02 February 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

02 February 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

2 February 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এখন ঈশ্বরীয় খাজানায় জীবন যাপন করছো, তোমাদের কর্তব্য হল - জ্ঞানের খাজানা সর্বজনে বিতরণ করে সকলের কল্যাণ করা”

প্রশ্নঃ --

মায়ার গ্রহণ লাগলে বাচ্চারা কোন্ ওয়ান্ডারফুল খেলা শুরু করে ?

উত্তরঃ -:-

যখন গ্রহণ লাগে তখন উঁচু থেকে উঁচু পিতা, শিক্ষক এবং সদ্গুরু এই তিনকে ভুলে যায়। ওয়ান্ডার হল যে, ভালো ভালো নিশ্চয় বুদ্ধি বাচ্চারাও বলে – আমরা মানি না। আশ্চর্য হয়ে শুনন্তি, কথন্তি এবং ভাগন্তি হয়ে যায়। আজ মাম্মা বাবা বলে আগামী দিনে পালিয়ে যায়। কোনো খবর পাওয়া যায় না, তবুও বাবা বলেন সবাই আসবে কারণ সবাইকে শরণাগতি তো এক বাবার কাছেই হতে হবে।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায় ..

ওম্ শান্তি । এই গীত তো বাচ্চারা সময়ে সময়ে শোনে এবং নিজের পারলৌকিক পরম পিতা পরমাত্মাকে স্মরণও করে। স্মরণ সদা তাকেই করা হয় যার কাছে সুখের প্রাপ্তি হয়। বেনারসে শিবের মন্দির আছে। সেখানে অনেকে যায় এবং নিরাকার পিতাকে স্মরণ করে। যেমন লক্ষ্মী-নারায়ণকে সবাই স্মরণ করে, কারণ তাদের রাজ্যে সুখ ছিল, তবেই রাজা রানীর মহিমা বর্ণনা করা হয়। সম্পূর্ণ দুনিয়া স্মরণ করে – ও গড ফাদার! একমাত্র তিনিই হলেন ওয়ার্ল্ডের ফাদার, অন্য কেউ তো ওয়ার্ল্ডের ফাদার নয়, ওয়ার্ল্ডের ফাদার হলেন নিরাকার গড, এক তাঁরই অবতরণ হয় অর্থাৎ রিইনকারনেশনও বলা হয়। তিনি হলেন একমাত্র পিতা যাঁর নিজস্ব সূক্ষ্ম অথবা স্থূল দেহ নেই। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করেরও সূক্ষ্ম শরীর আছে। তাদের অবতরণ বলা হবে না। অবতরণ শব্দটি খুবই উচ্চ। তিনি সকলের পিতা, তিনি হলেন সকলকে সুখ প্রদানকারী পতিত-পাবন। সর্ব মনুষ্য আত্মারা যারা আসে তারা প্রথমে সতোপ্রধান তারপরে সতঃ, রজঃ, তমঃ স্টেজে আসে। তাদেরকে পতিত দুঃখী হতেই হবে। পুনর্জন্ম তো সবাই নেয় তাই না। ব্রহ্মাকেও মানুষ বলা হয়, বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণকেও মানুষ বলা হয়। সুতরাং তাদের অবতরণ বলা হবে না। অবতরণ হল কেবলমাত্র একজনেরই । বাবা আসেন বাচ্চাদেরকে স্বর্গের অধিকার প্রদান করতে। আসেনও তখন যখন সম্পূর্ণ দুনিয়া পতিত হয়ে যায়। মানুষ মাত্রই সবাই হল গড ফাদারের রচনা। ভিন্ন নাম রূপের দ্বারা সবাই গড ফাদার নিশ্চয়ই বলে। প্রত্যেক আত্মার বুদ্ধি সেই পিতাকেই স্মরণ করে। এমন নয় ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্করকে স্মরণ করে। ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্করকে পিতা বলা হবে না। পিতা তো একমাত্র ক্রিয়েটারকেই বলা হবে। যখন সঙ্গমযুগ হয়, সব মানুষ পতিত হয়ে যায় তখন বাবার অবতরণ ঘটে, কল্পের সঙ্গমযুগে, কলিযুগকে সত্যযুগে পরিণত করতে। তিনি হলেন ক্রিয়েটার, তাইনা। দেখানো হয় ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন, শঙ্করের দ্বারা বিনাশ, বিষ্ণুর দ্বারা পালনের কর্তব্য করেন। আসেনও ভারতে। শিবরাত্রি উৎসবও ভারতেই পালন করা হয়। কিন্তু জানেনা যে শিবের নাম রূপ দেশ কাল কি! বাবা বলেন আমার পরিচয় না জেনে সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে। আমার অনেক নিন্দে গ্লানি করেছে, যার জন্য ভারতবাসী সম্পূর্ণ পতিত হয়ে গেছে। যখন ভারতে সব আত্মারা পতিত আত্মা হয়ে যায় তখন আমি আসি। কলিযুগে কেউ পুণ্য আত্মা, পবিত্র আত্মা হতে পারে না। পবিত্র দুনিয়ায় পবিত্র আত্মারা বাস করে, তাকে বলা হয় সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া। তার তুলনায় কলিযুগ হল পতিত দুনিয়া। কলিযুগের অন্ত এবং সত্যযুগের আদি সময়কে বলা হয় সঙ্গম। দ্বাপর আর ত্রেতাযুগকে মেলানো যাবে না। অন্তিম সময় অর্থাৎ সম্পূর্ণ পুরানো দুনিয়ার অন্তিমকাল আর নতুন দুনিয়ার আদিকাল। সত্যযুগ হল পবিত্র দুনিয়া তারপরে আত্মার গুণ বা কলা (কোয়ালিটি) কম হতে থাকে। সত্যযুগ ত্রেতাকেও একই রকম বলা হবে না। বাবা বলেন আমার পরিচয় বাচ্চারা নম্বর অনুক্রমে পেয়েছে – এই সময়েই এমন বলা হয় কারণ মায়া সামনে দাঁড়িয়ে আছে, ক্ষণে ক্ষণে ভুলিয়ে দেয়। বাচ্চারা বলে আমরা ব্রহ্মার সন্তান শিবের পৌত্র। এমন কথা বলেও ভুলে যায়। অজ্ঞান কালে এমন কথা কখনোই ভুলবে না। এখানে সম্মুখে বলে দেয় আমরা ব্রহ্মার সন্তান নই। একদম ভুলে যায়। এমন ভুলে যায় যে আর কখনও স্মরণ করে না। এ হল খুবই আশ্চর্য ব্যাপার। ভারতবাসী এই কথা জানে যে স্বর্গের রচয়িতা হলেন পরমপিতা পরমাত্মা এবং নরকের রচয়িতা হল মায়া রাবণ। পরে দুটি কথাই ভুলে যায়। না বাবার পরিচয় জানে, না রাবণের । শিবের পূজা করে এবং রাবণকে দাহ করে। কিন্তু ওয়ান্ডার হল এই যে যাদের পূজা করে তাদের অক্যুপেশন, বায়োগ্রাফির বিষয়ে জানেনা এবং রাবণ যাকে তারা দহন করে তার বিষয়েও জানেনা যে আসলে রাবণ কি। মানুষ মাত্রই যথা রাজা রানী তথা প্রজা – তাতে সবাই এসে যায়, সবাই হল তুচ্ছ বুদ্ধি। বাবা বোঝান অন্য ধর্মের স্থাপক যারা আসে, তাদের উদ্দেশ্যে রিইনকারনেশন বলা হবে না। অবতরণ একমাত্র বাবার হয় ভারতে। কিন্তু ভারতবাসী নিজেরাই ভুলে যায়। যদিও পরম পিতা পরমাত্মার পূজা করে কিন্তু কবে এসেছেন, কি করেছেন, কিছুই জানেনা। না পিতাকে, না রচনার আদি-মধ্য-অন্তের কথা জানে, না দেবী-দেবতাদের বায়োগ্রাফি জানে, তার জন্য দুঃখে আছে। ভারতবাসী প্রথমে অনেক সুখী ছিল, সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক ছিল। এখন সেই ভারতবাসীরাই এই কথা জানেনা যে আমরা সবাই পবিত্র শ্রেষ্ঠাচারী ছিলাম। যদি ছিলাম তো কীভাবে হয়েছিলাম, কিছুই জানেনা, এ হল ওয়ান্ডার! বাবা কতখানি স্পষ্ট করে বোঝান। কাদেরকে বোঝাবেন ? নিজের সন্তানদের বোঝাই। বাচ্চাদের সম্মুখে প্রত্যক্ষ হই। কিন্তু বাচ্চারা প্রত্যক্ষ হয়েও মাম্মা বাবা বলেও ভুলে যায়। এটাই হল ওয়ান্ডার। অজ্ঞানকালে কখনও নিজের পিতা টিচার গুরুকে ভুলে যায় না। এখানে এই পারলৌকিক পিতা যিনি এমন উঁচু থেকেও উঁচু, যিনি সব দুঃখ দূর করেন, তাঁকেই ভুলে যায়, তবেই বলা হয় আশ্চর্য হয়ে শুনে, অন্যকে শুনিয়ে (শুনন্তি, কথন্তি), অহো মম মায়া তুমি কত প্রবল! অসীম জগতের পিতার আপন হয়েও, টিচার রূপে স্বীকার করে তাঁর কাছে জ্ঞান অর্জন করেও, পতিত-পাবন সদ্গুরু তিনি, দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বুঝে নেওয়ার পরেও তিন রূপকেই ভুলে যায়। এককে ভুলে গেলে তিনকেই ভুলে যাবে। এককে স্মরণ করো তাহলে তিন স্বরূপই স্মরণে আসবে, কারণ তিনটি রূপই হল কম্বাইন্ড। তিনি নিজেই হলেন পিতা টিচার এবং সদ্গুরু, তাও একেবারে অ্যাক্যুরেট। তিনি বলেন আমি তোমাদের পিতা তোমাদেরকে নিশ্চয়ই নিজ পরমধামে নিয়ে যাব। আমি তোমাদের শিক্ষক, পড়াশোনা করিয়ে অবশ্যই তোমাদেরকে রাজার রাজা বানাব। আমি সদ্গুরু, বাচ্চারা – তোমাদের সবাইকে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে অবশ্যই ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এই কথার গ্যারান্টি করেন। এমন পিতাকেও চলতে চলতে ভুলে যায়। মায়ার গ্রহণ এমন যে, আজ বাবা বলে ডাকবে আর কাল বলবে সংশয় রয়েছে। এমন হতেই থাকে। কেউ তো আবার শেষকালে এসে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করবে। গ্রহণ কাটলে আসবে। ড্রামাতে এমনটাই নির্দিষ্ট আছে। বিনাশ তো হবেই, তখন কার শরণাপন্ন হবে ? সবার সদ্গতি দাতা তো হলেন একজনই। সবাইকে শরণেও নেবেন, সবাই এসে মাথা নত করবে। কিন্তু সেই সময় কি আর করতে পারবে। তখন এমন হবে যে একত্রে এতজন ভীড় করে আসতেও পারবে না। এই খেলা এমনই ওয়ান্ডারফুল বানানো হয়েছে। এত ভীড় করে এসে তখন কী করবে ? তখন তো অকস্মাৎ বিনাশ সামনে এসে উপস্থিত হবে। হ্যাঁ, আওয়াজ শুনবে যে, বাবা বলছেন আমাকে স্মরণ করো, এখন ফিরে যেতে হবে। আর মিলিত হয়ে কি লাভ হবে তখন ? বাবা ডাইরেকশন দেন যে যদি কেউ বিদেশেও থাকে তবুও বাবাকে স্মরণ করতে থাকলে বিকর্ম বিনাশ হবে। অন্তিম সময়ে যেমন মতি সেই অনুসারেই গতি হবে। সবাই খবর তো পাবেই। এক জায়গায় এত জন দেখা করতে তো পারবে না। কিন্তু ড্রামা খুবই ওয়ান্ডারফুল তৈরি হয়েছে। সবাই জানবে যে ফাদার এসেছেন। খ্রীস্টানরা সবাই পোপের সঙ্গে দেখা তো করে না। সবাই পৌঁছাতে পারে না। এই কথাও সবাই অন্তিম সময়ে জানবে যে বাবা এসেছেন, সবাইকে লিবারেট করে নিয়ে যাবেন। কতো বিশাল ভাবে বিনাশ হবে ! রুদ্র মালাও কত বড়! তার তুলনায় বিষ্ণুর মালা খুবই ছোট। সেভাবে বলতে হলে বলা যেতে পারে যে, সম্পূর্ণ মালা হল বিষ্ণুর। সর্ব প্রথমে তো হল বিষ্ণুই, তাইনা ? মনুষ্য সৃষ্টির গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার হলেন ব্রহ্মা। ব্রহ্মাই পরে বিষ্ণু হন। বিষ্ণুর দুই রূপ হল লক্ষ্মী-নারায়ণ। তফাৎ তো কিছুই নেই। এ হল খুবই ওয়ান্ডারফুল কথা, এই কথা স্মরণ করতে থাকলেও খুশি থাকবে। বাবা বুঝিয়েছেন – রিইনকারনেশন শুধু একজনের বলা হয়, কারণ তাঁর নিজস্ব শরীর নেই এবং সকলের নিজের শরীর আছে। বাবাকে তো দেহের লোন নিতে হয়। অন্য সকলের তো নিজের দেহ আছে। লোন নেওয়া হয় অন্যের জিনিসের। কোনও আত্মা এমন তো বলবে না যে, আমরা লোন নিয়েছি। আত্মা তো বলে – আমার শরীর। শিববাবা তো বলতে পারেন না যে এই শরীরটি আমার। তিনি কেবল আধার নেন, বাচ্চাদেরকে নলেজ প্রদান করার জন্য এবং যোগের শিক্ষা দেওয়ার জন্য। বাচ্চারাও জানে যে, বাবা আধার নিয়েছেন তা সত্ত্বেও ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যায়। দেহ-অভিমানী হয় তখন রিগার্ড হারিয়ে যায়। নাহলে বাবার স্বরূপ কি, যদি জানে তবে তাঁর আদেশ অনুযায়ী নিশ্চয়ই চলবে। পদে পদে শ্রীমৎ নিতে হয়। কিন্তু মায়া ভুলিয়ে দেয়। কখনও শ্রীমৎ অনুসারে, কখনও আসুরিক মতানুসারে চলে। কখনও ওদিকে ভারী, কখনও হাল্কা । কখনও এই মতে, কখনও ওই মতে। একমাত্র শিববাবার মতে চলতে থাকলে তবেই সঠিকভাবে উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে। কিন্তু নিজের মতানুযায়ীও চলতে থাকে। বাবা যে ডাইরেকশন ইত্যাদি দেন সেসব নিশ্চয়ই ব্যবহার করতে হবে। তবুও যদি কিছু হয়ে যায় তখন বলা হবে ড্রামাতে এমনটাই হওয়ার ছিল। রাজধানী তো স্থাপন হবেই, এতে একটুও চেঞ্জ হতে পারে না। বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অনেকেই আসে কিন্তু বাড়ি ফিরে গেলেই সব শেষ হয়ে যায়। সম্পূর্ণ দৃঢ় নিশ্চয় নিয়ে তো আসে না। কারো ৫% নিশ্চয় আছে তো কারো ১৫%। অজ্ঞানকালে যখন কেউ জানতে পারে অমুকে আমার কাকা, অমুকে মামা, তখন তো কোনো সংশয় থাকে না । এখানে তো মায়া সংশয় যুক্ত করে পতিত বানিয়ে দেয়। অর্থাৎ দৃঢ় নিশ্চয় নেই। নিশ্চয় আসার পরেও হারিয়ে যায়। ওয়ান্ডার তাইনা। ইনি হলেন একমাত্র পিতা, টিচার, সদ্গুরু । প্রত্যেকে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে কল্প পূর্বের মতন জ্ঞান অর্জন করে। পূর্ব কল্পে যে যতখানি বর্সা প্রাপ্ত করেছে, প্রত্যেকের সেইরকম অ্যাক্ট চলছে। এই সময় ব্রাহ্মণদের মালা তৈরি হতে পারে না কারণ মায়ার গ্রহণ লাগতে থাকে তখন দৃঢ় নিশ্চয় ভেঙে পড়ে। তখন প্রজার মালায় এসে যায়। প্রজাতেও কখনো এমন, কখনও অমন। মালা তো আছে অবশ্যই। রুদ্রের মালা ও বিষ্ণুর মালা – এক হল আত্মিক মালা, অন্যটি দৈহিক মালা। এই কথা বুঝবার জন্য বিশাল বুদ্ধির ও স্বচ্ছ বুদ্ধির প্রয়োজন। বিশ্বস্ত, আজ্ঞাকারী চাই যারা শ্রীমতে পুরোপুরি মনোনিবেশ করে। এ হল শিববাবার বিশাল সার্ভিস । বাচ্চারা বলে পতিত-পাবন এসো। বাবা পবিত্র দুনিয়া স্থাপনা করেন। তারাই আবার পতিত হয়। তখন তাদেরকে পুনরায় পবিত্র বানাতে বাবাকে আসতে হয়। কেমন ওয়ান্ডারফুল পার্ট প্লে হয় এই সময়, তাই বলিহারী এই সময়টি হল পরমপিতা পরমাত্মার পার্ট প্লে করার সময়। নম্বরওয়ান স্মরণিক হল কেবল একজনের । যিনি সব কিছু করেন তাঁরই জয়ন্তী পালন করা হয়। যাকে তৈরি করেন তারও অনেক মহিমা। বাকি এই সময়ে মানুষ মাত্রে সবাই হল পতিত, ভ্রষ্টাচারী। সত্য যুগ ছিল শ্রেষ্ঠাচারী, পরিস্তান, অন্য সময়ের সাথে যেন রাত-দিনের তফাৎ। এখন আমরা শিববাবার কাছে বর্সা প্রাপ্ত করি। এখন আমাদের কি উৎসব পালন করতে হবে ? উৎসব পালন হয় ভক্তি মার্গে। এই সময় শ্রীমৎ অনুসারে তোমাদেরকে অনেক পুরুষার্থ করতে হবে, সার্ভিস করতে হবে। প্রদর্শনীর আয়োজন করে বোঝাবার ব্যবস্থা খুবই ভালো। ঈশ্বরীয় সার্ভিসে বাচ্চাদেরকে মনোযোগ দিতে হবে। যারা ঈশ্বরীয় খাজানায় প্রতিপালিত হয়, তাদেরকে তো পুরোপুরি সার্ভিস করতে হবে, যাতে অতি দ্রুত মানুষের কল্যাণ হয়ে যায়। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) উত্তরণ কলায় যাওয়ার জন্য প্রতিটি কদমে (পদক্ষেপে) শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। যথার্থ রূপে বাবার পরিচয় জেনে, দেহী-অভিমানী হয়ে সম্পূর্ণ রিগার্ড রাখতে হবে।

২ ) ঈশ্বরীয় সার্ভিসে পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে হবে। স্মরণের দ্বারা বুদ্ধিকে স্বচ্ছ এবং বিশাল বানাতে হবে।

বরদানঃ-

তোমার অনাদি রূপ হল নিরাকার জ্যোতি স্বরূপ আত্মা এবং আদি স্বরূপ হল দেব আত্মা। দুই স্বরূপ সদা স্মৃতিতে তখনই থাকবে যখন নলেজের লাইট-মাইটের আধারে সোল কনসাস স্থিতিতে থাকার অভ্যাস থাকবে। ব্রাহ্মণ হওয়া অর্থাৎ নলেজের লাইট-মাইটের স্মৃতি স্বরূপ হওয়া। যারা স্মৃতি স্বরূপ, তারা নিজেও সন্তুষ্ট থাকে আর অন্যদেরও সন্তুষ্ট করে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top