01 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

December 31, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদেরকে সর্বদা সার্ভিসের চিন্তনে থাকতে হবে, জ্ঞানী আত্মা হতে হবে, সময় ব্যর্থ নষ্ট করবে না”

প্রশ্নঃ --

যারা জ্ঞানবান বাচ্চা, তাদের নিদর্শন কি হবে ?

উত্তরঃ -:-

তারা সদা সার্ভিসে ব্যস্ত থাকবে। অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান করে তাদের খুশীর অনুভব হবে। বাবাও তাদের প্রতি রাজি থাকবেন। তারা কখনও অখাদ্য কুখাদ্য ইত্যাদির চিন্তন করে সময় নষ্ট করবে না। তাদের কখনো চোখে জল আসবে না। তাদের কখনো এই অহংকার আসবে না যে অমুককে আমি জ্ঞান দান করেছি। সদা বলবে বাবা দিয়েছেন।

গান:-

দুঃখীদের উপরে দয়া করো…

ওম্ শান্তি । এই কথা তো বাচ্চারা এখন জানে যে বাবা দয়া করেছিলেন। এখন আবার করছেন। দয়া করেন কে ? তাহলে নির্দয় কে ? এই কথা তোমরা এখন সঠিকভাবে জানো। বাবা দয়া করেছিলেন ভারতের উপরে অর্থাৎ ভারতকে হীরে তুল্য বানিয়ে ছিলেন, শ্রেষ্ঠাচারী দৈবী স্ব রাজ্য দিয়েছিলেন। তোমরা এখন বুঝেছো – লক্ষ্মী-নারায়ণকে রাজ্য- ভাগ্য কে দিয়েছিলেন ? নিশ্চয়ই পরম পিতা পরমাত্মা রচনা করেছেন। দেবতারা পরম পিতা পরমাত্মার কাছে স্বর্গের অধিকার নিয়েছে, সে কথা দুনিয়া জানেনা। ভারতবাসীদের কাছে স্বরাজ্য ছিল। বাবা দয়া করেছিলেন, পুনরায় দয়া ভিক্ষা করে মানুষ। নির্দয় কে যে এসে এমন দুঃখী কাঙাল ভ্রষ্টাচারী বানিয়েছে! তার এফিজি (কুশপুত্তলিকা) বছর বছর দহন করা হয়। এই রাবণ সকলকে দুঃখ দিয়েছে। যে দুঃখ দেয় বা কষ্ট দেয় তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বা তাকে অপমান করার জন্য এফিজি বানানো হয়। বাবা বলেন – এরা সবাই হল পতিত। নিজেদের পতিতও ভাবে, ঈশ্বরও ভাবে। খবরের কাগজে ছাপানো হয় যে খ্রীষ্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারত পরিস্তান ছিল। সবচেয়ে প্রথমে ছিল দেবতা, তারপরে ইসলামী, বৌদ্ধি ইত্যাদি হয়েছে। বাচ্চাদেরকে হিসেব বলে দেওয়া হয়েছে। মধ্যিখানে অন্য ধর্মও এসে যায়। এখন ভারতবাসী চিত্রকেও শ্রদ্ধা করে তাই এই প্রশ্নাবলীও বানানো হয়েছে। এই বিষয়ে বোঝানো খুব সহজ। কিন্তু যাদের জ্ঞান নেই তাদের বুদ্ধিহীন বলা হয়। জ্ঞান শুনে অন্যদেরও শোনাতে হবে। যদিও সার্ভিস তো অনেক আছে কিন্তু সেসব হল স্থূল সার্ভিস। কেউ কমান্ডার, কেউ জেনারেল, কেউ পেয়াদাও হয়। খাবার তৈরি করা – এও হল সেবা, এই সেবারও ফল অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। তারা ভাবে আমরা জ্ঞানী আত্মাদের সেবা করি। সেবা করলে হৃদয়ে স্থান লাভ হয়। সকলে মহিমা করে। যদিও এই কথা নিশ্চিত যে – জ্ঞানী আত্মা বাবার অতি প্রিয় । এর অর্থ এই নয় যে অন্যরা প্রিয় নয়। সকলের সার্ভিস চোখে পড়ে। বাবাকে কেউ জিজ্ঞাসা যদি করে – আমি হৃদয়ে স্থান লাভ করেছি কি, তাহলে বাবা বলে দেবেন। আর বাকি যারা শুধু সার্ভিস নিতে থাকে, তারা কি প্রাপ্ত করবে ? যদিও রাজধানীতে আসবে কিন্তু পদ মর্যাদা তেমন প্রাপ্ত করবে না। তোমরা নিজের আত্মীয় পরিজনদের ভালো সার্ভিস করতে পারো। অর্থাৎ সার্ভিসের চিন্তন থাকা উচিত। অনর্থক সময় নষ্ট করা উচিত নয়। তাদেরকেই বাবা বুদ্ধিহীন বলেন। বাবা ভালো ভালো পয়েন্ট দিয়ে বোঝান। প্রশ্ন গুলিও খুব ভালো রাখা হয়েছে । জগৎ অম্বা হলেন জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বরী। রাজ-রাজেশ্বরী হলেন লক্ষ্মী। উনি হলেন সত্য যুগের। এই মহিমা হল জগৎ অম্বার বর্তমান সময়ের। বাচ্চাদের মধ্যে হাড্ডি দানের ধারণা থাকা উচিত। পরিপক্ব অবস্থা চাই তবে হৃদয়ে স্থান প্রাপ্ত করবে। স্কুলেও স্টুডেন্টরা নম্বর অনুসারেই হৃদয়ে স্থান পেয়ে থাকে। ভ্যারাইটি থাকে। বোঝানোর জন্য খুব ভালো পয়েন্ট এ’গুলিও । জগৎ অম্বাকে ধন লক্ষ্মী বলবে না। ইনি হলেন জগৎ অম্বা, এনাকে ভগবান নলেজ প্রদান করেছেন তাই সরস্বতীকে গডেজ অফ নলেজ বলা হয়। এই সময় এই নাম রূপে তিনি গডেজ অফ নলেজ, যে নলেজের দ্বারা পরে পদ প্রাপ্ত করেন। পাস্ট জন্মে নলেজ প্রাপ্ত করে লক্ষ্মীর স্বরূপ ধারণ করেন। লক্ষ্মী পাস্ট জন্মে জগৎ অম্বা ছিলেন এই রহস্যটি হল সঠিক ও স্পষ্ট । পাস্ট, প্রেজেন্ট, ফিউচারে কি হবেন, এক একটি কথা খুব সুন্দর । লক্ষ্মী কীভাবে ৮৪ জন্ম নেন, কোথায় নেন, এইসব হল বোঝাবার মতো বিষয় । বোঝাবার মধ্যে খুব আনন্দ থাকে। দান করলে খুশীর অনুভব তো হয়, তাইনা।

বাবা অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান করেন তাই অন্যদেরও দান করার সার্ভিস করা উচিত। কেবল মাম্মা বাবার পিছনে পড়ে থাকবে না। সার্ভিস করলে বাবা রাজি হবেন। জ্ঞানবান সার্ভিসে ব্যস্ত থাকবে। সার্ভিস না করলে তাদের বুদ্ধিহীন বলা হবে। তারা বুঝবে যে আমরা হৃদয়ে স্থান অর্জন করিনি। অখাদ্য কুখাদ্য স্মরণে আসবে। এইম অবজেক্ট বাইরে তো খুব ভালো লেখা আছে। নাম লেখা আছে – এই হল পতিত-পাবন গড ফাদারলি ইউনিভার্সিটি। বাবার কাছে ২১ জন্মের জন্য পুনরায় হেল্থ, ওয়েলথ, হ্যাপিনেসের ঊত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। বোর্ডে অক্যুপেশান পুরোপুরি লেখা আছে। শিববাবারও চিত্র আছে। লক্ষ্মী-নারায়ণেরও চিত্র আছে। মুখ্য উদ্দেশ্যও লেখা আছে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না । পরে জিজ্ঞাসাও করে না। দোকান থাকলে বোর্ডও লাগানো থাকে। এই দোকানটি দুধের দোকান, ওইটি অমুক দোকান। সৎসঙ্গে কোনো বোর্ড লাগানো হয় না। তবু বিখ্যাত হয়ে যায়। এখানে তো বোর্ড লাগানো থাকে যে ২১ জন্মের জন্য দৈবী পদ প্রাপ্ত করার শিক্ষা প্রাপ্ত হয়। তা সত্ত্বেও বুদ্ধিতে বসে না ভিতরে এসে জিজ্ঞাসা করে – এখানকার উদ্দেশ্যটি কি ? কিন্তু বোর্ড পড়ে না, যাতে এইম অবজেক্ট বুঝতে পারে । দেখা উচিত – কিসের দোকান। কিন্তু কিছুই জানেনা। আদি দেবের নামও মহাবীর, হনুমান রেখে দিয়েছে। কিন্তু এরা কারা, কবে এসেছিল কবে চলে গেছে, জানে না।

বাচ্চারা, বোঝাবার জন্য তোমাদের সাহস থাকা উচিত। যে বোঝাবে তার মধ্যেই যদি কোনো বিকার থাকে তাহলে তো জ্ঞানের তীর লাগবে না। যদি কারো জ্ঞান রূপী তীর বিদ্ধ হয়, তো সেই জ্ঞান শিববাবা বুঝিয়েছেন। যার মধ্যে অবগুণ আছে তাদের বোঝানো জ্ঞানের তীর কারো বুদ্ধিতে ঢুকবে না। সে তো বাবা এসে কাউকে দৃষ্টি দিয়ে তারপর জ্ঞান প্রদান করেন। কেউ যেন এমন না ভাবে যে আমি এদেরকে ভালো জ্ঞান দান করলাম। আমার জ্ঞানের দ্বারা এদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। এও একরকমের উল্টো অহংকার। যাদের কান্না কাটি করার স্বভাব থাকে তারা কাউকে জ্ঞান প্রদান করতে পারে না। সে তো হল বিধবা। তারা যেন কখনই এমন না ভাবে যে আমি কাউকে জ্ঞান প্রদান করতে পারি। সে তো বাবা তাদের কল্যাণ করে দেন। কাঁদলেই দুর্গতি হয়। তোমরা জানো আমরা হর্ষিতমুখ দেবী-দেবতা হতে চলেছি। যদি কাঁদতে হয় তার অর্থ হল অশুদ্ধ কর্ম করেছে, যা ধোকা দিচ্ছে। ভালো ভালো বাচ্চারাও কাঁদে। তখন কাউকে উঁচুতে ওঠাবার জন্য বাবা স্বয়ং দৃষ্টি প্রদান করেন। কান্নাকাটি করা অর্থাৎ বিধবা । এখানে বলা হয় আমরা রামের হয়েছি তারপরে কান্নাকাটি করার অর্থ হল রামের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ রামের সঙ্গে বুদ্ধি যোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিমুখ হয়েছে। অবস্থা খুব ভালো থাকা চাই। যদি কেউ প্রভাবিত হয়েও যায় তবু বুঝবে বাবার শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বাবা যে কথা গুলো বলেন তাতে কোনো ভুল থাকবে না, কারণ বাবা হলেন সত্য। যদি কোনো শব্দ বেরিয়ে যায় মুখ থেকে তাহলেও ভুল শোধরানোর জন্য বাবা স্বয়ং বসে আছেন। এতে বোঝার জন্য খুব তীক্ষ্ণ বুদ্ধি চাই। বাবা তো সার্ভিসে উপস্থিত আছেন। বাচ্চাদের রক্ষণাবেক্ষণও বাবাকে করতে হয়। বি.কে. নামে পরিচয় দিলেই সাহায্যও করেন। কোনো কোনো বি. কে. রা খুব ক্ষতিও করে দেয়। বাবাও জানেন তো জিজ্ঞাসুও জানে। এদের আচরণ এমন, ঠিক নয়, তখন লেখা হয় বাবা এদেরকে নিজের কাছে ডেকে নাও।

বাচ্চারা, তোমাদের তো দধীচী ঋষির মতন হাড্ডি দান করতে হবে। কেউ তো আবার নবাবের মতন চলে। বাবা বোঝান – এই উপার্জনেও গ্রহণ লাগে, দশা পরিবর্তন হয়। কখনও বৃহস্পতির দশা, কখনও শুক্রের, কখনও মঙ্গলের, কখনও রাহুর । তারপরে একেবারে ভেঙেচুরে শেষ হয়ে যায়। বাবা খুব ভালো ভালো পয়েন্টস বুঝিয়ে দেন। বলো, আপনি তো খুব বুদ্ধিমান এবং শিক্ষিত। বোর্ডে তো মুখ্য উদ্দেশ্যটি সম্পূর্ণ ভাবে লেখা আছে। মুখ্য উদ্দেশ্যটিকে ভালো ভাবে বুঝলে তখন তোমাদের আত্মিক আর রহম ভাবের প্রভাবে (রুহাবে) ভিতরে আসবে। লেখা রয়েছে যে গড ফাদারের কাছ থেকে স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হয় ২১ জন্য। এই ২৫০০ বছরের সূর্যবংশী এবং চন্দ্রবংশী রাজধানী চলে। অনেকে তো খুব ভালোভাবে বুঝবে, গ্রাহক তো নম্বর অনুসারেই । এ হল শিববাবার দোকান। মালিক একজনই। এই দোকান তো হাজার হাজার সংখ্যায় তৈরী হবে। সন্ন্যাসীদেরও অনেক দোকান থাকে, বিদেশেও আছে। বিদেশীরা ভাবে যে ভারতের প্রাচীন যোগ এবং জ্ঞান সন্ন্যাসীরা প্রদান করে হয়তো। কিন্তু তা তো নয়, এই জ্ঞান তো বাবা প্রদান করেন। কোনো মানুষ এই জ্ঞান দিতে পারে না । কিন্তু শুধুমাত্র জ্ঞানদাতা পিতার নামের পরিবর্তে সন্তানের নাম লিখে দিয়েছে। তোমরা প্রমাণ করে বলবে যে – হেভেন স্থাপনকারী গড ফাদার স্বয়ং বসে বোঝান। পোপকেও নিমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয় ভারত যাত্রার। কিন্তু এই যাত্রাটি সম্বন্ধে প্রকৃত ভাবে কারোরই জানা নেই । তাহলে তোমাদের কাছে কাউকে পাঠিয়ে দিই ? এখানে তো তারা আসবে না, কারণ উঁচু পজিশনের ব্যাপার। এখানে তো গরিব মানুষ আসবে। বলা হয় – খ্রীষ্ট হলেন বেগার। এই সময় আমরাও বেগার। বেগার থেকে প্রিন্স হবো। যদিও অনেকের কাছেই অনেক ধন আছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও বেগার। বলে খ্রীষ্ট হলেন গরিব। দারিদ্র অবস্থাতেই তো আসবে জ্ঞান অর্জন করতে। সেলাম তো করতে হবে। এ হল কয়ামতের (বিনাশের) সময়। সকলের হিসেব নিকেশ মিটবে। নম্বর ওয়ান সেলাম যিনি করেছেন তিনি এইখানে বসে আছেন। তাই তারাও আসবে। তোমাদের এই সূর্যবংশী চন্দ্রবংশী রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। অতএব মুখ্য চিত্র হল লক্ষ্মী-নারায়ণের। ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড তাদের চিত্রই তো প্রখ্যাত হয়ে আছে যেগুলি দেখতে পাওয়া যায় । আমাদের চিত্র তো বিনাশ হয়ে যায়। যথাযথ চিত্র তো নেই। দিলওয়ারা মন্দিরেও জগৎ অম্বা এবং লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র আছে। কিন্তু কারো জ্ঞান নেই যে জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বরীই সেই রাজ-রাজেশ্বরী হয়। নিশ্চয়ই তাদের সন্তানরাও থাকবে। পড়াশোনা হল সোর্স অফ ইনকাম। ব্রাহ্মণরাই পড়াশোনা করে দেবী-দেবতায় পরিণত হয়। কতখানি ক্লিয়ার এইসব কথা। বাবা বলেন – আমাকে বাচ্চাদের শো করতে হয়। এমন নয় যে তার ফল তারা পাবে। না, বাচ্চাদেরকে নিজের পরিশ্রমের ফল প্রাপ্ত হবে। আমি সার্ভিস করি, সে তো যাকে দৃষ্টি দান করি, তার সৌভাগ্য। এই জগত অম্বা কে, কি প্রারব্ধ প্রাপ্ত করেছেন – এই কথা গুলি মানুষ জানে না। বাবা বোঝান – মিষ্টি বাচ্চারা, কান্না হল অশুভ। এ হল অসীম জগতের পিতার গৃহ, তাইনা। যারা নিজেরা কান্নাকাটি করে তারা অন্যদের সার্ভিস করে কীভাবে তাদের মুখে হাসি ফোটাবে ? এখানে তো হাসতে শিখতে হয়। হাসি অর্থাৎ স্মিত হাসি। আওয়াজ করে হাসি নয়। অনেক শিক্ষা প্রদান করা হয়। পয়েন্টস বোঝানো হয়। দিন-দিন নলেজ সহজ হতে থাকে। তোমাদের মধ্যেও শক্তি বৃদ্ধি পায়। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কখনও নিজের অহংকার দেখাবে না। দধিচী ঋষির মতন সেবায় হাড্ডি দান করতে হবে।

২ ) সর্বদা হর্ষিত মুখে থাকতে হবে, কখনও কাঁদবে না। কান্না অর্থাৎ বৈধব্য যন্ত্রণা ভোগ করা তাই মধুর হাসিমাখা মুখে থাকবে, জোরে শব্দ করেও হাঁসবে না।

বরদানঃ-

সহজ যোগের অর্থ ই হল – এক বাবাকে স্মরণ করা। একমাত্র বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়। তন-মন-ধন সব বাবার, আমার নয়। এমন ট্রাস্টি হয়ে ডবল লাইট রূপধারী আত্মাই হল সহজ যোগী। সহজ যোগী হওয়ার সহজ বিধি হল – এক এর স্মরণে থাকা, এক এর মধ্যে সর্বস্ব অনুভব করা। বাবাই হলেন সংসার, অতএব স্মরণ করা সহজ হয়ে গেল। অর্ধ কল্প পরিশ্রম করেছ এখন বাবা পরিশ্রম থেকে মুক্ত করেন। কিন্তু যদি পুনরায় পরিশ্রম করতে হয় তবে তার কারণ হল নিজের দুর্বলতা।

স্লোগানঃ-

বিশেষ অ্যাটেনশন :-

এই জানুয়ারী মাস আমাদের সকলের অতি প্রিয় পিতাশ্রী ব্রহ্মা বাবার সম্পন্ন এবং সম্পূর্ণ হওয়ার বিশেষ মাস। আমরা সব ব্রহ্মাবৎস পুরো মাসে বিশেষ ভাবে শিববাবার সঙ্গে ব্রহ্মা বাবার স্নেহে সমায়িত হয়ে থাকি। বাবা বলেন, এইরূপ স্নেহে সমায়িত থাকাও হল সমান হওয়া। ভক্তরা এই স্নেহে সমায়িত থাকার স্থিতির উদ্দেশ্যে বলেছে যে, আত্মা পরমাত্মায় বিলীন হয়ে যায়। তাহলে আসুন, আমরা সকলে পুরো মাস এই লাভলীন স্থিতিতে সমায়িত থাকার অনুভব করি, এই লক্ষ্যটিকে কেন্দ্র করে রোজ মুরলীর নীচে স্নেহে নিমজ্জিত হওয়ার একটি করে বিশেষ পয়েন্ট দেওয়া হবে, আপনারা সেই অনুসারে মুরলী ক্লাসের শেষে রোজ ১০ মিনিট যোগ অভ্যাস করবেন।

লাভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

স্নেহের সাগর বাবার সঙ্গে মিলনে মগ্ন থেকে ভালোবেসে বাবা বলুন এবং সেই ভালোবাসায় সিক্ত থাকুন, সমায়িত থাকুন। লগনে মগন হয়ে যান। এই লাভলীন স্থিতি অন্য সব বিষয় গুলিকে সহজে সমাপ্ত করে দেবে।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top