02 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
1 June 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার সঙ্গে উড়ে চলার জন্য সম্পূর্ণ পবিত্র হও, সম্পূর্ণ সমর্পিত হও, এই দেহ আমার নয় - সম্পূর্ণ অশরীরী হও”
প্রশ্নঃ --
উঁচু লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কোন্ ভয়টি থাকা উচিত নয় ?
উত্তরঃ -:-
অনেক বাচ্চারা মায়ার ঝড়কে ভয় পায়। বলে বাবা ঝড়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়, এই ঝড় থামাও। বাবা বলেন বাচ্চারা এই হল বক্সিং। ওই বক্সিং খেলায় এমন হয় না যে একদিক থেকেই সর্বদা আক্রমণ হবে। যদি একজন ১০ খানা চড় মারবে তো অন্যজন ৫ খানা তো মারবেই, তাই তোমাদের ভয়ের কিছু নেই। মহাবীর স্বরূপে বিজয়ী হতে হবে, তবে উঁচু লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।
গান:-
দ্বারে এসেছি শপথ নিয়ে…….
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা গান শুনলো। এই গানে নিশ্চয়ই কিছু রহস্য আছে যে রেকর্ড কিনে বাবা বসে এর অর্থ বোঝাচ্ছেন। একেই বলা হয় – জীবিত অবস্থায় মৃত সম হয়ে বাবার আপন হওয়া। বাবার আপন হয়ে টিচারের কাছে যাবে, টিচারের পরে মেজরিটি গুরুর কাছে যায়। খ্রিস্টানরা যখন সন্তান জন্ম হয় তখনই খ্রিষ্টান ধর্মে পরিণত করে। গুরুর কোলে দিয়ে দেয়। সে পাদ্রী হোক বা যেই হোক। পাদ্রী তো খ্রাইষ্ট নয়। বলবে খ্রীষ্টের নামে খ্রিষ্টান হয়।
এখন তোমরা বাচ্চারা প্রথমে বাবার আপন হয়েছো, অশরীরী হয়েছো। আমাদের দেহ-মন-ধন যা কিছু আছে সব বাবাকে অর্পণ করি। জীবিত অবস্থায় মৃত হই অর্থাৎ আমরা আত্মারা তাঁর আপন হই। এই কথা বুদ্ধিতে থাকা উচিত। যা কিছু আমার আছে, আমার শরীর, আমার ধন, সম্পদ, আত্মীয়স্বজন ইত্যাদি যা কিছু আছে সব ভুলে যাই। মৃত্যুর পরে সবাই সবই ভুলে যায় তাইনা। কতখানি উঁচু এই লক্ষ্য। আমরা হলাম অশরীরী আত্মা। এই কথা পাকা করতে হবে। এমন নয় তোমরা শরীর ত্যাগ করে মারা যাও। না, আত্মা কমপ্লিট পবিত্র তো হয় নি। যদিও বাবার আপন হয়েছো কিন্তু বাবা বলেন – তোমাদের আত্মা হল অপবিত্র। আত্মার ডানা ভেঙে গেছে। এখন আত্মা উড়তে পারবে না। তমোপ্রধান হওয়ার জন্য একজন মানুষও ফিরে যেতে পারবে না। মায়া ডানা দুটি ভেঙে দিয়েছে। বাবা বুঝিয়েছেন আত্মা সবচেয়ে তীব্র বেগে উড়ে যায়। তার চেয়ে তীব্র কিছু নয়। আত্মার চেয়ে কেউ তীব্র বেগে কেউ পৌঁছাতে পারে না। শেষের সময়ে মশার মতন সব আত্মারা উড়ে যায়। কোথায় যায় ? অনেক দূরে সূর্য-চাঁদের চেয়েও দূরে। সেখান থেকে ফিরে আসার নয়। মানুষের রকেট ইত্যাদি তো সব ফিরে আসে। সূর্যের কাছে তো পৌঁছাতে পারে না। তোমাদের তো তার চেয়েও অনেক দূরে যেতে হবে। সূক্ষ্মবতনের চেয়ে উপরে মূলবতনে যেতে হবে। আত্মা দুটি ডানা প্রাপ্ত করে। হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে আত্মা পবিত্র হয়ে যায়। বিনাশের সময়ে অনেক মহিমা লেখা হয়েছে। সব আত্মাদের হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে ফিরে যেতে হবে। এখন তো সব আত্মারা অশুদ্ধ, পাপ আত্মায় পরিণত হয়েছে। যদিও বড় বড় গুরু সাধু-সন্ন্যাসী আছে, তারা গুরু ভাবে নিজেদেরকে । অহম্ ব্রহ্মস্মি… অহম্ ব্রহ্মহ্ম। আমরা ব্রহ্মে পৌঁছেছি। বসে আছে এখানে, ব্রহ্মে কীভাবে কোথায় পৌছালো। এখন তোমরা জানো আমরা আত্মারা ব্রহ্মে থাকি। কিন্তু এখন সেখানে কেউ যেতে পারে না। সব আত্মারা এখানেই পুনর্জন্ম নেয়। এই হল বেহদের ড্রামা , অসীম জগতের নাটক। সব অ্যাক্টর্সদের পার্ট প্লে করতে সেখান থেকে অবশ্যই আসতেই হবে। সবার আত্মা স্টেজে এসেছে। যখন বিনাশের সময় হয় তখন সবাই এসে যায়, সেখানে থেকে কি করবে! অ্যাক্টর্সরা পার্ট প্লে না করে ঘরে বসে থাকবে। নাটকে নিশ্চয়ই আসতে হবে। সেখান থেকে যখন সবাই চলে আসে তখন পুনরায় বাবা সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। বাবা বলেন যদিও আমি এইখানে আছি তবুও আত্মারা আসতে থাকে, বৃদ্ধি হতে থাকে, ক্রমানুযায়ী। তারপর তোমরা ফিরেও যাবে নম্বর অনুসারে। সম্পূর্ণ টা নির্ভর করে তোমাদের আত্মিক স্থিতির উপরে, তাই তোমাদের মরজীবা (জীবিত থেকে মৃত সম) হতে হবে। আমরা হলাম আত্মা এই দৃঢ় নিশ্চয় করাটাই পরিশ্রম। বাচ্চারা ক্ষণে ক্ষণে দেহ-অভিমানে এসে ভুলে যায়। দেহী-অভিমানী হয়ে তখন থাকবে যখন কমপ্লিট স্যারেন্ডার হবে, বাবা এইসব হল আপনার। আমিও আপনার। এই দেহ আমার নয়, শরীরটি তো আমি ত্যাগ করি। বাবা আমি আপনার। বাবা বলেন আমার আপন হয়ে অন্য সব কিছু থেকে আসক্তি মেটাও। যদিও এমন নয় যে এইখানে এসে বসে থাকবে । তোমাদেরকে নিজের ব্যবসা ইত্যাদি করতে হবে। পরিবারের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সন্তানদের ঋণ শোধ করতে হয় মাতা পিতার। তাদের সেবা করে নিজের কর্তব্য পালন করতে হবে। মা-বাবার লালন-পালনের ঋণ তো থাকে বাচ্চাদের উপরে। এখন বাবা তোমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। শুরুতে যারা এসেছিল সবাই একবারে স্যারেন্ডার করেছিল। নিজের কাছে কিছু রাখে নি, স্যারেন্ডার করেছিল, সেই ধন দিয়ে তোমরা বাচ্চারা ভারতকে পবিত্র করছো। ভারতই সম্পূর্ণ পবিত্র ছিল। ভারতবাসীদের মতন পবিত্র সুখী কেউ হয় না। ভারত হল সবচেয়ে বড় তীর্থ। যেখানে পতিত-পাবন বাবা এসে সম্পূর্ণ সৃষ্টিকে, পতিতদেরও পবিত্র করেন। এখন এই তত্ত্ব ইত্যাদি সব হল শত্রু। ভূমিকম্প হবে, ঝড় আসবে কারণ তমোপ্রধান হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে, অনেক দুঃখ হবে। এই সময় সবই দুঃখের জিনিস। সত্যযুগে সব সুখের জিনিস থাকে। সেখানে এই ঝড় বা গরম হাওয়া ইত্যাদি কিছু থাকে না। তোমাদের মধ্যেও এইসব কথা অনেক কম বাচ্চারাই বুঝতে পারে। আজ আছে কাল নেই তখন বলা হবে কিছুই বোঝেনি। যদিও এখানে আসে কিন্তু সবাই স্থির থাকবে না। এখান থেকে বাইরে গিয়ে ১০ দিন পরে চিঠি লিখবে – বাবা অমুককে মায়া গ্রাস করেছে। এমন হয়। ছোট ফুল বড় হলে তাতে ফল ধরবে। তাদের মধ্যে তখন অন্যদের নিজ সম বানানোর শক্তি থাকে। তাদের ফল প্রকাশ পায়।
বাবার আপন হয়ে প্রজাও বানাতে হবে, উত্তরাধিকারীও বানাতে হবে। পান্ডা রূপে বাবার কাছে এসে বুঝবে আমরা পৌঁছে গেছি। না, লক্ষ্য হল বিশাল। অনেকে বলে মায়ার ঝড় আসে অনেক। তোমরা বাবার আপন হয়েছো, ঝড় তো আসবেই। বাচ্চারা বলে, বাবা আমরা আপনার ছিলাম। স্বর্গের উত্তরাধিকার নিয়েছিলাম পরে পুনর্জন্ম নিয়ে ৮৪ জন্ম পার করে পুনরায় আপনার আপন হয়েছি। আমি তো স্বর্গের অধিকার নিয়েই থাকবো। অতএব এমন বাবাকে কতখানি স্মরণ করতে হয় এবং নিজ সম বানিয়ে ফল দিতে হয়। তা নাহলে মালা কীভাবে তৈরি হবে। বাবার উত্তরাধিকারী কীভাবে বানাবে। প্রজাও চাই, উত্তরাধিকারীও চাই, যে সিংহাসনে বসবে। বাবার কাছে তো অনেকে আসে তারা ত্যাগ করে চলে যায়। বুদ্ধির যোগ বিচ্ছিন্ন হলেই খেলা শেষ।
অনেক বাচ্চারা এসে জিজ্ঞাসা করে – বাবা অবস্থা স্থির করবো কীভাবে, যাতে কোনো ঝড় না আসে। এর জন্য পথ তো বলাই হয়েছে, বাবাকে স্মরণ করো। ঝড় তো আসবেই। বক্সিং খেলায় এমন কখনও দেখেছো যে একজনই চড় খাচ্ছে। নিশ্চয়ই দুইজনের মধ্যেই সাহস আছে। ৫-টি চড় একজন দিলে অন্যজন ১০-টি চড় লাগিয়ে দেবে। এও একরকমের বক্সিং। বাবাকে স্মরণ করতে থাকবে তো মায়া পালাবে কিন্তু একবারে তো হবে না। মায়ার সঙ্গে কুস্তি করতে হবে। এমন ভেবো না মায়া চড় মারবে না। যে জনই হোক না কেন , এই বক্সিং হল বিশাল । অনেকে ভয় পেয়ে যায়, মায়া একবারে নাকটি ধরে নেয়। এই হল যুদ্ধস্থল, তাইনা। বুদ্ধি যোগ স্থির করলে মায়া অনেক বিঘ্ন সৃষ্টি করে। পরিশ্রম তো যোগেই। যদিও বাবা বলেন জ্ঞানী আত্মারাই আমার প্রিয়। কিন্তু এমন নয় শুধু জ্ঞান দান যে করে সে-ই প্রিয়। প্রথমে তো পুরোপুরি যোগ চাই। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। মায়ার বিঘ্ন দেখে ভয় পাবে না। বিশ্বের মালিক হও তাইনা। সবাই হবে ? ১৬ হাজার ১০৮-এর মালা তো বিশাল। শেষে গিয়ে পূর্ণ হবে। ত্রেতা যুগের শেষ সময় পর্যন্ত কত জন প্রিন্স প্রিন্সেস থাকে, কিছু প্রমাণ চিহ্ন তো আছে তাইনা। ৮-এর প্রমাণ চিহ্ন আছে। ১০৮-এর ও আছে। এই কথা একেবারে সঠিক। ত্রেতার অন্তে এত জন ১৬ হাজার ১০৮ প্রিন্স-প্রিন্সেস থাকে। শুরুতে তো থাকবে না। প্রথমে খুব কম থাকে তারপরে বৃদ্ধি হয়। সেসব তৈরি হয়ে যায় এইখানেই । চান্স খুব ভালো কিন্তু পরিশ্রমও অনেক আছে। গানেও বলে কখনও ত্যাগ করবো না, মৃত্যুকে বরণ করবো…। বাবা এই তন-মন-ধন সবই তোমার। আমরা অশরীরী হয়ে তোমাকে স্মরণ করি। বুদ্ধি যোগ তোমার সঙ্গে যুক্ত করবো। তখন বাবা বলেন বাচ্চারা এইসব তোমাদেরই জন্য। বাচ্চারা বলে – আমাদের সবকিছু তোমার। কথায় বলে না, এইসব ভগবানের ই দান! এখন বাবা বলেন – এইসব শেষ হয়ে যাবে। তোমাদের কাছে কি আছে ? এই শরীরও শেষ হয়ে যাবে। এখন আমি তোমাদের পরিবর্তন করি। শুধুমাত্র এক্সচেঞ্জ করি তাইনা। তাই বাবা বলেন – বাচ্চারা অশরীরী হও। আমাকে স্মরণ করো। বুদ্ধি দ্বারা সবকিছু স্যারেন্ডার করো। রাজা হরিশচন্দ্রের কাহিনী আছে না। বলা হয় সঞ্চিত যা আছে রেখে দাও।
বাবা বলেন – এই সব শাস্ত্র ইত্যাদির সার অর্থ তোমাদেরকে বোঝাই। আমি ই তোমাদের ব্রহ্মা মুখের দ্বারা রাজা-রানী বানিয়েছিলাম এখন আবার বানাচ্ছি। কখনও মানুষ মানুষকে গীতা পাঠ শুনিয়ে, রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করে রাজা-রানী বানাতে পারেনা। তাহলে গীতা পাঠ শুনে কি লাভ। বাবা বলেন – আমি নিজে কল্প-কল্প এসে তোমাদের স্বর্গের মালিক করি। আমার আপন হবে তবে তো উত্তরাধিকারী হবে তাইনা। অতএব যতখানি যোগযুক্ত থাকবে ততখানি শুদ্ধ হতে থাকবে। এইসব বাবা তোমার। আমরা হলাম ট্রাস্টি। তোমার আদেশ ব্যতীত আমরা কিছু করবো না। শরীর নির্বাহ কীভাবে করবে – সেই বিষয়েও মতামত জানতে চায়। প্রায় গরিব মানুষ সম্পূর্ণ পোতামেল অর্থাৎ কর্মের চার্ট লিখে দেয়। ধনী মানুষ দেয় না। স্যারেন্ডার বা সমর্পিতও হতে পারে না, অনেক কম এমন থাকে। যেমন মাত্র একজন জনকের নাম আছে। সন্তান আছে, সংযুক্ত সম্পত্তি আছে তাহলে আলাদা হবে কীভাবে। ধনী মানুষ নিজের সম্পত্তি কীভাবে আলাদা করবে, যে স্যারেন্ডার হবে ? বাবা তো হলেন গরিব-নিবাজ অর্থাৎ দীনের নাথ। সবচেয়ে বেশি গরিব হয় মাতারা, তারচেয়েও গরিব হয় কন্যারা। কন্যাদের কখনও সম্পত্তির নেশা থাকবে না। পিতার সম্পত্তির নেশা সন্তানের থাকে। অতএব সেইসব কিছু ত্যাগ করে বৈকুণ্ঠের অধিকার প্রাপ্ত করতে হয়। দান সর্বদা গরিবদের করা হয়। ভারত হল সবচেয়ে গরিব, আমেরিকা হল ধনী। তাদেরকে স্বর্গের অধিকার কি দেওয়া হয় ? ভারত সবচেয়ে ধনী ছিল অন্য কোনো ধর্ম ছিল না। শুধু ভারতবাসীই ছিল, একটি ভাষা ছিল। গড ইজ ওয়ান। ঈশ্বর এক। আমি ওয়ান সভেরন্টি, ওয়ান ধর্ম, ওয়ান ভাষা স্থাপন করি। ওয়ান অলমাইটি, ওয়ান গভর্নমেন্ট স্থাপন করি। ওয়ান থেকে টু, থ্রি হবে। এখন অনেক ধর্ম আছে পুনরায় ওয়ান ধর্ম অবশ্যই আসা উচিত। ৫ হাজার বছরের কথা। ওয়ান ধর্ম ছিল। বিদ্বান মানুষ সত্যযুগের আয়ু লক্ষ বছর লিখে দিয়েছে। তাদের জ্ঞান নেই যে সত্যযুগ কি। ভাবে, স্বর্গবাসী হয়েছে, হয়তো উপরে চলে গেছে। দিলওয়াড়া মন্দিরেও স্বর্গ উপরে আছে ছাতে দেখানো হয়েছে। তাই মানুষ কনফিউজ হয়। বাস্তবে স্বর্গ উপরে নেই। তোমরা এখন জানো বাবার কাছে গিয়ে পুনরায় এখানে এসেই রাজত্ব করবে। এই জ্ঞান বুদ্ধিতে থাকা উচিত, যাতে কাউকে বোঝাতে পারো। যোগে যারা কাঁচা তাদের তো মায়া রূপী পাখিটি গ্রাস করে নেবে তাই ফটো চাওয়া হয়। রেজিস্টারে রাখা হয়।
বাবার কাছে সংবাদ আসে অমুকে এমন জ্ঞানের বাণ মেরেছে যে আমি বাবার আপন হয়েছি। শাস্ত্রেও লেখা আছে – কুমারীরা বাণ মেরেছে। আরে, বাবাকে কেন ভুলেছো ? একেই জ্ঞানের বাণ বলা হয়। শুধুমাত্র বাবার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। কোনো হিংসাযুক্ত বাণের কথা নেই। বাবা বলেন – আমি, ব্রহ্মা মুখ দ্বারা সব শাস্ত্রের রহস্য তোমাদের বোঝাচ্ছি। ব্রহ্মা তো নিশ্চয়ই এখানে হওয়া উচিত। তারা বিষ্ণুর নাভি কমল থেকে ব্রহ্মাকে দেখিয়েছে। কিছুই জানে না। মানুষ তো যা মনে হয়েছে তা লিখেছে। আবর্জনা তো অনেক। ঋদ্ধি-সিদ্ধি ও বেড়েছে। সত্য যখন প্রত্যক্ষ হয় মিথ্যা তখন বিরোধ করে। এখন তোমরা বুঝেছো যে শিববাবা হলেন নিরাকার এবং ব্রহ্মা হলেন সাকার। যদিও নাভি কমল ইত্যাদির কোনো কথা নেই। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) এখন জ্ঞানী আত্মা হতে হবে, শুধুমাত্র জ্ঞান শোনা বা শোনানো নয়। স্মরণ করার পরিশ্রমও করতে হবে। অশরীরী হয়ে অশরীরী পিতাকে স্মরণ করতে হবে।
২ ) বাবার আপন হয়ে অন্য সব বিষয় থেকে আসক্তি শেষ করতে হবে। এই দেহটিও আমার নয়। সম্পূর্ণ দেহী-অভিমানী হয়ে কমপ্লিট স্যারেন্ডার হতে হবে।
বরদানঃ-
যে কোনও পতিত পরিবেশকে পরিবর্তন করার জন্য অথবা পুরানো সংস্কার রূপী জীবাণু ভস্ম করার জন্য এই স্মৃতি যেন থাকে যে আমি মাস্টার জ্ঞান সূর্য। সূর্যের কর্তব্য হল আলো দেওয়া এবং আবর্জনা বিনষ্ট করা। সুতরাং জ্ঞান-যোগের শক্তি বা শ্রেষ্ঠ আচরণের দ্বারা এই কর্তব্য করতে থাকো। যদি শক্তি কম থাকে তাহলে তো জ্ঞান শুধুমাত্র আলো দেবে কিন্তু পুরানো সংস্কার রূপী জীবাণু নষ্ট হবে না তাই প্রথমে যোগের তপস্যা দ্বারা শক্তিশালী হও।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!