01 July 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
30 June 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের মাস্টার প্রেমের সাগর হতে হবে, কখনোই কাউকে দুঃখ দেবে না, একে অপরের সাথে অনেক ভালোবাসার সাথে থাকতে হবে"
প্রশ্নঃ --
জ্ঞানের পথে চলতে-চলতে কোন্ বাচ্চাদেরকে মায়া একদম শ্বাসরুদ্ধ করে দেয় ?
উত্তরঃ -:-
যারা এতটুকুও কোনো কথায় সংশয় প্রকাশ করে, কাম অথবা ক্রোধের গ্রহের দশা বসে যায়, তখন মায়া তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে দেয়। তাদের ওপর আবার এমন গ্রহের দশা বসে যার ফলে পঠন-পাঠনই ছেড়ে দেয়। বুঝতেই পারা যায় না যে যারা ঈশ্বরীয় পাঠ পড়তো আর পড়াতো তারা সবকিছু কীভাবে ভুলে গেল। বুদ্ধির তালাই বন্ধ হয়ে যায়।
গান:-
তুমি প্রেমের সাগর, তার এক ফোঁটার পিয়াসী মোরা.
ওম্ শান্তি । এ হল বাবার মহিমা আর বাচ্চারা জানে যে ভক্তরা তো এরকমই গান গায়। তোমরা বাচ্চারা জানো যে বাবা কতখানি প্রেমের সাগর। সকল পতিতদের পবিত্র বানান। সকল বাচ্চাদেরকে সুখধামের উত্তরাধিকার প্রদান করেন। তোমরা বাচ্চারাও জানো যে আমরাও উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। অর্ধকল্প যখন মায়ার রাজ্য ছিল এইরকম প্রিয় বাবা তখন ছিলেন না। অসীমের পিতা হলেন প্রেমের সাগর। প্রেমের, শান্তির, সুখের সাগর তিনি কীভাবে এখন তোমরা এটা জানো। প্র্যাক্টিকালে বাচ্চারা তোমরা সবকিছুই প্রাপ্ত করছো। ভক্তি মার্গে যারা আছে তারা প্রাপ্ত করতে পারে না। তারা কেবল গান গায়, স্মরণ করে। এখন সেই স্মরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাচ্চারা সম্মুখে বসে আছে। বোঝেও যে, অসীম জগতের পিতারই হল এটি গায়ন। অবশ্যই এই বাবা এতটাই ভালোবাসা দিয়ে গিয়েছিলেন। সত্যযুগেও প্রত্যেকে, একে অপরকে অনেক ভালোবাসে।জন্তু-জানোয়ারদেরও একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা থাকে। এখানে তো সেটাও থাকে না। ওখানে এমন কোনো জন্তু-জানোয়ার থাকে না যাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা থাকে না। বাচ্চারা তোমাদেরকেও শেখানো হয় এখানে প্রেমের মাস্টার সাগর হলে তোমাদের সেই সংস্কার অবিনাশী হয়ে যাবে। এখানে সকলেই একে অপরের শত্রু, কারণ এটি হল রাবণ রাজ্য। বাবা বলেন যে পূর্ব কল্পের মতোই হুবহু তোমাদের এখন অনেক প্রিয় বানাচ্ছেন। কখনো কারোর আওয়াজ কানে এল যে এ ক্রোধ করছে তখন বাবা শিক্ষা দেবেন যে বাছা ক্রোধ করা ঠিক নয়, এতে তুমিও দুঃখী হবে আর অন্যদেরকেও দুঃখী করবে। যে’রকম লৌকিক বাবাও বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেন, ওরা হল সীমিত জগতের সুখ প্রদানকারী। এই পিতা হলেন অসীমের আর সদাকালের জন্য সুখ প্রদানকারী। তাই বাচ্চারা তোমাদের একে অপরকে দুঃখ দেওয়া উচিত নয়। অর্ধকল্প অনেক দুঃখ দিয়েছো। রাবণ অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে। যার উপরে চ’ড়ে তাকে লুট করে নেয়। এখন তোমাদের জ্ঞানের আলো প্রাপ্ত করছো। এই ড্রামার চক্র আবর্তিত হতে থাকে। যদি তোমরা জ্ঞানের বিস্তারকে বুঝতে না পারো তাহলে দুটি শব্দ স্মরণ করো। অসীম জগতের পিতার থেকে আমরা এই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। যতটা যে বাবাকে স্মরণ ক’রে কমলপুষ্প সমান পবিত্র থাকবে অর্থাৎ বিকারের উপর জয়লাভ করবে ততটাই উত্তরাধিকারের অধিকারী হবে। বিকারও হল অনেক প্রকারের। শ্রীমত অনুসরণ না করা, সেটিও হল বিকার। শ্রীমত অনুসরণের ফলে তোমরা নির্বিকারী হও। মামেকম্ স্মরণ করতে হবে, আর কাউকে স্মরণ করা যাবে না। বাবা এনার দ্বারা বলেন যে বাচ্চারা আমি এসেছি, সকলকে নিয়ে যেতে এসেছি। প্রতিটি ধর্ম ক্রমানুসারে রয়েছে । পোপের কতো মান মর্যাদা ! এই সময় তো সকলেই অন্ধশ্রদ্ধায় আছে।তোমরা এক বাবাকে ব্যতীত আর কাউকেই মান দিতে পারো না। সবকিছুই হল আর্টিফিশিয়াল। এই সময় সকলে পুনর্জন্ম নিতে নিতে পতিত হয়ে গেছে। সকল মানুষ মাত্রকেই পরবর্তী সময়ে সম্পূর্ণ পতিত হতেই হবে। পতিত-পাবন নাম বলে কিন্তু ডিটেলসে্ কিছুই বোঝে না। এটি হল পতিতদের দুনিয়া এখানে আর ওঁনার মান কীকরে হবে। যে’রকম পোপেদের ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড হিসাবে চলতে থাকে এবং অবতরণ হতে থাকে। তাদেরকে নম্বর ক্রমে দেখানো হয় তারাই তারপর নম্বর ক্রমানুসারে নিজেদের পদ প্রাপ্ত করবে। এই চক্রকে তোমরা এখন ভালোভাবে জানো। এখানে আসে-ই অসীমের পিতার কাছে, যাঁর কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। সাকার ব্রহ্মা ব্যতীত তো এই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হতে পারে না।
বাবা বলেন যে দেহধারীকে স্মরণ ক’রো না। উঁচুর থেকে উঁচু এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। কত বড় আজ্ঞা – বাচ্চারা, মামেকম্ স্মরণ করো। দেহধারীদের যদি স্মরণ করো তাহলে তাদের স্মরণে আবার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তোমাদের স্মরণের যাত্রা স্থগিত হয়ে যাবে। বিকর্ম বিনাশ হবে না। অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। কারবারে লাভও হয়, ক্ষতিও হয়। নিরাকার পিতাকে জাদুগর, সওদাগর বলা হয়। তোমরা জানো যে দিব্যদৃষ্টির চাবি বাবার হাতেই আছে। আচ্ছা কোনো কিছুর দর্শনও যদি করলে, কৃষ্ণের দর্শন করলে, এতে লাভ কি আছে ? কিছুই নেই । এ তো হল ড্রামার চক্রকে জানার পঠন-পাঠন তাই না। যত বাবাকে স্মরণ করবে, চক্রকে আবর্তিত করবে ততই উচ্চপদ প্রাপ্ত করবে। এখন তোমরা আমার বাচ্চা হয়েছো। স্মৃতিতে তো আসে তাই না যে, আমরা আপনার ছিলাম। আমরা আত্মারা পরমধামে থাকতাম। ওখানে কথা বলার কোন দরকার থাকে না। ড্রামা স্বতঃতই চলতে থাকে। যে’রকম একধরনের মাছকে খেলনা রয়েছে না ! তারের মধ্যে মাছ গাঁথা থাকে। এ’রকম করলে ধীরে ধীরে নিচে নেমে যায় । ঠিক সেইরকমই সকল আত্মারা ড্রামার তারে বাধা রয়েছে । চক্রে আবর্তিত হতে থাকে। এখন হল উওরণের সময় তারপর অবতরণ করতে থাকবে। তোমরা জানো যে এখন হল আমাদের উত্তরণের কলা। জ্ঞান সাগর পিতা এসেছেন, উত্তরণের কলা তারপর অবতরণের কলাকে তোমরা জেনে গেছো। কত সহজ। অবতরণের কলা কত সময় নেয়। তারপর কীভাবে উত্তরণের কলা হয় – তোমরা জানো যে বাবা এসে পাল্টে দেন। সর্বপ্রথমে হল আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম তারপর অন্য ধর্মরা আসতে থাকে। তোমরা বাচ্চারা জেনে গেছো যে আমাদের এটি হল উত্তরণের কলা। অবতরণের কলা সম্পূর্ণ হয়েছে। তমোপ্রধান দুনিয়াতে অনেক দুঃখ । এই ঝড় তুফান ইত্যাদি তো কিছুই নয়। তুফান তো এমন আসবে যার ফলে বড় বড় মহলও পড়ে যাবে। অনেক দুঃখের সময় আসতে চলেছে। এটি হল বিনাশের সময়। হায়-হায়, ত্রাহি-ত্রাহি করতে থাকবে। সবার মুখ থেকে হায় রাম নির্গত হবে। ভগবানকেই স্মরণ করবে।ফাঁসি হলেও পাদরী ইত্যাদিরা বলে যে গডফাদারকে স্মরণ করো। কিন্তু জানে না। নিজের আত্মাকেই যথার্থ রীতিতে জানে না। আমি আত্মা কি জিনিস ? কি পার্ট প্লে করছি ? কিছুই জানে না। আত্মা হল কত ছোট। বলেও থাকে তারার মত ছোট। আত্মার সাক্ষাৎকার অনেকেরই হয়েছে। অনেক ছোট লাইট। বিন্দু মতো সাদা লাইট। এটি দিব্যদৃষ্টি ব্যতীত কেউ দেখতে পারবে না। যদিও দেখে কিছু বুঝতে পারে না। জ্ঞান ব্যতীত কিছুই বুঝতে পারবে না। সাক্ষাৎকার তো অনেকেরই হতে থাকে। এটা কোনো বড় ব্যাপার নয়। এখানে তো বুদ্ধির দ্বারা বুঝতে পারবে। বাবা যথার্থ ভাবে বোঝান, অন্য কারোরই বুদ্ধিতে এটা থাকে না যে আমাদের আত্মায় ৮৪ জন্মের পার্ট নিহিত রয়েছে । যারা ব্রাহ্মণ বাচ্চা হয়ে যায়, তাদেরই বাবা বোঝান আর তাদেরই ৮৪ জন্ম হয়। অন্য কারোরই বুদ্ধিতে বসবে না। তোমরা হুবহু বোঝো যে এটা হল ৮৪ জন্মের চক্র। প্রথমে গায়ন হল ব্রাহ্মণদের, মুখাবংশাবলী ব্রাহ্মণ যে। এটা আর কেউই জানে না। ব্রহ্মকুমার কুমারী অরডিনারী (সাধারণ) কথা যেন হয়ে গেছে। কেউই বোঝে না – এই সংস্থাটি কি ? এই নাম কেন দেওয়া হয়েছে ? প্রজাপিতা ব্রহ্মা নাম দেওয়ার ফলে কোনো প্রশ্ন আর উঠবে না। তোমরা বলতে পারো শিববাবার বাচ্চারা সকলে হল ভাই-ভাই। তারপর প্রজাপিতা ব্রহ্মার বাচ্চারা হল ভাই বোন। এটা বোঝার পরে আর কোনো প্রশ্ন উঠবে না। বুঝবে যে নতুন দুনিয়া স্থাপন হচ্ছে। যথার্থভাবে ব্রহ্মার দ্বারা তোমরা পতিত থেকে পবিত্র হচ্ছো। এইসব যে রাখি বন্ধন ইত্যাদি পালন করা হয়, এই পুরাতন রীতি-রেওয়াজ চলে আসছে। এখন তোমরা যা-কিছু স্মরণিক আছে তার অর্থ যথার্থ ভাবে বোঝো, সবকিছুর তোমরা এখন এই সময়ে জ্ঞান প্রাপ্ত করছো। সত্যযুগে কি রামনবমী পালন করবে নাকি ! ওখানে পালনের কোন দরকার-ই থাকে না। ওখানে তো জ্ঞানই থাকে না। এটাও জানে না যে আমাদের এটা হল অবতরণের কলা। সুখে জন্ম নিতে থাকে। ওখানে তো হয়-ই যোগবলের দ্বারা জন্মগ্রহণ। বিকারের নাম-ই থাকে না, কারণ রাবণের রাজ্য-ই থাকে না। ওখানে তো হল সম্পূর্ণ নির্বিকারী। পূর্বেই সাক্ষাৎকার হয়। নাহলে কিভাবে সিদ্ধ হবে যে একটি পুরাতন শরীর ত্যাগ করে অন্য নতুন নেয়। এখান থেকে তোমরা প্রথমে যাবে শান্তিধাম। বাচ্চারা বোঝে যে ওটা হল আমাদের ঘর, তাকেই শান্তিধাম বলে। ওটা তো হল আমাদের বা বাবার ঘর, যে বাবাকে স্মরণ করি। বাবার থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়েছিলাম, সেইজন্যই স্মরণ করি। সুখের সময়কালে তো বাবাও স্মরণে আসে না। ওটা হল-ই সুখের দুনিয়া। বাবা নিজের ধামে থাকেন, যেন বানপ্রস্থে চলে যান। দুনিয়াতে তো যখন বৃদ্ধ হয় তখন বানপ্রস্থ নিয়ে নেয়। কিন্তু পরমপিতা পরমাত্মাকে তো বৃদ্ধ কখনই বলা যায় না। বৃদ্ধ অথবা যুবক শরীর হয়। আত্মা একরকমই থাকে । আত্মাতে মায়ার ছায়া পড়ে। তোমরা সবকিছু জেনে গেছো, আগে জানতে না। রচয়িতা আর রচনার রহস্য বাবা বুঝিয়েছেন।
তোমরা বাচ্চারা সামনে বসে রয়েছো। তাঁর মহিমা তো অনেক উচ্চ। প্রেসিডেন্ট হলেন প্রেসিডেন্ট। প্রাইম মিনিস্টার, প্রাইম মিনিস্টারই। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। বাবা হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ, এই কথাই প্রসিদ্ধ। আমাদের তাহলে তো অনেক উচ্চ বর্সা পাওয়া উচিত, তাই না ? বর্সা বাবার থেকে প্রাপ্ত হয় । তোমাদের হল প্রবৃত্তি মার্গ, অতএব বুদ্ধিতে চক্র আবর্তিত হওয়া উচিত। সার্ভিস অবশ্যই করতে হবে। দিন দিন অনেক সহজ হতে থাকবে, তবেই তো প্রজা বৃদ্ধি হবে, তাই না ? সহজে প্রাপ্ত হলে সহজে নিশ্চয় হয়ে যাবে । নতুন নতুন বাচ্চারা খুব উঠে পড়ে লাগে। সম্পূর্ণ নিশ্চয় বসে যায়। নম্বর ক্রমানুসারে পুরুষার্থ অনুসারে সকলের পার্ট চলছে। সকলে এক সত্যিকারের উপার্জন করবার পুরুষার্থ করছে। সত্য আর মিথ্যা উপার্জনের পার্থক্য তো আছেই। সত্যিকারের রত্ন দূর থেকেই চকমক করে। আজকাল মানুষের তো টাকা পয়সা রাখাও কতো ঝামেলার ব্যাপার। কোথায় লুকাবে, কোথায় রাখবে। সব ধন পড়ে থাকবে, সময় এমন আসবে যে কিছুই করতে পারবে না। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধির তালাও নম্বর ক্রমিক খুলতে থাকবে। কোথাও না কোথাও যদি গ্রহের দশা বসে যায় তবে কারো না কারো মনে সংশয় চলে আসে। পড়াই ছেড়ে দেয়। তারা বুঝতেই পারে না। আমরা তো পড়তাম, পড়াতাম, এখন তবে কী হয়ে গেল ! এতটুকুও সংশয় চলে এলে শ্বাসই বন্ধ হয়ে আসে। বাবার প্রতি সংশয় এল, বিকারে গেল তো একেবারে অধঃপতন। কাম আর ক্রোধ হল সবচেয়ে বড় শত্রু। মোহও কিছু কম নয। এমন নয় যে সন্ন্যাসীদের তাদের পূর্বাশ্রমের স্মৃতি থাকে না । জ্ঞানী আত্মারা ইশারাতেই বুঝে যায় যে কীভাবে ভোগ লাগানো হয়, কারা আসে, কী হয়। ড্রামার পার্ট সেকেন্ড বাই সেকেন্ড উন্মোচিত হতে থাকে। মুখ্যতঃ বাবার স্মরণ, যার দ্বারা বিকর্ম বিনাশ হবে । যত বেশী বাবার স্মরণে যুক্ত থাকে, ততই বিকর্ম বিনাশ হতে থাকে। নাহলে বাবা ধর্মরাজের রূপে সাক্ষাৎকার করাবেন। এখনও অনেকেই রয়েছে, যারা চলতে চলতে অনেক ভুল করতে থাকে। জানায় না। তাদের অনেক নাম ডাক আছে, কিন্তু বাবা জানেন যে, তাদের পদ কতো কম হয়ে যাবে। গ্রহের দশা যে কীভাবে লেগে যায় ! উল্টো বিকর্ম করে বাবার কাছে গোপন করে যায়। অনেক দন্ড ভোগ করতে হবে। আমরা ব্রাহ্মণরা নিমিত্ত হয়েছি রক্ষণাবেক্ষণ করবার জন্য, আমাদের মধ্যেই যদি এই অভ্যাস থাকে তবে তো সেটা ঠিক নয়। স্কুলে কোনো টিচারের রিপোর্ট হলে, প্রিন্সিপাল সভা ডেকে তাকে বহিষ্কার করে দেয়। তাই ভয়ডর থাকা উচিত । তোমাদেরকে এক শিববাবাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবা বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো। তোমাদের তো বাবার কাছে যেতে হবে। তাঁকে স্মরণ করতে হবে আর স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে হবে আর কাউকে স্মরণ করলে তোমাদের আত্মিক যাত্রা (রুহানী) বন্ধ হয়ে যাবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ সুমন আর সুপ্রভাত।আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) মায়ার গ্রহের দশা থেকে রক্ষা পেতে হলে সত্য পিতার সাথে সর্বদা সত্যতা বজায় রাখতে হবে। কোনো ভুল করে লুকিয়ে রাখলে চলবে না। অপকর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে।
২ ) শ্রীমতে না চলাও হল বিকার, সেইজন্য কখনোই শ্রীমৎ উলঙ্ঘন করলে চলবে না। সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে।
বরদানঃ-
মহান আত্মা হল তারাই যাদের সত্যতার শক্তি আছে। কিন্তু সত্যতার সাথে সভ্যতাও অবশ্যই প্রয়োজন। এইরূপ সত্যতার সভ্যতা সম্পন্ন মহান আত্মাদের কথা বলা, দেখা, চাল-চলন, আহার-পানীয়, ওঠা-বসা প্রতিটি কর্মে সভ্যতা স্বতঃতই দেখা যাবে। যদি সভ্যতা না থাকে তাহলে সত্যতা নেই। সত্যতাকে কখনোই প্রমাণ দেখিয়ে প্রমাণ বা সিদ্ধ করতে হয় না। তারা তো সিদ্ধ হওয়ার জন্যই সিদ্ধি প্রাপ্ত । সত্যতার সূর্যকে কেউই লুকিয়ে রাখতে পারবে না।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!