01 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

31 May 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - সবসময় ঈশ্বরীয় সেবায় বিজি থাকলে বাবার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পেতে থাকবে, খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকবে"

প্রশ্নঃ --

বাবার দৃষ্টিতে একাত্ম হয়ে ভরপুর হয়ে যাওয়া বাচ্চাদের অন্তরে কোন্ খুশি থাকে ?

উত্তরঃ -:-

তাদের অন্তরে স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত করার খুশি থাকে, কেননা বাবার দৃষ্টি পেয়েছে অর্থাৎ উত্তরাধিকারের অধিকারী হয়েছে। বাবার মধ্যেই সব কিছু সমায়িত হয়ে আছে ।

প্রশ্নঃ --

বাবা বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন ভিন্ন-ভিন্ন ভাবে নতুন পয়েন্টস কেন শুনিয়ে থাকেন ?

উত্তরঃ -:-

কেননা বাচ্চাদের অনেক জন্মের বাসনা পূর্ণ করতে হবে। বাচ্চারা বাবার কাছ থেকে নতুন-নতুন পয়েন্টস শোনে এবং বাবার প্রতি তাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

গান:-

তুমি রাত নষ্ট করেছ ঘুমিয়ে, দিন নষ্ট করেছো খেয়ে, অমূল্য এ’ জীবন বৃথা চলে যায়…

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা বসে আছে, সকলের দৃষ্টি বাবার দিকে। বাবাও আত্মাদের আর এই শরীরকে দেখছেন। বাচ্চারাও দেখছে। দেখতে মজা লাগে নাকি শুনতে মজা লাগে ? কেননা শুনে তো অনেক এসেছে। অনেক জ্ঞান ইত্যাদি প্রচুর শুনেছে। তোমরা হচ্ছো প্রথম নম্বরের ভক্ত। তোমরাই সবচেয়ে বেশি ভক্তি করেছ। বেদ, শাস্ত্র, গ্রন্থ, গায়ত্রী, জপ, তপ ইত্যাদি সব পড়েছ, অনেক শুনেছ। বাবা বোঝান কবে থেকে এ’সব শুনে আসছি ? যখন থেকে এ’সব লেখা শুরু হয়েছে তখন থেকেই শুনেছো। কিন্তু বাবার সাথে দৃষ্টি মেলানো এই সময়েই হয়। সেই দৃষ্টিতেই একাত্ম হয়ে ভরপুরও হয়। একটা শ্লোকও আছে – দৃষ্টি দিয়ে ভরপুর করেন স্বামী সদ্গুরু । বাবা হলেন গুরুও, সজনীদের স্বামীও । বাবার চোখের সামনেই বসে আছ দৃষ্টির দ্বারাই বাবাকে চিনেছ যে ওঁনার কাছ থেকেই আমরা বিশ্বের মালিকানা পেয়ে থাকি। বাবাকে দেখলে অন্তর খুশিতে ভরে ওঠে কেননা বাবার কাছ থেকেই সবকিছু পাওয়া যায়। বাবার মধ্যেই সবকিছু সমায়িত হয়ে আছে। যখন বাবাকে পেয়েছ, তাঁর দৃষ্টির সামনে বসে আছ তখন নিশ্চয়ই স্বর্গের বাদশাহী পাওয়ার নেশাও বৃদ্ধি পাবে। প্রথমে বাবার নেশা, তারপর বাদশাহীর নেশা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমরা জানি এখন বাবার সামনে বসে আছি। দেহ-অভিমান এখন শেষ হতে চলেছে। আমরা আত্মারা এই শরীরের সাথে চক্র পরিক্রমা করি, পার্ট প্লে করতে-করতে এখন আমাদের বাবাও

সামনে বসে আছেন। পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্তির সুখ অনুভব হয়। বাচ্চারা যখন বড় হয় বুদ্ধিতে আসে যে আমি ব্যারিস্টারের, ইঞ্জিনিয়ারের, বাদশাহের সন্তান। আমি বাদশাহীর মালিক। এখানে তোমরা জানো বাবার কাছ থেকে আমরা স্বর্গের উত্তরাধিকার পেয়ে থাকি। বাবাকে দেখে বাচ্চাদের স্থায়ী খুশি হওয়া উচিত, একেই আত্মিক বার্তালাপ (রূহরিহান) বলা হয়। যিনি সবার সুপ্রিম পিতা, তিনিই বসে আত্মাদের সাথে কথা বলেন। আত্মা এই শরীরের দ্বারা শোনে। এটা একবারই হয় যখন বাবাকে স্মরণ করতে-করতে তিনি আসেন আর দৃষ্টি প্রদান করে ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার

দিয়ে থাকেন। তোমরা বাচ্চাদের স্মরণে রাখা উচিত। বাচ্চারা ভুলে যায়, কিন্তু ভুলে যাওয়া উচিত নয়। বাবার দৃষ্টির সামনে হলেই মনে করে আমরা বাবার সাথে বসে আছি। বাবাকে দেখলেই খুশির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে আর বাবাও বসে নতুন-নতুন পয়েন্টস বোঝাতে থাকেন। বাবার প্রতি বাচ্চাদের ভালোবাসা বাড়ে। আত্মা নিজের অন্তরের সম্পূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করে কেননা এতকাল বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেক রকম দুঃখ দেখেছে বাচ্চারা। এখন সামনে বসে উৎফুল্ল হওয়া উচিত। বাবার সামনে বসে উৎফুল্ল হও নাকি বাবার কাছ থেকে দূরে সরে গেলেও এতো উদ্দীপনা থাকে ? বিবেক বলে বাইরে তো অনেক কথা শুনি বুদ্ধি তখন অন্যদিকে চলে যায়। এই যে মধুবনে বাচ্চারা বসে আছে, সামনে বসে শুনছে। বাবা স্নেহ দিয়ে প্রচেষ্টা করে যান। দেখো,তোমাদের কত মিষ্টি, কত প্রিয় বাবা তিনি। তোমাদের স্বর্গে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত করে তুলছেন। বাচ্চারা স্বর্গের মালিক ছিল। এখন ড্রামা অনুসারে সব হারিয়ে ফেলেছে। রাজত্ব হারানো এবং আবার ফিরে পাওয়া এমন কোনো বড় বিষয় নয়। তোমরাই এই বিষয়ে জানো। দুনিয়াতে কোটি কোটি আত্মা আছে, কিন্তু কোটির মধ্যে কেউ-কেউ আমাকে চিনতে পারে যে, আমি কি আর কেমন, আমি যা এবং যেমন আমার থেকে কি প্রাপ্তি হয়ে থাকে ? এটা বুঝতে পেরেও ওয়ান্ডারফুল বিষয় এটাই যে মায়া ভুল করিয়ে দেয়। এমন নয় যে সামনে বসে আছে যারা তাদের মায়া ভুল করিয়ে দেয় না। সামনে বসে থাকা আত্মাদেরও মায়া ভুল করিয়ে দেয়। শিববাবার প্রতিই সম্পূর্ণ ভালোবাসা থাকা উচিত। ভালোবাসা কিভাবে বৃদ্ধি পাবে যার ফলে বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে পারব ? বাবা বলেন সেবা কর। বাবাও বাচ্চাদের সেবা করেন। বাচ্চারা জানে, বাবা দূরদেশ থেকে এসেছেন। নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চাদের কখনোই বেসামাল হওয়া উচিত নয়। মুষড়ে পড়া উচিত নয়, কিন্তু মায়া ভীষণ প্রবল। বাবা তো অলঙ্কৃত করে তুলছেন, মানুষকে দেবতা করে তোলার জন্য। এই স্কুল হচ্ছেই দেবতা হওয়ার জন্য। পবিত্র দুনিয়ার মালিক হওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। বাবা শুধুই বলেন আমাকে স্মরণ কর। মানুষ যখন মরতে বসে বলা হয় যে রামকে স্মরণ কর। কিন্তু রামকে তো জানেই না সুতরাং স্মরণে কোনো লাভ হবে না। তোমাদের কাছে তো বাবার পূর্ণ পরিচয় আছে। তোমরা আসো শিববাবার কাছে। তিনি নিরাকার এবং ক্রিয়েটার। কিভাবে ক্রিয়েট করবেন ? প্রজাপিতা ব্রহ্মাকেও ক্রিয়েটার বলা হয়, কেননা ব্রহ্মা দ্বারাই মনুষ্য (ব্রাহ্মণ) সৃষ্টির উৎপত্তিও হয়, সেইজন্যই প্রজাপিতা ব্রহ্মা বলা হয়। তোমরা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছ। তোমাদের আত্মা এখন যথার্থ রীতিতে জেনেছে যে আমরা শিববাবার পৌত্র এবং ব্রহ্মার সন্তান হয়েছি। তোমরা বাচ্চারা জানো আমাদের বিকর্ম বিনাশ করে বিজয়ের জপমালার কাছে পৌঁছাতে হবে, সুতরাং বাবাকে খুব স্মরণ করতে হবে। তোমরা বাচ্চারা হলে কর্মযোগী। ঘর পরিবার সামলেও কমল পুষ্পের মতো পবিত্র থাকতে হবে। এই দৃষ্টান্ত কোনো সন্ন্যাসীদের জন্য বলা হয় না। ওরা গৃহস্থ পরিবারে থেকেও কমল ফুলের মতো পবিত্র থাকতে পারে না। না কাউকে পবিত্র থাকার কথা বলতে পারে। যে যেমন, সে তেমনটাই তৈরি করবে। সন্ন্যাসীরা এটা বলতেই পারে না যে কমল পুষ্পের মতো পবিত্র থাকো। যদি কেউ বলে ব্রহ্মকে স্মরণ কর সেটাও হতে পারে না। ওরা তখন বলবে তোমরা তো ঘর পরিবার ছেড়ে চলে যাও, আমরা কীভাবে ছাড়ব ? তোমরা নিজেরাই গৃহস্থ পরিবারে থাকতে পারো না সুতরাং অন্যদের কীভাবে বলবে। ওরা রাজযোগের শিক্ষা দিতে পারে না। তোমরা এখন সব ধর্মাবলম্বীদের রহস্যকে বুঝেছ। প্রত্যেক ধর্মকেই নিজের নিজের সময়ানুসারে আসতে হবে। কলিযুগ থেকে সত্যযুগ হবে। সত্যযুগের জন্য প্রয়োজন আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম আর কোনো ধর্মাবলম্বীরা মানুষকে দেবতা করে তুলতে পারে না। ওদের মুক্তিধামে যেতেই হবে, সুখ স্বর্গেই পাওয়া যায়। যখন আমরা দেবী-দেবতা হব তখন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মুক্তিধামে চলে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা জীবনমুক্তি ধাম স্বর্গে না যাব ততক্ষণ কেউ-ই মুক্তিধামে যেতে পারবে না। স্বর্গ আর নরক একত্রে থাকতে পারে না। আমরা জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার পেলে জীবনবন্ধ আত্মাদের থাকা উচিত নয়। তোমরা জানো এই সময় সঙ্গম যুগ। তোমরাই কল্পের সঙ্গমে এসে বাবার সাথে মিলিত হও,অন্য কেউ মিলিত হতে পারে না। অন্যরা মনে করে এটা তো কলিযুগ। আমরা এখন কলিযুগে নেই। বাবার কাছ থেকে পুনরায় স্বর্গের উত্তরাধিকার পাচ্ছি। আমরা বাবার সন্তান হওয়ার জন্য জীবিত থেকেও মৃত হয়েছি। যাদের অ্যাডপ্ট করা হয় তারা দুই দিকের কথাই জানতে পারে। তাকে বলা হয় তুমি অমুকের ছিলে, এখন অমুকের হয়েছ। তারা দুই দিকেরই বন্ধু, আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে জেনে থাকে। তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা এই দুনিয়া থেকে নোঙর উঠিয়ে নিয়েছি। এখন আমরা চলে যাচ্ছি। এই দুনিয়ার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এই ভগবান নিজের বাচ্চাদের সাথে অর্থাৎ পরমপিতা পরমাত্মা শালগ্রাম বাচ্চাদের সাথে কথা বলছেন। ভগবানকে আসতে হয়, কিন্তু তাঁকে কেউ জানেনা। বাবাকে না জানার কারণে মুষড়ে পড়ে। এতো সহজ কথা কেউ-ই বুঝতে পারে না। তাঁকে স্মরণ করে। তোমরা জানো আমরা আত্মারা শরীর ধারণ করে ভূমিকা পালন করি। আমরা পরমধাম থেকে আসি। সেখানে পরমপিতা পরমাত্মাও থাকেন। মানুষ তো না আত্মাকে, না পরমাত্মাকে জানে। কিভাবে ভগবান এসে মিলিত হবেন ? তিনি এসে কি করবেন, কেউ জানেনা। গীতায় সম্পূর্ণ ভুল লেখা হয়েছে। নামও বদলে দিয়েছে। বাবা জিজ্ঞেস করেন তোমরা আমাকে জানো তাইনা ? কৃষ্ণ তো এমনটা বলবে না যে – তোমরা আমাকে জানো? তাকে তো সম্পূর্ণ দুনিয়া জানে। সে জ্ঞান প্রদান করতে পারে না। সুতরাং অবশ্যই বোঝান উচিত, ভগবান রূপ বদল করেন কিন্তু কৃষ্ণ হন না। তিনি মনুষ্য শরীরে আসেন, কৃষ্ণের শরীরে আসেন না। ইনি হলেন ব্রহ্মা। তিনি হলেন কৃষ্ণের আত্মা। শুধু সামান্য বিষয়ে ভুল আছে। ইনি হলেন কৃষ্ণের ৮৪ জন্মের আত্মা, যিনি তারপর আদিতে কৃষ্ণ হন। অন্তিম জন্মে কৃষ্ণের পদ পাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছেন। এটা কত গুপ্ত বিষয়।

এই সামান্য ব্যাপারটাও ওরা ভুলে গেছে, এর মধ্যে বড় জাগলিং আছে।

তোমরা জানো আমরা কৃষ্ণের বংশের ছিলাম। এখন আবারও শিববাবার কাছ থেকে রাজত্বের ভাগ্য নিতে চলেছি। আমাদের বুদ্ধিতে কৃষ্ণ বসে না। মানুষ তো বলে থাকে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ। এতে কিছুই সিদ্ধ হয়না। গীতায় দেখানো হয়েছে শেষে পাঁচ পান্ডব ছিল। কল্পের আয়ু লক্ষ বছর বলা হয়েছে। এতো সহজ কথাটাও মানুষ জানে না। তোমরা ইশারাতেই বুঝতে পেরেছ যে আমরাই সূর্যবংশী ঘরানায় ছিলাম, এখন সূর্যবংশী থেকে শূদ্রবংশে এসেছি। আবারও ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হই। বর্ণকেও বুদ্ধিতে রাখতে হয়। ওরা তো বর্ণকেও অর্ধেক করে দিয়েছে। ব্রাহ্মণ চটি আর শিববাবাকে ভুলে গেছে। বাদবাকি দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্রকে দেখিয়েছে। ব্রাহ্মণ তো অবশ্যই প্রয়োজন তাইনা। ব্রহ্মার সন্তানরা কোথায় গেল, এই বিষয় কারো বুদ্ধিতেই আসে না। বাবা তোমাদের যথার্থ রীতিতে বোঝান, তোমাদের বুদ্ধিতে ভালোভাবে ধারণ করতে হবে। যে নলেজ বাবার বুদ্ধিতে আছে সেটা তোমাদেরও থাকা উচিত। আমি তোমরা আত্মাদের নিজ সমতুল্য করে তুলি। যে সৃষ্টি চক্রের নলেজ আমার মধ্যে আছে, তা তোমাদের বুদ্ধিতেও আছে। বুদ্ধিমান হওয়া চাই। বাবার সাথে যোগযুক্ত হওয়ার সাথে-সাথে প্রতি মুহূর্তে বিচার সাগরও মন্থন করতে হবে। তোমরা এখন সামনে বসে আছ। তোমরা বুঝেছ বাবা কতো সহজ করে বুঝিয়ে বলেন। বলেও থাকে আত্মা পরমাত্মা দীর্ঘ সময় বিচ্ছিন্ন ছিল। সদ্গুরু তোমাদের দালালের মাধ্যমে পড়ান। বাবা দালালের মাধ্যমে সওদা (ব্যবসা) করেন। তোমরা জানো দালালকে স্মরণ করা উচিত নয়। দালালের দ্বারা আমাদের বাগদান হয় শিববাবার সাথে। তোমরা যারা মাঝখানে আছ তারা সবাই দালাল। তোমরা জিজ্ঞাসা করতে পার পরমপিতা পরমাত্মার সাথে তোমাদের কি সম্বন্ধ ? তোমরা শিববাবার সাথে তাদের বিবাহ করানোর জন্য যুক্তি তৈরি করে থাকো। তারপর প্রজাপিতার নামও দিয়ে থাকো। উত্তরাধিকার শিববাবার কাছ থেকে পাওয়া যায়। তিনিই হলেন স্বর্গের রচয়িতা। জীব আত্মাদের সাথে পরমাত্মার বিবাহ হয়ে থাকে। বিবাহ হয়েছিল, উত্তরাধিকার পেয়েছিলাম আবারও পেতে চলেছি।

তোমরা জানো কল্পে-কল্পে, কল্পের সঙ্গম যুগে আমাদের এটাই কাজ কারবার। আর কেউই আত্মাদেরকে পরমাত্মার সাথে গাঁটছড়া বেঁধে দেয় না । বিবাহ তাঁর সাথেই হয় যিনি বিশ্বের মালিক করে তোলেন। এ’হলো উচ্চ থেকে উচ্চতর রূহানী বিবাহ। রূহানী বিবাহ কল্পে-কল্পে বাবার কাছ থেকেই শিখি। কল্পে-কল্পে এমনটাই হয়ে আসছে। কল্পে-কল্পে মানুষ থেকে অবশ্যই দেবতা হই। দেবতারাই আবার মানুষ হয়। মানুষ তো মানুষই হয়। কিন্তু কেন লেখা হয়….মানুষ থেকে দেবতা করতে সেকেন্ডেরও সময় লাগে না…. কেননা দেবতা ধর্ম স্থাপন করে থাকেন। তোমরাও জানো এই বিবাহের জন্যই আমরা মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছি। সবাই বলে ক্রাইস্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিল, কিন্তু বুদ্ধিতে আসে না। ভারত প্রথমে স্বর্গ ছিল, এখনও কত মন্দির নির্মাণ করে থাকে। কিন্তু সবারই এখন অবতরণের কলা। আমাদের উত্তরণের কলা। উত্তরণের কলায় এক সেকেন্ড সময় লাগে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কখনও কোনো বিষয়ে বিভ্রান্ত হয়ে দৃঢ় বিশ্বাসকে ওঠানামা করতে দেওয়া উচিত নয়। ঘর পরিবার সামলেও, কর্মযোগী হয়ে থাকতে হবে। বিজয় মালার কাছে আসার জন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে।

২ ) বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য জ্ঞানের বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। সেবার জন্য সবসময় তৎপর হতে হবে। নিজের সমতুল্য করে তোলার জন্য সেবা করতে হবে।

বরদানঃ-

কোনো কোনো বাচ্চারা বলে এটা আমার গুণ, আমার শক্তি, এটা বলাও ভুল, পরমাত্মার দেওয়া গুণকে নিজের বলা মহাপাপ। কিছু বাচ্চা সাধারণ ভাষাতেই বলে থাকে আমার এই গুণকে, আমার বুদ্ধিকে ব্যবহার করা হচ্ছে না, আমার বলা অর্থাৎ ময়লা হওয়া — এটাও ঠকানো, সেইজন্যই এই সীমিত আমিত্বকে অর্পণ করে সবসময় বাবা শব্দকে স্মরণ করো, তবেই বলা হবে অসীমের বৈরাগী আত্মা।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top