01 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

01 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

30 September 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে খুব উঁচু জাতির, তোমাদেরকে ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হতে হবে তাই খারাপ বিকারী স্বভাব দূর করতে হবে”

প্রশ্নঃ --

এই পড়াশোনার সঙ্গে কোন্ কথার কোনো কানেকশন নেই ?

উত্তরঃ -:-

ড্রেস ইত্যাদির কানেকশন এই পড়াশোনার সঙ্গে নেই, এতে কোনো ড্রেস পরিবর্তন করার কথা নেই। বাবা তো আত্মাদের পড়ান। আত্মা জানে এই হল পুরানো পতিত শরীর, এই শরীরকে হাল্কা কাপড় পরাও, কোনো অসুবিধে নেই। শরীর ও আত্মা দুইই কালো হয়েছে। বাবা কালো অথবা শ্যামকে সুন্দরে পরিণত করেন।

ওম্ শান্তি । আত্মাদের পিতার সম্মুখে আত্মারূপী বাচ্চারা বসে আছে, আত্মিক পাঠশালায়। এই পাঠশালা দেহের নয়। রূহানী অর্থাৎ আত্মাদের পাঠশালায় আত্মাদের পিতা বসে রাজযোগ শেখাচ্ছেন, আত্মারূপী বাচ্চাদের। তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা পুনরায় নর থেকে নারায়ণ অথবা দেবী-দেবতা পদ প্রাপ্ত করার জন্য রূহানী পিতার সম্মুখে বসে আছি। এই কথাটি হল নতুন। এই কথাও তোমরা জানো লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, তারা ডবল মুকুটধারী ছিলেন ( একটি পবিত্রতার মুকুট দ্বিতীয় রাজ্য পদের মুকুট)। লাইটের মুকুট এবং রত্ন জড়িত মুকুট দুইই ছিল। সর্ব প্রথমে হয় লাইটের মুকুট, যারা সত্যযুগে বাস করে গেছে তাদের জন্য শ্বেত আলোক দেখানো হয়। এ হল পবিত্রতার নিদর্শন। অপবিত্রদের কখনও লাইট দেখানো হবে না। তোমাদের ফটো তোলা হলে লাইট দেওয়া যাবে না। এ হল পবিত্রতার নিদর্শন । লাইট এবং ডার্ক। ব্রহ্মার দিন লাইট, ব্রহ্মার রাত ডার্ক। ডার্ক অর্থাৎ যার উপরে লাইট নেই। তোমরা বাচ্চারা জানো – বাবা স্বয়ং এসে, এতজন যারা পতিত আছে অর্থাৎ ডার্কই ডার্ক হয়ে গেছে, তাদেরকে পবিত্র করেন। এখন তো পবিত্র রাজধানী নেই। সত্যযুগে ছিল যথা রাজা রানী তথা প্রজা, সবাই ছিল পবিত্র। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। এই চিত্রের দ্বারা বাচ্চারা তোমাদেরকে খুব ভালো ভাবে বোঝাতে হবে। এটাই হল তোমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। বোঝানোর জন্য আরও ভালো চিত্র আছে তাই এত গুলি চিত্র রাখা হয়। মানুষ একবারে তো বোঝে না যে, আমরা এই স্মরণের যাত্রার দ্বারা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হবো, তারপরে মুক্তি বা জীবনমুক্তিতে অর্থাৎ (শান্তি ধাম বা সুখ ধামে) চলে যাবো। দুনিয়ায় কেউ জানে না যে, জীবনমুক্তি কাকে বলে। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য কবে ছিল – সে কথাও কেউ জানেনা। এখন তোমরা জানো আমরা বাবার কাছে পবিত্রতার দৈবী স্বরাজ্য প্রাপ্ত করছি। চিত্রের দ্বারা তোমরা ভালো রীতি বোঝাতে পারো। ভারতেই ডবল মুকুটধারীদের পূজা (দেবী-দেবতাদের) করা হয়। এমন চিত্র সিঁড়ির চিত্রেও আছে। ওই মুকুট আছে কিন্তু লাইটের মুকুট নেই। পবিত্রদেরই পূজা হয়। লাইট হল পবিত্রতার নিদর্শন। যদিও এমন নয় কেউ সিংহাসনে বসলেই আলো জ্বলে ওঠে। না, এ হল পবিত্রতার প্রতীক চিহ্ন। তোমরা হলে এখন পুরুষার্থী তাই তোমাদেরকে লাইট দেওয়া হবে না। দেবী-দেবতাদের আত্মা ও শরীর দুই ই পবিত্র থাকে। এখানে তো কারো পবিত্র শরীর নেই তাই লাইট দেওয়া যাবে না। তোমাদের মধ্যেও অনেকে সম্পূর্ণ পবিত্র থাকে। কেউ আবার সেমি পবিত্র থাকে। মায়ার ঝড় আসে অনেক, তাদেরকে সেমি পবিত্র বলা হবে। কেউ তো একেবারেই পতিত হয়ে যায়। নিজেরাও বোঝে আমরা পতিত হয়েছি। আত্মাই পতিত হয়, তাদেরকে লাইট প্রদান করা হবে না।

বাচ্চারা, তোমাদের এ’কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, আমরা হলাম উঁচু থেকে উঁচু পিতার সন্তান, তাই অনেক রয়্যালটি থাকা উচিত। ধরো কেউ সাফাই কর্মী আছে, সে যখন এম.এল.এ বা এম.পি হয়ে যায় অথবা পড়াশোনা করে কোনো পজিশন প্রাপ্ত করে তখন টিপটপ হয়ে যায়। এমন অনেকেই হয়ে গেছে। যদিও জাতি সেটাই – কিন্তু পজিশন প্রাপ্ত হলে নেশা বেড়ে যায়। তখন ড্রেস ইত্যাদিও ওইরকম পরবে। ঠিক তেমনই তোমরাও পড়াশোনা করছো, পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য। তারাও পড়াশোনার দ্বারা ডাক্তার, ব্যারিস্টার ইত্যাদি হয়। কিন্তু তারা তো পতিত তাইনা ! কারণ তাদের পড়াশোনা কোনও পবিত্র হওয়ার পড়াশোনা নয়। তোমরা তো জানো আমরা ভবিষ্যতের পবিত্র দেবী-দেবতা হই, তাই শূদ্র স্থিতির স্বভাব দূর হতে থাকবে। অন্তরে এই নেশা থাকা উচিত যে, আমাদেরকে পরমপিতা পরমাত্মা ডবল মুকুটধারী বানাচ্ছেন। আমরা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হই পরে দেবতা হবো, তাই খারাপ বিকারী স্বভাব দূর হয়ে যায়। আসুরিক জিনিস সব ত্যাগ করতে হয়। সাফাই কর্মী থেকে এম.পি হয়ে গেলে তখন বাড়ি-ঘর ইত্যাদি সব ফার্স্ট ক্লাস হয়ে যায়। তাদের হল বর্তমানের জন্য। তোমরা তো জানো যে, আমরা ভবিষ্যতে কি হবো। নিজের সঙ্গে এমন এমন কথা বলা উচিত। আমরা কি ছিলাম, আমরা এখন কি হতে চলেছি। তোমরাও শূদ্র ছিলে, এখন বিশ্বের মালিক হচ্ছো। যখন কেউ উঁচু পদ প্রাপ্ত করে তখন তার সেই নেশা থাকে। অতএব তোমরাও কি ছিলে ? পতিত (ছিঃ ছিঃ) ছিলে। এখন তোমাদেরকে ভগবান পড়াচ্ছেন অসীম জগতের মালিক বানাচ্ছেন। এই কথাও তোমরা বুঝেছো পরম পিতা পরমাত্মা নিশ্চয়ই এখানেই এসে রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করবেন। মূলবতন বা সূক্ষ্মবতনে তো শেখাবেন না। দুরদেশ নিবাসী আত্মারা হলে তোমরা সবাই, এখানে এসে পার্ট প্লে করো। ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করতেই হবে। তারা তো বলে দেয় ৮৪ লক্ষ যোনি। কতখানি ঘোর অন্ধকারে আছে। এখন তোমরা বুঝেছো – ৫ হাজার বছর পূর্বে আমরা দেবী-দেবতা ছিলাম। এখন তো পতিত হয়েছি। গায়নও করে হে পতিত-পাবন এসো, আমাদেরকে পবিত্র বানাও। কিন্তু বুঝতে পারে না। এখন স্বয়ং বাবা এসেছেন পবিত্র বানাতে। রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করছেন। পড়াশোনা ব্যতীত কেউ উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করতে পারবে না। তোমরা জানো বাবা আমাদের পড়াশোনা করিয়ে নর থেকে নারায়ণ বানাচ্ছেন। মুখ্য উদ্দেশ্য সামনে আছে। প্রজা পদ কোনো মুখ্য লক্ষ্য নয়। চিত্রও আছে লক্ষ্মী-নারায়ণের। এমন চিত্র সামনে রেখে কোথায় পড়ানো হয় ? তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ নলেজ আছে। আমরা ৮৪ জন্ম নিয়ে পতিত হয়েছি। সিঁড়ির চিত্রটিও ভালো। এ হল পতিত দুনিয়া তাই না, এতে সাধু সন্ন্যাসী সবাই এসে যায়। তারা নিজেরাও গান গাইতে থাকে পতিত-পাবন এসো। পতিত দুনিয়াকে পবিত্র দুনিয়া বলা হবে না। নতুন দুনিয়া হল পবিত্র দুনিয়া। পুরানো পতিত দুনিয়ায় কেউ পবিত্র থাকতে পারে না। অতএব বাচ্চারা তোমাদের কতখানি নেশা থাকা উচিত। আমরা হলাম গড ফাদারলি স্টুডেন্ট, ঈশ্বর আমাদের পড়ান। গরিবদেরই বাবা এসে পড়ান। গরিবদের পোশাক ইত্যাদি ময়লা থাকে তাই না। তোমাদের আত্মা তো পড়াশোনা করে, তাইনা। আত্মা জানে এ হল পুরানো শরীর। এই শরীরকে যে কোনো রকমের হালকা কাপড় পরালেও ক্ষতি নেই। এতে কোনো ড্রেস পরিবর্তন করার বা আড়ম্বর করার কথা নেই। ড্রেসের সঙ্গে কোনো কানেকশন নেই। বাবা তো আত্মাদের পড়ান। শরীর তো হল পতিত, এই শরীরে যতই দামি পোশাক পরো, আত্মা ও শরীর দুইই হল পতিত, তাইনা। কৃষ্ণকে শ্যাম দেখানো হয়েছে না ? কৃষ্ণের আত্মা ও শরীর দুইই কালো বা শ্যাম বর্ণের ছিল। গ্রামের ছেলে ছিল, তোমরা সবাই গ্রামের ছেলে ছিলে। দুনিয়ার মানুষ মাত্রই এখন অনাথ । পিতাকে জানেই না। দেহের পিতা তো সবারই আছে। অসীমের পিতা তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদেরই প্রাপ্ত হয়েছে। এখন বেহদের বা অসীমের পিতা তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাচ্ছেন। ভক্তি ও জ্ঞান। ভক্তির যখন অন্ত হয় তখন বাবা এসে জ্ঞান প্রদান করেন। এখন হল শেষ সময়। সত্যযুগে এই সব কিছুই থাকে না। এখন পুরানো দুনিয়ার বিনাশের সময় এসেছে। পবিত্র দুনিয়া স্বর্গকে বলা হয়। চিত্রে কতখানি ক্লিয়ার করে বোঝানো হয়েছে। রাধে-কৃষ্ণই পরে লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়। এই কথাও কেউ জানেনা। তোমরা জানো দুইজনেই আলাদা রাজধানীর ছিল। তোমরা স্বর্গের স্বয়ম্বরও দেখেছো। পাকিস্তানে বাচ্চারা তোমাদেরকে খুশী করানোর জন্য অনেক সাধন ছিল, সব সাক্ষাৎকার তোমাদের করানো হয়েছে।

এখন তোমরা জানো – আমরা রাজযোগ শিখছি, এই কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। যদি কেউ ভোজন তৈরির কাজ করে বা বাসন ধোওয়ার কিন্তু পড়াশোনা তো সবারই আত্মা করে, তাইনা। এখানে সবাই এসে বসে তাই ধনী মানুষ এখানে আসে না – তারা ভাবে এখানে তো সবাই গরিব, তাই লজ্জা বোধ করে। বাবা তো হলেন গরিব নিবাজ অর্থাৎ দীনের নাথ। কোনো কোনো সেন্টারে সাফাইকর্মীও আসে। মুসলমানও আসে। বাবা বলেন – দেহের সব ধর্ম গুলি ত্যাগ করো। আমরা গুজরাটি, আমরা অমুক – এই সব হল দেহ-অভিমান। এখানে তো আত্মাদেরকে পরমাত্মা পড়ান। বাবা বলেন – আমি এসেছি এই সাধারণ দেহে। অর্থাৎ সাধারণের কাছে সাধারণই আসবে। ইনি তো ভাবেন ইনি জহুরী ছিলেন। বাবা নিজেই মনে করিয়ে দেন যে, কল্প পূর্বেও আমি বলেছিলাম আমি সাধারণ বৃদ্ধ দেহে আসি। অনেক জন্মের অন্তিম সময়ের অন্তিম জন্মে আমি প্রবেশ করি। এনাকে বলেন যে তুমি নিজের জন্ম গুলি জানো না। শুধুমাত্র এক অর্জুনকে তো ঘোড়া গাড়ির রথে বসে জ্ঞান প্রদান করেননি, তাইনা, তাকে পাঠশালা বলা যাবে না। যুদ্ধের ময়দানও নয়, এই হল পড়াশোনা। বাচ্চাদেরকে পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমাদেরকে পুরো পড়াশোনা করে ডবল মুকুটধারী হতে হবে। এখন তো কোনো মুকুট নেই। ভবিষ্যতে ডবল মুকুটধারী হতে হবে। দ্বাপর থেকে লাইট হারিয়ে যায়, তখন কেবল সিঙ্গল মুকুট থেকে যায়। সিঙ্গল মুকুটধারীরা ডবল মুকুটধারীদের পূজা করে। এই নিদর্শনও অবশ্যই থাকা উচিত। বাবা চিত্রের জন্য ডাইরেকশন দিতেই থাকেন অতএব চিত্রকারদের মুরলীর উপরে বিশেষ অ্যাটেনশন দেওয়া দরকার। চিত্র দ্বারা কাউকেই বোঝানো খুব সহজ হয়। যেমন কলেজে ম্যাপ দেখালে বুদ্ধিতে এসে যায়। ইউরোপ ওই দিকে আছে, আইল্যান্ড আছে, লন্ডন ওই দিকে আছে। ম্যাপ না দেখে থাকলে তারা জানবে কীভাবে ইউরোপ কোন্ দিকে আছে। ম্যাপ দেখলে চট করে বুদ্ধিতে এসে যাবে। এখন তোমরা জানো উপরে আছেন পূজ্য দ্বি মুকুটধারী দেবী-দেবতারা। পরে নীচে নেমে পূজারী হয়ে যায়। সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসে তাইনা। এই সিঁড়ি তো খুবই সহজ। যে কেউ বুঝতে পারবে। কিন্তু কারো বুদ্ধিতে একটুও জ্ঞান ঢোকে না। ভাগ্য ই এমন তাদের। স্কুলে পাস , ফেল তো হয় তাইনা। ভাগ্যে না থাকলে পুরুষার্থ করতে পারবে না , অসুস্থ হয়ে পড়বে। পড়তে পারবে না। কেউ কেউ তো সম্পূর্ণ পড়া করে। কিন্তু সেসবই হল জাগতিক পড়াশোনা, এ হল আত্মিক পড়াশোনা। এর জন্য সোনার বুদ্ধি চাই। বাবা হলেন সোনা, এভার পিওর। তাঁকে স্মরণ করলে তোমাদের আত্মাও সোনায় পরিণত হবে। বলা হয় এ তো একেবারেই পাথর বুদ্ধি। সেখানে এমন বলবে না। সেটা তো ছিল স্বর্গ। মানুষ এই কথা ভুলে গেছে ভারত স্বর্গ ছিল। এই কথা প্রদর্শনীতে বোঝাতে পারো, তারপরে রিপিট করাতেও পারো। প্রজেক্টরে করা সম্ভব নয়। সর্ব প্রথমে তো এই ত্রিমূর্তি, লক্ষ্মী-নারায়ণ এবং সিঁড়ির চিত্র খুব জরুরি। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রে সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মের নলেজ এসে যায়। বাচ্চাদের সারাদিন এই চিন্তনই চলা উচিত। প্রত্যেকটি সেন্টারে মুখ্য চিত্র গুলি তো অবশ্যই রাখতে হবে। চিত্রের দ্বারা ভালোভাবে বুঝতে পারবে। ব্রহ্মার দ্বারা এই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। আমরা হলাম প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান ব্রহ্মাকুমার – কুমারী। পূর্বে আমরা শূদ্র বর্ণের ছিলাম, এখন আমরা ব্রাহ্মণ বর্ণের হয়েছি তারপরে দেবতায় পরিণত হতে হবে। শিববাবা আমাদের শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ বানিয়ে দেন। আমাদের মুখ্য লক্ষ্য সামনে রয়েছে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ স্বর্গের মালিক ছিলেন তারপরে এই সিঁড়ি বেয়ে নীচে কিভাবে নেমেছে ? কি থেকে কি হয়ে যায়। একেবারে বোধহীন হয়ে যায়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ ভারতে রাজত্ব করতেন। ভারতবাসীদের এই জ্ঞান থাকা উচিত, তাইনা। তারপরে কি হল, কোথায় গেলেন তারা । তাদের উপরে কি কেউ জয়লাভ করেছিল ? তারা যুদ্ধে কাউকে পরাজিত করেছিল ? না কারো থেকে জয় লাভ করেছে, না পরাজিত হয়েছে। এইসব হল পুরোপুরি মায়ার কথা। রাবণের রাজত্ব শুরু হল এবং ৫ টি বিকারের বশীভূত হয়ে রাজত্ব হারালো, তারপর ৫ টি বিকারের উপরে বিজয় অর্জন করে এই স্বরূপ ধারণ করে। এখন হল রাবণের রাজ্যের আড়ম্বর। আমরা গুপ্তরীতিতে নিজেদের রাজধানী স্থাপন করছি। তোমরা কতখানি সাধারণ। যিনি পড়াচ্ছেন তিনি কত উঁচু থেকে উঁচু এবং নিরাকার পিতা পতিত দেহে এসে বাচ্চাদেরকে এমন লক্ষ্মী-নারায়ণ বানিয়ে দেন। দুরদেশ থেকে পতিত দুনিয়া পতিত দেহে আসেন। তবুও নিজেকে লক্ষ্মী নারায়ণ বানান না, বাচ্চারা, তোমাদেরকে বানান। কিন্তু তোমরা সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করো না লক্ষ্মী নারায়ণ হওয়ার জন্য। দিন-রাত পড়তে হবে এবং পড়াতে হবে। বাবা প্রতিদিন খুবই সহজ যুক্তি বোঝাতে থাকেন। লক্ষ্মী-নারায়ণ থেকেই শুরু করা উচিত। তারা ৮৪ জন্ম কীভাবে নিয়েছেন। পরে অন্তিম জন্মে পড়াশোনা করছেন তারপরে তাদের ডিনায়স্টি তৈরি হয়। অনেক বড় বিষয় বোঝানোর জন্য। চিত্রের বিষয়ে বাবা ডাইরেকশন দেন। কোনো চিত্র তৈরি করলে, চট করে বাবার কাছে ছুটে যাওয়া উচিত। বাবা কারেকশন করে সব ডাইরেকশন দিয়ে দেবেন।

বাবা বলেন আমি হলাম সঁওয়ালশাহ (অতীব বিত্তবান), হুন্ডি ভর্তি যাবে। কোনো কিছুর চিন্তা নেই। অসংখ্য আত্মারূপী বাচ্চারা বসে আছে। বাবা জানেন কার দ্বারা হুন্ডি ভরাতে পারেন। বাবা ভাবছেন জয়পুরকে আরও জোর দিয়ে উপরে তুলতে হবে। সেখানেই হঠযোগীদের মিউজিয়াম আছে। তোমাদের রাজযোগের এমন উৎকৃষ্ট মিউজিয়াম তৈরি হোক যা সবাই এসে দেখবে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পবিত্র জ্ঞান বুদ্ধিতে ধারণ করার জন্য নিজের বুদ্ধি রূপী পাত্রটিকে সোনার পাত্র বানাতে হবে। স্মরণের দ্বারাই পাত্রটি সোনায় পরিণত হবে।

২ ) এখন ব্রাহ্মণ হয়েছো তাই শূদ্র স্থিতির সব স্বভাব গুলি দূর করতে হবে। খুব রয়্যালটির সঙ্গে থাকতে হবে। আমরা বিশ্বের মালিক হচ্ছি – এই নেশায় থাকতে হবে।

বরদানঃ-

নিজের বৃত্তির পরিবর্তনের দ্বারা দৃষ্টিকে দিব্য বানাও, তাহলে দৃষ্টির দ্বারা অনেক আত্মারা যথার্থ রূপ, যথার্থ ঘর এবং যথার্থ রাজধানী দেখতে পাবে। এমন যথার্থ সাক্ষাৎকার করানোর জন্য নিজের বৃত্তিতে একটুও দেহ-অভিমানের চাঞ্চল্য যেন না থাকে। সুতরাং বৃত্তিকে শুদ্ধ করে দৃষ্টিকে দিব্য বানাও তবে এই সৃষ্টির পরিবর্তন হবে। যারা দেখবে তারা অনুভব করবে যে, এই দুটি নয়ন নয়, যেন জাদুর বাক্স। এই দুটি নয়ন হয়ে যাবে সাক্ষাৎকারের সাধন।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top