01 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

01 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

31 October 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমাদের চাল-চলন অতীব আভিজাত্যপুর্ণ (রয়্যাল) হওয়া উচিত, ক্রোধের ভূত যেন একদমই না থাকে"

প্রশ্নঃ --

২১ জন্মের প্রালব্ধ পাওয়ার জন্য বাচ্চাদের কোন্ কথার উপর ধ্যান অবশ্যই রাখতে হবে ?

উত্তরঃ -:-

এই জগতে থেকেও, সবকিছু করেও, বুদ্ধির যোগ যেন একমাত্র প্রকৃত প্রিয়তমের সাথেই থাকে। এমন কোনো খারাপ অভ্যাস যেন না থাকে যার জন্য বাবার মান-মর্যাদা সমাপ্ত অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যায়। গৃহে থেকেও এত স্নেহ-প্রেমে বিভোর হয়ে থাকো, যাতে অন্যেরা বোঝে যে এর মধ্যে তো অতি সুন্দর দৈবী-গুণ রয়েছে।

গান:-

জাগো সজনীরা জাগো…

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মা-রূপী বাচ্চারা গান শুনেছে। এর অর্থও বাচ্চারা অবশ্যই বুঝেছে। বাবা এসে নতুন নতুন কথা শোনান। নতুন দুনিয়ার, নতুন যুগের জন্য এ’সকল কথা বাচ্চারা ৫ হাজার বছর পূর্বেও শুনেছিল। এখন পুনরায় শুনছে। এছাড়া মাঝে কেবল ভক্তিমার্গের কথাই শুনেছে। সত্যযুগে এরকম কথা হয়ই না। ওখানে হলো জ্ঞানমার্গের প্রালব্ধ। বাচ্চারা, এখন তোমরা নতুন দুনিয়ার জন্য প্রকৃত উপার্জন করছো। নলেজকে সোর্স অফ ইনকাম বলা হয়। পঠন-পাঠনের দ্বারা কেউ ব্যরিস্টার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি হয়ে থাকে। আমদানিও হয়। তোমরা এই পঠন-পাঠনের মাধ্যমে রাজার-রাজা হয়ে যাও। এ হলো কত অধিক উপার্জন। বাচ্চারা, এখন তোমাদের এই নিশ্চয় হয়েছে, যদি সামান্য সংশয় থাকেও তবুও পরে চলতে-চলতে নিশ্চয় হতে থাকবে। সেকেন্ডে জীবনমুক্তির গায়ন রয়েছে। বাবার হয়েছো আর উত্তরাধিকারের মালিক হয়ে গেছো। বাবা, যিনি স্বর্গের রচয়িতা তিনি এসেছেন আমাদের মালিক বানিয়ে দিতে। এই নিশ্চয় তো বাচ্চাদের হওয়া উচিত। এও জানো যে বাবা দু’জন। এক হলো লৌকিক পিতা, অপরজন হলেন পারলৌকিক। যাকে বলা হয় পরমপিতা পরমাত্মা ও গডফাদার। লৌকিক পিতাকে কখনো পরমাত্মা বলবে না। সকলের সুখদাতা, শান্তিদাতা একমাত্র তিনিই পারলৌকিক পিতা। সত্যযুগে সকলেই সুখী থাকে। বাকি আত্মারা শান্তিধামে থাকে। সত্যযুগে তোমাদের সুখ-শান্তি, ধন-দৌলত, নিরোগ শরীর সবকিছু ছিল। সেইজন্য এরকম অতি প্রিয় বাবাকে সকলেই ডেকে থাকে। সাধু-সন্তরাও সাধনা করে, কিন্তু কার সাধনা করে তা জানে না। তারা করে ব্রহ্মের সাধনা। যাতে আমরা ব্রহ্মে বিলীন হয়ে যেতে পারি, কিন্তু বিলীন কেউ হতে পারে না। ব্রহ্মকে স্মরণ করলে পাপ কাটবে কি! না তা কাটবে না। বাবা বলেন — মামেকম্ স্মরণ অর্থাৎ একমাত্র আমাকেই স্মরণ করো। সর্বশক্তিমান আমি নাকি ব্রহ্ম, যা কিনা বসবাসের স্থান ? ব্রহ্ম মহাতত্ত্বে সমস্ত আত্মারাই বসবাস করে। তাই ব্রহ্মকেই তারা ঈশ্বর মনে করে। যেমন ভারতবাসীরা হিন্দুস্তানে বসবাস করার কারণে নিজেদের ধর্মকে হিন্দু মনে করে। তেমনই ব্রহ্মতত্ব অর্থাৎ নিবাসস্থলকে পরমাত্মা মনে করে, ও’টা হলো ব্রহ্মান্ড। ওখানে আত্মারা, জ্যোতির্বিন্দু ডিম্বাকৃতিতে বাস করে, সেইজন্য তাকে ব্রহ্মান্ড বলা হয়। এ হলো মনুষ্য সৃষ্টি। ব্রহ্মান্ড আলাদা, মনুষ্য সৃষ্টি আলাদা। আত্মা কি — তা কারোর জানা নেই। কথিতও রয়েছে — ভ্রুকুটির মধ্যভাগে জ্বল-জ্বল করছে এক আজব তারা। আবার বলে, আত্মা বুড়ো আঙ্গুলের মতন। কিন্তু বাবা বলেন — আত্মা অতি সূক্ষ্ম বিন্দু, যাকে এই (স্থূল) চোখে দেখতে পারবে না, একে দেখার, ধরার অনেক প্রচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেউই জানে না। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে এখন তোমাদের ভারতকে স্বর্গে পরিনত করার জন্য বাবার সহায়তাকারীও হতে হবে। বাবা ভারতেই আসেন। শিব-জয়ন্তী ভারতেই পালিত হয়। যেমন খ্রাইস্ট চলে যাওয়ার পর খ্রীস্টানরা খ্রীস্টমাস পালন করে থাকে। খ্রাইস্ট কবে এসেছে সেও জানে। কিন্তু ভারতবাসীদের এ’কথা জানা নেই যে বাবা কখন এসেছিলেন, কৃষ্ণ কবে এসেছিলেন ? কারোর বিষয়েই তাদের জানা নেই। কেবলই কৃষ্ণের মহিমা কীর্তন করে থাকে। তাঁকে দোলনায় দোলায়, ভালবাসে কিন্তু এ’টা জানে না যে তাঁর জন্ম কবে হয়েছে। বলে যে দ্বাপরে গীতা শুনিয়েছে। কিন্তু কৃষ্ণ দ্বাপরে তো আসে না। লীলা হলো অদ্বিতীয় বাবার। তখন ওঁনার উদ্দেশ্যে বলা হয় — তোমার মতি-গতি…… কৃষ্ণ হলো সত্যযুগের প্রিন্স। পূর্বেই মায়ের সাক্ষাৎকার হয়ে যায় যে যোগবলের দ্বারা সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। ওখানে শরীরও এইভাবের ত্যাগ করে। এক শরীর পরিত্যাগ করে অন্য ধারণ করে। সাপের মতন। বাস্তবে সন্ন্যাসীরা এই উদাহরণ দিতে পারে না। তোমরা বিকারী মানুষদের বসে জ্ঞানের ভুঁ-ভুঁ করে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান করে দাও। এ হলো তোমাদের কাজ — ভুঁ-ভুঁ করে মানুষকে দেবতায় পরিণত করে দাও। কচ্ছপ ইত্যাদির উদাহরণও এইসময়ের। কর্ম করে তারপর যতখানি সময় পাওয়া যায়, বাবাকে স্মরণ করতে হবে। তোমরা জানো যে এ হলো আমাদের অন্তিম জন্ম। এখন নাটক সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, শরীর পুরোনো। এর কর্মভোগ মিটিয়ে দিতে হবে। যখন সতোপ্রধান হয়ে যাবে তখন পুনরায় কর্মাতীত অবস্থা হয়ে যাবে, তখন আমরা এই শরীরে থাকতে পারব না। কর্মাতীত অবস্থা হলেই শরীর ত্যাগ করবে, পুনরায় লড়াই শুরু হবে। মশার ঝাঁকের মতন সকলের শরীর সমাপ্ত হয়ে গিয়ে আত্মারা চলে যাবে। পবিত্র না হলে তো কেউ যেতে পারবে না। এ হলো দুঃখধাম যা রাবণ স্থাপন করেছেন, আর রামের (রাজ্য) স্থাপন করেছেন শিববাবা। বাস্তবে পরমাত্মার নাম হলো শিব, রাম নয়। সত্যযুগ শিবালয়ে সমস্ত দেবতারা থাকেন। পুনরায় ভক্তিমার্গে শিবের প্রতিমার জন্য মন্দির, শিবালয় ইত্যাদি নির্মাণ করে। এখন এ হলো (ব্রহ্মার ভ্রুকুটি) শিববাবার আসন। আত্মা এই আসনে বিরাজমান। বাবাও এখানে পাশে এসে বিরাজমান হন আর পড়ান। সদাই তো থাকেন না। স্মরণ করলে উনি আসেন। বাবা বলেন — আমি তোমাদের অসীম জগতের পিতা। উত্তরাধিকার তোমরা আমার কাছ থেকেই পাবে। ব্রহ্মা কি অসীম জগতের পিতা, না তা নয় সেইজন্য তোমরা আমায় স্মরণ করো। মিষ্টি বাচ্চারা জানে যে বাবা-ই জ্ঞানের সাগর, প্রেমের সাগর। সেইজন্য বাচ্চারা, তোমাদেরকেও প্রেমের সাগর হতে হবে। স্ত্রী-পুরুষ একে-অপরকে সত্যিকারের ভালবাসে না, তারা তো কাম-বিকারকেই ভালবাসা মনে করে থাকে কিন্তু বাবা বলেছেন যে কাম মহাশত্রু। এ আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দিয়ে থাকে। দেবতারা নির্বিকারী ছিল, তবেই তো বলা হয় — কৃষ্ণের মতন সন্তান চাই, কৃষ্ণের মতন স্বামী চাই। কৃষ্ণপুরীকে স্মরণ করে, তাই না! এখন বাবা কৃষ্ণপুরী স্থাপন করছেন। তোমরা স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের মতন অথবা মোহনের মতন হতে পারো। আরো প্রিন্স-প্রিন্সেস থাকবে। এখন এ’সব এখানেই তৈরী হচ্ছে। তাদেরও লিস্ট থাকে। ৮ দানার মালাও যেমন রয়েছে, তেমনই ১০৮-এর দানাও রয়েছে। লোকেরা নবরত্নের আংটি পড়ে। এখন এই ৮ জন কারা ? মধ্যিখানে কে ? এও তোমরা জানো যে মধুর থেকে মধুরতম বাবার মাধ্যমে আমরা রত্নে পরিনত হতে চলেছি। বাবা বলেন — বাচ্চারা, পরস্পরের মধ্যে অত্যন্ত প্রেমভাব রেখে চলতে হবে। তা নাহলে বাবার বদনাম করে দেবে। তখন সদ্গুরুর নিন্দাকারী ঠাঁই পাবে না। সকলকে মন্ত্রও বলে দিতে হবে যে একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করো তাহলেই খাদ নিষ্কাশিত হয়ে যাবে। ঘরেও এত প্রেম-পূর্বক চলা উচিৎ যে অন্যেরা যেন মনে করে যে এদের মধ্যে ক্রোধ নেই। অত্যন্ত প্রেমভাব এসে গেছে। মদ, সিগারেট ইত্যাদি পান করা অতি খারাপ অভ্যাস, এরকম সমস্ত খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগ করা উচিত। দৈব-গুণ এখানেই ধারণ করতে হবে। রাজধানী স্থাপন করতে পরিশ্রম লাগে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা রাজধানী স্থাপন করে না। তারা উপর থেকে একদম শেষে আসতে থাকে। তোমরা ২১ জন্মের প্রালব্ধ তৈরী করছো, এতে অনেক মায়ার ঝড় আসবে। তবুও পুরুষার্থ করে দৈবী-গুণ ধারণ করতে হবে। যদি ক্রোধ করে কথা বলো তবে লোকে বলবে যে এদের মধ্যে (ক্রোধের) ভূত আছে। তবে তো অসীম জগতের পিতার মান-মর্যাদা নষ্ট করে দিলে। তবে এরকম উচ্চপদ কি করে পাবে ? অতি মিষ্টি অনাসক্ত হতে হবে। এখানে থেকেও, সবকিছু করেও যোগ প্রিয়তমের সঙ্গেই থাকা উচিত। বাবা বলেছেন — আমায় স্মরণ করো তবেই পাপ ভস্মীভূত হয়ে যাবে, একেই যোগ অগ্নি বলা হয়। এখানে হঠযোগের কোনো প্রয়োজন নেই। নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে, শরীর অতি মূল্যবান। ভোজনও শুদ্ধ খেতে হবে। দেবতাদের কেমন ভোগ অর্পণ করা হয়। শ্রীনাথ দ্বারিকায় গিয়ে দেখো, বাংলায় তো কালী মা-কে ছাগ(আমিষ) ভোগ হিসাবে অর্পণ করা হয়। ওরা নিজেদের পিতৃপুরুষদেরও মাছ খাওয়ায়। মনে করে, তা নাহলে পিতৃপুরুষেরা অসন্তুষ্ট হয়ে যাবে। কেউ নিয়ম তৈরী করেছে, সে’টাই চলতে থাকে। দেবী-দেবতাদের রাজ্যে কোনো পাপ হয় না। ও’টা হলো রাম-রাজ্য। এখানে কর্ম-বিকর্ম হয়। ওখানে কর্ম- অকর্ম হয়। এখন হরিদ্বারে গিয়ে বসে। হরি তো কৃষ্ণকে বলা হয়। এখন কৃষ্ণ তো হলো সত্যযুগে। বাস্তবে হরি নামটি হলো শিবের, দুঃখহরণকারী। কিন্তু গীতায় কৃষ্ণের নাম দেওয়ায় হরি কৃষ্ণকেই মনে করে নিয়েছে। বাস্তবে দুঃখহরণকারী হলেন শিববাবা। হরির দ্বার সত্যযুগকে বলা হয়ে থাকে। ভক্তিমার্গে তো যাকিছু আসে তাই-ই বলতে থাকে। বাবা বলেন — আমি সঙ্গমযুগে আসি, পুরোনো দুনিয়াকে নতুন করে দিতে। রাবণ হলো পুরোনো শত্রু। প্রতিবছর তাকে জ্বালানো হয়। কত পয়সা খরচ করে। সবই হলো ওয়েস্ট অফ টাইম(সময় নষ্ট), ওয়েস্ট অফ মানি (টাকা নষ্ট)। বাংলায় কত দেবী-মূর্তি তৈরী করা হয়, তাদের ভোজন-পান করিয়ে পূজা করে পুনরায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এর উপর একটি গান রয়েছে। বাচ্চাদের অতি মিষ্টি হতে হবে। কখনো ক্রোধান্বিত হয়ে কথা বলা উচিত নয়। বাবার প্রতি কখনও রুষ্ট হওয়া উচিত নয়। রুষ্ট হয়ে যদি পড়া ছেড়ে দাও তবে তা হলো নিজের পায়েই কুড়াল মারা। এখানে তোমরা এসেছো বিশ্বের মালিক হতে। মহারাজা শ্রী নারায়ণ, মহারানী শ্রীলক্ষ্মীকে বলা হয়ে থাকে। এছাড়া শ্রী-শ্রী হলো শিববাবার টাইটেল। শ্রী বলা হয় দেবতাদের। শ্রী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ। এখন তোমরা চিন্তা করো যে তোমরা কারা ? মায়া আমাদের মাথা মুড়িয়ে কি বানিয়ে দিয়েছে। ভারত কত সমৃদ্ধশালী ছিল, তারপর কাঙাল কিভাবে হয়ে গেলো? কি হয়েছিল? কিছুই জানে না। এখন তোমরা জানো যে আমরাই দেবতা ছিলাম, তারপর ক্ষত্রিয় হয়েছি। ওরা বলে আত্মাই পরমাত্মা। তা নাহলে ‘আমরাই ছিলাম’ কথার অর্থ কত সহজ। ওরা (অজ্ঞানীরা) বলে মনুষ্য জন্ম কেবল একটাই। কিন্তু বাবা বোঝান যে মানুষের জন্ম হয় ৮৪-বার। এই ৮৪ জন্মে তোমাদের সঙ্গমের এই এক জন্ম অতি দুর্লভ। যখন তোমরা অসীম জগতের পিতার থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার লাভ করো। তোমরা অতি রয়্যাল বাবার সন্তান, তাই তোমাদের মধ্যে কত রয়্যালিটি থাকা উচিত। রয়্যাল ব্যক্তিরা কখনো উচ্চঃস্বরে কথা বলে না। দুনিয়ায় ঘরে-ঘরে কত গোলমাল হয়ে থাকে। স্বর্গে এইরকম কোনো কিছুই নেই। এই বাবাও বল্লভাচারী কুলের ছিলেন। তবুও কোথায় সেই সত্যযুগের দেবতারা, কোথায় আজকালকের বৈষ্ণব! এইরকম নয় যে বৈষ্ণব বলে বিকারে যায় না। রাবণ-রাজ্যে সকলেই বিকার থেকে জন্ম নেয়। সত্যযুগে সম্পূর্ণ নির্বিকারী। এখন তোমরা সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে চলেছো আর বিশ্বের মালিক হয়ে যাও যোগবলের দ্বারা। তোমাদের আচার-আচরণ অত্যন্ত মিষ্টি, রয়্যাল হওয়া উচিত । কোনো তর্ক-বিতর্ক বা শাস্ত্রালোচনা করা উচিত নয়। ওরা যখনই শাস্ত্রালোচনা করতে বসে তখন একে-অপরকে লাঠি মারতেও উদ্যত হয়। ওই বেচারাদের কোনো দোষ নেই। এই নলেজকে জানেই না। এ হলো আধ্যাত্মিক নলেজ, যা আধ্যাত্মিক পিতার থেকেই পাওয়া যায়। তিনি জ্ঞানের সাগর। তাঁর শরীরের নাম নেই, তিনি অব্যক্ত-মূর্তি। তিনি বলেন, আমার নাম শিব। আমি স্থূল বা সূক্ষ্ম শরীর ধারণ করি না। জ্ঞানের সাগর, আনন্দের সাগর আমাকেই বলা হয়ে থাকে। শাস্ত্রে তো কি-কি লেখা রয়েছে। হনুমান পবনপুত্র ছিল, এখন পবনের থেকে বাচ্চার জন্ম কিভাবে হবে! তারপর পরমাত্মার উদ্দেশ্যে বলে কচ্ছ-মচ্ছ(কূর্ম-মৎস্য) অবতার, কত গালি দিয়েছে। বাবা এসে অভিযোগ করেন যে তোমরা আসুরীয় মতানুসারে চলে আমায় এত গালি দিয়েছো। ২৪ অবতারেও পেট যখন ভরেনি তখন কণায়-কণায়, মাটির টুকরো-নুড়িপাথরে ফেলে দিয়েছো। এ’সব শাস্ত্র দ্বাপর থেকে তৈরী হয়েছে। সর্বপ্রথমে কেবল শিবের পূজা হতো। গীতাও পরে তৈরী হয়েছে। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন এ’সমস্ত হলো অনাদি খেলা। এখন আমি এসেছি তোমাদের বিশ্বের মালিক বানিয়ে দিতে তাহলে বাবাকে পুরোপুরি ফলো করতে হবে। লক্ষণও অত্যন্ত ভালো হওয়া উচিত । এও আশ্চর্যের, তাই না! কলিযুগের অন্তিমে কি দেখছো, সত্যযুগে গিয়ে কতকি দেখবে। কলিযুগে ভারত বিকারী, সত্যযুগে ভারত নির্বিকারী। সেইসময় আর কোনো ভূখন্ড থাকে না। এই গীতা এপিসোড পুনরাবৃত্ত হচ্ছে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) আমরা রয়্যাল বাবার সন্তান সেইজন্য নিজেদের আচার-আচরণ অত্যন্ত রয়্যাল রাখতে হবে। আওয়াজ করে (উচ্চস্বরে) কথা বলবে না। অতি মিষ্টি হতে হবে।

২ ) কখনো বাবার সাথে অথবা পরস্পর রুষ্ট হবে না। রুষ্ট হয়ে কখনো পড়াশোনা ত্যাগ করা উচিত নয়। যাকিছু বদভ্যাস আছে তা সে’সব ত্যাগ করতে হবে।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা পরমাত্ম-স্নেহী হয় তারা স্নেহীকে সদা সাথে রাখে সেইজন্য কোনও সমস্যা সম্মুখে আসে না। যাদের সঙ্গে স্বয়ং সর্বশক্তিমান বাবা রয়েছেন তাদের সম্মুখে সমস্যা দাঁড়াতে পারে না। সমস্যা তৈরী হল আর সেইখানেই তা সমাপ্ত করে দিলে, তবে আর বৃদ্ধি হবে না। এখন সমস্যাগুলির জন্ম নিয়ন্ত্রণ করো। সদা স্মরণে রেখো যে সম্পূর্ণতাকে সমীপে আসতে হবে এবং সমস্যাকে দূর করে দিতে হবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top