও তো তোমরা উত্তরাধিকারী l উত্তরাধিকারীর অর্থ এই নয় যে তোমরা মধুবনে এসে থাকো, সেবাক্ষেত্রে থেকেও যদি মন থেকে আমিত্বভাব নেই অর্থাৎ সমর্পিত, তখনই তোমরা উত্তরাধিকারী l তাহলে তোমরা কী সারেন্ডার্ড নাকি এখনও কর্মবন্ধনের আন্ডারে ? মন থেকে সমর্পিত হয়ে গেলে সমর্পিত আত্মাদের কোনকিছুই বন্ধন মনে হবে না, কারণ সারেন্ডার হয়ে যাওয়া অর্থাৎ সব বন্ধনও সারেন্ডার করে দেওয়া l যদি মনকে কোনও বন্ধন টানে তো তোমরা অবশ্যই জেনো যে বন্ধন আছে l আর বাকী যা কিছু, যদি আসে আর চলে যায় তো বন্ধন নেই l সুতরাং আমরা অবতার, উপর থেকে এসেছি – এটা সদা স্মৃতিতে রাখো l অবতার আত্মারা কখনো শরীরের হিসেব-নিকেশের বন্ধনে আসবে না, বিদেহী হয়ে কার্য করবে l শরীরের আধার নেয় ঠিকই, কিন্তু শরীরের বন্ধনে বাঁধে না l তোমরা কি এইরকম হয়েছ ? সুতরাং সদা শরীরের বন্ধন থেকে নিজেকে পৃথক রাখতে অবতার মনে করো l এই বিধিতে যদি চলতে থাকো তাহলে সদা বন্ধনমুক্ত হবে, স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে বাবার প্রিয় হয়ে যাবে l

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা সদা বাবাতে, নিজের পার্টে এবং ড্রামার প্রতি সেকেন্ডের অ্যাক্টে শতকরা একশ’ ভাগই নিশ্চয়বুদ্ধি হয়, তাদের বিজয় বা সফলতা নিশ্চিত l বিজয় নিশ্চিত হওয়ার কারণে তারা সদা নিশ্চিত থাকবে l তাদের মুখে চিন্তার কোনও রেখা দেখা যাবে না l তাদের সদাসর্বদা নিশ্চয় থাকে যে এই কার্য অথবা এই সঙ্কল্প সফল হয়েই রয়েছে l কখনো কোনো বিষয়ে তাদের কোনরকম কোশ্চেন থাকে না l

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top